অনলাইন ডেস্ক
হাওরে ইজারা প্রথা বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে হাওর উন্নয়ন আন্দোলন। এ ছাড়া হাওর এলাকার টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে মোট ১১ দফা প্রস্তাব করেছেন তাঁরা।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘হাওর ও হাওরবাসীর সংকট–সমস্যা সমাধান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব দাবি পেশ করেন।
হাওর উন্নয়ন আন্দোলনের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন খান, সাবেক সচিব কারার মাহমুদুল হাসান, আঃ ওয়াহাব, সাবেক অতিরিক্ত সচিব ড. মো. এমদাদুল হকসহ প্রমুখ।
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন খান বলেন, হাওরে ইজারা প্রথা বন্ধ করতে হবে, ইজারাকৃত জায়গাগুলো উদ্ধার করে সেগুলোকে মাছের অভয়াশ্রয় ঘোষণা করতে হবে। এসব জায়গায় মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে হবে। এতে করে এসব স্থান দেশের বৃহৎ প্রজনন কেন্দ্র হতে পারে। পরবর্তীতে এসব পোনা সারা হাওরে ছড়িয়ে যাবে। এ ছাড়া হাওর অঞ্চলে একটি কৃষি ও জলবায়ু বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়, আঞ্চলিক ধান গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করার আহ্বানও জানান তিনি।
সভায় লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, প্রায় ২৪ হাজার বর্গকিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত হাওর অঞ্চল দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ মানুষের বাসস্থান। এখানকার প্রধান জীবিকা কৃষি ও মৎস্য আহরণ। দেশের মোট ধান উৎপাদনের এক–পঞ্চমাংশ আসে এই অঞ্চল থেকে। তবে বর্ষাকালে হাওরগুলো ১০ থেকে ১৫ ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায়, যা কৃষি ও বসবাসের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বক্তারা বলেন, হাওরের মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থা উন্নয়নের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে একফসলি কৃষি ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা, অকাল বন্যায় ফসলহানি, মৌসুমি অভিবাসন, মহাজনি ঋণের প্রভাব, মৌলিক সেবার অভাব, নিরাপত্তাহীনতা এবং দুর্বল যোগাযোগ ব্যবস্থা।
হাওর উন্নয়নে ১১ দফা প্রস্তাব পেশ করা হয় হাওর উন্নয়ন আন্দোলনের পক্ষ থেকে। দাবিগুলো হলো—
১. অকাল বন্যা প্রতিরোধে নদী-নালা ও খাল-বিল খনন, ফসল রক্ষায় মাটির বাঁধ নির্মাণ।
২. প্রকৃত মৎস্যজীবীদের জলমহল ইজারা ও শক্তিশালী ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন।
৩. কৃষকদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ, প্রণোদনা, ন্যায্য মূল্য ও সমবায় বাজার।
৪. ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য শস্য বিমা চালু।
৫. ফসল পরিবহনে সাবমারসিবল ও উড়াল সড়ক নির্মাণ।
৬. কৃষিভিত্তিক শিল্পে স্বল্প সুদে ঋণ ও বিনিয়োগ উৎসাহিতকরণ।
৭. কর্মসংস্থান ও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখা স্থাপন, সহজ শর্তে ঋণ।
৮. কৃষি ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন।
৯. আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণ ও চিকিৎসা সুবিধা বৃদ্ধি।
১০. খাস জমি ভূমিহীন কৃষকদের মাঝে বিতরণ।
১১. দারিদ্র্য বিমোচন ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম।
হাওরে ইজারা প্রথা বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে হাওর উন্নয়ন আন্দোলন। এ ছাড়া হাওর এলাকার টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে মোট ১১ দফা প্রস্তাব করেছেন তাঁরা।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘হাওর ও হাওরবাসীর সংকট–সমস্যা সমাধান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব দাবি পেশ করেন।
হাওর উন্নয়ন আন্দোলনের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন খান, সাবেক সচিব কারার মাহমুদুল হাসান, আঃ ওয়াহাব, সাবেক অতিরিক্ত সচিব ড. মো. এমদাদুল হকসহ প্রমুখ।
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন খান বলেন, হাওরে ইজারা প্রথা বন্ধ করতে হবে, ইজারাকৃত জায়গাগুলো উদ্ধার করে সেগুলোকে মাছের অভয়াশ্রয় ঘোষণা করতে হবে। এসব জায়গায় মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে হবে। এতে করে এসব স্থান দেশের বৃহৎ প্রজনন কেন্দ্র হতে পারে। পরবর্তীতে এসব পোনা সারা হাওরে ছড়িয়ে যাবে। এ ছাড়া হাওর অঞ্চলে একটি কৃষি ও জলবায়ু বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়, আঞ্চলিক ধান গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করার আহ্বানও জানান তিনি।
সভায় লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, প্রায় ২৪ হাজার বর্গকিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত হাওর অঞ্চল দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ মানুষের বাসস্থান। এখানকার প্রধান জীবিকা কৃষি ও মৎস্য আহরণ। দেশের মোট ধান উৎপাদনের এক–পঞ্চমাংশ আসে এই অঞ্চল থেকে। তবে বর্ষাকালে হাওরগুলো ১০ থেকে ১৫ ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায়, যা কৃষি ও বসবাসের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বক্তারা বলেন, হাওরের মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থা উন্নয়নের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে একফসলি কৃষি ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা, অকাল বন্যায় ফসলহানি, মৌসুমি অভিবাসন, মহাজনি ঋণের প্রভাব, মৌলিক সেবার অভাব, নিরাপত্তাহীনতা এবং দুর্বল যোগাযোগ ব্যবস্থা।
হাওর উন্নয়নে ১১ দফা প্রস্তাব পেশ করা হয় হাওর উন্নয়ন আন্দোলনের পক্ষ থেকে। দাবিগুলো হলো—
১. অকাল বন্যা প্রতিরোধে নদী-নালা ও খাল-বিল খনন, ফসল রক্ষায় মাটির বাঁধ নির্মাণ।
২. প্রকৃত মৎস্যজীবীদের জলমহল ইজারা ও শক্তিশালী ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন।
৩. কৃষকদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ, প্রণোদনা, ন্যায্য মূল্য ও সমবায় বাজার।
৪. ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য শস্য বিমা চালু।
৫. ফসল পরিবহনে সাবমারসিবল ও উড়াল সড়ক নির্মাণ।
৬. কৃষিভিত্তিক শিল্পে স্বল্প সুদে ঋণ ও বিনিয়োগ উৎসাহিতকরণ।
৭. কর্মসংস্থান ও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখা স্থাপন, সহজ শর্তে ঋণ।
৮. কৃষি ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন।
৯. আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণ ও চিকিৎসা সুবিধা বৃদ্ধি।
১০. খাস জমি ভূমিহীন কৃষকদের মাঝে বিতরণ।
১১. দারিদ্র্য বিমোচন ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম।
সবচেয়ে বিস্তৃতভাবে পাওয়া গেছে ক্যাডমিয়াম ধাতু, যা মানবস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার কিছু অংশে এই ধাতুর উপস্থিতি আশঙ্কাজনক ভাবে বেশি।
১৭ ঘণ্টা আগেসাধারণত বৃষ্টি হলে কমে আসে দূষণ। তবে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীতে তুমুল বৃষ্টির পরও বায়ুমানে তেমন উন্নতি নেই। আজ শুক্রবার, বাতাসের গুণমান সূচক বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স-একিউআইয়ের সকাল ৯টা ৫০ এর রেকর্ড অনুযায়ী, বায়ুমান ১৬১ নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে ঢাকা। যা অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক...
১ দিন আগেসোনা জঙ্ঘা, রঙ্গিলা, চিত্রা বক কিংবা রঙ্গিলা সারস। নামেই দারুণ রঙিন একটা বিষয় আছে এর। আবার যদি জানেন যে এর নাম রাঙা মানিকজোড়, তাহলে আপনার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধুটির কথা মনে হতে পারে, অন্য বন্ধুরা যাকে আপনার মানিকজোড় বলত।
১ দিন আগেবায়ুদূষণে আজ আবার শীর্ষে রাজধানী ঢাকা। টানা বেশ কয়েকদিন রাজধানী শহরের বাতাস সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও গত রোববার থেকে অবনতি হতে শুরু করে বায়ুমান। আজ বৃহস্পতিবার বাতাসের গুণমান সূচক বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স-একিউআইয়ের সকাল ৮ টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী বায়ুমান ১৮৬ নিয়ে প্রথম স্থানে অবস্থান করছে ঢাকা।
২ দিন আগে