Ajker Patrika

অসুস্থ সীমানাকে নিয়ে দীপা খন্দকারের আবেগঘন পোস্ট

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ৩১ মে ২০২৪, ১৭: ৫৪
Thumbnail image

মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মডেল-অভিনেত্রী রিশতা লাবনী সীমানা। বর্তমানে লাইফ সাপোর্টে এই অভিনেত্রী। গত বুধবার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটলে সীমানাকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়।

ব্যক্তিজীবনে সংকটের মধ্য দিয়ে গিয়েছেন সীমানা। সংসার, বিচ্ছেদ—নানা ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে তাঁকে। ২০১৪ সালের পর থেকে শোবিজে অনিয়মিত হয়ে পড়েন। বিরতি কাটিয়ে সবশেষ গত বছর বিপ্লব হায়দারের পরিচালনায় ‘রোশনী’ নামের সিনেমা দিয়ে কাজে ফেরেন সীমানা।

সীমানাকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন দীর্ঘদিনের সহকর্মী অভিনেত্রী দীপা খন্দকার। সেখানে সীমানার একটি ছবি পোস্ট করে দীপা খন্দকার লিখেছেন, ‘মানুষ জীবনে একটু আরাম, একটু মানসিক শান্তি, একটু ভালোবাসা, প্রিয় মানুষের কাছ থেকে একটু যত্ন চায়। বাবা মায়ের আদরের সন্তান বড় হয়ে যখন নিজে জীবনযাপন করা শুরু করে তখন সবার ভাগ্য তো আর সহায় হয় না। ভালোবাসার মানুষ যখন অচেনা শত্রুর মতো আচরণ করে, মানসিকভাবে তিলে তিলে মেরে ফেলে তখন সীমানার মতো এমন একটা ঘুম দিতে খুব ইচ্ছা করে।’

দীপা আরও লিখেছেন, ‘কিন্তু জীবন এতটাই নির্মম, এই ঘুম দেওয়ার অধিকারও নাই। অধিকার তুমি হারিয়েছ, যেদিন তুমি মা হয়েছ। এখন তো আর ঘুমালে চলবে না। উঠে দৌড়াতে হবে রেসের ঘোড়ার মতো! না হলে মরে গিয়েও মনে হবে দায়িত্ব তো শেষ করলাম না। যাওয়ার অধিকার কে দিল? ওয়াক আপ অ্যান্ড ফাইট মাই ডার্লিং।’

দীর্ঘদিনের প্রেমের পর ২০১৪ সালের ৪ জুন কণ্ঠশিল্পী পারভেজ সাজ্জাদকে বিয়ে করেন সীমানা। ক্যারিয়ারের ব্যস্ততম সময়ে নিয়েছিলেন বিরতি। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের ১১ তারিখ প্রথম সন্তান আকাইদ সাজ্জাদ শ্রেষ্ঠর জন্ম দেন সীমানা। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে সমঝোতার মধ্য দিয়েই তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। পারভেজ ও সীমানার সিদ্ধান্তেই বড় ছেলে শ্রেষ্ঠ সীমানার কাছেই থাকে।

মডেল-অভিনেত্রী রিশতা লাবনী সীমানা। ছবি: সংগৃহীত২০১৯ সালের ১৩ ডিসেম্বর সীমানা আবারও বিয়ে করে নতুন সংসার জীবন শুরু করেন। অবসরপ্রাপ্ত মেজর জামায়েল ইমতিয়াজ সৈকতকে বিয়ে করেন। তাঁদের ঘর আলোকিত করে ২০২০ সালের ২৭ জুন জন্ম নেয় পুত্র স্বর্গ।

সীমানা সর্বশেষ ১০ দিন ধরে হাসপাতালের বিছানায় শয্যাশায়ী। কবে তাঁর জ্ঞান ফিরবে, সে ব্যাপারে এখনই কিছু জানা যাচ্ছে না। এর মধ্যে একটি অস্ত্রোপচারও হয়েছে। বারবার মায়ের কাছে ফিরতে চাইছে ছেলে আকাইদ সাজ্জাদ শ্রেষ্ঠ। মা কেন চোখ খুলছে না, কেন কথা বলছে না, কখন মায়ের কাছে যেতে পারবে—এসব প্রশ্ন তার। মায়ের জন্য ক্ষণে ক্ষণে চিৎকার করে কাঁদছে ছেলে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত