আজ ৬ সেপ্টেম্বর চিত্রনায়ক সালমান শাহর ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। মীর রাকিব হাসানের অনুলিখনে সালমানকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করেছেন অভিনেতা মামুনুর রশীদ ও কণ্ঠশিল্পী আঁখি আলমগীর।
সালমানের ব্যাখ্যা সে নিজেই
মামুনুর রশীদ
ইমনকে নিয়ে আমি প্রথম নাটক নির্মাণ করি। সম্ভবত নাটকটির নাম ‘আকাশ ছোঁয়া’। সেই নাটকে ও শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেছিল। যতটা মনে পড়ে কুমিল্লার ময়নামতি বিহারে নাটকটির শুটিং হয়েছে। আমরা সবাই খুব স্নেহ করতাম তাকে। পরবর্তী সময়ে আমি যখন ‘ইতিকথা’ ধারাবাহিক করি, সেখানেও সে অন্যতম মুখ্য চরিত্র করেছিল। কিন্তু শেষের দিকে আর সময় দিতে পারেনি। ইমন যখন সালমান হয়ে উঠল, আমি তাকে টিভি নাটকের প্রস্তাব দিলে সে খুব উৎসাহের সঙ্গে কাজটি করে। বলেছিল, ‘আপনার নাটকে আমার টেলিভিশনে অভিনয়ের যাত্রা শুরু হয়েছিল। আমি আপনার এই কাজটাও করতে চাই।’
অভিনয়ে সালমান শাহ তখন এমন একটা ইমপ্রেশন তৈরি করতে পেরেছিল, সহসা যা কেউ ভোলেনি। একজন অভিনেতা হয়ে ওঠা আর একজন তারকা হয়ে ওঠার মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। ইমন সবার স্বপ্নের মানুষ হয়ে উঠেছিল। ছবি বলতে যে রঙিন জগৎ, স্বপ্নের দুনিয়া, সেখানে সে রাজত্ব করতে পেরেছিল। আসলে ওকে যারা পর্দায় বা বাস্তবে দেখেছে, তারা জীবনেও ওকে ভুলতে পারবে না। কেন পারবে না তার সহজ তো একটা উত্তর আছেই, জনপ্রিয় ট্রেন্ড সেটার।
ও মারা যাওয়ার পর বেশ কয়েকজন আত্মহত্যা করেছেন। এটা বিশ্বে বিরল। এখনো বিশেষ অনুষ্ঠানমালায় ওর ছবি দেওয়া হয়। সেটা দর্শক দেখেও। এক ছবি হয়তো ২০ বার দেখেছে। তারপরও যদি টিভিতে দেখি অমনি বসে যেতে হয়। সালমানের ব্যাখ্যা আসলে সালমান নিজেই।
আম্মুই পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল
আঁখি আলমগীর
সালমান শাহর মা নীলা আন্টি রাজনীতি করতেন। উনি শখ করে টেলিভিশনে গানও গাইতেন। উনি আমার আম্মুর লেখা কয়েকটা গান টিভিতে গেয়েছিলেন। সেই সূত্রে আম্মুর সঙ্গে ওনার পরিচয়। এরপর দুই পরিবারেরও আসা-যাওয়া শুরু হয়। বলছি সেই আশির দশকের শুরুর দিকের কথা। ইমন আমার চেয়ে কিছুটা বড়। কিন্তু আমি, আমার ভাই, ইমন আর ওর ভাই -আমরা প্রায় সবাই পিঠাপিঠি ছিলাম।
আমাদের বন্ধুত্ব হয়ে যায়। আমরা দুজন দুজনকে তুই বলে সম্বোধন করতাম। দোস্ত ডাকতাম। ইমন ছবিতে ব্যস্ত হয়ে গেল, আমিও ব্যস্ত হয়ে পড়ি পড়াশোনা নিয়ে। নিয়মিত দেখা হতো না। কিন্তু ফোনে যোগাযোগ হতো। সোহানুর রহমান সোহান আঙ্কেলকে ইমনের খোঁজ আম্মুই দিয়েছিল। ইমন ফ্যাশনসচেতন ছিল। একবার কক্সবাজার বেড়াতে গিয়ে সুন্দর সুন্দর পোজে ছবি তোলে। ছবিগুলো একটা অ্যালবামে করে আম্মুকে দিয়ে বলে, ‘আন্টি, এটা রাখেন আপনার কাছে।’ একদিন সোহান আঙ্কেল বাসায় আসেন আব্বুর সঙ্গে কথা বলতে। তখন আম্মু তাঁকে বলেন ইমনের কথা। একদিন আম্মুই ইমনকে নিয়ে যায় সোহান আঙ্কেলের কাছে। সোহান আঙ্কেল প্রথম দেখাতেই ভীষণ পছন্দ করে ফেলেন ইমনকে।
ভীষণ আবেগময় ছিল ইমন। আমার মনে আছে, নিজে আয় করে যখন গাড়ি কেনে, বউকে নিয়ে নিজে ড্রাইভ করে গাড়ি দেখাতে এসেছিল আমাদের বাসায়। ওর একটা ছবিতেই আমি গান করেছি। আমার আর আগুনের ডুয়েট ‘সত্যের মৃত্যু নেই’ ছবিতে। দুঃখের বিষয়, এটাই ওর শেষ ছবি ছিল।
আজ ৬ সেপ্টেম্বর চিত্রনায়ক সালমান শাহর ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। মীর রাকিব হাসানের অনুলিখনে সালমানকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করেছেন অভিনেতা মামুনুর রশীদ ও কণ্ঠশিল্পী আঁখি আলমগীর।
সালমানের ব্যাখ্যা সে নিজেই
মামুনুর রশীদ
ইমনকে নিয়ে আমি প্রথম নাটক নির্মাণ করি। সম্ভবত নাটকটির নাম ‘আকাশ ছোঁয়া’। সেই নাটকে ও শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেছিল। যতটা মনে পড়ে কুমিল্লার ময়নামতি বিহারে নাটকটির শুটিং হয়েছে। আমরা সবাই খুব স্নেহ করতাম তাকে। পরবর্তী সময়ে আমি যখন ‘ইতিকথা’ ধারাবাহিক করি, সেখানেও সে অন্যতম মুখ্য চরিত্র করেছিল। কিন্তু শেষের দিকে আর সময় দিতে পারেনি। ইমন যখন সালমান হয়ে উঠল, আমি তাকে টিভি নাটকের প্রস্তাব দিলে সে খুব উৎসাহের সঙ্গে কাজটি করে। বলেছিল, ‘আপনার নাটকে আমার টেলিভিশনে অভিনয়ের যাত্রা শুরু হয়েছিল। আমি আপনার এই কাজটাও করতে চাই।’
অভিনয়ে সালমান শাহ তখন এমন একটা ইমপ্রেশন তৈরি করতে পেরেছিল, সহসা যা কেউ ভোলেনি। একজন অভিনেতা হয়ে ওঠা আর একজন তারকা হয়ে ওঠার মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। ইমন সবার স্বপ্নের মানুষ হয়ে উঠেছিল। ছবি বলতে যে রঙিন জগৎ, স্বপ্নের দুনিয়া, সেখানে সে রাজত্ব করতে পেরেছিল। আসলে ওকে যারা পর্দায় বা বাস্তবে দেখেছে, তারা জীবনেও ওকে ভুলতে পারবে না। কেন পারবে না তার সহজ তো একটা উত্তর আছেই, জনপ্রিয় ট্রেন্ড সেটার।
ও মারা যাওয়ার পর বেশ কয়েকজন আত্মহত্যা করেছেন। এটা বিশ্বে বিরল। এখনো বিশেষ অনুষ্ঠানমালায় ওর ছবি দেওয়া হয়। সেটা দর্শক দেখেও। এক ছবি হয়তো ২০ বার দেখেছে। তারপরও যদি টিভিতে দেখি অমনি বসে যেতে হয়। সালমানের ব্যাখ্যা আসলে সালমান নিজেই।
আম্মুই পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল
আঁখি আলমগীর
সালমান শাহর মা নীলা আন্টি রাজনীতি করতেন। উনি শখ করে টেলিভিশনে গানও গাইতেন। উনি আমার আম্মুর লেখা কয়েকটা গান টিভিতে গেয়েছিলেন। সেই সূত্রে আম্মুর সঙ্গে ওনার পরিচয়। এরপর দুই পরিবারেরও আসা-যাওয়া শুরু হয়। বলছি সেই আশির দশকের শুরুর দিকের কথা। ইমন আমার চেয়ে কিছুটা বড়। কিন্তু আমি, আমার ভাই, ইমন আর ওর ভাই -আমরা প্রায় সবাই পিঠাপিঠি ছিলাম।
আমাদের বন্ধুত্ব হয়ে যায়। আমরা দুজন দুজনকে তুই বলে সম্বোধন করতাম। দোস্ত ডাকতাম। ইমন ছবিতে ব্যস্ত হয়ে গেল, আমিও ব্যস্ত হয়ে পড়ি পড়াশোনা নিয়ে। নিয়মিত দেখা হতো না। কিন্তু ফোনে যোগাযোগ হতো। সোহানুর রহমান সোহান আঙ্কেলকে ইমনের খোঁজ আম্মুই দিয়েছিল। ইমন ফ্যাশনসচেতন ছিল। একবার কক্সবাজার বেড়াতে গিয়ে সুন্দর সুন্দর পোজে ছবি তোলে। ছবিগুলো একটা অ্যালবামে করে আম্মুকে দিয়ে বলে, ‘আন্টি, এটা রাখেন আপনার কাছে।’ একদিন সোহান আঙ্কেল বাসায় আসেন আব্বুর সঙ্গে কথা বলতে। তখন আম্মু তাঁকে বলেন ইমনের কথা। একদিন আম্মুই ইমনকে নিয়ে যায় সোহান আঙ্কেলের কাছে। সোহান আঙ্কেল প্রথম দেখাতেই ভীষণ পছন্দ করে ফেলেন ইমনকে।
ভীষণ আবেগময় ছিল ইমন। আমার মনে আছে, নিজে আয় করে যখন গাড়ি কেনে, বউকে নিয়ে নিজে ড্রাইভ করে গাড়ি দেখাতে এসেছিল আমাদের বাসায়। ওর একটা ছবিতেই আমি গান করেছি। আমার আর আগুনের ডুয়েট ‘সত্যের মৃত্যু নেই’ ছবিতে। দুঃখের বিষয়, এটাই ওর শেষ ছবি ছিল।
দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ অভিনেত্রী রওশন আরা বেগম ওরফে মৌ শিখা সম্প্রতি এক আবেগঘন ফেসবুক পোস্টে নিজের কাজ কমে যাওয়া এবং এর ফলে সৃষ্ট মানসিক ও অর্থনৈতিক সংকটের কথা তুলে ধরেছেন। তাঁর এই আর্তি মিডিয়াপাড়ায় অনেককেই নাড়া দিয়েছে। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, যেখানে একসময় মাসে ১৫ থেকে ২০ দিন কাজ করতেন, সেখানে গত আড়াই...
৩ ঘণ্টা আগেপরিচালক মোহিত সুরির নতুন চলচ্চিত্র ‘সায়ারা’ দ্বিতীয় সপ্তাহের মতো বক্স অফিস কাঁপাচ্ছে। দেশের বক্স অফিসে ২০০ কোটি রুপি আয়ের মাইলফলক অতিক্রম করার পথে রয়েছে ছবিটি। অভিনেতা আহান পাণ্ডের অভিষেক চলচ্চিত্র ‘সায়ারা’। প্রথম সিনেমাতেই বাজিমাত করলেন তিনি। প্রেক্ষাগৃহে দারুণ ব্যবসা করছে।
৫ ঘণ্টা আগেগত বছর জুনে পথচলার চার দশক পূর্ণ করেছে দেশের ব্যান্ড ওয়ারফেজ। সে সময় দলটির প্রধান শেখ মনিরুল আলম টিপু জানিয়েছিলেন, চার দশক পূর্তি উপলক্ষে বছরব্যাপী দেশের বিভিন্ন স্থানে কনসার্টের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, ভারতসহ আরও কয়েকটি দেশে কনসার্ট করার পরিকল্পনা আছে তাদের।
৯ ঘণ্টা আগেবাদল সরকারের পেশাগত নাম সুধীন্দ্রনাথ সরকার। নাটক লিখেছেন প্রায় ৬০টি। তিনি মনে করতেন, নাটক সমাজের দর্পণ হওয়া উচিত। বাংলা থিয়েটারে ষাটের দশকের শেষ দিকে ‘থার্ড থিয়েটার’ নামক একটি নতুন নাট্যধারার প্রবর্তন করেন বাদল সরকার। ‘থার্ড থিয়েটার’ সমকালে অভিনব ও ব্যতিক্রমধর্মী নাট্যরীতি হিসেবে সমাদৃত হয়।
৯ ঘণ্টা আগে