গত বছর ছিল বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণ বছর। মহাসাগরের পানির তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে, হিমবাহগুলো বিপজ্জনক গতিতে গলছে। এসব ঘটনা বিজ্ঞানীদের বিভ্রান্ত করে তুলেছিল।
তাঁরা জানেন, অস্বাভাবিক এই উষ্ণতার পেছনে কয়েকটি নিয়ামক কাজ করছে। এর মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে সৃষ্ট গ্রিনহাউস গ্যাস দূষণ এবং প্রাকৃতিক জলবায়ুতে এল নিনোর প্রভাব বিস্তার অন্যতম। তবে শুধু এই কারণগুলো এই অস্বাভাবিক দ্রুত তাপমাত্রা বৃদ্ধির ব্যাখ্যা দিতে পারছিল না।
গত বৃহস্পতিবার সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণায় বিজ্ঞানীরা বলেছেন, তারা ধাঁধার হারিয়ে যাওয়া ওই টুকরোটি খুঁজে পেয়েছেন, সেটা মেঘ।
গবেষণা অনুযায়ী, সাম্প্রতিক তাপমাত্রা বাড়ার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে সমুদ্রের ওপর নিম্নস্তরের মেঘের অভাব। আর এই অনুসন্ধান ভবিষ্যতের উষ্ণায়নের জন্য উদ্বেগজনক বার্তাই দিচ্ছে।
জার্মানির আলফ্রেড ভেগনা ইনস্টিটিউটের জলবায়ু পদার্থবিজ্ঞানী এবং প্রতিবেদনটির একজন লেখক হেলগে গসলিন বলেন, সহজ ভাষায় নিম্ন স্তরের কম উজ্জ্বল মেঘের উপস্থিতি পৃথিবীকে ‘অন্ধকার’ করে তোলে, যা একে বেশি সূর্যের আলো শোষণের সুযোগ করে দিচ্ছে।
এ ঘটনা ‘অ্যালবেডো’ নামে পরিচিত। এটি সেই প্রক্রিয়াকে বোঝায় যেখানে পৃথিবীর পৃষ্ঠ সূর্যের শক্তিকে মহাকাশে প্রতিফলিত করে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৭০-এর দশক থেকে পৃথিবীর অ্যালবেডো ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে। এর একটি বড় কারণ হলো উজ্জ্বল বরফ এবং হালকা রঙের তুষার গলে যাওয়া, যা গাঢ় রঙের ভূমি ও জল উন্মোচন করছে। এগুলো সূর্যের বেশি শক্তি শোষণ করে, ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ছে।
নিম্নস্তরের মেঘও এই প্রভাবকে বাড়িয়ে তোলে, কারণ এগুলো সূর্যের আলো প্রতিফলিত করে মহাকাশে ফেরত পাঠানোর কাজ করে। অর্থাৎ, এ ধরনের মেঘ কমে যাওয়াও ‘অ্যালবেডো’ কমিয়ে দিচ্ছে।
বিজ্ঞানীরা নাসার স্যাটেলাইট ডেটা, আবহাওয়ার তথ্য এবং জলবায়ু মডেল পরীক্ষা করে দেখেছেন যে, নিম্নস্তরের মেঘের পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণে গত বছর পৃথিবীর অ্যালবেডো (সূর্যের আলো প্রতিফলিত করার ক্ষমতা) রেকর্ড সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছিল। গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিশেষ করে উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের কিছু অংশে মেঘের এই পরিমাণে বড় ধস নেমেছে।
সিএনএনকে গবেষক হেলগে গসলিন বলেন, গত বছরের এ ঘটনা নিম্ন স্তরের মেঘের এক দশক ধরে চলা পতনের একটি অংশ।
গবেষণা এখনো নিশ্চিতভাবে বলতে পারছে না কেন এটা ঘটছে। গসলিন বলেন, ‘এটি অত্যন্ত জটিল একটি বিষয় এবং এর কারণগুলো আলাদা করা খুব কঠিন।’
তিনি মনে করেন, এটি সম্ভবত বিভিন্ন কারণে মিলিত প্রভাব। এর একটি হতে পারে পরিবহনশিল্পে সালফার নির্গমন কমানোর জন্য নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ। এগুলো মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হলেও এর আগে এ ধরনের দূষণ মেঘকে উজ্জ্বল করত এবং পৃথিবীকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করত।
প্রাকৃতিক জলবায়ু বৈচিত্র্য, যেমন মহাসাগরের পরিবর্তিত অবস্থা এই তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে পারে। তবে হেলগে গসলিন আরও একটি উদ্বেগজনক কারণের দিকে ইঙ্গিত করেছেন, তা হলো বৈশ্বিক উষ্ণায়ন নিজেই।
নিম্নস্তরের মেঘগুলো সাধারণত ঠান্ডা এবং আর্দ্র নিম্ন বায়ুমণ্ডলে ভালোভাবে টিকে থাকে। কিন্তু পৃথিবীর পৃষ্ঠ যখন উষ্ণ হতে থাকে, তখন এই মেঘগুলো পাতলা হয়ে যেতে পারে বা পুরোপুরি বিলীন হয়ে যেতে পারে। এতে একটি জটিল প্রতিক্রিয়া চক্র তৈরি হয়, যেখানে উষ্ণায়নের কারণে মেঘ কমে যায়, আর মেঘের এই অভাব আবার উষ্ণায়নকে ত্বরান্বিত করে।
যদি এই প্রক্রিয়া চলতে থাকে, তাহলে ভবিষ্যতে বিশ্বের উষ্ণ হয়ে ওঠার যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, পরিস্থিতি তাকেও ছাপিয়ে যেতে পারে। গসলিং বলছেন, ‘আমাদের আরও তীব্র উষ্ণায়নের জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত।’
লরেন্স লিভারমোর ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির বায়ুমণ্ডলীয় বিজ্ঞানী মার্ক জালিঙ্কা, যিনি এই গবেষণায় জড়িত ছিলেন না, বলেন, ‘মেঘের ভূমিকা এখানে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ মেঘ মূলত পৃথিবীর জন্য সানস্ক্রিনের মতো কাজ করে।’
তিনি সিএনএনকে বলেন, মেঘ আচ্ছাদনে ছোট কোনো পরিবর্তনও পৃথিবীর ‘অ্যালবেডো’তে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।
ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির জলবায়ু বিজ্ঞানী টাপিও স্নাইডার বলেন, এই গবেষণার সবচেয়ে উদ্বেগজনক দিকটি হলো, যদি মেঘের পরিমাণ কমে যাওয়ার বড় কারণ বৈশ্বিক উষ্ণায়ন হয়, তাহলে ভবিষ্যতে উষ্ণায়ন পূর্বাভাসের চেয়ে আরও বেশি হতে পারে।
মেঘ দেখতে সহজ আর সাধারণ মনে হলেও এগুলো অত্যন্ত জটিল। বিজ্ঞানীরা এখনো মেঘের আচরণ পুরোপুরি বুঝতে পারেননি। গসলিন এটিকে জলবায়ু বিজ্ঞানের অন্যতম ‘বড় মাথাব্যথা’ বলে উল্লেখ করেছেন।
তবে মেঘ বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রতি কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে, তা বোঝা খুব গুরুত্বপূর্ণ, জালিঙ্কা বলেছেন। তিনি আরও বলেন, ‘এটি আসলে নির্ধারণ করে যে ভবিষ্যতে উষ্ণায়নের মাত্রা কতটা হবে।’
গত বছর ছিল বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণ বছর। মহাসাগরের পানির তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে, হিমবাহগুলো বিপজ্জনক গতিতে গলছে। এসব ঘটনা বিজ্ঞানীদের বিভ্রান্ত করে তুলেছিল।
তাঁরা জানেন, অস্বাভাবিক এই উষ্ণতার পেছনে কয়েকটি নিয়ামক কাজ করছে। এর মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে সৃষ্ট গ্রিনহাউস গ্যাস দূষণ এবং প্রাকৃতিক জলবায়ুতে এল নিনোর প্রভাব বিস্তার অন্যতম। তবে শুধু এই কারণগুলো এই অস্বাভাবিক দ্রুত তাপমাত্রা বৃদ্ধির ব্যাখ্যা দিতে পারছিল না।
গত বৃহস্পতিবার সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণায় বিজ্ঞানীরা বলেছেন, তারা ধাঁধার হারিয়ে যাওয়া ওই টুকরোটি খুঁজে পেয়েছেন, সেটা মেঘ।
গবেষণা অনুযায়ী, সাম্প্রতিক তাপমাত্রা বাড়ার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে সমুদ্রের ওপর নিম্নস্তরের মেঘের অভাব। আর এই অনুসন্ধান ভবিষ্যতের উষ্ণায়নের জন্য উদ্বেগজনক বার্তাই দিচ্ছে।
জার্মানির আলফ্রেড ভেগনা ইনস্টিটিউটের জলবায়ু পদার্থবিজ্ঞানী এবং প্রতিবেদনটির একজন লেখক হেলগে গসলিন বলেন, সহজ ভাষায় নিম্ন স্তরের কম উজ্জ্বল মেঘের উপস্থিতি পৃথিবীকে ‘অন্ধকার’ করে তোলে, যা একে বেশি সূর্যের আলো শোষণের সুযোগ করে দিচ্ছে।
এ ঘটনা ‘অ্যালবেডো’ নামে পরিচিত। এটি সেই প্রক্রিয়াকে বোঝায় যেখানে পৃথিবীর পৃষ্ঠ সূর্যের শক্তিকে মহাকাশে প্রতিফলিত করে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৭০-এর দশক থেকে পৃথিবীর অ্যালবেডো ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে। এর একটি বড় কারণ হলো উজ্জ্বল বরফ এবং হালকা রঙের তুষার গলে যাওয়া, যা গাঢ় রঙের ভূমি ও জল উন্মোচন করছে। এগুলো সূর্যের বেশি শক্তি শোষণ করে, ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ছে।
নিম্নস্তরের মেঘও এই প্রভাবকে বাড়িয়ে তোলে, কারণ এগুলো সূর্যের আলো প্রতিফলিত করে মহাকাশে ফেরত পাঠানোর কাজ করে। অর্থাৎ, এ ধরনের মেঘ কমে যাওয়াও ‘অ্যালবেডো’ কমিয়ে দিচ্ছে।
বিজ্ঞানীরা নাসার স্যাটেলাইট ডেটা, আবহাওয়ার তথ্য এবং জলবায়ু মডেল পরীক্ষা করে দেখেছেন যে, নিম্নস্তরের মেঘের পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণে গত বছর পৃথিবীর অ্যালবেডো (সূর্যের আলো প্রতিফলিত করার ক্ষমতা) রেকর্ড সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছিল। গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিশেষ করে উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের কিছু অংশে মেঘের এই পরিমাণে বড় ধস নেমেছে।
সিএনএনকে গবেষক হেলগে গসলিন বলেন, গত বছরের এ ঘটনা নিম্ন স্তরের মেঘের এক দশক ধরে চলা পতনের একটি অংশ।
গবেষণা এখনো নিশ্চিতভাবে বলতে পারছে না কেন এটা ঘটছে। গসলিন বলেন, ‘এটি অত্যন্ত জটিল একটি বিষয় এবং এর কারণগুলো আলাদা করা খুব কঠিন।’
তিনি মনে করেন, এটি সম্ভবত বিভিন্ন কারণে মিলিত প্রভাব। এর একটি হতে পারে পরিবহনশিল্পে সালফার নির্গমন কমানোর জন্য নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ। এগুলো মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হলেও এর আগে এ ধরনের দূষণ মেঘকে উজ্জ্বল করত এবং পৃথিবীকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করত।
প্রাকৃতিক জলবায়ু বৈচিত্র্য, যেমন মহাসাগরের পরিবর্তিত অবস্থা এই তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে পারে। তবে হেলগে গসলিন আরও একটি উদ্বেগজনক কারণের দিকে ইঙ্গিত করেছেন, তা হলো বৈশ্বিক উষ্ণায়ন নিজেই।
নিম্নস্তরের মেঘগুলো সাধারণত ঠান্ডা এবং আর্দ্র নিম্ন বায়ুমণ্ডলে ভালোভাবে টিকে থাকে। কিন্তু পৃথিবীর পৃষ্ঠ যখন উষ্ণ হতে থাকে, তখন এই মেঘগুলো পাতলা হয়ে যেতে পারে বা পুরোপুরি বিলীন হয়ে যেতে পারে। এতে একটি জটিল প্রতিক্রিয়া চক্র তৈরি হয়, যেখানে উষ্ণায়নের কারণে মেঘ কমে যায়, আর মেঘের এই অভাব আবার উষ্ণায়নকে ত্বরান্বিত করে।
যদি এই প্রক্রিয়া চলতে থাকে, তাহলে ভবিষ্যতে বিশ্বের উষ্ণ হয়ে ওঠার যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, পরিস্থিতি তাকেও ছাপিয়ে যেতে পারে। গসলিং বলছেন, ‘আমাদের আরও তীব্র উষ্ণায়নের জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত।’
লরেন্স লিভারমোর ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির বায়ুমণ্ডলীয় বিজ্ঞানী মার্ক জালিঙ্কা, যিনি এই গবেষণায় জড়িত ছিলেন না, বলেন, ‘মেঘের ভূমিকা এখানে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ মেঘ মূলত পৃথিবীর জন্য সানস্ক্রিনের মতো কাজ করে।’
তিনি সিএনএনকে বলেন, মেঘ আচ্ছাদনে ছোট কোনো পরিবর্তনও পৃথিবীর ‘অ্যালবেডো’তে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।
ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির জলবায়ু বিজ্ঞানী টাপিও স্নাইডার বলেন, এই গবেষণার সবচেয়ে উদ্বেগজনক দিকটি হলো, যদি মেঘের পরিমাণ কমে যাওয়ার বড় কারণ বৈশ্বিক উষ্ণায়ন হয়, তাহলে ভবিষ্যতে উষ্ণায়ন পূর্বাভাসের চেয়ে আরও বেশি হতে পারে।
মেঘ দেখতে সহজ আর সাধারণ মনে হলেও এগুলো অত্যন্ত জটিল। বিজ্ঞানীরা এখনো মেঘের আচরণ পুরোপুরি বুঝতে পারেননি। গসলিন এটিকে জলবায়ু বিজ্ঞানের অন্যতম ‘বড় মাথাব্যথা’ বলে উল্লেখ করেছেন।
তবে মেঘ বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রতি কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে, তা বোঝা খুব গুরুত্বপূর্ণ, জালিঙ্কা বলেছেন। তিনি আরও বলেন, ‘এটি আসলে নির্ধারণ করে যে ভবিষ্যতে উষ্ণায়নের মাত্রা কতটা হবে।’
গত বছর ছিল বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণ বছর। মহাসাগরের পানির তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে, হিমবাহগুলো বিপজ্জনক গতিতে গলছে। এসব ঘটনা বিজ্ঞানীদের বিভ্রান্ত করে তুলেছিল।
তাঁরা জানেন, অস্বাভাবিক এই উষ্ণতার পেছনে কয়েকটি নিয়ামক কাজ করছে। এর মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে সৃষ্ট গ্রিনহাউস গ্যাস দূষণ এবং প্রাকৃতিক জলবায়ুতে এল নিনোর প্রভাব বিস্তার অন্যতম। তবে শুধু এই কারণগুলো এই অস্বাভাবিক দ্রুত তাপমাত্রা বৃদ্ধির ব্যাখ্যা দিতে পারছিল না।
গত বৃহস্পতিবার সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণায় বিজ্ঞানীরা বলেছেন, তারা ধাঁধার হারিয়ে যাওয়া ওই টুকরোটি খুঁজে পেয়েছেন, সেটা মেঘ।
গবেষণা অনুযায়ী, সাম্প্রতিক তাপমাত্রা বাড়ার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে সমুদ্রের ওপর নিম্নস্তরের মেঘের অভাব। আর এই অনুসন্ধান ভবিষ্যতের উষ্ণায়নের জন্য উদ্বেগজনক বার্তাই দিচ্ছে।
জার্মানির আলফ্রেড ভেগনা ইনস্টিটিউটের জলবায়ু পদার্থবিজ্ঞানী এবং প্রতিবেদনটির একজন লেখক হেলগে গসলিন বলেন, সহজ ভাষায় নিম্ন স্তরের কম উজ্জ্বল মেঘের উপস্থিতি পৃথিবীকে ‘অন্ধকার’ করে তোলে, যা একে বেশি সূর্যের আলো শোষণের সুযোগ করে দিচ্ছে।
এ ঘটনা ‘অ্যালবেডো’ নামে পরিচিত। এটি সেই প্রক্রিয়াকে বোঝায় যেখানে পৃথিবীর পৃষ্ঠ সূর্যের শক্তিকে মহাকাশে প্রতিফলিত করে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৭০-এর দশক থেকে পৃথিবীর অ্যালবেডো ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে। এর একটি বড় কারণ হলো উজ্জ্বল বরফ এবং হালকা রঙের তুষার গলে যাওয়া, যা গাঢ় রঙের ভূমি ও জল উন্মোচন করছে। এগুলো সূর্যের বেশি শক্তি শোষণ করে, ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ছে।
নিম্নস্তরের মেঘও এই প্রভাবকে বাড়িয়ে তোলে, কারণ এগুলো সূর্যের আলো প্রতিফলিত করে মহাকাশে ফেরত পাঠানোর কাজ করে। অর্থাৎ, এ ধরনের মেঘ কমে যাওয়াও ‘অ্যালবেডো’ কমিয়ে দিচ্ছে।
বিজ্ঞানীরা নাসার স্যাটেলাইট ডেটা, আবহাওয়ার তথ্য এবং জলবায়ু মডেল পরীক্ষা করে দেখেছেন যে, নিম্নস্তরের মেঘের পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণে গত বছর পৃথিবীর অ্যালবেডো (সূর্যের আলো প্রতিফলিত করার ক্ষমতা) রেকর্ড সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছিল। গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিশেষ করে উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের কিছু অংশে মেঘের এই পরিমাণে বড় ধস নেমেছে।
সিএনএনকে গবেষক হেলগে গসলিন বলেন, গত বছরের এ ঘটনা নিম্ন স্তরের মেঘের এক দশক ধরে চলা পতনের একটি অংশ।
গবেষণা এখনো নিশ্চিতভাবে বলতে পারছে না কেন এটা ঘটছে। গসলিন বলেন, ‘এটি অত্যন্ত জটিল একটি বিষয় এবং এর কারণগুলো আলাদা করা খুব কঠিন।’
তিনি মনে করেন, এটি সম্ভবত বিভিন্ন কারণে মিলিত প্রভাব। এর একটি হতে পারে পরিবহনশিল্পে সালফার নির্গমন কমানোর জন্য নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ। এগুলো মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হলেও এর আগে এ ধরনের দূষণ মেঘকে উজ্জ্বল করত এবং পৃথিবীকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করত।
প্রাকৃতিক জলবায়ু বৈচিত্র্য, যেমন মহাসাগরের পরিবর্তিত অবস্থা এই তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে পারে। তবে হেলগে গসলিন আরও একটি উদ্বেগজনক কারণের দিকে ইঙ্গিত করেছেন, তা হলো বৈশ্বিক উষ্ণায়ন নিজেই।
নিম্নস্তরের মেঘগুলো সাধারণত ঠান্ডা এবং আর্দ্র নিম্ন বায়ুমণ্ডলে ভালোভাবে টিকে থাকে। কিন্তু পৃথিবীর পৃষ্ঠ যখন উষ্ণ হতে থাকে, তখন এই মেঘগুলো পাতলা হয়ে যেতে পারে বা পুরোপুরি বিলীন হয়ে যেতে পারে। এতে একটি জটিল প্রতিক্রিয়া চক্র তৈরি হয়, যেখানে উষ্ণায়নের কারণে মেঘ কমে যায়, আর মেঘের এই অভাব আবার উষ্ণায়নকে ত্বরান্বিত করে।
যদি এই প্রক্রিয়া চলতে থাকে, তাহলে ভবিষ্যতে বিশ্বের উষ্ণ হয়ে ওঠার যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, পরিস্থিতি তাকেও ছাপিয়ে যেতে পারে। গসলিং বলছেন, ‘আমাদের আরও তীব্র উষ্ণায়নের জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত।’
লরেন্স লিভারমোর ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির বায়ুমণ্ডলীয় বিজ্ঞানী মার্ক জালিঙ্কা, যিনি এই গবেষণায় জড়িত ছিলেন না, বলেন, ‘মেঘের ভূমিকা এখানে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ মেঘ মূলত পৃথিবীর জন্য সানস্ক্রিনের মতো কাজ করে।’
তিনি সিএনএনকে বলেন, মেঘ আচ্ছাদনে ছোট কোনো পরিবর্তনও পৃথিবীর ‘অ্যালবেডো’তে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।
ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির জলবায়ু বিজ্ঞানী টাপিও স্নাইডার বলেন, এই গবেষণার সবচেয়ে উদ্বেগজনক দিকটি হলো, যদি মেঘের পরিমাণ কমে যাওয়ার বড় কারণ বৈশ্বিক উষ্ণায়ন হয়, তাহলে ভবিষ্যতে উষ্ণায়ন পূর্বাভাসের চেয়ে আরও বেশি হতে পারে।
মেঘ দেখতে সহজ আর সাধারণ মনে হলেও এগুলো অত্যন্ত জটিল। বিজ্ঞানীরা এখনো মেঘের আচরণ পুরোপুরি বুঝতে পারেননি। গসলিন এটিকে জলবায়ু বিজ্ঞানের অন্যতম ‘বড় মাথাব্যথা’ বলে উল্লেখ করেছেন।
তবে মেঘ বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রতি কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে, তা বোঝা খুব গুরুত্বপূর্ণ, জালিঙ্কা বলেছেন। তিনি আরও বলেন, ‘এটি আসলে নির্ধারণ করে যে ভবিষ্যতে উষ্ণায়নের মাত্রা কতটা হবে।’
গত বছর ছিল বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণ বছর। মহাসাগরের পানির তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে, হিমবাহগুলো বিপজ্জনক গতিতে গলছে। এসব ঘটনা বিজ্ঞানীদের বিভ্রান্ত করে তুলেছিল।
তাঁরা জানেন, অস্বাভাবিক এই উষ্ণতার পেছনে কয়েকটি নিয়ামক কাজ করছে। এর মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে সৃষ্ট গ্রিনহাউস গ্যাস দূষণ এবং প্রাকৃতিক জলবায়ুতে এল নিনোর প্রভাব বিস্তার অন্যতম। তবে শুধু এই কারণগুলো এই অস্বাভাবিক দ্রুত তাপমাত্রা বৃদ্ধির ব্যাখ্যা দিতে পারছিল না।
গত বৃহস্পতিবার সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণায় বিজ্ঞানীরা বলেছেন, তারা ধাঁধার হারিয়ে যাওয়া ওই টুকরোটি খুঁজে পেয়েছেন, সেটা মেঘ।
গবেষণা অনুযায়ী, সাম্প্রতিক তাপমাত্রা বাড়ার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে সমুদ্রের ওপর নিম্নস্তরের মেঘের অভাব। আর এই অনুসন্ধান ভবিষ্যতের উষ্ণায়নের জন্য উদ্বেগজনক বার্তাই দিচ্ছে।
জার্মানির আলফ্রেড ভেগনা ইনস্টিটিউটের জলবায়ু পদার্থবিজ্ঞানী এবং প্রতিবেদনটির একজন লেখক হেলগে গসলিন বলেন, সহজ ভাষায় নিম্ন স্তরের কম উজ্জ্বল মেঘের উপস্থিতি পৃথিবীকে ‘অন্ধকার’ করে তোলে, যা একে বেশি সূর্যের আলো শোষণের সুযোগ করে দিচ্ছে।
এ ঘটনা ‘অ্যালবেডো’ নামে পরিচিত। এটি সেই প্রক্রিয়াকে বোঝায় যেখানে পৃথিবীর পৃষ্ঠ সূর্যের শক্তিকে মহাকাশে প্রতিফলিত করে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৭০-এর দশক থেকে পৃথিবীর অ্যালবেডো ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে। এর একটি বড় কারণ হলো উজ্জ্বল বরফ এবং হালকা রঙের তুষার গলে যাওয়া, যা গাঢ় রঙের ভূমি ও জল উন্মোচন করছে। এগুলো সূর্যের বেশি শক্তি শোষণ করে, ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ছে।
নিম্নস্তরের মেঘও এই প্রভাবকে বাড়িয়ে তোলে, কারণ এগুলো সূর্যের আলো প্রতিফলিত করে মহাকাশে ফেরত পাঠানোর কাজ করে। অর্থাৎ, এ ধরনের মেঘ কমে যাওয়াও ‘অ্যালবেডো’ কমিয়ে দিচ্ছে।
বিজ্ঞানীরা নাসার স্যাটেলাইট ডেটা, আবহাওয়ার তথ্য এবং জলবায়ু মডেল পরীক্ষা করে দেখেছেন যে, নিম্নস্তরের মেঘের পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণে গত বছর পৃথিবীর অ্যালবেডো (সূর্যের আলো প্রতিফলিত করার ক্ষমতা) রেকর্ড সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছিল। গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিশেষ করে উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের কিছু অংশে মেঘের এই পরিমাণে বড় ধস নেমেছে।
সিএনএনকে গবেষক হেলগে গসলিন বলেন, গত বছরের এ ঘটনা নিম্ন স্তরের মেঘের এক দশক ধরে চলা পতনের একটি অংশ।
গবেষণা এখনো নিশ্চিতভাবে বলতে পারছে না কেন এটা ঘটছে। গসলিন বলেন, ‘এটি অত্যন্ত জটিল একটি বিষয় এবং এর কারণগুলো আলাদা করা খুব কঠিন।’
তিনি মনে করেন, এটি সম্ভবত বিভিন্ন কারণে মিলিত প্রভাব। এর একটি হতে পারে পরিবহনশিল্পে সালফার নির্গমন কমানোর জন্য নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ। এগুলো মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হলেও এর আগে এ ধরনের দূষণ মেঘকে উজ্জ্বল করত এবং পৃথিবীকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করত।
প্রাকৃতিক জলবায়ু বৈচিত্র্য, যেমন মহাসাগরের পরিবর্তিত অবস্থা এই তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে পারে। তবে হেলগে গসলিন আরও একটি উদ্বেগজনক কারণের দিকে ইঙ্গিত করেছেন, তা হলো বৈশ্বিক উষ্ণায়ন নিজেই।
নিম্নস্তরের মেঘগুলো সাধারণত ঠান্ডা এবং আর্দ্র নিম্ন বায়ুমণ্ডলে ভালোভাবে টিকে থাকে। কিন্তু পৃথিবীর পৃষ্ঠ যখন উষ্ণ হতে থাকে, তখন এই মেঘগুলো পাতলা হয়ে যেতে পারে বা পুরোপুরি বিলীন হয়ে যেতে পারে। এতে একটি জটিল প্রতিক্রিয়া চক্র তৈরি হয়, যেখানে উষ্ণায়নের কারণে মেঘ কমে যায়, আর মেঘের এই অভাব আবার উষ্ণায়নকে ত্বরান্বিত করে।
যদি এই প্রক্রিয়া চলতে থাকে, তাহলে ভবিষ্যতে বিশ্বের উষ্ণ হয়ে ওঠার যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, পরিস্থিতি তাকেও ছাপিয়ে যেতে পারে। গসলিং বলছেন, ‘আমাদের আরও তীব্র উষ্ণায়নের জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত।’
লরেন্স লিভারমোর ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির বায়ুমণ্ডলীয় বিজ্ঞানী মার্ক জালিঙ্কা, যিনি এই গবেষণায় জড়িত ছিলেন না, বলেন, ‘মেঘের ভূমিকা এখানে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ মেঘ মূলত পৃথিবীর জন্য সানস্ক্রিনের মতো কাজ করে।’
তিনি সিএনএনকে বলেন, মেঘ আচ্ছাদনে ছোট কোনো পরিবর্তনও পৃথিবীর ‘অ্যালবেডো’তে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।
ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির জলবায়ু বিজ্ঞানী টাপিও স্নাইডার বলেন, এই গবেষণার সবচেয়ে উদ্বেগজনক দিকটি হলো, যদি মেঘের পরিমাণ কমে যাওয়ার বড় কারণ বৈশ্বিক উষ্ণায়ন হয়, তাহলে ভবিষ্যতে উষ্ণায়ন পূর্বাভাসের চেয়ে আরও বেশি হতে পারে।
মেঘ দেখতে সহজ আর সাধারণ মনে হলেও এগুলো অত্যন্ত জটিল। বিজ্ঞানীরা এখনো মেঘের আচরণ পুরোপুরি বুঝতে পারেননি। গসলিন এটিকে জলবায়ু বিজ্ঞানের অন্যতম ‘বড় মাথাব্যথা’ বলে উল্লেখ করেছেন।
তবে মেঘ বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রতি কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে, তা বোঝা খুব গুরুত্বপূর্ণ, জালিঙ্কা বলেছেন। তিনি আরও বলেন, ‘এটি আসলে নির্ধারণ করে যে ভবিষ্যতে উষ্ণায়নের মাত্রা কতটা হবে।’
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং...
২০ ঘণ্টা আগেনিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আগে সাগরে বা উপকূলীয় এলাকায় অনেক সময় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে যে গরম পড়েছে, এর সঙ্গে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়া না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
১ দিন আগেদীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকার শীর্ষ দশের মধ্যে দেখা যাচ্ছে তিন প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের রাজধানী শহর ঢাকা, পাকিস্তান ও দিল্লি। আজ রোববারও ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে।
২ দিন আগেখুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সোমবার সকাল ১০টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৫২। গতকাল রোববার সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটেও বায়ুমান একই ছিল।
বায়ুদূষণের শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় আজ ৭ম স্থানে রয়েছে ঢাকা। গতকালও একই অবস্থানে ছিল এই রাজধানী শহরটি।
আজ বায়ুদূষণের শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির বায়ুমান আজ ৩০৩, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের মুম্বাই, উজবেকিস্তানের তাসখন্দ ও ভারতের কলকাতা। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৯৭, ১৭৭, ১৫৮ ও ১৫৬।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সোমবার সকাল ১০টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৫২। গতকাল রোববার সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটেও বায়ুমান একই ছিল।
বায়ুদূষণের শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় আজ ৭ম স্থানে রয়েছে ঢাকা। গতকালও একই অবস্থানে ছিল এই রাজধানী শহরটি।
আজ বায়ুদূষণের শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির বায়ুমান আজ ৩০৩, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের মুম্বাই, উজবেকিস্তানের তাসখন্দ ও ভারতের কলকাতা। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৯৭, ১৭৭, ১৫৮ ও ১৫৬।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
গত বছর ছিল বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণ বছর। মহাসাগরের পানির তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে, হিমবাহগুলি বিপজ্জনক গতিতে গলছে। এই ঘটনাগুলো বিজ্ঞানীদের বিভ্রান্ত করে তুলেছিল। তবে এখন তাঁরা বলছেন কারণটা খুঁজে বের করা সম্ভব হয়েছে।
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আগে সাগরে বা উপকূলীয় এলাকায় অনেক সময় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে যে গরম পড়েছে, এর সঙ্গে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়া না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
১ দিন আগেদীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকার শীর্ষ দশের মধ্যে দেখা যাচ্ছে তিন প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের রাজধানী শহর ঢাকা, পাকিস্তান ও দিল্লি। আজ রোববারও ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে।
২ দিন আগেখুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
বর্ষাকাল বিদায় নিয়েছে। প্রকৃতিতে চলছে এখন হেমন্তকাল। কিন্তু আবহাওয়ার আচরণ অনেকটাই গ্রীষ্মকালের মতো। কয়েক দিন ধরে সকালে সূর্যের তাপ কিছুটা কম থাকলেও বেলা গড়িয়ে দুপুর থেকে বিকেলের আগপর্যন্ত এর তীব্রতা বেড়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এটি শক্তিশালী হয়ে পরিণত হতে পারে নিম্নচাপে।
নিম্নচাপ সম্পর্কে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ২১ অক্টোবর একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তীতে এটি ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানান, মধ্য অক্টোবরে বাংলাদেশ থেকে মৌসুমি বায়ু বিদায়ের পর বৃষ্টি কমে গেছে। লঘুচাপ বা নিম্নচাপের প্রভাব কেটে গেলে তাপমাত্রা কমে গিয়ে শীতের আমেজ পড়বে সারা দেশে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ সোমবার সকাল ৭টার পূর্বাভাস অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকায় সকালে তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, গতকাল রোববার ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৫, আর সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টাঙ্গাইলে ৩৫ দশমিক ৭ সেলসিয়াস। সারা দেশে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
কার্তিক মাসে এই তাপমাত্রা স্বাভাবিক কিনা জানতে চাইলে আজ সোমবার সকালে আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন যে ধরনের গরম পড়ছে সেটি বৃষ্টি কমে যাওয়ার জন্য হয়েছে। সাধারণত অক্টোবর মাসের এই সময় মৌসুমি বায়ু বিদায়ের পর বৃষ্টি কম হয়। তখন তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়।
লঘুচাপ বা নিম্নচাপ সৃষ্টির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আগে সাগরে বা উপকূলীয় এলাকায় অনেক সময় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে যে গরম পড়েছে, এর সঙ্গে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়া না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। আপাতত মনে হচ্ছে কালকের (২১ অক্টোবর) মধ্যে উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এটি পরে নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের তামিলনাড়ু উপকূলের দিকে যেতে পারে। তবে লঘুচাপটি নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার আগপর্যন্ত এর গতিপথ সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না। আর নিম্নচাপের প্রভাব কেটে গেলে দেশের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমে শীতের আমেজ পড়বে।
হাফিজুর রহমান আরও বলেন, সূর্যের দক্ষিণায়ন (দক্ষিণ দিকে হেলে পড়া) এখনো পুরোপুরি হয়নি। এই দক্ষিণায়ন হলে দিনের ব্যাপ্তি আরও কমবে, তাপমাত্রা তখন কমে শীতও বাড়বে।
বর্ষাকাল বিদায় নিয়েছে। প্রকৃতিতে চলছে এখন হেমন্তকাল। কিন্তু আবহাওয়ার আচরণ অনেকটাই গ্রীষ্মকালের মতো। কয়েক দিন ধরে সকালে সূর্যের তাপ কিছুটা কম থাকলেও বেলা গড়িয়ে দুপুর থেকে বিকেলের আগপর্যন্ত এর তীব্রতা বেড়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এটি শক্তিশালী হয়ে পরিণত হতে পারে নিম্নচাপে।
নিম্নচাপ সম্পর্কে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ২১ অক্টোবর একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তীতে এটি ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানান, মধ্য অক্টোবরে বাংলাদেশ থেকে মৌসুমি বায়ু বিদায়ের পর বৃষ্টি কমে গেছে। লঘুচাপ বা নিম্নচাপের প্রভাব কেটে গেলে তাপমাত্রা কমে গিয়ে শীতের আমেজ পড়বে সারা দেশে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ সোমবার সকাল ৭টার পূর্বাভাস অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকায় সকালে তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, গতকাল রোববার ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৫, আর সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টাঙ্গাইলে ৩৫ দশমিক ৭ সেলসিয়াস। সারা দেশে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
কার্তিক মাসে এই তাপমাত্রা স্বাভাবিক কিনা জানতে চাইলে আজ সোমবার সকালে আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন যে ধরনের গরম পড়ছে সেটি বৃষ্টি কমে যাওয়ার জন্য হয়েছে। সাধারণত অক্টোবর মাসের এই সময় মৌসুমি বায়ু বিদায়ের পর বৃষ্টি কম হয়। তখন তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়।
লঘুচাপ বা নিম্নচাপ সৃষ্টির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আগে সাগরে বা উপকূলীয় এলাকায় অনেক সময় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে যে গরম পড়েছে, এর সঙ্গে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়া না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। আপাতত মনে হচ্ছে কালকের (২১ অক্টোবর) মধ্যে উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এটি পরে নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের তামিলনাড়ু উপকূলের দিকে যেতে পারে। তবে লঘুচাপটি নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার আগপর্যন্ত এর গতিপথ সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না। আর নিম্নচাপের প্রভাব কেটে গেলে দেশের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমে শীতের আমেজ পড়বে।
হাফিজুর রহমান আরও বলেন, সূর্যের দক্ষিণায়ন (দক্ষিণ দিকে হেলে পড়া) এখনো পুরোপুরি হয়নি। এই দক্ষিণায়ন হলে দিনের ব্যাপ্তি আরও কমবে, তাপমাত্রা তখন কমে শীতও বাড়বে।
গত বছর ছিল বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণ বছর। মহাসাগরের পানির তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে, হিমবাহগুলি বিপজ্জনক গতিতে গলছে। এই ঘটনাগুলো বিজ্ঞানীদের বিভ্রান্ত করে তুলেছিল। তবে এখন তাঁরা বলছেন কারণটা খুঁজে বের করা সম্ভব হয়েছে।
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং...
২০ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকার শীর্ষ দশের মধ্যে দেখা যাচ্ছে তিন প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের রাজধানী শহর ঢাকা, পাকিস্তান ও দিল্লি। আজ রোববারও ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে।
২ দিন আগেখুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকার শীর্ষ দশের মধ্যে দেখা যাচ্ছে তিন প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের রাজধানী শহর ঢাকা, পাকিস্তান ও দিল্লি। আজ রোববারও ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ রোববার সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৫২। যা গতকাল শনিবার ৯টা ১৫ মিনিটে ছিল ১৭২। সে অনুযায়ী বলা যায় আজ দূষণ কিছুটা কমতির দিকে।
বায়ুদূষণের শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় আজ ঢাকা রয়েছে ৭ম স্থানে। গতকাল ছিল ৪র্থ স্থানে।
টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বায়ুদূষণের শীর্ষে আছে পাকিস্তানের লাহোর। শহরটির বায়ুমান আজ ৩১১, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— ভারতের দিল্লি ও কলকাতা, পাকিস্তানের করাচি ও ভিয়েতনামের হ্যানয়। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৪১, ১৯০, ১৭৭ ও ১৫৯।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকার শীর্ষ দশের মধ্যে দেখা যাচ্ছে তিন প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের রাজধানী শহর ঢাকা, পাকিস্তান ও দিল্লি। আজ রোববারও ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ রোববার সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৫২। যা গতকাল শনিবার ৯টা ১৫ মিনিটে ছিল ১৭২। সে অনুযায়ী বলা যায় আজ দূষণ কিছুটা কমতির দিকে।
বায়ুদূষণের শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় আজ ঢাকা রয়েছে ৭ম স্থানে। গতকাল ছিল ৪র্থ স্থানে।
টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বায়ুদূষণের শীর্ষে আছে পাকিস্তানের লাহোর। শহরটির বায়ুমান আজ ৩১১, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— ভারতের দিল্লি ও কলকাতা, পাকিস্তানের করাচি ও ভিয়েতনামের হ্যানয়। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৪১, ১৯০, ১৭৭ ও ১৫৯।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
গত বছর ছিল বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণ বছর। মহাসাগরের পানির তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে, হিমবাহগুলি বিপজ্জনক গতিতে গলছে। এই ঘটনাগুলো বিজ্ঞানীদের বিভ্রান্ত করে তুলেছিল। তবে এখন তাঁরা বলছেন কারণটা খুঁজে বের করা সম্ভব হয়েছে।
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং...
২০ ঘণ্টা আগেনিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আগে সাগরে বা উপকূলীয় এলাকায় অনেক সময় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে যে গরম পড়েছে, এর সঙ্গে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়া না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
১ দিন আগেখুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
কার্তিক মাস চলে এলেও বেশ ভ্যাপসা গরম পড়েছে সারা দেশে। গতকাল শনিবার সিলেটে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাজধানী ঢাকায় যা ছিল ৩৫ দশমিক ৭। আজ রোববারও আবহাওয়ার তেমন পরিবর্তন হবে না।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকাল ৭টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। আবহাওয়া থাকবে শুষ্ক।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
তবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশের আজকের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
কার্তিক মাস চলে এলেও বেশ ভ্যাপসা গরম পড়েছে সারা দেশে। গতকাল শনিবার সিলেটে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাজধানী ঢাকায় যা ছিল ৩৫ দশমিক ৭। আজ রোববারও আবহাওয়ার তেমন পরিবর্তন হবে না।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকাল ৭টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। আবহাওয়া থাকবে শুষ্ক।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
তবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশের আজকের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
গত বছর ছিল বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণ বছর। মহাসাগরের পানির তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে, হিমবাহগুলি বিপজ্জনক গতিতে গলছে। এই ঘটনাগুলো বিজ্ঞানীদের বিভ্রান্ত করে তুলেছিল। তবে এখন তাঁরা বলছেন কারণটা খুঁজে বের করা সম্ভব হয়েছে।
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং...
২০ ঘণ্টা আগেনিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আগে সাগরে বা উপকূলীয় এলাকায় অনেক সময় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে যে গরম পড়েছে, এর সঙ্গে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়া না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
১ দিন আগেদীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকার শীর্ষ দশের মধ্যে দেখা যাচ্ছে তিন প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের রাজধানী শহর ঢাকা, পাকিস্তান ও দিল্লি। আজ রোববারও ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে।
২ দিন আগে