বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্যের শুটিংয়ের ক্ষেত্রে শিল্পীদের নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অথচ অনেক নির্মাতা বিষয়টি মাথায় রাখেন না। ফলে শুটিং করতে গিয়ে নানা অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় শিল্পীদের। আবার বিপরীত দিকও আছে। শিল্পীর স্বাচ্ছন্দ্যের কথা অনেক নির্মাতাই ভাবেন সবার আগে। অভিনেতা এজাজুল ইসলাম জানালেন এমন তিনটি ঘটনার কথা।
আপনার মাথায় বাড়ি দেওয়া হবে
একবার একটি নাটকের শুটিংয়ে গেছেন এজাজুল ইসলাম। পরিচালক তাঁকে বললেন, ‘আপনার মাথায় একটা বাড়ি দেওয়া হবে।’ শুনে তো আকাশ থেকে পড়েন এজাজ! ‘আরেহ! আমার মাথায় বাড়ি দেবে মানে!’ আশ্বস্ত করলেন পরিচালক, ‘আস্তে করে দেবে।’ গল্পের প্রয়োজনে দৃশ্যটি দরকার হলেও বেঁকে বসলেন এজাজ, ‘ইমপসিবল। মাথায় কেউ এভাবে বাড়ি দিতে পারে না। বাড়িটা একটু এদিক-ওদিক হওয়া মানেই ইন্টারনাল হ্যামারেজ এবং আমার মৃত্যু। এটা তো আমি করবই না।’ পরিচালক বড় বেকায়দায়। কী করবেন ভেবে পাচ্ছেন না। আরও কিছুক্ষণ নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা হলো। এজাজ সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘আমি কখনোই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অভিনয় করব না।’ পরিস্থিতি বুঝে পরিচালক সিদ্ধান্ত নিলেন, মাথায় বাড়ি না দিয়ে দৃশ্যটি অন্যভাবে করা হবে। বদলে ফেলা হয় দৃশ্যটি।
ফ্যান ধরে ঝুলে থাকতে হবে
দ্বিতীয় ঘটনা একটি বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ের। সেটে যাওয়ার পর পরিচালক জানালেন, একটি দৃশ্যে এজাজকে সিলিং ফ্যান ধরে ঝুলে থাকতে হবে। এজাজ বলেন, ‘শুটিংয়ের সব আয়োজন কমপ্লিট। বিজ্ঞাপনের বিশাল আয়োজন। এবারও অস্বীকৃতি জানালাম, বললাম, অসম্ভব। ফ্যান ধরে আমি ঝুলব কী করে? আপনি কি ফ্যানটা চেক করে দেখেছেন আগে? মিনিমাম ২০-৩০ বছর আগের ফ্যান। যদি ফ্যানটা ছিঁড়ে পড়ে! কী হবে তখন? আমি ঝুলব না।’ উপায়ান্তর না দেখে ডামি আনার ব্যবস্থা করলেন পরিচালক। অর্থাৎ অন্য কেউ এজাজের হয়ে শুটিং করবেন, পর্দায় সেটা এজাজ করেছেন বলেই মনে হবে। অ্যাকশন কিংবা বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্যে অভিনয়শিল্পীর বদলে কাজ করেন যাঁরা, তাঁদের ডামি বা স্ট্যান্টম্যান বলা হয়। এজাজ বলেন, ‘এফডিসি থেকে ডামি এনে তাকে দিয়ে শটটা নেওয়া হলো। আমি তো বয়স্ক মানুষ। সে একজন তাগড়া জোয়ান। আমি দেখলাম, শুটিংয়ের সময় সে ছেলেরও দম যায় যায় অবস্থা।’
মাটি নয়, খেয়েছিলেন কাঁচকলা ভর্তা
হুমায়ূন আহমেদের একটি নাটকের শুটিংয়ের ঘটনা। শিল্পীদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে পরিচালকের কতটা সচেতন হওয়া উচিত, সেই কথাই স্মরণ করিয়ে দেয় এ ঘটনা। হুমায়ূন আহমেদের ‘তারা তিনজন’ নাটকে মাটিবাবার মাটি খাওয়ার সেই দৃশ্য মনে আছে নিশ্চয়ই। অনেকেই দ্বিধায় ভোগেন, শুটিংয়ে কি সত্যিই মাটি খেয়েছিলেন এজাজ? তাঁর মুখেই শোনা যাক শুটিংয়ের পেছনের গল্প।
এজাজুল ইসলাম বলেন, ‘স্ক্রিপ্টে তো এক চামচ মাটি খাওয়ার গল্প আছে। হুমায়ূন আহমেদ বললেন, ডাক্তার, তুমি কী করবা এখন? মাটি তো এক চামচ খাইতে হবে। আমি বললাম, স্যার খাব। আমার কথা শুনে তিনি রেগে গেলেন। ফাইজলামি করো? মাটি খাবা মানে? এই মাটি কি ব্যাকটেরিয়া ফ্রি? এটা কি তোমার জন্য সেফ?’
শুটিং বন্ধ করে দিলেন হুমায়ূন আহমেদ। নির্দেশ দিলেন, মাটির মতো দেখতে এমন কিছু খুঁজতে, যেটা নিরাপদ এবং অভিনেতা খেতে পারবেন। হঠাৎ মোক্ষম এক আইডিয়া এল এজাজুল ইসলামের মাথায়। তিনি বলেন, ‘স্যারকে বললাম, এক কাজ করি তাহলে। কাঁচকলা সেদ্ধ করে একটু হলুদ দিয়ে ভর্তা করি। জয়দেবপুরের মাটি তো লাল। তাহলে ওটার রং একই রকম হবে। তিনি বললেন, তাহলে তা-ই করো। কাঁচকলা সেদ্ধ হলো। হলুদ দিয়ে মাখা হলো। মাটির মতো রং হলো। সেই কাঁচকলা আমি এক চামচ খেলাম।’
ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্যের শুটিংয়ের ক্ষেত্রে শিল্পীদের নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অথচ অনেক নির্মাতা বিষয়টি মাথায় রাখেন না। ফলে শুটিং করতে গিয়ে নানা অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় শিল্পীদের। আবার বিপরীত দিকও আছে। শিল্পীর স্বাচ্ছন্দ্যের কথা অনেক নির্মাতাই ভাবেন সবার আগে। অভিনেতা এজাজুল ইসলাম জানালেন এমন তিনটি ঘটনার কথা।
আপনার মাথায় বাড়ি দেওয়া হবে
একবার একটি নাটকের শুটিংয়ে গেছেন এজাজুল ইসলাম। পরিচালক তাঁকে বললেন, ‘আপনার মাথায় একটা বাড়ি দেওয়া হবে।’ শুনে তো আকাশ থেকে পড়েন এজাজ! ‘আরেহ! আমার মাথায় বাড়ি দেবে মানে!’ আশ্বস্ত করলেন পরিচালক, ‘আস্তে করে দেবে।’ গল্পের প্রয়োজনে দৃশ্যটি দরকার হলেও বেঁকে বসলেন এজাজ, ‘ইমপসিবল। মাথায় কেউ এভাবে বাড়ি দিতে পারে না। বাড়িটা একটু এদিক-ওদিক হওয়া মানেই ইন্টারনাল হ্যামারেজ এবং আমার মৃত্যু। এটা তো আমি করবই না।’ পরিচালক বড় বেকায়দায়। কী করবেন ভেবে পাচ্ছেন না। আরও কিছুক্ষণ নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা হলো। এজাজ সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘আমি কখনোই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অভিনয় করব না।’ পরিস্থিতি বুঝে পরিচালক সিদ্ধান্ত নিলেন, মাথায় বাড়ি না দিয়ে দৃশ্যটি অন্যভাবে করা হবে। বদলে ফেলা হয় দৃশ্যটি।
ফ্যান ধরে ঝুলে থাকতে হবে
দ্বিতীয় ঘটনা একটি বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ের। সেটে যাওয়ার পর পরিচালক জানালেন, একটি দৃশ্যে এজাজকে সিলিং ফ্যান ধরে ঝুলে থাকতে হবে। এজাজ বলেন, ‘শুটিংয়ের সব আয়োজন কমপ্লিট। বিজ্ঞাপনের বিশাল আয়োজন। এবারও অস্বীকৃতি জানালাম, বললাম, অসম্ভব। ফ্যান ধরে আমি ঝুলব কী করে? আপনি কি ফ্যানটা চেক করে দেখেছেন আগে? মিনিমাম ২০-৩০ বছর আগের ফ্যান। যদি ফ্যানটা ছিঁড়ে পড়ে! কী হবে তখন? আমি ঝুলব না।’ উপায়ান্তর না দেখে ডামি আনার ব্যবস্থা করলেন পরিচালক। অর্থাৎ অন্য কেউ এজাজের হয়ে শুটিং করবেন, পর্দায় সেটা এজাজ করেছেন বলেই মনে হবে। অ্যাকশন কিংবা বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্যে অভিনয়শিল্পীর বদলে কাজ করেন যাঁরা, তাঁদের ডামি বা স্ট্যান্টম্যান বলা হয়। এজাজ বলেন, ‘এফডিসি থেকে ডামি এনে তাকে দিয়ে শটটা নেওয়া হলো। আমি তো বয়স্ক মানুষ। সে একজন তাগড়া জোয়ান। আমি দেখলাম, শুটিংয়ের সময় সে ছেলেরও দম যায় যায় অবস্থা।’
মাটি নয়, খেয়েছিলেন কাঁচকলা ভর্তা
হুমায়ূন আহমেদের একটি নাটকের শুটিংয়ের ঘটনা। শিল্পীদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে পরিচালকের কতটা সচেতন হওয়া উচিত, সেই কথাই স্মরণ করিয়ে দেয় এ ঘটনা। হুমায়ূন আহমেদের ‘তারা তিনজন’ নাটকে মাটিবাবার মাটি খাওয়ার সেই দৃশ্য মনে আছে নিশ্চয়ই। অনেকেই দ্বিধায় ভোগেন, শুটিংয়ে কি সত্যিই মাটি খেয়েছিলেন এজাজ? তাঁর মুখেই শোনা যাক শুটিংয়ের পেছনের গল্প।
এজাজুল ইসলাম বলেন, ‘স্ক্রিপ্টে তো এক চামচ মাটি খাওয়ার গল্প আছে। হুমায়ূন আহমেদ বললেন, ডাক্তার, তুমি কী করবা এখন? মাটি তো এক চামচ খাইতে হবে। আমি বললাম, স্যার খাব। আমার কথা শুনে তিনি রেগে গেলেন। ফাইজলামি করো? মাটি খাবা মানে? এই মাটি কি ব্যাকটেরিয়া ফ্রি? এটা কি তোমার জন্য সেফ?’
শুটিং বন্ধ করে দিলেন হুমায়ূন আহমেদ। নির্দেশ দিলেন, মাটির মতো দেখতে এমন কিছু খুঁজতে, যেটা নিরাপদ এবং অভিনেতা খেতে পারবেন। হঠাৎ মোক্ষম এক আইডিয়া এল এজাজুল ইসলামের মাথায়। তিনি বলেন, ‘স্যারকে বললাম, এক কাজ করি তাহলে। কাঁচকলা সেদ্ধ করে একটু হলুদ দিয়ে ভর্তা করি। জয়দেবপুরের মাটি তো লাল। তাহলে ওটার রং একই রকম হবে। তিনি বললেন, তাহলে তা-ই করো। কাঁচকলা সেদ্ধ হলো। হলুদ দিয়ে মাখা হলো। মাটির মতো রং হলো। সেই কাঁচকলা আমি এক চামচ খেলাম।’
বিজ্ঞাপন, মিউজিক ভিডিও ও নাচের মঞ্চে মামনুন ইমন ও প্রার্থনা ফারদিন দীঘি জুটি হয়েছিলেন আগে। এবার এই জুটিকে প্রথমবারের মতো দেখা যাবে বড় পর্দায়। সরকারি অনুদানের ‘দেনাপাওনা’ সিনেমায় অভিনয় করবেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগেঅত ভালো ছাত্র ছিলেন না সুরিয়া। টেনেটুনে পাস করতেন। ফেল ছিল তাঁর নিত্যসঙ্গী। সেই গড়পড়তা ছাত্র এখন হাজারো শিক্ষার্থীর ভরসা। ২০০৬ সালে তামিল এই অভিনেতা গড়ে তোলেন আগারাম ফাউন্ডেশন নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি থেকে তামিলনাড়ুর প্রত্যন্ত অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করেন তি
২ ঘণ্টা আগেএকসময় টিভি নাটকে ছিল পারিবারিক গল্পের রাজত্ব। মাঝে প্রেম আর কমেডি গল্পের ভিড়ে হারিয়ে যেতে বসেছিল এই ধরনের নাটক। সংখ্যায় কম হলেও সম্প্রতি আবার ফিরছে পারিবারিক গল্পের নাটক। গত বছরের শেষ দিকে কে এম সোহাগ রানা শুরু করেন ‘দেনা পাওনা’ নামের ধারাবাহিকের কাজ। শুরুতে ইউটিউবে ৮ পর্বের মিনি সিরিজ হিসেবে পরিকল্
২ ঘণ্টা আগেকালজয়ী রূপকথা ‘স্নো হোয়াইট’কে নতুনভাবে পর্দায় নিয়ে এসেছে ডিজনি। প্রায় ২৭০ মিলিয়ন ডলার বাজেটে তৈরি হয়েছে স্নো হোয়াইট। ডিজনির অন্যতম ব্যয়বহুল এই মিউজিক্যাল ফ্যান্টাসি মুক্তির আগে থেকেই নানা বিতর্কে জড়িয়েছিল। গত ২১ মার্চে মুক্তির পর বিতর্ক বেড়েছে আরও।
২ ঘণ্টা আগে