আব্দুর রাজ্জাক খান, ঢাকা

মালয়েশিয়ার ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ও স্বনামধন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এটি বাংলাদেশে প্রথম বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে একটি শাখা ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে। ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে শাখা ক্যাম্পাস চালু করার জন্য ২০২২ সালে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ—উভয় সরকারের অনুমোদন লাভ করে। ফলে এটি বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক স্বীকৃত হয়। ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাস রাজধানী ঢাকার বনানীর বাণিজ্যিক এলাকায় অবস্থিত।
বর্তমানে এই ক্যাম্পাসে ৬টি ফ্যাকাল্টি চালু রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড লিবারেল আর্টস ফ্যাকাল্টি অন্যতম। এই ফ্যাকাল্টিতে দুটি ব্যাচেলর প্রোগ্রাম চালু রয়েছে—১. বিএ (অনার্স) মাস কমিউনিকেশন; ২. বিএ (অনার্স) সাইকোলজি।
এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক, গবেষণাবান্ধব ও দক্ষতামূলক শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করে, যা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাঁদের ক্যারিয়ার গড়তে সহায়ক। শিক্ষার্থীরা গবেষণা ও সৃজনশীল কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ পান। পাশাপাশি কৌশলগত অংশীদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগিতা এবং নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগও রয়েছে, যা তাঁদের দক্ষতা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ভিশন ও মিশন
ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বাস্তব দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যাতে তাঁরা কার্যকর পাঠ্যক্রম, বিষয়ভিত্তিক প্রকল্প, আন্তর্জাতিক একাডেমিক কর্মশালা, সেমিনার ও সম্মেলনে অংশ নিতে পারেন। এতে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক উৎকর্ষ অর্জনের পাশাপাশি তাঁদের লাভজনক ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ তৈরি হয়।
এ বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা এবং শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী পরিবেশ গড়ে তোলার মাধ্যমে জাতীয় ও বৈশ্বিক মানবসম্পদের চাহিদা পূরণ এবং আর্থসামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে
২০২৫ সালের কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংয়ে ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি ২৬৫তম, বিশ্বের শীর্ষ ১ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত। এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ৪৫তম, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ৯ম অবস্থানে রয়েছে। এ ছাড়া ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টি অব সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড লিবারেল আর্টস বিশ্বব্যাপী ১৩২তম স্থানে রয়েছে।
বিদেশি কারিকুলাম
মালয়েশিয়ার সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কোর্স কারিকুলাম ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাসে পড়ানো হয়। এখানে গণযোগাযোগ, সাংবাদিকতা, সম্প্রচারসহ প্রাসঙ্গিক প্রোগ্রামের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে মালয়েশিয়ার পার্লামেন্ট, রেডিও ও টেলিভিশন সম্প্রচার কেন্দ্র এবং শিল্প-ডিজাইন গ্যালারি পরিদর্শন ও কর্মশালায় অংশ নেওয়ার সুযোগ। এতে শিক্ষার্থীরা বাস্তবভিত্তিক শিক্ষার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন।
আধুনিক সুযোগ-সুবিধা
ঢাকার বনানীতে অবস্থিত ক্যাম্পাসটি ১৫ তলা এবং ৫০ হাজার বর্গফুটের বেশি জায়গা নিয়ে বিস্তৃত। এখানে রয়েছে গ্লোবাল স্মার্ট ক্লাসরুম ও ইন্টার্যাকটিভ লার্নিং সুবিধা; প্রযুক্তিগত গবেষণার আধুনিক ল্যাব; বিষয়ভিত্তিক বিশাল লাইব্রেরি ও অনলাইন লাইব্রেরির সুবিধা। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের শারীরিক, মানসিক সুস্থতার জন্য রয়েছে স্পোর্টস জোন; যেখানে তাঁরা খেলাধুলার সুযোগ পান। বিভিন্ন সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও ইভেন্ট আয়োজনে রয়েছে সুসজ্জিত হলরুম। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য রয়েছে বিশেষ টিচার্স এবং স্টুডেন্ট লাউঞ্জ। শিক্ষার্থীদের দেশি-বিদেশি সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত করাতে এবং নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশের সহায়তায় কারিকুলামের অন্তর্ভুক্ত মাল্টিকালচারাল ক্লাব অ্যাকটিভিটিজ যুক্ত করা হয়েছে।

ফ্যাকাল্টি অব সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড লিবারেল আর্টসের কারিকুলাম শিক্ষার্থীদের সোশ্যাল সায়েন্সের জ্ঞানের রাজ্যে প্রবেশ করাবে। আমরা চেষ্টা করছি এমন শিক্ষা দিতে, যা শিক্ষার্থীদের বিশ্লেষণী চিন্তা এবং সমালোচনামূলক দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করবে। আমাদের লক্ষ্য, শিক্ষার্থীরা যাতে নতুন ভাবনার সন্ধান পায়। আশা করি, এই বিভাগ থেকে শিক্ষার্থীরা তাঁদের শিক্ষার মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবেন।
অধ্যাপক ড. এ কে এনামুল হক, উপ-উপাচার্য, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা
ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুযোগ
শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে বিশ্বের শীর্ষ ১ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়সহ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া ও এশিয়ার নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুবিধা। মালয়েশিয়ায় অবস্থিত মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের সুযোগও রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অধিকাংশ শিক্ষক বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ও মাস্টার্স ডিগ্রি প্রাপ্ত এবং তাঁরা বৈশ্বিক শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত। তাঁরা বাস্তব অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ও শিল্প খাতের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত।
বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয়
বিদেশে উচ্চশিক্ষার ব্যয় অত্যন্ত বেশি, যা অনেক শিক্ষার্থীর জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের ডিগ্রি দিচ্ছে। বিদেশের তুলনায় প্রায় ৭০ শতাংশ পর্যন্ত সাশ্রয়ে। এর টিউশন ফি দেশের অন্যান্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় অনেক সাশ্রয়ী।
শতভাগ স্কলারশিপের সুযোগ
ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ স্কলারশিপ সুবিধা দিয়ে থাকে। ব্যাচেলর প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এসএসসি, এইচএসসি এবং ‘ও’ লেভেল ও ‘এ’ লেভেল ও সমমান পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে স্কলারশিপ দেওয়া হয়। মাস্টার্স প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাচেলর ডিগ্রির ফল ও প্লেসমেন্ট টেস্টের পারফরম্যান্স বিবেচনায় স্কলারশিপ দেওয়া হয়। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে এ বিশ্ববিদ্যালয় ৫ কোটি টাকার বেশি স্কলারশিপ ও বিশেষ শিক্ষা সহায়তা দিয়েছে, যা চলতি শিক্ষাবর্ষেও অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া বিশেষ সুবিধার মধ্যে রয়েছে একই পরিবারের একাধিক সদস্যের স্কলারশিপ, গরিব কিন্তু মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্যও বিশেষ সহায়তা; জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শনকারীদের জন্য রয়েছে বিশেষ শিক্ষা সহায়তার ব্যবস্থা।

আমাদের এই ফ্যাকাল্টির পাঠ্যক্রম বর্তমান বিশ্বের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সমস্যা সম্পর্কে ধারণা দিতে সাহায্য করবে। আমাদের লক্ষ্য, শিক্ষার্থীদের জটিলতা বিশ্লেষণের ক্ষমতা গড়ে তোলা। শিক্ষকদের অভিজ্ঞতা ও গবেষণার মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল চিন্তাকে উৎসাহিত করি। আশা করি, তারা নিজেদের সম্ভাবনা চেনার এবং বিকাশের পথে এগিয়ে যাবে। ভবিষ্যতের পরিবর্তনশীল নেতা হতে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করতে আমরা কাজ করছি।’
অধ্যাপক ড. বিজয় প্রসাদ বড়ুয়া, ডিন, সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড লিবারেল আর্টস, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা
উজ্জ্বল ক্যারিয়ারের সম্ভাবনা
মাস কমিউনিকেশন এবং মনস্তত্ত্বের ওপর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের মাধ্যমে কর্মজীবনে অসংখ্য সম্ভাবনার দুয়ার উন্মুক্ত হয়।
মাস কমিউনিকেশন: এ ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ রয়েছে সম্প্রচারমাধ্যম (টেলিভিশন, রেডিও), প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়া, ফটোজার্নালিজম, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি, মিডিয়া মার্কেটিং, প্রকাশনাশিল্প, বিজ্ঞাপন, পাবলিক রিলেশন, করপোরেট কমিউনিকেশন, ইভেন্ট ও ব্র্যান্ড ম্যানেজমেন্টের মতো খাতে। এ ছাড়া ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর, এডিটর, রাইটার, গবেষক, ফ্যাশন ফটোগ্রাফার, পাবলিক রিলেশন স্পেশালিস্ট, করপোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি অফিসার, কূটনৈতিক সেবা কর্মকর্তা এবং বিজ্ঞাপন প্রকল্প ব্যবস্থাপনায়ও মাস কমিউনিকেশন গ্র্যাজুয়েটদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
মনস্তত্ত্ব: আধুনিক জীবনে মানসিক স্বাস্থ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মনস্তত্ত্ব বিষয়ে ডিগ্রিধারীরা মনোচিকিৎসক, গবেষক, অধ্যাপক কিংবা হাসপাতাল, ক্লিনিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজের সুযোগ পেতে পারেন।
ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্বমানের শিক্ষা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সাশ্রয়ী টিউশন ফি, কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা এবং গবেষণার সুযোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতামূলক ক্যারিয়ার গড়তে শিল্প ও প্রযুক্তির সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করে বাস্তবভিত্তিক শিক্ষা দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

মালয়েশিয়ার ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ও স্বনামধন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এটি বাংলাদেশে প্রথম বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে একটি শাখা ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে। ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে শাখা ক্যাম্পাস চালু করার জন্য ২০২২ সালে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ—উভয় সরকারের অনুমোদন লাভ করে। ফলে এটি বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক স্বীকৃত হয়। ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাস রাজধানী ঢাকার বনানীর বাণিজ্যিক এলাকায় অবস্থিত।
বর্তমানে এই ক্যাম্পাসে ৬টি ফ্যাকাল্টি চালু রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড লিবারেল আর্টস ফ্যাকাল্টি অন্যতম। এই ফ্যাকাল্টিতে দুটি ব্যাচেলর প্রোগ্রাম চালু রয়েছে—১. বিএ (অনার্স) মাস কমিউনিকেশন; ২. বিএ (অনার্স) সাইকোলজি।
এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক, গবেষণাবান্ধব ও দক্ষতামূলক শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করে, যা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাঁদের ক্যারিয়ার গড়তে সহায়ক। শিক্ষার্থীরা গবেষণা ও সৃজনশীল কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ পান। পাশাপাশি কৌশলগত অংশীদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগিতা এবং নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগও রয়েছে, যা তাঁদের দক্ষতা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ভিশন ও মিশন
ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বাস্তব দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যাতে তাঁরা কার্যকর পাঠ্যক্রম, বিষয়ভিত্তিক প্রকল্প, আন্তর্জাতিক একাডেমিক কর্মশালা, সেমিনার ও সম্মেলনে অংশ নিতে পারেন। এতে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক উৎকর্ষ অর্জনের পাশাপাশি তাঁদের লাভজনক ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ তৈরি হয়।
এ বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা এবং শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী পরিবেশ গড়ে তোলার মাধ্যমে জাতীয় ও বৈশ্বিক মানবসম্পদের চাহিদা পূরণ এবং আর্থসামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে
২০২৫ সালের কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংয়ে ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি ২৬৫তম, বিশ্বের শীর্ষ ১ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত। এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ৪৫তম, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ৯ম অবস্থানে রয়েছে। এ ছাড়া ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টি অব সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড লিবারেল আর্টস বিশ্বব্যাপী ১৩২তম স্থানে রয়েছে।
বিদেশি কারিকুলাম
মালয়েশিয়ার সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কোর্স কারিকুলাম ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাসে পড়ানো হয়। এখানে গণযোগাযোগ, সাংবাদিকতা, সম্প্রচারসহ প্রাসঙ্গিক প্রোগ্রামের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে মালয়েশিয়ার পার্লামেন্ট, রেডিও ও টেলিভিশন সম্প্রচার কেন্দ্র এবং শিল্প-ডিজাইন গ্যালারি পরিদর্শন ও কর্মশালায় অংশ নেওয়ার সুযোগ। এতে শিক্ষার্থীরা বাস্তবভিত্তিক শিক্ষার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন।
আধুনিক সুযোগ-সুবিধা
ঢাকার বনানীতে অবস্থিত ক্যাম্পাসটি ১৫ তলা এবং ৫০ হাজার বর্গফুটের বেশি জায়গা নিয়ে বিস্তৃত। এখানে রয়েছে গ্লোবাল স্মার্ট ক্লাসরুম ও ইন্টার্যাকটিভ লার্নিং সুবিধা; প্রযুক্তিগত গবেষণার আধুনিক ল্যাব; বিষয়ভিত্তিক বিশাল লাইব্রেরি ও অনলাইন লাইব্রেরির সুবিধা। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের শারীরিক, মানসিক সুস্থতার জন্য রয়েছে স্পোর্টস জোন; যেখানে তাঁরা খেলাধুলার সুযোগ পান। বিভিন্ন সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও ইভেন্ট আয়োজনে রয়েছে সুসজ্জিত হলরুম। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য রয়েছে বিশেষ টিচার্স এবং স্টুডেন্ট লাউঞ্জ। শিক্ষার্থীদের দেশি-বিদেশি সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত করাতে এবং নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশের সহায়তায় কারিকুলামের অন্তর্ভুক্ত মাল্টিকালচারাল ক্লাব অ্যাকটিভিটিজ যুক্ত করা হয়েছে।

ফ্যাকাল্টি অব সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড লিবারেল আর্টসের কারিকুলাম শিক্ষার্থীদের সোশ্যাল সায়েন্সের জ্ঞানের রাজ্যে প্রবেশ করাবে। আমরা চেষ্টা করছি এমন শিক্ষা দিতে, যা শিক্ষার্থীদের বিশ্লেষণী চিন্তা এবং সমালোচনামূলক দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করবে। আমাদের লক্ষ্য, শিক্ষার্থীরা যাতে নতুন ভাবনার সন্ধান পায়। আশা করি, এই বিভাগ থেকে শিক্ষার্থীরা তাঁদের শিক্ষার মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবেন।
অধ্যাপক ড. এ কে এনামুল হক, উপ-উপাচার্য, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা
ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুযোগ
শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে বিশ্বের শীর্ষ ১ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়সহ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া ও এশিয়ার নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুবিধা। মালয়েশিয়ায় অবস্থিত মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের সুযোগও রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অধিকাংশ শিক্ষক বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ও মাস্টার্স ডিগ্রি প্রাপ্ত এবং তাঁরা বৈশ্বিক শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত। তাঁরা বাস্তব অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ও শিল্প খাতের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত।
বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয়
বিদেশে উচ্চশিক্ষার ব্যয় অত্যন্ত বেশি, যা অনেক শিক্ষার্থীর জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের ডিগ্রি দিচ্ছে। বিদেশের তুলনায় প্রায় ৭০ শতাংশ পর্যন্ত সাশ্রয়ে। এর টিউশন ফি দেশের অন্যান্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় অনেক সাশ্রয়ী।
শতভাগ স্কলারশিপের সুযোগ
ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ স্কলারশিপ সুবিধা দিয়ে থাকে। ব্যাচেলর প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এসএসসি, এইচএসসি এবং ‘ও’ লেভেল ও ‘এ’ লেভেল ও সমমান পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে স্কলারশিপ দেওয়া হয়। মাস্টার্স প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাচেলর ডিগ্রির ফল ও প্লেসমেন্ট টেস্টের পারফরম্যান্স বিবেচনায় স্কলারশিপ দেওয়া হয়। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে এ বিশ্ববিদ্যালয় ৫ কোটি টাকার বেশি স্কলারশিপ ও বিশেষ শিক্ষা সহায়তা দিয়েছে, যা চলতি শিক্ষাবর্ষেও অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া বিশেষ সুবিধার মধ্যে রয়েছে একই পরিবারের একাধিক সদস্যের স্কলারশিপ, গরিব কিন্তু মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্যও বিশেষ সহায়তা; জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শনকারীদের জন্য রয়েছে বিশেষ শিক্ষা সহায়তার ব্যবস্থা।

আমাদের এই ফ্যাকাল্টির পাঠ্যক্রম বর্তমান বিশ্বের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সমস্যা সম্পর্কে ধারণা দিতে সাহায্য করবে। আমাদের লক্ষ্য, শিক্ষার্থীদের জটিলতা বিশ্লেষণের ক্ষমতা গড়ে তোলা। শিক্ষকদের অভিজ্ঞতা ও গবেষণার মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল চিন্তাকে উৎসাহিত করি। আশা করি, তারা নিজেদের সম্ভাবনা চেনার এবং বিকাশের পথে এগিয়ে যাবে। ভবিষ্যতের পরিবর্তনশীল নেতা হতে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করতে আমরা কাজ করছি।’
অধ্যাপক ড. বিজয় প্রসাদ বড়ুয়া, ডিন, সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড লিবারেল আর্টস, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা
উজ্জ্বল ক্যারিয়ারের সম্ভাবনা
মাস কমিউনিকেশন এবং মনস্তত্ত্বের ওপর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের মাধ্যমে কর্মজীবনে অসংখ্য সম্ভাবনার দুয়ার উন্মুক্ত হয়।
মাস কমিউনিকেশন: এ ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ রয়েছে সম্প্রচারমাধ্যম (টেলিভিশন, রেডিও), প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়া, ফটোজার্নালিজম, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি, মিডিয়া মার্কেটিং, প্রকাশনাশিল্প, বিজ্ঞাপন, পাবলিক রিলেশন, করপোরেট কমিউনিকেশন, ইভেন্ট ও ব্র্যান্ড ম্যানেজমেন্টের মতো খাতে। এ ছাড়া ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর, এডিটর, রাইটার, গবেষক, ফ্যাশন ফটোগ্রাফার, পাবলিক রিলেশন স্পেশালিস্ট, করপোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি অফিসার, কূটনৈতিক সেবা কর্মকর্তা এবং বিজ্ঞাপন প্রকল্প ব্যবস্থাপনায়ও মাস কমিউনিকেশন গ্র্যাজুয়েটদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
মনস্তত্ত্ব: আধুনিক জীবনে মানসিক স্বাস্থ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মনস্তত্ত্ব বিষয়ে ডিগ্রিধারীরা মনোচিকিৎসক, গবেষক, অধ্যাপক কিংবা হাসপাতাল, ক্লিনিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজের সুযোগ পেতে পারেন।
ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্বমানের শিক্ষা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সাশ্রয়ী টিউশন ফি, কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা এবং গবেষণার সুযোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতামূলক ক্যারিয়ার গড়তে শিল্প ও প্রযুক্তির সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করে বাস্তবভিত্তিক শিক্ষা দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
আব্দুর রাজ্জাক খান, ঢাকা

মালয়েশিয়ার ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ও স্বনামধন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এটি বাংলাদেশে প্রথম বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে একটি শাখা ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে। ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে শাখা ক্যাম্পাস চালু করার জন্য ২০২২ সালে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ—উভয় সরকারের অনুমোদন লাভ করে। ফলে এটি বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক স্বীকৃত হয়। ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাস রাজধানী ঢাকার বনানীর বাণিজ্যিক এলাকায় অবস্থিত।
বর্তমানে এই ক্যাম্পাসে ৬টি ফ্যাকাল্টি চালু রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড লিবারেল আর্টস ফ্যাকাল্টি অন্যতম। এই ফ্যাকাল্টিতে দুটি ব্যাচেলর প্রোগ্রাম চালু রয়েছে—১. বিএ (অনার্স) মাস কমিউনিকেশন; ২. বিএ (অনার্স) সাইকোলজি।
এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক, গবেষণাবান্ধব ও দক্ষতামূলক শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করে, যা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাঁদের ক্যারিয়ার গড়তে সহায়ক। শিক্ষার্থীরা গবেষণা ও সৃজনশীল কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ পান। পাশাপাশি কৌশলগত অংশীদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগিতা এবং নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগও রয়েছে, যা তাঁদের দক্ষতা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ভিশন ও মিশন
ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বাস্তব দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যাতে তাঁরা কার্যকর পাঠ্যক্রম, বিষয়ভিত্তিক প্রকল্প, আন্তর্জাতিক একাডেমিক কর্মশালা, সেমিনার ও সম্মেলনে অংশ নিতে পারেন। এতে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক উৎকর্ষ অর্জনের পাশাপাশি তাঁদের লাভজনক ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ তৈরি হয়।
এ বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা এবং শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী পরিবেশ গড়ে তোলার মাধ্যমে জাতীয় ও বৈশ্বিক মানবসম্পদের চাহিদা পূরণ এবং আর্থসামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে
২০২৫ সালের কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংয়ে ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি ২৬৫তম, বিশ্বের শীর্ষ ১ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত। এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ৪৫তম, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ৯ম অবস্থানে রয়েছে। এ ছাড়া ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টি অব সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড লিবারেল আর্টস বিশ্বব্যাপী ১৩২তম স্থানে রয়েছে।
বিদেশি কারিকুলাম
মালয়েশিয়ার সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কোর্স কারিকুলাম ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাসে পড়ানো হয়। এখানে গণযোগাযোগ, সাংবাদিকতা, সম্প্রচারসহ প্রাসঙ্গিক প্রোগ্রামের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে মালয়েশিয়ার পার্লামেন্ট, রেডিও ও টেলিভিশন সম্প্রচার কেন্দ্র এবং শিল্প-ডিজাইন গ্যালারি পরিদর্শন ও কর্মশালায় অংশ নেওয়ার সুযোগ। এতে শিক্ষার্থীরা বাস্তবভিত্তিক শিক্ষার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন।
আধুনিক সুযোগ-সুবিধা
ঢাকার বনানীতে অবস্থিত ক্যাম্পাসটি ১৫ তলা এবং ৫০ হাজার বর্গফুটের বেশি জায়গা নিয়ে বিস্তৃত। এখানে রয়েছে গ্লোবাল স্মার্ট ক্লাসরুম ও ইন্টার্যাকটিভ লার্নিং সুবিধা; প্রযুক্তিগত গবেষণার আধুনিক ল্যাব; বিষয়ভিত্তিক বিশাল লাইব্রেরি ও অনলাইন লাইব্রেরির সুবিধা। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের শারীরিক, মানসিক সুস্থতার জন্য রয়েছে স্পোর্টস জোন; যেখানে তাঁরা খেলাধুলার সুযোগ পান। বিভিন্ন সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও ইভেন্ট আয়োজনে রয়েছে সুসজ্জিত হলরুম। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য রয়েছে বিশেষ টিচার্স এবং স্টুডেন্ট লাউঞ্জ। শিক্ষার্থীদের দেশি-বিদেশি সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত করাতে এবং নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশের সহায়তায় কারিকুলামের অন্তর্ভুক্ত মাল্টিকালচারাল ক্লাব অ্যাকটিভিটিজ যুক্ত করা হয়েছে।

ফ্যাকাল্টি অব সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড লিবারেল আর্টসের কারিকুলাম শিক্ষার্থীদের সোশ্যাল সায়েন্সের জ্ঞানের রাজ্যে প্রবেশ করাবে। আমরা চেষ্টা করছি এমন শিক্ষা দিতে, যা শিক্ষার্থীদের বিশ্লেষণী চিন্তা এবং সমালোচনামূলক দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করবে। আমাদের লক্ষ্য, শিক্ষার্থীরা যাতে নতুন ভাবনার সন্ধান পায়। আশা করি, এই বিভাগ থেকে শিক্ষার্থীরা তাঁদের শিক্ষার মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবেন।
অধ্যাপক ড. এ কে এনামুল হক, উপ-উপাচার্য, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা
ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুযোগ
শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে বিশ্বের শীর্ষ ১ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়সহ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া ও এশিয়ার নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুবিধা। মালয়েশিয়ায় অবস্থিত মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের সুযোগও রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অধিকাংশ শিক্ষক বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ও মাস্টার্স ডিগ্রি প্রাপ্ত এবং তাঁরা বৈশ্বিক শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত। তাঁরা বাস্তব অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ও শিল্প খাতের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত।
বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয়
বিদেশে উচ্চশিক্ষার ব্যয় অত্যন্ত বেশি, যা অনেক শিক্ষার্থীর জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের ডিগ্রি দিচ্ছে। বিদেশের তুলনায় প্রায় ৭০ শতাংশ পর্যন্ত সাশ্রয়ে। এর টিউশন ফি দেশের অন্যান্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় অনেক সাশ্রয়ী।
শতভাগ স্কলারশিপের সুযোগ
ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ স্কলারশিপ সুবিধা দিয়ে থাকে। ব্যাচেলর প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এসএসসি, এইচএসসি এবং ‘ও’ লেভেল ও ‘এ’ লেভেল ও সমমান পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে স্কলারশিপ দেওয়া হয়। মাস্টার্স প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাচেলর ডিগ্রির ফল ও প্লেসমেন্ট টেস্টের পারফরম্যান্স বিবেচনায় স্কলারশিপ দেওয়া হয়। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে এ বিশ্ববিদ্যালয় ৫ কোটি টাকার বেশি স্কলারশিপ ও বিশেষ শিক্ষা সহায়তা দিয়েছে, যা চলতি শিক্ষাবর্ষেও অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া বিশেষ সুবিধার মধ্যে রয়েছে একই পরিবারের একাধিক সদস্যের স্কলারশিপ, গরিব কিন্তু মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্যও বিশেষ সহায়তা; জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শনকারীদের জন্য রয়েছে বিশেষ শিক্ষা সহায়তার ব্যবস্থা।

আমাদের এই ফ্যাকাল্টির পাঠ্যক্রম বর্তমান বিশ্বের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সমস্যা সম্পর্কে ধারণা দিতে সাহায্য করবে। আমাদের লক্ষ্য, শিক্ষার্থীদের জটিলতা বিশ্লেষণের ক্ষমতা গড়ে তোলা। শিক্ষকদের অভিজ্ঞতা ও গবেষণার মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল চিন্তাকে উৎসাহিত করি। আশা করি, তারা নিজেদের সম্ভাবনা চেনার এবং বিকাশের পথে এগিয়ে যাবে। ভবিষ্যতের পরিবর্তনশীল নেতা হতে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করতে আমরা কাজ করছি।’
অধ্যাপক ড. বিজয় প্রসাদ বড়ুয়া, ডিন, সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড লিবারেল আর্টস, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা
উজ্জ্বল ক্যারিয়ারের সম্ভাবনা
মাস কমিউনিকেশন এবং মনস্তত্ত্বের ওপর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের মাধ্যমে কর্মজীবনে অসংখ্য সম্ভাবনার দুয়ার উন্মুক্ত হয়।
মাস কমিউনিকেশন: এ ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ রয়েছে সম্প্রচারমাধ্যম (টেলিভিশন, রেডিও), প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়া, ফটোজার্নালিজম, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি, মিডিয়া মার্কেটিং, প্রকাশনাশিল্প, বিজ্ঞাপন, পাবলিক রিলেশন, করপোরেট কমিউনিকেশন, ইভেন্ট ও ব্র্যান্ড ম্যানেজমেন্টের মতো খাতে। এ ছাড়া ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর, এডিটর, রাইটার, গবেষক, ফ্যাশন ফটোগ্রাফার, পাবলিক রিলেশন স্পেশালিস্ট, করপোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি অফিসার, কূটনৈতিক সেবা কর্মকর্তা এবং বিজ্ঞাপন প্রকল্প ব্যবস্থাপনায়ও মাস কমিউনিকেশন গ্র্যাজুয়েটদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
মনস্তত্ত্ব: আধুনিক জীবনে মানসিক স্বাস্থ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মনস্তত্ত্ব বিষয়ে ডিগ্রিধারীরা মনোচিকিৎসক, গবেষক, অধ্যাপক কিংবা হাসপাতাল, ক্লিনিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজের সুযোগ পেতে পারেন।
ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্বমানের শিক্ষা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সাশ্রয়ী টিউশন ফি, কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা এবং গবেষণার সুযোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতামূলক ক্যারিয়ার গড়তে শিল্প ও প্রযুক্তির সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করে বাস্তবভিত্তিক শিক্ষা দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

মালয়েশিয়ার ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ও স্বনামধন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এটি বাংলাদেশে প্রথম বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে একটি শাখা ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে। ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে শাখা ক্যাম্পাস চালু করার জন্য ২০২২ সালে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ—উভয় সরকারের অনুমোদন লাভ করে। ফলে এটি বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক স্বীকৃত হয়। ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাস রাজধানী ঢাকার বনানীর বাণিজ্যিক এলাকায় অবস্থিত।
বর্তমানে এই ক্যাম্পাসে ৬টি ফ্যাকাল্টি চালু রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড লিবারেল আর্টস ফ্যাকাল্টি অন্যতম। এই ফ্যাকাল্টিতে দুটি ব্যাচেলর প্রোগ্রাম চালু রয়েছে—১. বিএ (অনার্স) মাস কমিউনিকেশন; ২. বিএ (অনার্স) সাইকোলজি।
এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক, গবেষণাবান্ধব ও দক্ষতামূলক শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করে, যা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাঁদের ক্যারিয়ার গড়তে সহায়ক। শিক্ষার্থীরা গবেষণা ও সৃজনশীল কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ পান। পাশাপাশি কৌশলগত অংশীদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগিতা এবং নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগও রয়েছে, যা তাঁদের দক্ষতা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ভিশন ও মিশন
ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বাস্তব দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যাতে তাঁরা কার্যকর পাঠ্যক্রম, বিষয়ভিত্তিক প্রকল্প, আন্তর্জাতিক একাডেমিক কর্মশালা, সেমিনার ও সম্মেলনে অংশ নিতে পারেন। এতে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক উৎকর্ষ অর্জনের পাশাপাশি তাঁদের লাভজনক ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ তৈরি হয়।
এ বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা এবং শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী পরিবেশ গড়ে তোলার মাধ্যমে জাতীয় ও বৈশ্বিক মানবসম্পদের চাহিদা পূরণ এবং আর্থসামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে
২০২৫ সালের কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংয়ে ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি ২৬৫তম, বিশ্বের শীর্ষ ১ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত। এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ৪৫তম, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ৯ম অবস্থানে রয়েছে। এ ছাড়া ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টি অব সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড লিবারেল আর্টস বিশ্বব্যাপী ১৩২তম স্থানে রয়েছে।
বিদেশি কারিকুলাম
মালয়েশিয়ার সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কোর্স কারিকুলাম ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাসে পড়ানো হয়। এখানে গণযোগাযোগ, সাংবাদিকতা, সম্প্রচারসহ প্রাসঙ্গিক প্রোগ্রামের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে মালয়েশিয়ার পার্লামেন্ট, রেডিও ও টেলিভিশন সম্প্রচার কেন্দ্র এবং শিল্প-ডিজাইন গ্যালারি পরিদর্শন ও কর্মশালায় অংশ নেওয়ার সুযোগ। এতে শিক্ষার্থীরা বাস্তবভিত্তিক শিক্ষার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন।
আধুনিক সুযোগ-সুবিধা
ঢাকার বনানীতে অবস্থিত ক্যাম্পাসটি ১৫ তলা এবং ৫০ হাজার বর্গফুটের বেশি জায়গা নিয়ে বিস্তৃত। এখানে রয়েছে গ্লোবাল স্মার্ট ক্লাসরুম ও ইন্টার্যাকটিভ লার্নিং সুবিধা; প্রযুক্তিগত গবেষণার আধুনিক ল্যাব; বিষয়ভিত্তিক বিশাল লাইব্রেরি ও অনলাইন লাইব্রেরির সুবিধা। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের শারীরিক, মানসিক সুস্থতার জন্য রয়েছে স্পোর্টস জোন; যেখানে তাঁরা খেলাধুলার সুযোগ পান। বিভিন্ন সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও ইভেন্ট আয়োজনে রয়েছে সুসজ্জিত হলরুম। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য রয়েছে বিশেষ টিচার্স এবং স্টুডেন্ট লাউঞ্জ। শিক্ষার্থীদের দেশি-বিদেশি সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত করাতে এবং নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশের সহায়তায় কারিকুলামের অন্তর্ভুক্ত মাল্টিকালচারাল ক্লাব অ্যাকটিভিটিজ যুক্ত করা হয়েছে।

ফ্যাকাল্টি অব সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড লিবারেল আর্টসের কারিকুলাম শিক্ষার্থীদের সোশ্যাল সায়েন্সের জ্ঞানের রাজ্যে প্রবেশ করাবে। আমরা চেষ্টা করছি এমন শিক্ষা দিতে, যা শিক্ষার্থীদের বিশ্লেষণী চিন্তা এবং সমালোচনামূলক দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করবে। আমাদের লক্ষ্য, শিক্ষার্থীরা যাতে নতুন ভাবনার সন্ধান পায়। আশা করি, এই বিভাগ থেকে শিক্ষার্থীরা তাঁদের শিক্ষার মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবেন।
অধ্যাপক ড. এ কে এনামুল হক, উপ-উপাচার্য, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা
ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুযোগ
শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে বিশ্বের শীর্ষ ১ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়সহ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া ও এশিয়ার নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুবিধা। মালয়েশিয়ায় অবস্থিত মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের সুযোগও রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অধিকাংশ শিক্ষক বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ও মাস্টার্স ডিগ্রি প্রাপ্ত এবং তাঁরা বৈশ্বিক শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত। তাঁরা বাস্তব অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ও শিল্প খাতের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত।
বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয়
বিদেশে উচ্চশিক্ষার ব্যয় অত্যন্ত বেশি, যা অনেক শিক্ষার্থীর জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের ডিগ্রি দিচ্ছে। বিদেশের তুলনায় প্রায় ৭০ শতাংশ পর্যন্ত সাশ্রয়ে। এর টিউশন ফি দেশের অন্যান্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় অনেক সাশ্রয়ী।
শতভাগ স্কলারশিপের সুযোগ
ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ স্কলারশিপ সুবিধা দিয়ে থাকে। ব্যাচেলর প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এসএসসি, এইচএসসি এবং ‘ও’ লেভেল ও ‘এ’ লেভেল ও সমমান পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে স্কলারশিপ দেওয়া হয়। মাস্টার্স প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাচেলর ডিগ্রির ফল ও প্লেসমেন্ট টেস্টের পারফরম্যান্স বিবেচনায় স্কলারশিপ দেওয়া হয়। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে এ বিশ্ববিদ্যালয় ৫ কোটি টাকার বেশি স্কলারশিপ ও বিশেষ শিক্ষা সহায়তা দিয়েছে, যা চলতি শিক্ষাবর্ষেও অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া বিশেষ সুবিধার মধ্যে রয়েছে একই পরিবারের একাধিক সদস্যের স্কলারশিপ, গরিব কিন্তু মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্যও বিশেষ সহায়তা; জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শনকারীদের জন্য রয়েছে বিশেষ শিক্ষা সহায়তার ব্যবস্থা।

আমাদের এই ফ্যাকাল্টির পাঠ্যক্রম বর্তমান বিশ্বের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সমস্যা সম্পর্কে ধারণা দিতে সাহায্য করবে। আমাদের লক্ষ্য, শিক্ষার্থীদের জটিলতা বিশ্লেষণের ক্ষমতা গড়ে তোলা। শিক্ষকদের অভিজ্ঞতা ও গবেষণার মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল চিন্তাকে উৎসাহিত করি। আশা করি, তারা নিজেদের সম্ভাবনা চেনার এবং বিকাশের পথে এগিয়ে যাবে। ভবিষ্যতের পরিবর্তনশীল নেতা হতে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করতে আমরা কাজ করছি।’
অধ্যাপক ড. বিজয় প্রসাদ বড়ুয়া, ডিন, সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড লিবারেল আর্টস, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা
উজ্জ্বল ক্যারিয়ারের সম্ভাবনা
মাস কমিউনিকেশন এবং মনস্তত্ত্বের ওপর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের মাধ্যমে কর্মজীবনে অসংখ্য সম্ভাবনার দুয়ার উন্মুক্ত হয়।
মাস কমিউনিকেশন: এ ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ রয়েছে সম্প্রচারমাধ্যম (টেলিভিশন, রেডিও), প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়া, ফটোজার্নালিজম, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি, মিডিয়া মার্কেটিং, প্রকাশনাশিল্প, বিজ্ঞাপন, পাবলিক রিলেশন, করপোরেট কমিউনিকেশন, ইভেন্ট ও ব্র্যান্ড ম্যানেজমেন্টের মতো খাতে। এ ছাড়া ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর, এডিটর, রাইটার, গবেষক, ফ্যাশন ফটোগ্রাফার, পাবলিক রিলেশন স্পেশালিস্ট, করপোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি অফিসার, কূটনৈতিক সেবা কর্মকর্তা এবং বিজ্ঞাপন প্রকল্প ব্যবস্থাপনায়ও মাস কমিউনিকেশন গ্র্যাজুয়েটদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
মনস্তত্ত্ব: আধুনিক জীবনে মানসিক স্বাস্থ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মনস্তত্ত্ব বিষয়ে ডিগ্রিধারীরা মনোচিকিৎসক, গবেষক, অধ্যাপক কিংবা হাসপাতাল, ক্লিনিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজের সুযোগ পেতে পারেন।
ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্বমানের শিক্ষা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সাশ্রয়ী টিউশন ফি, কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা এবং গবেষণার সুযোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতামূলক ক্যারিয়ার গড়তে শিল্প ও প্রযুক্তির সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করে বাস্তবভিত্তিক শিক্ষা দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

বিশ্বের নানা প্রান্তের তরুণেরা যখন পরিবর্তনের স্বপ্নে ভবিষ্যৎ গড়ছেন, তখন সেই স্বপ্নবাজদের সারিতে বাংলাদেশের তরুণ আমিমুল এহসান খান যোগ করেছেন এক অনন্য অধ্যায়। সম্প্রতি তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’ হিসেবে। বিশ্বের ৫০ জন তরুণের মধ্য থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধের ঝুঁকি। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, অনলাইন প্রতারণা কিংবা ডিপফেক ভিডিও—সবকিছু মিলিয়ে এখন সাইবার অপরাধ এক বড় সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) শিক্ষার্থীদের সার্বিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন। এর মধ্যে ২০১৮ সালের ১৩ মার্চ প্রতিষ্ঠিত স্কিল ডেভেলপমেন্ট ক্লাব (এসডিসি) অন্যতম।
৫ ঘণ্টা আগে
বই মানুষকে আলোকিত করে, চিন্তার জগতের প্রসার ঘটায়। কিন্তু গ্যাজেটের আসক্তিতে আজকের প্রজন্ম বই থেকে ক্রমেই দূরে সরে যাচ্ছে। এই বাস্তবতায় কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের কিছু তরুণ নেন ভিন্ন উদ্যোগ।
৫ ঘণ্টা আগেআব্দুর রাজ্জাক খান

বিশ্বের নানা প্রান্তের তরুণেরা যখন পরিবর্তনের স্বপ্নে ভবিষ্যৎ গড়ছেন, তখন সেই স্বপ্নবাজদের সারিতে বাংলাদেশের তরুণ আমিমুল এহসান খান যোগ করেছেন এক অনন্য অধ্যায়। সম্প্রতি তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’ হিসেবে। বিশ্বের ৫০ জন তরুণের মধ্য থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে ২০ থেকে ২৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত গ্লোবাল ইয়ুথ সামিট ২০২৫-এ অংশ নেন আমিমুল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৫০ তরুণ নেতাকে নিয়ে আয়োজিত এই সামিটে আলোচনা হয় নেতৃত্ব, টেকসই উন্নয়ন, সামাজিক পরিবর্তন ও বৈশ্বিক সহযোগিতা নিয়ে। এই সম্মেলন ছিল ফুল ফান্ডেড। সামিটে অংশগ্রহণ করা তরুণদের সব ব্যয় বহন করেছে আয়োজক সংস্থা।
টোকিও থেকে বিশ্বমঞ্চে
আমিমুলের উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন হয়েছে জাপানের টোকিও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পেয়েছেন ৮০ শতাংশ স্কলারশিপ, পাশাপাশি জাপান সরকারের এক বছরের বৃত্তিও পেয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি কাজ করছেন অ্যাওয়ারনেস ৩৬০ নামের একটি বৈশ্বিক তরুণ নেতৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠানে প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট লিড হিসেবে। পাশাপাশি জাপানের এশিয়ান বিজনেস নেটওয়ার্কে তিনি মার্কেটিং ম্যানেজার পদেও কর্মরত।
পরিবর্তনের পথে নেতৃত্ব
নিজের যাত্রা নিয়ে আমিমুল বলেন, ‘আমি এই সুযোগ পেয়েছি যুব ক্ষমতায়নমূলক কাজের জন্য, যা আমি অ্যাওয়ারনেস ৩৬০-এর সঙ্গে করে আসছি। আমি একা পৃথিবী বদলাতে পারব না জানি, তাই আমি অন্যদের অনুপ্রাণিত করছি, যাতে তারাও পরিবর্তনের পথে এগিয়ে আসে।’

তাঁর নেতৃত্বে প্রতিবছর আয়োজিত হয় অ্যাওয়ারনেস ৩৬০ ফেলোশিপ প্রোগ্রাম। যেখানে তরুণদের শেখানো হয় নেতৃত্ব, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ও সামাজিক প্রভাব তৈরির দক্ষতা। পাঁচ বছর ধরে প্রতিবছর এই উদ্যোগে যুক্ত হয়েছেন বিশ্বের ৭০টির বেশি দেশের প্রায় ৫০০ তরুণ।
পুরস্কার ও স্বীকৃতি
যুবসমাজের জন্য নিরলস পরিশ্রমের স্বীকৃতি হিসেবে ২০২২ সালে আমিমুল পেয়েছিলেন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ‘দ্য ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড’। এটি ছিল তরুণ নেতৃত্ব এবং সামাজিক প্রভাব তৈরির অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার।
অনুপ্রেরণার বার্তা
দক্ষিণ আফ্রিকার সামিটে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা তাঁকে আরও দৃঢ় করেছে। তিনি বলেন, ‘এই সম্মেলনে অংশ নিয়ে বুঝেছি, পৃথিবীর প্রত্যেক তরুণই পরিবর্তনের বাহক হতে পারে। আমাদের চিন্তা, কাজ আর সহযোগিতার মাধ্যমে গড়ে উঠতে পারে এক সুন্দর, টেকসই ভবিষ্যৎ।’

বিশ্বের নানা প্রান্তের তরুণেরা যখন পরিবর্তনের স্বপ্নে ভবিষ্যৎ গড়ছেন, তখন সেই স্বপ্নবাজদের সারিতে বাংলাদেশের তরুণ আমিমুল এহসান খান যোগ করেছেন এক অনন্য অধ্যায়। সম্প্রতি তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’ হিসেবে। বিশ্বের ৫০ জন তরুণের মধ্য থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে ২০ থেকে ২৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত গ্লোবাল ইয়ুথ সামিট ২০২৫-এ অংশ নেন আমিমুল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৫০ তরুণ নেতাকে নিয়ে আয়োজিত এই সামিটে আলোচনা হয় নেতৃত্ব, টেকসই উন্নয়ন, সামাজিক পরিবর্তন ও বৈশ্বিক সহযোগিতা নিয়ে। এই সম্মেলন ছিল ফুল ফান্ডেড। সামিটে অংশগ্রহণ করা তরুণদের সব ব্যয় বহন করেছে আয়োজক সংস্থা।
টোকিও থেকে বিশ্বমঞ্চে
আমিমুলের উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন হয়েছে জাপানের টোকিও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পেয়েছেন ৮০ শতাংশ স্কলারশিপ, পাশাপাশি জাপান সরকারের এক বছরের বৃত্তিও পেয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি কাজ করছেন অ্যাওয়ারনেস ৩৬০ নামের একটি বৈশ্বিক তরুণ নেতৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠানে প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট লিড হিসেবে। পাশাপাশি জাপানের এশিয়ান বিজনেস নেটওয়ার্কে তিনি মার্কেটিং ম্যানেজার পদেও কর্মরত।
পরিবর্তনের পথে নেতৃত্ব
নিজের যাত্রা নিয়ে আমিমুল বলেন, ‘আমি এই সুযোগ পেয়েছি যুব ক্ষমতায়নমূলক কাজের জন্য, যা আমি অ্যাওয়ারনেস ৩৬০-এর সঙ্গে করে আসছি। আমি একা পৃথিবী বদলাতে পারব না জানি, তাই আমি অন্যদের অনুপ্রাণিত করছি, যাতে তারাও পরিবর্তনের পথে এগিয়ে আসে।’

তাঁর নেতৃত্বে প্রতিবছর আয়োজিত হয় অ্যাওয়ারনেস ৩৬০ ফেলোশিপ প্রোগ্রাম। যেখানে তরুণদের শেখানো হয় নেতৃত্ব, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ও সামাজিক প্রভাব তৈরির দক্ষতা। পাঁচ বছর ধরে প্রতিবছর এই উদ্যোগে যুক্ত হয়েছেন বিশ্বের ৭০টির বেশি দেশের প্রায় ৫০০ তরুণ।
পুরস্কার ও স্বীকৃতি
যুবসমাজের জন্য নিরলস পরিশ্রমের স্বীকৃতি হিসেবে ২০২২ সালে আমিমুল পেয়েছিলেন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ‘দ্য ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড’। এটি ছিল তরুণ নেতৃত্ব এবং সামাজিক প্রভাব তৈরির অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার।
অনুপ্রেরণার বার্তা
দক্ষিণ আফ্রিকার সামিটে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা তাঁকে আরও দৃঢ় করেছে। তিনি বলেন, ‘এই সম্মেলনে অংশ নিয়ে বুঝেছি, পৃথিবীর প্রত্যেক তরুণই পরিবর্তনের বাহক হতে পারে। আমাদের চিন্তা, কাজ আর সহযোগিতার মাধ্যমে গড়ে উঠতে পারে এক সুন্দর, টেকসই ভবিষ্যৎ।’

মালয়েশিয়ার ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ও স্বনামধন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এটি বাংলাদেশে প্রথম বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে একটি শাখা ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে। ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে শাখা ক্যাম্পাস চালু করার জন্য ২০২২ সালে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ...
১৬ মার্চ ২০২৫
দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধের ঝুঁকি। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, অনলাইন প্রতারণা কিংবা ডিপফেক ভিডিও—সবকিছু মিলিয়ে এখন সাইবার অপরাধ এক বড় সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) শিক্ষার্থীদের সার্বিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন। এর মধ্যে ২০১৮ সালের ১৩ মার্চ প্রতিষ্ঠিত স্কিল ডেভেলপমেন্ট ক্লাব (এসডিসি) অন্যতম।
৫ ঘণ্টা আগে
বই মানুষকে আলোকিত করে, চিন্তার জগতের প্রসার ঘটায়। কিন্তু গ্যাজেটের আসক্তিতে আজকের প্রজন্ম বই থেকে ক্রমেই দূরে সরে যাচ্ছে। এই বাস্তবতায় কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের কিছু তরুণ নেন ভিন্ন উদ্যোগ।
৫ ঘণ্টা আগেনওসাদ আল সাইম

দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধের ঝুঁকি। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, অনলাইন প্রতারণা কিংবা ডিপফেক ভিডিও—সবকিছু মিলিয়ে এখন সাইবার অপরাধ এক বড় সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
সাইবার এইড বাংলাদেশের সাম্প্রতিক জরিপ অনুযায়ী, ডিপফেক ও এআইনির্ভর অপরাধের হার এখন ২৩ শতাংশের বেশি। সোশ্যাল মিডিয়া হ্যাকিং ২১ শতাংশ, ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে অপপ্রচার ১৫ শতাংশ, ই-কমার্স প্রতারণা ১৫ শতাংশ এবং অনলাইন হুমকি ১১ শতাংশ। ভুক্তভোগীদের প্রায় ৭৯ শতাংশের বয়স ১৮-৩০ বছরের মধ্যে, তাঁদের ৫৯ শতাংশই নারী।
অধিকাংশ ভুক্তভোগী জানেন না, কোথায় অভিযোগ করতে হবে। জরিপে দেখা গেছে, ৪২ শতাংশ অভিযোগ দাখিলের সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে অজ্ঞ এবং যাঁরা অভিযোগ করেন, তাঁদের মাত্র ১২ শতাংশ আইনি প্রতিকার পান। ফলে সচেতনতার অভাব ও আইনি কাঠামোর সীমাবদ্ধতায় সাইবার নিরাপত্তা এখন দেশের বড় এক চ্যালেঞ্জ।
এই বাস্তবতায় এগিয়ে এসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আরাফাত চৌধুরী। ২০২২ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘সাইবার এইড বাংলাদেশ’, যা সাইবার অপরাধের শিকার মানুষের আইনি সহায়তা এবং মানসিক সাপোর্ট দেয়। মাত্র তিন বছরের ব্যবধানে সংগঠনটি দেশে সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলছে।
আরাফাত বলেন, ‘সাইবার অপরাধ শুধু মানসিক যন্ত্রণা নয়, সামাজিক মর্যাদাহানির কারণও। কিন্তু বেশির ভাগ ভুক্তভোগী ভয় বা লজ্জায় মুখ খুলতে চান না।’ সংগঠনের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ১ হাজার ৭৬১ জন এবং অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রায়
৪ হাজার মানুষ সাইবার এইডের সহায়তা পেয়েছেন। সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে ৭৬ শতাংশই নারী। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ আসে ব্ল্যাকমেল ও ই-কমার্স প্রতারণা-সংক্রান্ত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান সুমনা বলেন, ‘একজন আমার ব্যক্তিগত ছবি ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেল করতে থাকে। কী করব বুঝতে পারছিলাম না। তখন সাইবার এইডে যোগাযোগ করি। শুধু আইনি সহায়তাই নয়; মানসিকভাবেও তারা পাশে দাঁড়ায়।’
অন্যদিকে জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘অনলাইনে একটি পেজ থেকে আইফোন কিনতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছিলাম। সাইবার এইডের সহায়তায় পুলিশে অভিযোগ করতে পারি। এখন অন্তত জানি, প্রতারণার শিকার হলে চুপ করে না থেকে লড়াই করা যায়।’
শুধু আইনি সহায়তা নয়, সচেতনতা সৃষ্টিতেও কাজ করছে সংগঠনটি। এ পর্যন্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইবার সচেতনতা ক্যাম্পেইন এবং বিভাগীয় শহর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ৫৬টির বেশি সেমিনার ও প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছে তারা। অনলাইনে ‘বেসিক সাইবার লিটারেসি’, ‘সাইবার স্পেস সিকিউরিটি’ ও ‘ডিজিটাল ফরেনসিক’ কোর্স চালু করেছে। ভবিষ্যতে চালু হবে একটি মোবাইল অ্যাপ, যেখানে থাকবে লাইভ চ্যাট সাপোর্ট, এআইনির্ভর নিরাপত্তা নির্দেশনা এবং দ্রুত অভিযোগ দাখিলের সুবিধা।
ভুক্তভোগীরা হটলাইন, ফেসবুক পেজ বা গ্রুপের মাধ্যমে অভিযোগ করলে সাইবার এইড বাংলাদেশ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন ও সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নিশ্চিত করে।
সাইবার অপরাধ বাড়ার পেছনে আরাফাত দুটি বড় কারণ দেখছেন। সেগুলো হলো সচেতনতার অভাব এবং আইনগত সীমাবদ্ধতা। তাঁর মতে, বেশির ভাগ সাইবার অপরাধ জামিনযোগ্য হওয়ায় অপরাধীদের ভয় কম। আবার ডিজিটাল প্রমাণ সংগ্রহে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দক্ষতায়ও ঘাটতি রয়েছে।
আরাফাতের বিশ্বাস, প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সাইবার ঝুঁকিও বাড়ছে। তাই প্রয়োজন আগাম প্রস্তুতি ও সচেতনতা। তাঁর ভাষায়, ‘আমরা চাই তরুণেরা শুধু প্রযুক্তির ব্যবহারকারী নয়, বরং প্রযুক্তির নিরাপত্তা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করুক।’
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট আল মামুন রাসেল বলেন, সাইবার এইড বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে সাইবার ক্রাইম ভিকটিমদের আইনি সহযোগিতা করে যাচ্ছে। পাশাপাশি সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। সাইবার ক্রাইম ভুক্তভোগীদের আইনি সহযোগিতা প্রদানে এটি অনন্য ও কার্যকরী উদ্যোগ।

দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধের ঝুঁকি। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, অনলাইন প্রতারণা কিংবা ডিপফেক ভিডিও—সবকিছু মিলিয়ে এখন সাইবার অপরাধ এক বড় সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
সাইবার এইড বাংলাদেশের সাম্প্রতিক জরিপ অনুযায়ী, ডিপফেক ও এআইনির্ভর অপরাধের হার এখন ২৩ শতাংশের বেশি। সোশ্যাল মিডিয়া হ্যাকিং ২১ শতাংশ, ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে অপপ্রচার ১৫ শতাংশ, ই-কমার্স প্রতারণা ১৫ শতাংশ এবং অনলাইন হুমকি ১১ শতাংশ। ভুক্তভোগীদের প্রায় ৭৯ শতাংশের বয়স ১৮-৩০ বছরের মধ্যে, তাঁদের ৫৯ শতাংশই নারী।
অধিকাংশ ভুক্তভোগী জানেন না, কোথায় অভিযোগ করতে হবে। জরিপে দেখা গেছে, ৪২ শতাংশ অভিযোগ দাখিলের সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে অজ্ঞ এবং যাঁরা অভিযোগ করেন, তাঁদের মাত্র ১২ শতাংশ আইনি প্রতিকার পান। ফলে সচেতনতার অভাব ও আইনি কাঠামোর সীমাবদ্ধতায় সাইবার নিরাপত্তা এখন দেশের বড় এক চ্যালেঞ্জ।
এই বাস্তবতায় এগিয়ে এসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আরাফাত চৌধুরী। ২০২২ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘সাইবার এইড বাংলাদেশ’, যা সাইবার অপরাধের শিকার মানুষের আইনি সহায়তা এবং মানসিক সাপোর্ট দেয়। মাত্র তিন বছরের ব্যবধানে সংগঠনটি দেশে সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলছে।
আরাফাত বলেন, ‘সাইবার অপরাধ শুধু মানসিক যন্ত্রণা নয়, সামাজিক মর্যাদাহানির কারণও। কিন্তু বেশির ভাগ ভুক্তভোগী ভয় বা লজ্জায় মুখ খুলতে চান না।’ সংগঠনের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ১ হাজার ৭৬১ জন এবং অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রায়
৪ হাজার মানুষ সাইবার এইডের সহায়তা পেয়েছেন। সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে ৭৬ শতাংশই নারী। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ আসে ব্ল্যাকমেল ও ই-কমার্স প্রতারণা-সংক্রান্ত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান সুমনা বলেন, ‘একজন আমার ব্যক্তিগত ছবি ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেল করতে থাকে। কী করব বুঝতে পারছিলাম না। তখন সাইবার এইডে যোগাযোগ করি। শুধু আইনি সহায়তাই নয়; মানসিকভাবেও তারা পাশে দাঁড়ায়।’
অন্যদিকে জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘অনলাইনে একটি পেজ থেকে আইফোন কিনতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছিলাম। সাইবার এইডের সহায়তায় পুলিশে অভিযোগ করতে পারি। এখন অন্তত জানি, প্রতারণার শিকার হলে চুপ করে না থেকে লড়াই করা যায়।’
শুধু আইনি সহায়তা নয়, সচেতনতা সৃষ্টিতেও কাজ করছে সংগঠনটি। এ পর্যন্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইবার সচেতনতা ক্যাম্পেইন এবং বিভাগীয় শহর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ৫৬টির বেশি সেমিনার ও প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছে তারা। অনলাইনে ‘বেসিক সাইবার লিটারেসি’, ‘সাইবার স্পেস সিকিউরিটি’ ও ‘ডিজিটাল ফরেনসিক’ কোর্স চালু করেছে। ভবিষ্যতে চালু হবে একটি মোবাইল অ্যাপ, যেখানে থাকবে লাইভ চ্যাট সাপোর্ট, এআইনির্ভর নিরাপত্তা নির্দেশনা এবং দ্রুত অভিযোগ দাখিলের সুবিধা।
ভুক্তভোগীরা হটলাইন, ফেসবুক পেজ বা গ্রুপের মাধ্যমে অভিযোগ করলে সাইবার এইড বাংলাদেশ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন ও সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নিশ্চিত করে।
সাইবার অপরাধ বাড়ার পেছনে আরাফাত দুটি বড় কারণ দেখছেন। সেগুলো হলো সচেতনতার অভাব এবং আইনগত সীমাবদ্ধতা। তাঁর মতে, বেশির ভাগ সাইবার অপরাধ জামিনযোগ্য হওয়ায় অপরাধীদের ভয় কম। আবার ডিজিটাল প্রমাণ সংগ্রহে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দক্ষতায়ও ঘাটতি রয়েছে।
আরাফাতের বিশ্বাস, প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সাইবার ঝুঁকিও বাড়ছে। তাই প্রয়োজন আগাম প্রস্তুতি ও সচেতনতা। তাঁর ভাষায়, ‘আমরা চাই তরুণেরা শুধু প্রযুক্তির ব্যবহারকারী নয়, বরং প্রযুক্তির নিরাপত্তা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করুক।’
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট আল মামুন রাসেল বলেন, সাইবার এইড বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে সাইবার ক্রাইম ভিকটিমদের আইনি সহযোগিতা করে যাচ্ছে। পাশাপাশি সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। সাইবার ক্রাইম ভুক্তভোগীদের আইনি সহযোগিতা প্রদানে এটি অনন্য ও কার্যকরী উদ্যোগ।

মালয়েশিয়ার ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ও স্বনামধন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এটি বাংলাদেশে প্রথম বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে একটি শাখা ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে। ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে শাখা ক্যাম্পাস চালু করার জন্য ২০২২ সালে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ...
১৬ মার্চ ২০২৫
বিশ্বের নানা প্রান্তের তরুণেরা যখন পরিবর্তনের স্বপ্নে ভবিষ্যৎ গড়ছেন, তখন সেই স্বপ্নবাজদের সারিতে বাংলাদেশের তরুণ আমিমুল এহসান খান যোগ করেছেন এক অনন্য অধ্যায়। সম্প্রতি তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’ হিসেবে। বিশ্বের ৫০ জন তরুণের মধ্য থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) শিক্ষার্থীদের সার্বিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন। এর মধ্যে ২০১৮ সালের ১৩ মার্চ প্রতিষ্ঠিত স্কিল ডেভেলপমেন্ট ক্লাব (এসডিসি) অন্যতম।
৫ ঘণ্টা আগে
বই মানুষকে আলোকিত করে, চিন্তার জগতের প্রসার ঘটায়। কিন্তু গ্যাজেটের আসক্তিতে আজকের প্রজন্ম বই থেকে ক্রমেই দূরে সরে যাচ্ছে। এই বাস্তবতায় কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের কিছু তরুণ নেন ভিন্ন উদ্যোগ।
৫ ঘণ্টা আগেস্কিল ডেভেলপমেন্ট ক্লাব
আশরাফুল আলম

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) শিক্ষার্থীদের সার্বিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন। এর মধ্যে ২০১৮ সালের ১৩ মার্চ প্রতিষ্ঠিত স্কিল ডেভেলপমেন্ট ক্লাব (এসডিসি) অন্যতম। এটি শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়ন, আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি এবং ক্যারিয়ার গঠনের কার্যকর প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রশংসা অর্জন করেছে।
এসডিসির লক্ষ্য ও ভিশন হলো শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তর করা এবং একটি দক্ষতানির্ভর তরুণ প্রজন্ম গড়ে তোলা। এসব তরুণ জাতীয় এবং বৈশ্বিক অঙ্গনে নিজেদের যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখবে।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে এসডিসি শিক্ষার্থীদের জন্য নিয়মিত ওয়ার্কশপ, সেমিনার, প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতা আয়োজন করে আসছে। যোগাযোগ দক্ষতা, নেতৃত্ব, নেটওয়ার্ক তৈরি, ক্যারিয়ার পরিকল্পনা ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য।
সম্প্রতি এসডিসি আয়োজন করেছে জাতীয় পর্যায়ের বিজনেস কেস প্রতিযোগিতা ‘বিস কেইস ২০২৫’। তিন ধাপে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় ২৮৫টির বেশি দল, যার পুরস্কারমূল্য ছিল ১ লাখ টাকা। এতে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হয়। ইভেন্টের টাইটেল স্পনসর ছিল এসআর ড্রিম আইটি এবং সহ-স্পনসর ছিল ২৫টির বেশি প্রতিষ্ঠান।
ক্লাবটির অন্যতম সিগনেচার আয়োজন ‘ফ্রেশারস চয়েস’। এখানে নবীন শিক্ষার্থীরা মঞ্চে কথা বলার আত্মবিশ্বাস অর্জন এবং পাবলিক স্পিকিং দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগ পায়। এটি শুধু প্রতিযোগিতা নয়; বরং নবীনদের আত্মপ্রকাশের সাহস জোগানো এবং ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠে।
শিক্ষার্থীদের চাকরির প্রস্তুতিতে সহায়তার জন্য এসডিসি আয়োজন করে ‘জব ফেয়ার ২০২৫’। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী সিভি জমা দেন এবং অনেকে ইন্টারভিউ কল পান। এই আয়োজন ক্যারিয়ার প্রস্তুতির পাশাপাশি নেটওয়ার্কিং এবং আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতেও বড় ভূমিকা রাখে।
বর্তমানে ক্লাবটির ষষ্ঠ কার্যনির্বাহী কমিটি দায়িত্ব পালন করছে। সভাপতি মো. মোস্তাকিম, সাধারণ সম্পাদক বেলাল হাসান শাওন, মরিয়ম আক্তার তানিয়াসহ নির্বাহী সদস্যরা দলগতভাবে নানা সৃজনশীল উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছেন।
এসডিসি আগামী দিনে উদ্যোক্তা উন্নয়ন, প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ ও গবেষণামূলক কর্মসূচি গ্রহণের পরিকল্পনা করছে। পাশাপাশি জাতীয় পর্যায়ে আরও বিস্তৃত পরিসরে দক্ষতা উন্নয়নমূলক উদ্যোগ নিতে চান তাঁরা।
সভাপতি মো. মোস্তাকিম বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য শুধু প্রশিক্ষণ নয়, শিক্ষার্থীদের এমনভাবে গড়ে তোলা, যেন তারা প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে নিজেদের দক্ষতা ও যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারে।’
ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. আশরাফুল আলম বলেন, ‘এসডিসি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম কার্যকর সংগঠন। শিক্ষার্থীরা এখানে যোগ দিয়ে তাদের ইন্টারপারসোনাল স্কিল উন্নয়নের সুযোগ পাচ্ছে, যা ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারে অত্যন্ত সহায়ক।’
দক্ষতা ও শিক্ষার মেলবন্ধনে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কিল ডেভেলপমেন্ট ক্লাব হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাসী এবং দক্ষ ভবিষ্যতের সহযাত্রী।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) শিক্ষার্থীদের সার্বিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন। এর মধ্যে ২০১৮ সালের ১৩ মার্চ প্রতিষ্ঠিত স্কিল ডেভেলপমেন্ট ক্লাব (এসডিসি) অন্যতম। এটি শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়ন, আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি এবং ক্যারিয়ার গঠনের কার্যকর প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রশংসা অর্জন করেছে।
এসডিসির লক্ষ্য ও ভিশন হলো শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তর করা এবং একটি দক্ষতানির্ভর তরুণ প্রজন্ম গড়ে তোলা। এসব তরুণ জাতীয় এবং বৈশ্বিক অঙ্গনে নিজেদের যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখবে।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে এসডিসি শিক্ষার্থীদের জন্য নিয়মিত ওয়ার্কশপ, সেমিনার, প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতা আয়োজন করে আসছে। যোগাযোগ দক্ষতা, নেতৃত্ব, নেটওয়ার্ক তৈরি, ক্যারিয়ার পরিকল্পনা ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য।
সম্প্রতি এসডিসি আয়োজন করেছে জাতীয় পর্যায়ের বিজনেস কেস প্রতিযোগিতা ‘বিস কেইস ২০২৫’। তিন ধাপে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় ২৮৫টির বেশি দল, যার পুরস্কারমূল্য ছিল ১ লাখ টাকা। এতে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হয়। ইভেন্টের টাইটেল স্পনসর ছিল এসআর ড্রিম আইটি এবং সহ-স্পনসর ছিল ২৫টির বেশি প্রতিষ্ঠান।
ক্লাবটির অন্যতম সিগনেচার আয়োজন ‘ফ্রেশারস চয়েস’। এখানে নবীন শিক্ষার্থীরা মঞ্চে কথা বলার আত্মবিশ্বাস অর্জন এবং পাবলিক স্পিকিং দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগ পায়। এটি শুধু প্রতিযোগিতা নয়; বরং নবীনদের আত্মপ্রকাশের সাহস জোগানো এবং ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠে।
শিক্ষার্থীদের চাকরির প্রস্তুতিতে সহায়তার জন্য এসডিসি আয়োজন করে ‘জব ফেয়ার ২০২৫’। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী সিভি জমা দেন এবং অনেকে ইন্টারভিউ কল পান। এই আয়োজন ক্যারিয়ার প্রস্তুতির পাশাপাশি নেটওয়ার্কিং এবং আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতেও বড় ভূমিকা রাখে।
বর্তমানে ক্লাবটির ষষ্ঠ কার্যনির্বাহী কমিটি দায়িত্ব পালন করছে। সভাপতি মো. মোস্তাকিম, সাধারণ সম্পাদক বেলাল হাসান শাওন, মরিয়ম আক্তার তানিয়াসহ নির্বাহী সদস্যরা দলগতভাবে নানা সৃজনশীল উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছেন।
এসডিসি আগামী দিনে উদ্যোক্তা উন্নয়ন, প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ ও গবেষণামূলক কর্মসূচি গ্রহণের পরিকল্পনা করছে। পাশাপাশি জাতীয় পর্যায়ে আরও বিস্তৃত পরিসরে দক্ষতা উন্নয়নমূলক উদ্যোগ নিতে চান তাঁরা।
সভাপতি মো. মোস্তাকিম বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য শুধু প্রশিক্ষণ নয়, শিক্ষার্থীদের এমনভাবে গড়ে তোলা, যেন তারা প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে নিজেদের দক্ষতা ও যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারে।’
ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. আশরাফুল আলম বলেন, ‘এসডিসি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম কার্যকর সংগঠন। শিক্ষার্থীরা এখানে যোগ দিয়ে তাদের ইন্টারপারসোনাল স্কিল উন্নয়নের সুযোগ পাচ্ছে, যা ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারে অত্যন্ত সহায়ক।’
দক্ষতা ও শিক্ষার মেলবন্ধনে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কিল ডেভেলপমেন্ট ক্লাব হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাসী এবং দক্ষ ভবিষ্যতের সহযাত্রী।

মালয়েশিয়ার ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ও স্বনামধন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এটি বাংলাদেশে প্রথম বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে একটি শাখা ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে। ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে শাখা ক্যাম্পাস চালু করার জন্য ২০২২ সালে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ...
১৬ মার্চ ২০২৫
বিশ্বের নানা প্রান্তের তরুণেরা যখন পরিবর্তনের স্বপ্নে ভবিষ্যৎ গড়ছেন, তখন সেই স্বপ্নবাজদের সারিতে বাংলাদেশের তরুণ আমিমুল এহসান খান যোগ করেছেন এক অনন্য অধ্যায়। সম্প্রতি তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’ হিসেবে। বিশ্বের ৫০ জন তরুণের মধ্য থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধের ঝুঁকি। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, অনলাইন প্রতারণা কিংবা ডিপফেক ভিডিও—সবকিছু মিলিয়ে এখন সাইবার অপরাধ এক বড় সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
বই মানুষকে আলোকিত করে, চিন্তার জগতের প্রসার ঘটায়। কিন্তু গ্যাজেটের আসক্তিতে আজকের প্রজন্ম বই থেকে ক্রমেই দূরে সরে যাচ্ছে। এই বাস্তবতায় কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের কিছু তরুণ নেন ভিন্ন উদ্যোগ।
৫ ঘণ্টা আগেমুহাম্মদ শফিকুর রহমান

বই মানুষকে আলোকিত করে, চিন্তার জগতের প্রসার ঘটায়। কিন্তু গ্যাজেটের আসক্তিতে আজকের প্রজন্ম বই থেকে ক্রমেই দূরে সরে যাচ্ছে। এই বাস্তবতায় কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের কিছু তরুণ নেন ভিন্ন উদ্যোগ। তাঁরা স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সামাজিক বিপ্লব’-এর সহযোগিতায় ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি রাজাখালীর সবুজবাজারের দক্ষিণে কৃষ্ণচূড়া মোড়ে প্রতিষ্ঠা করেন ‘রাজাখালী উন্মুক্ত পাঠাগার’।
শুরু থেকে এটি শুধু বই পড়ার স্থান নয়, বরং তরুণদের আড্ডা, জ্ঞানচর্চা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। তাঁদের মতে ‘প্রযুক্তির বাইরে বইয়ের সঙ্গে নতুন প্রজন্মকে যুক্ত করাই আমাদের লক্ষ্য।’ পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিয়েছেন মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, লায়ন আরিফ চৌধুরী, আনোয়ারুল ইসলাম মামুন, মিসবাহ উদ্দিন, হুমায়ুন কবির খোকন, মোহাম্মদ আলমগীর, অ্যাডভোকেট কামরুল কবির আজাদ, হেফাজ উদ্দিন, মোস্তাক আহমেদ, মিশকাত উদ্দিন সিকো প্রমুখ।
বর্তমানে পাঠাগারে বইয়ের সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ২০০। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে ২০০টি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বই। এগুলোর মধ্যে আছে হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: দলিলপত্র’ গ্রন্থের ১৫ খণ্ড। প্রতিদিন একটি জাতীয় দৈনিক ও মাসিক কয়েকটি পত্রিকা-ম্যাগাজিনও রাখা হয়।
পাঠকেরা রেজিস্টারে স্বাক্ষর করে বই বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পান। এলাকার সব বয়সী মানুষের জন্য উন্মুক্ত হলেও স্থানীয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাই সবচেয়ে বেশি উপকৃত হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ২০ জন পাঠক নিয়মিত বই পড়তে আসেন। পাঠাগারের সার্বিক পরিচালনায় রয়েছেন গ্রন্থাগারিক সাইমনুল ইসলাম। ব্যয়ভার বহন করে উপদেষ্টা পরিষদ এবং ২১ সদস্যের কার্যনির্বাহী পরিষদ।
স্থানীয় এক শিক্ষার্থী মেহজাবিন মুনা বলেন, ‘আগে অবসর সময় মোবাইল চালাতাম, এখন বই পড়ি। চাইলে বই বাড়িতেও নিতে পারি।’ প্রতিদিন এখানে পত্রিকা পড়তে আসেন প্রবীণ মুনাফ মুন্সি। তাঁর ভাষায়, ‘এই পাঠাগার জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে।’

তবে শুরুটা সহজ ছিল না। পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক মিজাহাজুল ইসলাম বলেন, ‘রাজাখালীর মানুষ শিক্ষাদীক্ষায় কিছুটা পিছিয়ে। তাঁদের বইয়ের প্রতি আগ্রহ তৈরি করা ছিল বড় চ্যালেঞ্জ।’
একটি পাঠাগার কেবল বই পড়ার স্থানই নয়; এটি হতে পারে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জাগরণের কেন্দ্র। রাজাখালী উন্মুক্ত পাঠাগারটি সেই উদাহরণ স্থাপন করেছে। বই পাঠের পাশাপাশি এখানে নিয়মিত আয়োজন করা হয় সাহিত্য আড্ডা, পাঠচক্র, বুক রিভিউ, কুইজ, রচনা ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন, সুন্দর হাতের লেখা প্রতিযোগিতা, রবীন্দ্র-নজরুলজয়ন্তী, হিমু উৎসব, ক্যারিয়ার গাইডলাইন কর্মশালা ও ক্যারিয়ার অলিম্পিয়াড।
এ ছাড়া পাঠাগার নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ, সাইবার নিরাপত্তা, কৃষি প্রশিক্ষণ, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ এবং আইনি সহায়তা বিষয়েও নিয়মিত সচেতনতামূলক কর্মশালা আয়োজন করে।
রাজাখালীর তরুণেরা বইয়ের পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। পাঠাগারের উদ্যোগে ‘পরিবেশ রক্ষায় তারুণ্যের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালা আয়োজন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ১০ হাজার ৯৫০টি গাছের চারা বিতরণ ও রোপণ এবং ৭৬টি পারিবারিক পুষ্টিবাগান স্থাপন করা হয়েছে। দারিদ্র্য দূরীকরণে পাঠাগারটি নিয়েছে সামাজিক উদ্যোগও। এলজি ইলেকট্রনিকস বাংলাদেশের সহায়তায় ৪০টি পরিবারে ১২০টি ভেড়া এবং ১৫টি পরিবারে লবণ মাঠের সেচপাম্প বিতরণ করা হয়েছে।
রাজাখালী উন্মুক্ত পাঠাগার খুব কম সময়ে মধ্যে সুধী সমাজের দৃষ্টি কেড়েছে। পাঠাগারটি পরিদর্শন করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব সাব্বির ইকবাল সুমন; বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক, লেখক ও গবেষক অধ্যাপক ড. মীর আবু সালেহ শামসুদ্দীন শিশির; অধ্যাপক আবদুর রহিম; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক রেজাউল আজিম এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রাসেলুল কাদের।

বই মানুষকে আলোকিত করে, চিন্তার জগতের প্রসার ঘটায়। কিন্তু গ্যাজেটের আসক্তিতে আজকের প্রজন্ম বই থেকে ক্রমেই দূরে সরে যাচ্ছে। এই বাস্তবতায় কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের কিছু তরুণ নেন ভিন্ন উদ্যোগ। তাঁরা স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সামাজিক বিপ্লব’-এর সহযোগিতায় ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি রাজাখালীর সবুজবাজারের দক্ষিণে কৃষ্ণচূড়া মোড়ে প্রতিষ্ঠা করেন ‘রাজাখালী উন্মুক্ত পাঠাগার’।
শুরু থেকে এটি শুধু বই পড়ার স্থান নয়, বরং তরুণদের আড্ডা, জ্ঞানচর্চা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। তাঁদের মতে ‘প্রযুক্তির বাইরে বইয়ের সঙ্গে নতুন প্রজন্মকে যুক্ত করাই আমাদের লক্ষ্য।’ পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিয়েছেন মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, লায়ন আরিফ চৌধুরী, আনোয়ারুল ইসলাম মামুন, মিসবাহ উদ্দিন, হুমায়ুন কবির খোকন, মোহাম্মদ আলমগীর, অ্যাডভোকেট কামরুল কবির আজাদ, হেফাজ উদ্দিন, মোস্তাক আহমেদ, মিশকাত উদ্দিন সিকো প্রমুখ।
বর্তমানে পাঠাগারে বইয়ের সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ২০০। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে ২০০টি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বই। এগুলোর মধ্যে আছে হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: দলিলপত্র’ গ্রন্থের ১৫ খণ্ড। প্রতিদিন একটি জাতীয় দৈনিক ও মাসিক কয়েকটি পত্রিকা-ম্যাগাজিনও রাখা হয়।
পাঠকেরা রেজিস্টারে স্বাক্ষর করে বই বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পান। এলাকার সব বয়সী মানুষের জন্য উন্মুক্ত হলেও স্থানীয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাই সবচেয়ে বেশি উপকৃত হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ২০ জন পাঠক নিয়মিত বই পড়তে আসেন। পাঠাগারের সার্বিক পরিচালনায় রয়েছেন গ্রন্থাগারিক সাইমনুল ইসলাম। ব্যয়ভার বহন করে উপদেষ্টা পরিষদ এবং ২১ সদস্যের কার্যনির্বাহী পরিষদ।
স্থানীয় এক শিক্ষার্থী মেহজাবিন মুনা বলেন, ‘আগে অবসর সময় মোবাইল চালাতাম, এখন বই পড়ি। চাইলে বই বাড়িতেও নিতে পারি।’ প্রতিদিন এখানে পত্রিকা পড়তে আসেন প্রবীণ মুনাফ মুন্সি। তাঁর ভাষায়, ‘এই পাঠাগার জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে।’

তবে শুরুটা সহজ ছিল না। পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক মিজাহাজুল ইসলাম বলেন, ‘রাজাখালীর মানুষ শিক্ষাদীক্ষায় কিছুটা পিছিয়ে। তাঁদের বইয়ের প্রতি আগ্রহ তৈরি করা ছিল বড় চ্যালেঞ্জ।’
একটি পাঠাগার কেবল বই পড়ার স্থানই নয়; এটি হতে পারে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জাগরণের কেন্দ্র। রাজাখালী উন্মুক্ত পাঠাগারটি সেই উদাহরণ স্থাপন করেছে। বই পাঠের পাশাপাশি এখানে নিয়মিত আয়োজন করা হয় সাহিত্য আড্ডা, পাঠচক্র, বুক রিভিউ, কুইজ, রচনা ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন, সুন্দর হাতের লেখা প্রতিযোগিতা, রবীন্দ্র-নজরুলজয়ন্তী, হিমু উৎসব, ক্যারিয়ার গাইডলাইন কর্মশালা ও ক্যারিয়ার অলিম্পিয়াড।
এ ছাড়া পাঠাগার নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ, সাইবার নিরাপত্তা, কৃষি প্রশিক্ষণ, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ এবং আইনি সহায়তা বিষয়েও নিয়মিত সচেতনতামূলক কর্মশালা আয়োজন করে।
রাজাখালীর তরুণেরা বইয়ের পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। পাঠাগারের উদ্যোগে ‘পরিবেশ রক্ষায় তারুণ্যের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালা আয়োজন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ১০ হাজার ৯৫০টি গাছের চারা বিতরণ ও রোপণ এবং ৭৬টি পারিবারিক পুষ্টিবাগান স্থাপন করা হয়েছে। দারিদ্র্য দূরীকরণে পাঠাগারটি নিয়েছে সামাজিক উদ্যোগও। এলজি ইলেকট্রনিকস বাংলাদেশের সহায়তায় ৪০টি পরিবারে ১২০টি ভেড়া এবং ১৫টি পরিবারে লবণ মাঠের সেচপাম্প বিতরণ করা হয়েছে।
রাজাখালী উন্মুক্ত পাঠাগার খুব কম সময়ে মধ্যে সুধী সমাজের দৃষ্টি কেড়েছে। পাঠাগারটি পরিদর্শন করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব সাব্বির ইকবাল সুমন; বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক, লেখক ও গবেষক অধ্যাপক ড. মীর আবু সালেহ শামসুদ্দীন শিশির; অধ্যাপক আবদুর রহিম; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক রেজাউল আজিম এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রাসেলুল কাদের।

মালয়েশিয়ার ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ও স্বনামধন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এটি বাংলাদেশে প্রথম বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে একটি শাখা ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে। ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে শাখা ক্যাম্পাস চালু করার জন্য ২০২২ সালে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ...
১৬ মার্চ ২০২৫
বিশ্বের নানা প্রান্তের তরুণেরা যখন পরিবর্তনের স্বপ্নে ভবিষ্যৎ গড়ছেন, তখন সেই স্বপ্নবাজদের সারিতে বাংলাদেশের তরুণ আমিমুল এহসান খান যোগ করেছেন এক অনন্য অধ্যায়। সম্প্রতি তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’ হিসেবে। বিশ্বের ৫০ জন তরুণের মধ্য থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধের ঝুঁকি। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, অনলাইন প্রতারণা কিংবা ডিপফেক ভিডিও—সবকিছু মিলিয়ে এখন সাইবার অপরাধ এক বড় সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) শিক্ষার্থীদের সার্বিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন। এর মধ্যে ২০১৮ সালের ১৩ মার্চ প্রতিষ্ঠিত স্কিল ডেভেলপমেন্ট ক্লাব (এসডিসি) অন্যতম।
৫ ঘণ্টা আগে