বিনোদন ডেস্ক
একসময় নিয়মিত দাপিয়ে বড় পর্দায় অভিনয় করতেন গুলশান আরা আক্তার চম্পা। উপহার দিয়েছেন অসংখ্য সুপারহিট ছবি। সম্প্রতি করোনাকালে কোনো শুটিং করছেন না তিনি। ঘর–সংসার আর পরিবার নিয়েই এখন ব্যস্ততা তাঁর।
আজকের পত্রিকা: সময় কাটছে কীভাবে?
চম্পা: আমরা তিন বোন বরাবরই ঘরমুখী। কাজ করার পর যতটুকু সময় পাই, বাসাতেই থাকি। আগে যখন দিনরাত শুটিং থাকত, তখনো সুযোগ পেলেই আমরা বাসায় চলে আসতাম। ঘর একটা প্রশান্তি এনে দেয় মনের মধ্যে। করোনার মধ্যে বাইরে যাওয়া একদমই বন্ধ। যাওয়ার মধ্যে দুই বোনের সঙ্গে এক-দুবার দেখা করেছি। বড় বোন সুচন্দা আপা অসুস্থ ছিলেন। তাঁর হার্টে অপারেশন হয়েছিল, সঙ্গে ছিলাম তখন। সময় ভালো হলে মেয়ের কাছে যাওয়া হয়। কাছাকাছিই থাকে। আমার বাসা তো গুলশানে। মেয়ে থাকে বারিধারাতে। ওখানে গিয়ে নাতনিদের সঙ্গে সময় কাটাই। এটুকুই আমার বাইরে যাওয়া। টিকা যখন নিয়েছিলাম, ভেবেছিলাম দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর নরমালজীবনে একটু একটু করে ফিরব। কয়েকটি অসমাপ্ত কাজ আছে কমপ্লিট করা দরকার। শুটিং-ডাবিং সবই বন্ধ রেখেছি। নতুন কাজ এসেছে, কিন্তু কোনোটাই আমি করার সাহস হয়নি। বাসাতেই থাকতে চাইছি নিভৃতে।
এই অবসর সময়ের তালিকায় কী আছে?
বই পড়ি। সেলাই করি। বাসাবাড়ির খেয়াল করি। বাগানে সময় দিই। ধর্ম-কর্ম করি। বিভিন্ন দেশের ছবি দেখি। ভালো অভিনয়, গল্প দেখে মনে হয়, আমাদের দেশের ছবি যদি এমন হতো। ফোনে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে কথা হয়।
নতুনদের কাজ দেখা হয়?
অনেকেই অনুরোধ করে দেখার জন্য। তখন দেখার চেষ্টা করি। আর যাদের সঙ্গে কাজ হয়েছে, ওদের কাজও দেখার চেষ্টা করি। আমার নতুন কাজগুলোর প্রায় সবই তো নতুন প্রজন্মের নির্মাতাদের তৈরি। সহশিল্পীরাও বেশির ভাগ নতুন প্রজন্মের।
অমিতাভ রেজার সঙ্গে ‘রিকশা গার্ল’ করলেন। এ প্রজন্মের পরিচালকদের কেমন দেখছেন?
অমিতাভ তো একজন সুপার ডিরেক্টর। বলার অপেক্ষা রাখে না ওনার বানানো বিজ্ঞাপন দেখেই আমি মুগ্ধ হতাম। ওনার টুকটাক ফিকশন দেখেছি। একটা থেকে আরেকটা আলাদা। ইচ্ছা ছিল ওনার সঙ্গে কাজ করার। অবশ্যই কাজ করে ভালো লেগেছে। তবে মন ভরেনি। আত্মতৃপ্তি পাইনি। মনে হয়েছে আমার কাজটা আরও বড় বা বেশি হলে আত্মতৃপ্তি পেতাম। অমিতাভের নির্দেশনায় আরও কাজ করার ইচ্ছা আছে। নতুনরা ভালো করছে। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার চেষ্টা করছে।
বড় বোন সুচন্দা আত্মজীবনী লিখছেন, আপনার কোনো প্ল্যান?
লেখালেখির ধৈর্য নেই আমার। কেউ যদি আমার জীবনী লিখতে চায় তবে সহযোগিতা করব। নিজে লিখতে পারব না। আর আমি ক্যামেরার সামনেই দেখতে চাই আমার জীবনী। এ রকম যদি কিছু হয় তাহলে খুশি হব। সুচন্দা আপা ভালো লিখতে পারেন। ওনার অভ্যাসও আছে।
পরিবার নিয়ে কিছু বলুন...
আমরা তিন ভাই তিন বোন। আমার বাবা-মা তো অনেক আগেই মারা গেছেন। আত্মীয়স্বজন সারা দেশেই ছড়িয়ে আছেন। তবে যশোরেই বেশি। আমার দুই চাচা বেঁচে ছিলেন। কিছুদিন আগে এক চাচা মারা গেছেন। ওনার বয়স হয়েছিল ১০৪ বছর। এখন শুনেছি ওনার নামে নাকি যশোর ক্যান্টনমেন্টের পেছনে একটা রাস্তার নামকরণ হয়েছে। এটা শুনে খুবই আনন্দ হলো। উনি একজন স্বনামধন্য রাজনীতিবিদও ছিলেন। আমার তিন ভাই বিদেশে। বড় ভাই থাকেন অস্ট্রেলিয়াতে। বাকি দুই ভাই থাকে আমেরিকাতে। তিন বোন দেশেই থাকি।
মেয়ের পরিবার নিয়ে কিছু বলুন…
আমার একমাত্র মেয়ে এশা। কানাডায় গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করে দেশে ফিরেছে। বিয়ে করে এখন সে পুরোদস্তুর গৃহিণী। এখন অনলাইনে ইংল্যান্ডের একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইকোলজিতে মাস্টার্স করছে। আমার দুই নাতি। আরজান ও আরিশ। ওরা যমজ। ওরাই আমার আত্মা, জীবন, স্বপ্ন–সবকিছু। আমার কোনো ছেলে নেই। তবে আল্লাহ আমাকে একটা ছেলে উপহার দিয়েছে। সে আমার মেয়ের জামাই। ওর নাম তানভীর আহমেদ। শেলটেকের একজন ডিরেক্টর। ব্যস্ত থাকে ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে। তারপরও আমাদের নিয়মিত খোঁজখবর নেয়।
একসময় নিয়মিত দাপিয়ে বড় পর্দায় অভিনয় করতেন গুলশান আরা আক্তার চম্পা। উপহার দিয়েছেন অসংখ্য সুপারহিট ছবি। সম্প্রতি করোনাকালে কোনো শুটিং করছেন না তিনি। ঘর–সংসার আর পরিবার নিয়েই এখন ব্যস্ততা তাঁর।
আজকের পত্রিকা: সময় কাটছে কীভাবে?
চম্পা: আমরা তিন বোন বরাবরই ঘরমুখী। কাজ করার পর যতটুকু সময় পাই, বাসাতেই থাকি। আগে যখন দিনরাত শুটিং থাকত, তখনো সুযোগ পেলেই আমরা বাসায় চলে আসতাম। ঘর একটা প্রশান্তি এনে দেয় মনের মধ্যে। করোনার মধ্যে বাইরে যাওয়া একদমই বন্ধ। যাওয়ার মধ্যে দুই বোনের সঙ্গে এক-দুবার দেখা করেছি। বড় বোন সুচন্দা আপা অসুস্থ ছিলেন। তাঁর হার্টে অপারেশন হয়েছিল, সঙ্গে ছিলাম তখন। সময় ভালো হলে মেয়ের কাছে যাওয়া হয়। কাছাকাছিই থাকে। আমার বাসা তো গুলশানে। মেয়ে থাকে বারিধারাতে। ওখানে গিয়ে নাতনিদের সঙ্গে সময় কাটাই। এটুকুই আমার বাইরে যাওয়া। টিকা যখন নিয়েছিলাম, ভেবেছিলাম দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর নরমালজীবনে একটু একটু করে ফিরব। কয়েকটি অসমাপ্ত কাজ আছে কমপ্লিট করা দরকার। শুটিং-ডাবিং সবই বন্ধ রেখেছি। নতুন কাজ এসেছে, কিন্তু কোনোটাই আমি করার সাহস হয়নি। বাসাতেই থাকতে চাইছি নিভৃতে।
এই অবসর সময়ের তালিকায় কী আছে?
বই পড়ি। সেলাই করি। বাসাবাড়ির খেয়াল করি। বাগানে সময় দিই। ধর্ম-কর্ম করি। বিভিন্ন দেশের ছবি দেখি। ভালো অভিনয়, গল্প দেখে মনে হয়, আমাদের দেশের ছবি যদি এমন হতো। ফোনে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে কথা হয়।
নতুনদের কাজ দেখা হয়?
অনেকেই অনুরোধ করে দেখার জন্য। তখন দেখার চেষ্টা করি। আর যাদের সঙ্গে কাজ হয়েছে, ওদের কাজও দেখার চেষ্টা করি। আমার নতুন কাজগুলোর প্রায় সবই তো নতুন প্রজন্মের নির্মাতাদের তৈরি। সহশিল্পীরাও বেশির ভাগ নতুন প্রজন্মের।
অমিতাভ রেজার সঙ্গে ‘রিকশা গার্ল’ করলেন। এ প্রজন্মের পরিচালকদের কেমন দেখছেন?
অমিতাভ তো একজন সুপার ডিরেক্টর। বলার অপেক্ষা রাখে না ওনার বানানো বিজ্ঞাপন দেখেই আমি মুগ্ধ হতাম। ওনার টুকটাক ফিকশন দেখেছি। একটা থেকে আরেকটা আলাদা। ইচ্ছা ছিল ওনার সঙ্গে কাজ করার। অবশ্যই কাজ করে ভালো লেগেছে। তবে মন ভরেনি। আত্মতৃপ্তি পাইনি। মনে হয়েছে আমার কাজটা আরও বড় বা বেশি হলে আত্মতৃপ্তি পেতাম। অমিতাভের নির্দেশনায় আরও কাজ করার ইচ্ছা আছে। নতুনরা ভালো করছে। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার চেষ্টা করছে।
বড় বোন সুচন্দা আত্মজীবনী লিখছেন, আপনার কোনো প্ল্যান?
লেখালেখির ধৈর্য নেই আমার। কেউ যদি আমার জীবনী লিখতে চায় তবে সহযোগিতা করব। নিজে লিখতে পারব না। আর আমি ক্যামেরার সামনেই দেখতে চাই আমার জীবনী। এ রকম যদি কিছু হয় তাহলে খুশি হব। সুচন্দা আপা ভালো লিখতে পারেন। ওনার অভ্যাসও আছে।
পরিবার নিয়ে কিছু বলুন...
আমরা তিন ভাই তিন বোন। আমার বাবা-মা তো অনেক আগেই মারা গেছেন। আত্মীয়স্বজন সারা দেশেই ছড়িয়ে আছেন। তবে যশোরেই বেশি। আমার দুই চাচা বেঁচে ছিলেন। কিছুদিন আগে এক চাচা মারা গেছেন। ওনার বয়স হয়েছিল ১০৪ বছর। এখন শুনেছি ওনার নামে নাকি যশোর ক্যান্টনমেন্টের পেছনে একটা রাস্তার নামকরণ হয়েছে। এটা শুনে খুবই আনন্দ হলো। উনি একজন স্বনামধন্য রাজনীতিবিদও ছিলেন। আমার তিন ভাই বিদেশে। বড় ভাই থাকেন অস্ট্রেলিয়াতে। বাকি দুই ভাই থাকে আমেরিকাতে। তিন বোন দেশেই থাকি।
মেয়ের পরিবার নিয়ে কিছু বলুন…
আমার একমাত্র মেয়ে এশা। কানাডায় গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করে দেশে ফিরেছে। বিয়ে করে এখন সে পুরোদস্তুর গৃহিণী। এখন অনলাইনে ইংল্যান্ডের একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইকোলজিতে মাস্টার্স করছে। আমার দুই নাতি। আরজান ও আরিশ। ওরা যমজ। ওরাই আমার আত্মা, জীবন, স্বপ্ন–সবকিছু। আমার কোনো ছেলে নেই। তবে আল্লাহ আমাকে একটা ছেলে উপহার দিয়েছে। সে আমার মেয়ের জামাই। ওর নাম তানভীর আহমেদ। শেলটেকের একজন ডিরেক্টর। ব্যস্ত থাকে ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে। তারপরও আমাদের নিয়মিত খোঁজখবর নেয়।
গত শুক্রবার রাতে গুলশানের একটি পাঁচতারকা হোটেলে গান গাওয়ার সময় মঞ্চেই অসুস্থ হয়ে পড়েন সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমীন। এখন তিনি চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে আছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর মেয়ে বাঁধন।
২৬ মিনিট আগেসিনেমা অনবদ্য অভিনয়, নির্মাণ, প্রযোজনার পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবন ও সম্পর্কে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে অন্যরকম জনপ্রিয়তা রয়েছে মিস্টার পারফেকশনিস্ট খ্যাত বলিউড তারকা আমীর খান। প্রাক্তন দুই স্ত্রীর সঙ্গে এখনো বন্ধুত্বপূর্ণ ও শ্রদ্ধাশীল সম্পর্ক রয়েছে তাঁর। সম্প্রতি তাঁর মায়ের জন্মদিনে অন্য স্বজন...
৪ ঘণ্টা আগেআজ শুরু হচ্ছে অমর একুশে বইমেলা। নতুন বইয়ের গন্ধে বইপ্রেমীরা মেতে উঠবে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। প্রতিবছরই মেলায় খ্যাতিমান লেখকদের বই যেমন প্রকাশিত হয়, তেমনি তরুণ লেখকদের বইও আসে। পাশাপাশি শোবিজ তারকারাও উপহার দেন তাঁদের লেখা বই। সেই ধারাবাহিকতায় এ বছরও আসছে বেশ কজন তারকার নতুন..
৪ ঘণ্টা আগেঅভিনেতা হিসেবে তিনি যে দুর্দান্ত, তা বলা বাহুল্য। বলিউডে দুই যুগের বেশি সময় ধরে রাজত্ব করছেন তিনি। সেই বোমান ইরানি এবার দাঁড়ালেন ক্যামেরার পেছনে। প্রথমবারের মতো হাজির হলেন পরিচালক হিসেবে। বানিয়েছেন ‘দ্য মেহতা বয়েজ’। ৭ ফেব্রুয়ারি আমাজন প্রাইম ভিডিওতে মুক্তি পাবে সিনেমাটি। সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে...
৫ ঘণ্টা আগে