চলমান ছাত্র আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে ‘দৃশ্যমাধ্যম শিল্পীসমাজ’-এর ব্যানারে রাজপথে নামেন চলচ্চিত্র, আলোকচিত্র, থিয়েটারসহ শোবিজের নানা অঙ্গনের কর্মীরা। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী বেলা ১১টায় জাতীয় সংসদ ভবনের সামনের রাস্তায় মানববন্ধন করার কথা থাকলেও ভিন্ন একটি দলের কর্মসূচি চলমান থাকায় সেখানে দাঁড়ানো সম্ভব হয়নি শিল্পীদের। কর্মসূচির অন্যতম আহ্বায়ক নির্মাতা আকরাম খান বলেন, ‘সংসদ ভবনের সামনে যাওয়ার পথে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তারা আমাদের জানিয়েছেন, সেখানে আরও একটি কর্মসূচি চলছে। পুলিশ কর্মকর্তারা আমাদের কোনো প্রকার বাধা প্রদান করেননি, বরং অনুরোধ করেছেন, পাশেই ফার্মগেট এলাকায় আনন্দ সিনেমা হলের সামনে কর্মসূচি করার। আমরা তাই স্থান পরিবর্তন করে ফার্মগেট এলাকায় দাঁড়িয়েছি।’
স্থান নিয়ে জটিলতা কাটলেও বাধা হয়ে দাঁড়ায় বৃষ্টি। তবে কোনো বাধাই থামাতে পারেনি শিল্পীসমাজকে। বৃষ্টিতে ভিজে উপস্থিত শিল্পীরা ব্যানার হাতে স্লোগান দিতে দিতে এসে দাঁড়ান ফার্মগেট এলাকায়, রাজপথে। উপস্থিত সবাই ছাত্রদের এই আন্দোলনে ছাত্রদের ৯ দফা দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে চলমান হত্যা, সহিংসতা, গণগ্রেপ্তার আর হয়রানি বন্ধ করার দাবি জানান। এ সময় উপস্থিতি ছিলেন অভিনেতা মামুনুর রশীদ, মোশাররফ করিম, ইরেশ যাকের, সিয়াম আহমেদ, আজমেরী হক বাঁধন, মোস্তফা মনওয়ার, সাবিলা নূর, রাফিয়াত রশীদ মিথিলা, নাজিয়া হক অর্ষা, শ্যামল মওলা, নির্মাতা নুরুল আলম আতিক, আকরাম খান, অমিতাভ রেজা চৌধুরী, মাতিয়া বানু শুকু, রেদওয়ান রনি, আশফাক নিপুণ, আদনান আল রাজিব, পিপলু আর খান, সৈয়দ আহমেদ শওকি প্রমুখ।
সমাবেশে অভিনেতা ও নাট্যজন মামুনুর রশীদ বলেন, ‘গত জুলাই মাসব্যাপী কী ঘটনাগুলো ঘটেছে, কত প্রাণ গেছে! এর মধ্যে শিশুরাও রয়েছে। এই বেদনা প্রকাশ করার ভাষা আমাদের নেই।’
অভিনেতা মোশাররফ করিম বলেন, ‘দৃশ্যমাধ্যম শিল্পীসমাজের পক্ষ থেকে আমরা সকল মানুষের পক্ষে। আমাদের দেশে বর্তমানে যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, তাতে আমাদের আর ঘরে বসে থাকার মতো অবস্থা নেই। আমরা শান্তি চাই। আমরা সকল নির্যাতন, গোলাগুলি, হত্যা, রক্ত—এগুলো আর দেখতে চাই না। এগুলোর বাইরে আমরা থাকতে চাই। আমরা শান্তি চাই।’
অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন বলেন, ‘যে রাষ্ট্র প্রকাশ্যে নিরীহ মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়, যে রাষ্ট্র নির্বিচারে গণগ্রেপ্তার করে, সেই রাষ্ট্র কখনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি হতে পারে না। এই রাষ্ট্র আমাদের নিরাপত্তা দিতে পারে নাই, এর দায় রাষ্ট্রের নিতে হবে। মারা যাওয়া বাচ্চাগুলোর জায়গায় আমার মেয়ে থাকতে পারত, ওই মানুষগুলোর জায়গায় আমি থাকতে পারতাম। এই দায় রাষ্ট্রের নিতে হবে। আমাদের নিরাপত্তা দিতে হবে। আমি যখন আমার অধিকারের জন্য রাস্তায় দাঁড়াব তখন কোনো অত্যাচার করতে পারবে না। এই রাজনীতি থেকে বের হতে হবে। আমার অন্য কোনো দেশের পাসপোর্ট নাই। আমি এই দেশেই থাকব, আমার অধিকার, স্বাধীনতা নিয়ে থাকব। এইভাবে নিপীড়িত হয়ে থাকব না। আমার সন্তান এই পরিবেশে বেড়ে উঠবে না। সংস্কার আমরাই করব।’
নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সুবিধাবাদী, লুম্পেন, আমাদের দিয়ে হবে না, হবে এই নতুন প্রজন্ম দিয়ে। তারাই পরিবর্তন আনবে। নতুন প্রজন্মের ৯ দফা দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন এবং সংহতি জানাই। সংহতি জানাই এ দেশের সমস্ত তরুণদের যারা মাঠে এই মুহূর্তে আন্দোলন করছে। বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে প্রতিটি হত্যার বিচার করা হোক। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাদেরকে ছেড়ে দিতে হবে।’
নির্মাতা ও প্রযোজক রেদওয়ান রনি বলেন, ‘ছাত্রদের নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে, তার প্রতিবাদ জানাই। সকল হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার হবে, সেটা যেন নিশ্চিত করা হয়। এই দাবি নিয়েই আমরা সবাই রাস্তায় দাঁড়িয়েছি।’
অভিনেত্রী মিথিলা বলেন, ‘এইভাবে শিশুদের, ছাত্রদের প্রাণ যেন না যায়। এটা খুব দুঃখজনক ঘটনা। যেকোনো বিবেকসম্পন্ন মানুষই চাইবে এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে। আমি নিজে শিক্ষার্থী, শিশুদের নিয়ে কাজ করেছি সারাটা জীবন। আমি চাই এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হোক।’
নির্মাতা আশফাক নিপুণ বলেন, ‘আমরা অনেক বছর ধরে যে ধরনের বৈষম্য দেখছি, দেখেও কথা বলতে পারছি না, সেই বৈষম্যের বিরুদ্ধে ছাত্ররা কথা বলছে। আজকে ছাত্ররাই আমাদের শিক্ষক। ওদের কাছ থেকে শিখছি। আমরা ছাত্রদের দাবির সঙ্গে সংহতি জানাই। যাদেরকে আটক করা হয়েছে, তাদের দ্রুত মুক্তি দেওয়া হোক এবং ছাত্ররা কী বলতে চায় সেটা রাষ্ট্র শুনুক। এত দিন সবাই বলে এসেছে, এখন ছাত্ররা বলছে। দয়া করে তাদের কথা শুনুন। তারা রাষ্ট্রের শত্রু না। তারা একটি মানবিক সমাজ গড়তে চায়। আমরা সবাই একটি মানবিক সমাজে থাকতে চাই।’
অভিনেতা সিয়াম আহমেদ বলেন, ‘ছাত্ররা এমন কোনো অনৈতিক দাবি করে নাই যে তাদেরকে এভাবে প্রাণ হারাতে হবে। একেকজন বাবা-মায়ের আহাজারি নেওয়ার মতো নয়। আপনি যদি সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ হন, তাহলে আপনি ঘুমাতে পারবেন না। এর বিচার যত দিন না হবে, তত দিন বাংলাদেশের কোনো মানুষ শান্তি পাবে না। আমার কানে এখনো বাজে “কারও পানি লাগবে?”। এটা যত দিন মাথায় থাকবে তত দিন আমরা শান্তিতে ঘুমাতে পারব না। আমার নিজের সন্তান আছে। আমি জানি আজ থেকে ১০-২০ বছর পর সেও এই ব্যাপারে জানবে। তখন সে আমাকে প্রশ্ন করবে তুমি কী করেছ? তখন আমি বুক উঁচু করে বলতে চাই আমি কিছু করার চেষ্টা করেছি।’
অভিনেত্রী নাজিয়া হক অর্ষা বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের এত রক্ত, এত ক্ষত—এটা আমি মেনে নিতে পারছি না। এটা মোটেও প্রত্যাশিত নয়। তাদের দাবিগুলো নিয়ে যদি শুরুতে আলোচনা করা যেত, তাহলে এত মানুষ রক্তাক্ত হতো না। কোনো ধরনের আলোচনা না করে আচমকা কাউকে তুলে নিয়ে যাওয়া, গুলি করা। এটা হতে পারে না।’
চলমান ছাত্র আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে ‘দৃশ্যমাধ্যম শিল্পীসমাজ’-এর ব্যানারে রাজপথে নামেন চলচ্চিত্র, আলোকচিত্র, থিয়েটারসহ শোবিজের নানা অঙ্গনের কর্মীরা। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী বেলা ১১টায় জাতীয় সংসদ ভবনের সামনের রাস্তায় মানববন্ধন করার কথা থাকলেও ভিন্ন একটি দলের কর্মসূচি চলমান থাকায় সেখানে দাঁড়ানো সম্ভব হয়নি শিল্পীদের। কর্মসূচির অন্যতম আহ্বায়ক নির্মাতা আকরাম খান বলেন, ‘সংসদ ভবনের সামনে যাওয়ার পথে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তারা আমাদের জানিয়েছেন, সেখানে আরও একটি কর্মসূচি চলছে। পুলিশ কর্মকর্তারা আমাদের কোনো প্রকার বাধা প্রদান করেননি, বরং অনুরোধ করেছেন, পাশেই ফার্মগেট এলাকায় আনন্দ সিনেমা হলের সামনে কর্মসূচি করার। আমরা তাই স্থান পরিবর্তন করে ফার্মগেট এলাকায় দাঁড়িয়েছি।’
স্থান নিয়ে জটিলতা কাটলেও বাধা হয়ে দাঁড়ায় বৃষ্টি। তবে কোনো বাধাই থামাতে পারেনি শিল্পীসমাজকে। বৃষ্টিতে ভিজে উপস্থিত শিল্পীরা ব্যানার হাতে স্লোগান দিতে দিতে এসে দাঁড়ান ফার্মগেট এলাকায়, রাজপথে। উপস্থিত সবাই ছাত্রদের এই আন্দোলনে ছাত্রদের ৯ দফা দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে চলমান হত্যা, সহিংসতা, গণগ্রেপ্তার আর হয়রানি বন্ধ করার দাবি জানান। এ সময় উপস্থিতি ছিলেন অভিনেতা মামুনুর রশীদ, মোশাররফ করিম, ইরেশ যাকের, সিয়াম আহমেদ, আজমেরী হক বাঁধন, মোস্তফা মনওয়ার, সাবিলা নূর, রাফিয়াত রশীদ মিথিলা, নাজিয়া হক অর্ষা, শ্যামল মওলা, নির্মাতা নুরুল আলম আতিক, আকরাম খান, অমিতাভ রেজা চৌধুরী, মাতিয়া বানু শুকু, রেদওয়ান রনি, আশফাক নিপুণ, আদনান আল রাজিব, পিপলু আর খান, সৈয়দ আহমেদ শওকি প্রমুখ।
সমাবেশে অভিনেতা ও নাট্যজন মামুনুর রশীদ বলেন, ‘গত জুলাই মাসব্যাপী কী ঘটনাগুলো ঘটেছে, কত প্রাণ গেছে! এর মধ্যে শিশুরাও রয়েছে। এই বেদনা প্রকাশ করার ভাষা আমাদের নেই।’
অভিনেতা মোশাররফ করিম বলেন, ‘দৃশ্যমাধ্যম শিল্পীসমাজের পক্ষ থেকে আমরা সকল মানুষের পক্ষে। আমাদের দেশে বর্তমানে যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, তাতে আমাদের আর ঘরে বসে থাকার মতো অবস্থা নেই। আমরা শান্তি চাই। আমরা সকল নির্যাতন, গোলাগুলি, হত্যা, রক্ত—এগুলো আর দেখতে চাই না। এগুলোর বাইরে আমরা থাকতে চাই। আমরা শান্তি চাই।’
অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন বলেন, ‘যে রাষ্ট্র প্রকাশ্যে নিরীহ মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়, যে রাষ্ট্র নির্বিচারে গণগ্রেপ্তার করে, সেই রাষ্ট্র কখনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি হতে পারে না। এই রাষ্ট্র আমাদের নিরাপত্তা দিতে পারে নাই, এর দায় রাষ্ট্রের নিতে হবে। মারা যাওয়া বাচ্চাগুলোর জায়গায় আমার মেয়ে থাকতে পারত, ওই মানুষগুলোর জায়গায় আমি থাকতে পারতাম। এই দায় রাষ্ট্রের নিতে হবে। আমাদের নিরাপত্তা দিতে হবে। আমি যখন আমার অধিকারের জন্য রাস্তায় দাঁড়াব তখন কোনো অত্যাচার করতে পারবে না। এই রাজনীতি থেকে বের হতে হবে। আমার অন্য কোনো দেশের পাসপোর্ট নাই। আমি এই দেশেই থাকব, আমার অধিকার, স্বাধীনতা নিয়ে থাকব। এইভাবে নিপীড়িত হয়ে থাকব না। আমার সন্তান এই পরিবেশে বেড়ে উঠবে না। সংস্কার আমরাই করব।’
নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সুবিধাবাদী, লুম্পেন, আমাদের দিয়ে হবে না, হবে এই নতুন প্রজন্ম দিয়ে। তারাই পরিবর্তন আনবে। নতুন প্রজন্মের ৯ দফা দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন এবং সংহতি জানাই। সংহতি জানাই এ দেশের সমস্ত তরুণদের যারা মাঠে এই মুহূর্তে আন্দোলন করছে। বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে প্রতিটি হত্যার বিচার করা হোক। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাদেরকে ছেড়ে দিতে হবে।’
নির্মাতা ও প্রযোজক রেদওয়ান রনি বলেন, ‘ছাত্রদের নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে, তার প্রতিবাদ জানাই। সকল হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার হবে, সেটা যেন নিশ্চিত করা হয়। এই দাবি নিয়েই আমরা সবাই রাস্তায় দাঁড়িয়েছি।’
অভিনেত্রী মিথিলা বলেন, ‘এইভাবে শিশুদের, ছাত্রদের প্রাণ যেন না যায়। এটা খুব দুঃখজনক ঘটনা। যেকোনো বিবেকসম্পন্ন মানুষই চাইবে এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে। আমি নিজে শিক্ষার্থী, শিশুদের নিয়ে কাজ করেছি সারাটা জীবন। আমি চাই এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হোক।’
নির্মাতা আশফাক নিপুণ বলেন, ‘আমরা অনেক বছর ধরে যে ধরনের বৈষম্য দেখছি, দেখেও কথা বলতে পারছি না, সেই বৈষম্যের বিরুদ্ধে ছাত্ররা কথা বলছে। আজকে ছাত্ররাই আমাদের শিক্ষক। ওদের কাছ থেকে শিখছি। আমরা ছাত্রদের দাবির সঙ্গে সংহতি জানাই। যাদেরকে আটক করা হয়েছে, তাদের দ্রুত মুক্তি দেওয়া হোক এবং ছাত্ররা কী বলতে চায় সেটা রাষ্ট্র শুনুক। এত দিন সবাই বলে এসেছে, এখন ছাত্ররা বলছে। দয়া করে তাদের কথা শুনুন। তারা রাষ্ট্রের শত্রু না। তারা একটি মানবিক সমাজ গড়তে চায়। আমরা সবাই একটি মানবিক সমাজে থাকতে চাই।’
অভিনেতা সিয়াম আহমেদ বলেন, ‘ছাত্ররা এমন কোনো অনৈতিক দাবি করে নাই যে তাদেরকে এভাবে প্রাণ হারাতে হবে। একেকজন বাবা-মায়ের আহাজারি নেওয়ার মতো নয়। আপনি যদি সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ হন, তাহলে আপনি ঘুমাতে পারবেন না। এর বিচার যত দিন না হবে, তত দিন বাংলাদেশের কোনো মানুষ শান্তি পাবে না। আমার কানে এখনো বাজে “কারও পানি লাগবে?”। এটা যত দিন মাথায় থাকবে তত দিন আমরা শান্তিতে ঘুমাতে পারব না। আমার নিজের সন্তান আছে। আমি জানি আজ থেকে ১০-২০ বছর পর সেও এই ব্যাপারে জানবে। তখন সে আমাকে প্রশ্ন করবে তুমি কী করেছ? তখন আমি বুক উঁচু করে বলতে চাই আমি কিছু করার চেষ্টা করেছি।’
অভিনেত্রী নাজিয়া হক অর্ষা বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের এত রক্ত, এত ক্ষত—এটা আমি মেনে নিতে পারছি না। এটা মোটেও প্রত্যাশিত নয়। তাদের দাবিগুলো নিয়ে যদি শুরুতে আলোচনা করা যেত, তাহলে এত মানুষ রক্তাক্ত হতো না। কোনো ধরনের আলোচনা না করে আচমকা কাউকে তুলে নিয়ে যাওয়া, গুলি করা। এটা হতে পারে না।’
চলমান ছাত্র আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে ‘দৃশ্যমাধ্যম শিল্পীসমাজ’-এর ব্যানারে রাজপথে নামেন চলচ্চিত্র, আলোকচিত্র, থিয়েটারসহ শোবিজের নানা অঙ্গনের কর্মীরা। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী বেলা ১১টায় জাতীয় সংসদ ভবনের সামনের রাস্তায় মানববন্ধন করার কথা থাকলেও ভিন্ন একটি দলের কর্মসূচি চলমান থাকায় সেখানে দাঁড়ানো সম্ভব হয়নি শিল্পীদের। কর্মসূচির অন্যতম আহ্বায়ক নির্মাতা আকরাম খান বলেন, ‘সংসদ ভবনের সামনে যাওয়ার পথে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তারা আমাদের জানিয়েছেন, সেখানে আরও একটি কর্মসূচি চলছে। পুলিশ কর্মকর্তারা আমাদের কোনো প্রকার বাধা প্রদান করেননি, বরং অনুরোধ করেছেন, পাশেই ফার্মগেট এলাকায় আনন্দ সিনেমা হলের সামনে কর্মসূচি করার। আমরা তাই স্থান পরিবর্তন করে ফার্মগেট এলাকায় দাঁড়িয়েছি।’
স্থান নিয়ে জটিলতা কাটলেও বাধা হয়ে দাঁড়ায় বৃষ্টি। তবে কোনো বাধাই থামাতে পারেনি শিল্পীসমাজকে। বৃষ্টিতে ভিজে উপস্থিত শিল্পীরা ব্যানার হাতে স্লোগান দিতে দিতে এসে দাঁড়ান ফার্মগেট এলাকায়, রাজপথে। উপস্থিত সবাই ছাত্রদের এই আন্দোলনে ছাত্রদের ৯ দফা দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে চলমান হত্যা, সহিংসতা, গণগ্রেপ্তার আর হয়রানি বন্ধ করার দাবি জানান। এ সময় উপস্থিতি ছিলেন অভিনেতা মামুনুর রশীদ, মোশাররফ করিম, ইরেশ যাকের, সিয়াম আহমেদ, আজমেরী হক বাঁধন, মোস্তফা মনওয়ার, সাবিলা নূর, রাফিয়াত রশীদ মিথিলা, নাজিয়া হক অর্ষা, শ্যামল মওলা, নির্মাতা নুরুল আলম আতিক, আকরাম খান, অমিতাভ রেজা চৌধুরী, মাতিয়া বানু শুকু, রেদওয়ান রনি, আশফাক নিপুণ, আদনান আল রাজিব, পিপলু আর খান, সৈয়দ আহমেদ শওকি প্রমুখ।
সমাবেশে অভিনেতা ও নাট্যজন মামুনুর রশীদ বলেন, ‘গত জুলাই মাসব্যাপী কী ঘটনাগুলো ঘটেছে, কত প্রাণ গেছে! এর মধ্যে শিশুরাও রয়েছে। এই বেদনা প্রকাশ করার ভাষা আমাদের নেই।’
অভিনেতা মোশাররফ করিম বলেন, ‘দৃশ্যমাধ্যম শিল্পীসমাজের পক্ষ থেকে আমরা সকল মানুষের পক্ষে। আমাদের দেশে বর্তমানে যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, তাতে আমাদের আর ঘরে বসে থাকার মতো অবস্থা নেই। আমরা শান্তি চাই। আমরা সকল নির্যাতন, গোলাগুলি, হত্যা, রক্ত—এগুলো আর দেখতে চাই না। এগুলোর বাইরে আমরা থাকতে চাই। আমরা শান্তি চাই।’
অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন বলেন, ‘যে রাষ্ট্র প্রকাশ্যে নিরীহ মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়, যে রাষ্ট্র নির্বিচারে গণগ্রেপ্তার করে, সেই রাষ্ট্র কখনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি হতে পারে না। এই রাষ্ট্র আমাদের নিরাপত্তা দিতে পারে নাই, এর দায় রাষ্ট্রের নিতে হবে। মারা যাওয়া বাচ্চাগুলোর জায়গায় আমার মেয়ে থাকতে পারত, ওই মানুষগুলোর জায়গায় আমি থাকতে পারতাম। এই দায় রাষ্ট্রের নিতে হবে। আমাদের নিরাপত্তা দিতে হবে। আমি যখন আমার অধিকারের জন্য রাস্তায় দাঁড়াব তখন কোনো অত্যাচার করতে পারবে না। এই রাজনীতি থেকে বের হতে হবে। আমার অন্য কোনো দেশের পাসপোর্ট নাই। আমি এই দেশেই থাকব, আমার অধিকার, স্বাধীনতা নিয়ে থাকব। এইভাবে নিপীড়িত হয়ে থাকব না। আমার সন্তান এই পরিবেশে বেড়ে উঠবে না। সংস্কার আমরাই করব।’
নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সুবিধাবাদী, লুম্পেন, আমাদের দিয়ে হবে না, হবে এই নতুন প্রজন্ম দিয়ে। তারাই পরিবর্তন আনবে। নতুন প্রজন্মের ৯ দফা দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন এবং সংহতি জানাই। সংহতি জানাই এ দেশের সমস্ত তরুণদের যারা মাঠে এই মুহূর্তে আন্দোলন করছে। বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে প্রতিটি হত্যার বিচার করা হোক। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাদেরকে ছেড়ে দিতে হবে।’
নির্মাতা ও প্রযোজক রেদওয়ান রনি বলেন, ‘ছাত্রদের নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে, তার প্রতিবাদ জানাই। সকল হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার হবে, সেটা যেন নিশ্চিত করা হয়। এই দাবি নিয়েই আমরা সবাই রাস্তায় দাঁড়িয়েছি।’
অভিনেত্রী মিথিলা বলেন, ‘এইভাবে শিশুদের, ছাত্রদের প্রাণ যেন না যায়। এটা খুব দুঃখজনক ঘটনা। যেকোনো বিবেকসম্পন্ন মানুষই চাইবে এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে। আমি নিজে শিক্ষার্থী, শিশুদের নিয়ে কাজ করেছি সারাটা জীবন। আমি চাই এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হোক।’
নির্মাতা আশফাক নিপুণ বলেন, ‘আমরা অনেক বছর ধরে যে ধরনের বৈষম্য দেখছি, দেখেও কথা বলতে পারছি না, সেই বৈষম্যের বিরুদ্ধে ছাত্ররা কথা বলছে। আজকে ছাত্ররাই আমাদের শিক্ষক। ওদের কাছ থেকে শিখছি। আমরা ছাত্রদের দাবির সঙ্গে সংহতি জানাই। যাদেরকে আটক করা হয়েছে, তাদের দ্রুত মুক্তি দেওয়া হোক এবং ছাত্ররা কী বলতে চায় সেটা রাষ্ট্র শুনুক। এত দিন সবাই বলে এসেছে, এখন ছাত্ররা বলছে। দয়া করে তাদের কথা শুনুন। তারা রাষ্ট্রের শত্রু না। তারা একটি মানবিক সমাজ গড়তে চায়। আমরা সবাই একটি মানবিক সমাজে থাকতে চাই।’
অভিনেতা সিয়াম আহমেদ বলেন, ‘ছাত্ররা এমন কোনো অনৈতিক দাবি করে নাই যে তাদেরকে এভাবে প্রাণ হারাতে হবে। একেকজন বাবা-মায়ের আহাজারি নেওয়ার মতো নয়। আপনি যদি সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ হন, তাহলে আপনি ঘুমাতে পারবেন না। এর বিচার যত দিন না হবে, তত দিন বাংলাদেশের কোনো মানুষ শান্তি পাবে না। আমার কানে এখনো বাজে “কারও পানি লাগবে?”। এটা যত দিন মাথায় থাকবে তত দিন আমরা শান্তিতে ঘুমাতে পারব না। আমার নিজের সন্তান আছে। আমি জানি আজ থেকে ১০-২০ বছর পর সেও এই ব্যাপারে জানবে। তখন সে আমাকে প্রশ্ন করবে তুমি কী করেছ? তখন আমি বুক উঁচু করে বলতে চাই আমি কিছু করার চেষ্টা করেছি।’
অভিনেত্রী নাজিয়া হক অর্ষা বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের এত রক্ত, এত ক্ষত—এটা আমি মেনে নিতে পারছি না। এটা মোটেও প্রত্যাশিত নয়। তাদের দাবিগুলো নিয়ে যদি শুরুতে আলোচনা করা যেত, তাহলে এত মানুষ রক্তাক্ত হতো না। কোনো ধরনের আলোচনা না করে আচমকা কাউকে তুলে নিয়ে যাওয়া, গুলি করা। এটা হতে পারে না।’
চলমান ছাত্র আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে ‘দৃশ্যমাধ্যম শিল্পীসমাজ’-এর ব্যানারে রাজপথে নামেন চলচ্চিত্র, আলোকচিত্র, থিয়েটারসহ শোবিজের নানা অঙ্গনের কর্মীরা। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী বেলা ১১টায় জাতীয় সংসদ ভবনের সামনের রাস্তায় মানববন্ধন করার কথা থাকলেও ভিন্ন একটি দলের কর্মসূচি চলমান থাকায় সেখানে দাঁড়ানো সম্ভব হয়নি শিল্পীদের। কর্মসূচির অন্যতম আহ্বায়ক নির্মাতা আকরাম খান বলেন, ‘সংসদ ভবনের সামনে যাওয়ার পথে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তারা আমাদের জানিয়েছেন, সেখানে আরও একটি কর্মসূচি চলছে। পুলিশ কর্মকর্তারা আমাদের কোনো প্রকার বাধা প্রদান করেননি, বরং অনুরোধ করেছেন, পাশেই ফার্মগেট এলাকায় আনন্দ সিনেমা হলের সামনে কর্মসূচি করার। আমরা তাই স্থান পরিবর্তন করে ফার্মগেট এলাকায় দাঁড়িয়েছি।’
স্থান নিয়ে জটিলতা কাটলেও বাধা হয়ে দাঁড়ায় বৃষ্টি। তবে কোনো বাধাই থামাতে পারেনি শিল্পীসমাজকে। বৃষ্টিতে ভিজে উপস্থিত শিল্পীরা ব্যানার হাতে স্লোগান দিতে দিতে এসে দাঁড়ান ফার্মগেট এলাকায়, রাজপথে। উপস্থিত সবাই ছাত্রদের এই আন্দোলনে ছাত্রদের ৯ দফা দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে চলমান হত্যা, সহিংসতা, গণগ্রেপ্তার আর হয়রানি বন্ধ করার দাবি জানান। এ সময় উপস্থিতি ছিলেন অভিনেতা মামুনুর রশীদ, মোশাররফ করিম, ইরেশ যাকের, সিয়াম আহমেদ, আজমেরী হক বাঁধন, মোস্তফা মনওয়ার, সাবিলা নূর, রাফিয়াত রশীদ মিথিলা, নাজিয়া হক অর্ষা, শ্যামল মওলা, নির্মাতা নুরুল আলম আতিক, আকরাম খান, অমিতাভ রেজা চৌধুরী, মাতিয়া বানু শুকু, রেদওয়ান রনি, আশফাক নিপুণ, আদনান আল রাজিব, পিপলু আর খান, সৈয়দ আহমেদ শওকি প্রমুখ।
সমাবেশে অভিনেতা ও নাট্যজন মামুনুর রশীদ বলেন, ‘গত জুলাই মাসব্যাপী কী ঘটনাগুলো ঘটেছে, কত প্রাণ গেছে! এর মধ্যে শিশুরাও রয়েছে। এই বেদনা প্রকাশ করার ভাষা আমাদের নেই।’
অভিনেতা মোশাররফ করিম বলেন, ‘দৃশ্যমাধ্যম শিল্পীসমাজের পক্ষ থেকে আমরা সকল মানুষের পক্ষে। আমাদের দেশে বর্তমানে যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, তাতে আমাদের আর ঘরে বসে থাকার মতো অবস্থা নেই। আমরা শান্তি চাই। আমরা সকল নির্যাতন, গোলাগুলি, হত্যা, রক্ত—এগুলো আর দেখতে চাই না। এগুলোর বাইরে আমরা থাকতে চাই। আমরা শান্তি চাই।’
অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন বলেন, ‘যে রাষ্ট্র প্রকাশ্যে নিরীহ মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়, যে রাষ্ট্র নির্বিচারে গণগ্রেপ্তার করে, সেই রাষ্ট্র কখনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি হতে পারে না। এই রাষ্ট্র আমাদের নিরাপত্তা দিতে পারে নাই, এর দায় রাষ্ট্রের নিতে হবে। মারা যাওয়া বাচ্চাগুলোর জায়গায় আমার মেয়ে থাকতে পারত, ওই মানুষগুলোর জায়গায় আমি থাকতে পারতাম। এই দায় রাষ্ট্রের নিতে হবে। আমাদের নিরাপত্তা দিতে হবে। আমি যখন আমার অধিকারের জন্য রাস্তায় দাঁড়াব তখন কোনো অত্যাচার করতে পারবে না। এই রাজনীতি থেকে বের হতে হবে। আমার অন্য কোনো দেশের পাসপোর্ট নাই। আমি এই দেশেই থাকব, আমার অধিকার, স্বাধীনতা নিয়ে থাকব। এইভাবে নিপীড়িত হয়ে থাকব না। আমার সন্তান এই পরিবেশে বেড়ে উঠবে না। সংস্কার আমরাই করব।’
নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সুবিধাবাদী, লুম্পেন, আমাদের দিয়ে হবে না, হবে এই নতুন প্রজন্ম দিয়ে। তারাই পরিবর্তন আনবে। নতুন প্রজন্মের ৯ দফা দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন এবং সংহতি জানাই। সংহতি জানাই এ দেশের সমস্ত তরুণদের যারা মাঠে এই মুহূর্তে আন্দোলন করছে। বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে প্রতিটি হত্যার বিচার করা হোক। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাদেরকে ছেড়ে দিতে হবে।’
নির্মাতা ও প্রযোজক রেদওয়ান রনি বলেন, ‘ছাত্রদের নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে, তার প্রতিবাদ জানাই। সকল হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার হবে, সেটা যেন নিশ্চিত করা হয়। এই দাবি নিয়েই আমরা সবাই রাস্তায় দাঁড়িয়েছি।’
অভিনেত্রী মিথিলা বলেন, ‘এইভাবে শিশুদের, ছাত্রদের প্রাণ যেন না যায়। এটা খুব দুঃখজনক ঘটনা। যেকোনো বিবেকসম্পন্ন মানুষই চাইবে এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে। আমি নিজে শিক্ষার্থী, শিশুদের নিয়ে কাজ করেছি সারাটা জীবন। আমি চাই এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হোক।’
নির্মাতা আশফাক নিপুণ বলেন, ‘আমরা অনেক বছর ধরে যে ধরনের বৈষম্য দেখছি, দেখেও কথা বলতে পারছি না, সেই বৈষম্যের বিরুদ্ধে ছাত্ররা কথা বলছে। আজকে ছাত্ররাই আমাদের শিক্ষক। ওদের কাছ থেকে শিখছি। আমরা ছাত্রদের দাবির সঙ্গে সংহতি জানাই। যাদেরকে আটক করা হয়েছে, তাদের দ্রুত মুক্তি দেওয়া হোক এবং ছাত্ররা কী বলতে চায় সেটা রাষ্ট্র শুনুক। এত দিন সবাই বলে এসেছে, এখন ছাত্ররা বলছে। দয়া করে তাদের কথা শুনুন। তারা রাষ্ট্রের শত্রু না। তারা একটি মানবিক সমাজ গড়তে চায়। আমরা সবাই একটি মানবিক সমাজে থাকতে চাই।’
অভিনেতা সিয়াম আহমেদ বলেন, ‘ছাত্ররা এমন কোনো অনৈতিক দাবি করে নাই যে তাদেরকে এভাবে প্রাণ হারাতে হবে। একেকজন বাবা-মায়ের আহাজারি নেওয়ার মতো নয়। আপনি যদি সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ হন, তাহলে আপনি ঘুমাতে পারবেন না। এর বিচার যত দিন না হবে, তত দিন বাংলাদেশের কোনো মানুষ শান্তি পাবে না। আমার কানে এখনো বাজে “কারও পানি লাগবে?”। এটা যত দিন মাথায় থাকবে তত দিন আমরা শান্তিতে ঘুমাতে পারব না। আমার নিজের সন্তান আছে। আমি জানি আজ থেকে ১০-২০ বছর পর সেও এই ব্যাপারে জানবে। তখন সে আমাকে প্রশ্ন করবে তুমি কী করেছ? তখন আমি বুক উঁচু করে বলতে চাই আমি কিছু করার চেষ্টা করেছি।’
অভিনেত্রী নাজিয়া হক অর্ষা বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের এত রক্ত, এত ক্ষত—এটা আমি মেনে নিতে পারছি না। এটা মোটেও প্রত্যাশিত নয়। তাদের দাবিগুলো নিয়ে যদি শুরুতে আলোচনা করা যেত, তাহলে এত মানুষ রক্তাক্ত হতো না। কোনো ধরনের আলোচনা না করে আচমকা কাউকে তুলে নিয়ে যাওয়া, গুলি করা। এটা হতে পারে না।’
এক সময় হলিউডের সবচেয়ে জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা জিম ক্যারি যেন আজ রহস্যময় এক নিঃসঙ্গ জীবনের প্রতীক। ‘দ্য মাস্ক’ ও ‘ডাম্ব অ্যান্ড ডাম্বার’-এর এই তারকা একসময় প্রতি সিনেমা থেকে ২ কোটি ডলার পারিশ্রমিক পেতেন। আর এখন তিনি প্রায় হারিয়ে গেছেন পর্দা থেকে।
৫ ঘণ্টা আগেনদীপাড়ের মানুষের প্রেম-ভালোবাসা আর টানাপোড়েনের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ইংরেজি ভাষার সিনেমা ‘ডট’। বানিয়েছেন বড়ুয়া সুনন্দা কাঁকন। গত ৫ সেপ্টেম্বর দেশের হলে মুক্তি পেয়েছিল সিনেমাটি। এবার মুক্তি পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে।
৭ ঘণ্টা আগেএ্যাপোনিয়া নামের একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস থেকে শাড়ি নিয়ে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রচার করেননি বলে অভিযোগ উঠেছে তানজিন তিশার বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে এ্যাপোনিয়া কর্তৃপক্ষ। তবে তিশা জানান, শাড়িটি তিনি পেয়েছেন উপহার হিসেবে।
৭ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী নামিয়াকে বিয়ে করেছেন জেমস। নামিয়ার বাবা নুরুল আমিন আর মা নাহিদ আমিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। পারিবারিক সূত্রে যুক্তরাষ্ট্রেই বেড়ে উঠেছেন নামিয়া। সেখানে নৃত্যশিল্পী হিসেবেও পরিচিতি রয়েছে তাঁর।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
এক সময় হলিউডের সবচেয়ে জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা জিম ক্যারি যেন আজ রহস্যময় এক নিঃসঙ্গ জীবনের প্রতীক। ‘দ্য মাস্ক’ ও ‘ডাম্ব অ্যান্ড ডাম্বার’-এর এই তারকা একসময় প্রতি সিনেমা থেকে ২ কোটি ডলার পারিশ্রমিক পেতেন। আর এখন তিনি প্রায় হারিয়ে গেছেন পর্দা থেকে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) ডেইলি মেইল জানিয়েছে, আগামী ফেব্রুয়ারিতে (২০২৬) ফ্রান্সের মর্যাদাপূর্ণ সিজার অ্যাওয়ার্ডস-এর মঞ্চে জিম ক্যারিকে দেওয়া হবে ফরাসি চলচ্চিত্র জগতের সর্বোচ্চ সম্মানগুলোর একটি। ফরাসিরা বিশ্বখ্যাত এই অভিনেতাকে ‘আধুনিক সিনেমার অন্যতম মৌলিক কণ্ঠ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। আর বলেছে, ‘তিনি আমাদের মনে করিয়ে দেন—সিনেমা শুধু বিনোদন নয়, এটি শিল্পের সাহসী ভাষাও হতে পারে।’
অথচ এই প্রশংসা শুনে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন—সত্যিই কি জিম ক্যারির কর্মজীবন এতটা সাহসী ছিল?
কানাডীয় বংশোদ্ভূত এই অভিনেতা মাঝেমধ্যেই নিজেকে ফরাসি দস্যুর বংশধর বলে দাবি করতেন। ২০১০ সালে তিনি ফ্রান্সের ‘শেভালিয়ার অব দ্য অর্ডার অব আর্টস অ্যান্ড লেটারস’ উপাধি পান। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়—তিনি কখনো অস্কারের মনোনয়ন পাননি।
গত এক দশকে তাঁর উল্লেখযোগ্য কোনো চলচ্চিত্র নেই। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় তাঁকে শুধু ‘সোনিক দ্য হেজহগ’ ফ্র্যাঞ্চাইজিতে দেখা গেছে, যেখানে তাঁর সহ অভিনেতারা মূলত কম্পিউটার-নির্মিত চরিত্র। ২০২৭ সালে আসছে সিরিজটির চতুর্থ পর্ব। এটি হয়তো অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হবে, কিন্তু এটি তাঁর শিল্পজীবনে তেমন কিছু যোগ করবে না।
২০১৬ সালে মুক্তি পাওয়া তাঁর শেষ দুটি সিনেমা ‘ডার্ক ক্রাইম’ ও ‘দ্য বেড ব্যাচ’ ছিল ভয়াবহ ব্যর্থতা। দুটি সিনেমাই সমালোচক ও দর্শকদের কাছে মুখ থুবড়ে পড়েছিল। একসময় হলিউডের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া এই অভিনেতা তখন থেকে প্রায় কর্মহীন, যেন তিনি অদৃশ্য হয়ে গেছেন।
জানা যায়, লস অ্যাঞ্জেলেসের ব্রেন্টউডে ১২ হাজার ৭০০ বর্গফুটের বিলাসবহুল বাড়ি বিক্রি করাও তাঁর জন্য দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছিল। ১৯৯৪ সালে ৩.৮ মিলিয়ন ডলারে কেনা সেই বাড়ি ২০২৩ সালে ২৮.৯ মিলিয়নে বিক্রির জন্য তোলা হয়। কিন্তু ক্রেতা না পেয়ে বারবার দাম কমিয়ে অবশেষে ১৭ মিলিয়নে বিক্রি করতে হয়।
২০১৭ সাল থেকে তিনি হাওয়াইয়ের মাউই দ্বীপে বসবাস করছেন। সেখানে তিনি মূলত ছবি আঁকেন আর নিঃসঙ্গ জীবনযাপন করেন। ২০১৮ সালে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি একা থাকতে ভালোবাসি। তাই একা থাকা আমার কাছে কষ্ট নয়।’
তবে ক্যারি পুরোপুরি অবসর নেননি। সূত্র বলছে, তিনি নতুন কয়েকটি প্রকল্পে কাজ করছেন। এর মধ্যে ‘দ্য জেটসোন্স’ নামে ১৯৬০-এর দশকের একটি ক্ল্যাসিক কার্টুন সিরিজের লাইভ-অ্যাকশন রূপান্তরে অভিনয় করবেন তিনি।
২০২২ সালে তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘আমি শান্ত জীবন ভালোবাসি। আমি যা করেছি, যথেষ্ট করেছি। আমি পরিপূর্ণ।’ এরপর যখন তিনি ‘সোনিক-৩’ ফ্র্যাঞ্চাইজিতে যুক্ত হন, তখন মজার ছলে বলেছিলেন, ‘আমি অনেক কিছু কিনেছি, তাই টাকার দরকার।’
কিন্তু জিম ক্যারির পতনের পেছনে কেবল ব্যর্থ সিনেমা নয়, ব্যক্তিজীবনের নানা অন্ধকার অধ্যায়ও কাজ করেছে।
২০০৫ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত অভিনেত্রী ও মডেল জেনি ম্যাককার্থির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল। ম্যাককার্থি দাবি করেছিলেন, তাঁর ছেলের অটিজম নাকি ভ্যাকসিনের কারণে হয়েছিল। এমন একটি অগ্রহণযোগ্য ও ভ্রান্ত দাবিকে সে সময় ক্যারিও সমর্থন করেছিলেন। এই অবস্থান পরে তাঁকে অনেক ভক্ত ও সহকর্মীর বিরাগভাজন করে তোলে।
আরও ভয়াবহ ছিল ২০১২ সালে শুরু হওয়া তাঁর প্রেমিকা ক্যাথরিওনা হোয়াইটের সঙ্গে সম্পর্ক। বিবাহিত এই আইরিশ মেকআপ আর্টিস্ট ২০১৫ সালে আত্মহত্যা করেন। আত্মহত্যার মাত্র চার দিন আগেই ক্যারির সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছিল তাঁর। আত্মহত্যার নোটে হোয়াইট লিখে গেছেন, ‘তুমি আমাকে ভেঙে দিয়েছ।’
এরপর হোয়াইটের স্বামী ও মা দুজনই ক্যারির বিরুদ্ধে মামলা করেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, তিনি অবৈধভাবে প্রেসক্রিপশন ওষুধ জোগাড় করেছিলেন এবং হোয়াইটকে যৌনরোগে সংক্রমিত করেছিলেন। ২০১৮ সালে এই মামলাগুলো খারিজ হয়ে গেলেও তত দিনে ভক্তদের কাছে ক্যারির ভাবমূর্তি চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
নিজ জীবনের বেদনা ও বিষণ্নতা সম্পর্কে ক্যারি নিজেও বহুবার খোলাখুলি কথা বলেছেন। তাঁর সাবেক স্ত্রী মেলিসা ওমর এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘ওর হাসিটাই ওর সবচেয়ে বড় মুখোশ।’
এক সময় হলিউডের সবচেয়ে জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা জিম ক্যারি যেন আজ রহস্যময় এক নিঃসঙ্গ জীবনের প্রতীক। ‘দ্য মাস্ক’ ও ‘ডাম্ব অ্যান্ড ডাম্বার’-এর এই তারকা একসময় প্রতি সিনেমা থেকে ২ কোটি ডলার পারিশ্রমিক পেতেন। আর এখন তিনি প্রায় হারিয়ে গেছেন পর্দা থেকে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) ডেইলি মেইল জানিয়েছে, আগামী ফেব্রুয়ারিতে (২০২৬) ফ্রান্সের মর্যাদাপূর্ণ সিজার অ্যাওয়ার্ডস-এর মঞ্চে জিম ক্যারিকে দেওয়া হবে ফরাসি চলচ্চিত্র জগতের সর্বোচ্চ সম্মানগুলোর একটি। ফরাসিরা বিশ্বখ্যাত এই অভিনেতাকে ‘আধুনিক সিনেমার অন্যতম মৌলিক কণ্ঠ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। আর বলেছে, ‘তিনি আমাদের মনে করিয়ে দেন—সিনেমা শুধু বিনোদন নয়, এটি শিল্পের সাহসী ভাষাও হতে পারে।’
অথচ এই প্রশংসা শুনে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন—সত্যিই কি জিম ক্যারির কর্মজীবন এতটা সাহসী ছিল?
কানাডীয় বংশোদ্ভূত এই অভিনেতা মাঝেমধ্যেই নিজেকে ফরাসি দস্যুর বংশধর বলে দাবি করতেন। ২০১০ সালে তিনি ফ্রান্সের ‘শেভালিয়ার অব দ্য অর্ডার অব আর্টস অ্যান্ড লেটারস’ উপাধি পান। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়—তিনি কখনো অস্কারের মনোনয়ন পাননি।
গত এক দশকে তাঁর উল্লেখযোগ্য কোনো চলচ্চিত্র নেই। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় তাঁকে শুধু ‘সোনিক দ্য হেজহগ’ ফ্র্যাঞ্চাইজিতে দেখা গেছে, যেখানে তাঁর সহ অভিনেতারা মূলত কম্পিউটার-নির্মিত চরিত্র। ২০২৭ সালে আসছে সিরিজটির চতুর্থ পর্ব। এটি হয়তো অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হবে, কিন্তু এটি তাঁর শিল্পজীবনে তেমন কিছু যোগ করবে না।
২০১৬ সালে মুক্তি পাওয়া তাঁর শেষ দুটি সিনেমা ‘ডার্ক ক্রাইম’ ও ‘দ্য বেড ব্যাচ’ ছিল ভয়াবহ ব্যর্থতা। দুটি সিনেমাই সমালোচক ও দর্শকদের কাছে মুখ থুবড়ে পড়েছিল। একসময় হলিউডের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া এই অভিনেতা তখন থেকে প্রায় কর্মহীন, যেন তিনি অদৃশ্য হয়ে গেছেন।
জানা যায়, লস অ্যাঞ্জেলেসের ব্রেন্টউডে ১২ হাজার ৭০০ বর্গফুটের বিলাসবহুল বাড়ি বিক্রি করাও তাঁর জন্য দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছিল। ১৯৯৪ সালে ৩.৮ মিলিয়ন ডলারে কেনা সেই বাড়ি ২০২৩ সালে ২৮.৯ মিলিয়নে বিক্রির জন্য তোলা হয়। কিন্তু ক্রেতা না পেয়ে বারবার দাম কমিয়ে অবশেষে ১৭ মিলিয়নে বিক্রি করতে হয়।
২০১৭ সাল থেকে তিনি হাওয়াইয়ের মাউই দ্বীপে বসবাস করছেন। সেখানে তিনি মূলত ছবি আঁকেন আর নিঃসঙ্গ জীবনযাপন করেন। ২০১৮ সালে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি একা থাকতে ভালোবাসি। তাই একা থাকা আমার কাছে কষ্ট নয়।’
তবে ক্যারি পুরোপুরি অবসর নেননি। সূত্র বলছে, তিনি নতুন কয়েকটি প্রকল্পে কাজ করছেন। এর মধ্যে ‘দ্য জেটসোন্স’ নামে ১৯৬০-এর দশকের একটি ক্ল্যাসিক কার্টুন সিরিজের লাইভ-অ্যাকশন রূপান্তরে অভিনয় করবেন তিনি।
২০২২ সালে তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘আমি শান্ত জীবন ভালোবাসি। আমি যা করেছি, যথেষ্ট করেছি। আমি পরিপূর্ণ।’ এরপর যখন তিনি ‘সোনিক-৩’ ফ্র্যাঞ্চাইজিতে যুক্ত হন, তখন মজার ছলে বলেছিলেন, ‘আমি অনেক কিছু কিনেছি, তাই টাকার দরকার।’
কিন্তু জিম ক্যারির পতনের পেছনে কেবল ব্যর্থ সিনেমা নয়, ব্যক্তিজীবনের নানা অন্ধকার অধ্যায়ও কাজ করেছে।
২০০৫ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত অভিনেত্রী ও মডেল জেনি ম্যাককার্থির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল। ম্যাককার্থি দাবি করেছিলেন, তাঁর ছেলের অটিজম নাকি ভ্যাকসিনের কারণে হয়েছিল। এমন একটি অগ্রহণযোগ্য ও ভ্রান্ত দাবিকে সে সময় ক্যারিও সমর্থন করেছিলেন। এই অবস্থান পরে তাঁকে অনেক ভক্ত ও সহকর্মীর বিরাগভাজন করে তোলে।
আরও ভয়াবহ ছিল ২০১২ সালে শুরু হওয়া তাঁর প্রেমিকা ক্যাথরিওনা হোয়াইটের সঙ্গে সম্পর্ক। বিবাহিত এই আইরিশ মেকআপ আর্টিস্ট ২০১৫ সালে আত্মহত্যা করেন। আত্মহত্যার মাত্র চার দিন আগেই ক্যারির সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছিল তাঁর। আত্মহত্যার নোটে হোয়াইট লিখে গেছেন, ‘তুমি আমাকে ভেঙে দিয়েছ।’
এরপর হোয়াইটের স্বামী ও মা দুজনই ক্যারির বিরুদ্ধে মামলা করেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, তিনি অবৈধভাবে প্রেসক্রিপশন ওষুধ জোগাড় করেছিলেন এবং হোয়াইটকে যৌনরোগে সংক্রমিত করেছিলেন। ২০১৮ সালে এই মামলাগুলো খারিজ হয়ে গেলেও তত দিনে ভক্তদের কাছে ক্যারির ভাবমূর্তি চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
নিজ জীবনের বেদনা ও বিষণ্নতা সম্পর্কে ক্যারি নিজেও বহুবার খোলাখুলি কথা বলেছেন। তাঁর সাবেক স্ত্রী মেলিসা ওমর এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘ওর হাসিটাই ওর সবচেয়ে বড় মুখোশ।’
চলমান ছাত্র আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে ‘দৃশ্যমাধ্যম শিল্পীসমাজ’-এর ব্যানারে রাজপথে নামেন চলচ্চিত্র, আলোকচিত্র, থিয়েটারসহ শোবিজের নানা অঙ্গনের কর্মীরা। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী বেলা ১১টায় জাতীয় সংসদ ভবনের সামনের রাস্তায় মানববন্ধন করার কথা থাকলেও ভিন্ন একটি দলের কর্মসূচি চলমান থাকায় সেখানে দাঁড়ানো সম্ভব হয়নি শিল
০১ আগস্ট ২০২৪নদীপাড়ের মানুষের প্রেম-ভালোবাসা আর টানাপোড়েনের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ইংরেজি ভাষার সিনেমা ‘ডট’। বানিয়েছেন বড়ুয়া সুনন্দা কাঁকন। গত ৫ সেপ্টেম্বর দেশের হলে মুক্তি পেয়েছিল সিনেমাটি। এবার মুক্তি পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে।
৭ ঘণ্টা আগেএ্যাপোনিয়া নামের একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস থেকে শাড়ি নিয়ে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রচার করেননি বলে অভিযোগ উঠেছে তানজিন তিশার বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে এ্যাপোনিয়া কর্তৃপক্ষ। তবে তিশা জানান, শাড়িটি তিনি পেয়েছেন উপহার হিসেবে।
৭ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী নামিয়াকে বিয়ে করেছেন জেমস। নামিয়ার বাবা নুরুল আমিন আর মা নাহিদ আমিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। পারিবারিক সূত্রে যুক্তরাষ্ট্রেই বেড়ে উঠেছেন নামিয়া। সেখানে নৃত্যশিল্পী হিসেবেও পরিচিতি রয়েছে তাঁর।
১২ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
গত ৫ সেপ্টেম্বর দেশের হলে মুক্তি পায় ইংরেজি ভাষায় নির্মিত সিনেমা ‘ডট’। এবার সিনেমাটি দেখা যাবে যুক্তরাষ্ট্রে। পরিচালক বড়ুয়া সুনন্দা কাঁকন জানান, আগামী ৭ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের এএমসি ইউনিভার্সাল স্টুডিওতে মুক্তি পাবে ডট।
ক্যালিফোর্নিয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ১৫টি অঙ্গরাজ্য সিনেমাটি প্রদর্শিত হবে বলে জানিয়েছেন নির্মাতা।নদীপাড়ের মানুষের প্রেম-ভালোবাসা আর টানাপোড়েনের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ডট। প্রযোজনা করেছেন বড়ুয়া মনোজিত ধীমন।
কাঁকন বলেন, ‘ডট সিনেমাটি তৈরি হয়েছে নারী পাচার এবং নারী সংগ্রামের গল্প নিয়ে। বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে তৈরি হয়েছে এর চিত্রনাট্য। তাই দীর্ঘ গবেষণার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে আমাদের। সিনেমাটির দৈর্ঘ্য ২ ঘণ্টা ৮ মিনিট। দেশের দর্শকের পাশাপাশি বিদেশি দর্শকের কথা মাথায় রেখে সিনেমার সংলাপ ইংরেজিতে রাখা হয়েছে।’
ডট সিনেমায় অভিনয় করেছেন গ্রুপ থিয়েটারের একঝাঁক অভিনয়শিল্পী। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন বড়ুয়া মনোজিত ধীমন, মিষ্টি আক্তার, পরী, রাজিবুল ইসলাম, সোনিয়া পারভীন শাপলা, মামুন, মোস্তাফিজুর রহমান, কামরুল ইসলাম, মাসুদ চৌধুরী, তারিকুল ইসলাম তারেক, আব্দুল বারিক মুকুল, সেন্ডি কুমার প্রমুখ।
গত ৫ সেপ্টেম্বর দেশের হলে মুক্তি পায় ইংরেজি ভাষায় নির্মিত সিনেমা ‘ডট’। এবার সিনেমাটি দেখা যাবে যুক্তরাষ্ট্রে। পরিচালক বড়ুয়া সুনন্দা কাঁকন জানান, আগামী ৭ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের এএমসি ইউনিভার্সাল স্টুডিওতে মুক্তি পাবে ডট।
ক্যালিফোর্নিয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ১৫টি অঙ্গরাজ্য সিনেমাটি প্রদর্শিত হবে বলে জানিয়েছেন নির্মাতা।নদীপাড়ের মানুষের প্রেম-ভালোবাসা আর টানাপোড়েনের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ডট। প্রযোজনা করেছেন বড়ুয়া মনোজিত ধীমন।
কাঁকন বলেন, ‘ডট সিনেমাটি তৈরি হয়েছে নারী পাচার এবং নারী সংগ্রামের গল্প নিয়ে। বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে তৈরি হয়েছে এর চিত্রনাট্য। তাই দীর্ঘ গবেষণার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে আমাদের। সিনেমাটির দৈর্ঘ্য ২ ঘণ্টা ৮ মিনিট। দেশের দর্শকের পাশাপাশি বিদেশি দর্শকের কথা মাথায় রেখে সিনেমার সংলাপ ইংরেজিতে রাখা হয়েছে।’
ডট সিনেমায় অভিনয় করেছেন গ্রুপ থিয়েটারের একঝাঁক অভিনয়শিল্পী। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন বড়ুয়া মনোজিত ধীমন, মিষ্টি আক্তার, পরী, রাজিবুল ইসলাম, সোনিয়া পারভীন শাপলা, মামুন, মোস্তাফিজুর রহমান, কামরুল ইসলাম, মাসুদ চৌধুরী, তারিকুল ইসলাম তারেক, আব্দুল বারিক মুকুল, সেন্ডি কুমার প্রমুখ।
চলমান ছাত্র আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে ‘দৃশ্যমাধ্যম শিল্পীসমাজ’-এর ব্যানারে রাজপথে নামেন চলচ্চিত্র, আলোকচিত্র, থিয়েটারসহ শোবিজের নানা অঙ্গনের কর্মীরা। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী বেলা ১১টায় জাতীয় সংসদ ভবনের সামনের রাস্তায় মানববন্ধন করার কথা থাকলেও ভিন্ন একটি দলের কর্মসূচি চলমান থাকায় সেখানে দাঁড়ানো সম্ভব হয়নি শিল
০১ আগস্ট ২০২৪এক সময় হলিউডের সবচেয়ে জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা জিম ক্যারি যেন আজ রহস্যময় এক নিঃসঙ্গ জীবনের প্রতীক। ‘দ্য মাস্ক’ ও ‘ডাম্ব অ্যান্ড ডাম্বার’-এর এই তারকা একসময় প্রতি সিনেমা থেকে ২ কোটি ডলার পারিশ্রমিক পেতেন। আর এখন তিনি প্রায় হারিয়ে গেছেন পর্দা থেকে।
৫ ঘণ্টা আগেএ্যাপোনিয়া নামের একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস থেকে শাড়ি নিয়ে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রচার করেননি বলে অভিযোগ উঠেছে তানজিন তিশার বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে এ্যাপোনিয়া কর্তৃপক্ষ। তবে তিশা জানান, শাড়িটি তিনি পেয়েছেন উপহার হিসেবে।
৭ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী নামিয়াকে বিয়ে করেছেন জেমস। নামিয়ার বাবা নুরুল আমিন আর মা নাহিদ আমিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। পারিবারিক সূত্রে যুক্তরাষ্ট্রেই বেড়ে উঠেছেন নামিয়া। সেখানে নৃত্যশিল্পী হিসেবেও পরিচিতি রয়েছে তাঁর।
১২ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
অভিনেত্রী তানজিন তিশার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন ঝিনুক নামের এক নারী উদ্যোক্তা। তিশার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এ্যাপোনিয়া নামের একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস থেকে শাড়ি নিয়ে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রচার করেননি। তবে তিশা জানান, শাড়িটি তিনি পেয়েছেন উপহার হিসেবে। এ্যাপোনিয়া ফ্যাশন পেজের এক্সিকিউটিভ মো. আমিনুল ইসলামের পক্ষে তিশাকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সলিমুল্লাহ সরকার
নোটিশে বলা হয়েছে, ‘শাড়িটি তিশার বাসায় পৌঁছে দেওয়ার পর তিনি একাধিকবার প্রমোশনের আশ্বাস দিলেও ১০ মাসেও তা করেননি; বরং ছয় মাস ধরে কোনো যোগাযোগও রাখেননি। উদ্যোক্তার দাবি, বিশ্বাস ভঙ্গ করে তিশা প্রতারণা করেছেন। উক্ত বিষয়টি বিভিন্ন অনলাইনসহ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হলে আপনি আপনার নামীয় ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডি থেকে লেখেন, ‘গিফট নিয়ে হয়ে গেলাম প্রতারক’, যা আপনার মতো দেশের পরিচিত অভিনেত্রীদের কাছ থেকে কাম্য নয় এবং বক্তব্যটি একাধারে মানহানিকর, কুরুচিপূর্ণ, বানোয়াট এবং সত্য গোপন করার ছলচাতুরী মাত্র।’
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, ৭ দিনের মধ্যে ২৮ হাজার ৮০০ টাকা শাড়ির মূল্য এবং ১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং প্রকাশ্যে মাফ চাইতে হবে তানজিন তিশাকে। অন্যথায়, তাঁর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দণ্ডবিধি অনুযায়ী মামলা করা হবে।
তানজিন তিশার বাসার ঠিকানায় ডাকযোগে এবং তিশার হোয়াটসঅ্যাপে আইনি নোটিশটি পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে এ্যাপোনিয়া কর্তৃপক্ষ। তবে এ নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেননি তানজিন তিশা।
অভিনেত্রী তানজিন তিশার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন ঝিনুক নামের এক নারী উদ্যোক্তা। তিশার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এ্যাপোনিয়া নামের একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস থেকে শাড়ি নিয়ে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রচার করেননি। তবে তিশা জানান, শাড়িটি তিনি পেয়েছেন উপহার হিসেবে। এ্যাপোনিয়া ফ্যাশন পেজের এক্সিকিউটিভ মো. আমিনুল ইসলামের পক্ষে তিশাকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সলিমুল্লাহ সরকার
নোটিশে বলা হয়েছে, ‘শাড়িটি তিশার বাসায় পৌঁছে দেওয়ার পর তিনি একাধিকবার প্রমোশনের আশ্বাস দিলেও ১০ মাসেও তা করেননি; বরং ছয় মাস ধরে কোনো যোগাযোগও রাখেননি। উদ্যোক্তার দাবি, বিশ্বাস ভঙ্গ করে তিশা প্রতারণা করেছেন। উক্ত বিষয়টি বিভিন্ন অনলাইনসহ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হলে আপনি আপনার নামীয় ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডি থেকে লেখেন, ‘গিফট নিয়ে হয়ে গেলাম প্রতারক’, যা আপনার মতো দেশের পরিচিত অভিনেত্রীদের কাছ থেকে কাম্য নয় এবং বক্তব্যটি একাধারে মানহানিকর, কুরুচিপূর্ণ, বানোয়াট এবং সত্য গোপন করার ছলচাতুরী মাত্র।’
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, ৭ দিনের মধ্যে ২৮ হাজার ৮০০ টাকা শাড়ির মূল্য এবং ১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং প্রকাশ্যে মাফ চাইতে হবে তানজিন তিশাকে। অন্যথায়, তাঁর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দণ্ডবিধি অনুযায়ী মামলা করা হবে।
তানজিন তিশার বাসার ঠিকানায় ডাকযোগে এবং তিশার হোয়াটসঅ্যাপে আইনি নোটিশটি পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে এ্যাপোনিয়া কর্তৃপক্ষ। তবে এ নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেননি তানজিন তিশা।
চলমান ছাত্র আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে ‘দৃশ্যমাধ্যম শিল্পীসমাজ’-এর ব্যানারে রাজপথে নামেন চলচ্চিত্র, আলোকচিত্র, থিয়েটারসহ শোবিজের নানা অঙ্গনের কর্মীরা। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী বেলা ১১টায় জাতীয় সংসদ ভবনের সামনের রাস্তায় মানববন্ধন করার কথা থাকলেও ভিন্ন একটি দলের কর্মসূচি চলমান থাকায় সেখানে দাঁড়ানো সম্ভব হয়নি শিল
০১ আগস্ট ২০২৪এক সময় হলিউডের সবচেয়ে জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা জিম ক্যারি যেন আজ রহস্যময় এক নিঃসঙ্গ জীবনের প্রতীক। ‘দ্য মাস্ক’ ও ‘ডাম্ব অ্যান্ড ডাম্বার’-এর এই তারকা একসময় প্রতি সিনেমা থেকে ২ কোটি ডলার পারিশ্রমিক পেতেন। আর এখন তিনি প্রায় হারিয়ে গেছেন পর্দা থেকে।
৫ ঘণ্টা আগেনদীপাড়ের মানুষের প্রেম-ভালোবাসা আর টানাপোড়েনের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ইংরেজি ভাষার সিনেমা ‘ডট’। বানিয়েছেন বড়ুয়া সুনন্দা কাঁকন। গত ৫ সেপ্টেম্বর দেশের হলে মুক্তি পেয়েছিল সিনেমাটি। এবার মুক্তি পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে।
৭ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী নামিয়াকে বিয়ে করেছেন জেমস। নামিয়ার বাবা নুরুল আমিন আর মা নাহিদ আমিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। পারিবারিক সূত্রে যুক্তরাষ্ট্রেই বেড়ে উঠেছেন নামিয়া। সেখানে নৃত্যশিল্পী হিসেবেও পরিচিতি রয়েছে তাঁর।
১২ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
১১ বছর আগে দ্বিতীয় স্ত্রী বেনজির সাজ্জাদের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমসের। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী নামিয়া আমিনকে বিয়ে করেছেন তিনি। বিচ্ছেদের মতো নতুন বিয়ের খবরও এত দিন গোপন রেখেছিলেন জেমস। এ বছর জুনে নতুন সংসারে জন্ম নেয় পুত্রসন্তান। সন্তান জন্মের চার মাস পর নতুন বিয়ের খবর জানালেন জেমস।
নামিয়ার বাবা নুরুল আমিন আর মা নাহিদ আমিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। পারিবারিক সূত্রে যুক্তরাষ্ট্রেই বেড়ে উঠেছেন নামিয়া। সেখানে নৃত্যশিল্পী হিসেবেও পরিচিতি রয়েছে তাঁর। জেমস-নামিয়ার পরিচয় ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে। জেমস তখন যুক্তরাষ্ট্রে সংগীত সফর করছিলেন। লস অ্যাঞ্জেলেসের শোতে নামিয়ার সঙ্গে পরিচয় হয়। সেই পরিচয় থেকে বাড়ে ঘনিষ্ঠতা। যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে জেমস ফিরে আসেন বাংলাদেশে। কিছুদিন যেতেই মনের টানে নামিয়া ছুটে আসেন বাংলাদেশে। ২০২৪ সালের ১২ জুন বিয়ে করেন তাঁরা।
বিয়ের পর থেকে জেমসের ঢাকার বনানীর বাসায় বাস করছেন জেমস ও নামিয়া। এ বছরের ৮ জুন নিউইয়র্কের হান্টিং টং হাসপাতালে জন্ম হয় তাঁদের পুত্রসন্তানের। ছেলের নাম রাখা হয়েছে জিবরান আনাম।
নতুন জীবন নিয়ে জেমস বলেন, ‘আল্লাহর অশেষ কৃপায় ভালো আছি। যত দিন বাঁচি, যেন গান গেয়ে যেতে পারি। দোয়া চাই সবার কাছে। সবাই আমাকে প্রার্থনায় রাখবেন।’
এর আগে ১৯৯১ সালে চিত্রনায়িকা রথিকে এবং ২০০২ সালে বেনজিরকে বিয়ে করেন জেমস। রথির সঙ্গে জেমসের বিচ্ছেদ হয় ২০০৩ সালে এবং বেনজিরের সঙ্গে ২০১৪ সালে। রথির ঘরে রয়েছে জেমসের এক ছেলে দানিশ ও এক মেয়ে জান্নাত। বেনজিরের ঘরে এক মেয়ে জাহান।
জেমসের ম্যানেজার রুবাইয়াৎ ঠাকুর রবিন জানিয়েছেন, বেনজির তাঁদের একমাত্র মেয়ে জাহানকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে স্থায়ীভাবে বসবাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আর জেমস কোনোভাবেই গান আর দেশ ছাড়বেন না। তাই সমঝোতার ভিত্তিতে জেমস ও বেনজির বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন।
১১ বছর আগে দ্বিতীয় স্ত্রী বেনজির সাজ্জাদের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমসের। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী নামিয়া আমিনকে বিয়ে করেছেন তিনি। বিচ্ছেদের মতো নতুন বিয়ের খবরও এত দিন গোপন রেখেছিলেন জেমস। এ বছর জুনে নতুন সংসারে জন্ম নেয় পুত্রসন্তান। সন্তান জন্মের চার মাস পর নতুন বিয়ের খবর জানালেন জেমস।
নামিয়ার বাবা নুরুল আমিন আর মা নাহিদ আমিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। পারিবারিক সূত্রে যুক্তরাষ্ট্রেই বেড়ে উঠেছেন নামিয়া। সেখানে নৃত্যশিল্পী হিসেবেও পরিচিতি রয়েছে তাঁর। জেমস-নামিয়ার পরিচয় ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে। জেমস তখন যুক্তরাষ্ট্রে সংগীত সফর করছিলেন। লস অ্যাঞ্জেলেসের শোতে নামিয়ার সঙ্গে পরিচয় হয়। সেই পরিচয় থেকে বাড়ে ঘনিষ্ঠতা। যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে জেমস ফিরে আসেন বাংলাদেশে। কিছুদিন যেতেই মনের টানে নামিয়া ছুটে আসেন বাংলাদেশে। ২০২৪ সালের ১২ জুন বিয়ে করেন তাঁরা।
বিয়ের পর থেকে জেমসের ঢাকার বনানীর বাসায় বাস করছেন জেমস ও নামিয়া। এ বছরের ৮ জুন নিউইয়র্কের হান্টিং টং হাসপাতালে জন্ম হয় তাঁদের পুত্রসন্তানের। ছেলের নাম রাখা হয়েছে জিবরান আনাম।
নতুন জীবন নিয়ে জেমস বলেন, ‘আল্লাহর অশেষ কৃপায় ভালো আছি। যত দিন বাঁচি, যেন গান গেয়ে যেতে পারি। দোয়া চাই সবার কাছে। সবাই আমাকে প্রার্থনায় রাখবেন।’
এর আগে ১৯৯১ সালে চিত্রনায়িকা রথিকে এবং ২০০২ সালে বেনজিরকে বিয়ে করেন জেমস। রথির সঙ্গে জেমসের বিচ্ছেদ হয় ২০০৩ সালে এবং বেনজিরের সঙ্গে ২০১৪ সালে। রথির ঘরে রয়েছে জেমসের এক ছেলে দানিশ ও এক মেয়ে জান্নাত। বেনজিরের ঘরে এক মেয়ে জাহান।
জেমসের ম্যানেজার রুবাইয়াৎ ঠাকুর রবিন জানিয়েছেন, বেনজির তাঁদের একমাত্র মেয়ে জাহানকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে স্থায়ীভাবে বসবাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আর জেমস কোনোভাবেই গান আর দেশ ছাড়বেন না। তাই সমঝোতার ভিত্তিতে জেমস ও বেনজির বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন।
চলমান ছাত্র আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে ‘দৃশ্যমাধ্যম শিল্পীসমাজ’-এর ব্যানারে রাজপথে নামেন চলচ্চিত্র, আলোকচিত্র, থিয়েটারসহ শোবিজের নানা অঙ্গনের কর্মীরা। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী বেলা ১১টায় জাতীয় সংসদ ভবনের সামনের রাস্তায় মানববন্ধন করার কথা থাকলেও ভিন্ন একটি দলের কর্মসূচি চলমান থাকায় সেখানে দাঁড়ানো সম্ভব হয়নি শিল
০১ আগস্ট ২০২৪এক সময় হলিউডের সবচেয়ে জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা জিম ক্যারি যেন আজ রহস্যময় এক নিঃসঙ্গ জীবনের প্রতীক। ‘দ্য মাস্ক’ ও ‘ডাম্ব অ্যান্ড ডাম্বার’-এর এই তারকা একসময় প্রতি সিনেমা থেকে ২ কোটি ডলার পারিশ্রমিক পেতেন। আর এখন তিনি প্রায় হারিয়ে গেছেন পর্দা থেকে।
৫ ঘণ্টা আগেনদীপাড়ের মানুষের প্রেম-ভালোবাসা আর টানাপোড়েনের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ইংরেজি ভাষার সিনেমা ‘ডট’। বানিয়েছেন বড়ুয়া সুনন্দা কাঁকন। গত ৫ সেপ্টেম্বর দেশের হলে মুক্তি পেয়েছিল সিনেমাটি। এবার মুক্তি পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে।
৭ ঘণ্টা আগেএ্যাপোনিয়া নামের একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস থেকে শাড়ি নিয়ে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রচার করেননি বলে অভিযোগ উঠেছে তানজিন তিশার বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে এ্যাপোনিয়া কর্তৃপক্ষ। তবে তিশা জানান, শাড়িটি তিনি পেয়েছেন উপহার হিসেবে।
৭ ঘণ্টা আগে