
সুইজারল্যান্ডের পাহাড়ি এলাকার চাষিরা একই সঙ্গে হতাশ এবং ক্রুদ্ধ। অপর দিকে খুশি বন্য প্রাণীপ্রেমীরা। বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা থাকলে নিঃসন্দেহে নেকড়েদের হাসিও এ কান-ও কান হতো। কারণ, দেশটিতে নেকড়ে মারার একটি পরিকল্পনা আপাতত আটকে দিয়েছেন আদালত।
খামারিদের দাবি প্রস্তাবিত নেকড়ে মারার বিষয়টি গবাদিপশু রক্ষা ও আলপাইন অঞ্চলে বাস করা মানুষের ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এদিকে পরিবেশ নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলোর যুক্তি ছিল এর ফলে নেকড়ের সংখ্যা বিপুল পরিমাণে কমে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। এসব তথ্য জানা যায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে।
নেকড়ে সংখ্যা কি আসলেই অনেক বেড়ে গেছে
বিশ শতকের বেশির ভাগ সময় বলা চলে ইউরোপ অনেকটাই নেকড়েমুক্ত ছিল। নেকড়েকে মধ্যযুগীয় ইউরোপীয় রূপকথায় ভীতিকর প্রাণী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে। ক্রমাগত শিকারের ফলে এটি একরকম বিলুপ্তির দোরগোড়ায় পৌঁছে যায়।
১৯৯০-এর দশকে আল্পস পর্বত অতিক্রম করে ইতালি থেকে সুইজারল্যান্ডে নেকড়ের প্রত্যাবর্তন ঘটে। যেটি মানুষের দ্বারা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে শিকারের পরে প্রকৃতি নিজেই ভারসাম্য রক্ষার দায়িত্ব নিয়ে নেওয়ার একটি সংকেত হিসেবে উদ্যাপিত হয়েছিল তখন।
তবে নেকড়েদের তো খাবারের প্রয়োজন। সুইজারল্যান্ডের উঁচু পার্বত্য এলাকার চাষিরা দ্রুতই আবিষ্কার করল তাঁদের ভেড়া হারাচ্ছেন। তাঁরা নিজেদের পাল রক্ষার চেষ্টা চালালেন। তবে নেকড়ের সংখ্যা বাড়তে থাকায় কাজটা কঠিন হয়ে পড়ল।
কৃষকদের চাপে পশুর পালকে আক্রমণ করার জন্য পরিচিতি পাওয়া ‘সমস্যা সৃষ্টি করা’ নেকড়েদের হত্যার অনুমতি দিতে এদের সুরক্ষার জন্য তৈরি করা আইনগুলোকে সামান্য পরিবর্তন করা হয়।
কিন্তু ২০২০ সালের গণভোটে ভোটাররা নেকড়ের সংরক্ষিত প্রাণীর মর্যাদাকে আবারও নিশ্চিত করেছে। শিকারের বিধিগুলো শিথিল করার প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করা হয় এতে।
তার পর থেকে সুইজারল্যান্ডের নেকড়ের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে পৌঁছে ৩০০-তে। আনুমানিক ৩২টি দলে ভাগ হয়ে এরা এখন দেশটিতে বিচরণ করছে।
এ বছর সরকার নতুন সিদ্ধান্ত নেয়। এটা অনুসারে, শুধু সমস্যা সৃষ্টি করা নেকড়ে নয়, বরং গোটা পালটিকেই হত্যা করার ক্ষমতা দেওয়া হয় ক্যান্টন বা রাজ্য কর্তৃপক্ষকে। শুধু তা-ই নয়, সুইজারল্যান্ডের জন্য ৩২টি নয় বরং ১২টি পাল উপযুক্ত বলে মতপ্রকাশ করা হয়।
আর এতে পার্বত্য এলাকায় বসবাসকারীরা যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন। পুবের ক্যান্টন গ্রিসনের কৃষক সমিতির সান্দ্রো মাইকেল বলেন, ক্রমেই সংখ্যায় বাড়তে থাকা নেকড়েরা কৃষকদের বড় চাপে ফেলে দিয়েছে।
‘আমাদের রাজ্যে এখন ১৪টি নেকড়ের পাল আছে’, বলেন তিনি, ‘আমরা বেড়া, পাহারাদার কুকুর, রাখাল সবকিছু দিয়েই চেষ্টা করেছি। তারপরও গবাদিপশু আক্রান্ত হচ্ছে।’
সান্দ্রো বিবিসিকে বলেন, কৃষকেরা প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে মৃত প্রাণীদের খোঁজ পাচ্ছিলেন। আর পেতে রাখা ক্যামেরায় দেখা গেছে নেকড়েগুলো প্রতিরক্ষামূলক বেড়া অনায়াসে লাফিয়ে পেরিয়ে যাচ্ছে।
নেকড়ে বাঁচানোর লড়াই
তবে বন্য প্রাণী রক্ষায় কাজ করা গোষ্ঠীগুলো নতুন এই সিদ্ধান্তে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়ল। সুইজারল্যান্ডের প্রাচীনতম পরিবেশবাদী সংস্থা প্রো-ন্যাচারা নতুন সরকারি সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে। তারা অভিযোগ করে এটি সুইস আইনে আগে, যা অনুমোদিত ছিল তার চেয়ে অনেক বেশি।
প্রো-ন্যাচারার নাথালি রুটজ বলেন, কোটা নিয়ে কখনোই কোনো কথা হয়নি। এটি অত্যন্ত অবৈজ্ঞানিক এবং রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি সিদ্ধান্ত। নেকড়ে যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পরিবেশে তা বিবেচনাতেই আনা হয়নি।
সুইজারল্যান্ডের পরিবেশবাদী সংস্থাগুলো যুক্তি দেয় যে গবাদিপশু রক্ষায় নেওয়া ব্যবস্থাগুলো কাজ করছে।
সুইস সরকারের কাছে প্রতিবাদের একটি খোলা চিঠিতে বন্য প্রাণী নিয়ে কাজ করা ২০০ সংস্থা ও বিশেষজ্ঞের সমর্থন সংগ্রহ করা পরিবেশবাদী লুসি উয়চরিচ বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন এভাবে, ‘নেকড়েগুলো ইউরোপের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ইউরোপের শিকারি প্রাণী প্রয়োজন।’
লুসি উয়চরিচ, যিনি বন বৈচিত্র্য বা ফরেস্ট ডাইভারসিটি বিষয়ের একজন বিশেষজ্ঞ, তিনি বিশ্বাস করেন যে সুইজারল্যান্ডের এই প্রস্তাবিত নেকড়ে হত্যার বিষয়টি ‘ইউরোপে নজিরবিহীন’। তিনি বলেন, জীববৈচিত্র্য বজায় রাখতে নেকড়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে হরিণ শিকার করে সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রেখে এরা চারা গাছকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচায়।
সুইজারল্যান্ডের সীমানা ছাড়িয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নও নেকড়েগুলোর সুরক্ষার বিষয়টি পুনর্মূল্যায়ন শুরু করেছে।
ইউরোপীয় কমিশন প্রেসিডেন্ট ওরসুলা ভ্যান ডার লেয়েনের একটি পনি বা টাট্টু ঘোড়া ২০২২ সালে জার্মানিতে নেকড়ের আক্রমণে মারা যায়। নেকড়ের দিকে আরেকবার নজর দেওয়ার জন্য এই বছর সদস্য দেশগুলিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি, তাঁর মতে ‘ইউরোপের কিছু অঞ্চলে নেকড়ের পালের ঘনত্ব গবাদিপশু এমনকি মানুষের জন্যও একটি সত্যিকারের বিপদ হয়ে উঠেছে।’
আসলেই কি গবাদিপশুর জন্য বড় হুমকি নেকড়ে
সুইজারল্যান্ডের পরিবেশবাদী সংস্থাগুলো বলছে নেকড়ের সংখ্যা যে হারে বাড়ছে, সে হারে গবাদিপশুর প্রতি আক্রমণ বাড়েনি। এটি প্রমাণ করে বেড়া, পাহারাদার কুকুর ও রাখাল কাজ করতে শুরু করেছে। কৃষকদের এ ব্যবস্থাগুলো চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানান তাঁরা।
এখন পর্যন্ত, সুইজারল্যান্ডের আদালত পরিবেশবাদীদের সঙ্গে একমত হয়েছেন। অন্তত নেকড়ের কিছু পাল, যাদের আদর করে জাতজহর্ন, স্ট্যাগিয়াস, হটস-ফোর্টস বা ইসারেবলস-ফুর মতো সুইস নামে ডাকা হয় তাদের ক্ষতি না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কৃষক সমিতির সান্দ্রো মাইকেল জানান, কৃষকেরা অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। তিনি বলেন, ভেড়ার পাল রক্ষার জন্য তাঁদের কাছে সত্যিই কোনো ভালো উপায় নেই।
কৃষকেরা নেকড়েগুলো নির্মূল করতে চায় না বলে জানান তিনি। তবে এ জন্য উভয় পক্ষ থেকে একটি সমঝোতায় আসাটা জরুরি বলে মনে করেন।
নিঃসন্দেহে সুইজারল্যান্ডের এ বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে মানুষ ও প্রাণীর মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের বিষয়টি। সবাই এটি চায় বলেই মনে করা হয়, তবে কীভাবে তা নিয়ে একমত হওয়া যাচ্ছে না।
লুসি উয়চরিচ যুক্তি দেন, ‘বিশ্ব একটি জৈববৈচিত্র্য এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সংকটের মুখোমুখি, এ পরিস্থিতিতে পছন্দ করি না এমন জিনিসগুলোকে ধ্বংস করার অবস্থা নেই।’
এখন আইনি লড়াই আদালতে আপিলের দিকে যাচ্ছে এবং আগের সিদ্ধান্ত আংশিকভাবে স্থগিত অবস্থায় রয়েছে। আপাতত তাই নেকড়েগুলো একটু স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতেই পারে, কী বলেন?

সুইজারল্যান্ডের পাহাড়ি এলাকার চাষিরা একই সঙ্গে হতাশ এবং ক্রুদ্ধ। অপর দিকে খুশি বন্য প্রাণীপ্রেমীরা। বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা থাকলে নিঃসন্দেহে নেকড়েদের হাসিও এ কান-ও কান হতো। কারণ, দেশটিতে নেকড়ে মারার একটি পরিকল্পনা আপাতত আটকে দিয়েছেন আদালত।
খামারিদের দাবি প্রস্তাবিত নেকড়ে মারার বিষয়টি গবাদিপশু রক্ষা ও আলপাইন অঞ্চলে বাস করা মানুষের ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এদিকে পরিবেশ নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলোর যুক্তি ছিল এর ফলে নেকড়ের সংখ্যা বিপুল পরিমাণে কমে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। এসব তথ্য জানা যায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে।
নেকড়ে সংখ্যা কি আসলেই অনেক বেড়ে গেছে
বিশ শতকের বেশির ভাগ সময় বলা চলে ইউরোপ অনেকটাই নেকড়েমুক্ত ছিল। নেকড়েকে মধ্যযুগীয় ইউরোপীয় রূপকথায় ভীতিকর প্রাণী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে। ক্রমাগত শিকারের ফলে এটি একরকম বিলুপ্তির দোরগোড়ায় পৌঁছে যায়।
১৯৯০-এর দশকে আল্পস পর্বত অতিক্রম করে ইতালি থেকে সুইজারল্যান্ডে নেকড়ের প্রত্যাবর্তন ঘটে। যেটি মানুষের দ্বারা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে শিকারের পরে প্রকৃতি নিজেই ভারসাম্য রক্ষার দায়িত্ব নিয়ে নেওয়ার একটি সংকেত হিসেবে উদ্যাপিত হয়েছিল তখন।
তবে নেকড়েদের তো খাবারের প্রয়োজন। সুইজারল্যান্ডের উঁচু পার্বত্য এলাকার চাষিরা দ্রুতই আবিষ্কার করল তাঁদের ভেড়া হারাচ্ছেন। তাঁরা নিজেদের পাল রক্ষার চেষ্টা চালালেন। তবে নেকড়ের সংখ্যা বাড়তে থাকায় কাজটা কঠিন হয়ে পড়ল।
কৃষকদের চাপে পশুর পালকে আক্রমণ করার জন্য পরিচিতি পাওয়া ‘সমস্যা সৃষ্টি করা’ নেকড়েদের হত্যার অনুমতি দিতে এদের সুরক্ষার জন্য তৈরি করা আইনগুলোকে সামান্য পরিবর্তন করা হয়।
কিন্তু ২০২০ সালের গণভোটে ভোটাররা নেকড়ের সংরক্ষিত প্রাণীর মর্যাদাকে আবারও নিশ্চিত করেছে। শিকারের বিধিগুলো শিথিল করার প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করা হয় এতে।
তার পর থেকে সুইজারল্যান্ডের নেকড়ের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে পৌঁছে ৩০০-তে। আনুমানিক ৩২টি দলে ভাগ হয়ে এরা এখন দেশটিতে বিচরণ করছে।
এ বছর সরকার নতুন সিদ্ধান্ত নেয়। এটা অনুসারে, শুধু সমস্যা সৃষ্টি করা নেকড়ে নয়, বরং গোটা পালটিকেই হত্যা করার ক্ষমতা দেওয়া হয় ক্যান্টন বা রাজ্য কর্তৃপক্ষকে। শুধু তা-ই নয়, সুইজারল্যান্ডের জন্য ৩২টি নয় বরং ১২টি পাল উপযুক্ত বলে মতপ্রকাশ করা হয়।
আর এতে পার্বত্য এলাকায় বসবাসকারীরা যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন। পুবের ক্যান্টন গ্রিসনের কৃষক সমিতির সান্দ্রো মাইকেল বলেন, ক্রমেই সংখ্যায় বাড়তে থাকা নেকড়েরা কৃষকদের বড় চাপে ফেলে দিয়েছে।
‘আমাদের রাজ্যে এখন ১৪টি নেকড়ের পাল আছে’, বলেন তিনি, ‘আমরা বেড়া, পাহারাদার কুকুর, রাখাল সবকিছু দিয়েই চেষ্টা করেছি। তারপরও গবাদিপশু আক্রান্ত হচ্ছে।’
সান্দ্রো বিবিসিকে বলেন, কৃষকেরা প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে মৃত প্রাণীদের খোঁজ পাচ্ছিলেন। আর পেতে রাখা ক্যামেরায় দেখা গেছে নেকড়েগুলো প্রতিরক্ষামূলক বেড়া অনায়াসে লাফিয়ে পেরিয়ে যাচ্ছে।
নেকড়ে বাঁচানোর লড়াই
তবে বন্য প্রাণী রক্ষায় কাজ করা গোষ্ঠীগুলো নতুন এই সিদ্ধান্তে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়ল। সুইজারল্যান্ডের প্রাচীনতম পরিবেশবাদী সংস্থা প্রো-ন্যাচারা নতুন সরকারি সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে। তারা অভিযোগ করে এটি সুইস আইনে আগে, যা অনুমোদিত ছিল তার চেয়ে অনেক বেশি।
প্রো-ন্যাচারার নাথালি রুটজ বলেন, কোটা নিয়ে কখনোই কোনো কথা হয়নি। এটি অত্যন্ত অবৈজ্ঞানিক এবং রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি সিদ্ধান্ত। নেকড়ে যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পরিবেশে তা বিবেচনাতেই আনা হয়নি।
সুইজারল্যান্ডের পরিবেশবাদী সংস্থাগুলো যুক্তি দেয় যে গবাদিপশু রক্ষায় নেওয়া ব্যবস্থাগুলো কাজ করছে।
সুইস সরকারের কাছে প্রতিবাদের একটি খোলা চিঠিতে বন্য প্রাণী নিয়ে কাজ করা ২০০ সংস্থা ও বিশেষজ্ঞের সমর্থন সংগ্রহ করা পরিবেশবাদী লুসি উয়চরিচ বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন এভাবে, ‘নেকড়েগুলো ইউরোপের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ইউরোপের শিকারি প্রাণী প্রয়োজন।’
লুসি উয়চরিচ, যিনি বন বৈচিত্র্য বা ফরেস্ট ডাইভারসিটি বিষয়ের একজন বিশেষজ্ঞ, তিনি বিশ্বাস করেন যে সুইজারল্যান্ডের এই প্রস্তাবিত নেকড়ে হত্যার বিষয়টি ‘ইউরোপে নজিরবিহীন’। তিনি বলেন, জীববৈচিত্র্য বজায় রাখতে নেকড়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে হরিণ শিকার করে সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রেখে এরা চারা গাছকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচায়।
সুইজারল্যান্ডের সীমানা ছাড়িয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নও নেকড়েগুলোর সুরক্ষার বিষয়টি পুনর্মূল্যায়ন শুরু করেছে।
ইউরোপীয় কমিশন প্রেসিডেন্ট ওরসুলা ভ্যান ডার লেয়েনের একটি পনি বা টাট্টু ঘোড়া ২০২২ সালে জার্মানিতে নেকড়ের আক্রমণে মারা যায়। নেকড়ের দিকে আরেকবার নজর দেওয়ার জন্য এই বছর সদস্য দেশগুলিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি, তাঁর মতে ‘ইউরোপের কিছু অঞ্চলে নেকড়ের পালের ঘনত্ব গবাদিপশু এমনকি মানুষের জন্যও একটি সত্যিকারের বিপদ হয়ে উঠেছে।’
আসলেই কি গবাদিপশুর জন্য বড় হুমকি নেকড়ে
সুইজারল্যান্ডের পরিবেশবাদী সংস্থাগুলো বলছে নেকড়ের সংখ্যা যে হারে বাড়ছে, সে হারে গবাদিপশুর প্রতি আক্রমণ বাড়েনি। এটি প্রমাণ করে বেড়া, পাহারাদার কুকুর ও রাখাল কাজ করতে শুরু করেছে। কৃষকদের এ ব্যবস্থাগুলো চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানান তাঁরা।
এখন পর্যন্ত, সুইজারল্যান্ডের আদালত পরিবেশবাদীদের সঙ্গে একমত হয়েছেন। অন্তত নেকড়ের কিছু পাল, যাদের আদর করে জাতজহর্ন, স্ট্যাগিয়াস, হটস-ফোর্টস বা ইসারেবলস-ফুর মতো সুইস নামে ডাকা হয় তাদের ক্ষতি না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কৃষক সমিতির সান্দ্রো মাইকেল জানান, কৃষকেরা অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। তিনি বলেন, ভেড়ার পাল রক্ষার জন্য তাঁদের কাছে সত্যিই কোনো ভালো উপায় নেই।
কৃষকেরা নেকড়েগুলো নির্মূল করতে চায় না বলে জানান তিনি। তবে এ জন্য উভয় পক্ষ থেকে একটি সমঝোতায় আসাটা জরুরি বলে মনে করেন।
নিঃসন্দেহে সুইজারল্যান্ডের এ বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে মানুষ ও প্রাণীর মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের বিষয়টি। সবাই এটি চায় বলেই মনে করা হয়, তবে কীভাবে তা নিয়ে একমত হওয়া যাচ্ছে না।
লুসি উয়চরিচ যুক্তি দেন, ‘বিশ্ব একটি জৈববৈচিত্র্য এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সংকটের মুখোমুখি, এ পরিস্থিতিতে পছন্দ করি না এমন জিনিসগুলোকে ধ্বংস করার অবস্থা নেই।’
এখন আইনি লড়াই আদালতে আপিলের দিকে যাচ্ছে এবং আগের সিদ্ধান্ত আংশিকভাবে স্থগিত অবস্থায় রয়েছে। আপাতত তাই নেকড়েগুলো একটু স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতেই পারে, কী বলেন?

সুইজারল্যান্ডের পাহাড়ি এলাকার চাষিরা একই সঙ্গে হতাশ এবং ক্রুদ্ধ। অপর দিকে খুশি বন্য প্রাণীপ্রেমীরা। বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা থাকলে নিঃসন্দেহে নেকড়েদের হাসিও এ কান-ও কান হতো। কারণ, দেশটিতে নেকড়ে মারার একটি পরিকল্পনা আপাতত আটকে দিয়েছেন আদালত।
খামারিদের দাবি প্রস্তাবিত নেকড়ে মারার বিষয়টি গবাদিপশু রক্ষা ও আলপাইন অঞ্চলে বাস করা মানুষের ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এদিকে পরিবেশ নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলোর যুক্তি ছিল এর ফলে নেকড়ের সংখ্যা বিপুল পরিমাণে কমে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। এসব তথ্য জানা যায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে।
নেকড়ে সংখ্যা কি আসলেই অনেক বেড়ে গেছে
বিশ শতকের বেশির ভাগ সময় বলা চলে ইউরোপ অনেকটাই নেকড়েমুক্ত ছিল। নেকড়েকে মধ্যযুগীয় ইউরোপীয় রূপকথায় ভীতিকর প্রাণী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে। ক্রমাগত শিকারের ফলে এটি একরকম বিলুপ্তির দোরগোড়ায় পৌঁছে যায়।
১৯৯০-এর দশকে আল্পস পর্বত অতিক্রম করে ইতালি থেকে সুইজারল্যান্ডে নেকড়ের প্রত্যাবর্তন ঘটে। যেটি মানুষের দ্বারা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে শিকারের পরে প্রকৃতি নিজেই ভারসাম্য রক্ষার দায়িত্ব নিয়ে নেওয়ার একটি সংকেত হিসেবে উদ্যাপিত হয়েছিল তখন।
তবে নেকড়েদের তো খাবারের প্রয়োজন। সুইজারল্যান্ডের উঁচু পার্বত্য এলাকার চাষিরা দ্রুতই আবিষ্কার করল তাঁদের ভেড়া হারাচ্ছেন। তাঁরা নিজেদের পাল রক্ষার চেষ্টা চালালেন। তবে নেকড়ের সংখ্যা বাড়তে থাকায় কাজটা কঠিন হয়ে পড়ল।
কৃষকদের চাপে পশুর পালকে আক্রমণ করার জন্য পরিচিতি পাওয়া ‘সমস্যা সৃষ্টি করা’ নেকড়েদের হত্যার অনুমতি দিতে এদের সুরক্ষার জন্য তৈরি করা আইনগুলোকে সামান্য পরিবর্তন করা হয়।
কিন্তু ২০২০ সালের গণভোটে ভোটাররা নেকড়ের সংরক্ষিত প্রাণীর মর্যাদাকে আবারও নিশ্চিত করেছে। শিকারের বিধিগুলো শিথিল করার প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করা হয় এতে।
তার পর থেকে সুইজারল্যান্ডের নেকড়ের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে পৌঁছে ৩০০-তে। আনুমানিক ৩২টি দলে ভাগ হয়ে এরা এখন দেশটিতে বিচরণ করছে।
এ বছর সরকার নতুন সিদ্ধান্ত নেয়। এটা অনুসারে, শুধু সমস্যা সৃষ্টি করা নেকড়ে নয়, বরং গোটা পালটিকেই হত্যা করার ক্ষমতা দেওয়া হয় ক্যান্টন বা রাজ্য কর্তৃপক্ষকে। শুধু তা-ই নয়, সুইজারল্যান্ডের জন্য ৩২টি নয় বরং ১২টি পাল উপযুক্ত বলে মতপ্রকাশ করা হয়।
আর এতে পার্বত্য এলাকায় বসবাসকারীরা যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন। পুবের ক্যান্টন গ্রিসনের কৃষক সমিতির সান্দ্রো মাইকেল বলেন, ক্রমেই সংখ্যায় বাড়তে থাকা নেকড়েরা কৃষকদের বড় চাপে ফেলে দিয়েছে।
‘আমাদের রাজ্যে এখন ১৪টি নেকড়ের পাল আছে’, বলেন তিনি, ‘আমরা বেড়া, পাহারাদার কুকুর, রাখাল সবকিছু দিয়েই চেষ্টা করেছি। তারপরও গবাদিপশু আক্রান্ত হচ্ছে।’
সান্দ্রো বিবিসিকে বলেন, কৃষকেরা প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে মৃত প্রাণীদের খোঁজ পাচ্ছিলেন। আর পেতে রাখা ক্যামেরায় দেখা গেছে নেকড়েগুলো প্রতিরক্ষামূলক বেড়া অনায়াসে লাফিয়ে পেরিয়ে যাচ্ছে।
নেকড়ে বাঁচানোর লড়াই
তবে বন্য প্রাণী রক্ষায় কাজ করা গোষ্ঠীগুলো নতুন এই সিদ্ধান্তে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়ল। সুইজারল্যান্ডের প্রাচীনতম পরিবেশবাদী সংস্থা প্রো-ন্যাচারা নতুন সরকারি সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে। তারা অভিযোগ করে এটি সুইস আইনে আগে, যা অনুমোদিত ছিল তার চেয়ে অনেক বেশি।
প্রো-ন্যাচারার নাথালি রুটজ বলেন, কোটা নিয়ে কখনোই কোনো কথা হয়নি। এটি অত্যন্ত অবৈজ্ঞানিক এবং রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি সিদ্ধান্ত। নেকড়ে যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পরিবেশে তা বিবেচনাতেই আনা হয়নি।
সুইজারল্যান্ডের পরিবেশবাদী সংস্থাগুলো যুক্তি দেয় যে গবাদিপশু রক্ষায় নেওয়া ব্যবস্থাগুলো কাজ করছে।
সুইস সরকারের কাছে প্রতিবাদের একটি খোলা চিঠিতে বন্য প্রাণী নিয়ে কাজ করা ২০০ সংস্থা ও বিশেষজ্ঞের সমর্থন সংগ্রহ করা পরিবেশবাদী লুসি উয়চরিচ বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন এভাবে, ‘নেকড়েগুলো ইউরোপের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ইউরোপের শিকারি প্রাণী প্রয়োজন।’
লুসি উয়চরিচ, যিনি বন বৈচিত্র্য বা ফরেস্ট ডাইভারসিটি বিষয়ের একজন বিশেষজ্ঞ, তিনি বিশ্বাস করেন যে সুইজারল্যান্ডের এই প্রস্তাবিত নেকড়ে হত্যার বিষয়টি ‘ইউরোপে নজিরবিহীন’। তিনি বলেন, জীববৈচিত্র্য বজায় রাখতে নেকড়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে হরিণ শিকার করে সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রেখে এরা চারা গাছকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচায়।
সুইজারল্যান্ডের সীমানা ছাড়িয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নও নেকড়েগুলোর সুরক্ষার বিষয়টি পুনর্মূল্যায়ন শুরু করেছে।
ইউরোপীয় কমিশন প্রেসিডেন্ট ওরসুলা ভ্যান ডার লেয়েনের একটি পনি বা টাট্টু ঘোড়া ২০২২ সালে জার্মানিতে নেকড়ের আক্রমণে মারা যায়। নেকড়ের দিকে আরেকবার নজর দেওয়ার জন্য এই বছর সদস্য দেশগুলিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি, তাঁর মতে ‘ইউরোপের কিছু অঞ্চলে নেকড়ের পালের ঘনত্ব গবাদিপশু এমনকি মানুষের জন্যও একটি সত্যিকারের বিপদ হয়ে উঠেছে।’
আসলেই কি গবাদিপশুর জন্য বড় হুমকি নেকড়ে
সুইজারল্যান্ডের পরিবেশবাদী সংস্থাগুলো বলছে নেকড়ের সংখ্যা যে হারে বাড়ছে, সে হারে গবাদিপশুর প্রতি আক্রমণ বাড়েনি। এটি প্রমাণ করে বেড়া, পাহারাদার কুকুর ও রাখাল কাজ করতে শুরু করেছে। কৃষকদের এ ব্যবস্থাগুলো চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানান তাঁরা।
এখন পর্যন্ত, সুইজারল্যান্ডের আদালত পরিবেশবাদীদের সঙ্গে একমত হয়েছেন। অন্তত নেকড়ের কিছু পাল, যাদের আদর করে জাতজহর্ন, স্ট্যাগিয়াস, হটস-ফোর্টস বা ইসারেবলস-ফুর মতো সুইস নামে ডাকা হয় তাদের ক্ষতি না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কৃষক সমিতির সান্দ্রো মাইকেল জানান, কৃষকেরা অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। তিনি বলেন, ভেড়ার পাল রক্ষার জন্য তাঁদের কাছে সত্যিই কোনো ভালো উপায় নেই।
কৃষকেরা নেকড়েগুলো নির্মূল করতে চায় না বলে জানান তিনি। তবে এ জন্য উভয় পক্ষ থেকে একটি সমঝোতায় আসাটা জরুরি বলে মনে করেন।
নিঃসন্দেহে সুইজারল্যান্ডের এ বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে মানুষ ও প্রাণীর মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের বিষয়টি। সবাই এটি চায় বলেই মনে করা হয়, তবে কীভাবে তা নিয়ে একমত হওয়া যাচ্ছে না।
লুসি উয়চরিচ যুক্তি দেন, ‘বিশ্ব একটি জৈববৈচিত্র্য এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সংকটের মুখোমুখি, এ পরিস্থিতিতে পছন্দ করি না এমন জিনিসগুলোকে ধ্বংস করার অবস্থা নেই।’
এখন আইনি লড়াই আদালতে আপিলের দিকে যাচ্ছে এবং আগের সিদ্ধান্ত আংশিকভাবে স্থগিত অবস্থায় রয়েছে। আপাতত তাই নেকড়েগুলো একটু স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতেই পারে, কী বলেন?

সুইজারল্যান্ডের পাহাড়ি এলাকার চাষিরা একই সঙ্গে হতাশ এবং ক্রুদ্ধ। অপর দিকে খুশি বন্য প্রাণীপ্রেমীরা। বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা থাকলে নিঃসন্দেহে নেকড়েদের হাসিও এ কান-ও কান হতো। কারণ, দেশটিতে নেকড়ে মারার একটি পরিকল্পনা আপাতত আটকে দিয়েছেন আদালত।
খামারিদের দাবি প্রস্তাবিত নেকড়ে মারার বিষয়টি গবাদিপশু রক্ষা ও আলপাইন অঞ্চলে বাস করা মানুষের ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এদিকে পরিবেশ নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলোর যুক্তি ছিল এর ফলে নেকড়ের সংখ্যা বিপুল পরিমাণে কমে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। এসব তথ্য জানা যায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে।
নেকড়ে সংখ্যা কি আসলেই অনেক বেড়ে গেছে
বিশ শতকের বেশির ভাগ সময় বলা চলে ইউরোপ অনেকটাই নেকড়েমুক্ত ছিল। নেকড়েকে মধ্যযুগীয় ইউরোপীয় রূপকথায় ভীতিকর প্রাণী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে। ক্রমাগত শিকারের ফলে এটি একরকম বিলুপ্তির দোরগোড়ায় পৌঁছে যায়।
১৯৯০-এর দশকে আল্পস পর্বত অতিক্রম করে ইতালি থেকে সুইজারল্যান্ডে নেকড়ের প্রত্যাবর্তন ঘটে। যেটি মানুষের দ্বারা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে শিকারের পরে প্রকৃতি নিজেই ভারসাম্য রক্ষার দায়িত্ব নিয়ে নেওয়ার একটি সংকেত হিসেবে উদ্যাপিত হয়েছিল তখন।
তবে নেকড়েদের তো খাবারের প্রয়োজন। সুইজারল্যান্ডের উঁচু পার্বত্য এলাকার চাষিরা দ্রুতই আবিষ্কার করল তাঁদের ভেড়া হারাচ্ছেন। তাঁরা নিজেদের পাল রক্ষার চেষ্টা চালালেন। তবে নেকড়ের সংখ্যা বাড়তে থাকায় কাজটা কঠিন হয়ে পড়ল।
কৃষকদের চাপে পশুর পালকে আক্রমণ করার জন্য পরিচিতি পাওয়া ‘সমস্যা সৃষ্টি করা’ নেকড়েদের হত্যার অনুমতি দিতে এদের সুরক্ষার জন্য তৈরি করা আইনগুলোকে সামান্য পরিবর্তন করা হয়।
কিন্তু ২০২০ সালের গণভোটে ভোটাররা নেকড়ের সংরক্ষিত প্রাণীর মর্যাদাকে আবারও নিশ্চিত করেছে। শিকারের বিধিগুলো শিথিল করার প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করা হয় এতে।
তার পর থেকে সুইজারল্যান্ডের নেকড়ের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে পৌঁছে ৩০০-তে। আনুমানিক ৩২টি দলে ভাগ হয়ে এরা এখন দেশটিতে বিচরণ করছে।
এ বছর সরকার নতুন সিদ্ধান্ত নেয়। এটা অনুসারে, শুধু সমস্যা সৃষ্টি করা নেকড়ে নয়, বরং গোটা পালটিকেই হত্যা করার ক্ষমতা দেওয়া হয় ক্যান্টন বা রাজ্য কর্তৃপক্ষকে। শুধু তা-ই নয়, সুইজারল্যান্ডের জন্য ৩২টি নয় বরং ১২টি পাল উপযুক্ত বলে মতপ্রকাশ করা হয়।
আর এতে পার্বত্য এলাকায় বসবাসকারীরা যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন। পুবের ক্যান্টন গ্রিসনের কৃষক সমিতির সান্দ্রো মাইকেল বলেন, ক্রমেই সংখ্যায় বাড়তে থাকা নেকড়েরা কৃষকদের বড় চাপে ফেলে দিয়েছে।
‘আমাদের রাজ্যে এখন ১৪টি নেকড়ের পাল আছে’, বলেন তিনি, ‘আমরা বেড়া, পাহারাদার কুকুর, রাখাল সবকিছু দিয়েই চেষ্টা করেছি। তারপরও গবাদিপশু আক্রান্ত হচ্ছে।’
সান্দ্রো বিবিসিকে বলেন, কৃষকেরা প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে মৃত প্রাণীদের খোঁজ পাচ্ছিলেন। আর পেতে রাখা ক্যামেরায় দেখা গেছে নেকড়েগুলো প্রতিরক্ষামূলক বেড়া অনায়াসে লাফিয়ে পেরিয়ে যাচ্ছে।
নেকড়ে বাঁচানোর লড়াই
তবে বন্য প্রাণী রক্ষায় কাজ করা গোষ্ঠীগুলো নতুন এই সিদ্ধান্তে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়ল। সুইজারল্যান্ডের প্রাচীনতম পরিবেশবাদী সংস্থা প্রো-ন্যাচারা নতুন সরকারি সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে। তারা অভিযোগ করে এটি সুইস আইনে আগে, যা অনুমোদিত ছিল তার চেয়ে অনেক বেশি।
প্রো-ন্যাচারার নাথালি রুটজ বলেন, কোটা নিয়ে কখনোই কোনো কথা হয়নি। এটি অত্যন্ত অবৈজ্ঞানিক এবং রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি সিদ্ধান্ত। নেকড়ে যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পরিবেশে তা বিবেচনাতেই আনা হয়নি।
সুইজারল্যান্ডের পরিবেশবাদী সংস্থাগুলো যুক্তি দেয় যে গবাদিপশু রক্ষায় নেওয়া ব্যবস্থাগুলো কাজ করছে।
সুইস সরকারের কাছে প্রতিবাদের একটি খোলা চিঠিতে বন্য প্রাণী নিয়ে কাজ করা ২০০ সংস্থা ও বিশেষজ্ঞের সমর্থন সংগ্রহ করা পরিবেশবাদী লুসি উয়চরিচ বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন এভাবে, ‘নেকড়েগুলো ইউরোপের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ইউরোপের শিকারি প্রাণী প্রয়োজন।’
লুসি উয়চরিচ, যিনি বন বৈচিত্র্য বা ফরেস্ট ডাইভারসিটি বিষয়ের একজন বিশেষজ্ঞ, তিনি বিশ্বাস করেন যে সুইজারল্যান্ডের এই প্রস্তাবিত নেকড়ে হত্যার বিষয়টি ‘ইউরোপে নজিরবিহীন’। তিনি বলেন, জীববৈচিত্র্য বজায় রাখতে নেকড়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে হরিণ শিকার করে সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রেখে এরা চারা গাছকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচায়।
সুইজারল্যান্ডের সীমানা ছাড়িয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নও নেকড়েগুলোর সুরক্ষার বিষয়টি পুনর্মূল্যায়ন শুরু করেছে।
ইউরোপীয় কমিশন প্রেসিডেন্ট ওরসুলা ভ্যান ডার লেয়েনের একটি পনি বা টাট্টু ঘোড়া ২০২২ সালে জার্মানিতে নেকড়ের আক্রমণে মারা যায়। নেকড়ের দিকে আরেকবার নজর দেওয়ার জন্য এই বছর সদস্য দেশগুলিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি, তাঁর মতে ‘ইউরোপের কিছু অঞ্চলে নেকড়ের পালের ঘনত্ব গবাদিপশু এমনকি মানুষের জন্যও একটি সত্যিকারের বিপদ হয়ে উঠেছে।’
আসলেই কি গবাদিপশুর জন্য বড় হুমকি নেকড়ে
সুইজারল্যান্ডের পরিবেশবাদী সংস্থাগুলো বলছে নেকড়ের সংখ্যা যে হারে বাড়ছে, সে হারে গবাদিপশুর প্রতি আক্রমণ বাড়েনি। এটি প্রমাণ করে বেড়া, পাহারাদার কুকুর ও রাখাল কাজ করতে শুরু করেছে। কৃষকদের এ ব্যবস্থাগুলো চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানান তাঁরা।
এখন পর্যন্ত, সুইজারল্যান্ডের আদালত পরিবেশবাদীদের সঙ্গে একমত হয়েছেন। অন্তত নেকড়ের কিছু পাল, যাদের আদর করে জাতজহর্ন, স্ট্যাগিয়াস, হটস-ফোর্টস বা ইসারেবলস-ফুর মতো সুইস নামে ডাকা হয় তাদের ক্ষতি না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কৃষক সমিতির সান্দ্রো মাইকেল জানান, কৃষকেরা অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। তিনি বলেন, ভেড়ার পাল রক্ষার জন্য তাঁদের কাছে সত্যিই কোনো ভালো উপায় নেই।
কৃষকেরা নেকড়েগুলো নির্মূল করতে চায় না বলে জানান তিনি। তবে এ জন্য উভয় পক্ষ থেকে একটি সমঝোতায় আসাটা জরুরি বলে মনে করেন।
নিঃসন্দেহে সুইজারল্যান্ডের এ বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে মানুষ ও প্রাণীর মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের বিষয়টি। সবাই এটি চায় বলেই মনে করা হয়, তবে কীভাবে তা নিয়ে একমত হওয়া যাচ্ছে না।
লুসি উয়চরিচ যুক্তি দেন, ‘বিশ্ব একটি জৈববৈচিত্র্য এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সংকটের মুখোমুখি, এ পরিস্থিতিতে পছন্দ করি না এমন জিনিসগুলোকে ধ্বংস করার অবস্থা নেই।’
এখন আইনি লড়াই আদালতে আপিলের দিকে যাচ্ছে এবং আগের সিদ্ধান্ত আংশিকভাবে স্থগিত অবস্থায় রয়েছে। আপাতত তাই নেকড়েগুলো একটু স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতেই পারে, কী বলেন?

ইরান ও পাকিস্তানের সীমান্তের কাছে অবস্থিত তাফতান আগ্নেয়গিরি আবার সক্রিয় হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় ৭ লাখ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা এই আগ্নেয়গিরির চূড়া গত এক বছরে প্রায় ৩.৫ ইঞ্চি উঁচু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায়।
২ ঘণ্টা আগে
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
১৭ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইরান ও পাকিস্তানের সীমান্তের কাছে অবস্থিত তাফতান আগ্নেয়গিরি আবার সক্রিয় হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় ৭ লাখ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা এই আগ্নেয়গিরির চূড়া গত এক বছরে প্রায় ৩.৫ ইঞ্চি উঁচু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায়।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, আগ্নেয়গিরিটির নিচে বিপুল পরিমাণ গ্যাসের চাপ সৃষ্টি হচ্ছে, যা কোনো না কোনোভাবে ভবিষ্যতে নির্গত হতে বাধ্য। এটি সহিংস বিস্ফোরণের মাধ্যমেও ঘটতে পারে, অথবা ধীরে ধীরে গ্যাস নিঃসরণের মাধ্যমে।
গবেষণাটির প্রধান লেখক ও আগ্নেয়গিরি বিশেষজ্ঞ পাবলো গনজালেস লাইভ সায়েন্সকে বলেছেন, ‘এটি আতঙ্ক তৈরির জন্য নয়, বরং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জন্য একটি সতর্কবার্তা—যাতে তারা অঞ্চলটিতে পর্যবেক্ষণের জন্য রসদ বরাদ্দ করে।’
রোববার (২৬ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দারাও ইতিমধ্যে ২০২৩ সাল থেকেই আগ্নেয়গিরির কাছাকাছি এলাকায় গ্যাস নিঃসরণের ধোঁয়া ও দুর্গন্ধ লক্ষ্য করেছেন। এমনকি চূড়া থেকে প্রায় ৩০ মাইল দূরেও এমনটি টের পাওয়া গেছে। ১২ হাজার ৯২৭ ফুট উচ্চতার এই বিশাল আগ্নেয়গিরি দক্ষিণ-পূর্ব ইরানের সবচেয়ে বড় এবং পার্শ্ববর্তী ছোট পাহাড়গুলোকে ছাপিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। দূরবর্তী ও প্রত্যন্ত অবস্থানের কারণে এটিকে সরাসরি পর্যবেক্ষণ করাও কঠিন। এ অবস্থায় গবেষণারত শিক্ষার্থী মোহাম্মদ হোসেইন মোহাম্মদনিয়া ও পাবলো গনজালেস স্যাটেলাইট চিত্র ব্যবহার করে আগ্নেয়গিরির চূড়ার উচ্চতা বৃদ্ধির প্রমাণ পান।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই পরিবর্তনের কারণ সম্ভবত আগ্নেয়গিরির নিচের হাইড্রোথার্মাল ব্যবস্থায় পরিবর্তন, যা গ্যাস জমা বা ম্যাগমার স্থানচ্যুতি ঘটাতে পারে। তাঁরা জানিয়েছেন, তাফতান আগ্নেয়গিরির পরিস্থিতি এখন নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং গবেষণা অব্যাহত থাকবে।

ইরান ও পাকিস্তানের সীমান্তের কাছে অবস্থিত তাফতান আগ্নেয়গিরি আবার সক্রিয় হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় ৭ লাখ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা এই আগ্নেয়গিরির চূড়া গত এক বছরে প্রায় ৩.৫ ইঞ্চি উঁচু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায়।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, আগ্নেয়গিরিটির নিচে বিপুল পরিমাণ গ্যাসের চাপ সৃষ্টি হচ্ছে, যা কোনো না কোনোভাবে ভবিষ্যতে নির্গত হতে বাধ্য। এটি সহিংস বিস্ফোরণের মাধ্যমেও ঘটতে পারে, অথবা ধীরে ধীরে গ্যাস নিঃসরণের মাধ্যমে।
গবেষণাটির প্রধান লেখক ও আগ্নেয়গিরি বিশেষজ্ঞ পাবলো গনজালেস লাইভ সায়েন্সকে বলেছেন, ‘এটি আতঙ্ক তৈরির জন্য নয়, বরং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জন্য একটি সতর্কবার্তা—যাতে তারা অঞ্চলটিতে পর্যবেক্ষণের জন্য রসদ বরাদ্দ করে।’
রোববার (২৬ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দারাও ইতিমধ্যে ২০২৩ সাল থেকেই আগ্নেয়গিরির কাছাকাছি এলাকায় গ্যাস নিঃসরণের ধোঁয়া ও দুর্গন্ধ লক্ষ্য করেছেন। এমনকি চূড়া থেকে প্রায় ৩০ মাইল দূরেও এমনটি টের পাওয়া গেছে। ১২ হাজার ৯২৭ ফুট উচ্চতার এই বিশাল আগ্নেয়গিরি দক্ষিণ-পূর্ব ইরানের সবচেয়ে বড় এবং পার্শ্ববর্তী ছোট পাহাড়গুলোকে ছাপিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। দূরবর্তী ও প্রত্যন্ত অবস্থানের কারণে এটিকে সরাসরি পর্যবেক্ষণ করাও কঠিন। এ অবস্থায় গবেষণারত শিক্ষার্থী মোহাম্মদ হোসেইন মোহাম্মদনিয়া ও পাবলো গনজালেস স্যাটেলাইট চিত্র ব্যবহার করে আগ্নেয়গিরির চূড়ার উচ্চতা বৃদ্ধির প্রমাণ পান।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই পরিবর্তনের কারণ সম্ভবত আগ্নেয়গিরির নিচের হাইড্রোথার্মাল ব্যবস্থায় পরিবর্তন, যা গ্যাস জমা বা ম্যাগমার স্থানচ্যুতি ঘটাতে পারে। তাঁরা জানিয়েছেন, তাফতান আগ্নেয়গিরির পরিস্থিতি এখন নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং গবেষণা অব্যাহত থাকবে।

সুইজারল্যান্ডের পাহাড়ি এলাকার চাষিরা একই সঙ্গে হতাশ এবং ক্রুদ্ধ। অপর দিকে খুশি বন্য প্রাণীপ্রেমীরা। বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা থাকলে নিঃসন্দেহে খুশি হতো নেকড়েগুলোও। কারণ, দেশটিতে নেকড়ে মারার একটি পরিকল্পনা আপাতত আটকে দিয়েছেন আদালত।
৩১ ডিসেম্বর ২০২৩
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
১৭ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় (১১.৪ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৬.৬ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে।
গভীর নিম্নচাপটি আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ০১ (এক) নম্বর (পুনঃ) ০১ (এক) নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেসঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় (১১.৪ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৬.৬ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে।
গভীর নিম্নচাপটি আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ০১ (এক) নম্বর (পুনঃ) ০১ (এক) নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেসঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

সুইজারল্যান্ডের পাহাড়ি এলাকার চাষিরা একই সঙ্গে হতাশ এবং ক্রুদ্ধ। অপর দিকে খুশি বন্য প্রাণীপ্রেমীরা। বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা থাকলে নিঃসন্দেহে খুশি হতো নেকড়েগুলোও। কারণ, দেশটিতে নেকড়ে মারার একটি পরিকল্পনা আপাতত আটকে দিয়েছেন আদালত।
৩১ ডিসেম্বর ২০২৩
ইরান ও পাকিস্তানের সীমান্তের কাছে অবস্থিত তাফতান আগ্নেয়গিরি আবার সক্রিয় হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় ৭ লাখ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা এই আগ্নেয়গিরির চূড়া গত এক বছরে প্রায় ৩.৫ ইঞ্চি উঁচু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায়।
২ ঘণ্টা আগে
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
১৭ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী শহর ঢাকায় দূষণ কমছেই না। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে ঢাকা। প্রতিবছর শীতকাল শুরুর আগেই ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ রোববার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর’। এই স্কোর নিয়ে ঢাকা বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
একিউআই মানদণ্ড অনুসারে, ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বিবেচনা করা হয়। এই স্তরে সাধারণ জনগোষ্ঠীর সদস্যরা অসুস্থতা অনুভব করতে পারেন এবং সংবেদনশীল গোষ্ঠীর (যেমন শিশু, বয়স্ক এবং শ্বাসযন্ত্রের রোগী) জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ৩৮০ একিউআই স্কোর নিয়ে পাকিস্তানের লাহোর এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এই শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ (Hazardous) হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
আজ সকাল ৮টা ২০ মিনিটে আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের শীর্ষ ১০ দূষিত শহরের তালিকার বাকি শহরগুলো হলো —
(বায়ুমানের দ্রুত পরিবর্তনের কারণে র্যাঙ্কিংয়ে পরিবর্তন হতে পারে)
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি (২৯১, খুবই অস্বাস্থ্যকর)। তৃতীয় স্থানে রয়েছে উজবেকিস্তানের তাসখন্দ (১৭৫, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)। চতুর্থ স্থানে রয়েছে ঢাকা এবং পঞ্চম স্থানে পাকিস্তানের করাচি (১৬১,সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
শীর্ষ দশের অন্যান্য শহর:
৬. কায়রো, মিসর (১৫৮)
৭. বাকু, আজারবাইজান (১৫৭)
৮. কাম্পালা, উগান্ডা (১৫২)
৯. দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত (১৪৯)
১০. কলকাতা, ভারত (১৪৩)
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

রাজধানী শহর ঢাকায় দূষণ কমছেই না। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে ঢাকা। প্রতিবছর শীতকাল শুরুর আগেই ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ রোববার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর’। এই স্কোর নিয়ে ঢাকা বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
একিউআই মানদণ্ড অনুসারে, ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বিবেচনা করা হয়। এই স্তরে সাধারণ জনগোষ্ঠীর সদস্যরা অসুস্থতা অনুভব করতে পারেন এবং সংবেদনশীল গোষ্ঠীর (যেমন শিশু, বয়স্ক এবং শ্বাসযন্ত্রের রোগী) জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ৩৮০ একিউআই স্কোর নিয়ে পাকিস্তানের লাহোর এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এই শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ (Hazardous) হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
আজ সকাল ৮টা ২০ মিনিটে আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের শীর্ষ ১০ দূষিত শহরের তালিকার বাকি শহরগুলো হলো —
(বায়ুমানের দ্রুত পরিবর্তনের কারণে র্যাঙ্কিংয়ে পরিবর্তন হতে পারে)
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি (২৯১, খুবই অস্বাস্থ্যকর)। তৃতীয় স্থানে রয়েছে উজবেকিস্তানের তাসখন্দ (১৭৫, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)। চতুর্থ স্থানে রয়েছে ঢাকা এবং পঞ্চম স্থানে পাকিস্তানের করাচি (১৬১,সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
শীর্ষ দশের অন্যান্য শহর:
৬. কায়রো, মিসর (১৫৮)
৭. বাকু, আজারবাইজান (১৫৭)
৮. কাম্পালা, উগান্ডা (১৫২)
৯. দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত (১৪৯)
১০. কলকাতা, ভারত (১৪৩)
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

সুইজারল্যান্ডের পাহাড়ি এলাকার চাষিরা একই সঙ্গে হতাশ এবং ক্রুদ্ধ। অপর দিকে খুশি বন্য প্রাণীপ্রেমীরা। বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা থাকলে নিঃসন্দেহে খুশি হতো নেকড়েগুলোও। কারণ, দেশটিতে নেকড়ে মারার একটি পরিকল্পনা আপাতত আটকে দিয়েছেন আদালত।
৩১ ডিসেম্বর ২০২৩
ইরান ও পাকিস্তানের সীমান্তের কাছে অবস্থিত তাফতান আগ্নেয়গিরি আবার সক্রিয় হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় ৭ লাখ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা এই আগ্নেয়গিরির চূড়া গত এক বছরে প্রায় ৩.৫ ইঞ্চি উঁচু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায়।
২ ঘণ্টা আগে
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঢাকাসহ সারা দেশে বৃষ্টির প্রবণতা কমে এসেছে। ফলে আবহাওয়া শুষ্ক, বেড়েছে তাপমাত্রা। তবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে নিম্নচাপ। এটি গভীর নিম্নচাপ থেকে আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এর প্রভাবে ২৮ অক্টোবর থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তর ও পশ্চিম-দক্ষিণে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর ও পশ্চিম-দক্ষিণে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আজ রাজধানী ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকাসহ সারা দেশে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। তবে চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। কাল সোমবার থেকে আবহাওয়া প্রায় একই রকম থাকবে। তবে ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যা থেকে চট্টগ্রাম ছাড়াও রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
বৃষ্টির এই ধারা ২৯ অক্টোবরও অব্যাহত থাকতে পারে। ৩০ অক্টোবর থেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে গভীর নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলেও এটির বাংলাদেশে আঘাত হানার সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। আজ সকালে আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় যা-ই হোক না কেন, আপাতত এর গতিবিধিতে মনে হচ্ছে এটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

ঢাকাসহ সারা দেশে বৃষ্টির প্রবণতা কমে এসেছে। ফলে আবহাওয়া শুষ্ক, বেড়েছে তাপমাত্রা। তবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে নিম্নচাপ। এটি গভীর নিম্নচাপ থেকে আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এর প্রভাবে ২৮ অক্টোবর থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তর ও পশ্চিম-দক্ষিণে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর ও পশ্চিম-দক্ষিণে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আজ রাজধানী ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকাসহ সারা দেশে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। তবে চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। কাল সোমবার থেকে আবহাওয়া প্রায় একই রকম থাকবে। তবে ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যা থেকে চট্টগ্রাম ছাড়াও রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
বৃষ্টির এই ধারা ২৯ অক্টোবরও অব্যাহত থাকতে পারে। ৩০ অক্টোবর থেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে গভীর নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলেও এটির বাংলাদেশে আঘাত হানার সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। আজ সকালে আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় যা-ই হোক না কেন, আপাতত এর গতিবিধিতে মনে হচ্ছে এটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

সুইজারল্যান্ডের পাহাড়ি এলাকার চাষিরা একই সঙ্গে হতাশ এবং ক্রুদ্ধ। অপর দিকে খুশি বন্য প্রাণীপ্রেমীরা। বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা থাকলে নিঃসন্দেহে খুশি হতো নেকড়েগুলোও। কারণ, দেশটিতে নেকড়ে মারার একটি পরিকল্পনা আপাতত আটকে দিয়েছেন আদালত।
৩১ ডিসেম্বর ২০২৩
ইরান ও পাকিস্তানের সীমান্তের কাছে অবস্থিত তাফতান আগ্নেয়গিরি আবার সক্রিয় হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় ৭ লাখ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা এই আগ্নেয়গিরির চূড়া গত এক বছরে প্রায় ৩.৫ ইঞ্চি উঁচু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায়।
২ ঘণ্টা আগে
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
১৭ ঘণ্টা আগে