বিনোদন ডেস্ক
আমি ১৯৮৭ সালে দিল্লিতে চলে যাই শান্তিনিকেতন থেকে ট্রান্সফার নিয়ে। পণ্ডিত অমরনাথজির কাছে ইন্দোর ঘরানার খেয়াল শিখতে। শ্রীরাম ভারতীয় কলা কেন্দ্রের হোস্টেলে থাকি, মান্ডি হাউসের প্রতিটি কোনায় অডিটরিয়াম এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মেলা বসে প্রতি সন্ধ্যায়। সংগীত, নৃত্য, অভিনয় প্রতি সন্ধ্যায়ই দেখি, ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ পারফরমারদের একদম চোখের সামনে। আমার মনোজগৎ ঋদ্ধ হয়, অভিনয়, সুর এবং নৃত্য ভঙ্গিমার প্রাচুর্যে আমি বিমোহিত হই, ঋদ্ধ হই, মরে যাই বারবার।
পণ্ডিত বিরজু মহারাজ তখন তাঁর খ্যাতির শীর্ষে। ১৯৯০ সালে প্রথম সেদিন আমি তাঁর ঘরে গিয়েছি—তাঁর কর্মস্থল কত্থক কেন্দ্রে তাঁর একটি নিজস্ব ঘর ছিল, যেখানে তিনি বিশ্রাম নিতেন—আমাকে পেয়ে তিনি খুব উচ্ছ্বসিত। জানি না কোন যোগ্যতায় তাঁর ভালোবাসা পেয়েছিলাম। তিনি ঢাকায় এলেও আমাকে বারবার স্মরণ করতেন—সুজিত কিধার হ্যায়, উসকো বুলাও। মহারাজজি সেদিন বারবার বলছিলেন, শান্তি শর্মা কই, ওর একজনকে নিয়ে আসার কথা। সেই একজন যে আমি, সেটা আমি জানতাম না। শান্তি শর্মা আমার গুরু বোন, পণ্ডিত অমরনাথজির প্রিয় শিষ্যদের একজন। বেদনার বিষয় হলো, তিনি অকালপ্রয়াত হয়েছেন। বেলা ৩টায় শান্তি শর্মা এলেন এবং তিনি আমাকে দেখে খানিকটা ক্ষুব্ধই হলেন। বললেন, তোমাকে খুঁজে খুঁজে পেরেশান, আর তুমি এখানে? কী কারণে খুঁজছেন? কারণ হচ্ছে, কত্থক নাচের সঙ্গে গাইবার জন্য আমাকে কিছু বন্দিশ শিখতে হবে। মহারাজজি যখন জানলেন আমাকে খুঁজতেই শান্তি শর্মা দেরি করেছেন, তৎক্ষণাৎ তিনি বসে গেলেন আমাদের দুজনকে গান শেখাতে। একটি বন্দনা, একটি ভজন এবং দুটি ঠুমরি একবারের বসায় শিখলাম। তারপর তিনি আমার পিলে চমকে বললেন, একটা পাঞ্জাবি পরে সন্ধ্যাবেলায় চলে আসো সিরি ফোর্ট অডিটরিয়ামে। ওখানে পণ্ডিত রবিশঙ্করের আজ ৭০তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান। আমি নাচব, তুমি ও শান্তি শর্মা আমার সঙ্গে গাইবে।
সিরি ফোর্ট অডিটরিয়ামে গিয়ে আমরা অডিয়েন্সে বসার সুযোগ পেলাম না সিকিউরিটির কারণে। কিন্তু গ্রিনরুমে ভিড় করে আমরা শুনতে লাগলাম মঞ্চের পরিবেশনা। পণ্ডিত শিব কুমার শর্মার সন্তুর বাদন হচ্ছিল। অডিয়েন্সে বসে ছিলেন ভারতবর্ষের তাবৎ গুণী ব্যক্তি, সংগীত ব্যক্তিত্ব পণ্ডিত রবিশঙ্কর ছিলেন, আরও ছিলেন বিদুষী কিশোরী আমানকার থেকে শুরু করে ওস্তাদ বিলায়েত খান, ওস্তাদ আল্লারাখা খানসহ ভারতের সংগীত নক্ষত্ররাজি।
আমি যখন মহারাজজির নাচের সময় সংগীতশিল্পীদের কাতারে এগিয়ে বসলাম, দেখলাম তবলার আসনটা খালি এবং সেখানে এক জোড়া তবলা রাখা আছে। সেই তবলার কারুকাজ নয়ন-মন হরণ করে নিল। আমি জানি, পণ্ডিত বিরজু মহারাজের নিয়মিত তবলা সংগতকার পণ্ডিত অম্বিকা প্রসাদ। কিন্তু তাঁর তবলা তো এত এক্সক্লুসিভ লেভেলের দেখিনি। আমি একটু সন্ত্রস্ত হয়ে বসলাম। খানিক পরে দেখি আমার পাশে এসে বসেছেন ওস্তাদ জাকির হোসেন। সমীহ, ভয়, শ্রদ্ধা, ভালো লাগা, ভালোবাসা—সব মিলিয়ে এক অদ্ভুত অনুভূতি নিয়ে গাইতে বসলাম। কী এক অপূর্ব সংগতের সঙ্গে মিশে গেলাম নতুন শেখা সব বন্দিশ নিয়ে। আমি জাকিরজির অটোগ্রাফ চেয়েছিলাম। তিনি একটা খুব মূল্যবান কথা বলেছিলেন, ‘এইসা কারো সুজিত, কি লোগ তুমসে অটোগ্রাফ মাঙ্গে।’ আমার আর তাঁর অটোগ্রাফ নেওয়া হয়নি। অনুষ্ঠান শেষে ওস্তাদ আল্লারাখা মঞ্চ থেকে উঠে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে আশীর্বাদ করেছিলেন। সে অন্য গল্প। আজ মন ভীষণ ভারাক্রান্ত হয়ে গেছে, সেই ওস্তাদ জাকির হোসেন আর নেই জেনে। মঞ্চে তিনি যখন আসতেন, বসতেন, তবলায় আঙুলের ঝড় তুলতেন, ফুলেল বসন্তের সমস্ত রং নিয়ে তাঁর যন্ত্রসঙ্গী যেন হেসে উঠত, পুরো মহলকে তিনি কী এক অপার্থিব রোমাঞ্চে ডুবিয়ে দিতেন, সেটা যাঁরা তাঁকে সেভাবে শোনেননি, দেখেননি, তাঁরা কখনোই বুঝবেন না।
আমি জানি, ওস্তাদ জাকির হোসেনের মতো শিল্পীদের মৃত্যু নেই। এই বছরটা শুরু হয়েছিল ওস্তাদ রশিদ খানের প্রয়াণ দিয়ে। ৯ জানুয়ারি, ২০২৪-এ তিনি আমাদের হৃদয় শূন্য করে চলে গিয়েছিলেন আর গত রোববার চলে গেলেন তবলার বরপুত্র ওস্তাদ জাকির হোসেন। আসা-যাওয়ার পথের ধারেই জীবন। প্রকৃতির অমোঘ সত্য আমাদের মানতেই হবে। তারপরও মনে হয় এই লেভেলের মানুষদের আরও দীর্ঘদিন পৃথিবীতে থাকা পৃথিবীর জন্যই প্রয়োজন। ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধার্ঘ্য এই মহান শিল্পীর জন্য।
আমি ১৯৮৭ সালে দিল্লিতে চলে যাই শান্তিনিকেতন থেকে ট্রান্সফার নিয়ে। পণ্ডিত অমরনাথজির কাছে ইন্দোর ঘরানার খেয়াল শিখতে। শ্রীরাম ভারতীয় কলা কেন্দ্রের হোস্টেলে থাকি, মান্ডি হাউসের প্রতিটি কোনায় অডিটরিয়াম এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মেলা বসে প্রতি সন্ধ্যায়। সংগীত, নৃত্য, অভিনয় প্রতি সন্ধ্যায়ই দেখি, ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ পারফরমারদের একদম চোখের সামনে। আমার মনোজগৎ ঋদ্ধ হয়, অভিনয়, সুর এবং নৃত্য ভঙ্গিমার প্রাচুর্যে আমি বিমোহিত হই, ঋদ্ধ হই, মরে যাই বারবার।
পণ্ডিত বিরজু মহারাজ তখন তাঁর খ্যাতির শীর্ষে। ১৯৯০ সালে প্রথম সেদিন আমি তাঁর ঘরে গিয়েছি—তাঁর কর্মস্থল কত্থক কেন্দ্রে তাঁর একটি নিজস্ব ঘর ছিল, যেখানে তিনি বিশ্রাম নিতেন—আমাকে পেয়ে তিনি খুব উচ্ছ্বসিত। জানি না কোন যোগ্যতায় তাঁর ভালোবাসা পেয়েছিলাম। তিনি ঢাকায় এলেও আমাকে বারবার স্মরণ করতেন—সুজিত কিধার হ্যায়, উসকো বুলাও। মহারাজজি সেদিন বারবার বলছিলেন, শান্তি শর্মা কই, ওর একজনকে নিয়ে আসার কথা। সেই একজন যে আমি, সেটা আমি জানতাম না। শান্তি শর্মা আমার গুরু বোন, পণ্ডিত অমরনাথজির প্রিয় শিষ্যদের একজন। বেদনার বিষয় হলো, তিনি অকালপ্রয়াত হয়েছেন। বেলা ৩টায় শান্তি শর্মা এলেন এবং তিনি আমাকে দেখে খানিকটা ক্ষুব্ধই হলেন। বললেন, তোমাকে খুঁজে খুঁজে পেরেশান, আর তুমি এখানে? কী কারণে খুঁজছেন? কারণ হচ্ছে, কত্থক নাচের সঙ্গে গাইবার জন্য আমাকে কিছু বন্দিশ শিখতে হবে। মহারাজজি যখন জানলেন আমাকে খুঁজতেই শান্তি শর্মা দেরি করেছেন, তৎক্ষণাৎ তিনি বসে গেলেন আমাদের দুজনকে গান শেখাতে। একটি বন্দনা, একটি ভজন এবং দুটি ঠুমরি একবারের বসায় শিখলাম। তারপর তিনি আমার পিলে চমকে বললেন, একটা পাঞ্জাবি পরে সন্ধ্যাবেলায় চলে আসো সিরি ফোর্ট অডিটরিয়ামে। ওখানে পণ্ডিত রবিশঙ্করের আজ ৭০তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান। আমি নাচব, তুমি ও শান্তি শর্মা আমার সঙ্গে গাইবে।
সিরি ফোর্ট অডিটরিয়ামে গিয়ে আমরা অডিয়েন্সে বসার সুযোগ পেলাম না সিকিউরিটির কারণে। কিন্তু গ্রিনরুমে ভিড় করে আমরা শুনতে লাগলাম মঞ্চের পরিবেশনা। পণ্ডিত শিব কুমার শর্মার সন্তুর বাদন হচ্ছিল। অডিয়েন্সে বসে ছিলেন ভারতবর্ষের তাবৎ গুণী ব্যক্তি, সংগীত ব্যক্তিত্ব পণ্ডিত রবিশঙ্কর ছিলেন, আরও ছিলেন বিদুষী কিশোরী আমানকার থেকে শুরু করে ওস্তাদ বিলায়েত খান, ওস্তাদ আল্লারাখা খানসহ ভারতের সংগীত নক্ষত্ররাজি।
আমি যখন মহারাজজির নাচের সময় সংগীতশিল্পীদের কাতারে এগিয়ে বসলাম, দেখলাম তবলার আসনটা খালি এবং সেখানে এক জোড়া তবলা রাখা আছে। সেই তবলার কারুকাজ নয়ন-মন হরণ করে নিল। আমি জানি, পণ্ডিত বিরজু মহারাজের নিয়মিত তবলা সংগতকার পণ্ডিত অম্বিকা প্রসাদ। কিন্তু তাঁর তবলা তো এত এক্সক্লুসিভ লেভেলের দেখিনি। আমি একটু সন্ত্রস্ত হয়ে বসলাম। খানিক পরে দেখি আমার পাশে এসে বসেছেন ওস্তাদ জাকির হোসেন। সমীহ, ভয়, শ্রদ্ধা, ভালো লাগা, ভালোবাসা—সব মিলিয়ে এক অদ্ভুত অনুভূতি নিয়ে গাইতে বসলাম। কী এক অপূর্ব সংগতের সঙ্গে মিশে গেলাম নতুন শেখা সব বন্দিশ নিয়ে। আমি জাকিরজির অটোগ্রাফ চেয়েছিলাম। তিনি একটা খুব মূল্যবান কথা বলেছিলেন, ‘এইসা কারো সুজিত, কি লোগ তুমসে অটোগ্রাফ মাঙ্গে।’ আমার আর তাঁর অটোগ্রাফ নেওয়া হয়নি। অনুষ্ঠান শেষে ওস্তাদ আল্লারাখা মঞ্চ থেকে উঠে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে আশীর্বাদ করেছিলেন। সে অন্য গল্প। আজ মন ভীষণ ভারাক্রান্ত হয়ে গেছে, সেই ওস্তাদ জাকির হোসেন আর নেই জেনে। মঞ্চে তিনি যখন আসতেন, বসতেন, তবলায় আঙুলের ঝড় তুলতেন, ফুলেল বসন্তের সমস্ত রং নিয়ে তাঁর যন্ত্রসঙ্গী যেন হেসে উঠত, পুরো মহলকে তিনি কী এক অপার্থিব রোমাঞ্চে ডুবিয়ে দিতেন, সেটা যাঁরা তাঁকে সেভাবে শোনেননি, দেখেননি, তাঁরা কখনোই বুঝবেন না।
আমি জানি, ওস্তাদ জাকির হোসেনের মতো শিল্পীদের মৃত্যু নেই। এই বছরটা শুরু হয়েছিল ওস্তাদ রশিদ খানের প্রয়াণ দিয়ে। ৯ জানুয়ারি, ২০২৪-এ তিনি আমাদের হৃদয় শূন্য করে চলে গিয়েছিলেন আর গত রোববার চলে গেলেন তবলার বরপুত্র ওস্তাদ জাকির হোসেন। আসা-যাওয়ার পথের ধারেই জীবন। প্রকৃতির অমোঘ সত্য আমাদের মানতেই হবে। তারপরও মনে হয় এই লেভেলের মানুষদের আরও দীর্ঘদিন পৃথিবীতে থাকা পৃথিবীর জন্যই প্রয়োজন। ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধার্ঘ্য এই মহান শিল্পীর জন্য।
বিনোদন ডেস্ক
আমি ১৯৮৭ সালে দিল্লিতে চলে যাই শান্তিনিকেতন থেকে ট্রান্সফার নিয়ে। পণ্ডিত অমরনাথজির কাছে ইন্দোর ঘরানার খেয়াল শিখতে। শ্রীরাম ভারতীয় কলা কেন্দ্রের হোস্টেলে থাকি, মান্ডি হাউসের প্রতিটি কোনায় অডিটরিয়াম এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মেলা বসে প্রতি সন্ধ্যায়। সংগীত, নৃত্য, অভিনয় প্রতি সন্ধ্যায়ই দেখি, ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ পারফরমারদের একদম চোখের সামনে। আমার মনোজগৎ ঋদ্ধ হয়, অভিনয়, সুর এবং নৃত্য ভঙ্গিমার প্রাচুর্যে আমি বিমোহিত হই, ঋদ্ধ হই, মরে যাই বারবার।
পণ্ডিত বিরজু মহারাজ তখন তাঁর খ্যাতির শীর্ষে। ১৯৯০ সালে প্রথম সেদিন আমি তাঁর ঘরে গিয়েছি—তাঁর কর্মস্থল কত্থক কেন্দ্রে তাঁর একটি নিজস্ব ঘর ছিল, যেখানে তিনি বিশ্রাম নিতেন—আমাকে পেয়ে তিনি খুব উচ্ছ্বসিত। জানি না কোন যোগ্যতায় তাঁর ভালোবাসা পেয়েছিলাম। তিনি ঢাকায় এলেও আমাকে বারবার স্মরণ করতেন—সুজিত কিধার হ্যায়, উসকো বুলাও। মহারাজজি সেদিন বারবার বলছিলেন, শান্তি শর্মা কই, ওর একজনকে নিয়ে আসার কথা। সেই একজন যে আমি, সেটা আমি জানতাম না। শান্তি শর্মা আমার গুরু বোন, পণ্ডিত অমরনাথজির প্রিয় শিষ্যদের একজন। বেদনার বিষয় হলো, তিনি অকালপ্রয়াত হয়েছেন। বেলা ৩টায় শান্তি শর্মা এলেন এবং তিনি আমাকে দেখে খানিকটা ক্ষুব্ধই হলেন। বললেন, তোমাকে খুঁজে খুঁজে পেরেশান, আর তুমি এখানে? কী কারণে খুঁজছেন? কারণ হচ্ছে, কত্থক নাচের সঙ্গে গাইবার জন্য আমাকে কিছু বন্দিশ শিখতে হবে। মহারাজজি যখন জানলেন আমাকে খুঁজতেই শান্তি শর্মা দেরি করেছেন, তৎক্ষণাৎ তিনি বসে গেলেন আমাদের দুজনকে গান শেখাতে। একটি বন্দনা, একটি ভজন এবং দুটি ঠুমরি একবারের বসায় শিখলাম। তারপর তিনি আমার পিলে চমকে বললেন, একটা পাঞ্জাবি পরে সন্ধ্যাবেলায় চলে আসো সিরি ফোর্ট অডিটরিয়ামে। ওখানে পণ্ডিত রবিশঙ্করের আজ ৭০তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান। আমি নাচব, তুমি ও শান্তি শর্মা আমার সঙ্গে গাইবে।
সিরি ফোর্ট অডিটরিয়ামে গিয়ে আমরা অডিয়েন্সে বসার সুযোগ পেলাম না সিকিউরিটির কারণে। কিন্তু গ্রিনরুমে ভিড় করে আমরা শুনতে লাগলাম মঞ্চের পরিবেশনা। পণ্ডিত শিব কুমার শর্মার সন্তুর বাদন হচ্ছিল। অডিয়েন্সে বসে ছিলেন ভারতবর্ষের তাবৎ গুণী ব্যক্তি, সংগীত ব্যক্তিত্ব পণ্ডিত রবিশঙ্কর ছিলেন, আরও ছিলেন বিদুষী কিশোরী আমানকার থেকে শুরু করে ওস্তাদ বিলায়েত খান, ওস্তাদ আল্লারাখা খানসহ ভারতের সংগীত নক্ষত্ররাজি।
আমি যখন মহারাজজির নাচের সময় সংগীতশিল্পীদের কাতারে এগিয়ে বসলাম, দেখলাম তবলার আসনটা খালি এবং সেখানে এক জোড়া তবলা রাখা আছে। সেই তবলার কারুকাজ নয়ন-মন হরণ করে নিল। আমি জানি, পণ্ডিত বিরজু মহারাজের নিয়মিত তবলা সংগতকার পণ্ডিত অম্বিকা প্রসাদ। কিন্তু তাঁর তবলা তো এত এক্সক্লুসিভ লেভেলের দেখিনি। আমি একটু সন্ত্রস্ত হয়ে বসলাম। খানিক পরে দেখি আমার পাশে এসে বসেছেন ওস্তাদ জাকির হোসেন। সমীহ, ভয়, শ্রদ্ধা, ভালো লাগা, ভালোবাসা—সব মিলিয়ে এক অদ্ভুত অনুভূতি নিয়ে গাইতে বসলাম। কী এক অপূর্ব সংগতের সঙ্গে মিশে গেলাম নতুন শেখা সব বন্দিশ নিয়ে। আমি জাকিরজির অটোগ্রাফ চেয়েছিলাম। তিনি একটা খুব মূল্যবান কথা বলেছিলেন, ‘এইসা কারো সুজিত, কি লোগ তুমসে অটোগ্রাফ মাঙ্গে।’ আমার আর তাঁর অটোগ্রাফ নেওয়া হয়নি। অনুষ্ঠান শেষে ওস্তাদ আল্লারাখা মঞ্চ থেকে উঠে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে আশীর্বাদ করেছিলেন। সে অন্য গল্প। আজ মন ভীষণ ভারাক্রান্ত হয়ে গেছে, সেই ওস্তাদ জাকির হোসেন আর নেই জেনে। মঞ্চে তিনি যখন আসতেন, বসতেন, তবলায় আঙুলের ঝড় তুলতেন, ফুলেল বসন্তের সমস্ত রং নিয়ে তাঁর যন্ত্রসঙ্গী যেন হেসে উঠত, পুরো মহলকে তিনি কী এক অপার্থিব রোমাঞ্চে ডুবিয়ে দিতেন, সেটা যাঁরা তাঁকে সেভাবে শোনেননি, দেখেননি, তাঁরা কখনোই বুঝবেন না।
আমি জানি, ওস্তাদ জাকির হোসেনের মতো শিল্পীদের মৃত্যু নেই। এই বছরটা শুরু হয়েছিল ওস্তাদ রশিদ খানের প্রয়াণ দিয়ে। ৯ জানুয়ারি, ২০২৪-এ তিনি আমাদের হৃদয় শূন্য করে চলে গিয়েছিলেন আর গত রোববার চলে গেলেন তবলার বরপুত্র ওস্তাদ জাকির হোসেন। আসা-যাওয়ার পথের ধারেই জীবন। প্রকৃতির অমোঘ সত্য আমাদের মানতেই হবে। তারপরও মনে হয় এই লেভেলের মানুষদের আরও দীর্ঘদিন পৃথিবীতে থাকা পৃথিবীর জন্যই প্রয়োজন। ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধার্ঘ্য এই মহান শিল্পীর জন্য।
আমি ১৯৮৭ সালে দিল্লিতে চলে যাই শান্তিনিকেতন থেকে ট্রান্সফার নিয়ে। পণ্ডিত অমরনাথজির কাছে ইন্দোর ঘরানার খেয়াল শিখতে। শ্রীরাম ভারতীয় কলা কেন্দ্রের হোস্টেলে থাকি, মান্ডি হাউসের প্রতিটি কোনায় অডিটরিয়াম এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মেলা বসে প্রতি সন্ধ্যায়। সংগীত, নৃত্য, অভিনয় প্রতি সন্ধ্যায়ই দেখি, ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ পারফরমারদের একদম চোখের সামনে। আমার মনোজগৎ ঋদ্ধ হয়, অভিনয়, সুর এবং নৃত্য ভঙ্গিমার প্রাচুর্যে আমি বিমোহিত হই, ঋদ্ধ হই, মরে যাই বারবার।
পণ্ডিত বিরজু মহারাজ তখন তাঁর খ্যাতির শীর্ষে। ১৯৯০ সালে প্রথম সেদিন আমি তাঁর ঘরে গিয়েছি—তাঁর কর্মস্থল কত্থক কেন্দ্রে তাঁর একটি নিজস্ব ঘর ছিল, যেখানে তিনি বিশ্রাম নিতেন—আমাকে পেয়ে তিনি খুব উচ্ছ্বসিত। জানি না কোন যোগ্যতায় তাঁর ভালোবাসা পেয়েছিলাম। তিনি ঢাকায় এলেও আমাকে বারবার স্মরণ করতেন—সুজিত কিধার হ্যায়, উসকো বুলাও। মহারাজজি সেদিন বারবার বলছিলেন, শান্তি শর্মা কই, ওর একজনকে নিয়ে আসার কথা। সেই একজন যে আমি, সেটা আমি জানতাম না। শান্তি শর্মা আমার গুরু বোন, পণ্ডিত অমরনাথজির প্রিয় শিষ্যদের একজন। বেদনার বিষয় হলো, তিনি অকালপ্রয়াত হয়েছেন। বেলা ৩টায় শান্তি শর্মা এলেন এবং তিনি আমাকে দেখে খানিকটা ক্ষুব্ধই হলেন। বললেন, তোমাকে খুঁজে খুঁজে পেরেশান, আর তুমি এখানে? কী কারণে খুঁজছেন? কারণ হচ্ছে, কত্থক নাচের সঙ্গে গাইবার জন্য আমাকে কিছু বন্দিশ শিখতে হবে। মহারাজজি যখন জানলেন আমাকে খুঁজতেই শান্তি শর্মা দেরি করেছেন, তৎক্ষণাৎ তিনি বসে গেলেন আমাদের দুজনকে গান শেখাতে। একটি বন্দনা, একটি ভজন এবং দুটি ঠুমরি একবারের বসায় শিখলাম। তারপর তিনি আমার পিলে চমকে বললেন, একটা পাঞ্জাবি পরে সন্ধ্যাবেলায় চলে আসো সিরি ফোর্ট অডিটরিয়ামে। ওখানে পণ্ডিত রবিশঙ্করের আজ ৭০তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান। আমি নাচব, তুমি ও শান্তি শর্মা আমার সঙ্গে গাইবে।
সিরি ফোর্ট অডিটরিয়ামে গিয়ে আমরা অডিয়েন্সে বসার সুযোগ পেলাম না সিকিউরিটির কারণে। কিন্তু গ্রিনরুমে ভিড় করে আমরা শুনতে লাগলাম মঞ্চের পরিবেশনা। পণ্ডিত শিব কুমার শর্মার সন্তুর বাদন হচ্ছিল। অডিয়েন্সে বসে ছিলেন ভারতবর্ষের তাবৎ গুণী ব্যক্তি, সংগীত ব্যক্তিত্ব পণ্ডিত রবিশঙ্কর ছিলেন, আরও ছিলেন বিদুষী কিশোরী আমানকার থেকে শুরু করে ওস্তাদ বিলায়েত খান, ওস্তাদ আল্লারাখা খানসহ ভারতের সংগীত নক্ষত্ররাজি।
আমি যখন মহারাজজির নাচের সময় সংগীতশিল্পীদের কাতারে এগিয়ে বসলাম, দেখলাম তবলার আসনটা খালি এবং সেখানে এক জোড়া তবলা রাখা আছে। সেই তবলার কারুকাজ নয়ন-মন হরণ করে নিল। আমি জানি, পণ্ডিত বিরজু মহারাজের নিয়মিত তবলা সংগতকার পণ্ডিত অম্বিকা প্রসাদ। কিন্তু তাঁর তবলা তো এত এক্সক্লুসিভ লেভেলের দেখিনি। আমি একটু সন্ত্রস্ত হয়ে বসলাম। খানিক পরে দেখি আমার পাশে এসে বসেছেন ওস্তাদ জাকির হোসেন। সমীহ, ভয়, শ্রদ্ধা, ভালো লাগা, ভালোবাসা—সব মিলিয়ে এক অদ্ভুত অনুভূতি নিয়ে গাইতে বসলাম। কী এক অপূর্ব সংগতের সঙ্গে মিশে গেলাম নতুন শেখা সব বন্দিশ নিয়ে। আমি জাকিরজির অটোগ্রাফ চেয়েছিলাম। তিনি একটা খুব মূল্যবান কথা বলেছিলেন, ‘এইসা কারো সুজিত, কি লোগ তুমসে অটোগ্রাফ মাঙ্গে।’ আমার আর তাঁর অটোগ্রাফ নেওয়া হয়নি। অনুষ্ঠান শেষে ওস্তাদ আল্লারাখা মঞ্চ থেকে উঠে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে আশীর্বাদ করেছিলেন। সে অন্য গল্প। আজ মন ভীষণ ভারাক্রান্ত হয়ে গেছে, সেই ওস্তাদ জাকির হোসেন আর নেই জেনে। মঞ্চে তিনি যখন আসতেন, বসতেন, তবলায় আঙুলের ঝড় তুলতেন, ফুলেল বসন্তের সমস্ত রং নিয়ে তাঁর যন্ত্রসঙ্গী যেন হেসে উঠত, পুরো মহলকে তিনি কী এক অপার্থিব রোমাঞ্চে ডুবিয়ে দিতেন, সেটা যাঁরা তাঁকে সেভাবে শোনেননি, দেখেননি, তাঁরা কখনোই বুঝবেন না।
আমি জানি, ওস্তাদ জাকির হোসেনের মতো শিল্পীদের মৃত্যু নেই। এই বছরটা শুরু হয়েছিল ওস্তাদ রশিদ খানের প্রয়াণ দিয়ে। ৯ জানুয়ারি, ২০২৪-এ তিনি আমাদের হৃদয় শূন্য করে চলে গিয়েছিলেন আর গত রোববার চলে গেলেন তবলার বরপুত্র ওস্তাদ জাকির হোসেন। আসা-যাওয়ার পথের ধারেই জীবন। প্রকৃতির অমোঘ সত্য আমাদের মানতেই হবে। তারপরও মনে হয় এই লেভেলের মানুষদের আরও দীর্ঘদিন পৃথিবীতে থাকা পৃথিবীর জন্যই প্রয়োজন। ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধার্ঘ্য এই মহান শিল্পীর জন্য।
নদীপাড়ের মানুষের প্রেম-ভালোবাসা আর টানাপোড়েনের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ইংরেজি ভাষার সিনেমা ‘ডট’। বানিয়েছেন বড়ুয়া সুনন্দা কাঁকন। গত ৫ সেপ্টেম্বর দেশের হলে মুক্তি পেয়েছিল সিনেমাটি। এবার মুক্তি পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে।
১ ঘণ্টা আগেএ্যাপোনিয়া নামের একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস থেকে শাড়ি নিয়ে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রচার করেননি বলে অভিযোগ উঠেছে তানজিন তিশার বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে এ্যাপোনিয়া কর্তৃপক্ষ। তবে তিশা জানান, শাড়িটি তিনি পেয়েছেন উপহার হিসেবে।
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী নামিয়াকে বিয়ে করেছেন জেমস। নামিয়ার বাবা নুরুল আমিন আর মা নাহিদ আমিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। পারিবারিক সূত্রে যুক্তরাষ্ট্রেই বেড়ে উঠেছেন নামিয়া। সেখানে নৃত্যশিল্পী হিসেবেও পরিচিতি রয়েছে তাঁর।
৫ ঘণ্টা আগেবলিউডের প্রখ্যাত গীতিকার ও চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতারের একটি পুরোনো ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক চলছে। ওই ভিডিওতে তাঁকে হিন্দুদের উদ্দেশে ‘মুসলমানদের মতো হবেন না’ বলতে মন্তব্য করতে শোনা যায়। এই মন্তব্যের জেরে প্রখ্যাত গায়ক লাকি আলী জাভেদ আখতারের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
৬ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
গত ৫ সেপ্টেম্বর দেশের হলে মুক্তি পায় ইংরেজি ভাষায় নির্মিত সিনেমা ‘ডট’। এবার সিনেমাটি দেখা যাবে যুক্তরাষ্ট্রে। পরিচালক বড়ুয়া সুনন্দা কাঁকন জানান, আগামী ৭ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের এএমসি ইউনিভার্সাল স্টুডিওতে মুক্তি পাবে ডট।
ক্যালিফোর্নিয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ১৫টি অঙ্গরাজ্য সিনেমাটি প্রদর্শিত হবে বলে জানিয়েছেন নির্মাতা।নদীপাড়ের মানুষের প্রেম-ভালোবাসা আর টানাপোড়েনের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ডট। প্রযোজনা করেছেন বড়ুয়া মনোজিত ধীমন।
কাঁকন বলেন, ‘ডট সিনেমাটি তৈরি হয়েছে নারী পাচার এবং নারী সংগ্রামের গল্প নিয়ে। বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে তৈরি হয়েছে এর চিত্রনাট্য। তাই দীর্ঘ গবেষণার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে আমাদের। সিনেমাটির দৈর্ঘ্য ২ ঘণ্টা ৮ মিনিট। দেশের দর্শকের পাশাপাশি বিদেশি দর্শকের কথা মাথায় রেখে সিনেমার সংলাপ ইংরেজিতে রাখা হয়েছে।’
ডট সিনেমায় অভিনয় করেছেন গ্রুপ থিয়েটারের একঝাঁক অভিনয়শিল্পী। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন বড়ুয়া মনোজিত ধীমন, মিষ্টি আক্তার, পরী, রাজিবুল ইসলাম, সোনিয়া পারভীন শাপলা, মামুন, মোস্তাফিজুর রহমান, কামরুল ইসলাম, মাসুদ চৌধুরী, তারিকুল ইসলাম তারেক, আব্দুল বারিক মুকুল, সেন্ডি কুমার প্রমুখ।
গত ৫ সেপ্টেম্বর দেশের হলে মুক্তি পায় ইংরেজি ভাষায় নির্মিত সিনেমা ‘ডট’। এবার সিনেমাটি দেখা যাবে যুক্তরাষ্ট্রে। পরিচালক বড়ুয়া সুনন্দা কাঁকন জানান, আগামী ৭ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের এএমসি ইউনিভার্সাল স্টুডিওতে মুক্তি পাবে ডট।
ক্যালিফোর্নিয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ১৫টি অঙ্গরাজ্য সিনেমাটি প্রদর্শিত হবে বলে জানিয়েছেন নির্মাতা।নদীপাড়ের মানুষের প্রেম-ভালোবাসা আর টানাপোড়েনের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ডট। প্রযোজনা করেছেন বড়ুয়া মনোজিত ধীমন।
কাঁকন বলেন, ‘ডট সিনেমাটি তৈরি হয়েছে নারী পাচার এবং নারী সংগ্রামের গল্প নিয়ে। বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে তৈরি হয়েছে এর চিত্রনাট্য। তাই দীর্ঘ গবেষণার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে আমাদের। সিনেমাটির দৈর্ঘ্য ২ ঘণ্টা ৮ মিনিট। দেশের দর্শকের পাশাপাশি বিদেশি দর্শকের কথা মাথায় রেখে সিনেমার সংলাপ ইংরেজিতে রাখা হয়েছে।’
ডট সিনেমায় অভিনয় করেছেন গ্রুপ থিয়েটারের একঝাঁক অভিনয়শিল্পী। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন বড়ুয়া মনোজিত ধীমন, মিষ্টি আক্তার, পরী, রাজিবুল ইসলাম, সোনিয়া পারভীন শাপলা, মামুন, মোস্তাফিজুর রহমান, কামরুল ইসলাম, মাসুদ চৌধুরী, তারিকুল ইসলাম তারেক, আব্দুল বারিক মুকুল, সেন্ডি কুমার প্রমুখ।
আমি ১৯৮৭ সালে দিল্লিতে চলে যাই শান্তিনিকেতন থেকে ট্রান্সফার নিয়ে। পণ্ডিত অমরনাথজির কাছে ইন্দোর ঘরানার খেয়াল শিখতে। শ্রীরাম ভারতীয় কলা কেন্দ্রের হোস্টেলে থাকি, মান্ডি হাউসের প্রতিটি কোনায় অডিটরিয়াম এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মেলা বসে প্রতি সন্ধ্যায়। সংগীত, নৃত্য, অভিনয় প্রতি সন্ধ্যায়ই দেখি, ভ
১৭ ডিসেম্বর ২০২৪এ্যাপোনিয়া নামের একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস থেকে শাড়ি নিয়ে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রচার করেননি বলে অভিযোগ উঠেছে তানজিন তিশার বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে এ্যাপোনিয়া কর্তৃপক্ষ। তবে তিশা জানান, শাড়িটি তিনি পেয়েছেন উপহার হিসেবে।
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী নামিয়াকে বিয়ে করেছেন জেমস। নামিয়ার বাবা নুরুল আমিন আর মা নাহিদ আমিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। পারিবারিক সূত্রে যুক্তরাষ্ট্রেই বেড়ে উঠেছেন নামিয়া। সেখানে নৃত্যশিল্পী হিসেবেও পরিচিতি রয়েছে তাঁর।
৫ ঘণ্টা আগেবলিউডের প্রখ্যাত গীতিকার ও চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতারের একটি পুরোনো ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক চলছে। ওই ভিডিওতে তাঁকে হিন্দুদের উদ্দেশে ‘মুসলমানদের মতো হবেন না’ বলতে মন্তব্য করতে শোনা যায়। এই মন্তব্যের জেরে প্রখ্যাত গায়ক লাকি আলী জাভেদ আখতারের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
৬ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
অভিনেত্রী তানজিন তিশার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন ঝিনুক নামের এক নারী উদ্যোক্তা। তিশার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এ্যাপোনিয়া নামের একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস থেকে শাড়ি নিয়ে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রচার করেননি। তবে তিশা জানান, শাড়িটি তিনি পেয়েছেন উপহার হিসেবে। এ্যাপোনিয়া ফ্যাশন পেজের এক্সিকিউটিভ মো. আমিনুল ইসলামের পক্ষে তিশাকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সলিমুল্লাহ সরকার
নোটিশে বলা হয়েছে, ‘শাড়িটি তিশার বাসায় পৌঁছে দেওয়ার পর তিনি একাধিকবার প্রমোশনের আশ্বাস দিলেও ১০ মাসেও তা করেননি; বরং ছয় মাস ধরে কোনো যোগাযোগও রাখেননি। উদ্যোক্তার দাবি, বিশ্বাস ভঙ্গ করে তিশা প্রতারণা করেছেন। উক্ত বিষয়টি বিভিন্ন অনলাইনসহ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হলে আপনি আপনার নামীয় ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডি থেকে লেখেন, ‘গিফট নিয়ে হয়ে গেলাম প্রতারক’, যা আপনার মতো দেশের পরিচিত অভিনেত্রীদের কাছ থেকে কাম্য নয় এবং বক্তব্যটি একাধারে মানহানিকর, কুরুচিপূর্ণ, বানোয়াট এবং সত্য গোপন করার ছলচাতুরী মাত্র।’
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, ৭ দিনের মধ্যে ২৮ হাজার ৮০০ টাকা শাড়ির মূল্য এবং ১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং প্রকাশ্যে মাফ চাইতে হবে তানজিন তিশাকে। অন্যথায়, তাঁর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দণ্ডবিধি অনুযায়ী মামলা করা হবে।
তানজিন তিশার বাসার ঠিকানায় ডাকযোগে এবং তিশার হোয়াটসঅ্যাপে আইনি নোটিশটি পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে এ্যাপোনিয়া কর্তৃপক্ষ। তবে এ নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেননি তানজিন তিশা।
অভিনেত্রী তানজিন তিশার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন ঝিনুক নামের এক নারী উদ্যোক্তা। তিশার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এ্যাপোনিয়া নামের একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস থেকে শাড়ি নিয়ে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রচার করেননি। তবে তিশা জানান, শাড়িটি তিনি পেয়েছেন উপহার হিসেবে। এ্যাপোনিয়া ফ্যাশন পেজের এক্সিকিউটিভ মো. আমিনুল ইসলামের পক্ষে তিশাকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সলিমুল্লাহ সরকার
নোটিশে বলা হয়েছে, ‘শাড়িটি তিশার বাসায় পৌঁছে দেওয়ার পর তিনি একাধিকবার প্রমোশনের আশ্বাস দিলেও ১০ মাসেও তা করেননি; বরং ছয় মাস ধরে কোনো যোগাযোগও রাখেননি। উদ্যোক্তার দাবি, বিশ্বাস ভঙ্গ করে তিশা প্রতারণা করেছেন। উক্ত বিষয়টি বিভিন্ন অনলাইনসহ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হলে আপনি আপনার নামীয় ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডি থেকে লেখেন, ‘গিফট নিয়ে হয়ে গেলাম প্রতারক’, যা আপনার মতো দেশের পরিচিত অভিনেত্রীদের কাছ থেকে কাম্য নয় এবং বক্তব্যটি একাধারে মানহানিকর, কুরুচিপূর্ণ, বানোয়াট এবং সত্য গোপন করার ছলচাতুরী মাত্র।’
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, ৭ দিনের মধ্যে ২৮ হাজার ৮০০ টাকা শাড়ির মূল্য এবং ১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং প্রকাশ্যে মাফ চাইতে হবে তানজিন তিশাকে। অন্যথায়, তাঁর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দণ্ডবিধি অনুযায়ী মামলা করা হবে।
তানজিন তিশার বাসার ঠিকানায় ডাকযোগে এবং তিশার হোয়াটসঅ্যাপে আইনি নোটিশটি পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে এ্যাপোনিয়া কর্তৃপক্ষ। তবে এ নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেননি তানজিন তিশা।
আমি ১৯৮৭ সালে দিল্লিতে চলে যাই শান্তিনিকেতন থেকে ট্রান্সফার নিয়ে। পণ্ডিত অমরনাথজির কাছে ইন্দোর ঘরানার খেয়াল শিখতে। শ্রীরাম ভারতীয় কলা কেন্দ্রের হোস্টেলে থাকি, মান্ডি হাউসের প্রতিটি কোনায় অডিটরিয়াম এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মেলা বসে প্রতি সন্ধ্যায়। সংগীত, নৃত্য, অভিনয় প্রতি সন্ধ্যায়ই দেখি, ভ
১৭ ডিসেম্বর ২০২৪নদীপাড়ের মানুষের প্রেম-ভালোবাসা আর টানাপোড়েনের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ইংরেজি ভাষার সিনেমা ‘ডট’। বানিয়েছেন বড়ুয়া সুনন্দা কাঁকন। গত ৫ সেপ্টেম্বর দেশের হলে মুক্তি পেয়েছিল সিনেমাটি। এবার মুক্তি পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে।
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী নামিয়াকে বিয়ে করেছেন জেমস। নামিয়ার বাবা নুরুল আমিন আর মা নাহিদ আমিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। পারিবারিক সূত্রে যুক্তরাষ্ট্রেই বেড়ে উঠেছেন নামিয়া। সেখানে নৃত্যশিল্পী হিসেবেও পরিচিতি রয়েছে তাঁর।
৫ ঘণ্টা আগেবলিউডের প্রখ্যাত গীতিকার ও চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতারের একটি পুরোনো ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক চলছে। ওই ভিডিওতে তাঁকে হিন্দুদের উদ্দেশে ‘মুসলমানদের মতো হবেন না’ বলতে মন্তব্য করতে শোনা যায়। এই মন্তব্যের জেরে প্রখ্যাত গায়ক লাকি আলী জাভেদ আখতারের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
৬ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
১১ বছর আগে দ্বিতীয় স্ত্রী বেনজির সাজ্জাদের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমসের। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী নামিয়া আমিনকে বিয়ে করেছেন তিনি। বিচ্ছেদের মতো নতুন বিয়ের খবরও এত দিন গোপন রেখেছিলেন জেমস। এ বছর জুনে নতুন সংসারে জন্ম নেয় পুত্রসন্তান। সন্তান জন্মের চার মাস পর নতুন বিয়ের খবর জানালেন জেমস।
নামিয়ার বাবা নুরুল আমিন আর মা নাহিদ আমিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। পারিবারিক সূত্রে যুক্তরাষ্ট্রেই বেড়ে উঠেছেন নামিয়া। সেখানে নৃত্যশিল্পী হিসেবেও পরিচিতি রয়েছে তাঁর। জেমস-নামিয়ার পরিচয় ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে। জেমস তখন যুক্তরাষ্ট্রে সংগীত সফর করছিলেন। লস অ্যাঞ্জেলেসের শোতে নামিয়ার সঙ্গে পরিচয় হয়। সেই পরিচয় থেকে বাড়ে ঘনিষ্ঠতা। যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে জেমস ফিরে আসেন বাংলাদেশে। কিছুদিন যেতেই মনের টানে নামিয়া ছুটে আসেন বাংলাদেশে। ২০২৪ সালের ১২ জুন বিয়ে করেন তাঁরা।
বিয়ের পর থেকে জেমসের ঢাকার বনানীর বাসায় বাস করছেন জেমস ও নামিয়া। এ বছরের ৮ জুন নিউইয়র্কের হান্টিং টং হাসপাতালে জন্ম হয় তাঁদের পুত্রসন্তানের। ছেলের নাম রাখা হয়েছে জিবরান আনাম।
নতুন জীবন নিয়ে জেমস বলেন, ‘আল্লাহর অশেষ কৃপায় ভালো আছি। যত দিন বাঁচি, যেন গান গেয়ে যেতে পারি। দোয়া চাই সবার কাছে। সবাই আমাকে প্রার্থনায় রাখবেন।’
এর আগে ১৯৯১ সালে চিত্রনায়িকা রথিকে এবং ২০০২ সালে বেনজিরকে বিয়ে করেন জেমস। রথির সঙ্গে জেমসের বিচ্ছেদ হয় ২০০৩ সালে এবং বেনজিরের সঙ্গে ২০১৪ সালে। রথির ঘরে রয়েছে জেমসের এক ছেলে দানিশ ও এক মেয়ে জান্নাত। বেনজিরের ঘরে এক মেয়ে জাহান।
জেমসের ম্যানেজার রুবাইয়াৎ ঠাকুর রবিন জানিয়েছেন, বেনজির তাঁদের একমাত্র মেয়ে জাহানকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে স্থায়ীভাবে বসবাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আর জেমস কোনোভাবেই গান আর দেশ ছাড়বেন না। তাই সমঝোতার ভিত্তিতে জেমস ও বেনজির বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন।
১১ বছর আগে দ্বিতীয় স্ত্রী বেনজির সাজ্জাদের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমসের। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী নামিয়া আমিনকে বিয়ে করেছেন তিনি। বিচ্ছেদের মতো নতুন বিয়ের খবরও এত দিন গোপন রেখেছিলেন জেমস। এ বছর জুনে নতুন সংসারে জন্ম নেয় পুত্রসন্তান। সন্তান জন্মের চার মাস পর নতুন বিয়ের খবর জানালেন জেমস।
নামিয়ার বাবা নুরুল আমিন আর মা নাহিদ আমিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। পারিবারিক সূত্রে যুক্তরাষ্ট্রেই বেড়ে উঠেছেন নামিয়া। সেখানে নৃত্যশিল্পী হিসেবেও পরিচিতি রয়েছে তাঁর। জেমস-নামিয়ার পরিচয় ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে। জেমস তখন যুক্তরাষ্ট্রে সংগীত সফর করছিলেন। লস অ্যাঞ্জেলেসের শোতে নামিয়ার সঙ্গে পরিচয় হয়। সেই পরিচয় থেকে বাড়ে ঘনিষ্ঠতা। যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে জেমস ফিরে আসেন বাংলাদেশে। কিছুদিন যেতেই মনের টানে নামিয়া ছুটে আসেন বাংলাদেশে। ২০২৪ সালের ১২ জুন বিয়ে করেন তাঁরা।
বিয়ের পর থেকে জেমসের ঢাকার বনানীর বাসায় বাস করছেন জেমস ও নামিয়া। এ বছরের ৮ জুন নিউইয়র্কের হান্টিং টং হাসপাতালে জন্ম হয় তাঁদের পুত্রসন্তানের। ছেলের নাম রাখা হয়েছে জিবরান আনাম।
নতুন জীবন নিয়ে জেমস বলেন, ‘আল্লাহর অশেষ কৃপায় ভালো আছি। যত দিন বাঁচি, যেন গান গেয়ে যেতে পারি। দোয়া চাই সবার কাছে। সবাই আমাকে প্রার্থনায় রাখবেন।’
এর আগে ১৯৯১ সালে চিত্রনায়িকা রথিকে এবং ২০০২ সালে বেনজিরকে বিয়ে করেন জেমস। রথির সঙ্গে জেমসের বিচ্ছেদ হয় ২০০৩ সালে এবং বেনজিরের সঙ্গে ২০১৪ সালে। রথির ঘরে রয়েছে জেমসের এক ছেলে দানিশ ও এক মেয়ে জান্নাত। বেনজিরের ঘরে এক মেয়ে জাহান।
জেমসের ম্যানেজার রুবাইয়াৎ ঠাকুর রবিন জানিয়েছেন, বেনজির তাঁদের একমাত্র মেয়ে জাহানকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে স্থায়ীভাবে বসবাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আর জেমস কোনোভাবেই গান আর দেশ ছাড়বেন না। তাই সমঝোতার ভিত্তিতে জেমস ও বেনজির বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন।
আমি ১৯৮৭ সালে দিল্লিতে চলে যাই শান্তিনিকেতন থেকে ট্রান্সফার নিয়ে। পণ্ডিত অমরনাথজির কাছে ইন্দোর ঘরানার খেয়াল শিখতে। শ্রীরাম ভারতীয় কলা কেন্দ্রের হোস্টেলে থাকি, মান্ডি হাউসের প্রতিটি কোনায় অডিটরিয়াম এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মেলা বসে প্রতি সন্ধ্যায়। সংগীত, নৃত্য, অভিনয় প্রতি সন্ধ্যায়ই দেখি, ভ
১৭ ডিসেম্বর ২০২৪নদীপাড়ের মানুষের প্রেম-ভালোবাসা আর টানাপোড়েনের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ইংরেজি ভাষার সিনেমা ‘ডট’। বানিয়েছেন বড়ুয়া সুনন্দা কাঁকন। গত ৫ সেপ্টেম্বর দেশের হলে মুক্তি পেয়েছিল সিনেমাটি। এবার মুক্তি পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে।
১ ঘণ্টা আগেএ্যাপোনিয়া নামের একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস থেকে শাড়ি নিয়ে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রচার করেননি বলে অভিযোগ উঠেছে তানজিন তিশার বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে এ্যাপোনিয়া কর্তৃপক্ষ। তবে তিশা জানান, শাড়িটি তিনি পেয়েছেন উপহার হিসেবে।
১ ঘণ্টা আগেবলিউডের প্রখ্যাত গীতিকার ও চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতারের একটি পুরোনো ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক চলছে। ওই ভিডিওতে তাঁকে হিন্দুদের উদ্দেশে ‘মুসলমানদের মতো হবেন না’ বলতে মন্তব্য করতে শোনা যায়। এই মন্তব্যের জেরে প্রখ্যাত গায়ক লাকি আলী জাভেদ আখতারের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
বলিউডের প্রখ্যাত গীতিকার ও চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতারের একটি পুরোনো ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক চলছে। ওই ভিডিওতে তাঁকে হিন্দুদের উদ্দেশে ‘মুসলমানদের মতো হবেন না’ বলতে মন্তব্য করতে শোনা যায়। এই মন্তব্যের জেরে প্রখ্যাত গায়ক লাকি আলী জাভেদ আখতারের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
জাভেদ আখতারের বক্তৃতার ওই ভিডিওটি কত পুরোনো বা কোন অনুষ্ঠানের, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ভিডিওটি শেয়ার করা একটি ‘এক্স’ পোস্টে মন্তব্য করে লাকি আলী লেখেন, ‘জাভেদ আখতারের মতো হবেন না, তিনি কখনোই মৌলিক (সৃষ্টিশীল অর্থে) নন এবং জঘন্য কুৎসিত...!’
ভাইরাল হওয়া ভিডিও ক্লিপটিতে জাভেদ আখতারকে বাক্স্বাধীনতা এবং বর্তমান ভারতে গণতন্ত্রের অবস্থা নিয়ে কথা বলতে শোনা যায়। ১৯৭৫ সালের ক্ল্যাসিক চলচ্চিত্র ‘শোলে’-এর একটি দৃশ্যের উল্লেখ করে তিনি তাঁর মন্তব্যটি করেন।
ভিডিওতে জাভেদ আখতার বলেন, ‘শোলেতে এমন একটি দৃশ্য ছিল যেখানে ধর্মেন্দ্র শিবের মূর্তির পেছনে লুকিয়ে কথা বলেন, আর হেমা মালিনী ভাবেন শিবজি তাঁর সঙ্গে কথা বলছেন। আজ কি এমন দৃশ্য তৈরি করা সম্ভব? না, আমি (আজ) এমন দৃশ্য লিখব না। ১৯৭৫ সালে কি হিন্দুরা ছিল না? ধর্মপ্রাণ মানুষ ছিল না? ছিল। রাজু হিরানি এবং আমি পুনেতে বিপুলসংখ্যক শ্রোতার সামনে বলেছিলাম, “আপনারা মুসলমানদের মতো হবেন না। তাদের আপনার মতো বানান। আপনারা মুসলমানদের মতো হয়ে যাচ্ছেন।” এটা একটা ট্র্যাজেডি!’
জাভেদ আখতারের এই মন্তব্যের সরাসরি প্রতিক্রিয়া হিসেবেই লাকি আলী সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই তীব্র কটাক্ষটি করেন।
উল্লেখ্য, গায়ক লাকি আলী নিজেকের ধর্মপ্রাণ মুসলিম দাবি করেন। তাঁর ধর্মীয় বিশ্বাস ও নিজস্ব ধারণা নিয়ে অতীতে বিতর্কের মুখে পড়েছেন। যেমন, ২০২৩ সালে তিনি ‘ব্রাহ্মণ’ শব্দটি ‘আব্রাহাম’ শব্দ থেকে এসেছে বলে দাবি করে বিতর্কের মুখে পড়েন। পরে অবশ্য তিনি পোস্টটি মুছে দিয়ে ‘হিন্দু ভাই ও বোনদের’ কাছে দুঃখপ্রকাশ করে জানান, তাঁর উদ্দেশ্য কাউকে ‘কষ্ট দেওয়া বা ক্ষুব্ধ করা’ নয়।
জাভেদ আখতার এর আগেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাম্প্রদায়িক ও বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্যের জন্য প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বহুবার তিরস্কার করেছেন। এর জন্য সমালোচনা ও প্রতিবাদ হয়েছে।
গত মাসে জমিয়াত উলেমা-ই-হিন্দ জাভেদ আখতারকে প্রধান অতিথি করার বিরোধিতা করলে কলকাতায় একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান স্থগিত করে সরকার। এই বিতর্কের জবাবে এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জাভেদ আখতার বলেন, তিনি ক্রমাগত হিন্দু ও মুসলিম উভয় মৌলবাদীদের কাছ থেকেই ঘৃণা পান।
জাভেদ আখতার বলেন, ‘কেউ কেউ আমাকে “জিহাদি” বলে পাকিস্তানে চলে যেতে বলে। আবার কেউ কেউ বলে আমি “কাফের” এবং আমি নিশ্চিত জাহান্নামে যাব, তাই আমার মুসলিম নামের অধিকার নেই।’
জাভেদ আখতার ওই সাক্ষাৎকারে জানান, গত ২৫ বছরে মুম্বাই পুলিশ তাঁকে অন্তত চারবার নিরাপত্তা দিয়েছে। এর মধ্যে তিনবারই মুসলিম সংগঠন বা ব্যক্তিদের কারণে এবং একবার অন্যদিক (প্রতিপক্ষের নাম নেননি) থেকে তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল।
বলিউডের প্রখ্যাত গীতিকার ও চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতারের একটি পুরোনো ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক চলছে। ওই ভিডিওতে তাঁকে হিন্দুদের উদ্দেশে ‘মুসলমানদের মতো হবেন না’ বলতে মন্তব্য করতে শোনা যায়। এই মন্তব্যের জেরে প্রখ্যাত গায়ক লাকি আলী জাভেদ আখতারের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
জাভেদ আখতারের বক্তৃতার ওই ভিডিওটি কত পুরোনো বা কোন অনুষ্ঠানের, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ভিডিওটি শেয়ার করা একটি ‘এক্স’ পোস্টে মন্তব্য করে লাকি আলী লেখেন, ‘জাভেদ আখতারের মতো হবেন না, তিনি কখনোই মৌলিক (সৃষ্টিশীল অর্থে) নন এবং জঘন্য কুৎসিত...!’
ভাইরাল হওয়া ভিডিও ক্লিপটিতে জাভেদ আখতারকে বাক্স্বাধীনতা এবং বর্তমান ভারতে গণতন্ত্রের অবস্থা নিয়ে কথা বলতে শোনা যায়। ১৯৭৫ সালের ক্ল্যাসিক চলচ্চিত্র ‘শোলে’-এর একটি দৃশ্যের উল্লেখ করে তিনি তাঁর মন্তব্যটি করেন।
ভিডিওতে জাভেদ আখতার বলেন, ‘শোলেতে এমন একটি দৃশ্য ছিল যেখানে ধর্মেন্দ্র শিবের মূর্তির পেছনে লুকিয়ে কথা বলেন, আর হেমা মালিনী ভাবেন শিবজি তাঁর সঙ্গে কথা বলছেন। আজ কি এমন দৃশ্য তৈরি করা সম্ভব? না, আমি (আজ) এমন দৃশ্য লিখব না। ১৯৭৫ সালে কি হিন্দুরা ছিল না? ধর্মপ্রাণ মানুষ ছিল না? ছিল। রাজু হিরানি এবং আমি পুনেতে বিপুলসংখ্যক শ্রোতার সামনে বলেছিলাম, “আপনারা মুসলমানদের মতো হবেন না। তাদের আপনার মতো বানান। আপনারা মুসলমানদের মতো হয়ে যাচ্ছেন।” এটা একটা ট্র্যাজেডি!’
জাভেদ আখতারের এই মন্তব্যের সরাসরি প্রতিক্রিয়া হিসেবেই লাকি আলী সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই তীব্র কটাক্ষটি করেন।
উল্লেখ্য, গায়ক লাকি আলী নিজেকের ধর্মপ্রাণ মুসলিম দাবি করেন। তাঁর ধর্মীয় বিশ্বাস ও নিজস্ব ধারণা নিয়ে অতীতে বিতর্কের মুখে পড়েছেন। যেমন, ২০২৩ সালে তিনি ‘ব্রাহ্মণ’ শব্দটি ‘আব্রাহাম’ শব্দ থেকে এসেছে বলে দাবি করে বিতর্কের মুখে পড়েন। পরে অবশ্য তিনি পোস্টটি মুছে দিয়ে ‘হিন্দু ভাই ও বোনদের’ কাছে দুঃখপ্রকাশ করে জানান, তাঁর উদ্দেশ্য কাউকে ‘কষ্ট দেওয়া বা ক্ষুব্ধ করা’ নয়।
জাভেদ আখতার এর আগেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাম্প্রদায়িক ও বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্যের জন্য প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বহুবার তিরস্কার করেছেন। এর জন্য সমালোচনা ও প্রতিবাদ হয়েছে।
গত মাসে জমিয়াত উলেমা-ই-হিন্দ জাভেদ আখতারকে প্রধান অতিথি করার বিরোধিতা করলে কলকাতায় একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান স্থগিত করে সরকার। এই বিতর্কের জবাবে এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জাভেদ আখতার বলেন, তিনি ক্রমাগত হিন্দু ও মুসলিম উভয় মৌলবাদীদের কাছ থেকেই ঘৃণা পান।
জাভেদ আখতার বলেন, ‘কেউ কেউ আমাকে “জিহাদি” বলে পাকিস্তানে চলে যেতে বলে। আবার কেউ কেউ বলে আমি “কাফের” এবং আমি নিশ্চিত জাহান্নামে যাব, তাই আমার মুসলিম নামের অধিকার নেই।’
জাভেদ আখতার ওই সাক্ষাৎকারে জানান, গত ২৫ বছরে মুম্বাই পুলিশ তাঁকে অন্তত চারবার নিরাপত্তা দিয়েছে। এর মধ্যে তিনবারই মুসলিম সংগঠন বা ব্যক্তিদের কারণে এবং একবার অন্যদিক (প্রতিপক্ষের নাম নেননি) থেকে তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল।
আমি ১৯৮৭ সালে দিল্লিতে চলে যাই শান্তিনিকেতন থেকে ট্রান্সফার নিয়ে। পণ্ডিত অমরনাথজির কাছে ইন্দোর ঘরানার খেয়াল শিখতে। শ্রীরাম ভারতীয় কলা কেন্দ্রের হোস্টেলে থাকি, মান্ডি হাউসের প্রতিটি কোনায় অডিটরিয়াম এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মেলা বসে প্রতি সন্ধ্যায়। সংগীত, নৃত্য, অভিনয় প্রতি সন্ধ্যায়ই দেখি, ভ
১৭ ডিসেম্বর ২০২৪নদীপাড়ের মানুষের প্রেম-ভালোবাসা আর টানাপোড়েনের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ইংরেজি ভাষার সিনেমা ‘ডট’। বানিয়েছেন বড়ুয়া সুনন্দা কাঁকন। গত ৫ সেপ্টেম্বর দেশের হলে মুক্তি পেয়েছিল সিনেমাটি। এবার মুক্তি পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে।
১ ঘণ্টা আগেএ্যাপোনিয়া নামের একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস থেকে শাড়ি নিয়ে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রচার করেননি বলে অভিযোগ উঠেছে তানজিন তিশার বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে এ্যাপোনিয়া কর্তৃপক্ষ। তবে তিশা জানান, শাড়িটি তিনি পেয়েছেন উপহার হিসেবে।
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী নামিয়াকে বিয়ে করেছেন জেমস। নামিয়ার বাবা নুরুল আমিন আর মা নাহিদ আমিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। পারিবারিক সূত্রে যুক্তরাষ্ট্রেই বেড়ে উঠেছেন নামিয়া। সেখানে নৃত্যশিল্পী হিসেবেও পরিচিতি রয়েছে তাঁর।
৫ ঘণ্টা আগে