মাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজার জেলা সদর, শ্রীমঙ্গল উপজেলা ও হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার বিস্তৃত অঞ্চল নিয়ে হাইল হাওর। আর এই হাওরের একটা বিলের নাম বাইক্কা বিল। বাইক্কা বিলের নাম শুনলেই হাজারো পাখির মেলা ভেসে ওঠে এই অঞ্চলের মানুষের চোখে। একসময় শীত এলেই ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখির দেখা মিলত বাইক্কা বিলে। শত প্রজাতির হাজারো অতিথি পাখির কিচিরমিচিরে মুখরিত থাকত বিল এলাকা। বিভিন্ন প্রজাতির দেশি পাখির নিরাপদ আবাসস্থল ছিল এই বিল।
কয়েক বছর ধরে আর এই রূপ দেখা যায় না। শীতেও অতিথি পাখির আগমন কমে গিয়েছে। দেশি পাখির আনাগোনাও তেমন দেখা যায় না। পাখিদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে এই আবাসস্থল। কয়েক বছর ধরে অতিথি পাখির সংখ্যা কমে আসার কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আবাসস্থল কমে যাওয়া, জলবায়ু পরিবর্তন এবং জলজ উদ্ভিদ কমে যাওয়া। পাখিদের বসবাসের জন্য বাইক্কা বিলের পরিবেশগত উপযোগিতা কমে গিয়েছে।
অভয়াশ্রম বাইক্কা বিলে যেসব পাখি আসত
২০০৩ সালের ১ জুলাই বিলের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ১০০ হেক্টর জলাভূমিকে ‘বাইক্কা বিল অভয়াশ্রম’ ঘোষণা করে ভূমি মন্ত্রণালয়। মাছ ধরা ও জলজ উদ্ভিদ আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়। এই বিলে বালিহাঁস, উত্তরে লেঞ্জা হাঁস, গিরিয়া হাঁস, উত্তরে খন্তিহাঁস, মরচে রং ভূতিহাঁস, মেটে মাথা টিটি, কালালেজ জৌরালি, খয়রা কাস্তে চরা, তিলা লালসা, গেওয়ালা বাটান, পিয়াং হাঁস, পাতি তিলা হাঁস, নীলমাথা হাঁস, বিল বাটান, পাতিসবুজলা, বন বাটান, পাতিচ্যাগা, ছোট ডুবুরি, বড় পানকৌড়ি, ছোট পানকৌড়ি, গয়ার, বাংলা শকুন, এশীয় শামুকখোল, পানমুরগি, পাতিকুট, নিউপিপি, দলপিপি, কালাপাখ ঠেঙ্গি, উদয়ী বাবু বাটান, ছোট নথ জিরিয়া, রাজহাঁস, ওটা, ধুপনি বক, ইগল, ভুবন চিল, হলদে বক, দেশি কানিবক, গোবক, ছোট বক, মাঝেলা বগা, লালচে বক, বেগুনি কালেম, বড় বগা, দেশি মেটে হাঁস, সরালি, বালিহাঁস, পানমুরগিসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখির দেখা পাওয়া যেত। এ ছাড়া বিলের পাড়ে গাছগাছালিতে শালিক, ঘুঘু, দোয়েল, চড়ুই, বুলবুলি, দাগি ঘাস পাখি, টুনটুনিসহ বিভিন্ন ধরনের দেশি পাখির বসবাস ছিল।
বাইক্কা বিলে প্রতিবছর একটি বেসরকারি একটা সংস্থা পাখি শুমারি করে। তারা বলছে, গত কয়েক বছর ধরে পাখির সংখ্যা কমেছে। তাদের শুমারিতে ২০২৪ সালে ৩৮ প্রজাতির ৭ হাজার ৭৮০ পাখির সংখ্যা পাওয়া গেছে। ২০২৩ সালে ৩৩ প্রজাতির ৪ হাজার ৬১৫ পাখি ছিল। এর আগে শুমারিতে ১২ হাজার পর্যন্ত পাখির হিসাব পাওয়া গিয়েছিল।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, যাঁরা বাইক্কা বিল দেখাশোনা করেন, তাঁরাই পাখি ও মাছ শিকারে জড়িত। বন্যার সময় মাছ শিকার করতে সব কচুরিপানা সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কচুরিপানা, শাপলা-শালুক না থাকায় খাবারের অভাবে পাখি কমে যাচ্ছে। এ ছাড়া নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল দিয়ে পাখি ও মাছ শিকার, হাওর বাঁধ, সেচ মেশিন ব্যবহারের কারণে পাখি কমে যাচ্ছে।

পাখি কমে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বাইক্কা বিলের দায়িত্বে থাকা বড়গাঙ্গিনা সম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মিন্নত আলী বলেন, এক দশক আগে পাখির সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। তবে কয়েক বছর ধরে পাখির সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমে আসছে।
কেন আগের মতো পাখি আসছে না বাইক্কা বিলে
পাখি গবেষকেরা বলছেন, মাছ শিকারের জন্য বিল থেকে জলজ উদ্ভিদ সরিয়ে ফেলা হয়েছে। কচুরিপানা, শাপলা-শালুক না থাকায় পাখিরা কোথাও বসে খাবার খেতে পারে না। পাখি না আসার মূল কারণ এটি। এ ছাড়া ফাঁদ পেতে পাখি শিকার নিয়ন্ত্রণের ব্যর্থতা ও জলজ উদ্ভিদের অভাব পাখিদের বিলে আসা কমিয়ে দিচ্ছে।

পানির পাশাপাশি হাওর এলাকায় গাছগাছালি কমে যাওয়া, অপরিকল্পিতভাবে হাওর ভরাট, সেচ ও বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে মাছ ধরা, নির্বিচারে পাখি শিকার, হাওরের ভেতর দিয়ে যানবাহন চলাচল, শীত কমে যাওয়া, আবাসস্থল ধ্বংসের পেছনে আবহাওয়া বা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবসহ নানা কারণে পাখির সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা এখন থেকে সচেতন না হলে বাইক্কা বিল থেকে পাখিরা একেবারে চলে যাবে বলে সতর্ক করছেন পরিবেশবিদেরা।

পরিবেশকর্মী নূরুল মোহাইমিন মিল্টন বলেন, বাইক্কা বিলে কয়েক বছর ধরে শীতে অতিথি পাখি কম আসার মূল কারণ জলজ ও স্থলজ পরিবেশের অবক্ষয়। আবহাওয়ার পরিবর্তন, পাখির নিরাপদ আবাসস্থল না থাকা, খাবার সংগ্রহে ঝুঁকি, পুঁজিবাদী ভোগ বিলাসিতার কারণে হাওর-বিল ভরাট, বেদখল আর বাণিজ্যিক কার্যক্রম। এসব কারণ থেকে বাইক্কা বিল রক্ষা করলে পাখির সংখ্যা বাড়ার আশা করা যায়।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ টাইগার অ্যাকশন প্ল্যানের প্রণেতা অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মনিরুল হাসান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাইক্কা বিলকে সংরক্ষিত বিল ঘোষণা করা হয়েছে। এই বিল পাখি ও মা মাছের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। এখন যদি সেই আগের মতো পাখি বা মৎস্য নিধন করা হয় অথবা জলজ উদ্ভিদ ফেলে দেওয়া হয় তাহলে পাখি বা মাছ কারও জন্য ভালো হবে না। পাখিদের ফিরিয়ে আনতে বিল সংরক্ষণ করতে হবে। পরিবেশের পাশাপাশি পাখিদের জন্য জলজ উদ্ভিদ বাঁচিয়ে রাখতে হবে।

ক্রিয়েটিভ কনজারভেশন অ্যালায়েন্সের প্রধান নির্বাহী ও বন্য প্রাণী গবেষক শাহরিয়ার সিজার রহমান বলেন, বাইক্কা বিলের পরিবেশ, জলজ উদ্ভিদ কমে যাওয়া, অবাধে পাখি শিকার, অতিরিক্ত পর্যটক, বৃক্ষনিধন, যে জায়গায় পাখিরা থাকে সেখান থেকে মাছ শিকার এসব কারণে পাখির সংখ্যা কমে যাচ্ছে। পাখি অবাধ বিচরণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। নয়তো একটা সময় এখানে আর পাখি পাওয়া যাবে না।
পাখি কমে যাওয়ার বিষয়ে মৌলভীবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো. আরিফ হোসেন বলেন, ‘সংরক্ষিত বাইক্কা বিলে নিরাপদে পাখিরা আশ্রয় নেওয়ার জন্য আমরা সব সময় নিরাপত্তার জন্য মানুষ নিয়োগ দিয়েছি। এ ছাড়া কেউ যদি অবৈধভাবে পাখি বা মাছ শিকার করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে আমরা অভিযান পরিচালনা করি। পাখি কমার পেছনে মূল কারণ হচ্ছে আবহাওয়া। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় পাখিরা কম আসছে।’

বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, সিলেটের (সদর দপ্তর মৌলভীবাজার) বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বাইক্কা বিলে পাখির সংখ্যা কমার পেছনে নানা কারণ রয়েছে। হাওরের গভীরতা আগের চেয়ে অনেক কমেছে, যেখানে আগে আট থেকে নয় মাস হাওরে পানি থাকত, এখন সেখানে তিন থেকে চার মাস পানি থাকে। এ ছাড়া শীতের তীব্রতা আগের মতো নেই। শীত কম থাকায় হয়তো অতিথি পাখিরা আসা কমিয়ে দিয়েছে। আগের চেয়ে মানুষজন আসা অনেক বেড়ে গিয়েছে। এসব কারণে হয়তো পাখিরা আসা কমিয়ে দিচ্ছে।’

মৌলভীবাজার জেলা সদর, শ্রীমঙ্গল উপজেলা ও হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার বিস্তৃত অঞ্চল নিয়ে হাইল হাওর। আর এই হাওরের একটা বিলের নাম বাইক্কা বিল। বাইক্কা বিলের নাম শুনলেই হাজারো পাখির মেলা ভেসে ওঠে এই অঞ্চলের মানুষের চোখে। একসময় শীত এলেই ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখির দেখা মিলত বাইক্কা বিলে। শত প্রজাতির হাজারো অতিথি পাখির কিচিরমিচিরে মুখরিত থাকত বিল এলাকা। বিভিন্ন প্রজাতির দেশি পাখির নিরাপদ আবাসস্থল ছিল এই বিল।
কয়েক বছর ধরে আর এই রূপ দেখা যায় না। শীতেও অতিথি পাখির আগমন কমে গিয়েছে। দেশি পাখির আনাগোনাও তেমন দেখা যায় না। পাখিদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে এই আবাসস্থল। কয়েক বছর ধরে অতিথি পাখির সংখ্যা কমে আসার কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আবাসস্থল কমে যাওয়া, জলবায়ু পরিবর্তন এবং জলজ উদ্ভিদ কমে যাওয়া। পাখিদের বসবাসের জন্য বাইক্কা বিলের পরিবেশগত উপযোগিতা কমে গিয়েছে।
অভয়াশ্রম বাইক্কা বিলে যেসব পাখি আসত
২০০৩ সালের ১ জুলাই বিলের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ১০০ হেক্টর জলাভূমিকে ‘বাইক্কা বিল অভয়াশ্রম’ ঘোষণা করে ভূমি মন্ত্রণালয়। মাছ ধরা ও জলজ উদ্ভিদ আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়। এই বিলে বালিহাঁস, উত্তরে লেঞ্জা হাঁস, গিরিয়া হাঁস, উত্তরে খন্তিহাঁস, মরচে রং ভূতিহাঁস, মেটে মাথা টিটি, কালালেজ জৌরালি, খয়রা কাস্তে চরা, তিলা লালসা, গেওয়ালা বাটান, পিয়াং হাঁস, পাতি তিলা হাঁস, নীলমাথা হাঁস, বিল বাটান, পাতিসবুজলা, বন বাটান, পাতিচ্যাগা, ছোট ডুবুরি, বড় পানকৌড়ি, ছোট পানকৌড়ি, গয়ার, বাংলা শকুন, এশীয় শামুকখোল, পানমুরগি, পাতিকুট, নিউপিপি, দলপিপি, কালাপাখ ঠেঙ্গি, উদয়ী বাবু বাটান, ছোট নথ জিরিয়া, রাজহাঁস, ওটা, ধুপনি বক, ইগল, ভুবন চিল, হলদে বক, দেশি কানিবক, গোবক, ছোট বক, মাঝেলা বগা, লালচে বক, বেগুনি কালেম, বড় বগা, দেশি মেটে হাঁস, সরালি, বালিহাঁস, পানমুরগিসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখির দেখা পাওয়া যেত। এ ছাড়া বিলের পাড়ে গাছগাছালিতে শালিক, ঘুঘু, দোয়েল, চড়ুই, বুলবুলি, দাগি ঘাস পাখি, টুনটুনিসহ বিভিন্ন ধরনের দেশি পাখির বসবাস ছিল।
বাইক্কা বিলে প্রতিবছর একটি বেসরকারি একটা সংস্থা পাখি শুমারি করে। তারা বলছে, গত কয়েক বছর ধরে পাখির সংখ্যা কমেছে। তাদের শুমারিতে ২০২৪ সালে ৩৮ প্রজাতির ৭ হাজার ৭৮০ পাখির সংখ্যা পাওয়া গেছে। ২০২৩ সালে ৩৩ প্রজাতির ৪ হাজার ৬১৫ পাখি ছিল। এর আগে শুমারিতে ১২ হাজার পর্যন্ত পাখির হিসাব পাওয়া গিয়েছিল।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, যাঁরা বাইক্কা বিল দেখাশোনা করেন, তাঁরাই পাখি ও মাছ শিকারে জড়িত। বন্যার সময় মাছ শিকার করতে সব কচুরিপানা সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কচুরিপানা, শাপলা-শালুক না থাকায় খাবারের অভাবে পাখি কমে যাচ্ছে। এ ছাড়া নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল দিয়ে পাখি ও মাছ শিকার, হাওর বাঁধ, সেচ মেশিন ব্যবহারের কারণে পাখি কমে যাচ্ছে।

পাখি কমে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বাইক্কা বিলের দায়িত্বে থাকা বড়গাঙ্গিনা সম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মিন্নত আলী বলেন, এক দশক আগে পাখির সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। তবে কয়েক বছর ধরে পাখির সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমে আসছে।
কেন আগের মতো পাখি আসছে না বাইক্কা বিলে
পাখি গবেষকেরা বলছেন, মাছ শিকারের জন্য বিল থেকে জলজ উদ্ভিদ সরিয়ে ফেলা হয়েছে। কচুরিপানা, শাপলা-শালুক না থাকায় পাখিরা কোথাও বসে খাবার খেতে পারে না। পাখি না আসার মূল কারণ এটি। এ ছাড়া ফাঁদ পেতে পাখি শিকার নিয়ন্ত্রণের ব্যর্থতা ও জলজ উদ্ভিদের অভাব পাখিদের বিলে আসা কমিয়ে দিচ্ছে।

পানির পাশাপাশি হাওর এলাকায় গাছগাছালি কমে যাওয়া, অপরিকল্পিতভাবে হাওর ভরাট, সেচ ও বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে মাছ ধরা, নির্বিচারে পাখি শিকার, হাওরের ভেতর দিয়ে যানবাহন চলাচল, শীত কমে যাওয়া, আবাসস্থল ধ্বংসের পেছনে আবহাওয়া বা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবসহ নানা কারণে পাখির সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা এখন থেকে সচেতন না হলে বাইক্কা বিল থেকে পাখিরা একেবারে চলে যাবে বলে সতর্ক করছেন পরিবেশবিদেরা।

পরিবেশকর্মী নূরুল মোহাইমিন মিল্টন বলেন, বাইক্কা বিলে কয়েক বছর ধরে শীতে অতিথি পাখি কম আসার মূল কারণ জলজ ও স্থলজ পরিবেশের অবক্ষয়। আবহাওয়ার পরিবর্তন, পাখির নিরাপদ আবাসস্থল না থাকা, খাবার সংগ্রহে ঝুঁকি, পুঁজিবাদী ভোগ বিলাসিতার কারণে হাওর-বিল ভরাট, বেদখল আর বাণিজ্যিক কার্যক্রম। এসব কারণ থেকে বাইক্কা বিল রক্ষা করলে পাখির সংখ্যা বাড়ার আশা করা যায়।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ টাইগার অ্যাকশন প্ল্যানের প্রণেতা অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মনিরুল হাসান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাইক্কা বিলকে সংরক্ষিত বিল ঘোষণা করা হয়েছে। এই বিল পাখি ও মা মাছের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। এখন যদি সেই আগের মতো পাখি বা মৎস্য নিধন করা হয় অথবা জলজ উদ্ভিদ ফেলে দেওয়া হয় তাহলে পাখি বা মাছ কারও জন্য ভালো হবে না। পাখিদের ফিরিয়ে আনতে বিল সংরক্ষণ করতে হবে। পরিবেশের পাশাপাশি পাখিদের জন্য জলজ উদ্ভিদ বাঁচিয়ে রাখতে হবে।

ক্রিয়েটিভ কনজারভেশন অ্যালায়েন্সের প্রধান নির্বাহী ও বন্য প্রাণী গবেষক শাহরিয়ার সিজার রহমান বলেন, বাইক্কা বিলের পরিবেশ, জলজ উদ্ভিদ কমে যাওয়া, অবাধে পাখি শিকার, অতিরিক্ত পর্যটক, বৃক্ষনিধন, যে জায়গায় পাখিরা থাকে সেখান থেকে মাছ শিকার এসব কারণে পাখির সংখ্যা কমে যাচ্ছে। পাখি অবাধ বিচরণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। নয়তো একটা সময় এখানে আর পাখি পাওয়া যাবে না।
পাখি কমে যাওয়ার বিষয়ে মৌলভীবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো. আরিফ হোসেন বলেন, ‘সংরক্ষিত বাইক্কা বিলে নিরাপদে পাখিরা আশ্রয় নেওয়ার জন্য আমরা সব সময় নিরাপত্তার জন্য মানুষ নিয়োগ দিয়েছি। এ ছাড়া কেউ যদি অবৈধভাবে পাখি বা মাছ শিকার করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে আমরা অভিযান পরিচালনা করি। পাখি কমার পেছনে মূল কারণ হচ্ছে আবহাওয়া। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় পাখিরা কম আসছে।’

বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, সিলেটের (সদর দপ্তর মৌলভীবাজার) বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বাইক্কা বিলে পাখির সংখ্যা কমার পেছনে নানা কারণ রয়েছে। হাওরের গভীরতা আগের চেয়ে অনেক কমেছে, যেখানে আগে আট থেকে নয় মাস হাওরে পানি থাকত, এখন সেখানে তিন থেকে চার মাস পানি থাকে। এ ছাড়া শীতের তীব্রতা আগের মতো নেই। শীত কম থাকায় হয়তো অতিথি পাখিরা আসা কমিয়ে দিয়েছে। আগের চেয়ে মানুষজন আসা অনেক বেড়ে গিয়েছে। এসব কারণে হয়তো পাখিরা আসা কমিয়ে দিচ্ছে।’
মাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজার জেলা সদর, শ্রীমঙ্গল উপজেলা ও হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার বিস্তৃত অঞ্চল নিয়ে হাইল হাওর। আর এই হাওরের একটা বিলের নাম বাইক্কা বিল। বাইক্কা বিলের নাম শুনলেই হাজারো পাখির মেলা ভেসে ওঠে এই অঞ্চলের মানুষের চোখে। একসময় শীত এলেই ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখির দেখা মিলত বাইক্কা বিলে। শত প্রজাতির হাজারো অতিথি পাখির কিচিরমিচিরে মুখরিত থাকত বিল এলাকা। বিভিন্ন প্রজাতির দেশি পাখির নিরাপদ আবাসস্থল ছিল এই বিল।
কয়েক বছর ধরে আর এই রূপ দেখা যায় না। শীতেও অতিথি পাখির আগমন কমে গিয়েছে। দেশি পাখির আনাগোনাও তেমন দেখা যায় না। পাখিদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে এই আবাসস্থল। কয়েক বছর ধরে অতিথি পাখির সংখ্যা কমে আসার কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আবাসস্থল কমে যাওয়া, জলবায়ু পরিবর্তন এবং জলজ উদ্ভিদ কমে যাওয়া। পাখিদের বসবাসের জন্য বাইক্কা বিলের পরিবেশগত উপযোগিতা কমে গিয়েছে।
অভয়াশ্রম বাইক্কা বিলে যেসব পাখি আসত
২০০৩ সালের ১ জুলাই বিলের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ১০০ হেক্টর জলাভূমিকে ‘বাইক্কা বিল অভয়াশ্রম’ ঘোষণা করে ভূমি মন্ত্রণালয়। মাছ ধরা ও জলজ উদ্ভিদ আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়। এই বিলে বালিহাঁস, উত্তরে লেঞ্জা হাঁস, গিরিয়া হাঁস, উত্তরে খন্তিহাঁস, মরচে রং ভূতিহাঁস, মেটে মাথা টিটি, কালালেজ জৌরালি, খয়রা কাস্তে চরা, তিলা লালসা, গেওয়ালা বাটান, পিয়াং হাঁস, পাতি তিলা হাঁস, নীলমাথা হাঁস, বিল বাটান, পাতিসবুজলা, বন বাটান, পাতিচ্যাগা, ছোট ডুবুরি, বড় পানকৌড়ি, ছোট পানকৌড়ি, গয়ার, বাংলা শকুন, এশীয় শামুকখোল, পানমুরগি, পাতিকুট, নিউপিপি, দলপিপি, কালাপাখ ঠেঙ্গি, উদয়ী বাবু বাটান, ছোট নথ জিরিয়া, রাজহাঁস, ওটা, ধুপনি বক, ইগল, ভুবন চিল, হলদে বক, দেশি কানিবক, গোবক, ছোট বক, মাঝেলা বগা, লালচে বক, বেগুনি কালেম, বড় বগা, দেশি মেটে হাঁস, সরালি, বালিহাঁস, পানমুরগিসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখির দেখা পাওয়া যেত। এ ছাড়া বিলের পাড়ে গাছগাছালিতে শালিক, ঘুঘু, দোয়েল, চড়ুই, বুলবুলি, দাগি ঘাস পাখি, টুনটুনিসহ বিভিন্ন ধরনের দেশি পাখির বসবাস ছিল।
বাইক্কা বিলে প্রতিবছর একটি বেসরকারি একটা সংস্থা পাখি শুমারি করে। তারা বলছে, গত কয়েক বছর ধরে পাখির সংখ্যা কমেছে। তাদের শুমারিতে ২০২৪ সালে ৩৮ প্রজাতির ৭ হাজার ৭৮০ পাখির সংখ্যা পাওয়া গেছে। ২০২৩ সালে ৩৩ প্রজাতির ৪ হাজার ৬১৫ পাখি ছিল। এর আগে শুমারিতে ১২ হাজার পর্যন্ত পাখির হিসাব পাওয়া গিয়েছিল।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, যাঁরা বাইক্কা বিল দেখাশোনা করেন, তাঁরাই পাখি ও মাছ শিকারে জড়িত। বন্যার সময় মাছ শিকার করতে সব কচুরিপানা সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কচুরিপানা, শাপলা-শালুক না থাকায় খাবারের অভাবে পাখি কমে যাচ্ছে। এ ছাড়া নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল দিয়ে পাখি ও মাছ শিকার, হাওর বাঁধ, সেচ মেশিন ব্যবহারের কারণে পাখি কমে যাচ্ছে।

পাখি কমে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বাইক্কা বিলের দায়িত্বে থাকা বড়গাঙ্গিনা সম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মিন্নত আলী বলেন, এক দশক আগে পাখির সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। তবে কয়েক বছর ধরে পাখির সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমে আসছে।
কেন আগের মতো পাখি আসছে না বাইক্কা বিলে
পাখি গবেষকেরা বলছেন, মাছ শিকারের জন্য বিল থেকে জলজ উদ্ভিদ সরিয়ে ফেলা হয়েছে। কচুরিপানা, শাপলা-শালুক না থাকায় পাখিরা কোথাও বসে খাবার খেতে পারে না। পাখি না আসার মূল কারণ এটি। এ ছাড়া ফাঁদ পেতে পাখি শিকার নিয়ন্ত্রণের ব্যর্থতা ও জলজ উদ্ভিদের অভাব পাখিদের বিলে আসা কমিয়ে দিচ্ছে।

পানির পাশাপাশি হাওর এলাকায় গাছগাছালি কমে যাওয়া, অপরিকল্পিতভাবে হাওর ভরাট, সেচ ও বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে মাছ ধরা, নির্বিচারে পাখি শিকার, হাওরের ভেতর দিয়ে যানবাহন চলাচল, শীত কমে যাওয়া, আবাসস্থল ধ্বংসের পেছনে আবহাওয়া বা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবসহ নানা কারণে পাখির সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা এখন থেকে সচেতন না হলে বাইক্কা বিল থেকে পাখিরা একেবারে চলে যাবে বলে সতর্ক করছেন পরিবেশবিদেরা।

পরিবেশকর্মী নূরুল মোহাইমিন মিল্টন বলেন, বাইক্কা বিলে কয়েক বছর ধরে শীতে অতিথি পাখি কম আসার মূল কারণ জলজ ও স্থলজ পরিবেশের অবক্ষয়। আবহাওয়ার পরিবর্তন, পাখির নিরাপদ আবাসস্থল না থাকা, খাবার সংগ্রহে ঝুঁকি, পুঁজিবাদী ভোগ বিলাসিতার কারণে হাওর-বিল ভরাট, বেদখল আর বাণিজ্যিক কার্যক্রম। এসব কারণ থেকে বাইক্কা বিল রক্ষা করলে পাখির সংখ্যা বাড়ার আশা করা যায়।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ টাইগার অ্যাকশন প্ল্যানের প্রণেতা অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মনিরুল হাসান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাইক্কা বিলকে সংরক্ষিত বিল ঘোষণা করা হয়েছে। এই বিল পাখি ও মা মাছের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। এখন যদি সেই আগের মতো পাখি বা মৎস্য নিধন করা হয় অথবা জলজ উদ্ভিদ ফেলে দেওয়া হয় তাহলে পাখি বা মাছ কারও জন্য ভালো হবে না। পাখিদের ফিরিয়ে আনতে বিল সংরক্ষণ করতে হবে। পরিবেশের পাশাপাশি পাখিদের জন্য জলজ উদ্ভিদ বাঁচিয়ে রাখতে হবে।

ক্রিয়েটিভ কনজারভেশন অ্যালায়েন্সের প্রধান নির্বাহী ও বন্য প্রাণী গবেষক শাহরিয়ার সিজার রহমান বলেন, বাইক্কা বিলের পরিবেশ, জলজ উদ্ভিদ কমে যাওয়া, অবাধে পাখি শিকার, অতিরিক্ত পর্যটক, বৃক্ষনিধন, যে জায়গায় পাখিরা থাকে সেখান থেকে মাছ শিকার এসব কারণে পাখির সংখ্যা কমে যাচ্ছে। পাখি অবাধ বিচরণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। নয়তো একটা সময় এখানে আর পাখি পাওয়া যাবে না।
পাখি কমে যাওয়ার বিষয়ে মৌলভীবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো. আরিফ হোসেন বলেন, ‘সংরক্ষিত বাইক্কা বিলে নিরাপদে পাখিরা আশ্রয় নেওয়ার জন্য আমরা সব সময় নিরাপত্তার জন্য মানুষ নিয়োগ দিয়েছি। এ ছাড়া কেউ যদি অবৈধভাবে পাখি বা মাছ শিকার করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে আমরা অভিযান পরিচালনা করি। পাখি কমার পেছনে মূল কারণ হচ্ছে আবহাওয়া। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় পাখিরা কম আসছে।’

বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, সিলেটের (সদর দপ্তর মৌলভীবাজার) বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বাইক্কা বিলে পাখির সংখ্যা কমার পেছনে নানা কারণ রয়েছে। হাওরের গভীরতা আগের চেয়ে অনেক কমেছে, যেখানে আগে আট থেকে নয় মাস হাওরে পানি থাকত, এখন সেখানে তিন থেকে চার মাস পানি থাকে। এ ছাড়া শীতের তীব্রতা আগের মতো নেই। শীত কম থাকায় হয়তো অতিথি পাখিরা আসা কমিয়ে দিয়েছে। আগের চেয়ে মানুষজন আসা অনেক বেড়ে গিয়েছে। এসব কারণে হয়তো পাখিরা আসা কমিয়ে দিচ্ছে।’

মৌলভীবাজার জেলা সদর, শ্রীমঙ্গল উপজেলা ও হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার বিস্তৃত অঞ্চল নিয়ে হাইল হাওর। আর এই হাওরের একটা বিলের নাম বাইক্কা বিল। বাইক্কা বিলের নাম শুনলেই হাজারো পাখির মেলা ভেসে ওঠে এই অঞ্চলের মানুষের চোখে। একসময় শীত এলেই ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখির দেখা মিলত বাইক্কা বিলে। শত প্রজাতির হাজারো অতিথি পাখির কিচিরমিচিরে মুখরিত থাকত বিল এলাকা। বিভিন্ন প্রজাতির দেশি পাখির নিরাপদ আবাসস্থল ছিল এই বিল।
কয়েক বছর ধরে আর এই রূপ দেখা যায় না। শীতেও অতিথি পাখির আগমন কমে গিয়েছে। দেশি পাখির আনাগোনাও তেমন দেখা যায় না। পাখিদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে এই আবাসস্থল। কয়েক বছর ধরে অতিথি পাখির সংখ্যা কমে আসার কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আবাসস্থল কমে যাওয়া, জলবায়ু পরিবর্তন এবং জলজ উদ্ভিদ কমে যাওয়া। পাখিদের বসবাসের জন্য বাইক্কা বিলের পরিবেশগত উপযোগিতা কমে গিয়েছে।
অভয়াশ্রম বাইক্কা বিলে যেসব পাখি আসত
২০০৩ সালের ১ জুলাই বিলের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ১০০ হেক্টর জলাভূমিকে ‘বাইক্কা বিল অভয়াশ্রম’ ঘোষণা করে ভূমি মন্ত্রণালয়। মাছ ধরা ও জলজ উদ্ভিদ আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়। এই বিলে বালিহাঁস, উত্তরে লেঞ্জা হাঁস, গিরিয়া হাঁস, উত্তরে খন্তিহাঁস, মরচে রং ভূতিহাঁস, মেটে মাথা টিটি, কালালেজ জৌরালি, খয়রা কাস্তে চরা, তিলা লালসা, গেওয়ালা বাটান, পিয়াং হাঁস, পাতি তিলা হাঁস, নীলমাথা হাঁস, বিল বাটান, পাতিসবুজলা, বন বাটান, পাতিচ্যাগা, ছোট ডুবুরি, বড় পানকৌড়ি, ছোট পানকৌড়ি, গয়ার, বাংলা শকুন, এশীয় শামুকখোল, পানমুরগি, পাতিকুট, নিউপিপি, দলপিপি, কালাপাখ ঠেঙ্গি, উদয়ী বাবু বাটান, ছোট নথ জিরিয়া, রাজহাঁস, ওটা, ধুপনি বক, ইগল, ভুবন চিল, হলদে বক, দেশি কানিবক, গোবক, ছোট বক, মাঝেলা বগা, লালচে বক, বেগুনি কালেম, বড় বগা, দেশি মেটে হাঁস, সরালি, বালিহাঁস, পানমুরগিসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখির দেখা পাওয়া যেত। এ ছাড়া বিলের পাড়ে গাছগাছালিতে শালিক, ঘুঘু, দোয়েল, চড়ুই, বুলবুলি, দাগি ঘাস পাখি, টুনটুনিসহ বিভিন্ন ধরনের দেশি পাখির বসবাস ছিল।
বাইক্কা বিলে প্রতিবছর একটি বেসরকারি একটা সংস্থা পাখি শুমারি করে। তারা বলছে, গত কয়েক বছর ধরে পাখির সংখ্যা কমেছে। তাদের শুমারিতে ২০২৪ সালে ৩৮ প্রজাতির ৭ হাজার ৭৮০ পাখির সংখ্যা পাওয়া গেছে। ২০২৩ সালে ৩৩ প্রজাতির ৪ হাজার ৬১৫ পাখি ছিল। এর আগে শুমারিতে ১২ হাজার পর্যন্ত পাখির হিসাব পাওয়া গিয়েছিল।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, যাঁরা বাইক্কা বিল দেখাশোনা করেন, তাঁরাই পাখি ও মাছ শিকারে জড়িত। বন্যার সময় মাছ শিকার করতে সব কচুরিপানা সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কচুরিপানা, শাপলা-শালুক না থাকায় খাবারের অভাবে পাখি কমে যাচ্ছে। এ ছাড়া নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল দিয়ে পাখি ও মাছ শিকার, হাওর বাঁধ, সেচ মেশিন ব্যবহারের কারণে পাখি কমে যাচ্ছে।

পাখি কমে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বাইক্কা বিলের দায়িত্বে থাকা বড়গাঙ্গিনা সম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মিন্নত আলী বলেন, এক দশক আগে পাখির সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। তবে কয়েক বছর ধরে পাখির সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমে আসছে।
কেন আগের মতো পাখি আসছে না বাইক্কা বিলে
পাখি গবেষকেরা বলছেন, মাছ শিকারের জন্য বিল থেকে জলজ উদ্ভিদ সরিয়ে ফেলা হয়েছে। কচুরিপানা, শাপলা-শালুক না থাকায় পাখিরা কোথাও বসে খাবার খেতে পারে না। পাখি না আসার মূল কারণ এটি। এ ছাড়া ফাঁদ পেতে পাখি শিকার নিয়ন্ত্রণের ব্যর্থতা ও জলজ উদ্ভিদের অভাব পাখিদের বিলে আসা কমিয়ে দিচ্ছে।

পানির পাশাপাশি হাওর এলাকায় গাছগাছালি কমে যাওয়া, অপরিকল্পিতভাবে হাওর ভরাট, সেচ ও বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে মাছ ধরা, নির্বিচারে পাখি শিকার, হাওরের ভেতর দিয়ে যানবাহন চলাচল, শীত কমে যাওয়া, আবাসস্থল ধ্বংসের পেছনে আবহাওয়া বা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবসহ নানা কারণে পাখির সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা এখন থেকে সচেতন না হলে বাইক্কা বিল থেকে পাখিরা একেবারে চলে যাবে বলে সতর্ক করছেন পরিবেশবিদেরা।

পরিবেশকর্মী নূরুল মোহাইমিন মিল্টন বলেন, বাইক্কা বিলে কয়েক বছর ধরে শীতে অতিথি পাখি কম আসার মূল কারণ জলজ ও স্থলজ পরিবেশের অবক্ষয়। আবহাওয়ার পরিবর্তন, পাখির নিরাপদ আবাসস্থল না থাকা, খাবার সংগ্রহে ঝুঁকি, পুঁজিবাদী ভোগ বিলাসিতার কারণে হাওর-বিল ভরাট, বেদখল আর বাণিজ্যিক কার্যক্রম। এসব কারণ থেকে বাইক্কা বিল রক্ষা করলে পাখির সংখ্যা বাড়ার আশা করা যায়।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ টাইগার অ্যাকশন প্ল্যানের প্রণেতা অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মনিরুল হাসান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাইক্কা বিলকে সংরক্ষিত বিল ঘোষণা করা হয়েছে। এই বিল পাখি ও মা মাছের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। এখন যদি সেই আগের মতো পাখি বা মৎস্য নিধন করা হয় অথবা জলজ উদ্ভিদ ফেলে দেওয়া হয় তাহলে পাখি বা মাছ কারও জন্য ভালো হবে না। পাখিদের ফিরিয়ে আনতে বিল সংরক্ষণ করতে হবে। পরিবেশের পাশাপাশি পাখিদের জন্য জলজ উদ্ভিদ বাঁচিয়ে রাখতে হবে।

ক্রিয়েটিভ কনজারভেশন অ্যালায়েন্সের প্রধান নির্বাহী ও বন্য প্রাণী গবেষক শাহরিয়ার সিজার রহমান বলেন, বাইক্কা বিলের পরিবেশ, জলজ উদ্ভিদ কমে যাওয়া, অবাধে পাখি শিকার, অতিরিক্ত পর্যটক, বৃক্ষনিধন, যে জায়গায় পাখিরা থাকে সেখান থেকে মাছ শিকার এসব কারণে পাখির সংখ্যা কমে যাচ্ছে। পাখি অবাধ বিচরণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। নয়তো একটা সময় এখানে আর পাখি পাওয়া যাবে না।
পাখি কমে যাওয়ার বিষয়ে মৌলভীবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো. আরিফ হোসেন বলেন, ‘সংরক্ষিত বাইক্কা বিলে নিরাপদে পাখিরা আশ্রয় নেওয়ার জন্য আমরা সব সময় নিরাপত্তার জন্য মানুষ নিয়োগ দিয়েছি। এ ছাড়া কেউ যদি অবৈধভাবে পাখি বা মাছ শিকার করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে আমরা অভিযান পরিচালনা করি। পাখি কমার পেছনে মূল কারণ হচ্ছে আবহাওয়া। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় পাখিরা কম আসছে।’

বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, সিলেটের (সদর দপ্তর মৌলভীবাজার) বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বাইক্কা বিলে পাখির সংখ্যা কমার পেছনে নানা কারণ রয়েছে। হাওরের গভীরতা আগের চেয়ে অনেক কমেছে, যেখানে আগে আট থেকে নয় মাস হাওরে পানি থাকত, এখন সেখানে তিন থেকে চার মাস পানি থাকে। এ ছাড়া শীতের তীব্রতা আগের মতো নেই। শীত কম থাকায় হয়তো অতিথি পাখিরা আসা কমিয়ে দিয়েছে। আগের চেয়ে মানুষজন আসা অনেক বেড়ে গিয়েছে। এসব কারণে হয়তো পাখিরা আসা কমিয়ে দিচ্ছে।’

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
১৫ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় (১১.৪ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৬.৬ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে।
গভীর নিম্নচাপটি আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ০১ (এক) নম্বর (পুনঃ) ০১ (এক) নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেসঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় (১১.৪ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৬.৬ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে।
গভীর নিম্নচাপটি আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ০১ (এক) নম্বর (পুনঃ) ০১ (এক) নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেসঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

মৌলভীবাজার জেলা সদর, শ্রীমঙ্গল উপজেলা ও হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার বিস্তৃত অঞ্চল নিয়ে হাইল হাওর। আর এই হাওরের একটা বিলের নাম বাইক্কা বিল। বাইক্কা বিলের নাম শুনলেই হাজারো পাখির মেলা ভেসে ওঠে এই অঞ্চলের মানুষের চোখে।
২১ জানুয়ারি ২০২৫
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
১৫ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী শহর ঢাকায় দূষণ কমছেই না। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে ঢাকা। প্রতিবছর শীতকাল শুরুর আগেই ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ রোববার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর’। এই স্কোর নিয়ে ঢাকা বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
একিউআই মানদণ্ড অনুসারে, ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বিবেচনা করা হয়। এই স্তরে সাধারণ জনগোষ্ঠীর সদস্যরা অসুস্থতা অনুভব করতে পারেন এবং সংবেদনশীল গোষ্ঠীর (যেমন শিশু, বয়স্ক এবং শ্বাসযন্ত্রের রোগী) জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ৩৮০ একিউআই স্কোর নিয়ে পাকিস্তানের লাহোর এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এই শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ (Hazardous) হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
আজ সকাল ৮টা ২০ মিনিটে আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের শীর্ষ ১০ দূষিত শহরের তালিকার বাকি শহরগুলো হলো —
(বায়ুমানের দ্রুত পরিবর্তনের কারণে র্যাঙ্কিংয়ে পরিবর্তন হতে পারে)
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি (২৯১, খুবই অস্বাস্থ্যকর)। তৃতীয় স্থানে রয়েছে উজবেকিস্তানের তাসখন্দ (১৭৫, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)। চতুর্থ স্থানে রয়েছে ঢাকা এবং পঞ্চম স্থানে পাকিস্তানের করাচি (১৬১,সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
শীর্ষ দশের অন্যান্য শহর:
৬. কায়রো, মিসর (১৫৮)
৭. বাকু, আজারবাইজান (১৫৭)
৮. কাম্পালা, উগান্ডা (১৫২)
৯. দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত (১৪৯)
১০. কলকাতা, ভারত (১৪৩)
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

রাজধানী শহর ঢাকায় দূষণ কমছেই না। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে ঢাকা। প্রতিবছর শীতকাল শুরুর আগেই ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ রোববার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর’। এই স্কোর নিয়ে ঢাকা বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
একিউআই মানদণ্ড অনুসারে, ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বিবেচনা করা হয়। এই স্তরে সাধারণ জনগোষ্ঠীর সদস্যরা অসুস্থতা অনুভব করতে পারেন এবং সংবেদনশীল গোষ্ঠীর (যেমন শিশু, বয়স্ক এবং শ্বাসযন্ত্রের রোগী) জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ৩৮০ একিউআই স্কোর নিয়ে পাকিস্তানের লাহোর এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এই শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ (Hazardous) হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
আজ সকাল ৮টা ২০ মিনিটে আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের শীর্ষ ১০ দূষিত শহরের তালিকার বাকি শহরগুলো হলো —
(বায়ুমানের দ্রুত পরিবর্তনের কারণে র্যাঙ্কিংয়ে পরিবর্তন হতে পারে)
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি (২৯১, খুবই অস্বাস্থ্যকর)। তৃতীয় স্থানে রয়েছে উজবেকিস্তানের তাসখন্দ (১৭৫, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)। চতুর্থ স্থানে রয়েছে ঢাকা এবং পঞ্চম স্থানে পাকিস্তানের করাচি (১৬১,সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
শীর্ষ দশের অন্যান্য শহর:
৬. কায়রো, মিসর (১৫৮)
৭. বাকু, আজারবাইজান (১৫৭)
৮. কাম্পালা, উগান্ডা (১৫২)
৯. দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত (১৪৯)
১০. কলকাতা, ভারত (১৪৩)
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

মৌলভীবাজার জেলা সদর, শ্রীমঙ্গল উপজেলা ও হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার বিস্তৃত অঞ্চল নিয়ে হাইল হাওর। আর এই হাওরের একটা বিলের নাম বাইক্কা বিল। বাইক্কা বিলের নাম শুনলেই হাজারো পাখির মেলা ভেসে ওঠে এই অঞ্চলের মানুষের চোখে।
২১ জানুয়ারি ২০২৫
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঢাকাসহ সারা দেশে বৃষ্টির প্রবণতা কমে এসেছে। ফলে আবহাওয়া শুষ্ক, বেড়েছে তাপমাত্রা। তবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে নিম্নচাপ। এটি গভীর নিম্নচাপ থেকে আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এর প্রভাবে ২৮ অক্টোবর থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তর ও পশ্চিম-দক্ষিণে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর ও পশ্চিম-দক্ষিণে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আজ রাজধানী ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকাসহ সারা দেশে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। তবে চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। কাল সোমবার থেকে আবহাওয়া প্রায় একই রকম থাকবে। তবে ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যা থেকে চট্টগ্রাম ছাড়াও রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
বৃষ্টির এই ধারা ২৯ অক্টোবরও অব্যাহত থাকতে পারে। ৩০ অক্টোবর থেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে গভীর নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলেও এটির বাংলাদেশে আঘাত হানার সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। আজ সকালে আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় যা-ই হোক না কেন, আপাতত এর গতিবিধিতে মনে হচ্ছে এটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

ঢাকাসহ সারা দেশে বৃষ্টির প্রবণতা কমে এসেছে। ফলে আবহাওয়া শুষ্ক, বেড়েছে তাপমাত্রা। তবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে নিম্নচাপ। এটি গভীর নিম্নচাপ থেকে আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এর প্রভাবে ২৮ অক্টোবর থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তর ও পশ্চিম-দক্ষিণে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর ও পশ্চিম-দক্ষিণে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আজ রাজধানী ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকাসহ সারা দেশে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। তবে চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। কাল সোমবার থেকে আবহাওয়া প্রায় একই রকম থাকবে। তবে ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যা থেকে চট্টগ্রাম ছাড়াও রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
বৃষ্টির এই ধারা ২৯ অক্টোবরও অব্যাহত থাকতে পারে। ৩০ অক্টোবর থেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে গভীর নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলেও এটির বাংলাদেশে আঘাত হানার সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। আজ সকালে আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় যা-ই হোক না কেন, আপাতত এর গতিবিধিতে মনে হচ্ছে এটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

মৌলভীবাজার জেলা সদর, শ্রীমঙ্গল উপজেলা ও হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার বিস্তৃত অঞ্চল নিয়ে হাইল হাওর। আর এই হাওরের একটা বিলের নাম বাইক্কা বিল। বাইক্কা বিলের নাম শুনলেই হাজারো পাখির মেলা ভেসে ওঠে এই অঞ্চলের মানুষের চোখে।
২১ জানুয়ারি ২০২৫
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
১৫ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, বর্তমানে রাজধানী এবং এর আশপাশ এলাকার ওপর দিয়ে উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ।
আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেখানে গতকালকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় কোনো বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়নি, যার ফলে আবহাওয়া শুষ্ক থাকার প্রবণতা বজায় রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, বর্তমানে রাজধানী এবং এর আশপাশ এলাকার ওপর দিয়ে উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ।
আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেখানে গতকালকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় কোনো বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়নি, যার ফলে আবহাওয়া শুষ্ক থাকার প্রবণতা বজায় রয়েছে।

মৌলভীবাজার জেলা সদর, শ্রীমঙ্গল উপজেলা ও হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার বিস্তৃত অঞ্চল নিয়ে হাইল হাওর। আর এই হাওরের একটা বিলের নাম বাইক্কা বিল। বাইক্কা বিলের নাম শুনলেই হাজারো পাখির মেলা ভেসে ওঠে এই অঞ্চলের মানুষের চোখে।
২১ জানুয়ারি ২০২৫
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
১৫ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগে