Ajker Patrika

‘কারার ঐ লৌহকপাট’ গান বিকৃতি: প্রযোজকের বিবৃতিতে সন্তুষ্ট নয় কাজী পরিবার

বিনোদন ডেস্ক
আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০২৩, ১৮: ৫২
Thumbnail image

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা গান ‘কারার ওই লৌহকপাট’ সুর বিকৃত করে গাওয়ায় সমালোচনার মুখে ক্ষমা চেয়েছেন পিপ্পার প্রযোজক সিদ্ধার্থ রায় কাপুর। তাঁর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘রায় কাপুর ফিল্মস’–এর ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও এক্স (টুইটার) পেজে আজ সন্ধ্যা ৭টার দিকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। একই বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে সিনেমাটির সহপ্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আরএসভিপির সোশ্যাল মিডিয়া পেজে। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট নয় কাজী পরিবার।

‘পিপ্পা’ সিনেমার নির্মাতাদের চিঠিটি শেয়ার করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন কাজী নজরুল ইসলামের নাতনি অনিন্দিতা কাজী । তিনি লিখেছেন, ‘এ ধরনের ক্ষমা প্রার্থনা ও চিঠি গ্রহণযোগ্য নয়। মিডিয়ার এক বন্ধুর মাধ্যমে এটি পেয়েছি। কিন্তু এর সত্যতা কী? এ চিঠিতে ‘‘লেটার হেড’’ নেই, কারও কোনো স্বাক্ষর নেই। আমি মনে করি, এই চিঠি বিশ্বাস করার আগে সেই প্রশ্নের উত্তর জানা প্রয়োজন। আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য আমি এটি শেয়ার করছি। তাদের কি ‘‘লেটার হেড’’ নেই? এটি আশ্চর্যজনক বিষয়! এই চিঠি মূল্যহীন।’

চিঠিটি প্রত্যাখ্যান করার কথা উল্লেখ করে অনিন্দিতা কাজী লিখেছেন, ‘যে চিঠি সাদা একটি কাগজে লেখা, সত্যতা ছাড়া সেই চিঠি আমরা গ্রহণ করব না। এটি কোনোভাবেই অফিশিয়াল চিঠি বা বিবৃতি হতে পারে না। টিমের সদস্যদের স্বাক্ষরসমেত আমরা অথেনটিক চিঠি এবং মূল চুক্তিপত্র চাই।’

গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা বিবৃতিতে ‘পিপ্পা’ সিনেমার নির্মাতারা বলেছেন, ‘কারার ঐ লৌহকপাট’ গানটি ঘিরে সৃষ্ট বর্তমান পরিস্থিতির আলোকে পিপ্পা সিনেমার প্রযোজক, পরিচালক ও সংগীত পরিচালকের পক্ষ থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট করতে চাই যে আমাদের বর্তমান সংস্করণটি এ গানের একটি শৈল্পিক ইন্টারপ্রিটেশন, যা কাজী নজরুল ইসলামের পরিবারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়েই করা হয়েছে।’

বিবৃতিতে একই সঙ্গে নির্মাতারা জানিয়েছেন, ‘কাজী নজরুল ইসলাম ও তাঁর মূল কম্পোজিশনের প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা আছে। ভারতীয় উপমহাদেশের সমাজ, সংগীত ও রাজনীতিতে তাঁর অবদান অপরিসীম।’

‘কারার ঐ লৌহকপাট’ গানটি নতুনভাবে তৈরির জন্য কাজী নজরুল ইসলামের পুত্রবধূ প্রয়াত কল্যাণী কাজী ও কবির নাতি কাজী অরিন্দমের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া হয়েছিল বলে জানানো হয়েছে ওই বিবৃতিতে। এ বিষয়ে বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘গানটি ব্যবহারের জন্য কল্যাণী কাজীর সঙ্গে একটি চুক্তি সই হয়েছিল, যার সাক্ষী ছিলেন কাজী অনির্বাণ। গানটির ঐতিহাসিক তাৎপর্যকে শ্রদ্ধা জানানোই আমাদের উদ্দেশ্য ছিল। গানের কথা ব্যবহার ও সুরের পরিবর্তন চুক্তি অনুযায়ী হয়েছে।’

উল্লেখ্য, নজরুল পরিবারের সদস্যরাও গানটির সুর বদলে দেওয়ার বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এমনকি মামলা করার কথাও বলেছেন তাঁরা। কাজী অনির্বাণ গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, গানের কথা ব্যবহার করা হলেও সুর বদলানো যাবে না, এই শর্তেই তাঁরা নির্মাতাদের স্বত্ব দিয়েছিলেন।

বিবৃতিতে সবশেষে ক্ষমা চেয়ে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘এ গানের মূল কম্পোজিশন নিয়ে শ্রোতাদের আবেগ আমরা বুঝতে পারছি। যেহেতু প্রতিটি শিল্পই মূলগতভাবে বিষয়কেন্দ্রিক, আমাদের সংস্করণটি যদি কারও ভাবাবেগে আঘাত দিয়ে থাকে, তাহলে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত