মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসব। গত রোববার সকালে রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে উদ্বোধন করা হয় এ আয়োজনের। উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এ সময় ফারুকী জানান, গত ১৫ বছরে রাজনৈতিক অধঃপতন দৃশ্যমান হলেও ভেতরে-ভেতরে সাংস্কৃতিক অধঃপতনও হয়েছে।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘আমরা একটি বিশেষ সময়ে দাঁড়িয়ে আছি। এটা স্রেফ সরকার পরিবর্তন নয়, একটা বড় ধরনের বিপ্লবের মধ্য দিয়ে গেছে আমাদের দেশটা। আমি মনে করি, গত ১৫ বছরে আমাদের যে অধঃপতন হয়েছে, এটা বাহ্যত রাজনৈতিক অধঃপতন আর ভেতরে-ভেতরে আসলে এটা আমাদের সাংস্কৃতিক অধঃপতন।’
ফারুকী আরও বলেন, ‘এই সাংস্কৃতিক অধঃপতনের জন্য কে দায়ী, কারা দায়ী—এটা নিয়ে অনেক আলোচনা করা যাবে। কিন্তু আমি সহজে একটা কথা বুঝি, আপনি যখন আলোকিত মানুষ হবেন, বা কেউ যদি আলোকিত মানুষ হয়; উনি খুব উদার মানুষ হন। উনি উনার বিরুদ্ধমতের কথাটাও শুনতে চান।’
এরপর ফারুকী নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, ‘নাখালপাড়ার মতো মধ্যবিত্ত এলাকা থেকে যখন আমি শাহবাগে সংস্কৃতি করতে আসলাম। এসে দেখলাম, এখানেও কিছু বিভাজন আছে। এই বিভাজনগুলো খুব বিপজ্জনক। এটা আমাদের জাতির জন্য কোনো কাজে আসেনি, বরং আমরা যতদিন এই বিভাজন নিয়ে এগোব, তত আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠবে। ২০১৪ সালে এই বিপদটা আমার মতো করে বোঝার চেষ্টা করেছিলাম।’
ফারুকী বলেন, ‘শাহবাগে এসে দেখেছি যে, আমাদের সংস্কৃতির অন্য দিকগুলো আমরা গ্রহণ করছি, যেমন আমরা জানি যে, ধর্ম সংস্কৃতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যাঁরা সংস্কৃতি চর্চা করেন, যাঁরা কালচারড, যাঁরা আলোকিত, তাঁরা তো সবার ব্যাপারেই একই রকমভাবে উদার হবেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, শাহবাগের সাংস্কৃতিক আড্ডাগুলোতে পূজা, বড়দিন—এগুলো নিয়ে আলোচনা হতো। কিন্তু ঈদ নিয়ে কথা বলাটা স্মার্ট হিসেবে মনে করা হতো না। এই যে আমরা কাউকে ‘‘আদার’’ মনে করেছি, আবার কেউ আমাদেরকে ‘‘আদার’’ মনে করেছে, অপর ভেবেছে। এই অপর ভাবাটা বাংলাদেশের জন্য খুব ভালো কিছু না।’
নতুন প্রজন্ম এই সব বিভেদ চায় না বলে জানান ফারুকী। তিনি বলেন, ‘আমাদের নতুন প্রজন্ম যে নতুন বাংলাদেশ চায়, সেখানে তারা এই অপরায়ন থেকে দুরে থাকতে চায়। আমাদের বহু ভাষা, বহু ধর্ম, বহু মতের মানুষ মিলে থাকুক এবং কেউ কাউকে হেয় না করুক; সেটা চায়। যদি সেটা হয়, তাহলেই বুঝতে পারব আমরা আলোকিত মানুষ হয়েছি। আমি বিশ্বাস করি, সেই পথেই আমরা রওনা দিয়েছি।’
মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসব। গত রোববার সকালে রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে উদ্বোধন করা হয় এ আয়োজনের। উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এ সময় ফারুকী জানান, গত ১৫ বছরে রাজনৈতিক অধঃপতন দৃশ্যমান হলেও ভেতরে-ভেতরে সাংস্কৃতিক অধঃপতনও হয়েছে।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘আমরা একটি বিশেষ সময়ে দাঁড়িয়ে আছি। এটা স্রেফ সরকার পরিবর্তন নয়, একটা বড় ধরনের বিপ্লবের মধ্য দিয়ে গেছে আমাদের দেশটা। আমি মনে করি, গত ১৫ বছরে আমাদের যে অধঃপতন হয়েছে, এটা বাহ্যত রাজনৈতিক অধঃপতন আর ভেতরে-ভেতরে আসলে এটা আমাদের সাংস্কৃতিক অধঃপতন।’
ফারুকী আরও বলেন, ‘এই সাংস্কৃতিক অধঃপতনের জন্য কে দায়ী, কারা দায়ী—এটা নিয়ে অনেক আলোচনা করা যাবে। কিন্তু আমি সহজে একটা কথা বুঝি, আপনি যখন আলোকিত মানুষ হবেন, বা কেউ যদি আলোকিত মানুষ হয়; উনি খুব উদার মানুষ হন। উনি উনার বিরুদ্ধমতের কথাটাও শুনতে চান।’
এরপর ফারুকী নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, ‘নাখালপাড়ার মতো মধ্যবিত্ত এলাকা থেকে যখন আমি শাহবাগে সংস্কৃতি করতে আসলাম। এসে দেখলাম, এখানেও কিছু বিভাজন আছে। এই বিভাজনগুলো খুব বিপজ্জনক। এটা আমাদের জাতির জন্য কোনো কাজে আসেনি, বরং আমরা যতদিন এই বিভাজন নিয়ে এগোব, তত আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠবে। ২০১৪ সালে এই বিপদটা আমার মতো করে বোঝার চেষ্টা করেছিলাম।’
ফারুকী বলেন, ‘শাহবাগে এসে দেখেছি যে, আমাদের সংস্কৃতির অন্য দিকগুলো আমরা গ্রহণ করছি, যেমন আমরা জানি যে, ধর্ম সংস্কৃতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যাঁরা সংস্কৃতি চর্চা করেন, যাঁরা কালচারড, যাঁরা আলোকিত, তাঁরা তো সবার ব্যাপারেই একই রকমভাবে উদার হবেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, শাহবাগের সাংস্কৃতিক আড্ডাগুলোতে পূজা, বড়দিন—এগুলো নিয়ে আলোচনা হতো। কিন্তু ঈদ নিয়ে কথা বলাটা স্মার্ট হিসেবে মনে করা হতো না। এই যে আমরা কাউকে ‘‘আদার’’ মনে করেছি, আবার কেউ আমাদেরকে ‘‘আদার’’ মনে করেছে, অপর ভেবেছে। এই অপর ভাবাটা বাংলাদেশের জন্য খুব ভালো কিছু না।’
নতুন প্রজন্ম এই সব বিভেদ চায় না বলে জানান ফারুকী। তিনি বলেন, ‘আমাদের নতুন প্রজন্ম যে নতুন বাংলাদেশ চায়, সেখানে তারা এই অপরায়ন থেকে দুরে থাকতে চায়। আমাদের বহু ভাষা, বহু ধর্ম, বহু মতের মানুষ মিলে থাকুক এবং কেউ কাউকে হেয় না করুক; সেটা চায়। যদি সেটা হয়, তাহলেই বুঝতে পারব আমরা আলোকিত মানুষ হয়েছি। আমি বিশ্বাস করি, সেই পথেই আমরা রওনা দিয়েছি।’
স্বাধীন বাংলাদেশের শুরু থেকেই ঢাকাই সিনেমার সঙ্গে জড়িত সোহেল রানা। বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’-এর প্রযোজক হিসেবে চলচ্চিত্রজগতে প্রবেশ করেন মাসুদ পারভেজ ওরফে সোহেল রানা। সিনেমাটি ১৯৭২ সালে মুক্তি পায়। অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ এর দুই বছর
৮ ঘণ্টা আগেসোলস ব্যান্ডের আত্মপ্রকাশ চট্টগ্রামে ১৯৭৩ সালে। তবে ব্যান্ডটির কার্যক্রম শুরু হয় তারও এক বছর আগে (১৯৭২)। সাজেদ উল আলমের নেতৃত্বে কয়েক তরুণ ‘সুরেলা’ নামের একটি ব্যান্ড গঠন করে। ১৯৭৩ সালে ব্যান্ডের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘সোলস’। সাজেদ, লুলু ও রনি ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। এরপর আর থেমে থাকতে হয়নি...
৮ ঘণ্টা আগেএক বছরের বেশি সময় ধরে বলিউডে চর্চা চলছে ডন সিনেমার সিকুয়েল নিয়ে। অমিতাভ ও শাহরুখের পর ডনের ভূমিকায় রণবীর সিংয়ের নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই আলোচনায় উঠে এসেছে ‘ডন থ্রি’। সিনেমার নায়িকা নিয়েও জল্পনা তুঙ্গে। প্রথমে শোনা গিয়েছিল প্রিয়াঙ্কার পরিবর্তে ডন থ্রিতে নায়িকা হচ্ছেন কিয়ারা আদভানি। মাতৃত্বকালীন...
৮ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে আক্রান্ত চলচ্চিত্র অভিনেতা ইলিয়াস জাভেদ। আজ ১৬ এপ্রিল শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে বাসার নিকটতম উত্তরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
১ দিন আগে