
গল্পটা নেপালের ভাদাই থারু নামের এক ব্যক্তির। বন্য প্রাণী নিয়ে কাজ করার সময় বাঘের আক্রমণে চোখ হারান তিনি। তারপর তিনি কী করলেন? প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করলেন? না। অবিশ্বাস্য শোনালেও পরের প্রায় দুই দশক ধরে বাঘ বাঁচাতেই কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
নেপালের খাতা এলাকায় বাস করা বাধাই থারু বলা চলে জীবনের বড় অংশ কাটিয়ে দিয়েছেন পুনর্বনায়ন এবং সংরক্ষণের কাজে। আর এর মূল উদ্দেশ্য বাঘের সংখ্যা বাড়ানো। ২০০৪ সালে জঙ্গলে কাজ করার সময় বাঘের আক্রমণের শিকার হন তিনি। এ সময় একটি চোখ হারান।
আমাদের বেশির ভাগই বুনো পরিবেশে বাঘ দেখিনি। তবে নেপালের খাতা করিডরে বলা চলে এদের পাশাপাশিই বাস করেন মানুষ। বাঘের আক্রমণের ঝুঁকি থাকার পরও এখানকার মানুষ বাঘ সংরক্ষণে সহায়তা করেন।
নেপালের বারদিয়া এলাকাটির পশ্চিমে ভারত। এই বারদিয়াতেই বাঘের গল্প শুনতে শুনতে বড় হয়েছেন ভাদাই থারু।
তাঁর বাড়ির আশপাশের জঙ্গলে বাঘ খুব স্বাভাবিক বিষয় ছিল না। বিশ শতকের গোড়ার দিকে এক লাখের বেশি বাঘ ঘুরে বেড়াত এশিয়াজুড়ে। কিন্তু ১৯৭০-এর দশকে থারু যখন বেড়ে ওঠেন, তখন বাঘের সংখ্যা ২০ হাজারের আশপাশে নেমে এসেছে।
তবে এতে শিশু থারুকে বাঘের গল্প বলায় মা-বাবার কোনো বাধা ছিল না। এমন একটি অরণ্য এলাকায় বাস, যেখানে বাঘ ছিল জঙ্গলের রাজা, তাদের এক ধরনের পৌরাণিক চরিত্র হিসেবে দেখা হয়। থারু বলেন, কালেভদ্রে এদের কোনো একটি গ্রামে প্রবেশ করলে একে দেবতাদের অসন্তুষ্টির চিহ্ন হিসেবে দেখা হতো। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর বাঘের আবাসস্থল রক্ষায় বন সংরক্ষণে মন দেন।
তারপরই ২০০৪ সালে থারুকে একটি বাঘ আক্রমণ করলে একটি চোখ হারান তিনি। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি থারুর মনে প্রবল প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে শুরুতে।
‘বাঘের প্রতি প্রচণ্ড ক্ষোভের জন্ম হয় আমার মনে’ বলেন থারু, ‘ভেতরে ভেতরে ক্রোধে রীতিমতো জ্বলছিলাম। এমনকি জঙ্গলে ফিরে বাঘের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার প্রবল এক তাড়না অনুভব করছিলাম।’
কিন্তু থারু টের পান সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে নিজের রাগ কমে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে জঙ্গলটি বাঘের বাড়ি এবং তাঁর বাসস্থানের ক্ষতি করতে পারি শুধু এই ভয়ে আমাকে আক্রমণ করে বসে।’
আক্রমণের দিনটির কথা মনে করে থারু জানান, বনে ১০০ থেকে ১৫০ জন মানুষ কাঠ এবং ঘাস সংগ্রহ করছিলেন। আর তিনি কমিউনিটি ফরেস্ট বা সামাজিক বনায়ন উদ্যোগের চেয়ারম্যান হিসেবে এর তত্ত্বাবধান করছিলেন।
‘মানুষ পুরো বনে ছড়িয়ে পড়েছিল। বাঘটি নিজেকে মানুষ পরিবেষ্টিত অবস্থায় আবিষ্কার করে, পালানোর পথ খুঁজে পাচ্ছিল না।’ বলেন তিনি, ‘আমাকে আক্রমণ করা বাঘটি ভয় পেয়েছিল। এটা আমাকে মেরে ফেলতে পারত, কিন্তু এটা আক্রমণ করেই চলে যায়।’
তারপর থারু নেপালের বাঘ রক্ষা করার পাশাপাশি এই অঞ্চলে মানুষ-বন্য প্রাণী সংঘাত প্রতিরোধের প্রতিশ্রুতি নিয়ে আবারও কাজ শুরু করেন।
থারু জানান, ১৯৮০-র দশকে থারু গ্রামের চারপাশের খাতা এলাকার জমি বন উজাড়ের কারণে মোটামুটি উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। ২০০১ সালে উপকরণ এবং জীবিকা নির্বাহের জন্য বনের ওপর নির্ভর করে এমন স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে হস্তান্তর করা হয় এলাকাটি।
খাতা করিডর নামে পরিচিত জায়গাটি উত্তর প্রদেশের কাতারনিয়াঘাট বন্য প্রাণী অভয়ারণ্যের সঙ্গে নেপালের বারদিয়া জাতীয় উদ্যানের সংযোগ স্থাপন করেছে। এখানকার অরণ্যবেষ্টিত এলাকার পরিমাণ ১১৫ হেক্টর থেকে এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৮০০ হেক্টরে। থারুদের এই সংরক্ষণ উদ্যোগটি ২০২১ সালে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর নেচারের (ডব্লিউডব্লিউএফ) কনজারভেশন এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড জিতে। আর অরণ্য ফিরে আসার সঙ্গে সঙ্গে ফিরে আসতে শুরু করে বাঘসহ বিভিন্ন বন্য প্রাণী, জানান থারু।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে নেপাল বাঘের সংখ্যা ১২১ থেকে দ্বিগুণ করার একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করে। তবে লক্ষ্যকে ছাড়িয়ে গেছে তারা, ডব্লিউডব্লিউএফের তাদের বাঘের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৫৫-তে।
খাতা করিডর এই অঞ্চলে বাঘ সংরক্ষণে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রেখেছে।
নেপালের অলাভজনক বেসরকারি সংস্থা ন্যাশনাল ট্রাস্ট ফর নেচার কনজারভেশন (এনটিএনসি) কাজ করে সামাজিক বনায়ন নিয়ে। সংস্থাটির গবেষক উমেশ পদেল জানান, সাধারণত বন্য প্রাণীরা এ ধরনের করিডরকে তাদের স্থায়ী আবাসস্থল বলে মনে করে না। সংরক্ষণের প্রচেষ্টার আগে, করিডরে ক্যামেরা বাঘ খুব কমই দেখা যেত। কিন্তু ২০২১ সালের বাঘ শুমারিতে দেখা গেছে যে চারটি বাঘ স্থায়ীভাবে খাতা করিডরে বসবাস করছে।
পদেল জানান, বাঘ একটি নির্দিষ্ট এলাকা নিয়ে বসবাস করে। সাধারণ একটি বাঘের বিচরণের জন্য ৫৮ বর্গমাইল এলাকা প্রয়োজন হয়। নিয়মিতই নতুন আবাস খোঁজে সে। করিডর তাদের অবাধে চলাফেরা করতে এবং সংখ্যা বিস্তারে সাহায্য করে।
বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি সংরক্ষণের দিক থেকে একটি বড় সফলতা হলেও এলাকাটি নতুন একটি সমস্যায় পড়ে গেছে। এখানে মানুষ-বন্য প্রাণী সংখ্যা বেড়েছে।
থারুকে যখন বাঘ আক্রমণ করে মানে ২০০৪ সালের দিকে এমন ঘটনা ছিল বিরল, কিন্তু বাঘের সংখ্যা বাড়ায় এই আক্রমণের ঘটনা বেশ নিয়মিত ঘটছে। ২০১৯ সালের পর থেকে বাংকি ও বারদিয়া জাতীয় উদ্যানে মানুষের ওপর ৩৪টি প্রাণঘাতী আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। এই করিডর এলাকায় ৬০০০ পরিবারের বাস এবং এর মাঝ দিয়ে চলে গেছে ব্যস্ত একটি মহাসড়ক। এতে মানুষ-বাঘ সংঘাতের আশঙ্কা আরও বেড়েছে।
এনটিএনসি ক্যামেরা ট্র্যাপ দিয়ে বাঘের ওপর নজর রাখে এবং সম্ভাব্য সমস্যাযুক্ত বাঘ শনাক্ত করে। ‘যদি আমরা নিশ্চিত হই এই বাঘগুলো প্রায়ই মানুষের হতাহতের সঙ্গে জড়িত, তাদের ধরার সুপারিশ করি।’ বলেন তিনি। এটি নেপালি সেনাবাহিনী, ন্যাশনাল পার্ক অফিস এবং এনটিএনসির কর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল দিয়ে পরিচালিত হয়।
বাঘদের ট্র্যাকিং এবং পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি, এনটিএনসি বাঘের প্রধান খাবার হরিণের সংখ্যা যেন ঠিক থাকে সেদিকেও নজর রাখে। একইভাবে, কৃত্রিম জলাধারের ব্যবস্থা করে বাঘের জনসংখ্যা বাড়াতে এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের থেকে বন্য প্রাণীদের দূরে সরিয়ে দিতে সহায়তা করে।
তবে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধিই মানুষ-বন্য প্রাণী সংঘাত বৃদ্ধির একমাত্র কারণ নয়। পদেল বলেন, ‘স্থানীয় বাসিন্দারা বন্য প্রাণীর আবাসস্থল দখল করছেন, একা বনে প্রবেশ করছেন এবং প্রাকৃতিক আবাসস্থলের ক্ষতি করছেন। এসব সমস্যা তৈরির কারণেও তাঁরা প্রায়ই বাঘের আক্রমণের মুখে পড়েন।’
তবে বাঘদের চেয়ে মানুষের ব্যবহার পরিবর্তনের চেষ্টা করা সহজ। মানুষকে এসব বিষয়ে বোঝাতে এবং বেড়াসহ বিভিন্ন অবকাঠামো তৈরি করে আক্রমণ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখছে এনটিএনসি।
থারু জানান, মানুষ-বন্য প্রাণী সংঘাত বাড়লেও বাঘের সংখ্যা বাড়ায় স্থানীয় অধিবাসীরা খুশি।
প্রধান বা শীর্ষ শিকারি হিসেবে বাঘ হলো এখানকার সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী প্রজাতি। যার অর্থ হলো তারা বনের বাস্তুতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য। আর এ অরণ্যের ওপর আশপাশের সম্প্রদায়গুলো তাদের বাড়িঘর, ভরণপোষণ এবং জীবিকা নির্বাহের জন্য নির্ভর করে।
‘বাঘ এক সময় বিপন্ন ছিল, এখন তারা ফিরে এসেছে। এটা আমাদের জন্য ভালো খবর।’ বলেন থারু।
এখানকার মানুষকে সতর্কতা অবলম্বন করতে শেখানোর মাধ্যমে তিনি আশা করেন যে বাঘের আক্রমণগুলোও কমানো যেতে পারে। ‘পৃথিবীতে প্রত্যেক প্রাণীর সমান অধিকার আছে’। বলেন তিনি।
সূত্র: সিএনএন

গল্পটা নেপালের ভাদাই থারু নামের এক ব্যক্তির। বন্য প্রাণী নিয়ে কাজ করার সময় বাঘের আক্রমণে চোখ হারান তিনি। তারপর তিনি কী করলেন? প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করলেন? না। অবিশ্বাস্য শোনালেও পরের প্রায় দুই দশক ধরে বাঘ বাঁচাতেই কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
নেপালের খাতা এলাকায় বাস করা বাধাই থারু বলা চলে জীবনের বড় অংশ কাটিয়ে দিয়েছেন পুনর্বনায়ন এবং সংরক্ষণের কাজে। আর এর মূল উদ্দেশ্য বাঘের সংখ্যা বাড়ানো। ২০০৪ সালে জঙ্গলে কাজ করার সময় বাঘের আক্রমণের শিকার হন তিনি। এ সময় একটি চোখ হারান।
আমাদের বেশির ভাগই বুনো পরিবেশে বাঘ দেখিনি। তবে নেপালের খাতা করিডরে বলা চলে এদের পাশাপাশিই বাস করেন মানুষ। বাঘের আক্রমণের ঝুঁকি থাকার পরও এখানকার মানুষ বাঘ সংরক্ষণে সহায়তা করেন।
নেপালের বারদিয়া এলাকাটির পশ্চিমে ভারত। এই বারদিয়াতেই বাঘের গল্প শুনতে শুনতে বড় হয়েছেন ভাদাই থারু।
তাঁর বাড়ির আশপাশের জঙ্গলে বাঘ খুব স্বাভাবিক বিষয় ছিল না। বিশ শতকের গোড়ার দিকে এক লাখের বেশি বাঘ ঘুরে বেড়াত এশিয়াজুড়ে। কিন্তু ১৯৭০-এর দশকে থারু যখন বেড়ে ওঠেন, তখন বাঘের সংখ্যা ২০ হাজারের আশপাশে নেমে এসেছে।
তবে এতে শিশু থারুকে বাঘের গল্প বলায় মা-বাবার কোনো বাধা ছিল না। এমন একটি অরণ্য এলাকায় বাস, যেখানে বাঘ ছিল জঙ্গলের রাজা, তাদের এক ধরনের পৌরাণিক চরিত্র হিসেবে দেখা হয়। থারু বলেন, কালেভদ্রে এদের কোনো একটি গ্রামে প্রবেশ করলে একে দেবতাদের অসন্তুষ্টির চিহ্ন হিসেবে দেখা হতো। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর বাঘের আবাসস্থল রক্ষায় বন সংরক্ষণে মন দেন।
তারপরই ২০০৪ সালে থারুকে একটি বাঘ আক্রমণ করলে একটি চোখ হারান তিনি। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি থারুর মনে প্রবল প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে শুরুতে।
‘বাঘের প্রতি প্রচণ্ড ক্ষোভের জন্ম হয় আমার মনে’ বলেন থারু, ‘ভেতরে ভেতরে ক্রোধে রীতিমতো জ্বলছিলাম। এমনকি জঙ্গলে ফিরে বাঘের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার প্রবল এক তাড়না অনুভব করছিলাম।’
কিন্তু থারু টের পান সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে নিজের রাগ কমে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে জঙ্গলটি বাঘের বাড়ি এবং তাঁর বাসস্থানের ক্ষতি করতে পারি শুধু এই ভয়ে আমাকে আক্রমণ করে বসে।’
আক্রমণের দিনটির কথা মনে করে থারু জানান, বনে ১০০ থেকে ১৫০ জন মানুষ কাঠ এবং ঘাস সংগ্রহ করছিলেন। আর তিনি কমিউনিটি ফরেস্ট বা সামাজিক বনায়ন উদ্যোগের চেয়ারম্যান হিসেবে এর তত্ত্বাবধান করছিলেন।
‘মানুষ পুরো বনে ছড়িয়ে পড়েছিল। বাঘটি নিজেকে মানুষ পরিবেষ্টিত অবস্থায় আবিষ্কার করে, পালানোর পথ খুঁজে পাচ্ছিল না।’ বলেন তিনি, ‘আমাকে আক্রমণ করা বাঘটি ভয় পেয়েছিল। এটা আমাকে মেরে ফেলতে পারত, কিন্তু এটা আক্রমণ করেই চলে যায়।’
তারপর থারু নেপালের বাঘ রক্ষা করার পাশাপাশি এই অঞ্চলে মানুষ-বন্য প্রাণী সংঘাত প্রতিরোধের প্রতিশ্রুতি নিয়ে আবারও কাজ শুরু করেন।
থারু জানান, ১৯৮০-র দশকে থারু গ্রামের চারপাশের খাতা এলাকার জমি বন উজাড়ের কারণে মোটামুটি উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। ২০০১ সালে উপকরণ এবং জীবিকা নির্বাহের জন্য বনের ওপর নির্ভর করে এমন স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে হস্তান্তর করা হয় এলাকাটি।
খাতা করিডর নামে পরিচিত জায়গাটি উত্তর প্রদেশের কাতারনিয়াঘাট বন্য প্রাণী অভয়ারণ্যের সঙ্গে নেপালের বারদিয়া জাতীয় উদ্যানের সংযোগ স্থাপন করেছে। এখানকার অরণ্যবেষ্টিত এলাকার পরিমাণ ১১৫ হেক্টর থেকে এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৮০০ হেক্টরে। থারুদের এই সংরক্ষণ উদ্যোগটি ২০২১ সালে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর নেচারের (ডব্লিউডব্লিউএফ) কনজারভেশন এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড জিতে। আর অরণ্য ফিরে আসার সঙ্গে সঙ্গে ফিরে আসতে শুরু করে বাঘসহ বিভিন্ন বন্য প্রাণী, জানান থারু।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে নেপাল বাঘের সংখ্যা ১২১ থেকে দ্বিগুণ করার একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করে। তবে লক্ষ্যকে ছাড়িয়ে গেছে তারা, ডব্লিউডব্লিউএফের তাদের বাঘের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৫৫-তে।
খাতা করিডর এই অঞ্চলে বাঘ সংরক্ষণে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রেখেছে।
নেপালের অলাভজনক বেসরকারি সংস্থা ন্যাশনাল ট্রাস্ট ফর নেচার কনজারভেশন (এনটিএনসি) কাজ করে সামাজিক বনায়ন নিয়ে। সংস্থাটির গবেষক উমেশ পদেল জানান, সাধারণত বন্য প্রাণীরা এ ধরনের করিডরকে তাদের স্থায়ী আবাসস্থল বলে মনে করে না। সংরক্ষণের প্রচেষ্টার আগে, করিডরে ক্যামেরা বাঘ খুব কমই দেখা যেত। কিন্তু ২০২১ সালের বাঘ শুমারিতে দেখা গেছে যে চারটি বাঘ স্থায়ীভাবে খাতা করিডরে বসবাস করছে।
পদেল জানান, বাঘ একটি নির্দিষ্ট এলাকা নিয়ে বসবাস করে। সাধারণ একটি বাঘের বিচরণের জন্য ৫৮ বর্গমাইল এলাকা প্রয়োজন হয়। নিয়মিতই নতুন আবাস খোঁজে সে। করিডর তাদের অবাধে চলাফেরা করতে এবং সংখ্যা বিস্তারে সাহায্য করে।
বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি সংরক্ষণের দিক থেকে একটি বড় সফলতা হলেও এলাকাটি নতুন একটি সমস্যায় পড়ে গেছে। এখানে মানুষ-বন্য প্রাণী সংখ্যা বেড়েছে।
থারুকে যখন বাঘ আক্রমণ করে মানে ২০০৪ সালের দিকে এমন ঘটনা ছিল বিরল, কিন্তু বাঘের সংখ্যা বাড়ায় এই আক্রমণের ঘটনা বেশ নিয়মিত ঘটছে। ২০১৯ সালের পর থেকে বাংকি ও বারদিয়া জাতীয় উদ্যানে মানুষের ওপর ৩৪টি প্রাণঘাতী আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। এই করিডর এলাকায় ৬০০০ পরিবারের বাস এবং এর মাঝ দিয়ে চলে গেছে ব্যস্ত একটি মহাসড়ক। এতে মানুষ-বাঘ সংঘাতের আশঙ্কা আরও বেড়েছে।
এনটিএনসি ক্যামেরা ট্র্যাপ দিয়ে বাঘের ওপর নজর রাখে এবং সম্ভাব্য সমস্যাযুক্ত বাঘ শনাক্ত করে। ‘যদি আমরা নিশ্চিত হই এই বাঘগুলো প্রায়ই মানুষের হতাহতের সঙ্গে জড়িত, তাদের ধরার সুপারিশ করি।’ বলেন তিনি। এটি নেপালি সেনাবাহিনী, ন্যাশনাল পার্ক অফিস এবং এনটিএনসির কর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল দিয়ে পরিচালিত হয়।
বাঘদের ট্র্যাকিং এবং পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি, এনটিএনসি বাঘের প্রধান খাবার হরিণের সংখ্যা যেন ঠিক থাকে সেদিকেও নজর রাখে। একইভাবে, কৃত্রিম জলাধারের ব্যবস্থা করে বাঘের জনসংখ্যা বাড়াতে এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের থেকে বন্য প্রাণীদের দূরে সরিয়ে দিতে সহায়তা করে।
তবে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধিই মানুষ-বন্য প্রাণী সংঘাত বৃদ্ধির একমাত্র কারণ নয়। পদেল বলেন, ‘স্থানীয় বাসিন্দারা বন্য প্রাণীর আবাসস্থল দখল করছেন, একা বনে প্রবেশ করছেন এবং প্রাকৃতিক আবাসস্থলের ক্ষতি করছেন। এসব সমস্যা তৈরির কারণেও তাঁরা প্রায়ই বাঘের আক্রমণের মুখে পড়েন।’
তবে বাঘদের চেয়ে মানুষের ব্যবহার পরিবর্তনের চেষ্টা করা সহজ। মানুষকে এসব বিষয়ে বোঝাতে এবং বেড়াসহ বিভিন্ন অবকাঠামো তৈরি করে আক্রমণ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখছে এনটিএনসি।
থারু জানান, মানুষ-বন্য প্রাণী সংঘাত বাড়লেও বাঘের সংখ্যা বাড়ায় স্থানীয় অধিবাসীরা খুশি।
প্রধান বা শীর্ষ শিকারি হিসেবে বাঘ হলো এখানকার সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী প্রজাতি। যার অর্থ হলো তারা বনের বাস্তুতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য। আর এ অরণ্যের ওপর আশপাশের সম্প্রদায়গুলো তাদের বাড়িঘর, ভরণপোষণ এবং জীবিকা নির্বাহের জন্য নির্ভর করে।
‘বাঘ এক সময় বিপন্ন ছিল, এখন তারা ফিরে এসেছে। এটা আমাদের জন্য ভালো খবর।’ বলেন থারু।
এখানকার মানুষকে সতর্কতা অবলম্বন করতে শেখানোর মাধ্যমে তিনি আশা করেন যে বাঘের আক্রমণগুলোও কমানো যেতে পারে। ‘পৃথিবীতে প্রত্যেক প্রাণীর সমান অধিকার আছে’। বলেন তিনি।
সূত্র: সিএনএন

গল্পটা নেপালের ভাদাই থারু নামের এক ব্যক্তির। বন্য প্রাণী নিয়ে কাজ করার সময় বাঘের আক্রমণে চোখ হারান তিনি। তারপর তিনি কী করলেন? প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করলেন? না। অবিশ্বাস্য শোনালেও পরের প্রায় দুই দশক ধরে বাঘ বাঁচাতেই কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
নেপালের খাতা এলাকায় বাস করা বাধাই থারু বলা চলে জীবনের বড় অংশ কাটিয়ে দিয়েছেন পুনর্বনায়ন এবং সংরক্ষণের কাজে। আর এর মূল উদ্দেশ্য বাঘের সংখ্যা বাড়ানো। ২০০৪ সালে জঙ্গলে কাজ করার সময় বাঘের আক্রমণের শিকার হন তিনি। এ সময় একটি চোখ হারান।
আমাদের বেশির ভাগই বুনো পরিবেশে বাঘ দেখিনি। তবে নেপালের খাতা করিডরে বলা চলে এদের পাশাপাশিই বাস করেন মানুষ। বাঘের আক্রমণের ঝুঁকি থাকার পরও এখানকার মানুষ বাঘ সংরক্ষণে সহায়তা করেন।
নেপালের বারদিয়া এলাকাটির পশ্চিমে ভারত। এই বারদিয়াতেই বাঘের গল্প শুনতে শুনতে বড় হয়েছেন ভাদাই থারু।
তাঁর বাড়ির আশপাশের জঙ্গলে বাঘ খুব স্বাভাবিক বিষয় ছিল না। বিশ শতকের গোড়ার দিকে এক লাখের বেশি বাঘ ঘুরে বেড়াত এশিয়াজুড়ে। কিন্তু ১৯৭০-এর দশকে থারু যখন বেড়ে ওঠেন, তখন বাঘের সংখ্যা ২০ হাজারের আশপাশে নেমে এসেছে।
তবে এতে শিশু থারুকে বাঘের গল্প বলায় মা-বাবার কোনো বাধা ছিল না। এমন একটি অরণ্য এলাকায় বাস, যেখানে বাঘ ছিল জঙ্গলের রাজা, তাদের এক ধরনের পৌরাণিক চরিত্র হিসেবে দেখা হয়। থারু বলেন, কালেভদ্রে এদের কোনো একটি গ্রামে প্রবেশ করলে একে দেবতাদের অসন্তুষ্টির চিহ্ন হিসেবে দেখা হতো। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর বাঘের আবাসস্থল রক্ষায় বন সংরক্ষণে মন দেন।
তারপরই ২০০৪ সালে থারুকে একটি বাঘ আক্রমণ করলে একটি চোখ হারান তিনি। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি থারুর মনে প্রবল প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে শুরুতে।
‘বাঘের প্রতি প্রচণ্ড ক্ষোভের জন্ম হয় আমার মনে’ বলেন থারু, ‘ভেতরে ভেতরে ক্রোধে রীতিমতো জ্বলছিলাম। এমনকি জঙ্গলে ফিরে বাঘের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার প্রবল এক তাড়না অনুভব করছিলাম।’
কিন্তু থারু টের পান সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে নিজের রাগ কমে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে জঙ্গলটি বাঘের বাড়ি এবং তাঁর বাসস্থানের ক্ষতি করতে পারি শুধু এই ভয়ে আমাকে আক্রমণ করে বসে।’
আক্রমণের দিনটির কথা মনে করে থারু জানান, বনে ১০০ থেকে ১৫০ জন মানুষ কাঠ এবং ঘাস সংগ্রহ করছিলেন। আর তিনি কমিউনিটি ফরেস্ট বা সামাজিক বনায়ন উদ্যোগের চেয়ারম্যান হিসেবে এর তত্ত্বাবধান করছিলেন।
‘মানুষ পুরো বনে ছড়িয়ে পড়েছিল। বাঘটি নিজেকে মানুষ পরিবেষ্টিত অবস্থায় আবিষ্কার করে, পালানোর পথ খুঁজে পাচ্ছিল না।’ বলেন তিনি, ‘আমাকে আক্রমণ করা বাঘটি ভয় পেয়েছিল। এটা আমাকে মেরে ফেলতে পারত, কিন্তু এটা আক্রমণ করেই চলে যায়।’
তারপর থারু নেপালের বাঘ রক্ষা করার পাশাপাশি এই অঞ্চলে মানুষ-বন্য প্রাণী সংঘাত প্রতিরোধের প্রতিশ্রুতি নিয়ে আবারও কাজ শুরু করেন।
থারু জানান, ১৯৮০-র দশকে থারু গ্রামের চারপাশের খাতা এলাকার জমি বন উজাড়ের কারণে মোটামুটি উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। ২০০১ সালে উপকরণ এবং জীবিকা নির্বাহের জন্য বনের ওপর নির্ভর করে এমন স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে হস্তান্তর করা হয় এলাকাটি।
খাতা করিডর নামে পরিচিত জায়গাটি উত্তর প্রদেশের কাতারনিয়াঘাট বন্য প্রাণী অভয়ারণ্যের সঙ্গে নেপালের বারদিয়া জাতীয় উদ্যানের সংযোগ স্থাপন করেছে। এখানকার অরণ্যবেষ্টিত এলাকার পরিমাণ ১১৫ হেক্টর থেকে এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৮০০ হেক্টরে। থারুদের এই সংরক্ষণ উদ্যোগটি ২০২১ সালে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর নেচারের (ডব্লিউডব্লিউএফ) কনজারভেশন এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড জিতে। আর অরণ্য ফিরে আসার সঙ্গে সঙ্গে ফিরে আসতে শুরু করে বাঘসহ বিভিন্ন বন্য প্রাণী, জানান থারু।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে নেপাল বাঘের সংখ্যা ১২১ থেকে দ্বিগুণ করার একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করে। তবে লক্ষ্যকে ছাড়িয়ে গেছে তারা, ডব্লিউডব্লিউএফের তাদের বাঘের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৫৫-তে।
খাতা করিডর এই অঞ্চলে বাঘ সংরক্ষণে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রেখেছে।
নেপালের অলাভজনক বেসরকারি সংস্থা ন্যাশনাল ট্রাস্ট ফর নেচার কনজারভেশন (এনটিএনসি) কাজ করে সামাজিক বনায়ন নিয়ে। সংস্থাটির গবেষক উমেশ পদেল জানান, সাধারণত বন্য প্রাণীরা এ ধরনের করিডরকে তাদের স্থায়ী আবাসস্থল বলে মনে করে না। সংরক্ষণের প্রচেষ্টার আগে, করিডরে ক্যামেরা বাঘ খুব কমই দেখা যেত। কিন্তু ২০২১ সালের বাঘ শুমারিতে দেখা গেছে যে চারটি বাঘ স্থায়ীভাবে খাতা করিডরে বসবাস করছে।
পদেল জানান, বাঘ একটি নির্দিষ্ট এলাকা নিয়ে বসবাস করে। সাধারণ একটি বাঘের বিচরণের জন্য ৫৮ বর্গমাইল এলাকা প্রয়োজন হয়। নিয়মিতই নতুন আবাস খোঁজে সে। করিডর তাদের অবাধে চলাফেরা করতে এবং সংখ্যা বিস্তারে সাহায্য করে।
বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি সংরক্ষণের দিক থেকে একটি বড় সফলতা হলেও এলাকাটি নতুন একটি সমস্যায় পড়ে গেছে। এখানে মানুষ-বন্য প্রাণী সংখ্যা বেড়েছে।
থারুকে যখন বাঘ আক্রমণ করে মানে ২০০৪ সালের দিকে এমন ঘটনা ছিল বিরল, কিন্তু বাঘের সংখ্যা বাড়ায় এই আক্রমণের ঘটনা বেশ নিয়মিত ঘটছে। ২০১৯ সালের পর থেকে বাংকি ও বারদিয়া জাতীয় উদ্যানে মানুষের ওপর ৩৪টি প্রাণঘাতী আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। এই করিডর এলাকায় ৬০০০ পরিবারের বাস এবং এর মাঝ দিয়ে চলে গেছে ব্যস্ত একটি মহাসড়ক। এতে মানুষ-বাঘ সংঘাতের আশঙ্কা আরও বেড়েছে।
এনটিএনসি ক্যামেরা ট্র্যাপ দিয়ে বাঘের ওপর নজর রাখে এবং সম্ভাব্য সমস্যাযুক্ত বাঘ শনাক্ত করে। ‘যদি আমরা নিশ্চিত হই এই বাঘগুলো প্রায়ই মানুষের হতাহতের সঙ্গে জড়িত, তাদের ধরার সুপারিশ করি।’ বলেন তিনি। এটি নেপালি সেনাবাহিনী, ন্যাশনাল পার্ক অফিস এবং এনটিএনসির কর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল দিয়ে পরিচালিত হয়।
বাঘদের ট্র্যাকিং এবং পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি, এনটিএনসি বাঘের প্রধান খাবার হরিণের সংখ্যা যেন ঠিক থাকে সেদিকেও নজর রাখে। একইভাবে, কৃত্রিম জলাধারের ব্যবস্থা করে বাঘের জনসংখ্যা বাড়াতে এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের থেকে বন্য প্রাণীদের দূরে সরিয়ে দিতে সহায়তা করে।
তবে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধিই মানুষ-বন্য প্রাণী সংঘাত বৃদ্ধির একমাত্র কারণ নয়। পদেল বলেন, ‘স্থানীয় বাসিন্দারা বন্য প্রাণীর আবাসস্থল দখল করছেন, একা বনে প্রবেশ করছেন এবং প্রাকৃতিক আবাসস্থলের ক্ষতি করছেন। এসব সমস্যা তৈরির কারণেও তাঁরা প্রায়ই বাঘের আক্রমণের মুখে পড়েন।’
তবে বাঘদের চেয়ে মানুষের ব্যবহার পরিবর্তনের চেষ্টা করা সহজ। মানুষকে এসব বিষয়ে বোঝাতে এবং বেড়াসহ বিভিন্ন অবকাঠামো তৈরি করে আক্রমণ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখছে এনটিএনসি।
থারু জানান, মানুষ-বন্য প্রাণী সংঘাত বাড়লেও বাঘের সংখ্যা বাড়ায় স্থানীয় অধিবাসীরা খুশি।
প্রধান বা শীর্ষ শিকারি হিসেবে বাঘ হলো এখানকার সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী প্রজাতি। যার অর্থ হলো তারা বনের বাস্তুতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য। আর এ অরণ্যের ওপর আশপাশের সম্প্রদায়গুলো তাদের বাড়িঘর, ভরণপোষণ এবং জীবিকা নির্বাহের জন্য নির্ভর করে।
‘বাঘ এক সময় বিপন্ন ছিল, এখন তারা ফিরে এসেছে। এটা আমাদের জন্য ভালো খবর।’ বলেন থারু।
এখানকার মানুষকে সতর্কতা অবলম্বন করতে শেখানোর মাধ্যমে তিনি আশা করেন যে বাঘের আক্রমণগুলোও কমানো যেতে পারে। ‘পৃথিবীতে প্রত্যেক প্রাণীর সমান অধিকার আছে’। বলেন তিনি।
সূত্র: সিএনএন

গল্পটা নেপালের ভাদাই থারু নামের এক ব্যক্তির। বন্য প্রাণী নিয়ে কাজ করার সময় বাঘের আক্রমণে চোখ হারান তিনি। তারপর তিনি কী করলেন? প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করলেন? না। অবিশ্বাস্য শোনালেও পরের প্রায় দুই দশক ধরে বাঘ বাঁচাতেই কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
নেপালের খাতা এলাকায় বাস করা বাধাই থারু বলা চলে জীবনের বড় অংশ কাটিয়ে দিয়েছেন পুনর্বনায়ন এবং সংরক্ষণের কাজে। আর এর মূল উদ্দেশ্য বাঘের সংখ্যা বাড়ানো। ২০০৪ সালে জঙ্গলে কাজ করার সময় বাঘের আক্রমণের শিকার হন তিনি। এ সময় একটি চোখ হারান।
আমাদের বেশির ভাগই বুনো পরিবেশে বাঘ দেখিনি। তবে নেপালের খাতা করিডরে বলা চলে এদের পাশাপাশিই বাস করেন মানুষ। বাঘের আক্রমণের ঝুঁকি থাকার পরও এখানকার মানুষ বাঘ সংরক্ষণে সহায়তা করেন।
নেপালের বারদিয়া এলাকাটির পশ্চিমে ভারত। এই বারদিয়াতেই বাঘের গল্প শুনতে শুনতে বড় হয়েছেন ভাদাই থারু।
তাঁর বাড়ির আশপাশের জঙ্গলে বাঘ খুব স্বাভাবিক বিষয় ছিল না। বিশ শতকের গোড়ার দিকে এক লাখের বেশি বাঘ ঘুরে বেড়াত এশিয়াজুড়ে। কিন্তু ১৯৭০-এর দশকে থারু যখন বেড়ে ওঠেন, তখন বাঘের সংখ্যা ২০ হাজারের আশপাশে নেমে এসেছে।
তবে এতে শিশু থারুকে বাঘের গল্প বলায় মা-বাবার কোনো বাধা ছিল না। এমন একটি অরণ্য এলাকায় বাস, যেখানে বাঘ ছিল জঙ্গলের রাজা, তাদের এক ধরনের পৌরাণিক চরিত্র হিসেবে দেখা হয়। থারু বলেন, কালেভদ্রে এদের কোনো একটি গ্রামে প্রবেশ করলে একে দেবতাদের অসন্তুষ্টির চিহ্ন হিসেবে দেখা হতো। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর বাঘের আবাসস্থল রক্ষায় বন সংরক্ষণে মন দেন।
তারপরই ২০০৪ সালে থারুকে একটি বাঘ আক্রমণ করলে একটি চোখ হারান তিনি। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি থারুর মনে প্রবল প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে শুরুতে।
‘বাঘের প্রতি প্রচণ্ড ক্ষোভের জন্ম হয় আমার মনে’ বলেন থারু, ‘ভেতরে ভেতরে ক্রোধে রীতিমতো জ্বলছিলাম। এমনকি জঙ্গলে ফিরে বাঘের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার প্রবল এক তাড়না অনুভব করছিলাম।’
কিন্তু থারু টের পান সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে নিজের রাগ কমে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে জঙ্গলটি বাঘের বাড়ি এবং তাঁর বাসস্থানের ক্ষতি করতে পারি শুধু এই ভয়ে আমাকে আক্রমণ করে বসে।’
আক্রমণের দিনটির কথা মনে করে থারু জানান, বনে ১০০ থেকে ১৫০ জন মানুষ কাঠ এবং ঘাস সংগ্রহ করছিলেন। আর তিনি কমিউনিটি ফরেস্ট বা সামাজিক বনায়ন উদ্যোগের চেয়ারম্যান হিসেবে এর তত্ত্বাবধান করছিলেন।
‘মানুষ পুরো বনে ছড়িয়ে পড়েছিল। বাঘটি নিজেকে মানুষ পরিবেষ্টিত অবস্থায় আবিষ্কার করে, পালানোর পথ খুঁজে পাচ্ছিল না।’ বলেন তিনি, ‘আমাকে আক্রমণ করা বাঘটি ভয় পেয়েছিল। এটা আমাকে মেরে ফেলতে পারত, কিন্তু এটা আক্রমণ করেই চলে যায়।’
তারপর থারু নেপালের বাঘ রক্ষা করার পাশাপাশি এই অঞ্চলে মানুষ-বন্য প্রাণী সংঘাত প্রতিরোধের প্রতিশ্রুতি নিয়ে আবারও কাজ শুরু করেন।
থারু জানান, ১৯৮০-র দশকে থারু গ্রামের চারপাশের খাতা এলাকার জমি বন উজাড়ের কারণে মোটামুটি উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। ২০০১ সালে উপকরণ এবং জীবিকা নির্বাহের জন্য বনের ওপর নির্ভর করে এমন স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে হস্তান্তর করা হয় এলাকাটি।
খাতা করিডর নামে পরিচিত জায়গাটি উত্তর প্রদেশের কাতারনিয়াঘাট বন্য প্রাণী অভয়ারণ্যের সঙ্গে নেপালের বারদিয়া জাতীয় উদ্যানের সংযোগ স্থাপন করেছে। এখানকার অরণ্যবেষ্টিত এলাকার পরিমাণ ১১৫ হেক্টর থেকে এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৮০০ হেক্টরে। থারুদের এই সংরক্ষণ উদ্যোগটি ২০২১ সালে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর নেচারের (ডব্লিউডব্লিউএফ) কনজারভেশন এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড জিতে। আর অরণ্য ফিরে আসার সঙ্গে সঙ্গে ফিরে আসতে শুরু করে বাঘসহ বিভিন্ন বন্য প্রাণী, জানান থারু।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে নেপাল বাঘের সংখ্যা ১২১ থেকে দ্বিগুণ করার একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করে। তবে লক্ষ্যকে ছাড়িয়ে গেছে তারা, ডব্লিউডব্লিউএফের তাদের বাঘের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৫৫-তে।
খাতা করিডর এই অঞ্চলে বাঘ সংরক্ষণে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রেখেছে।
নেপালের অলাভজনক বেসরকারি সংস্থা ন্যাশনাল ট্রাস্ট ফর নেচার কনজারভেশন (এনটিএনসি) কাজ করে সামাজিক বনায়ন নিয়ে। সংস্থাটির গবেষক উমেশ পদেল জানান, সাধারণত বন্য প্রাণীরা এ ধরনের করিডরকে তাদের স্থায়ী আবাসস্থল বলে মনে করে না। সংরক্ষণের প্রচেষ্টার আগে, করিডরে ক্যামেরা বাঘ খুব কমই দেখা যেত। কিন্তু ২০২১ সালের বাঘ শুমারিতে দেখা গেছে যে চারটি বাঘ স্থায়ীভাবে খাতা করিডরে বসবাস করছে।
পদেল জানান, বাঘ একটি নির্দিষ্ট এলাকা নিয়ে বসবাস করে। সাধারণ একটি বাঘের বিচরণের জন্য ৫৮ বর্গমাইল এলাকা প্রয়োজন হয়। নিয়মিতই নতুন আবাস খোঁজে সে। করিডর তাদের অবাধে চলাফেরা করতে এবং সংখ্যা বিস্তারে সাহায্য করে।
বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি সংরক্ষণের দিক থেকে একটি বড় সফলতা হলেও এলাকাটি নতুন একটি সমস্যায় পড়ে গেছে। এখানে মানুষ-বন্য প্রাণী সংখ্যা বেড়েছে।
থারুকে যখন বাঘ আক্রমণ করে মানে ২০০৪ সালের দিকে এমন ঘটনা ছিল বিরল, কিন্তু বাঘের সংখ্যা বাড়ায় এই আক্রমণের ঘটনা বেশ নিয়মিত ঘটছে। ২০১৯ সালের পর থেকে বাংকি ও বারদিয়া জাতীয় উদ্যানে মানুষের ওপর ৩৪টি প্রাণঘাতী আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। এই করিডর এলাকায় ৬০০০ পরিবারের বাস এবং এর মাঝ দিয়ে চলে গেছে ব্যস্ত একটি মহাসড়ক। এতে মানুষ-বাঘ সংঘাতের আশঙ্কা আরও বেড়েছে।
এনটিএনসি ক্যামেরা ট্র্যাপ দিয়ে বাঘের ওপর নজর রাখে এবং সম্ভাব্য সমস্যাযুক্ত বাঘ শনাক্ত করে। ‘যদি আমরা নিশ্চিত হই এই বাঘগুলো প্রায়ই মানুষের হতাহতের সঙ্গে জড়িত, তাদের ধরার সুপারিশ করি।’ বলেন তিনি। এটি নেপালি সেনাবাহিনী, ন্যাশনাল পার্ক অফিস এবং এনটিএনসির কর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল দিয়ে পরিচালিত হয়।
বাঘদের ট্র্যাকিং এবং পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি, এনটিএনসি বাঘের প্রধান খাবার হরিণের সংখ্যা যেন ঠিক থাকে সেদিকেও নজর রাখে। একইভাবে, কৃত্রিম জলাধারের ব্যবস্থা করে বাঘের জনসংখ্যা বাড়াতে এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের থেকে বন্য প্রাণীদের দূরে সরিয়ে দিতে সহায়তা করে।
তবে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধিই মানুষ-বন্য প্রাণী সংঘাত বৃদ্ধির একমাত্র কারণ নয়। পদেল বলেন, ‘স্থানীয় বাসিন্দারা বন্য প্রাণীর আবাসস্থল দখল করছেন, একা বনে প্রবেশ করছেন এবং প্রাকৃতিক আবাসস্থলের ক্ষতি করছেন। এসব সমস্যা তৈরির কারণেও তাঁরা প্রায়ই বাঘের আক্রমণের মুখে পড়েন।’
তবে বাঘদের চেয়ে মানুষের ব্যবহার পরিবর্তনের চেষ্টা করা সহজ। মানুষকে এসব বিষয়ে বোঝাতে এবং বেড়াসহ বিভিন্ন অবকাঠামো তৈরি করে আক্রমণ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখছে এনটিএনসি।
থারু জানান, মানুষ-বন্য প্রাণী সংঘাত বাড়লেও বাঘের সংখ্যা বাড়ায় স্থানীয় অধিবাসীরা খুশি।
প্রধান বা শীর্ষ শিকারি হিসেবে বাঘ হলো এখানকার সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী প্রজাতি। যার অর্থ হলো তারা বনের বাস্তুতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য। আর এ অরণ্যের ওপর আশপাশের সম্প্রদায়গুলো তাদের বাড়িঘর, ভরণপোষণ এবং জীবিকা নির্বাহের জন্য নির্ভর করে।
‘বাঘ এক সময় বিপন্ন ছিল, এখন তারা ফিরে এসেছে। এটা আমাদের জন্য ভালো খবর।’ বলেন থারু।
এখানকার মানুষকে সতর্কতা অবলম্বন করতে শেখানোর মাধ্যমে তিনি আশা করেন যে বাঘের আক্রমণগুলোও কমানো যেতে পারে। ‘পৃথিবীতে প্রত্যেক প্রাণীর সমান অধিকার আছে’। বলেন তিনি।
সূত্র: সিএনএন

ইরান ও পাকিস্তানের সীমান্তের কাছে অবস্থিত তাফতান আগ্নেয়গিরি আবার সক্রিয় হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় ৭ লাখ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা এই আগ্নেয়গিরির চূড়া গত এক বছরে প্রায় ৩.৫ ইঞ্চি উঁচু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায়।
৬ ঘণ্টা আগে
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
৭ ঘণ্টা আগে
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
২১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইরান ও পাকিস্তানের সীমান্তের কাছে অবস্থিত তাফতান আগ্নেয়গিরি আবার সক্রিয় হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় ৭ লাখ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা এই আগ্নেয়গিরির চূড়া গত এক বছরে প্রায় ৩.৫ ইঞ্চি উঁচু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায়।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, আগ্নেয়গিরিটির নিচে বিপুল পরিমাণ গ্যাসের চাপ সৃষ্টি হচ্ছে, যা কোনো না কোনোভাবে ভবিষ্যতে নির্গত হতে বাধ্য। এটি সহিংস বিস্ফোরণের মাধ্যমেও ঘটতে পারে, অথবা ধীরে ধীরে গ্যাস নিঃসরণের মাধ্যমে।
গবেষণাটির প্রধান লেখক ও আগ্নেয়গিরি বিশেষজ্ঞ পাবলো গনজালেস লাইভ সায়েন্সকে বলেছেন, ‘এটি আতঙ্ক তৈরির জন্য নয়, বরং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জন্য একটি সতর্কবার্তা—যাতে তারা অঞ্চলটিতে পর্যবেক্ষণের জন্য রসদ বরাদ্দ করে।’
রোববার (২৬ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দারাও ইতিমধ্যে ২০২৩ সাল থেকেই আগ্নেয়গিরির কাছাকাছি এলাকায় গ্যাস নিঃসরণের ধোঁয়া ও দুর্গন্ধ লক্ষ্য করেছেন। এমনকি চূড়া থেকে প্রায় ৩০ মাইল দূরেও এমনটি টের পাওয়া গেছে। ১২ হাজার ৯২৭ ফুট উচ্চতার এই বিশাল আগ্নেয়গিরি দক্ষিণ-পূর্ব ইরানের সবচেয়ে বড় এবং পার্শ্ববর্তী ছোট পাহাড়গুলোকে ছাপিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। দূরবর্তী ও প্রত্যন্ত অবস্থানের কারণে এটিকে সরাসরি পর্যবেক্ষণ করাও কঠিন। এ অবস্থায় গবেষণারত শিক্ষার্থী মোহাম্মদ হোসেইন মোহাম্মদনিয়া ও পাবলো গনজালেস স্যাটেলাইট চিত্র ব্যবহার করে আগ্নেয়গিরির চূড়ার উচ্চতা বৃদ্ধির প্রমাণ পান।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই পরিবর্তনের কারণ সম্ভবত আগ্নেয়গিরির নিচের হাইড্রোথার্মাল ব্যবস্থায় পরিবর্তন, যা গ্যাস জমা বা ম্যাগমার স্থানচ্যুতি ঘটাতে পারে। তাঁরা জানিয়েছেন, তাফতান আগ্নেয়গিরির পরিস্থিতি এখন নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং গবেষণা অব্যাহত থাকবে।

ইরান ও পাকিস্তানের সীমান্তের কাছে অবস্থিত তাফতান আগ্নেয়গিরি আবার সক্রিয় হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় ৭ লাখ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা এই আগ্নেয়গিরির চূড়া গত এক বছরে প্রায় ৩.৫ ইঞ্চি উঁচু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায়।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, আগ্নেয়গিরিটির নিচে বিপুল পরিমাণ গ্যাসের চাপ সৃষ্টি হচ্ছে, যা কোনো না কোনোভাবে ভবিষ্যতে নির্গত হতে বাধ্য। এটি সহিংস বিস্ফোরণের মাধ্যমেও ঘটতে পারে, অথবা ধীরে ধীরে গ্যাস নিঃসরণের মাধ্যমে।
গবেষণাটির প্রধান লেখক ও আগ্নেয়গিরি বিশেষজ্ঞ পাবলো গনজালেস লাইভ সায়েন্সকে বলেছেন, ‘এটি আতঙ্ক তৈরির জন্য নয়, বরং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জন্য একটি সতর্কবার্তা—যাতে তারা অঞ্চলটিতে পর্যবেক্ষণের জন্য রসদ বরাদ্দ করে।’
রোববার (২৬ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দারাও ইতিমধ্যে ২০২৩ সাল থেকেই আগ্নেয়গিরির কাছাকাছি এলাকায় গ্যাস নিঃসরণের ধোঁয়া ও দুর্গন্ধ লক্ষ্য করেছেন। এমনকি চূড়া থেকে প্রায় ৩০ মাইল দূরেও এমনটি টের পাওয়া গেছে। ১২ হাজার ৯২৭ ফুট উচ্চতার এই বিশাল আগ্নেয়গিরি দক্ষিণ-পূর্ব ইরানের সবচেয়ে বড় এবং পার্শ্ববর্তী ছোট পাহাড়গুলোকে ছাপিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। দূরবর্তী ও প্রত্যন্ত অবস্থানের কারণে এটিকে সরাসরি পর্যবেক্ষণ করাও কঠিন। এ অবস্থায় গবেষণারত শিক্ষার্থী মোহাম্মদ হোসেইন মোহাম্মদনিয়া ও পাবলো গনজালেস স্যাটেলাইট চিত্র ব্যবহার করে আগ্নেয়গিরির চূড়ার উচ্চতা বৃদ্ধির প্রমাণ পান।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই পরিবর্তনের কারণ সম্ভবত আগ্নেয়গিরির নিচের হাইড্রোথার্মাল ব্যবস্থায় পরিবর্তন, যা গ্যাস জমা বা ম্যাগমার স্থানচ্যুতি ঘটাতে পারে। তাঁরা জানিয়েছেন, তাফতান আগ্নেয়গিরির পরিস্থিতি এখন নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং গবেষণা অব্যাহত থাকবে।

গল্পটা নেপালের ভাদাই থারু নামের এক ব্যক্তির। বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ করার সময় বাঘের আক্রমণে চোখ হারান তিনি। তারপর তিনি কী করলেন? প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করলেন? না। অবিশ্বাস্য শোনালেও পরের প্রায় দুই দশক ধরে বাঘ বাঁচাতেই কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
১৪ নভেম্বর ২০২৩
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
৭ ঘণ্টা আগে
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
২১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় (১১.৪ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৬.৬ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে।
গভীর নিম্নচাপটি আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ০১ (এক) নম্বর (পুনঃ) ০১ (এক) নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেসঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় (১১.৪ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৬.৬ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে।
গভীর নিম্নচাপটি আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ০১ (এক) নম্বর (পুনঃ) ০১ (এক) নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেসঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

গল্পটা নেপালের ভাদাই থারু নামের এক ব্যক্তির। বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ করার সময় বাঘের আক্রমণে চোখ হারান তিনি। তারপর তিনি কী করলেন? প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করলেন? না। অবিশ্বাস্য শোনালেও পরের প্রায় দুই দশক ধরে বাঘ বাঁচাতেই কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
১৪ নভেম্বর ২০২৩
ইরান ও পাকিস্তানের সীমান্তের কাছে অবস্থিত তাফতান আগ্নেয়গিরি আবার সক্রিয় হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় ৭ লাখ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা এই আগ্নেয়গিরির চূড়া গত এক বছরে প্রায় ৩.৫ ইঞ্চি উঁচু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায়।
৬ ঘণ্টা আগে
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
২১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী শহর ঢাকায় দূষণ কমছেই না। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে ঢাকা। প্রতিবছর শীতকাল শুরুর আগেই ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ রোববার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর’। এই স্কোর নিয়ে ঢাকা বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
একিউআই মানদণ্ড অনুসারে, ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বিবেচনা করা হয়। এই স্তরে সাধারণ জনগোষ্ঠীর সদস্যরা অসুস্থতা অনুভব করতে পারেন এবং সংবেদনশীল গোষ্ঠীর (যেমন শিশু, বয়স্ক এবং শ্বাসযন্ত্রের রোগী) জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ৩৮০ একিউআই স্কোর নিয়ে পাকিস্তানের লাহোর এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এই শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ (Hazardous) হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
আজ সকাল ৮টা ২০ মিনিটে আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের শীর্ষ ১০ দূষিত শহরের তালিকার বাকি শহরগুলো হলো —
(বায়ুমানের দ্রুত পরিবর্তনের কারণে র্যাঙ্কিংয়ে পরিবর্তন হতে পারে)
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি (২৯১, খুবই অস্বাস্থ্যকর)। তৃতীয় স্থানে রয়েছে উজবেকিস্তানের তাসখন্দ (১৭৫, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)। চতুর্থ স্থানে রয়েছে ঢাকা এবং পঞ্চম স্থানে পাকিস্তানের করাচি (১৬১,সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
শীর্ষ দশের অন্যান্য শহর:
৬. কায়রো, মিসর (১৫৮)
৭. বাকু, আজারবাইজান (১৫৭)
৮. কাম্পালা, উগান্ডা (১৫২)
৯. দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত (১৪৯)
১০. কলকাতা, ভারত (১৪৩)
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

রাজধানী শহর ঢাকায় দূষণ কমছেই না। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে ঢাকা। প্রতিবছর শীতকাল শুরুর আগেই ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ রোববার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর’। এই স্কোর নিয়ে ঢাকা বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
একিউআই মানদণ্ড অনুসারে, ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বিবেচনা করা হয়। এই স্তরে সাধারণ জনগোষ্ঠীর সদস্যরা অসুস্থতা অনুভব করতে পারেন এবং সংবেদনশীল গোষ্ঠীর (যেমন শিশু, বয়স্ক এবং শ্বাসযন্ত্রের রোগী) জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ৩৮০ একিউআই স্কোর নিয়ে পাকিস্তানের লাহোর এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এই শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ (Hazardous) হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
আজ সকাল ৮টা ২০ মিনিটে আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের শীর্ষ ১০ দূষিত শহরের তালিকার বাকি শহরগুলো হলো —
(বায়ুমানের দ্রুত পরিবর্তনের কারণে র্যাঙ্কিংয়ে পরিবর্তন হতে পারে)
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি (২৯১, খুবই অস্বাস্থ্যকর)। তৃতীয় স্থানে রয়েছে উজবেকিস্তানের তাসখন্দ (১৭৫, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)। চতুর্থ স্থানে রয়েছে ঢাকা এবং পঞ্চম স্থানে পাকিস্তানের করাচি (১৬১,সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
শীর্ষ দশের অন্যান্য শহর:
৬. কায়রো, মিসর (১৫৮)
৭. বাকু, আজারবাইজান (১৫৭)
৮. কাম্পালা, উগান্ডা (১৫২)
৯. দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত (১৪৯)
১০. কলকাতা, ভারত (১৪৩)
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

গল্পটা নেপালের ভাদাই থারু নামের এক ব্যক্তির। বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ করার সময় বাঘের আক্রমণে চোখ হারান তিনি। তারপর তিনি কী করলেন? প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করলেন? না। অবিশ্বাস্য শোনালেও পরের প্রায় দুই দশক ধরে বাঘ বাঁচাতেই কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
১৪ নভেম্বর ২০২৩
ইরান ও পাকিস্তানের সীমান্তের কাছে অবস্থিত তাফতান আগ্নেয়গিরি আবার সক্রিয় হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় ৭ লাখ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা এই আগ্নেয়গিরির চূড়া গত এক বছরে প্রায় ৩.৫ ইঞ্চি উঁচু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায়।
৬ ঘণ্টা আগে
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
৭ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঢাকাসহ সারা দেশে বৃষ্টির প্রবণতা কমে এসেছে। ফলে আবহাওয়া শুষ্ক, বেড়েছে তাপমাত্রা। তবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে নিম্নচাপ। এটি গভীর নিম্নচাপ থেকে আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এর প্রভাবে ২৮ অক্টোবর থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তর ও পশ্চিম-দক্ষিণে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর ও পশ্চিম-দক্ষিণে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আজ রাজধানী ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকাসহ সারা দেশে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। তবে চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। কাল সোমবার থেকে আবহাওয়া প্রায় একই রকম থাকবে। তবে ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যা থেকে চট্টগ্রাম ছাড়াও রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
বৃষ্টির এই ধারা ২৯ অক্টোবরও অব্যাহত থাকতে পারে। ৩০ অক্টোবর থেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে গভীর নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলেও এটির বাংলাদেশে আঘাত হানার সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। আজ সকালে আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় যা-ই হোক না কেন, আপাতত এর গতিবিধিতে মনে হচ্ছে এটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

ঢাকাসহ সারা দেশে বৃষ্টির প্রবণতা কমে এসেছে। ফলে আবহাওয়া শুষ্ক, বেড়েছে তাপমাত্রা। তবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে নিম্নচাপ। এটি গভীর নিম্নচাপ থেকে আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এর প্রভাবে ২৮ অক্টোবর থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তর ও পশ্চিম-দক্ষিণে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর ও পশ্চিম-দক্ষিণে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আজ রাজধানী ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকাসহ সারা দেশে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। তবে চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। কাল সোমবার থেকে আবহাওয়া প্রায় একই রকম থাকবে। তবে ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যা থেকে চট্টগ্রাম ছাড়াও রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
বৃষ্টির এই ধারা ২৯ অক্টোবরও অব্যাহত থাকতে পারে। ৩০ অক্টোবর থেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে গভীর নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলেও এটির বাংলাদেশে আঘাত হানার সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। আজ সকালে আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় যা-ই হোক না কেন, আপাতত এর গতিবিধিতে মনে হচ্ছে এটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

গল্পটা নেপালের ভাদাই থারু নামের এক ব্যক্তির। বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ করার সময় বাঘের আক্রমণে চোখ হারান তিনি। তারপর তিনি কী করলেন? প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করলেন? না। অবিশ্বাস্য শোনালেও পরের প্রায় দুই দশক ধরে বাঘ বাঁচাতেই কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
১৪ নভেম্বর ২০২৩
ইরান ও পাকিস্তানের সীমান্তের কাছে অবস্থিত তাফতান আগ্নেয়গিরি আবার সক্রিয় হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় ৭ লাখ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা এই আগ্নেয়গিরির চূড়া গত এক বছরে প্রায় ৩.৫ ইঞ্চি উঁচু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায়।
৬ ঘণ্টা আগে
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রোববার রাত ৯টায় আবহাওয়ার বিশেষ ৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
৭ ঘণ্টা আগে
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
২১ ঘণ্টা আগে