বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ও বন্যার মধ্যেও বছরজুড়ে সরব ছিল দেশের সংগীতাঙ্গন। বিশেষ করে বছরটা ছিল কনসার্ট আর বিপ্লবী গানের। শুরু আর শেষটা কনসার্টের দখলে থাকলেও মধ্যভাগে আলোচনার কেন্দ্রে ছিল বিপ্লবী গান।
বছরের শুরু থেকেই মঞ্চে ব্যস্ত ছিলেন শিল্পীরা। কনসার্টে দর্শকের বিশৃঙ্খলাও ছিল চোখে পড়ার মতো। নিরাপত্তাবেষ্টনী ভেঙে কনসার্টের ভেন্যুতে আমজনতার প্রবেশ; আয়োজক, স্বেচ্ছাসেবকসহ নিরাপত্তায় নিয়োজিত কর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। দেশের বাইরেও পারফর্ম করতে গেছেন একাধিক শিল্পী ও ব্যান্ড। বিদেশি শিল্পীরাও গাইতে এসেছেন বাংলাদেশে। তবে জুলাই আন্দোলন শুরু হলে থমকে যায় কনসার্ট ব্যস্ততা। সেই আন্দোলনের অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠেছিল বিপ্লবী গান। বিশেষ করে সেজানের ‘কথা ক’ থেকে হান্নানের ‘আওয়াজ উডা’ মানুষের মুখে মুখে ফিরেছে। আওয়াজ উডা গানের জন্য জেলেও যেতে হয় হান্নানকে। আন্দোলনের সময় প্রকাশ পেয়েছে ৪০টির বেশি র্যাপ গান। এর মধ্যে রয়েছে ‘দেশ সংস্কার’, ‘স্বাধীনতার গন্ধ’, ‘ছাত্র’, ‘স্লোগান’, ‘অধিকার’ ইত্যাদি। এ ছাড়া পারশা মাহজাবীনের ‘চলো ভুলে যাই’, কাকতাল ব্যান্ডের ‘রক্ত গরম মাথা ঠান্ডা’, ফারজানা ওয়াহিদ সায়ানের ‘ভয় বাংলায়’, অনি হাসানের ‘আমরা বীর’ এবং শহরতলী ব্যান্ডের ভোকালিস্ট সোহাগের ‘ও প্রধান’ ছিল আলোচনার কেন্দ্রে।
আন্দোলন শেষ হতেই আবার শুরু হয় কনসার্টের জোয়ার। দেশের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলে কনসার্টের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছে ফান্ড। বেশির ভাগ কনসার্টেই বিনা পারিশ্রমিকে পারফর্ম করেছেন শিল্পীরা। জুলাই আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের সহায়তায় আয়োজন করা হয় কনসার্ট। বিজয় দিবস উপলক্ষে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ কনসার্টে মূল আকর্ষণ ছিলেন নগর বাউল জেমস। গান গেয়েছেন খুরশীদ আলম, মনির খান, বেবী নাজনীন, কনা, হাসান, অ্যাভোয়েড রাফা, প্রীতম হাসান, জেফারসহ অনেকেই। বিপিএল উপলক্ষে আয়োজন করা হয় তিন দিনব্যাপী সংগীত উৎসব। ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রামে ভিন্ন কনসার্টে সুরের তালে গানের দোলায় বিপিএলের উদ্বোধনী আয়োজন উপভোগ করেন দর্শকেরা।
সেপ্টেম্বরে ঢাকায় পারফর্ম করে পাকিস্তানের জাল ব্যান্ড। এই কনসার্ট দিয়ে বিরতির পর স্টেজে ফেরে দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড অর্থহীন। এ বছর দুইবার ঢাকায় গাইতে আসেন পকিস্তানের আতিফ আসলাম। এপ্রিলে ও নভেম্বরে ঢাকার শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন তিনি। বছরের শেষ দিকে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে ‘ইকোস অব রেভল্যুশন’ চ্যারিটি কনসার্টে বিনা পারিশ্রমিকে পারফর্ম করেন পাকিস্তানের রাহাত ফতেহ আলী খান। বিপিএলের মিউজিক ফেস্টেও ঢাকা পর্বের প্রধান আকর্ষণ ছিলেন এ শিল্পী।
একক শিল্পীদের যে সব গান নিয়ে আলোচনা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে সায়ানের ‘এটা কল্পনা চাকমার গান’, তুহিন কান্তি দাসের ‘সন্ধ্যা নামিল শ্যাম’, কোক স্টুডিও বাংলার ‘মালো মা’, তাহসান ও তাসনিয়া ফারিণের ‘রঙে রঙে রঙিন হব’, তাসনোভা তাবাসসুম অতসীর ‘অল্প একটু জীবনের গান’, সৈয়দ অমি ও সানজিদা রিমির ‘দুই চাক্কার সাইকেল’, ইমরান-পড়শীর ‘কথা একটাই’ ইত্যাদি।
এ বছরও আলোচনায় ছিল একাধিক সিনেমার গান। তুফান সিনেমার ‘লাগে উরাধুরা’ ও ‘দুষ্টু কোকিল’ ছিল সবচেয়ে এগিয়ে। দুটি গানই ইউটিউবে ভিউয়ের নতুন রেকর্ড গড়েছে। এ ছাড়া দেয়ালের দেশ সিনেমার ‘বেঁচে যাওয়া ভালোবাসা’, কাজলরেখার ‘ঘুমাইলা ঘুমাইলারে বন্ধু’, রাজকুমার সিনেমার ‘রাজকুমার’ ছিল দর্শক-শ্রোতাদের পছন্দের তালিকায়।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ও বন্যার মধ্যেও বছরজুড়ে সরব ছিল দেশের সংগীতাঙ্গন। বিশেষ করে বছরটা ছিল কনসার্ট আর বিপ্লবী গানের। শুরু আর শেষটা কনসার্টের দখলে থাকলেও মধ্যভাগে আলোচনার কেন্দ্রে ছিল বিপ্লবী গান।
বছরের শুরু থেকেই মঞ্চে ব্যস্ত ছিলেন শিল্পীরা। কনসার্টে দর্শকের বিশৃঙ্খলাও ছিল চোখে পড়ার মতো। নিরাপত্তাবেষ্টনী ভেঙে কনসার্টের ভেন্যুতে আমজনতার প্রবেশ; আয়োজক, স্বেচ্ছাসেবকসহ নিরাপত্তায় নিয়োজিত কর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। দেশের বাইরেও পারফর্ম করতে গেছেন একাধিক শিল্পী ও ব্যান্ড। বিদেশি শিল্পীরাও গাইতে এসেছেন বাংলাদেশে। তবে জুলাই আন্দোলন শুরু হলে থমকে যায় কনসার্ট ব্যস্ততা। সেই আন্দোলনের অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠেছিল বিপ্লবী গান। বিশেষ করে সেজানের ‘কথা ক’ থেকে হান্নানের ‘আওয়াজ উডা’ মানুষের মুখে মুখে ফিরেছে। আওয়াজ উডা গানের জন্য জেলেও যেতে হয় হান্নানকে। আন্দোলনের সময় প্রকাশ পেয়েছে ৪০টির বেশি র্যাপ গান। এর মধ্যে রয়েছে ‘দেশ সংস্কার’, ‘স্বাধীনতার গন্ধ’, ‘ছাত্র’, ‘স্লোগান’, ‘অধিকার’ ইত্যাদি। এ ছাড়া পারশা মাহজাবীনের ‘চলো ভুলে যাই’, কাকতাল ব্যান্ডের ‘রক্ত গরম মাথা ঠান্ডা’, ফারজানা ওয়াহিদ সায়ানের ‘ভয় বাংলায়’, অনি হাসানের ‘আমরা বীর’ এবং শহরতলী ব্যান্ডের ভোকালিস্ট সোহাগের ‘ও প্রধান’ ছিল আলোচনার কেন্দ্রে।
আন্দোলন শেষ হতেই আবার শুরু হয় কনসার্টের জোয়ার। দেশের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলে কনসার্টের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছে ফান্ড। বেশির ভাগ কনসার্টেই বিনা পারিশ্রমিকে পারফর্ম করেছেন শিল্পীরা। জুলাই আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের সহায়তায় আয়োজন করা হয় কনসার্ট। বিজয় দিবস উপলক্ষে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ কনসার্টে মূল আকর্ষণ ছিলেন নগর বাউল জেমস। গান গেয়েছেন খুরশীদ আলম, মনির খান, বেবী নাজনীন, কনা, হাসান, অ্যাভোয়েড রাফা, প্রীতম হাসান, জেফারসহ অনেকেই। বিপিএল উপলক্ষে আয়োজন করা হয় তিন দিনব্যাপী সংগীত উৎসব। ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রামে ভিন্ন কনসার্টে সুরের তালে গানের দোলায় বিপিএলের উদ্বোধনী আয়োজন উপভোগ করেন দর্শকেরা।
সেপ্টেম্বরে ঢাকায় পারফর্ম করে পাকিস্তানের জাল ব্যান্ড। এই কনসার্ট দিয়ে বিরতির পর স্টেজে ফেরে দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড অর্থহীন। এ বছর দুইবার ঢাকায় গাইতে আসেন পকিস্তানের আতিফ আসলাম। এপ্রিলে ও নভেম্বরে ঢাকার শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন তিনি। বছরের শেষ দিকে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে ‘ইকোস অব রেভল্যুশন’ চ্যারিটি কনসার্টে বিনা পারিশ্রমিকে পারফর্ম করেন পাকিস্তানের রাহাত ফতেহ আলী খান। বিপিএলের মিউজিক ফেস্টেও ঢাকা পর্বের প্রধান আকর্ষণ ছিলেন এ শিল্পী।
একক শিল্পীদের যে সব গান নিয়ে আলোচনা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে সায়ানের ‘এটা কল্পনা চাকমার গান’, তুহিন কান্তি দাসের ‘সন্ধ্যা নামিল শ্যাম’, কোক স্টুডিও বাংলার ‘মালো মা’, তাহসান ও তাসনিয়া ফারিণের ‘রঙে রঙে রঙিন হব’, তাসনোভা তাবাসসুম অতসীর ‘অল্প একটু জীবনের গান’, সৈয়দ অমি ও সানজিদা রিমির ‘দুই চাক্কার সাইকেল’, ইমরান-পড়শীর ‘কথা একটাই’ ইত্যাদি।
এ বছরও আলোচনায় ছিল একাধিক সিনেমার গান। তুফান সিনেমার ‘লাগে উরাধুরা’ ও ‘দুষ্টু কোকিল’ ছিল সবচেয়ে এগিয়ে। দুটি গানই ইউটিউবে ভিউয়ের নতুন রেকর্ড গড়েছে। এ ছাড়া দেয়ালের দেশ সিনেমার ‘বেঁচে যাওয়া ভালোবাসা’, কাজলরেখার ‘ঘুমাইলা ঘুমাইলারে বন্ধু’, রাজকুমার সিনেমার ‘রাজকুমার’ ছিল দর্শক-শ্রোতাদের পছন্দের তালিকায়।
উত্তরা সেক্টর-৪ এলাকায় নাটক ও চলচ্চিত্রের শুটিং কার্যক্রমে জারি করা নিষেধাজ্ঞা শিগগির শর্ত সাপেক্ষে প্রত্যাহার করা হতে পারে। উত্তরা কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
৪ ঘণ্টা আগেএকজন গর্ভবতী নারীর দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে বেঁচে থাকার সংগ্রাম, সাতটি দেশের অভিবাসন-পথ পেরিয়ে বেঁচে থাকার গল্প- এটি কোনো কাল্পনিক থ্রিলার নয়, বরং বাস্তবতার ওপর নির্মিত এক সিনেম্যাটিক দলিল। বাংলাদেশি নির্মাতা আজিজুল হাসান সূর্য পরিচালিত আসন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র ‘ফিল্ডস অব ফ্রিডম’ এমন এক গল্প নিয়ে এগিয়ে
৪ ঘণ্টা আগেঅভিনয়শিল্পীদের নাম দেখে অনেকে হয়তো পরিবার নিয়ে সিরিজটি দেখার কথা ভাববেন। তবে তেমনটা না ভাবাই উত্তম। কারণ, পরিবার নিয়ে দেখতে বসলে আপনাকে পড়তে হবে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে। আইস্ক্রিনে মুক্তি পাওয়া ‘পাপ কাহিনী’ ওয়েব সিরিজটি যেন আবার ফিরিয়ে নিয়ে গেল অশ্লীলতার অন্ধকার সময়ে।
৫ ঘণ্টা আগেএ নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র শুভঙ্কর। সে এই ভোগবাদী সমাজের স্বপ্ন ও বাস্তবতার বিস্তর ফারাক নিয়ে বড় হয়ে ওঠা এক নতজানু নাগরিক। তবে সময়ের প্রয়োজন ঠিকই সে নামে রাজপথে।
৬ ঘণ্টা আগে