বিনোদন ডেস্ক
করাচিতে নিজের ফ্ল্যাট থেকে পচাগলা অবস্থায় উদ্ধার হওয়া মডেল ও অভিনেত্রী হুমাইরা আসগর আলীর মরদেহ গ্রহণ করেছে তাঁর পরিবার। গত বৃহস্পতিবার লাহোরের ছিপা মর্গ থেকে অভিনেত্রীর দেহাবশেষ সংগ্রহ করেন তাঁর ভাই নাভিদ আসগর। হুমাইরার মরদেহ নিতে পরিবার অস্বীকৃতি জানিয়েছে বলে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তার প্রতিবাদ জানিয়েছেন নাভিদ।
করাচির অভিজাত ইত্তেহাদ কমার্শিয়াল এলাকায় ভাড়া ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন অভিনেত্রী হুমাইরা আসগর। গত কয়েক মাস ধরে ভাড়া দিচ্ছিলেন না তিনি। ফ্ল্যাটের মালিক একাধিকবার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার পর আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালতের আদেশ অনুযায়ী ফ্ল্যাটটি খালি করার জন্য গত মঙ্গলবার বেলা ৩টা ১৫ মিনিটে পুলিশ সেখানে যায়। দরজায় কড়া নাড়ার পর সাড়া না পেয়ে পুলিশ দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং অভিনেত্রীর মরদেহ দেখতে পায়।
করাচি পুলিশ সার্জন ডা. সুমাইয়া সৈয়দের করা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এক মাসের বেশি সময় আগে মৃত্যু হয়েছিল অভিনেত্রীর। তবে ফরেনসিক তদন্তে অনুমান, প্রায় ৯ মাস আগে ২০২৪ সালের অক্টোবরে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। হুমাইরা আসগরের মরদেহের পরিস্থিতি বর্ণনা করে ডা. সুমাইয়া সৈয়দ বলেন, ‘ভিসেরা সম্পূর্ণরূপে অটোলাইজড। মরদেহ একটি কালো অচেনা বস্তুতে পরিণত হয়েছে।’
প্রথম দিকে পুলিশ জানিয়েছিল, হুমাইরার মরদেহ নিতে অস্বীকার করেছে তাঁর পরিবার। এর পরিপ্রেক্ষিতে সিন্ধুর সংস্কৃতি ও পর্যটনমন্ত্রী সৈয়দ জুলফিকার আলী শাহ ঘোষণা করেন, প্রাদেশিক সরকার তাঁর দাফনের ব্যবস্থা করবে। সিন্ধুর গভর্নর কামরান তেসোরিও অভিনেত্রীর দাফনে সহায়তার প্রস্তাব দেন।
আরব নিউজের খবরে বলা হয়েছে, হুমাইরার পরিবারের বিরুদ্ধে আনা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিনেত্রীর ভাই নাভিদ আসগর। তিনি বলেন, ‘আমি এখানে এসেছি এবং সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে মরদেহ গ্রহণ করেছি।’
নাভিদ আসগর জানান, তাঁর বোন সাত বছর আগে লাহোর থেকে করাচিতে চলে আসেন। পরিবারের সঙ্গে খুব কমই যোগাযোগ রাখতেন। প্রতি ছয় মাস পর পর বাড়িতে যেতেন। তবে গত প্রায় দেড় বছর ধরে পরিবারের সঙ্গে তাঁর কোনো ধরনের যোগাযোগ ছিল না।
হুমাইরাকে খোঁজার অনেক চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁর ফোন বন্ধ ছিল। পরিবারকেও কখনো নিজের সঠিক ঠিকানা দেননি হুমাইরা। তাঁর কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল, তাঁরাও অভিনেত্রীর কোনো খোঁজ জানাতে পারেননি।
সংবাদমাধ্যমকে নাভিদ আসগর বলেন, ‘আমার মা বলেছিলেন, আমার মেয়ের এমন পচাগলা লাশ আমি দেখতে পারব না। ওকে বাড়িতে এনো না, ওখানেই (করাচিতে) দাফন করো। মিডিয়াকে আমার বাবা সেটাই বলেছিলেন। কিন্তু মিডিয়া এ বক্তব্যকে বিকৃত করে বলে দিয়েছে, আমরা নাকি তাঁর মরদেহ নিতে চাই না! অথচ আমি কিন্তু এসেছি। বাবাই আমাকে পাঠিয়েছেন।’
হুমাইরার মৃত্যু কীভাবে ঘটেছে, সেটা তদন্ত না করে পরিবার কেন অনুপস্থিত, তা নিয়ে একের পর এক রিপোর্ট করার জন্য সংবাদমাধ্যমের সমালোচনা করেন অভিনেত্রীর ভাই।
২০১৪ সালে ভিট মিস সুপার মডেল প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে মিডিয়ায় পা রাখেন হুমাইরা আসগর। ২০২২ সালে রিয়েলিটি শো তামাশা ঘর দিয়ে পরিচিতি পান। ‘জাস্ট ম্যারিড’, ‘এহসান ফারামোশ’, ‘গুরু’, ‘চল দিল মেরে’সহ বেশ কিছু টিভি সিরিয়ালে অভিনয় করেছেন। এ ছাড়া, ‘জালাইবি’, ‘লাভ ভ্যাকসিন’সহ কয়েকটি সিনেমায়ও দেখা গেছে হুমাইরা আসগরকে।
করাচিতে নিজের ফ্ল্যাট থেকে পচাগলা অবস্থায় উদ্ধার হওয়া মডেল ও অভিনেত্রী হুমাইরা আসগর আলীর মরদেহ গ্রহণ করেছে তাঁর পরিবার। গত বৃহস্পতিবার লাহোরের ছিপা মর্গ থেকে অভিনেত্রীর দেহাবশেষ সংগ্রহ করেন তাঁর ভাই নাভিদ আসগর। হুমাইরার মরদেহ নিতে পরিবার অস্বীকৃতি জানিয়েছে বলে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তার প্রতিবাদ জানিয়েছেন নাভিদ।
করাচির অভিজাত ইত্তেহাদ কমার্শিয়াল এলাকায় ভাড়া ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন অভিনেত্রী হুমাইরা আসগর। গত কয়েক মাস ধরে ভাড়া দিচ্ছিলেন না তিনি। ফ্ল্যাটের মালিক একাধিকবার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার পর আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালতের আদেশ অনুযায়ী ফ্ল্যাটটি খালি করার জন্য গত মঙ্গলবার বেলা ৩টা ১৫ মিনিটে পুলিশ সেখানে যায়। দরজায় কড়া নাড়ার পর সাড়া না পেয়ে পুলিশ দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং অভিনেত্রীর মরদেহ দেখতে পায়।
করাচি পুলিশ সার্জন ডা. সুমাইয়া সৈয়দের করা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এক মাসের বেশি সময় আগে মৃত্যু হয়েছিল অভিনেত্রীর। তবে ফরেনসিক তদন্তে অনুমান, প্রায় ৯ মাস আগে ২০২৪ সালের অক্টোবরে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। হুমাইরা আসগরের মরদেহের পরিস্থিতি বর্ণনা করে ডা. সুমাইয়া সৈয়দ বলেন, ‘ভিসেরা সম্পূর্ণরূপে অটোলাইজড। মরদেহ একটি কালো অচেনা বস্তুতে পরিণত হয়েছে।’
প্রথম দিকে পুলিশ জানিয়েছিল, হুমাইরার মরদেহ নিতে অস্বীকার করেছে তাঁর পরিবার। এর পরিপ্রেক্ষিতে সিন্ধুর সংস্কৃতি ও পর্যটনমন্ত্রী সৈয়দ জুলফিকার আলী শাহ ঘোষণা করেন, প্রাদেশিক সরকার তাঁর দাফনের ব্যবস্থা করবে। সিন্ধুর গভর্নর কামরান তেসোরিও অভিনেত্রীর দাফনে সহায়তার প্রস্তাব দেন।
আরব নিউজের খবরে বলা হয়েছে, হুমাইরার পরিবারের বিরুদ্ধে আনা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিনেত্রীর ভাই নাভিদ আসগর। তিনি বলেন, ‘আমি এখানে এসেছি এবং সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে মরদেহ গ্রহণ করেছি।’
নাভিদ আসগর জানান, তাঁর বোন সাত বছর আগে লাহোর থেকে করাচিতে চলে আসেন। পরিবারের সঙ্গে খুব কমই যোগাযোগ রাখতেন। প্রতি ছয় মাস পর পর বাড়িতে যেতেন। তবে গত প্রায় দেড় বছর ধরে পরিবারের সঙ্গে তাঁর কোনো ধরনের যোগাযোগ ছিল না।
হুমাইরাকে খোঁজার অনেক চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁর ফোন বন্ধ ছিল। পরিবারকেও কখনো নিজের সঠিক ঠিকানা দেননি হুমাইরা। তাঁর কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল, তাঁরাও অভিনেত্রীর কোনো খোঁজ জানাতে পারেননি।
সংবাদমাধ্যমকে নাভিদ আসগর বলেন, ‘আমার মা বলেছিলেন, আমার মেয়ের এমন পচাগলা লাশ আমি দেখতে পারব না। ওকে বাড়িতে এনো না, ওখানেই (করাচিতে) দাফন করো। মিডিয়াকে আমার বাবা সেটাই বলেছিলেন। কিন্তু মিডিয়া এ বক্তব্যকে বিকৃত করে বলে দিয়েছে, আমরা নাকি তাঁর মরদেহ নিতে চাই না! অথচ আমি কিন্তু এসেছি। বাবাই আমাকে পাঠিয়েছেন।’
হুমাইরার মৃত্যু কীভাবে ঘটেছে, সেটা তদন্ত না করে পরিবার কেন অনুপস্থিত, তা নিয়ে একের পর এক রিপোর্ট করার জন্য সংবাদমাধ্যমের সমালোচনা করেন অভিনেত্রীর ভাই।
২০১৪ সালে ভিট মিস সুপার মডেল প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে মিডিয়ায় পা রাখেন হুমাইরা আসগর। ২০২২ সালে রিয়েলিটি শো তামাশা ঘর দিয়ে পরিচিতি পান। ‘জাস্ট ম্যারিড’, ‘এহসান ফারামোশ’, ‘গুরু’, ‘চল দিল মেরে’সহ বেশ কিছু টিভি সিরিয়ালে অভিনয় করেছেন। এ ছাড়া, ‘জালাইবি’, ‘লাভ ভ্যাকসিন’সহ কয়েকটি সিনেমায়ও দেখা গেছে হুমাইরা আসগরকে।
ছেলের অসুস্থতার কারণে দুই বছরের অধিক সময় ধরে কানাডাতেই বেশির ভাগ সময় কাটে সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের। সেখান থেকে সুযোগ পেলে কনসার্টে অংশ নিচ্ছেন, তৈরি করছেন নতুন গান। গত আগস্টে প্রকাশ পেয়েছিল তাঁর সুর ও সংগীতায়োজনে কিশোর দাসের ‘কান্দে রে ভাই কান্দে’ শিরোনামের একটি গান।
৩ ঘণ্টা আগেলালন সাঁইয়ের ১৩৫তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে আজ থেকে কুষ্টিয়া, ঢাকাসহ সারা দেশে একযোগে শুরু হচ্ছে লালন উৎসব—ভক্ত, সাধক আর শিল্পীদের মিলনমেলা। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় আজ কুষ্টিয়াসহ দেশের ৬৪ জেলায় একযোগে লালন উৎসব ও লালন মেলা পালিত হবে।
৩ ঘণ্টা আগেপ্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাবে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
৩ ঘণ্টা আগেসাত বছর আগে ২০১৮ সালে চ্যানেল আইয়ে টিভি সিরিজ হিসেবে প্রচারিত হয়েছিল ‘সাত ভাই চম্পা’। টিভিতে প্রচারের পর গত বছর ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আইস্ক্রিনে ওয়েব ফিল্ম হিসেবে মুক্তি পেয়েছিল এই টিভি সিরিজ। টিভি ও ওটিটির পর এবার প্রেক্ষাগৃহে দেখা যাবে সাত ভাই চম্পা। আজ দেশের তিনটি প্রেক্ষাগৃহে সিনেমা...
৩ ঘণ্টা আগে