চবি প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে জোবরা গ্রামে অবস্থিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাস। ছোট-বড় পাহাড় ও টিলায় ঘেরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আনাচকানাচে রয়েছে অসংখ্য ঝোপঝাড়। আর এসব জায়গা থেকে সাপের উপদ্রব দিন দিন বেড়েই চলছে। গত কয়েক দিনে আবাসিক হল, অনুষদ ভবন, বাসাবাড়ি, রাস্তাঘাটসহ সর্বত্রই প্রতিনিয়ত বিষধর সাপের দেখা মিলছে। ফলে সাপের হঠাৎ উপদ্রবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে জানান তাঁরা।
সর্বশেষ আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাওল হলের ১১০ নম্বর কক্ষ পরিষ্কার করতে গিয়ে সাপের কামড়ে আহত হয়েছেন বাচ্চু মিয়া নামের প্রকৌশল দপ্তরের এক কর্মচারী। বেলা ১১টার দিকে তাঁকে সাপে কামড় দেয়। চিকিৎসার জন্য তাঁকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আবু তৈয়ব বলেন, ‘আমরা তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছি। সেখানে পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হবে।’
এদিকে খবর পেয়ে সাপটি উদ্ধার করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ও ভেনম রিসার্চ সেন্টারের শিক্ষানবিশ গবেষক রফিকুল ইসলাম।
রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকালে খবর পেয়ে হলের শিক্ষার্থীদের সহায়তায় ঘরগিন্নি নামের সাপটি উদ্ধার করি। এর ইংরেজি নাম Common Wolf Snake। এটি একটি নির্বিষ (Nonvenomous) সাপ। এর দংশনে বিষক্রিয়া হয় না।’
এর আগে গত মঙ্গলবার একই হলের ১৩৩ নম্বর কক্ষ থেকে দাগি বেত আছড়া নামের আরেকটি সাপ উদ্ধার করেন রফিকুল ইসলাম।
আলাওল হলের প্রভোস্ট ড. নইম উদ্দিন হাছান আওরঙ্গজেব চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হলের দুইটি কক্ষে সাপ পাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। হল থেকে সাপ তাড়াতে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
এর আগে গত ২১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন দ্বিতীয় কলা ভবনের একটি কক্ষ থেকে প্রাণঘাতী বিষধর শঙ্খিনী (Banded Krait) সাপ দেখতে পেয়ে নির্মাণশ্রমিকেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে সাপ উদ্ধারকারী একটি সংগঠনের সদস্যরা সেটি উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাচেলর শিক্ষক ডরমিটরি, শাহ আমানত হল, সোহরাওয়ার্দী হলের পাশের কলোনি থেকেও সম্প্রতি বেশ কিছু সাপ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল ওয়াহেদ চৌধুরী পিলু আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই সময়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় যে সাপটি বেশি দেখা যাচ্ছে তা হলো ঘরগিন্নি সাপ। এরা শীতকালে একটু উষ্ণতার জন্য ঘরের কোণে আশ্রয় নেয়। তবে এদের কোনো বিষ নেই।
সাপের উপদ্রব কমাতে করণীয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সাপের প্রয়োজন আছে। লোকালয় থেকে সাপ তাড়াতে আবাসিক হল ও বাসাবাড়ির আশপাশের ঝোপঝাড়, বনজঙ্গল পরিষ্কার রাখতে হবে। পাশাপাশি সেখানে গর্ত থাকলে তা ভরাট করে দিতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের ক্যাম্পাসে প্রচুর সাপের বিচরণ। এখন শীতকাল হওয়ায় হয়তো লোকালয়ে এদের বিচরণ বেড়ে গেছে। আমরা হল প্রশাসনকে বলব সাপের উপদ্রব কমাতে যাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়।’
চট্টগ্রাম শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে জোবরা গ্রামে অবস্থিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাস। ছোট-বড় পাহাড় ও টিলায় ঘেরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আনাচকানাচে রয়েছে অসংখ্য ঝোপঝাড়। আর এসব জায়গা থেকে সাপের উপদ্রব দিন দিন বেড়েই চলছে। গত কয়েক দিনে আবাসিক হল, অনুষদ ভবন, বাসাবাড়ি, রাস্তাঘাটসহ সর্বত্রই প্রতিনিয়ত বিষধর সাপের দেখা মিলছে। ফলে সাপের হঠাৎ উপদ্রবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে জানান তাঁরা।
সর্বশেষ আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাওল হলের ১১০ নম্বর কক্ষ পরিষ্কার করতে গিয়ে সাপের কামড়ে আহত হয়েছেন বাচ্চু মিয়া নামের প্রকৌশল দপ্তরের এক কর্মচারী। বেলা ১১টার দিকে তাঁকে সাপে কামড় দেয়। চিকিৎসার জন্য তাঁকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আবু তৈয়ব বলেন, ‘আমরা তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছি। সেখানে পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হবে।’
এদিকে খবর পেয়ে সাপটি উদ্ধার করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ও ভেনম রিসার্চ সেন্টারের শিক্ষানবিশ গবেষক রফিকুল ইসলাম।
রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকালে খবর পেয়ে হলের শিক্ষার্থীদের সহায়তায় ঘরগিন্নি নামের সাপটি উদ্ধার করি। এর ইংরেজি নাম Common Wolf Snake। এটি একটি নির্বিষ (Nonvenomous) সাপ। এর দংশনে বিষক্রিয়া হয় না।’
এর আগে গত মঙ্গলবার একই হলের ১৩৩ নম্বর কক্ষ থেকে দাগি বেত আছড়া নামের আরেকটি সাপ উদ্ধার করেন রফিকুল ইসলাম।
আলাওল হলের প্রভোস্ট ড. নইম উদ্দিন হাছান আওরঙ্গজেব চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হলের দুইটি কক্ষে সাপ পাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। হল থেকে সাপ তাড়াতে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
এর আগে গত ২১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন দ্বিতীয় কলা ভবনের একটি কক্ষ থেকে প্রাণঘাতী বিষধর শঙ্খিনী (Banded Krait) সাপ দেখতে পেয়ে নির্মাণশ্রমিকেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে সাপ উদ্ধারকারী একটি সংগঠনের সদস্যরা সেটি উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাচেলর শিক্ষক ডরমিটরি, শাহ আমানত হল, সোহরাওয়ার্দী হলের পাশের কলোনি থেকেও সম্প্রতি বেশ কিছু সাপ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল ওয়াহেদ চৌধুরী পিলু আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই সময়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় যে সাপটি বেশি দেখা যাচ্ছে তা হলো ঘরগিন্নি সাপ। এরা শীতকালে একটু উষ্ণতার জন্য ঘরের কোণে আশ্রয় নেয়। তবে এদের কোনো বিষ নেই।
সাপের উপদ্রব কমাতে করণীয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সাপের প্রয়োজন আছে। লোকালয় থেকে সাপ তাড়াতে আবাসিক হল ও বাসাবাড়ির আশপাশের ঝোপঝাড়, বনজঙ্গল পরিষ্কার রাখতে হবে। পাশাপাশি সেখানে গর্ত থাকলে তা ভরাট করে দিতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের ক্যাম্পাসে প্রচুর সাপের বিচরণ। এখন শীতকাল হওয়ায় হয়তো লোকালয়ে এদের বিচরণ বেড়ে গেছে। আমরা হল প্রশাসনকে বলব সাপের উপদ্রব কমাতে যাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়।’
প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকার (ইসিএ) হিসেবে সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে নতুন কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান বা প্রকল্প স্থাপন নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারি করবে পরিবেশ মন্ত্রণালয়।
৮ ঘণ্টা আগেসুইজারল্যান্ডের সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকা অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর ভারতের বার্নিহাট। এই শহরের বাসিন্দা দুই বছর বয়সী সুমাইয়া আনসারি বেশ কয়েক দিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগেছিল। গত মার্চে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং অক্সিজেন দিতে হয়। দুই দিন তাকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকতে হয়।
১৬ ঘণ্টা আগেআজ ঢাকার বাতাসে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। গতকালের তুলনায় রাজধানী শহরের বাতাসে ক্ষতিকর ক্ষুদ্রকণার পরিমাণ সামান্য কম রেকর্ড করা হয়েছে। আজ সোমবার, বাতাসের গুণমান সূচক বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স-একিউআইয়ের সকাল ৯টা ৫০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার বায়ুমান ১২৯, যা সংবেদনশীল স্বাস্থ্যের মানুষের জন্য...
১৮ ঘণ্টা আগেঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকাসহ ২০টি জেলার আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে সাময়িক মেঘলা থাকতে পারে। এসব জেলায় সকাল সকাল বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ সোমবার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
১৯ ঘণ্টা আগে