মিনহাজ তুহিন
প্রশ্ন: উপাচার্যের দায়িত্ব নিয়ে কোন বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন?
উত্তর: দায়িত্ব নিয়ে প্রথমে চোখ রেখেছিলাম কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মান উন্নয়ন করা যায়। কীভাবে র্যাঙ্কিংয়ে যেতে পারি, গবেষণার পরিধি বাড়াতে পারি। পাশাপাশি বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছি। এর মাধ্যমে সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আমাদের এখানে আসবে, আমাদের শিক্ষার্থীরা তাদের ক্যাম্পাসে যাবে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের আবাসন-সংকট নিরসনের জন্য বেশ কয়েকটি হল উদ্বোধন করেছি।
প্রশ্ন: দেড় যুগ ধরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী আসছে না। সে বিষয়ে কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন?
উত্তর: আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়, সে জন্য বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। একটা কমিটি গঠন করেছি। একটি আন্তর্জাতিক অফিসও খুলব। যে অফিসে বিদেশি শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের তথ্য পাবে। বিদেশি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আবাসনের জন্য আন্তর্জাতিক অতিথি ভবনও তৈরি হচ্ছে। এ ছাড়া আমাদের ওয়েবসাইটও হালনাগাদ করা হচ্ছে।
আমরা গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়িয়েছি। শিক্ষার্থীদের গবেষণায় উদ্বুদ্ধ করতে কাজ করে যাচ্ছি। গবেষণায় আমাদের শিক্ষকেরা ওপরের দিকে আছেন।
প্রশ্ন: সমাবর্তনের দাবিটি বেশ জোরালো। আপনি বেশ কয়েকবার আশ্বাসও দিয়েছেন। সমাবর্তনের বিষয়ে চিন্তাভাবনা কী?
উত্তর: দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সমাবর্তন আয়োজনের জন্য বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। বিভিন্ন কারণে তা সম্ভব হয়নি। সমাবর্তন আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। আশা করছি আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে সমাবর্তন আয়োজন করতে পারব।
প্রশ্ন: শিক্ষার্থীদের গবেষণামুখী করতে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে?
উত্তর: শিক্ষার্থীদের গবেষণামুখী করতে আমাদের উদ্যোগ অবশ্যই আছে। সব বিভাগে শিক্ষার্থীদের গবেষণা করার সুযোগ আছে। শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের বিভিন্ন প্রজেক্টে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে। তাদের আরও বেশি গবেষণামুখী করতে কার্যকর উদ্যোগ নেব।
প্রশ্ন: বর্তমান জাতীয় উন্নয়নে এই বিশ্ববিদ্যালয় কতটা অবদান রাখছে বলে আপনি মনে করেন?
উত্তর: জাতীয় উন্নয়নে আমাদের ছেলেমেয়েরাই তো কাজ করছে। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীরা বের হয়ে মন্ত্রণালয়ের সচিব, কর্মকর্তা-কর্মচারী হয়েছে। বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা প্রতিনিধিত্ব করছে। তারা সততার সঙ্গে, সম্মানের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটরা তাদের শ্রম ও মেধা দিয়ে জাতীয় উন্নয়নে বিশাল অবদান রেখে চলছে।
প্রশ্ন: বছরের পর বছর শিক্ষার্থী বাড়লেও শাটল ট্রেনের আসন বাড়ছে না। শাটল ট্রেন বাড়ানোর বিষয়ে কোনো সুখবর আছে?
উত্তর: কয়েক দিন আগে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে শাটল ট্রেনের সমস্যার কথা জানিয়েছি। সম্প্রতি রেলপথ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতির কাছে একটি নতুন ট্রেন ও বিদ্যমান ট্রেনে উন্নত মানের বগি চেয়ে আবেদন জমা দিয়েছি। পাশাপাশি শাটল ট্রেনে পাওয়ার কার সংযুক্ত করে ফ্যান ও লাইট চালানোর ব্যবস্থা করতে বলেছি। একই চিঠি রেলমন্ত্রীকেও পাঠিয়েছি। তাঁরা শিগগির এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন।
প্রশ্ন: বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ ভাবনা কী?
উত্তর: বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ভবিষ্যৎ ভাবনা হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। বিশ্ববিদ্যালয়কে যাতে র্যাঙ্কিংয়ে নিয়ে যেতে পারি, গবেষণা বাড়াতে পারি, সে জন্য কাজ করছি। গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়িয়েছি। শিক্ষার্থীদের গবেষণায় উদ্বুদ্ধ করতে কাজ করে যাচ্ছি। গবেষণায় আমাদের শিক্ষকেরা ওপরের দিকে আছেন। আমরা দক্ষ জনশক্তি তৈরি করে যাচ্ছি, যারা দেশের উন্নয়নে কাজ করবে। আমাদের বিজ্ঞান মেলা হচ্ছে, গবেষণা মেলা হচ্ছে। এসব কার্যক্রম আরও বেশি করে করব।
প্রশ্ন: শিক্ষার্থীদের প্রতি আপনার পরামর্শ কী?
উত্তর: শিক্ষার্থীদের প্রতি আমার পরামর্শ থাকবে, তোমরা পড়াশোনা করবে, নিয়মিত ক্লাস করবে, রাজনীতি-সচেতন হবে। তোমরা মানবিক হবে। কোনো অপরাজনীতির সঙ্গে তোমরা জড়িত হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়টা তোমাদেরই। তোমরাই একে দেখাশোনা করবে।
প্রত্যাশা পূরণ হোক
গতকাল ছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ৫৭ বছরের দীর্ঘ পথচলায় বিশ্ববিদ্যালয়টি সমৃদ্ধ করেছে দেশকে। নিজেদের প্রতিষ্ঠান নিয়ে কী ভাবছেন শিক্ষার্থীরা? কয়েকজন শিক্ষার্থী জানিয়েছেন তাঁদের প্রত্যাশার কথা।
অতিসত্বর সমাবর্তন চাই
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সব ধরনের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলাদা মাত্রা পাবে, শিক্ষা ও গবেষণায় শীর্ষে অবস্থান করবে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন কারণে পিছিয়ে থাকে। এদিকটায় সবার নজর দেওয়া উচিত।
নান্দনিক এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নানান জায়গায় ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এ ধরনের পরিবেশ মানানসই নয়। এসব বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত। কারণ, এর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতাও জড়িত। এখন পর্যন্ত আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে চারটি সমাবর্তন হয়েছে। যে বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৬৬ সালে স্থাপিত, এর শিক্ষার্থীদের জন্য অতিসত্বর একটি সমাবর্তন কাম্য।
সুমাইয়া ইসলাম, বাংলা বিভাগ
স্বাস্থ্যকর খাবার ও নিরাপত্তা চাই
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আছে নিজস্ব জাদুঘর, শাটল ট্রেন ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের হাতছানি। তবু কিছু আক্ষেপ আছে। ক্যাম্পাসে নেই টিএসসি, যেখানে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো এক ছাদের নিচে কাজ করবে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শতভাগ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন-সুবিধা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। ক্যাম্পাসে অস্বাস্থ্যকর খাবার অতিরিক্ত দামে বিক্রি করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উচিত শিক্ষার্থীদের জন্য স্বল্পমূল্যে স্বাস্থ্যকর খাবারের ব্যবস্থা করা। বিশাল ক্যাম্পাসের অনেক জায়গায় ঘুরতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা স্থানীয় দুর্বৃত্তদের হাতে ছিনতাইসহ বিভিন্ন সমস্যার শিকার হয়। স্বপ্ন দেখি, বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বত্র থাকবে শিক্ষার্থীদের অবাধ বিচরণ।
বর্ণিক বৈশ্য, অর্থনীতি বিভাগ
সব ধরনের অসংগতি দূর হোক
জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি এখানে মুক্তবুদ্ধি চর্চার সুযোগ পেয়েছি, সুস্থ সংস্কৃতিচর্চার মাধ্যমে নিজেকে ঋদ্ধ করতে পেরেছি। বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে আদতেই দুহাত উজাড় করে দিয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয় আমার অনির্বচনীয় ভালোবাসার আবেগ। তবে দেশের স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের গর্বিত শিক্ষার্থী হওয়ার যে মানসিক প্রশান্তি, তা নিমেষেই উবে যায় নানান অসংগতি দেখা দিলে। প্রত্যাশা করি, সেসব অসংগতি কাটিয়ে উঠবে কোনো একদিন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে যে জ্ঞান, গবেষণা ও প্রজ্ঞার আলো সৃষ্টি হয়েছে, তার দ্যুতি ছড়িয়ে পড়ুক দেশে-বিদেশে।
উম্মে সালমা নিঝুম, উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগ
আবাসিক সংকট দূর করতে হবে
২৮ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর স্বপ্নপূরণের তীর্থভূমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে প্রত্যাশা করছি, অবকাঠামোগত, আবাসিক সংকট, শাটল ট্রেনে বগি বৃদ্ধি, খাবারের মান, সেশনজটসহ যাবতীয় প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বদরবারে প্রতিষ্ঠিত হবে নতুন আঙ্গিকে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের আধুনিকায়ন দরকার। এতে শিক্ষার্থীরা লাইব্রেরিমুখী হবে। এর সঙ্গে ব্যাংকিংব্যবস্থাও আধুনিক করতে হবে। শিক্ষা সহায়ক কার্যক্রম, গবেষণা ও স্বকীয় গুণাবলিতে দেশ-বিদেশে অনন্য হয়ে উঠুক আমাদের প্রাণের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
অমিত ইবনে হাসান, ব্যবস্থাপনা বিভাগ
প্রশ্ন: উপাচার্যের দায়িত্ব নিয়ে কোন বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন?
উত্তর: দায়িত্ব নিয়ে প্রথমে চোখ রেখেছিলাম কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মান উন্নয়ন করা যায়। কীভাবে র্যাঙ্কিংয়ে যেতে পারি, গবেষণার পরিধি বাড়াতে পারি। পাশাপাশি বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছি। এর মাধ্যমে সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আমাদের এখানে আসবে, আমাদের শিক্ষার্থীরা তাদের ক্যাম্পাসে যাবে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের আবাসন-সংকট নিরসনের জন্য বেশ কয়েকটি হল উদ্বোধন করেছি।
প্রশ্ন: দেড় যুগ ধরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী আসছে না। সে বিষয়ে কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন?
উত্তর: আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়, সে জন্য বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। একটা কমিটি গঠন করেছি। একটি আন্তর্জাতিক অফিসও খুলব। যে অফিসে বিদেশি শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের তথ্য পাবে। বিদেশি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আবাসনের জন্য আন্তর্জাতিক অতিথি ভবনও তৈরি হচ্ছে। এ ছাড়া আমাদের ওয়েবসাইটও হালনাগাদ করা হচ্ছে।
আমরা গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়িয়েছি। শিক্ষার্থীদের গবেষণায় উদ্বুদ্ধ করতে কাজ করে যাচ্ছি। গবেষণায় আমাদের শিক্ষকেরা ওপরের দিকে আছেন।
প্রশ্ন: সমাবর্তনের দাবিটি বেশ জোরালো। আপনি বেশ কয়েকবার আশ্বাসও দিয়েছেন। সমাবর্তনের বিষয়ে চিন্তাভাবনা কী?
উত্তর: দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সমাবর্তন আয়োজনের জন্য বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। বিভিন্ন কারণে তা সম্ভব হয়নি। সমাবর্তন আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। আশা করছি আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে সমাবর্তন আয়োজন করতে পারব।
প্রশ্ন: শিক্ষার্থীদের গবেষণামুখী করতে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে?
উত্তর: শিক্ষার্থীদের গবেষণামুখী করতে আমাদের উদ্যোগ অবশ্যই আছে। সব বিভাগে শিক্ষার্থীদের গবেষণা করার সুযোগ আছে। শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের বিভিন্ন প্রজেক্টে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে। তাদের আরও বেশি গবেষণামুখী করতে কার্যকর উদ্যোগ নেব।
প্রশ্ন: বর্তমান জাতীয় উন্নয়নে এই বিশ্ববিদ্যালয় কতটা অবদান রাখছে বলে আপনি মনে করেন?
উত্তর: জাতীয় উন্নয়নে আমাদের ছেলেমেয়েরাই তো কাজ করছে। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীরা বের হয়ে মন্ত্রণালয়ের সচিব, কর্মকর্তা-কর্মচারী হয়েছে। বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা প্রতিনিধিত্ব করছে। তারা সততার সঙ্গে, সম্মানের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটরা তাদের শ্রম ও মেধা দিয়ে জাতীয় উন্নয়নে বিশাল অবদান রেখে চলছে।
প্রশ্ন: বছরের পর বছর শিক্ষার্থী বাড়লেও শাটল ট্রেনের আসন বাড়ছে না। শাটল ট্রেন বাড়ানোর বিষয়ে কোনো সুখবর আছে?
উত্তর: কয়েক দিন আগে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে শাটল ট্রেনের সমস্যার কথা জানিয়েছি। সম্প্রতি রেলপথ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতির কাছে একটি নতুন ট্রেন ও বিদ্যমান ট্রেনে উন্নত মানের বগি চেয়ে আবেদন জমা দিয়েছি। পাশাপাশি শাটল ট্রেনে পাওয়ার কার সংযুক্ত করে ফ্যান ও লাইট চালানোর ব্যবস্থা করতে বলেছি। একই চিঠি রেলমন্ত্রীকেও পাঠিয়েছি। তাঁরা শিগগির এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন।
প্রশ্ন: বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ ভাবনা কী?
উত্তর: বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ভবিষ্যৎ ভাবনা হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। বিশ্ববিদ্যালয়কে যাতে র্যাঙ্কিংয়ে নিয়ে যেতে পারি, গবেষণা বাড়াতে পারি, সে জন্য কাজ করছি। গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়িয়েছি। শিক্ষার্থীদের গবেষণায় উদ্বুদ্ধ করতে কাজ করে যাচ্ছি। গবেষণায় আমাদের শিক্ষকেরা ওপরের দিকে আছেন। আমরা দক্ষ জনশক্তি তৈরি করে যাচ্ছি, যারা দেশের উন্নয়নে কাজ করবে। আমাদের বিজ্ঞান মেলা হচ্ছে, গবেষণা মেলা হচ্ছে। এসব কার্যক্রম আরও বেশি করে করব।
প্রশ্ন: শিক্ষার্থীদের প্রতি আপনার পরামর্শ কী?
উত্তর: শিক্ষার্থীদের প্রতি আমার পরামর্শ থাকবে, তোমরা পড়াশোনা করবে, নিয়মিত ক্লাস করবে, রাজনীতি-সচেতন হবে। তোমরা মানবিক হবে। কোনো অপরাজনীতির সঙ্গে তোমরা জড়িত হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়টা তোমাদেরই। তোমরাই একে দেখাশোনা করবে।
প্রত্যাশা পূরণ হোক
গতকাল ছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ৫৭ বছরের দীর্ঘ পথচলায় বিশ্ববিদ্যালয়টি সমৃদ্ধ করেছে দেশকে। নিজেদের প্রতিষ্ঠান নিয়ে কী ভাবছেন শিক্ষার্থীরা? কয়েকজন শিক্ষার্থী জানিয়েছেন তাঁদের প্রত্যাশার কথা।
অতিসত্বর সমাবর্তন চাই
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সব ধরনের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলাদা মাত্রা পাবে, শিক্ষা ও গবেষণায় শীর্ষে অবস্থান করবে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন কারণে পিছিয়ে থাকে। এদিকটায় সবার নজর দেওয়া উচিত।
নান্দনিক এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নানান জায়গায় ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এ ধরনের পরিবেশ মানানসই নয়। এসব বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত। কারণ, এর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতাও জড়িত। এখন পর্যন্ত আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে চারটি সমাবর্তন হয়েছে। যে বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৬৬ সালে স্থাপিত, এর শিক্ষার্থীদের জন্য অতিসত্বর একটি সমাবর্তন কাম্য।
সুমাইয়া ইসলাম, বাংলা বিভাগ
স্বাস্থ্যকর খাবার ও নিরাপত্তা চাই
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আছে নিজস্ব জাদুঘর, শাটল ট্রেন ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের হাতছানি। তবু কিছু আক্ষেপ আছে। ক্যাম্পাসে নেই টিএসসি, যেখানে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো এক ছাদের নিচে কাজ করবে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শতভাগ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন-সুবিধা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। ক্যাম্পাসে অস্বাস্থ্যকর খাবার অতিরিক্ত দামে বিক্রি করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উচিত শিক্ষার্থীদের জন্য স্বল্পমূল্যে স্বাস্থ্যকর খাবারের ব্যবস্থা করা। বিশাল ক্যাম্পাসের অনেক জায়গায় ঘুরতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা স্থানীয় দুর্বৃত্তদের হাতে ছিনতাইসহ বিভিন্ন সমস্যার শিকার হয়। স্বপ্ন দেখি, বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বত্র থাকবে শিক্ষার্থীদের অবাধ বিচরণ।
বর্ণিক বৈশ্য, অর্থনীতি বিভাগ
সব ধরনের অসংগতি দূর হোক
জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি এখানে মুক্তবুদ্ধি চর্চার সুযোগ পেয়েছি, সুস্থ সংস্কৃতিচর্চার মাধ্যমে নিজেকে ঋদ্ধ করতে পেরেছি। বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে আদতেই দুহাত উজাড় করে দিয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয় আমার অনির্বচনীয় ভালোবাসার আবেগ। তবে দেশের স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের গর্বিত শিক্ষার্থী হওয়ার যে মানসিক প্রশান্তি, তা নিমেষেই উবে যায় নানান অসংগতি দেখা দিলে। প্রত্যাশা করি, সেসব অসংগতি কাটিয়ে উঠবে কোনো একদিন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে যে জ্ঞান, গবেষণা ও প্রজ্ঞার আলো সৃষ্টি হয়েছে, তার দ্যুতি ছড়িয়ে পড়ুক দেশে-বিদেশে।
উম্মে সালমা নিঝুম, উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগ
আবাসিক সংকট দূর করতে হবে
২৮ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর স্বপ্নপূরণের তীর্থভূমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে প্রত্যাশা করছি, অবকাঠামোগত, আবাসিক সংকট, শাটল ট্রেনে বগি বৃদ্ধি, খাবারের মান, সেশনজটসহ যাবতীয় প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বদরবারে প্রতিষ্ঠিত হবে নতুন আঙ্গিকে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের আধুনিকায়ন দরকার। এতে শিক্ষার্থীরা লাইব্রেরিমুখী হবে। এর সঙ্গে ব্যাংকিংব্যবস্থাও আধুনিক করতে হবে। শিক্ষা সহায়ক কার্যক্রম, গবেষণা ও স্বকীয় গুণাবলিতে দেশ-বিদেশে অনন্য হয়ে উঠুক আমাদের প্রাণের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
অমিত ইবনে হাসান, ব্যবস্থাপনা বিভাগ
যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ স্কলারশিপ-২০২৬ আবেদন শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা অর্থায়িত বৃত্তিটির আওতায় বিশ্ববিদ্যাল থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ইংল্যান্ডের কেমব্রিজ শহরে...
১ ঘণ্টা আগেগুচ্ছভুক্ত ১৯টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (জিএসটি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষে চূড়ান্ত ভর্তিপ্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে ৩ আগস্ট। যা চলবে ৭ আগস্ট পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যেই নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। আর ১১ আগস্ট থেকে সারা দেশ
১৫ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ ধসের ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। একইসঙ্গে এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন ইউজিসির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান।
২১ ঘণ্টা আগেজুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস এম এ ফায়েজ। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ১ম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে "July- beyond boundaries" শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে...
১ দিন আগে