
বাংলাদেশের বুশরা আফরিন ঢাকা শহরের চিফ হিট অফিসার (সিএইচও) পদে নিয়োগ পেয়েছেন। এশিয়ার প্রথম সিএইচও তিনি। আন্তর্জাতিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান অ্যার্ডিয়ান আরশট-রকফেলার ফাউন্ডেশনের রেজিলিয়েন্স সেন্টার তাঁকে এই পদে নিয়োগ দিয়েছে।
সমাজকর্মী আফরিন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামের মেয়ে। বাংলাদেশে পোশাককর্মীদের অধিকার রক্ষা ও টেকসই পোশাক রপ্তানি নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। তাঁর বাবাও একজন সফল রপ্তানিমুখী পোশাক ব্যবসায়ী।
আফরিনের নেতৃত্বে গার্মেন্টস শিল্প কারখানার মেঝের তাপ কমানোর জন্য একটি টাস্কফোর্স তৈরি করা হয়েছিল। তিনি মা পোশাককর্মীদের জন্য কারখানার অবকাঠামোতেও পরিবর্তন এনেছেন। এর মধ্য রয়েছে শিশুদের দুগ্ধদানের জন্য আলাদা কক্ষ তৈরি ও ডে-কেয়ারের কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।
আফরিন ২০১৯ সালের প্রাণিকল্যাণ আইন প্রণয়নে স্থানীয় সরকারের সঙ্গে পরামর্শক হিসেবেও কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি ক্ষুদ্র অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে কাজ করেছেন। আফরিন কানাডার কুইন্স ইউনিভার্সিটি থেকে গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ও ড্রামা বিষয়ে স্নাতক।
অ্যার্ডিয়ান আরশট-রকফেলার ফাউন্ডেশন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বড় বড় শহরে সিএইচও নিয়োগ দিয়েছে। এর মধ্য রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মিয়ামি, সিয়েরা লিওনের ফ্রি টাউন, গ্রিসের এথেন্স, চিলির সান্তিয়াগো, মেক্সিকোর মন্টেরি এবং অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন। তাঁরা সবাই নারী।
ফাউন্ডেশনের রেজিলিয়েন্স সেন্টারই প্রথম পদের ধারণা আনে। তাদের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্য ১০০ কোটি মানুষকে দাবদাহমুক্ত করার। এই ধারণা পছন্দ হওয়ায় সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস নগর কর্তৃপক্ষও সিএইচও নিয়োগ দিয়েছে। এর জন্য আলাদা তহবিলও বরাদ্দ করেছে তারা।
গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বুশরা আফরিন বলেন, ‘এই ঢাকা শহরেই আমার জন্ম। অসহ্য গরমের কারণে আজ তাকে যেন আর চিনতে পারছি না। ঢাকা বসবাসের অযোগ্য জায়গা—এই কথাটিই ঢাকার প্রতিশব্দ হয়ে উঠেছে।’
বর্তমানে ঢাকা এশিয়ার সবচেয়ে বেশি তাপপ্রবাহের একটি শহর। এই শহরের মাসিক গড় তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উচ্চ আর্দ্রতার কারণে কখনো কখনো তা ৪০ ডিগ্রিতেও পৌঁছায়। গত মাসেই শহরের তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রিতে উঠেছিল। যা ৬ দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। ক্রমাগত জীবাশ্ম জ্বালানি পুড়িয়ে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন বৃদ্ধি এই শহরকে হয়তো অদূর ভবিষ্যতে বসবাসের অযোগ্য করে তুলবে।
২০২১ সালের বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সারা বছর দাবদাহ থাকবে এমন শহর হতে চলেছে ঢাকা।
ঢাকা শহরের সিএইচও নিয়োগ পাওয়ার পর বুশরা আফরিন বলেন, ‘আমি সবার জন্য কাজ করতে চাই। তবে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেব পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে।’
বুশরা বলেন, দাবদাহ মানুষের জন্য এক নীরব ও ভয়ানক শত্রু। অন্য যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের চেয়ে সবচেয়ে বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে এখন দাবদাহ। এর শিকার হচ্ছেন বৃদ্ধ, কিশোর, দরিদ্র ও দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্তরা।
বিভিন্ন শহর আরশট-রকফেলারের সদস্য হচ্ছে শুধু দাবদাহ রোধে তাদের উদ্যোগের জন্য নয়, বরং বিভিন্ন শহর ও স্থানীয় সরকার তাদের নতুন এই ধারণা গ্রহণ করছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন তাদেরই একটি। সিএইচওরা তাঁদের পরিকল্পনাগুলোকে বিভিন্ন শহরে বাস্তবায়নযোগ্য করে তুলতে কাজ করে যাচ্ছেন।
বুশরা আফরিন বিশ্বের বিভিন্ন শহরের সিএইচওদের কাছ থেকে শিখতে আগ্রহী। তিনি বলেছেন, ‘আমি তাঁদের সম্পর্কে জানতে ও একসঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করছি। তাঁরা এ বিষয়ে অভিজ্ঞ; যা আমাকে আরও কার্যকরভাবে কাজ করতে সাহায্য করবে।’
আরশট-রকের ডিরেক্টর ও সিএইচও প্রোগ্রামের মূল পরিকল্পনাকারী ক্যাথি বগম্যান ম্যাকলিওড ইনডিপেনডেন্টকে বলেন, ‘এই পদের জন্য নারীদের নির্বাচিত করা হয়েছে কারণ, দাবদাহের শিকারের সিংহভাগই তাঁরা।’
২০৫০ সালের মধ্য পৃথিবীর উষ্ণতম দিনের সংখ্যা দ্বিগুণ হবে বলে এক সমীক্ষায় আশঙ্কা করা হয়েছে। আর এর ভুক্তভোগী হবে নারীরা। দাবদাহ অসমভাবে শুধু নারীদের স্বাস্থ্যের ওপরই প্রভাব ফেলে না, অর্থনীতিকেও সংকটে ফেলে। কারণ, নারীরা বিশ্ব অর্থনীতির অস্বীকৃত মেরুদণ্ড। সারা বিশ্বেই নারীরা গৃহস্থালি ও সন্তান দেখাশোনা করেন। যার পারিশ্রমিক দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) যুক্ত হয় না।
বগম্যান ম্যাকলিওড আরও বলেন, ‘নারীদের এসব পদে নিয়োগ দেওয়াই যৌক্তিক। এটি সময়ের প্রেক্ষাপটে সেরা বিনিয়োগ।’
বিশ্বের বড় শহরগুলোর দিন দিন আবহাওয়া ও পরিবেশের হুমকির মুখে পড়ছে। ২ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যা নিয়ে বিশ্বের চতুর্থ বড় শহর ঢাকাও এর মধ্য রয়েছে। ঢাকা শহরে ঘনবসতি হওয়ায় এখানে গ্রামাঞ্চলের চেয়ে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি তাপমাত্রা হতে পারে।
এ বিষয়ে বুশরা আফরিন বলেন, ‘আমি জানি না, ঢাকার অবস্থাকে কীভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। এখানে মানুষ আসলে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে। দাবদাহ এত বেশি যে প্রচুর ঘামলেও শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসবে না। ঢাকায় বাইরে বের হওয়াটা দিন দিন আরও প্রতিকূল হয়ে উঠছে।’
বুশরার ভাষায়, ঢাকায় গত মাসে দাবদাহের কারণে বেশ কয়েকটি বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও ঘটেছে। ফলে ঢাকার বাতাসে এখন আরও বেশি দূষিত হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন দুই হাজারের অধিক বেকার মানুষ ঢাকায় আসেন জীবিকার জন্য। এঁদের অধিকাংশই কৃষক বা জেলে সম্প্রদায়ের মানুষ। কারণ, তাঁরা প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে পড়ে নিজ এলাকায় নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন।
বাংলাদেশের দুই-তৃতীয়াংশ অংশ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৫ ফিট উঁচুতে অবস্থিত। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা দিন দিন বৃদ্ধি ও সাইক্লোনের আঘাতে দেশের হাজার হাজার একর ভূখণ্ড এরই মধ্যে তলিয়ে গেছে।
আফরিন জানান, দেশের জনসংখ্যার বিরাট এক অংশ স্যানিটেশন ব্যবস্থা ও পানীয় জলের সংকটে রয়েছে। এ থেকে বের হতে তাঁদের নিয়ে দাবদাহ রোধেও কাজ করতে হবে। ঢাকা শহরে ভবনগুলোতে অতিরিক্ত পরিমাণে ধাতব বস্তু ব্যবহার করা হয়। যা বাড়িগুলো বসবাসের অযোগ্য করে তোলে। দেশে সর্বশেষ দাবদাহ এর প্রমাণ। এ সময় বাড়িগুলো জ্বলন্ত চুলার মতো উষ্ণ হয়ে পড়েছিল, অধিকাংশ মানুষ রাতে ঘুমাতে পারেনি।
দেশের বেশির ভাগ মানুষের এসি ব্যবহারের সাধ্য নেই। তাঁদের ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করার সুযোগও নেই। তাঁরা ওয়াসার যেই পানি পান সেটিও সেদ্ধ পানির মতো গরম। এটা দেশের গণস্বাস্থ্য সংকট। মানুষ মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যোগ করেন বুশরা আফরিন।
মায়ামিতে নিযুক্ত পৃথিবীর প্রথম সিএইচও জেন গিলবার্ট বিভিন্ন ভাষাভাষী খামারকর্মীদের সঙ্গে কাজ করছেন। এ ছাড়া হ্যারিকেন প্রস্তুতির জন্য রাস্তার পাশে বিলবোর্ড বসাচ্ছেন ও স্থানীয় রেডিওতে দাবদাহের কারণে হওয়া রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছেন।
সান্তিয়াগোর সিএইচও ক্রিস্টিনা হুইডোব্রো আঞ্চলিক গভর্নরের ২০ লাখ ডলারের একটি প্রকল্পে শহরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির তদারকি করছেন।
ফ্রি টাউনের সিএইচও ইউজেনিয়া কার্গবো বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জানতে পেরেছিলেন, তাঁদের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন হলো স্টলের ছাউনি। তিনি তাঁদের সেটি সরবরাহ করেছেন। এখন এসব ছাউনি ব্যবসায়ীদের ও তাঁদের পণ্যগুলোকে দাবদাহ থেকে রক্ষা করছে।
বুশরা আফরিনও ঢাকায় দাবদাহ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতেই মনোনিবেশ করছেন। পাশাপাশি পরিবেশ নিয়ে কাজ করা স্থানীয় সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছেন। তাঁদের লক্ষ্য দাবদাহে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের খুঁজে বের করা ও তাঁদের নিয়ে কাজ করা।
এ জন্য বুশরা আফরিন বলেছেন, ‘আমি দাবদাহ নিয়ে কাজ করার সুযোগ পেয়ে কৃতজ্ঞ। ঢাকা শহরের দাবদাহ নিয়ে কাজ করার জন্য এটি উপযুক্ত সময়। কেননা, অসংখ্য মানুষ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আমি শুধু নিজের মেয়ের জন্য নয়, সব শিশুর জন্য একটি সুন্দর ও ন্যায্য ভবিষ্যৎ তৈরি করতে চাই।’

বাংলাদেশের বুশরা আফরিন ঢাকা শহরের চিফ হিট অফিসার (সিএইচও) পদে নিয়োগ পেয়েছেন। এশিয়ার প্রথম সিএইচও তিনি। আন্তর্জাতিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান অ্যার্ডিয়ান আরশট-রকফেলার ফাউন্ডেশনের রেজিলিয়েন্স সেন্টার তাঁকে এই পদে নিয়োগ দিয়েছে।
সমাজকর্মী আফরিন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামের মেয়ে। বাংলাদেশে পোশাককর্মীদের অধিকার রক্ষা ও টেকসই পোশাক রপ্তানি নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। তাঁর বাবাও একজন সফল রপ্তানিমুখী পোশাক ব্যবসায়ী।
আফরিনের নেতৃত্বে গার্মেন্টস শিল্প কারখানার মেঝের তাপ কমানোর জন্য একটি টাস্কফোর্স তৈরি করা হয়েছিল। তিনি মা পোশাককর্মীদের জন্য কারখানার অবকাঠামোতেও পরিবর্তন এনেছেন। এর মধ্য রয়েছে শিশুদের দুগ্ধদানের জন্য আলাদা কক্ষ তৈরি ও ডে-কেয়ারের কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।
আফরিন ২০১৯ সালের প্রাণিকল্যাণ আইন প্রণয়নে স্থানীয় সরকারের সঙ্গে পরামর্শক হিসেবেও কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি ক্ষুদ্র অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে কাজ করেছেন। আফরিন কানাডার কুইন্স ইউনিভার্সিটি থেকে গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ও ড্রামা বিষয়ে স্নাতক।
অ্যার্ডিয়ান আরশট-রকফেলার ফাউন্ডেশন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বড় বড় শহরে সিএইচও নিয়োগ দিয়েছে। এর মধ্য রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মিয়ামি, সিয়েরা লিওনের ফ্রি টাউন, গ্রিসের এথেন্স, চিলির সান্তিয়াগো, মেক্সিকোর মন্টেরি এবং অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন। তাঁরা সবাই নারী।
ফাউন্ডেশনের রেজিলিয়েন্স সেন্টারই প্রথম পদের ধারণা আনে। তাদের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্য ১০০ কোটি মানুষকে দাবদাহমুক্ত করার। এই ধারণা পছন্দ হওয়ায় সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস নগর কর্তৃপক্ষও সিএইচও নিয়োগ দিয়েছে। এর জন্য আলাদা তহবিলও বরাদ্দ করেছে তারা।
গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বুশরা আফরিন বলেন, ‘এই ঢাকা শহরেই আমার জন্ম। অসহ্য গরমের কারণে আজ তাকে যেন আর চিনতে পারছি না। ঢাকা বসবাসের অযোগ্য জায়গা—এই কথাটিই ঢাকার প্রতিশব্দ হয়ে উঠেছে।’
বর্তমানে ঢাকা এশিয়ার সবচেয়ে বেশি তাপপ্রবাহের একটি শহর। এই শহরের মাসিক গড় তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উচ্চ আর্দ্রতার কারণে কখনো কখনো তা ৪০ ডিগ্রিতেও পৌঁছায়। গত মাসেই শহরের তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রিতে উঠেছিল। যা ৬ দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। ক্রমাগত জীবাশ্ম জ্বালানি পুড়িয়ে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন বৃদ্ধি এই শহরকে হয়তো অদূর ভবিষ্যতে বসবাসের অযোগ্য করে তুলবে।
২০২১ সালের বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সারা বছর দাবদাহ থাকবে এমন শহর হতে চলেছে ঢাকা।
ঢাকা শহরের সিএইচও নিয়োগ পাওয়ার পর বুশরা আফরিন বলেন, ‘আমি সবার জন্য কাজ করতে চাই। তবে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেব পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে।’
বুশরা বলেন, দাবদাহ মানুষের জন্য এক নীরব ও ভয়ানক শত্রু। অন্য যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের চেয়ে সবচেয়ে বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে এখন দাবদাহ। এর শিকার হচ্ছেন বৃদ্ধ, কিশোর, দরিদ্র ও দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্তরা।
বিভিন্ন শহর আরশট-রকফেলারের সদস্য হচ্ছে শুধু দাবদাহ রোধে তাদের উদ্যোগের জন্য নয়, বরং বিভিন্ন শহর ও স্থানীয় সরকার তাদের নতুন এই ধারণা গ্রহণ করছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন তাদেরই একটি। সিএইচওরা তাঁদের পরিকল্পনাগুলোকে বিভিন্ন শহরে বাস্তবায়নযোগ্য করে তুলতে কাজ করে যাচ্ছেন।
বুশরা আফরিন বিশ্বের বিভিন্ন শহরের সিএইচওদের কাছ থেকে শিখতে আগ্রহী। তিনি বলেছেন, ‘আমি তাঁদের সম্পর্কে জানতে ও একসঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করছি। তাঁরা এ বিষয়ে অভিজ্ঞ; যা আমাকে আরও কার্যকরভাবে কাজ করতে সাহায্য করবে।’
আরশট-রকের ডিরেক্টর ও সিএইচও প্রোগ্রামের মূল পরিকল্পনাকারী ক্যাথি বগম্যান ম্যাকলিওড ইনডিপেনডেন্টকে বলেন, ‘এই পদের জন্য নারীদের নির্বাচিত করা হয়েছে কারণ, দাবদাহের শিকারের সিংহভাগই তাঁরা।’
২০৫০ সালের মধ্য পৃথিবীর উষ্ণতম দিনের সংখ্যা দ্বিগুণ হবে বলে এক সমীক্ষায় আশঙ্কা করা হয়েছে। আর এর ভুক্তভোগী হবে নারীরা। দাবদাহ অসমভাবে শুধু নারীদের স্বাস্থ্যের ওপরই প্রভাব ফেলে না, অর্থনীতিকেও সংকটে ফেলে। কারণ, নারীরা বিশ্ব অর্থনীতির অস্বীকৃত মেরুদণ্ড। সারা বিশ্বেই নারীরা গৃহস্থালি ও সন্তান দেখাশোনা করেন। যার পারিশ্রমিক দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) যুক্ত হয় না।
বগম্যান ম্যাকলিওড আরও বলেন, ‘নারীদের এসব পদে নিয়োগ দেওয়াই যৌক্তিক। এটি সময়ের প্রেক্ষাপটে সেরা বিনিয়োগ।’
বিশ্বের বড় শহরগুলোর দিন দিন আবহাওয়া ও পরিবেশের হুমকির মুখে পড়ছে। ২ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যা নিয়ে বিশ্বের চতুর্থ বড় শহর ঢাকাও এর মধ্য রয়েছে। ঢাকা শহরে ঘনবসতি হওয়ায় এখানে গ্রামাঞ্চলের চেয়ে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি তাপমাত্রা হতে পারে।
এ বিষয়ে বুশরা আফরিন বলেন, ‘আমি জানি না, ঢাকার অবস্থাকে কীভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। এখানে মানুষ আসলে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে। দাবদাহ এত বেশি যে প্রচুর ঘামলেও শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসবে না। ঢাকায় বাইরে বের হওয়াটা দিন দিন আরও প্রতিকূল হয়ে উঠছে।’
বুশরার ভাষায়, ঢাকায় গত মাসে দাবদাহের কারণে বেশ কয়েকটি বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও ঘটেছে। ফলে ঢাকার বাতাসে এখন আরও বেশি দূষিত হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন দুই হাজারের অধিক বেকার মানুষ ঢাকায় আসেন জীবিকার জন্য। এঁদের অধিকাংশই কৃষক বা জেলে সম্প্রদায়ের মানুষ। কারণ, তাঁরা প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে পড়ে নিজ এলাকায় নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন।
বাংলাদেশের দুই-তৃতীয়াংশ অংশ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৫ ফিট উঁচুতে অবস্থিত। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা দিন দিন বৃদ্ধি ও সাইক্লোনের আঘাতে দেশের হাজার হাজার একর ভূখণ্ড এরই মধ্যে তলিয়ে গেছে।
আফরিন জানান, দেশের জনসংখ্যার বিরাট এক অংশ স্যানিটেশন ব্যবস্থা ও পানীয় জলের সংকটে রয়েছে। এ থেকে বের হতে তাঁদের নিয়ে দাবদাহ রোধেও কাজ করতে হবে। ঢাকা শহরে ভবনগুলোতে অতিরিক্ত পরিমাণে ধাতব বস্তু ব্যবহার করা হয়। যা বাড়িগুলো বসবাসের অযোগ্য করে তোলে। দেশে সর্বশেষ দাবদাহ এর প্রমাণ। এ সময় বাড়িগুলো জ্বলন্ত চুলার মতো উষ্ণ হয়ে পড়েছিল, অধিকাংশ মানুষ রাতে ঘুমাতে পারেনি।
দেশের বেশির ভাগ মানুষের এসি ব্যবহারের সাধ্য নেই। তাঁদের ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করার সুযোগও নেই। তাঁরা ওয়াসার যেই পানি পান সেটিও সেদ্ধ পানির মতো গরম। এটা দেশের গণস্বাস্থ্য সংকট। মানুষ মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যোগ করেন বুশরা আফরিন।
মায়ামিতে নিযুক্ত পৃথিবীর প্রথম সিএইচও জেন গিলবার্ট বিভিন্ন ভাষাভাষী খামারকর্মীদের সঙ্গে কাজ করছেন। এ ছাড়া হ্যারিকেন প্রস্তুতির জন্য রাস্তার পাশে বিলবোর্ড বসাচ্ছেন ও স্থানীয় রেডিওতে দাবদাহের কারণে হওয়া রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছেন।
সান্তিয়াগোর সিএইচও ক্রিস্টিনা হুইডোব্রো আঞ্চলিক গভর্নরের ২০ লাখ ডলারের একটি প্রকল্পে শহরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির তদারকি করছেন।
ফ্রি টাউনের সিএইচও ইউজেনিয়া কার্গবো বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জানতে পেরেছিলেন, তাঁদের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন হলো স্টলের ছাউনি। তিনি তাঁদের সেটি সরবরাহ করেছেন। এখন এসব ছাউনি ব্যবসায়ীদের ও তাঁদের পণ্যগুলোকে দাবদাহ থেকে রক্ষা করছে।
বুশরা আফরিনও ঢাকায় দাবদাহ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতেই মনোনিবেশ করছেন। পাশাপাশি পরিবেশ নিয়ে কাজ করা স্থানীয় সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছেন। তাঁদের লক্ষ্য দাবদাহে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের খুঁজে বের করা ও তাঁদের নিয়ে কাজ করা।
এ জন্য বুশরা আফরিন বলেছেন, ‘আমি দাবদাহ নিয়ে কাজ করার সুযোগ পেয়ে কৃতজ্ঞ। ঢাকা শহরের দাবদাহ নিয়ে কাজ করার জন্য এটি উপযুক্ত সময়। কেননা, অসংখ্য মানুষ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আমি শুধু নিজের মেয়ের জন্য নয়, সব শিশুর জন্য একটি সুন্দর ও ন্যায্য ভবিষ্যৎ তৈরি করতে চাই।’

বাংলাদেশের বুশরা আফরিন ঢাকা শহরের চিফ হিট অফিসার (সিএইচও) পদে নিয়োগ পেয়েছেন। এশিয়ার প্রথম সিএইচও তিনি। আন্তর্জাতিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান অ্যার্ডিয়ান আরশট-রকফেলার ফাউন্ডেশনের রেজিলিয়েন্স সেন্টার তাঁকে এই পদে নিয়োগ দিয়েছে।
সমাজকর্মী আফরিন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামের মেয়ে। বাংলাদেশে পোশাককর্মীদের অধিকার রক্ষা ও টেকসই পোশাক রপ্তানি নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। তাঁর বাবাও একজন সফল রপ্তানিমুখী পোশাক ব্যবসায়ী।
আফরিনের নেতৃত্বে গার্মেন্টস শিল্প কারখানার মেঝের তাপ কমানোর জন্য একটি টাস্কফোর্স তৈরি করা হয়েছিল। তিনি মা পোশাককর্মীদের জন্য কারখানার অবকাঠামোতেও পরিবর্তন এনেছেন। এর মধ্য রয়েছে শিশুদের দুগ্ধদানের জন্য আলাদা কক্ষ তৈরি ও ডে-কেয়ারের কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।
আফরিন ২০১৯ সালের প্রাণিকল্যাণ আইন প্রণয়নে স্থানীয় সরকারের সঙ্গে পরামর্শক হিসেবেও কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি ক্ষুদ্র অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে কাজ করেছেন। আফরিন কানাডার কুইন্স ইউনিভার্সিটি থেকে গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ও ড্রামা বিষয়ে স্নাতক।
অ্যার্ডিয়ান আরশট-রকফেলার ফাউন্ডেশন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বড় বড় শহরে সিএইচও নিয়োগ দিয়েছে। এর মধ্য রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মিয়ামি, সিয়েরা লিওনের ফ্রি টাউন, গ্রিসের এথেন্স, চিলির সান্তিয়াগো, মেক্সিকোর মন্টেরি এবং অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন। তাঁরা সবাই নারী।
ফাউন্ডেশনের রেজিলিয়েন্স সেন্টারই প্রথম পদের ধারণা আনে। তাদের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্য ১০০ কোটি মানুষকে দাবদাহমুক্ত করার। এই ধারণা পছন্দ হওয়ায় সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস নগর কর্তৃপক্ষও সিএইচও নিয়োগ দিয়েছে। এর জন্য আলাদা তহবিলও বরাদ্দ করেছে তারা।
গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বুশরা আফরিন বলেন, ‘এই ঢাকা শহরেই আমার জন্ম। অসহ্য গরমের কারণে আজ তাকে যেন আর চিনতে পারছি না। ঢাকা বসবাসের অযোগ্য জায়গা—এই কথাটিই ঢাকার প্রতিশব্দ হয়ে উঠেছে।’
বর্তমানে ঢাকা এশিয়ার সবচেয়ে বেশি তাপপ্রবাহের একটি শহর। এই শহরের মাসিক গড় তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উচ্চ আর্দ্রতার কারণে কখনো কখনো তা ৪০ ডিগ্রিতেও পৌঁছায়। গত মাসেই শহরের তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রিতে উঠেছিল। যা ৬ দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। ক্রমাগত জীবাশ্ম জ্বালানি পুড়িয়ে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন বৃদ্ধি এই শহরকে হয়তো অদূর ভবিষ্যতে বসবাসের অযোগ্য করে তুলবে।
২০২১ সালের বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সারা বছর দাবদাহ থাকবে এমন শহর হতে চলেছে ঢাকা।
ঢাকা শহরের সিএইচও নিয়োগ পাওয়ার পর বুশরা আফরিন বলেন, ‘আমি সবার জন্য কাজ করতে চাই। তবে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেব পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে।’
বুশরা বলেন, দাবদাহ মানুষের জন্য এক নীরব ও ভয়ানক শত্রু। অন্য যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের চেয়ে সবচেয়ে বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে এখন দাবদাহ। এর শিকার হচ্ছেন বৃদ্ধ, কিশোর, দরিদ্র ও দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্তরা।
বিভিন্ন শহর আরশট-রকফেলারের সদস্য হচ্ছে শুধু দাবদাহ রোধে তাদের উদ্যোগের জন্য নয়, বরং বিভিন্ন শহর ও স্থানীয় সরকার তাদের নতুন এই ধারণা গ্রহণ করছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন তাদেরই একটি। সিএইচওরা তাঁদের পরিকল্পনাগুলোকে বিভিন্ন শহরে বাস্তবায়নযোগ্য করে তুলতে কাজ করে যাচ্ছেন।
বুশরা আফরিন বিশ্বের বিভিন্ন শহরের সিএইচওদের কাছ থেকে শিখতে আগ্রহী। তিনি বলেছেন, ‘আমি তাঁদের সম্পর্কে জানতে ও একসঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করছি। তাঁরা এ বিষয়ে অভিজ্ঞ; যা আমাকে আরও কার্যকরভাবে কাজ করতে সাহায্য করবে।’
আরশট-রকের ডিরেক্টর ও সিএইচও প্রোগ্রামের মূল পরিকল্পনাকারী ক্যাথি বগম্যান ম্যাকলিওড ইনডিপেনডেন্টকে বলেন, ‘এই পদের জন্য নারীদের নির্বাচিত করা হয়েছে কারণ, দাবদাহের শিকারের সিংহভাগই তাঁরা।’
২০৫০ সালের মধ্য পৃথিবীর উষ্ণতম দিনের সংখ্যা দ্বিগুণ হবে বলে এক সমীক্ষায় আশঙ্কা করা হয়েছে। আর এর ভুক্তভোগী হবে নারীরা। দাবদাহ অসমভাবে শুধু নারীদের স্বাস্থ্যের ওপরই প্রভাব ফেলে না, অর্থনীতিকেও সংকটে ফেলে। কারণ, নারীরা বিশ্ব অর্থনীতির অস্বীকৃত মেরুদণ্ড। সারা বিশ্বেই নারীরা গৃহস্থালি ও সন্তান দেখাশোনা করেন। যার পারিশ্রমিক দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) যুক্ত হয় না।
বগম্যান ম্যাকলিওড আরও বলেন, ‘নারীদের এসব পদে নিয়োগ দেওয়াই যৌক্তিক। এটি সময়ের প্রেক্ষাপটে সেরা বিনিয়োগ।’
বিশ্বের বড় শহরগুলোর দিন দিন আবহাওয়া ও পরিবেশের হুমকির মুখে পড়ছে। ২ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যা নিয়ে বিশ্বের চতুর্থ বড় শহর ঢাকাও এর মধ্য রয়েছে। ঢাকা শহরে ঘনবসতি হওয়ায় এখানে গ্রামাঞ্চলের চেয়ে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি তাপমাত্রা হতে পারে।
এ বিষয়ে বুশরা আফরিন বলেন, ‘আমি জানি না, ঢাকার অবস্থাকে কীভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। এখানে মানুষ আসলে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে। দাবদাহ এত বেশি যে প্রচুর ঘামলেও শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসবে না। ঢাকায় বাইরে বের হওয়াটা দিন দিন আরও প্রতিকূল হয়ে উঠছে।’
বুশরার ভাষায়, ঢাকায় গত মাসে দাবদাহের কারণে বেশ কয়েকটি বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও ঘটেছে। ফলে ঢাকার বাতাসে এখন আরও বেশি দূষিত হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন দুই হাজারের অধিক বেকার মানুষ ঢাকায় আসেন জীবিকার জন্য। এঁদের অধিকাংশই কৃষক বা জেলে সম্প্রদায়ের মানুষ। কারণ, তাঁরা প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে পড়ে নিজ এলাকায় নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন।
বাংলাদেশের দুই-তৃতীয়াংশ অংশ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৫ ফিট উঁচুতে অবস্থিত। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা দিন দিন বৃদ্ধি ও সাইক্লোনের আঘাতে দেশের হাজার হাজার একর ভূখণ্ড এরই মধ্যে তলিয়ে গেছে।
আফরিন জানান, দেশের জনসংখ্যার বিরাট এক অংশ স্যানিটেশন ব্যবস্থা ও পানীয় জলের সংকটে রয়েছে। এ থেকে বের হতে তাঁদের নিয়ে দাবদাহ রোধেও কাজ করতে হবে। ঢাকা শহরে ভবনগুলোতে অতিরিক্ত পরিমাণে ধাতব বস্তু ব্যবহার করা হয়। যা বাড়িগুলো বসবাসের অযোগ্য করে তোলে। দেশে সর্বশেষ দাবদাহ এর প্রমাণ। এ সময় বাড়িগুলো জ্বলন্ত চুলার মতো উষ্ণ হয়ে পড়েছিল, অধিকাংশ মানুষ রাতে ঘুমাতে পারেনি।
দেশের বেশির ভাগ মানুষের এসি ব্যবহারের সাধ্য নেই। তাঁদের ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করার সুযোগও নেই। তাঁরা ওয়াসার যেই পানি পান সেটিও সেদ্ধ পানির মতো গরম। এটা দেশের গণস্বাস্থ্য সংকট। মানুষ মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যোগ করেন বুশরা আফরিন।
মায়ামিতে নিযুক্ত পৃথিবীর প্রথম সিএইচও জেন গিলবার্ট বিভিন্ন ভাষাভাষী খামারকর্মীদের সঙ্গে কাজ করছেন। এ ছাড়া হ্যারিকেন প্রস্তুতির জন্য রাস্তার পাশে বিলবোর্ড বসাচ্ছেন ও স্থানীয় রেডিওতে দাবদাহের কারণে হওয়া রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছেন।
সান্তিয়াগোর সিএইচও ক্রিস্টিনা হুইডোব্রো আঞ্চলিক গভর্নরের ২০ লাখ ডলারের একটি প্রকল্পে শহরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির তদারকি করছেন।
ফ্রি টাউনের সিএইচও ইউজেনিয়া কার্গবো বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জানতে পেরেছিলেন, তাঁদের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন হলো স্টলের ছাউনি। তিনি তাঁদের সেটি সরবরাহ করেছেন। এখন এসব ছাউনি ব্যবসায়ীদের ও তাঁদের পণ্যগুলোকে দাবদাহ থেকে রক্ষা করছে।
বুশরা আফরিনও ঢাকায় দাবদাহ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতেই মনোনিবেশ করছেন। পাশাপাশি পরিবেশ নিয়ে কাজ করা স্থানীয় সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছেন। তাঁদের লক্ষ্য দাবদাহে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের খুঁজে বের করা ও তাঁদের নিয়ে কাজ করা।
এ জন্য বুশরা আফরিন বলেছেন, ‘আমি দাবদাহ নিয়ে কাজ করার সুযোগ পেয়ে কৃতজ্ঞ। ঢাকা শহরের দাবদাহ নিয়ে কাজ করার জন্য এটি উপযুক্ত সময়। কেননা, অসংখ্য মানুষ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আমি শুধু নিজের মেয়ের জন্য নয়, সব শিশুর জন্য একটি সুন্দর ও ন্যায্য ভবিষ্যৎ তৈরি করতে চাই।’

বাংলাদেশের বুশরা আফরিন ঢাকা শহরের চিফ হিট অফিসার (সিএইচও) পদে নিয়োগ পেয়েছেন। এশিয়ার প্রথম সিএইচও তিনি। আন্তর্জাতিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান অ্যার্ডিয়ান আরশট-রকফেলার ফাউন্ডেশনের রেজিলিয়েন্স সেন্টার তাঁকে এই পদে নিয়োগ দিয়েছে।
সমাজকর্মী আফরিন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামের মেয়ে। বাংলাদেশে পোশাককর্মীদের অধিকার রক্ষা ও টেকসই পোশাক রপ্তানি নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। তাঁর বাবাও একজন সফল রপ্তানিমুখী পোশাক ব্যবসায়ী।
আফরিনের নেতৃত্বে গার্মেন্টস শিল্প কারখানার মেঝের তাপ কমানোর জন্য একটি টাস্কফোর্স তৈরি করা হয়েছিল। তিনি মা পোশাককর্মীদের জন্য কারখানার অবকাঠামোতেও পরিবর্তন এনেছেন। এর মধ্য রয়েছে শিশুদের দুগ্ধদানের জন্য আলাদা কক্ষ তৈরি ও ডে-কেয়ারের কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।
আফরিন ২০১৯ সালের প্রাণিকল্যাণ আইন প্রণয়নে স্থানীয় সরকারের সঙ্গে পরামর্শক হিসেবেও কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি ক্ষুদ্র অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে কাজ করেছেন। আফরিন কানাডার কুইন্স ইউনিভার্সিটি থেকে গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ও ড্রামা বিষয়ে স্নাতক।
অ্যার্ডিয়ান আরশট-রকফেলার ফাউন্ডেশন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বড় বড় শহরে সিএইচও নিয়োগ দিয়েছে। এর মধ্য রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মিয়ামি, সিয়েরা লিওনের ফ্রি টাউন, গ্রিসের এথেন্স, চিলির সান্তিয়াগো, মেক্সিকোর মন্টেরি এবং অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন। তাঁরা সবাই নারী।
ফাউন্ডেশনের রেজিলিয়েন্স সেন্টারই প্রথম পদের ধারণা আনে। তাদের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্য ১০০ কোটি মানুষকে দাবদাহমুক্ত করার। এই ধারণা পছন্দ হওয়ায় সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস নগর কর্তৃপক্ষও সিএইচও নিয়োগ দিয়েছে। এর জন্য আলাদা তহবিলও বরাদ্দ করেছে তারা।
গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বুশরা আফরিন বলেন, ‘এই ঢাকা শহরেই আমার জন্ম। অসহ্য গরমের কারণে আজ তাকে যেন আর চিনতে পারছি না। ঢাকা বসবাসের অযোগ্য জায়গা—এই কথাটিই ঢাকার প্রতিশব্দ হয়ে উঠেছে।’
বর্তমানে ঢাকা এশিয়ার সবচেয়ে বেশি তাপপ্রবাহের একটি শহর। এই শহরের মাসিক গড় তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উচ্চ আর্দ্রতার কারণে কখনো কখনো তা ৪০ ডিগ্রিতেও পৌঁছায়। গত মাসেই শহরের তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রিতে উঠেছিল। যা ৬ দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। ক্রমাগত জীবাশ্ম জ্বালানি পুড়িয়ে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন বৃদ্ধি এই শহরকে হয়তো অদূর ভবিষ্যতে বসবাসের অযোগ্য করে তুলবে।
২০২১ সালের বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সারা বছর দাবদাহ থাকবে এমন শহর হতে চলেছে ঢাকা।
ঢাকা শহরের সিএইচও নিয়োগ পাওয়ার পর বুশরা আফরিন বলেন, ‘আমি সবার জন্য কাজ করতে চাই। তবে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেব পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে।’
বুশরা বলেন, দাবদাহ মানুষের জন্য এক নীরব ও ভয়ানক শত্রু। অন্য যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের চেয়ে সবচেয়ে বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে এখন দাবদাহ। এর শিকার হচ্ছেন বৃদ্ধ, কিশোর, দরিদ্র ও দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্তরা।
বিভিন্ন শহর আরশট-রকফেলারের সদস্য হচ্ছে শুধু দাবদাহ রোধে তাদের উদ্যোগের জন্য নয়, বরং বিভিন্ন শহর ও স্থানীয় সরকার তাদের নতুন এই ধারণা গ্রহণ করছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন তাদেরই একটি। সিএইচওরা তাঁদের পরিকল্পনাগুলোকে বিভিন্ন শহরে বাস্তবায়নযোগ্য করে তুলতে কাজ করে যাচ্ছেন।
বুশরা আফরিন বিশ্বের বিভিন্ন শহরের সিএইচওদের কাছ থেকে শিখতে আগ্রহী। তিনি বলেছেন, ‘আমি তাঁদের সম্পর্কে জানতে ও একসঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করছি। তাঁরা এ বিষয়ে অভিজ্ঞ; যা আমাকে আরও কার্যকরভাবে কাজ করতে সাহায্য করবে।’
আরশট-রকের ডিরেক্টর ও সিএইচও প্রোগ্রামের মূল পরিকল্পনাকারী ক্যাথি বগম্যান ম্যাকলিওড ইনডিপেনডেন্টকে বলেন, ‘এই পদের জন্য নারীদের নির্বাচিত করা হয়েছে কারণ, দাবদাহের শিকারের সিংহভাগই তাঁরা।’
২০৫০ সালের মধ্য পৃথিবীর উষ্ণতম দিনের সংখ্যা দ্বিগুণ হবে বলে এক সমীক্ষায় আশঙ্কা করা হয়েছে। আর এর ভুক্তভোগী হবে নারীরা। দাবদাহ অসমভাবে শুধু নারীদের স্বাস্থ্যের ওপরই প্রভাব ফেলে না, অর্থনীতিকেও সংকটে ফেলে। কারণ, নারীরা বিশ্ব অর্থনীতির অস্বীকৃত মেরুদণ্ড। সারা বিশ্বেই নারীরা গৃহস্থালি ও সন্তান দেখাশোনা করেন। যার পারিশ্রমিক দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) যুক্ত হয় না।
বগম্যান ম্যাকলিওড আরও বলেন, ‘নারীদের এসব পদে নিয়োগ দেওয়াই যৌক্তিক। এটি সময়ের প্রেক্ষাপটে সেরা বিনিয়োগ।’
বিশ্বের বড় শহরগুলোর দিন দিন আবহাওয়া ও পরিবেশের হুমকির মুখে পড়ছে। ২ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যা নিয়ে বিশ্বের চতুর্থ বড় শহর ঢাকাও এর মধ্য রয়েছে। ঢাকা শহরে ঘনবসতি হওয়ায় এখানে গ্রামাঞ্চলের চেয়ে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি তাপমাত্রা হতে পারে।
এ বিষয়ে বুশরা আফরিন বলেন, ‘আমি জানি না, ঢাকার অবস্থাকে কীভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। এখানে মানুষ আসলে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে। দাবদাহ এত বেশি যে প্রচুর ঘামলেও শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসবে না। ঢাকায় বাইরে বের হওয়াটা দিন দিন আরও প্রতিকূল হয়ে উঠছে।’
বুশরার ভাষায়, ঢাকায় গত মাসে দাবদাহের কারণে বেশ কয়েকটি বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও ঘটেছে। ফলে ঢাকার বাতাসে এখন আরও বেশি দূষিত হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন দুই হাজারের অধিক বেকার মানুষ ঢাকায় আসেন জীবিকার জন্য। এঁদের অধিকাংশই কৃষক বা জেলে সম্প্রদায়ের মানুষ। কারণ, তাঁরা প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে পড়ে নিজ এলাকায় নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন।
বাংলাদেশের দুই-তৃতীয়াংশ অংশ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৫ ফিট উঁচুতে অবস্থিত। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা দিন দিন বৃদ্ধি ও সাইক্লোনের আঘাতে দেশের হাজার হাজার একর ভূখণ্ড এরই মধ্যে তলিয়ে গেছে।
আফরিন জানান, দেশের জনসংখ্যার বিরাট এক অংশ স্যানিটেশন ব্যবস্থা ও পানীয় জলের সংকটে রয়েছে। এ থেকে বের হতে তাঁদের নিয়ে দাবদাহ রোধেও কাজ করতে হবে। ঢাকা শহরে ভবনগুলোতে অতিরিক্ত পরিমাণে ধাতব বস্তু ব্যবহার করা হয়। যা বাড়িগুলো বসবাসের অযোগ্য করে তোলে। দেশে সর্বশেষ দাবদাহ এর প্রমাণ। এ সময় বাড়িগুলো জ্বলন্ত চুলার মতো উষ্ণ হয়ে পড়েছিল, অধিকাংশ মানুষ রাতে ঘুমাতে পারেনি।
দেশের বেশির ভাগ মানুষের এসি ব্যবহারের সাধ্য নেই। তাঁদের ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করার সুযোগও নেই। তাঁরা ওয়াসার যেই পানি পান সেটিও সেদ্ধ পানির মতো গরম। এটা দেশের গণস্বাস্থ্য সংকট। মানুষ মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যোগ করেন বুশরা আফরিন।
মায়ামিতে নিযুক্ত পৃথিবীর প্রথম সিএইচও জেন গিলবার্ট বিভিন্ন ভাষাভাষী খামারকর্মীদের সঙ্গে কাজ করছেন। এ ছাড়া হ্যারিকেন প্রস্তুতির জন্য রাস্তার পাশে বিলবোর্ড বসাচ্ছেন ও স্থানীয় রেডিওতে দাবদাহের কারণে হওয়া রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছেন।
সান্তিয়াগোর সিএইচও ক্রিস্টিনা হুইডোব্রো আঞ্চলিক গভর্নরের ২০ লাখ ডলারের একটি প্রকল্পে শহরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির তদারকি করছেন।
ফ্রি টাউনের সিএইচও ইউজেনিয়া কার্গবো বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জানতে পেরেছিলেন, তাঁদের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন হলো স্টলের ছাউনি। তিনি তাঁদের সেটি সরবরাহ করেছেন। এখন এসব ছাউনি ব্যবসায়ীদের ও তাঁদের পণ্যগুলোকে দাবদাহ থেকে রক্ষা করছে।
বুশরা আফরিনও ঢাকায় দাবদাহ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতেই মনোনিবেশ করছেন। পাশাপাশি পরিবেশ নিয়ে কাজ করা স্থানীয় সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছেন। তাঁদের লক্ষ্য দাবদাহে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের খুঁজে বের করা ও তাঁদের নিয়ে কাজ করা।
এ জন্য বুশরা আফরিন বলেছেন, ‘আমি দাবদাহ নিয়ে কাজ করার সুযোগ পেয়ে কৃতজ্ঞ। ঢাকা শহরের দাবদাহ নিয়ে কাজ করার জন্য এটি উপযুক্ত সময়। কেননা, অসংখ্য মানুষ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আমি শুধু নিজের মেয়ের জন্য নয়, সব শিশুর জন্য একটি সুন্দর ও ন্যায্য ভবিষ্যৎ তৈরি করতে চাই।’

ইরান ও পাকিস্তানের সীমান্তের কাছে অবস্থিত তাফতান আগ্নেয়গিরি আবার সক্রিয় হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় ৭ লাখ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা এই আগ্নেয়গিরির চূড়া গত এক বছরে প্রায় ৩.৫ ইঞ্চি উঁচু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায়।
২ ঘণ্টা আগে
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
১৭ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইরান ও পাকিস্তানের সীমান্তের কাছে অবস্থিত তাফতান আগ্নেয়গিরি আবার সক্রিয় হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় ৭ লাখ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা এই আগ্নেয়গিরির চূড়া গত এক বছরে প্রায় ৩.৫ ইঞ্চি উঁচু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায়।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, আগ্নেয়গিরিটির নিচে বিপুল পরিমাণ গ্যাসের চাপ সৃষ্টি হচ্ছে, যা কোনো না কোনোভাবে ভবিষ্যতে নির্গত হতে বাধ্য। এটি সহিংস বিস্ফোরণের মাধ্যমেও ঘটতে পারে, অথবা ধীরে ধীরে গ্যাস নিঃসরণের মাধ্যমে।
গবেষণাটির প্রধান লেখক ও আগ্নেয়গিরি বিশেষজ্ঞ পাবলো গনজালেস লাইভ সায়েন্সকে বলেছেন, ‘এটি আতঙ্ক তৈরির জন্য নয়, বরং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জন্য একটি সতর্কবার্তা—যাতে তারা অঞ্চলটিতে পর্যবেক্ষণের জন্য রসদ বরাদ্দ করে।’
রোববার (২৬ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দারাও ইতিমধ্যে ২০২৩ সাল থেকেই আগ্নেয়গিরির কাছাকাছি এলাকায় গ্যাস নিঃসরণের ধোঁয়া ও দুর্গন্ধ লক্ষ্য করেছেন। এমনকি চূড়া থেকে প্রায় ৩০ মাইল দূরেও এমনটি টের পাওয়া গেছে। ১২ হাজার ৯২৭ ফুট উচ্চতার এই বিশাল আগ্নেয়গিরি দক্ষিণ-পূর্ব ইরানের সবচেয়ে বড় এবং পার্শ্ববর্তী ছোট পাহাড়গুলোকে ছাপিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। দূরবর্তী ও প্রত্যন্ত অবস্থানের কারণে এটিকে সরাসরি পর্যবেক্ষণ করাও কঠিন। এ অবস্থায় গবেষণারত শিক্ষার্থী মোহাম্মদ হোসেইন মোহাম্মদনিয়া ও পাবলো গনজালেস স্যাটেলাইট চিত্র ব্যবহার করে আগ্নেয়গিরির চূড়ার উচ্চতা বৃদ্ধির প্রমাণ পান।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই পরিবর্তনের কারণ সম্ভবত আগ্নেয়গিরির নিচের হাইড্রোথার্মাল ব্যবস্থায় পরিবর্তন, যা গ্যাস জমা বা ম্যাগমার স্থানচ্যুতি ঘটাতে পারে। তাঁরা জানিয়েছেন, তাফতান আগ্নেয়গিরির পরিস্থিতি এখন নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং গবেষণা অব্যাহত থাকবে।

ইরান ও পাকিস্তানের সীমান্তের কাছে অবস্থিত তাফতান আগ্নেয়গিরি আবার সক্রিয় হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় ৭ লাখ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা এই আগ্নেয়গিরির চূড়া গত এক বছরে প্রায় ৩.৫ ইঞ্চি উঁচু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায়।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, আগ্নেয়গিরিটির নিচে বিপুল পরিমাণ গ্যাসের চাপ সৃষ্টি হচ্ছে, যা কোনো না কোনোভাবে ভবিষ্যতে নির্গত হতে বাধ্য। এটি সহিংস বিস্ফোরণের মাধ্যমেও ঘটতে পারে, অথবা ধীরে ধীরে গ্যাস নিঃসরণের মাধ্যমে।
গবেষণাটির প্রধান লেখক ও আগ্নেয়গিরি বিশেষজ্ঞ পাবলো গনজালেস লাইভ সায়েন্সকে বলেছেন, ‘এটি আতঙ্ক তৈরির জন্য নয়, বরং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জন্য একটি সতর্কবার্তা—যাতে তারা অঞ্চলটিতে পর্যবেক্ষণের জন্য রসদ বরাদ্দ করে।’
রোববার (২৬ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দারাও ইতিমধ্যে ২০২৩ সাল থেকেই আগ্নেয়গিরির কাছাকাছি এলাকায় গ্যাস নিঃসরণের ধোঁয়া ও দুর্গন্ধ লক্ষ্য করেছেন। এমনকি চূড়া থেকে প্রায় ৩০ মাইল দূরেও এমনটি টের পাওয়া গেছে। ১২ হাজার ৯২৭ ফুট উচ্চতার এই বিশাল আগ্নেয়গিরি দক্ষিণ-পূর্ব ইরানের সবচেয়ে বড় এবং পার্শ্ববর্তী ছোট পাহাড়গুলোকে ছাপিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। দূরবর্তী ও প্রত্যন্ত অবস্থানের কারণে এটিকে সরাসরি পর্যবেক্ষণ করাও কঠিন। এ অবস্থায় গবেষণারত শিক্ষার্থী মোহাম্মদ হোসেইন মোহাম্মদনিয়া ও পাবলো গনজালেস স্যাটেলাইট চিত্র ব্যবহার করে আগ্নেয়গিরির চূড়ার উচ্চতা বৃদ্ধির প্রমাণ পান।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই পরিবর্তনের কারণ সম্ভবত আগ্নেয়গিরির নিচের হাইড্রোথার্মাল ব্যবস্থায় পরিবর্তন, যা গ্যাস জমা বা ম্যাগমার স্থানচ্যুতি ঘটাতে পারে। তাঁরা জানিয়েছেন, তাফতান আগ্নেয়গিরির পরিস্থিতি এখন নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং গবেষণা অব্যাহত থাকবে।

আফরিন ২০১৯ সালের প্রাণিকল্যাণ আইন প্রণয়নে স্থানীয় সরকারের সঙ্গে পরামর্শক হিসেবেও কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি ক্ষুদ্র অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে কাজ করেছেন। আফরিন কানাডার কুইন্স ইউনিভার্সিটি থেকে গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ও ড্রামা বিষয়ে স্নাতক। অ্যার্ডিয়ান আরশট–রকফেলার ফাউন্ডেশন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বড় বড় শ
০৪ মে ২০২৩
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
১৭ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় (১১.৪ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৬.৬ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে।
গভীর নিম্নচাপটি আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ০১ (এক) নম্বর (পুনঃ) ০১ (এক) নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেসঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় (১১.৪ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৬.৬ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে।
গভীর নিম্নচাপটি আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ০১ (এক) নম্বর (পুনঃ) ০১ (এক) নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেসঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

আফরিন ২০১৯ সালের প্রাণিকল্যাণ আইন প্রণয়নে স্থানীয় সরকারের সঙ্গে পরামর্শক হিসেবেও কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি ক্ষুদ্র অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে কাজ করেছেন। আফরিন কানাডার কুইন্স ইউনিভার্সিটি থেকে গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ও ড্রামা বিষয়ে স্নাতক। অ্যার্ডিয়ান আরশট–রকফেলার ফাউন্ডেশন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বড় বড় শ
০৪ মে ২০২৩
ইরান ও পাকিস্তানের সীমান্তের কাছে অবস্থিত তাফতান আগ্নেয়গিরি আবার সক্রিয় হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় ৭ লাখ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা এই আগ্নেয়গিরির চূড়া গত এক বছরে প্রায় ৩.৫ ইঞ্চি উঁচু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায়।
২ ঘণ্টা আগে
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
১৭ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী শহর ঢাকায় দূষণ কমছেই না। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে ঢাকা। প্রতিবছর শীতকাল শুরুর আগেই ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ রোববার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর’। এই স্কোর নিয়ে ঢাকা বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
একিউআই মানদণ্ড অনুসারে, ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বিবেচনা করা হয়। এই স্তরে সাধারণ জনগোষ্ঠীর সদস্যরা অসুস্থতা অনুভব করতে পারেন এবং সংবেদনশীল গোষ্ঠীর (যেমন শিশু, বয়স্ক এবং শ্বাসযন্ত্রের রোগী) জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ৩৮০ একিউআই স্কোর নিয়ে পাকিস্তানের লাহোর এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এই শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ (Hazardous) হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
আজ সকাল ৮টা ২০ মিনিটে আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের শীর্ষ ১০ দূষিত শহরের তালিকার বাকি শহরগুলো হলো —
(বায়ুমানের দ্রুত পরিবর্তনের কারণে র্যাঙ্কিংয়ে পরিবর্তন হতে পারে)
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি (২৯১, খুবই অস্বাস্থ্যকর)। তৃতীয় স্থানে রয়েছে উজবেকিস্তানের তাসখন্দ (১৭৫, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)। চতুর্থ স্থানে রয়েছে ঢাকা এবং পঞ্চম স্থানে পাকিস্তানের করাচি (১৬১,সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
শীর্ষ দশের অন্যান্য শহর:
৬. কায়রো, মিসর (১৫৮)
৭. বাকু, আজারবাইজান (১৫৭)
৮. কাম্পালা, উগান্ডা (১৫২)
৯. দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত (১৪৯)
১০. কলকাতা, ভারত (১৪৩)
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

রাজধানী শহর ঢাকায় দূষণ কমছেই না। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে ঢাকা। প্রতিবছর শীতকাল শুরুর আগেই ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ রোববার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর’। এই স্কোর নিয়ে ঢাকা বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
একিউআই মানদণ্ড অনুসারে, ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বিবেচনা করা হয়। এই স্তরে সাধারণ জনগোষ্ঠীর সদস্যরা অসুস্থতা অনুভব করতে পারেন এবং সংবেদনশীল গোষ্ঠীর (যেমন শিশু, বয়স্ক এবং শ্বাসযন্ত্রের রোগী) জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ৩৮০ একিউআই স্কোর নিয়ে পাকিস্তানের লাহোর এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এই শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ (Hazardous) হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
আজ সকাল ৮টা ২০ মিনিটে আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের শীর্ষ ১০ দূষিত শহরের তালিকার বাকি শহরগুলো হলো —
(বায়ুমানের দ্রুত পরিবর্তনের কারণে র্যাঙ্কিংয়ে পরিবর্তন হতে পারে)
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি (২৯১, খুবই অস্বাস্থ্যকর)। তৃতীয় স্থানে রয়েছে উজবেকিস্তানের তাসখন্দ (১৭৫, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)। চতুর্থ স্থানে রয়েছে ঢাকা এবং পঞ্চম স্থানে পাকিস্তানের করাচি (১৬১,সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
শীর্ষ দশের অন্যান্য শহর:
৬. কায়রো, মিসর (১৫৮)
৭. বাকু, আজারবাইজান (১৫৭)
৮. কাম্পালা, উগান্ডা (১৫২)
৯. দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত (১৪৯)
১০. কলকাতা, ভারত (১৪৩)
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

আফরিন ২০১৯ সালের প্রাণিকল্যাণ আইন প্রণয়নে স্থানীয় সরকারের সঙ্গে পরামর্শক হিসেবেও কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি ক্ষুদ্র অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে কাজ করেছেন। আফরিন কানাডার কুইন্স ইউনিভার্সিটি থেকে গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ও ড্রামা বিষয়ে স্নাতক। অ্যার্ডিয়ান আরশট–রকফেলার ফাউন্ডেশন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বড় বড় শ
০৪ মে ২০২৩
ইরান ও পাকিস্তানের সীমান্তের কাছে অবস্থিত তাফতান আগ্নেয়গিরি আবার সক্রিয় হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় ৭ লাখ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা এই আগ্নেয়গিরির চূড়া গত এক বছরে প্রায় ৩.৫ ইঞ্চি উঁচু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায়।
২ ঘণ্টা আগে
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঢাকাসহ সারা দেশে বৃষ্টির প্রবণতা কমে এসেছে। ফলে আবহাওয়া শুষ্ক, বেড়েছে তাপমাত্রা। তবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে নিম্নচাপ। এটি গভীর নিম্নচাপ থেকে আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এর প্রভাবে ২৮ অক্টোবর থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তর ও পশ্চিম-দক্ষিণে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর ও পশ্চিম-দক্ষিণে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আজ রাজধানী ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকাসহ সারা দেশে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। তবে চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। কাল সোমবার থেকে আবহাওয়া প্রায় একই রকম থাকবে। তবে ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যা থেকে চট্টগ্রাম ছাড়াও রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
বৃষ্টির এই ধারা ২৯ অক্টোবরও অব্যাহত থাকতে পারে। ৩০ অক্টোবর থেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে গভীর নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলেও এটির বাংলাদেশে আঘাত হানার সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। আজ সকালে আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় যা-ই হোক না কেন, আপাতত এর গতিবিধিতে মনে হচ্ছে এটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

ঢাকাসহ সারা দেশে বৃষ্টির প্রবণতা কমে এসেছে। ফলে আবহাওয়া শুষ্ক, বেড়েছে তাপমাত্রা। তবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে নিম্নচাপ। এটি গভীর নিম্নচাপ থেকে আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এর প্রভাবে ২৮ অক্টোবর থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তর ও পশ্চিম-দক্ষিণে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর ও পশ্চিম-দক্ষিণে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আজ রাজধানী ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকাসহ সারা দেশে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। তবে চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। কাল সোমবার থেকে আবহাওয়া প্রায় একই রকম থাকবে। তবে ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যা থেকে চট্টগ্রাম ছাড়াও রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
বৃষ্টির এই ধারা ২৯ অক্টোবরও অব্যাহত থাকতে পারে। ৩০ অক্টোবর থেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে গভীর নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলেও এটির বাংলাদেশে আঘাত হানার সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। আজ সকালে আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় যা-ই হোক না কেন, আপাতত এর গতিবিধিতে মনে হচ্ছে এটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

আফরিন ২০১৯ সালের প্রাণিকল্যাণ আইন প্রণয়নে স্থানীয় সরকারের সঙ্গে পরামর্শক হিসেবেও কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি ক্ষুদ্র অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে কাজ করেছেন। আফরিন কানাডার কুইন্স ইউনিভার্সিটি থেকে গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ও ড্রামা বিষয়ে স্নাতক। অ্যার্ডিয়ান আরশট–রকফেলার ফাউন্ডেশন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বড় বড় শ
০৪ মে ২০২৩
ইরান ও পাকিস্তানের সীমান্তের কাছে অবস্থিত তাফতান আগ্নেয়গিরি আবার সক্রিয় হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় ৭ লাখ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা এই আগ্নেয়গিরির চূড়া গত এক বছরে প্রায় ৩.৫ ইঞ্চি উঁচু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায়।
২ ঘণ্টা আগে
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
১৭ ঘণ্টা আগে