আজকের পত্রিকা ডেস্ক
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে চলমান বিতর্কের মধ্যে বিজ্ঞানীরা একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে এনেছেন। তাঁরা বলছেন, গত ২০ বছরে আর্কটিকের বরফ গলার গতি নাটকীয়ভাবে কমেছে। ২০০৫ সালের পর থেকে বরফের পরিমাণ কমে যাওয়ার ক্ষেত্রে পরিসংখ্যানগতভাবে কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা যায়নি।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে কার্বন নিঃসরণ অব্যাহত থাকা সত্ত্বেও এমনটা ঘটা বেশ আশ্চর্যজনক। তাঁদের মতে, আর্কটিকের বরফ গলার গতি কমার পেছনে রয়েছে প্রাকৃতিক কারণ। প্রশান্ত ও আটলান্টিক মহাসাগরের সামুদ্রিক স্রোতের দীর্ঘমেয়াদি পরিবর্তনের ফলে উষ্ণ পানির প্রবাহ সীমিত হয়েছে, যা বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়ার প্রভাবকে সাময়িকভাবে প্রতিহত করেছে।
যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব এক্সিটারের ড. মার্ক ইংল্যান্ডের নেতৃত্বে পরিচালিত এ গবেষণা জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটারস জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। হাজার হাজার জলবায়ু মডেল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এটি কোনো বিরল ঘটনা নয়, বরং শতাব্দীতে দু-একবার এমনটা ঘটতে পারে।
ড. ইংল্যান্ড বলেছেন, ‘১৫ বছর আগে যখন বরফ গলার গতি বাড়ছিল, তখন কেউ কেউ ২০২০ সালের আগেই আর্কটিক বরফশূন্য হয়ে যাওয়ার কথা বলছিলেন। কিন্তু এখন প্রাকৃতিক পরিবর্তনের ফলে বরফ গলার হার কমেছে। এটি আমাদের কিছুটা বাড়তি সময় দিয়েছে, তবে এটি একটি সাময়িক স্বস্তিমাত্র।’
বিজ্ঞানীরা জোর দিয়ে বলছেন, এই গতি হ্রাস মানে এই নয় যে আর্কটিকের বরফ ফিরে আসছে। ১৯৭৯ সালে স্যাটেলাইট পরিমাপ শুরু হওয়ার পর থেকে সেপ্টেম্বরের বার্ষিক সর্বনিম্ন বরফের পরিমাণ অর্ধেক হয়ে গেছে। তাঁদের মতে, জলবায়ু সংকট ‘নিঃসন্দেহে বাস্তব’ ও এর সবচেয়ে খারাপ প্রভাব এড়াতে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া অপরিহার্য।
গবেষকেরা সতর্ক করে দিয়েছেন, এই প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া একসময় শেষ হবে এবং আগামী পাঁচ থেকে দশ বছরের মধ্যে বরফ গলার হার আবার বাড়তে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদি গড়ের প্রায় দ্বিগুণ হবে। এর ফলে একসময় আর্কটিক অঞ্চল বরফশূন্য হয়ে পড়বে, যা ওই অঞ্চলের বন্য প্রাণী ও মানুষের জীবনযাত্রার জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি করবে।
লন্ডন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জুলিয়েন স্ট্রোয়েভের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ১৯৭৯ সাল থেকে প্রতি টন কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ বার্ষিক সর্বনিম্ন বিন্দুতে পৌঁছানো পর্যন্ত (সেপ্টেম্বর) প্রায় ২ দশমিক ৫ বর্গমিটার বরফ গলেছে। নর্থামব্রিয়া ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক অ্যান্ড্রু শেপার্ড বলেছেন, বরফের পরিমাণ কমে না গেলেও এর পুরুত্ব কমে আসছে। তাঁর গবেষণা অনুযায়ী, ২০১০ সাল থেকে প্রতিবছর অক্টোবরের গড় পুরুত্ব শূন্য দশমিক ৬ সেন্টিমিটার করে কমেছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ ধীরগতির ঘটনা জলবায়ু পরিবর্তনকে অস্বীকার করার জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়। তাঁদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তন মানুষের কর্মকাণ্ডের ফলেই ঘটছে এবং এটি গুরুতর হুমকি তৈরি করছে।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে চলমান বিতর্কের মধ্যে বিজ্ঞানীরা একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে এনেছেন। তাঁরা বলছেন, গত ২০ বছরে আর্কটিকের বরফ গলার গতি নাটকীয়ভাবে কমেছে। ২০০৫ সালের পর থেকে বরফের পরিমাণ কমে যাওয়ার ক্ষেত্রে পরিসংখ্যানগতভাবে কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা যায়নি।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে কার্বন নিঃসরণ অব্যাহত থাকা সত্ত্বেও এমনটা ঘটা বেশ আশ্চর্যজনক। তাঁদের মতে, আর্কটিকের বরফ গলার গতি কমার পেছনে রয়েছে প্রাকৃতিক কারণ। প্রশান্ত ও আটলান্টিক মহাসাগরের সামুদ্রিক স্রোতের দীর্ঘমেয়াদি পরিবর্তনের ফলে উষ্ণ পানির প্রবাহ সীমিত হয়েছে, যা বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়ার প্রভাবকে সাময়িকভাবে প্রতিহত করেছে।
যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব এক্সিটারের ড. মার্ক ইংল্যান্ডের নেতৃত্বে পরিচালিত এ গবেষণা জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটারস জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। হাজার হাজার জলবায়ু মডেল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এটি কোনো বিরল ঘটনা নয়, বরং শতাব্দীতে দু-একবার এমনটা ঘটতে পারে।
ড. ইংল্যান্ড বলেছেন, ‘১৫ বছর আগে যখন বরফ গলার গতি বাড়ছিল, তখন কেউ কেউ ২০২০ সালের আগেই আর্কটিক বরফশূন্য হয়ে যাওয়ার কথা বলছিলেন। কিন্তু এখন প্রাকৃতিক পরিবর্তনের ফলে বরফ গলার হার কমেছে। এটি আমাদের কিছুটা বাড়তি সময় দিয়েছে, তবে এটি একটি সাময়িক স্বস্তিমাত্র।’
বিজ্ঞানীরা জোর দিয়ে বলছেন, এই গতি হ্রাস মানে এই নয় যে আর্কটিকের বরফ ফিরে আসছে। ১৯৭৯ সালে স্যাটেলাইট পরিমাপ শুরু হওয়ার পর থেকে সেপ্টেম্বরের বার্ষিক সর্বনিম্ন বরফের পরিমাণ অর্ধেক হয়ে গেছে। তাঁদের মতে, জলবায়ু সংকট ‘নিঃসন্দেহে বাস্তব’ ও এর সবচেয়ে খারাপ প্রভাব এড়াতে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া অপরিহার্য।
গবেষকেরা সতর্ক করে দিয়েছেন, এই প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া একসময় শেষ হবে এবং আগামী পাঁচ থেকে দশ বছরের মধ্যে বরফ গলার হার আবার বাড়তে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদি গড়ের প্রায় দ্বিগুণ হবে। এর ফলে একসময় আর্কটিক অঞ্চল বরফশূন্য হয়ে পড়বে, যা ওই অঞ্চলের বন্য প্রাণী ও মানুষের জীবনযাত্রার জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি করবে।
লন্ডন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জুলিয়েন স্ট্রোয়েভের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ১৯৭৯ সাল থেকে প্রতি টন কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ বার্ষিক সর্বনিম্ন বিন্দুতে পৌঁছানো পর্যন্ত (সেপ্টেম্বর) প্রায় ২ দশমিক ৫ বর্গমিটার বরফ গলেছে। নর্থামব্রিয়া ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক অ্যান্ড্রু শেপার্ড বলেছেন, বরফের পরিমাণ কমে না গেলেও এর পুরুত্ব কমে আসছে। তাঁর গবেষণা অনুযায়ী, ২০১০ সাল থেকে প্রতিবছর অক্টোবরের গড় পুরুত্ব শূন্য দশমিক ৬ সেন্টিমিটার করে কমেছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ ধীরগতির ঘটনা জলবায়ু পরিবর্তনকে অস্বীকার করার জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়। তাঁদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তন মানুষের কর্মকাণ্ডের ফলেই ঘটছে এবং এটি গুরুতর হুমকি তৈরি করছে।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
হেমন্ত কালের শুরুতে শুষ্ক আবহাওয়ার ঢাকায় বায়ুদূষণ বেড়েই চলেছে। আজ শনিবার ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে। সাধারণত বর্ষাকালে ঢাকায় দূষণের মাত্রা কমে আসে। আর শীতকালে সবচেয়ে বেশি দূষণের মাত্রা দেখা যায়।
১৫ ঘণ্টা আগেহেমন্তের এই শুষ্ক আবহাওয়ায় সকালবেলায় ঢাকায় মিলেছে রোদের দেখা। তবে আজ ঢাকার আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
১৬ ঘণ্টা আগেমৌসুমি বায়ু বিদায় নেওয়ার পর থেকে কয়েক দিন ধরে সারা দেশে বৃষ্টি প্রায় হচ্ছেই না। গত ২৪ ঘণ্টায় কেবল চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে। দেশের অন্য সব অঞ্চল ছিল একেবারেই বৃষ্টিহীন। সে কারণে তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে।
২ দিন আগেউষ্ণমণ্ডলীয় বনগুলো (রেইনফরেস্ট) বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন শোষণ করে পৃথিবীর তাপমাত্রা কমাতে ভূমিকা রাখে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় দেখা গেল এর বিপরীত চিত্র। বিজ্ঞানীরা বলছেন, অস্ট্রেলিয়ার রেইনফরেস্টগুলো বিশ্বের প্রথম এমন বনাঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, যা এখন বায়ুমণ্ডলে কার্বন শোষণের চেয়ে নিঃসরণ বেশি করছে।
২ দিন আগে