প্রতিনিধি

রাজশাহী: রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের পূর্ব পাশে আগে থেকেই সীমানা প্রাচীর ছিল। তবে সেই প্রাচীর ভেঙে নতুন করে আবারও নির্মাণ করা হচ্ছে। আর এ কারণে কেটে ফেলা হচ্ছে ৪৫টি গাছ। গত তিন দিন ধরে গাছগুলো কাটছেন ঠিকাদারের লোকজনরা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, সব প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই গাছগুলো কাটা হচ্ছে। এ নিয়ে কথা বলার কোনো সুযোগ নেই। তবে পরিবেশ আন্দোলনের কর্মীরা বলছেন, পুরোনো প্রাচীর নতুন করতে তাজা গাছ কাটা অযৌক্তিক। এই গাছগুলো মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী এবং রোগীর স্বজনদের ছায়া দিত।
হাসপাতালের পূর্ব পাশে সীমানা প্রাচীরের পাশ দিয়েই একটি রাস্তা চলে গেছে বিলশিমলার দিকে। এই রাস্তার পূর্ব দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও রাজশাহী নার্সিং ইনস্টিটিউট। মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী, ইন্টার্ন চিকিৎসক এবং কলেজের শিক্ষকদের আবাসিক ভবনগুলোতেও যেতে হয় এই রাস্তা দিয়ে। গাছগুলো তাদেরও ছায়া দিত। এখন এলাকাটি ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, শ্রমিকেরা একের পর এক গাছ কাটছেন। উঁচু উঁচু মেহগনি, রেইনট্রি, আম, কাঁঠাল ও ডাব গাছগুলো কেটে সাবাড় করা হচ্ছে। একই সঙ্গে রামেক হাসপাতালের পুরোনো সীমানা প্রাচীর একদিক থেকে ভাঙা হচ্ছে। আর অন্যদিক থেকে একই স্থানটিতে নতুন করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হচ্ছে। পুরোনো এই প্রাচীরটি নতুন করতেই গাছগুলোকে কেটে ফেলা হচ্ছে।
এ নিয়ে মেডিকেল কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী অবশ্য কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, এটা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিষয়। আমি কোনো মন্তব্য করতে পারব না।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) রাজশাহী জেলা সভাপতি জামাত খান বলেন, বছরের পর বছর গাছগুলো রোগী, রোগীর স্বজন, মেডিকেল শিক্ষার্থী এবং চিকিৎসকদের ছায়া দিত। পাখির কলকাকলিতে এলাকাটি মুখর থাকত। শুধু পুরোনো প্রাচীর নতুন করার জন্য গাছগুলো কেটে ফেলা ঠিক হচ্ছে না। এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আরও বিশ্লেষণের প্রয়োজন ছিল।
গাছ কাটার সময় ওই এলাকাতেই ছিলেন নিলামে গাছ কেনা প্রতিষ্ঠান জিয়া টিম্বার সমিলের মালিক আবদুল হাকিম। তিনি বলেন, আমরা ৪৫টা গাছ কিনেছি। গত তিন-চার দিন আগে গাছ কাটা শুরু হয়েছে। গোটা জুন মাসজুড়েই গাছ কাটার কাজ চলবে। দুই-চার দিন এদিক সেদিক হতে পারে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নতুন প্রাচীর নির্মাণের জন্য রাস্তার পাশের ছাড়াও হাসপাতালের বহির্বিভাগ এবং পেছনে আরও কিছু গাছ নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। ক্যানসার সেন্টার নির্মাণের জন্য হাসপাতালের পেছনের গাছগুলো বিক্রি করা হয়েছে। তবে কত টাকায় গাছ বিক্রি করা হয়েছে তা কর্তৃপক্ষ জানায়নি।
সীমানা প্রাচীরের জন্য তাজা গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, গাছ কাটার জন্য বন বিভাগের অনুমতি নেওয়া হয়েছে। সকল প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই গাছ কাটা হচ্ছে। এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, আগের সীমানা প্রাচীরটা জরাজীর্ণ হয়ে গিয়েছিল। তা ছাড়া প্রাচীরটি ছিল নিচু। এতে চোর ঢুকে পড়তো। প্রাচীর টপকে সহজে চোর পালিয়েও যাচ্ছিল। এ কারণে পুরোনো প্রাচীর ভেঙে নতুন করে উঁচু প্রাচীর নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে হাসপাতালে চোরের উপদ্রব কমবে।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে রামেক হাসপাতাল এলাকা থেকে পাখি তাড়াতে শতাধিক গাছের ডালপালা কেটে ফেলা হয়। এসব গাছে হাজার হাজার শামুকখোল পাখি বাসা বেঁধেছিল। পাখিরা গাছগুলোতে ডিম দিয়ে বাচ্চাও ফুটিয়েছিল। এসব পাখিরা আগে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশের গাছপালায় থাকত। কারা একাডেমি করার জন্য ওই এলাকার গাছগুলো কাটা হয়। এতে নীড়হারা হয়ে পাখিরা হাসপাতালের গাছপালায় আশ্রয় নেয়। কিন্তু পাখির বিষ্ঠায় রোগীর স্বজনদের অসুবিধা হয় বলে গাছের ডালপালা কেটে ফেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এ নিয়ে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো প্রতিবাদ জানালেও লাভ হয়নি। তখন হাসপাতাল পরিচালক বলেছিলেন, হাসপাতাল এলাকা পাখির অভয়াশ্রম হতে পারে না। গোটা বিশ্বের কোথাও এটা নেই।

রাজশাহী: রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের পূর্ব পাশে আগে থেকেই সীমানা প্রাচীর ছিল। তবে সেই প্রাচীর ভেঙে নতুন করে আবারও নির্মাণ করা হচ্ছে। আর এ কারণে কেটে ফেলা হচ্ছে ৪৫টি গাছ। গত তিন দিন ধরে গাছগুলো কাটছেন ঠিকাদারের লোকজনরা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, সব প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই গাছগুলো কাটা হচ্ছে। এ নিয়ে কথা বলার কোনো সুযোগ নেই। তবে পরিবেশ আন্দোলনের কর্মীরা বলছেন, পুরোনো প্রাচীর নতুন করতে তাজা গাছ কাটা অযৌক্তিক। এই গাছগুলো মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী এবং রোগীর স্বজনদের ছায়া দিত।
হাসপাতালের পূর্ব পাশে সীমানা প্রাচীরের পাশ দিয়েই একটি রাস্তা চলে গেছে বিলশিমলার দিকে। এই রাস্তার পূর্ব দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও রাজশাহী নার্সিং ইনস্টিটিউট। মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী, ইন্টার্ন চিকিৎসক এবং কলেজের শিক্ষকদের আবাসিক ভবনগুলোতেও যেতে হয় এই রাস্তা দিয়ে। গাছগুলো তাদেরও ছায়া দিত। এখন এলাকাটি ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, শ্রমিকেরা একের পর এক গাছ কাটছেন। উঁচু উঁচু মেহগনি, রেইনট্রি, আম, কাঁঠাল ও ডাব গাছগুলো কেটে সাবাড় করা হচ্ছে। একই সঙ্গে রামেক হাসপাতালের পুরোনো সীমানা প্রাচীর একদিক থেকে ভাঙা হচ্ছে। আর অন্যদিক থেকে একই স্থানটিতে নতুন করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হচ্ছে। পুরোনো এই প্রাচীরটি নতুন করতেই গাছগুলোকে কেটে ফেলা হচ্ছে।
এ নিয়ে মেডিকেল কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী অবশ্য কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, এটা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিষয়। আমি কোনো মন্তব্য করতে পারব না।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) রাজশাহী জেলা সভাপতি জামাত খান বলেন, বছরের পর বছর গাছগুলো রোগী, রোগীর স্বজন, মেডিকেল শিক্ষার্থী এবং চিকিৎসকদের ছায়া দিত। পাখির কলকাকলিতে এলাকাটি মুখর থাকত। শুধু পুরোনো প্রাচীর নতুন করার জন্য গাছগুলো কেটে ফেলা ঠিক হচ্ছে না। এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আরও বিশ্লেষণের প্রয়োজন ছিল।
গাছ কাটার সময় ওই এলাকাতেই ছিলেন নিলামে গাছ কেনা প্রতিষ্ঠান জিয়া টিম্বার সমিলের মালিক আবদুল হাকিম। তিনি বলেন, আমরা ৪৫টা গাছ কিনেছি। গত তিন-চার দিন আগে গাছ কাটা শুরু হয়েছে। গোটা জুন মাসজুড়েই গাছ কাটার কাজ চলবে। দুই-চার দিন এদিক সেদিক হতে পারে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নতুন প্রাচীর নির্মাণের জন্য রাস্তার পাশের ছাড়াও হাসপাতালের বহির্বিভাগ এবং পেছনে আরও কিছু গাছ নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। ক্যানসার সেন্টার নির্মাণের জন্য হাসপাতালের পেছনের গাছগুলো বিক্রি করা হয়েছে। তবে কত টাকায় গাছ বিক্রি করা হয়েছে তা কর্তৃপক্ষ জানায়নি।
সীমানা প্রাচীরের জন্য তাজা গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, গাছ কাটার জন্য বন বিভাগের অনুমতি নেওয়া হয়েছে। সকল প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই গাছ কাটা হচ্ছে। এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, আগের সীমানা প্রাচীরটা জরাজীর্ণ হয়ে গিয়েছিল। তা ছাড়া প্রাচীরটি ছিল নিচু। এতে চোর ঢুকে পড়তো। প্রাচীর টপকে সহজে চোর পালিয়েও যাচ্ছিল। এ কারণে পুরোনো প্রাচীর ভেঙে নতুন করে উঁচু প্রাচীর নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে হাসপাতালে চোরের উপদ্রব কমবে।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে রামেক হাসপাতাল এলাকা থেকে পাখি তাড়াতে শতাধিক গাছের ডালপালা কেটে ফেলা হয়। এসব গাছে হাজার হাজার শামুকখোল পাখি বাসা বেঁধেছিল। পাখিরা গাছগুলোতে ডিম দিয়ে বাচ্চাও ফুটিয়েছিল। এসব পাখিরা আগে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশের গাছপালায় থাকত। কারা একাডেমি করার জন্য ওই এলাকার গাছগুলো কাটা হয়। এতে নীড়হারা হয়ে পাখিরা হাসপাতালের গাছপালায় আশ্রয় নেয়। কিন্তু পাখির বিষ্ঠায় রোগীর স্বজনদের অসুবিধা হয় বলে গাছের ডালপালা কেটে ফেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এ নিয়ে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো প্রতিবাদ জানালেও লাভ হয়নি। তখন হাসপাতাল পরিচালক বলেছিলেন, হাসপাতাল এলাকা পাখির অভয়াশ্রম হতে পারে না। গোটা বিশ্বের কোথাও এটা নেই।
প্রতিনিধি

রাজশাহী: রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের পূর্ব পাশে আগে থেকেই সীমানা প্রাচীর ছিল। তবে সেই প্রাচীর ভেঙে নতুন করে আবারও নির্মাণ করা হচ্ছে। আর এ কারণে কেটে ফেলা হচ্ছে ৪৫টি গাছ। গত তিন দিন ধরে গাছগুলো কাটছেন ঠিকাদারের লোকজনরা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, সব প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই গাছগুলো কাটা হচ্ছে। এ নিয়ে কথা বলার কোনো সুযোগ নেই। তবে পরিবেশ আন্দোলনের কর্মীরা বলছেন, পুরোনো প্রাচীর নতুন করতে তাজা গাছ কাটা অযৌক্তিক। এই গাছগুলো মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী এবং রোগীর স্বজনদের ছায়া দিত।
হাসপাতালের পূর্ব পাশে সীমানা প্রাচীরের পাশ দিয়েই একটি রাস্তা চলে গেছে বিলশিমলার দিকে। এই রাস্তার পূর্ব দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও রাজশাহী নার্সিং ইনস্টিটিউট। মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী, ইন্টার্ন চিকিৎসক এবং কলেজের শিক্ষকদের আবাসিক ভবনগুলোতেও যেতে হয় এই রাস্তা দিয়ে। গাছগুলো তাদেরও ছায়া দিত। এখন এলাকাটি ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, শ্রমিকেরা একের পর এক গাছ কাটছেন। উঁচু উঁচু মেহগনি, রেইনট্রি, আম, কাঁঠাল ও ডাব গাছগুলো কেটে সাবাড় করা হচ্ছে। একই সঙ্গে রামেক হাসপাতালের পুরোনো সীমানা প্রাচীর একদিক থেকে ভাঙা হচ্ছে। আর অন্যদিক থেকে একই স্থানটিতে নতুন করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হচ্ছে। পুরোনো এই প্রাচীরটি নতুন করতেই গাছগুলোকে কেটে ফেলা হচ্ছে।
এ নিয়ে মেডিকেল কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী অবশ্য কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, এটা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিষয়। আমি কোনো মন্তব্য করতে পারব না।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) রাজশাহী জেলা সভাপতি জামাত খান বলেন, বছরের পর বছর গাছগুলো রোগী, রোগীর স্বজন, মেডিকেল শিক্ষার্থী এবং চিকিৎসকদের ছায়া দিত। পাখির কলকাকলিতে এলাকাটি মুখর থাকত। শুধু পুরোনো প্রাচীর নতুন করার জন্য গাছগুলো কেটে ফেলা ঠিক হচ্ছে না। এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আরও বিশ্লেষণের প্রয়োজন ছিল।
গাছ কাটার সময় ওই এলাকাতেই ছিলেন নিলামে গাছ কেনা প্রতিষ্ঠান জিয়া টিম্বার সমিলের মালিক আবদুল হাকিম। তিনি বলেন, আমরা ৪৫টা গাছ কিনেছি। গত তিন-চার দিন আগে গাছ কাটা শুরু হয়েছে। গোটা জুন মাসজুড়েই গাছ কাটার কাজ চলবে। দুই-চার দিন এদিক সেদিক হতে পারে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নতুন প্রাচীর নির্মাণের জন্য রাস্তার পাশের ছাড়াও হাসপাতালের বহির্বিভাগ এবং পেছনে আরও কিছু গাছ নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। ক্যানসার সেন্টার নির্মাণের জন্য হাসপাতালের পেছনের গাছগুলো বিক্রি করা হয়েছে। তবে কত টাকায় গাছ বিক্রি করা হয়েছে তা কর্তৃপক্ষ জানায়নি।
সীমানা প্রাচীরের জন্য তাজা গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, গাছ কাটার জন্য বন বিভাগের অনুমতি নেওয়া হয়েছে। সকল প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই গাছ কাটা হচ্ছে। এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, আগের সীমানা প্রাচীরটা জরাজীর্ণ হয়ে গিয়েছিল। তা ছাড়া প্রাচীরটি ছিল নিচু। এতে চোর ঢুকে পড়তো। প্রাচীর টপকে সহজে চোর পালিয়েও যাচ্ছিল। এ কারণে পুরোনো প্রাচীর ভেঙে নতুন করে উঁচু প্রাচীর নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে হাসপাতালে চোরের উপদ্রব কমবে।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে রামেক হাসপাতাল এলাকা থেকে পাখি তাড়াতে শতাধিক গাছের ডালপালা কেটে ফেলা হয়। এসব গাছে হাজার হাজার শামুকখোল পাখি বাসা বেঁধেছিল। পাখিরা গাছগুলোতে ডিম দিয়ে বাচ্চাও ফুটিয়েছিল। এসব পাখিরা আগে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশের গাছপালায় থাকত। কারা একাডেমি করার জন্য ওই এলাকার গাছগুলো কাটা হয়। এতে নীড়হারা হয়ে পাখিরা হাসপাতালের গাছপালায় আশ্রয় নেয়। কিন্তু পাখির বিষ্ঠায় রোগীর স্বজনদের অসুবিধা হয় বলে গাছের ডালপালা কেটে ফেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এ নিয়ে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো প্রতিবাদ জানালেও লাভ হয়নি। তখন হাসপাতাল পরিচালক বলেছিলেন, হাসপাতাল এলাকা পাখির অভয়াশ্রম হতে পারে না। গোটা বিশ্বের কোথাও এটা নেই।

রাজশাহী: রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের পূর্ব পাশে আগে থেকেই সীমানা প্রাচীর ছিল। তবে সেই প্রাচীর ভেঙে নতুন করে আবারও নির্মাণ করা হচ্ছে। আর এ কারণে কেটে ফেলা হচ্ছে ৪৫টি গাছ। গত তিন দিন ধরে গাছগুলো কাটছেন ঠিকাদারের লোকজনরা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, সব প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই গাছগুলো কাটা হচ্ছে। এ নিয়ে কথা বলার কোনো সুযোগ নেই। তবে পরিবেশ আন্দোলনের কর্মীরা বলছেন, পুরোনো প্রাচীর নতুন করতে তাজা গাছ কাটা অযৌক্তিক। এই গাছগুলো মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী এবং রোগীর স্বজনদের ছায়া দিত।
হাসপাতালের পূর্ব পাশে সীমানা প্রাচীরের পাশ দিয়েই একটি রাস্তা চলে গেছে বিলশিমলার দিকে। এই রাস্তার পূর্ব দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও রাজশাহী নার্সিং ইনস্টিটিউট। মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী, ইন্টার্ন চিকিৎসক এবং কলেজের শিক্ষকদের আবাসিক ভবনগুলোতেও যেতে হয় এই রাস্তা দিয়ে। গাছগুলো তাদেরও ছায়া দিত। এখন এলাকাটি ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, শ্রমিকেরা একের পর এক গাছ কাটছেন। উঁচু উঁচু মেহগনি, রেইনট্রি, আম, কাঁঠাল ও ডাব গাছগুলো কেটে সাবাড় করা হচ্ছে। একই সঙ্গে রামেক হাসপাতালের পুরোনো সীমানা প্রাচীর একদিক থেকে ভাঙা হচ্ছে। আর অন্যদিক থেকে একই স্থানটিতে নতুন করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হচ্ছে। পুরোনো এই প্রাচীরটি নতুন করতেই গাছগুলোকে কেটে ফেলা হচ্ছে।
এ নিয়ে মেডিকেল কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী অবশ্য কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, এটা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিষয়। আমি কোনো মন্তব্য করতে পারব না।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) রাজশাহী জেলা সভাপতি জামাত খান বলেন, বছরের পর বছর গাছগুলো রোগী, রোগীর স্বজন, মেডিকেল শিক্ষার্থী এবং চিকিৎসকদের ছায়া দিত। পাখির কলকাকলিতে এলাকাটি মুখর থাকত। শুধু পুরোনো প্রাচীর নতুন করার জন্য গাছগুলো কেটে ফেলা ঠিক হচ্ছে না। এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আরও বিশ্লেষণের প্রয়োজন ছিল।
গাছ কাটার সময় ওই এলাকাতেই ছিলেন নিলামে গাছ কেনা প্রতিষ্ঠান জিয়া টিম্বার সমিলের মালিক আবদুল হাকিম। তিনি বলেন, আমরা ৪৫টা গাছ কিনেছি। গত তিন-চার দিন আগে গাছ কাটা শুরু হয়েছে। গোটা জুন মাসজুড়েই গাছ কাটার কাজ চলবে। দুই-চার দিন এদিক সেদিক হতে পারে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নতুন প্রাচীর নির্মাণের জন্য রাস্তার পাশের ছাড়াও হাসপাতালের বহির্বিভাগ এবং পেছনে আরও কিছু গাছ নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। ক্যানসার সেন্টার নির্মাণের জন্য হাসপাতালের পেছনের গাছগুলো বিক্রি করা হয়েছে। তবে কত টাকায় গাছ বিক্রি করা হয়েছে তা কর্তৃপক্ষ জানায়নি।
সীমানা প্রাচীরের জন্য তাজা গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, গাছ কাটার জন্য বন বিভাগের অনুমতি নেওয়া হয়েছে। সকল প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই গাছ কাটা হচ্ছে। এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, আগের সীমানা প্রাচীরটা জরাজীর্ণ হয়ে গিয়েছিল। তা ছাড়া প্রাচীরটি ছিল নিচু। এতে চোর ঢুকে পড়তো। প্রাচীর টপকে সহজে চোর পালিয়েও যাচ্ছিল। এ কারণে পুরোনো প্রাচীর ভেঙে নতুন করে উঁচু প্রাচীর নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে হাসপাতালে চোরের উপদ্রব কমবে।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে রামেক হাসপাতাল এলাকা থেকে পাখি তাড়াতে শতাধিক গাছের ডালপালা কেটে ফেলা হয়। এসব গাছে হাজার হাজার শামুকখোল পাখি বাসা বেঁধেছিল। পাখিরা গাছগুলোতে ডিম দিয়ে বাচ্চাও ফুটিয়েছিল। এসব পাখিরা আগে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশের গাছপালায় থাকত। কারা একাডেমি করার জন্য ওই এলাকার গাছগুলো কাটা হয়। এতে নীড়হারা হয়ে পাখিরা হাসপাতালের গাছপালায় আশ্রয় নেয়। কিন্তু পাখির বিষ্ঠায় রোগীর স্বজনদের অসুবিধা হয় বলে গাছের ডালপালা কেটে ফেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এ নিয়ে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো প্রতিবাদ জানালেও লাভ হয়নি। তখন হাসপাতাল পরিচালক বলেছিলেন, হাসপাতাল এলাকা পাখির অভয়াশ্রম হতে পারে না। গোটা বিশ্বের কোথাও এটা নেই।

ইরান ও পাকিস্তানের সীমান্তের কাছে অবস্থিত তাফতান আগ্নেয়গিরি আবার সক্রিয় হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় ৭ লাখ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা এই আগ্নেয়গিরির চূড়া গত এক বছরে প্রায় ৩.৫ ইঞ্চি উঁচু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায়।
৩ ঘণ্টা আগে
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
৫ ঘণ্টা আগে
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
১৮ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইরান ও পাকিস্তানের সীমান্তের কাছে অবস্থিত তাফতান আগ্নেয়গিরি আবার সক্রিয় হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় ৭ লাখ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা এই আগ্নেয়গিরির চূড়া গত এক বছরে প্রায় ৩.৫ ইঞ্চি উঁচু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায়।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, আগ্নেয়গিরিটির নিচে বিপুল পরিমাণ গ্যাসের চাপ সৃষ্টি হচ্ছে, যা কোনো না কোনোভাবে ভবিষ্যতে নির্গত হতে বাধ্য। এটি সহিংস বিস্ফোরণের মাধ্যমেও ঘটতে পারে, অথবা ধীরে ধীরে গ্যাস নিঃসরণের মাধ্যমে।
গবেষণাটির প্রধান লেখক ও আগ্নেয়গিরি বিশেষজ্ঞ পাবলো গনজালেস লাইভ সায়েন্সকে বলেছেন, ‘এটি আতঙ্ক তৈরির জন্য নয়, বরং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জন্য একটি সতর্কবার্তা—যাতে তারা অঞ্চলটিতে পর্যবেক্ষণের জন্য রসদ বরাদ্দ করে।’
রোববার (২৬ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দারাও ইতিমধ্যে ২০২৩ সাল থেকেই আগ্নেয়গিরির কাছাকাছি এলাকায় গ্যাস নিঃসরণের ধোঁয়া ও দুর্গন্ধ লক্ষ্য করেছেন। এমনকি চূড়া থেকে প্রায় ৩০ মাইল দূরেও এমনটি টের পাওয়া গেছে। ১২ হাজার ৯২৭ ফুট উচ্চতার এই বিশাল আগ্নেয়গিরি দক্ষিণ-পূর্ব ইরানের সবচেয়ে বড় এবং পার্শ্ববর্তী ছোট পাহাড়গুলোকে ছাপিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। দূরবর্তী ও প্রত্যন্ত অবস্থানের কারণে এটিকে সরাসরি পর্যবেক্ষণ করাও কঠিন। এ অবস্থায় গবেষণারত শিক্ষার্থী মোহাম্মদ হোসেইন মোহাম্মদনিয়া ও পাবলো গনজালেস স্যাটেলাইট চিত্র ব্যবহার করে আগ্নেয়গিরির চূড়ার উচ্চতা বৃদ্ধির প্রমাণ পান।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই পরিবর্তনের কারণ সম্ভবত আগ্নেয়গিরির নিচের হাইড্রোথার্মাল ব্যবস্থায় পরিবর্তন, যা গ্যাস জমা বা ম্যাগমার স্থানচ্যুতি ঘটাতে পারে। তাঁরা জানিয়েছেন, তাফতান আগ্নেয়গিরির পরিস্থিতি এখন নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং গবেষণা অব্যাহত থাকবে।

ইরান ও পাকিস্তানের সীমান্তের কাছে অবস্থিত তাফতান আগ্নেয়গিরি আবার সক্রিয় হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় ৭ লাখ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা এই আগ্নেয়গিরির চূড়া গত এক বছরে প্রায় ৩.৫ ইঞ্চি উঁচু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায়।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, আগ্নেয়গিরিটির নিচে বিপুল পরিমাণ গ্যাসের চাপ সৃষ্টি হচ্ছে, যা কোনো না কোনোভাবে ভবিষ্যতে নির্গত হতে বাধ্য। এটি সহিংস বিস্ফোরণের মাধ্যমেও ঘটতে পারে, অথবা ধীরে ধীরে গ্যাস নিঃসরণের মাধ্যমে।
গবেষণাটির প্রধান লেখক ও আগ্নেয়গিরি বিশেষজ্ঞ পাবলো গনজালেস লাইভ সায়েন্সকে বলেছেন, ‘এটি আতঙ্ক তৈরির জন্য নয়, বরং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জন্য একটি সতর্কবার্তা—যাতে তারা অঞ্চলটিতে পর্যবেক্ষণের জন্য রসদ বরাদ্দ করে।’
রোববার (২৬ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দারাও ইতিমধ্যে ২০২৩ সাল থেকেই আগ্নেয়গিরির কাছাকাছি এলাকায় গ্যাস নিঃসরণের ধোঁয়া ও দুর্গন্ধ লক্ষ্য করেছেন। এমনকি চূড়া থেকে প্রায় ৩০ মাইল দূরেও এমনটি টের পাওয়া গেছে। ১২ হাজার ৯২৭ ফুট উচ্চতার এই বিশাল আগ্নেয়গিরি দক্ষিণ-পূর্ব ইরানের সবচেয়ে বড় এবং পার্শ্ববর্তী ছোট পাহাড়গুলোকে ছাপিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। দূরবর্তী ও প্রত্যন্ত অবস্থানের কারণে এটিকে সরাসরি পর্যবেক্ষণ করাও কঠিন। এ অবস্থায় গবেষণারত শিক্ষার্থী মোহাম্মদ হোসেইন মোহাম্মদনিয়া ও পাবলো গনজালেস স্যাটেলাইট চিত্র ব্যবহার করে আগ্নেয়গিরির চূড়ার উচ্চতা বৃদ্ধির প্রমাণ পান।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই পরিবর্তনের কারণ সম্ভবত আগ্নেয়গিরির নিচের হাইড্রোথার্মাল ব্যবস্থায় পরিবর্তন, যা গ্যাস জমা বা ম্যাগমার স্থানচ্যুতি ঘটাতে পারে। তাঁরা জানিয়েছেন, তাফতান আগ্নেয়গিরির পরিস্থিতি এখন নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং গবেষণা অব্যাহত থাকবে।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ৪৫টি গাছ কেটে ফেলছে কর্তৃপক্ষ। গত তিন দিন ধরে গাছগুলো কাটছেন ঠিকাদারের লোকজনরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, সকল প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই গাছগুলো কাটা হচ্ছে। এ নিয়ে কথা বলার কোনো সুযোগ নেই।
০১ জুন ২০২১
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
৫ ঘণ্টা আগে
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
১৮ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় (১১.৪ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৬.৬ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে।
গভীর নিম্নচাপটি আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ০১ (এক) নম্বর (পুনঃ) ০১ (এক) নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেসঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় (১১.৪ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৬.৬ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে।
গভীর নিম্নচাপটি আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ০১ (এক) নম্বর (পুনঃ) ০১ (এক) নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেসঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ৪৫টি গাছ কেটে ফেলছে কর্তৃপক্ষ। গত তিন দিন ধরে গাছগুলো কাটছেন ঠিকাদারের লোকজনরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, সকল প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই গাছগুলো কাটা হচ্ছে। এ নিয়ে কথা বলার কোনো সুযোগ নেই।
০১ জুন ২০২১
ইরান ও পাকিস্তানের সীমান্তের কাছে অবস্থিত তাফতান আগ্নেয়গিরি আবার সক্রিয় হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় ৭ লাখ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা এই আগ্নেয়গিরির চূড়া গত এক বছরে প্রায় ৩.৫ ইঞ্চি উঁচু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায়।
৩ ঘণ্টা আগে
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
১৮ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী শহর ঢাকায় দূষণ কমছেই না। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে ঢাকা। প্রতিবছর শীতকাল শুরুর আগেই ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ রোববার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর’। এই স্কোর নিয়ে ঢাকা বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
একিউআই মানদণ্ড অনুসারে, ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বিবেচনা করা হয়। এই স্তরে সাধারণ জনগোষ্ঠীর সদস্যরা অসুস্থতা অনুভব করতে পারেন এবং সংবেদনশীল গোষ্ঠীর (যেমন শিশু, বয়স্ক এবং শ্বাসযন্ত্রের রোগী) জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ৩৮০ একিউআই স্কোর নিয়ে পাকিস্তানের লাহোর এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এই শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ (Hazardous) হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
আজ সকাল ৮টা ২০ মিনিটে আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের শীর্ষ ১০ দূষিত শহরের তালিকার বাকি শহরগুলো হলো —
(বায়ুমানের দ্রুত পরিবর্তনের কারণে র্যাঙ্কিংয়ে পরিবর্তন হতে পারে)
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি (২৯১, খুবই অস্বাস্থ্যকর)। তৃতীয় স্থানে রয়েছে উজবেকিস্তানের তাসখন্দ (১৭৫, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)। চতুর্থ স্থানে রয়েছে ঢাকা এবং পঞ্চম স্থানে পাকিস্তানের করাচি (১৬১,সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
শীর্ষ দশের অন্যান্য শহর:
৬. কায়রো, মিসর (১৫৮)
৭. বাকু, আজারবাইজান (১৫৭)
৮. কাম্পালা, উগান্ডা (১৫২)
৯. দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত (১৪৯)
১০. কলকাতা, ভারত (১৪৩)
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

রাজধানী শহর ঢাকায় দূষণ কমছেই না। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে ঢাকা। প্রতিবছর শীতকাল শুরুর আগেই ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ রোববার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর’। এই স্কোর নিয়ে ঢাকা বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
একিউআই মানদণ্ড অনুসারে, ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বিবেচনা করা হয়। এই স্তরে সাধারণ জনগোষ্ঠীর সদস্যরা অসুস্থতা অনুভব করতে পারেন এবং সংবেদনশীল গোষ্ঠীর (যেমন শিশু, বয়স্ক এবং শ্বাসযন্ত্রের রোগী) জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ৩৮০ একিউআই স্কোর নিয়ে পাকিস্তানের লাহোর এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এই শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ (Hazardous) হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
আজ সকাল ৮টা ২০ মিনিটে আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের শীর্ষ ১০ দূষিত শহরের তালিকার বাকি শহরগুলো হলো —
(বায়ুমানের দ্রুত পরিবর্তনের কারণে র্যাঙ্কিংয়ে পরিবর্তন হতে পারে)
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি (২৯১, খুবই অস্বাস্থ্যকর)। তৃতীয় স্থানে রয়েছে উজবেকিস্তানের তাসখন্দ (১৭৫, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)। চতুর্থ স্থানে রয়েছে ঢাকা এবং পঞ্চম স্থানে পাকিস্তানের করাচি (১৬১,সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
শীর্ষ দশের অন্যান্য শহর:
৬. কায়রো, মিসর (১৫৮)
৭. বাকু, আজারবাইজান (১৫৭)
৮. কাম্পালা, উগান্ডা (১৫২)
৯. দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত (১৪৯)
১০. কলকাতা, ভারত (১৪৩)
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ৪৫টি গাছ কেটে ফেলছে কর্তৃপক্ষ। গত তিন দিন ধরে গাছগুলো কাটছেন ঠিকাদারের লোকজনরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, সকল প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই গাছগুলো কাটা হচ্ছে। এ নিয়ে কথা বলার কোনো সুযোগ নেই।
০১ জুন ২০২১
ইরান ও পাকিস্তানের সীমান্তের কাছে অবস্থিত তাফতান আগ্নেয়গিরি আবার সক্রিয় হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় ৭ লাখ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা এই আগ্নেয়গিরির চূড়া গত এক বছরে প্রায় ৩.৫ ইঞ্চি উঁচু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায়।
৩ ঘণ্টা আগে
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
৫ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঢাকাসহ সারা দেশে বৃষ্টির প্রবণতা কমে এসেছে। ফলে আবহাওয়া শুষ্ক, বেড়েছে তাপমাত্রা। তবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে নিম্নচাপ। এটি গভীর নিম্নচাপ থেকে আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এর প্রভাবে ২৮ অক্টোবর থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তর ও পশ্চিম-দক্ষিণে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর ও পশ্চিম-দক্ষিণে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আজ রাজধানী ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকাসহ সারা দেশে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। তবে চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। কাল সোমবার থেকে আবহাওয়া প্রায় একই রকম থাকবে। তবে ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যা থেকে চট্টগ্রাম ছাড়াও রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
বৃষ্টির এই ধারা ২৯ অক্টোবরও অব্যাহত থাকতে পারে। ৩০ অক্টোবর থেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে গভীর নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলেও এটির বাংলাদেশে আঘাত হানার সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। আজ সকালে আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় যা-ই হোক না কেন, আপাতত এর গতিবিধিতে মনে হচ্ছে এটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

ঢাকাসহ সারা দেশে বৃষ্টির প্রবণতা কমে এসেছে। ফলে আবহাওয়া শুষ্ক, বেড়েছে তাপমাত্রা। তবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে নিম্নচাপ। এটি গভীর নিম্নচাপ থেকে আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এর প্রভাবে ২৮ অক্টোবর থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তর ও পশ্চিম-দক্ষিণে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর ও পশ্চিম-দক্ষিণে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আজ রাজধানী ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকাসহ সারা দেশে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। তবে চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। কাল সোমবার থেকে আবহাওয়া প্রায় একই রকম থাকবে। তবে ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যা থেকে চট্টগ্রাম ছাড়াও রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
বৃষ্টির এই ধারা ২৯ অক্টোবরও অব্যাহত থাকতে পারে। ৩০ অক্টোবর থেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে গভীর নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলেও এটির বাংলাদেশে আঘাত হানার সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। আজ সকালে আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় যা-ই হোক না কেন, আপাতত এর গতিবিধিতে মনে হচ্ছে এটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ৪৫টি গাছ কেটে ফেলছে কর্তৃপক্ষ। গত তিন দিন ধরে গাছগুলো কাটছেন ঠিকাদারের লোকজনরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, সকল প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই গাছগুলো কাটা হচ্ছে। এ নিয়ে কথা বলার কোনো সুযোগ নেই।
০১ জুন ২০২১
ইরান ও পাকিস্তানের সীমান্তের কাছে অবস্থিত তাফতান আগ্নেয়গিরি আবার সক্রিয় হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় ৭ লাখ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা এই আগ্নেয়গিরির চূড়া গত এক বছরে প্রায় ৩.৫ ইঞ্চি উঁচু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায়।
৩ ঘণ্টা আগে
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
৫ ঘণ্টা আগে
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
১৮ ঘণ্টা আগে