আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ, যা সংক্ষেপে ‘ডাকসু’ নামে পরিচিত, কেবল একটি ছাত্র সংগঠন নয়; এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি জীবন্ত অধ্যায়। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রাম পর্যন্ত প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে এটি শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব দিয়েছে এবং জাতীয় রাজনীতিতে অবিস্মরণীয় ভূমিকা রেখেছে। এর ঐতিহাসিক গুরুত্বের কারণেই ডাকসুকে অনেকেই বাংলাদেশের ‘দ্বিতীয় সংসদ’ হিসেবে গণ্য করেন।
প্রতিষ্ঠা ও বিবর্তন
১৯২১ সালের ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরপরই স্যার এ এফ রহমানের উদ্যোগে তিনটি আবাসিক হলে—মুসলিম হল, জগন্নাথ হল ও ঢাকা হল—ছাত্র সংসদ গঠিত হয়। ১৯২২-২৩ সালে এই ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ। অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান লিখেছেন, প্রথম দিকে এর নাম ‘ডাকসু’ ছিল না; এই নাম জনপ্রিয় হয় ১৯৫০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে, যখন এর নামের সঙ্গে ‘কেন্দ্রীয়’ শব্দটি যুক্ত হয় এবং ইংরেজি আদ্যক্ষর থেকে ‘ডাকসু’ নামটি প্রচলিত হয়।
প্রতিষ্ঠার প্রথম দুই দশকে ডাকসুর মূল কাজ ছিল জ্ঞানচর্চা, সমাজসেবা এবং ছাত্রদের মধ্যে আত্মোন্নতির সুযোগ সৃষ্টি করা। তাঁরা সান্ধ্য বিদ্যালয় পরিচালনা করতেন, ত্রাণকাজে অংশ নিতেন এবং প্রতি শনিবার হলগুলোতে সাহিত্য, শিল্প ও রাজনীতি নিয়ে বিতর্ক সভার আয়োজন করতেন। এই সময়ে ডাকসুর নেতারা রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তি না করলেও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাঁদের অবস্থান ছিল স্পষ্ট।
১৯৪৫-৪৬ সালে উপাচার্য পিজে হার্টগ সভাপতি, আহমেদুল কবির সহসভাপতি এবং সুধীর দত্ত সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৪৭-৪৮ সালে সহসভাপতি হন অরবিন্দ বসু এবং সাধারণ সম্পাদক হন গোলাম আযম। এই প্রাথমিক নেতৃত্বই ডাকসুকে একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মে পরিণত করে।
ডাকসুর নেতৃত্বে যাঁরা ছিলেন
ডাকসুর যাত্রা শুরুর পর থেকে বিভিন্ন সময়ে এর নেতৃত্ব দিয়েছেন বহু প্রথিতযশা ব্যক্তিত্ব, যাঁরা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ইতিহাসের পাতায় তাঁদের নামগুলো উজ্জ্বল হয়ে আছে।
১৯২৮-২৯ শিক্ষাবর্ষে ভিপি নির্বাচিত হন এ এম আজহারুল ইসলাম ভূঁইয়া এবং জিএস হন এস চক্রবর্তী। ১৯২৯-৩০ শিক্ষাবর্ষে নেতৃত্ব দেন রমনীকান্ত ভট্টাচার্য (ভিপি) এবং কাজী মহব্বত আলী ও আতা র খান (জিএস)। এর পরের বছরগুলোতে ডাকসুতে নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা কিছুটা ব্যাহত হয়, তবে ১৯৩৩-১৯৩৪ শিক্ষাবর্ষে জিএস হন ভবেশ চক্রবর্তী এবং ১৯৩৭-১৯৩৮ শিক্ষাবর্ষে আ. আওয়াল খান।
১৯৪৪-৪৫ সালে নতুন গঠনতন্ত্র অনুমোদনের পর ১৯৪৫-৪৬ সালে ডাকসুর সহসভাপতি হন আহমেদুল কবির এবং সাধারণ সম্পাদক সুধীর দত্ত। পরের বছর আহমেদুল কবির পদত্যাগ করলে সহসভাপতির দায়িত্ব পান ফরিদ আহমদ। ১৯৪৭-৪৮ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন অরবিন্দ বসু এবং জিএস গোলাম আযম। ১৯৫০ সালে এই কার্যকাল শেষ হলে কিছু সময়ের জন্য ডাকসু নির্বাচন থেমে যায়।
১৯৫৩ সালে নতুন করে গঠিত হয় ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ’ বা ‘ডাকসু’। এরপর ১৯৫৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভিপি হন এস এ বারী এ টি এবং জিএস হন জুলমত আলী খান। ১৯৫৫ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত ডাকসুর নেতৃত্বে ছিলেন নিরোদ বিহারী নাগ (ভিপি), আব্দুর রব চৌধুরী (জিএস), একরামুল হক (ভিপি), শাহ আলী হোসেন (জিএস), বদরুল আলম (ভিপি) এবং মো. ফজলী হোসেন (জিএস)। ১৯৫৮-৫৯ শিক্ষাবর্ষে নেতৃত্ব দেন আবুল হোসেন (ভিপি) ও এটিএম মেহেদী (জিএস)।
ষাটের দশকের শুরুতে, ১৯৬০-৬১ শিক্ষাবর্ষে ডাকসু পায় প্রথম নারী ভিপি জাহানারা আখতার। একই সময়ে জিএস হন অমূল্য কর। এরপর ১৯৬৩-৬৪ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন রাশেদ খান মেনন এবং জিএস হন মতিয়া চৌধুরী, যিনি ডাকসুর প্রথম নারী জিএস হিসেবে ইতিহাস গড়েন। ১৯৬৬-৬৭ শিক্ষাবর্ষে ভিপি ফেরদৌস আহমদ কোরেশী এবং জিএস শফি আহমেদ নির্বাচিত হন। ডাকসুর ইতিহাসে দ্বিতীয় নারী ভিপি হিসেবে মাহফুজা খানম নির্বাচিত হন ১৯৬৭-৬৮ শিক্ষাবর্ষে। এরপর ১৯৬৮-৬৯ শিক্ষাবর্ষে নেতৃত্ব দেন তোফায়েল আহমেদ (ভিপি) ও নাজিম কামরান চৌধুরী (জিএস)।
গণ-আন্দোলনে ডাকসুর ভূমিকা
ডাকসুর ঐতিহাসিক ভূমিকার সূত্রপাত হয় ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। এরপর থেকে ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থান এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ডাকসু ছিল ছাত্রদের সম্মিলিত কণ্ঠস্বর। এটি শুধু ছাত্রদের দাবি আদায়ে কাজ করেনি, বরং দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করে বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের প্রতিটি সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। এ কারণেই এটিকে দেশের ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাসে একটি অনন্য স্থানে রাখা হয়।
দীর্ঘ নীরবতা এবং বারবার বাধাগ্রস্ত নির্বাচন
স্বাধীনতার পর ডাকসু নির্বাচন নিয়ে সরকারের একধরনের অনীহা দেখা যায়। ফলে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ৩৭টি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও ১৯৭১ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ১৯টি নির্বাচনের কথা থাকলেও মাত্র ৭টি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ১৯৯১ সাল থেকে ডাকসু নির্বাচন কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৯১ সালের ১৮ জুন, ১৯৯৪ ও ১৯৯৫ সালে উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ এবং ১৯৯৬ সালে অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরীর চেষ্টায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেওয়া হলেও ছাত্রলীগের (বর্তমানে নিষিদ্ধ) বিরোধিতার কারণে তা বাস্তবায়িত হয়নি। এমনকি ১৯৯৮ সালে ডাকসু কমিটি ভেঙে দেওয়ার পর ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচনের ঘোষণা দিলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। ২০০৫ সালে আবারও তফসিল ঘোষণা করা হয়, কিন্তু ছাত্রলীগের বিরোধিতার কারণে সেই নির্বাচনও বন্ধ হয়ে যায়।
প্রত্যক্ষ নির্বাচন ও স্বাধীনতার পর নেতৃত্ব
ডাকসুর ইতিহাসে প্রথম প্রত্যক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭০ সালে, যখন ভিপি হন আ স ম আবদুর রব এবং জি এস হন আব্দুল কুদ্দুস মাখন। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে ডাকসুর প্রথম ভিপি হন মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এবং জিএস মাহবুব জামান। ১৯৭৯-৮০ এবং ১৯৮০-৮১ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন মাহমুদুর রহমান মান্না এবং জিএস আখতারুজ্জামান। ১৯৮২-৮৩ শিক্ষাবর্ষে ভিপি আখতারুজ্জামান এবং জিএস জিয়াউদ্দিন আহমেদ (বাবলু) নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৮৯-৯০ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ এবং জিএস মুশতাক হোসেন। ১৯৯০-৯১ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন আমানউল্লাহ আমান এবং জিএস খায়রুল কবির খোকন।
২০১৯ সালের নির্বাচন এবং নতুন ভোরের ইঙ্গিত
দীর্ঘ ২৮ বছর পর, আদালতের রায়ের ভিত্তিতে ২০১৯ সালে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নুরুল হক নুর সহসভাপতি (ভিপি) এবং ছাত্রলীগের (বর্তমানে নিষিদ্ধ) সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী সাধারণ সম্পাদক (জিএস) নির্বাচিত হন। তবে ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডের কারণে এই নির্বাচনটি প্রশ্নবিদ্ধ হয় এবং বহু অভিযোগের মুখে পড়ে।
তবে সম্প্রতি একটি রক্তক্ষয়ী ছাত্র-গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটেছে, আর এর প্রধান নেতৃত্বে ছিলেন শিক্ষার্থীরাই। এই ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। এবারের নির্বাচনে ২৮টি পদের বিপরীতে ৫০৯টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। অন্তত ৯টি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এটি যেন ডাকসুর সেই হারানো গৌরব ফিরে পাওয়ার এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা, যেখানে শিক্ষার্থীরা আবারও তাঁদের কণ্ঠস্বর খুঁজে পাবেন এবং জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন। এই নির্বাচন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি সমগ্র দেশের ছাত্ররাজনীতির গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ, যা সংক্ষেপে ‘ডাকসু’ নামে পরিচিত, কেবল একটি ছাত্র সংগঠন নয়; এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি জীবন্ত অধ্যায়। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রাম পর্যন্ত প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে এটি শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব দিয়েছে এবং জাতীয় রাজনীতিতে অবিস্মরণীয় ভূমিকা রেখেছে। এর ঐতিহাসিক গুরুত্বের কারণেই ডাকসুকে অনেকেই বাংলাদেশের ‘দ্বিতীয় সংসদ’ হিসেবে গণ্য করেন।
প্রতিষ্ঠা ও বিবর্তন
১৯২১ সালের ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরপরই স্যার এ এফ রহমানের উদ্যোগে তিনটি আবাসিক হলে—মুসলিম হল, জগন্নাথ হল ও ঢাকা হল—ছাত্র সংসদ গঠিত হয়। ১৯২২-২৩ সালে এই ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ। অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান লিখেছেন, প্রথম দিকে এর নাম ‘ডাকসু’ ছিল না; এই নাম জনপ্রিয় হয় ১৯৫০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে, যখন এর নামের সঙ্গে ‘কেন্দ্রীয়’ শব্দটি যুক্ত হয় এবং ইংরেজি আদ্যক্ষর থেকে ‘ডাকসু’ নামটি প্রচলিত হয়।
প্রতিষ্ঠার প্রথম দুই দশকে ডাকসুর মূল কাজ ছিল জ্ঞানচর্চা, সমাজসেবা এবং ছাত্রদের মধ্যে আত্মোন্নতির সুযোগ সৃষ্টি করা। তাঁরা সান্ধ্য বিদ্যালয় পরিচালনা করতেন, ত্রাণকাজে অংশ নিতেন এবং প্রতি শনিবার হলগুলোতে সাহিত্য, শিল্প ও রাজনীতি নিয়ে বিতর্ক সভার আয়োজন করতেন। এই সময়ে ডাকসুর নেতারা রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তি না করলেও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাঁদের অবস্থান ছিল স্পষ্ট।
১৯৪৫-৪৬ সালে উপাচার্য পিজে হার্টগ সভাপতি, আহমেদুল কবির সহসভাপতি এবং সুধীর দত্ত সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৪৭-৪৮ সালে সহসভাপতি হন অরবিন্দ বসু এবং সাধারণ সম্পাদক হন গোলাম আযম। এই প্রাথমিক নেতৃত্বই ডাকসুকে একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মে পরিণত করে।
ডাকসুর নেতৃত্বে যাঁরা ছিলেন
ডাকসুর যাত্রা শুরুর পর থেকে বিভিন্ন সময়ে এর নেতৃত্ব দিয়েছেন বহু প্রথিতযশা ব্যক্তিত্ব, যাঁরা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ইতিহাসের পাতায় তাঁদের নামগুলো উজ্জ্বল হয়ে আছে।
১৯২৮-২৯ শিক্ষাবর্ষে ভিপি নির্বাচিত হন এ এম আজহারুল ইসলাম ভূঁইয়া এবং জিএস হন এস চক্রবর্তী। ১৯২৯-৩০ শিক্ষাবর্ষে নেতৃত্ব দেন রমনীকান্ত ভট্টাচার্য (ভিপি) এবং কাজী মহব্বত আলী ও আতা র খান (জিএস)। এর পরের বছরগুলোতে ডাকসুতে নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা কিছুটা ব্যাহত হয়, তবে ১৯৩৩-১৯৩৪ শিক্ষাবর্ষে জিএস হন ভবেশ চক্রবর্তী এবং ১৯৩৭-১৯৩৮ শিক্ষাবর্ষে আ. আওয়াল খান।
১৯৪৪-৪৫ সালে নতুন গঠনতন্ত্র অনুমোদনের পর ১৯৪৫-৪৬ সালে ডাকসুর সহসভাপতি হন আহমেদুল কবির এবং সাধারণ সম্পাদক সুধীর দত্ত। পরের বছর আহমেদুল কবির পদত্যাগ করলে সহসভাপতির দায়িত্ব পান ফরিদ আহমদ। ১৯৪৭-৪৮ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন অরবিন্দ বসু এবং জিএস গোলাম আযম। ১৯৫০ সালে এই কার্যকাল শেষ হলে কিছু সময়ের জন্য ডাকসু নির্বাচন থেমে যায়।
১৯৫৩ সালে নতুন করে গঠিত হয় ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ’ বা ‘ডাকসু’। এরপর ১৯৫৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভিপি হন এস এ বারী এ টি এবং জিএস হন জুলমত আলী খান। ১৯৫৫ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত ডাকসুর নেতৃত্বে ছিলেন নিরোদ বিহারী নাগ (ভিপি), আব্দুর রব চৌধুরী (জিএস), একরামুল হক (ভিপি), শাহ আলী হোসেন (জিএস), বদরুল আলম (ভিপি) এবং মো. ফজলী হোসেন (জিএস)। ১৯৫৮-৫৯ শিক্ষাবর্ষে নেতৃত্ব দেন আবুল হোসেন (ভিপি) ও এটিএম মেহেদী (জিএস)।
ষাটের দশকের শুরুতে, ১৯৬০-৬১ শিক্ষাবর্ষে ডাকসু পায় প্রথম নারী ভিপি জাহানারা আখতার। একই সময়ে জিএস হন অমূল্য কর। এরপর ১৯৬৩-৬৪ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন রাশেদ খান মেনন এবং জিএস হন মতিয়া চৌধুরী, যিনি ডাকসুর প্রথম নারী জিএস হিসেবে ইতিহাস গড়েন। ১৯৬৬-৬৭ শিক্ষাবর্ষে ভিপি ফেরদৌস আহমদ কোরেশী এবং জিএস শফি আহমেদ নির্বাচিত হন। ডাকসুর ইতিহাসে দ্বিতীয় নারী ভিপি হিসেবে মাহফুজা খানম নির্বাচিত হন ১৯৬৭-৬৮ শিক্ষাবর্ষে। এরপর ১৯৬৮-৬৯ শিক্ষাবর্ষে নেতৃত্ব দেন তোফায়েল আহমেদ (ভিপি) ও নাজিম কামরান চৌধুরী (জিএস)।
গণ-আন্দোলনে ডাকসুর ভূমিকা
ডাকসুর ঐতিহাসিক ভূমিকার সূত্রপাত হয় ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। এরপর থেকে ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থান এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ডাকসু ছিল ছাত্রদের সম্মিলিত কণ্ঠস্বর। এটি শুধু ছাত্রদের দাবি আদায়ে কাজ করেনি, বরং দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করে বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের প্রতিটি সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। এ কারণেই এটিকে দেশের ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাসে একটি অনন্য স্থানে রাখা হয়।
দীর্ঘ নীরবতা এবং বারবার বাধাগ্রস্ত নির্বাচন
স্বাধীনতার পর ডাকসু নির্বাচন নিয়ে সরকারের একধরনের অনীহা দেখা যায়। ফলে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ৩৭টি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও ১৯৭১ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ১৯টি নির্বাচনের কথা থাকলেও মাত্র ৭টি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ১৯৯১ সাল থেকে ডাকসু নির্বাচন কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৯১ সালের ১৮ জুন, ১৯৯৪ ও ১৯৯৫ সালে উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ এবং ১৯৯৬ সালে অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরীর চেষ্টায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেওয়া হলেও ছাত্রলীগের (বর্তমানে নিষিদ্ধ) বিরোধিতার কারণে তা বাস্তবায়িত হয়নি। এমনকি ১৯৯৮ সালে ডাকসু কমিটি ভেঙে দেওয়ার পর ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচনের ঘোষণা দিলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। ২০০৫ সালে আবারও তফসিল ঘোষণা করা হয়, কিন্তু ছাত্রলীগের বিরোধিতার কারণে সেই নির্বাচনও বন্ধ হয়ে যায়।
প্রত্যক্ষ নির্বাচন ও স্বাধীনতার পর নেতৃত্ব
ডাকসুর ইতিহাসে প্রথম প্রত্যক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭০ সালে, যখন ভিপি হন আ স ম আবদুর রব এবং জি এস হন আব্দুল কুদ্দুস মাখন। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে ডাকসুর প্রথম ভিপি হন মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এবং জিএস মাহবুব জামান। ১৯৭৯-৮০ এবং ১৯৮০-৮১ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন মাহমুদুর রহমান মান্না এবং জিএস আখতারুজ্জামান। ১৯৮২-৮৩ শিক্ষাবর্ষে ভিপি আখতারুজ্জামান এবং জিএস জিয়াউদ্দিন আহমেদ (বাবলু) নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৮৯-৯০ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ এবং জিএস মুশতাক হোসেন। ১৯৯০-৯১ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন আমানউল্লাহ আমান এবং জিএস খায়রুল কবির খোকন।
২০১৯ সালের নির্বাচন এবং নতুন ভোরের ইঙ্গিত
দীর্ঘ ২৮ বছর পর, আদালতের রায়ের ভিত্তিতে ২০১৯ সালে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নুরুল হক নুর সহসভাপতি (ভিপি) এবং ছাত্রলীগের (বর্তমানে নিষিদ্ধ) সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী সাধারণ সম্পাদক (জিএস) নির্বাচিত হন। তবে ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডের কারণে এই নির্বাচনটি প্রশ্নবিদ্ধ হয় এবং বহু অভিযোগের মুখে পড়ে।
তবে সম্প্রতি একটি রক্তক্ষয়ী ছাত্র-গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটেছে, আর এর প্রধান নেতৃত্বে ছিলেন শিক্ষার্থীরাই। এই ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। এবারের নির্বাচনে ২৮টি পদের বিপরীতে ৫০৯টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। অন্তত ৯টি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এটি যেন ডাকসুর সেই হারানো গৌরব ফিরে পাওয়ার এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা, যেখানে শিক্ষার্থীরা আবারও তাঁদের কণ্ঠস্বর খুঁজে পাবেন এবং জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন। এই নির্বাচন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি সমগ্র দেশের ছাত্ররাজনীতির গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন।

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) মিডিয়া অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন (এমএমসি) বিভাগ আয়োজিত ‘১০ম কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম এডুকেটরস নেটওয়ার্ক (সিজেন) কনফারেন্স ২০২৫’ ২৪ ও ২৫ অক্টোবর এআইইউবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিডব্লিউ একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দ
৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) এইচএসসি পরীক্ষা-২০২৫-এর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর গড় পাসের হার ৬২ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাবিবুল্যাহ মাহামুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের নানা প্রান্তের তরুণেরা যখন পরিবর্তনের স্বপ্নে ভবিষ্যৎ গড়ছেন, তখন সেই স্বপ্নবাজদের সারিতে বাংলাদেশের তরুণ আমিমুল এহসান খান যোগ করেছেন এক অনন্য অধ্যায়। সম্প্রতি তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’ হিসেবে। বিশ্বের ৫০ জন তরুণের মধ্য থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি।
১৬ ঘণ্টা আগে
দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধের ঝুঁকি। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, অনলাইন প্রতারণা কিংবা ডিপফেক ভিডিও—সবকিছু মিলিয়ে এখন সাইবার অপরাধ এক বড় সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) মিডিয়া অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন (এমএমসি) বিভাগ আয়োজিত ‘১০ম কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম এডুকেটরস নেটওয়ার্ক (সিজেন) কনফারেন্স ২০২৫’ ২৪ ও ২৫ অক্টোবর এআইইউবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিডব্লিউ একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া শিক্ষাবিদ, গণমাধ্যম পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
এবারের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘মিডিয়া ট্রান্সফর্মড: বাংলাদেশ অ্যাট এ ক্রসরোড’।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এআইইউবির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ড. হাসানুল এ. হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিডব্লিউ একাডেমির প্রজেক্ট ম্যানেজার মিস জিমি আমির। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এআইইউবি ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর ড. কারমেন জিটা লামাগনা, এআইইউবির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম, প্রো ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আব্দুর রহমান, ফ্যাকাল্টি অব আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের (এফএএসএস) ডিন প্রফেসর ড. তাজুল ইসলাম, এমএমসি বিভাগের উপদেষ্টা ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গণমাধ্যম পেশাজীবীরা।
অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য দেন এমএমসি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মিস রানি এলেন ভি রামোস। দুই দিনব্যাপী এই কনফারেন্সে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন, প্যানেল আলোচনা এবং একাডেমিক পেপার সেশন অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে ২৪ অক্টোবর কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) মিডিয়া অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন (এমএমসি) বিভাগ আয়োজিত ‘১০ম কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম এডুকেটরস নেটওয়ার্ক (সিজেন) কনফারেন্স ২০২৫’ ২৪ ও ২৫ অক্টোবর এআইইউবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিডব্লিউ একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া শিক্ষাবিদ, গণমাধ্যম পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
এবারের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘মিডিয়া ট্রান্সফর্মড: বাংলাদেশ অ্যাট এ ক্রসরোড’।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এআইইউবির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ড. হাসানুল এ. হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিডব্লিউ একাডেমির প্রজেক্ট ম্যানেজার মিস জিমি আমির। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এআইইউবি ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর ড. কারমেন জিটা লামাগনা, এআইইউবির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম, প্রো ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আব্দুর রহমান, ফ্যাকাল্টি অব আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের (এফএএসএস) ডিন প্রফেসর ড. তাজুল ইসলাম, এমএমসি বিভাগের উপদেষ্টা ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গণমাধ্যম পেশাজীবীরা।
অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য দেন এমএমসি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মিস রানি এলেন ভি রামোস। দুই দিনব্যাপী এই কনফারেন্সে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন, প্যানেল আলোচনা এবং একাডেমিক পেপার সেশন অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে ২৪ অক্টোবর কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ, যা সংক্ষেপে ‘ডাকসু’ নামে পরিচিত, কেবল একটি ছাত্র সংগঠন নয়; এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি জীবন্ত অধ্যায়। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রাম পর্যন্ত প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে এটি শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব দিয়েছে এবং জাতীয় রাজনীতিতে
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) এইচএসসি পরীক্ষা-২০২৫-এর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর গড় পাসের হার ৬২ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাবিবুল্যাহ মাহামুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের নানা প্রান্তের তরুণেরা যখন পরিবর্তনের স্বপ্নে ভবিষ্যৎ গড়ছেন, তখন সেই স্বপ্নবাজদের সারিতে বাংলাদেশের তরুণ আমিমুল এহসান খান যোগ করেছেন এক অনন্য অধ্যায়। সম্প্রতি তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’ হিসেবে। বিশ্বের ৫০ জন তরুণের মধ্য থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি।
১৬ ঘণ্টা আগে
দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধের ঝুঁকি। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, অনলাইন প্রতারণা কিংবা ডিপফেক ভিডিও—সবকিছু মিলিয়ে এখন সাইবার অপরাধ এক বড় সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) এইচএসসি পরীক্ষা-২০২৫-এর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর গড় পাসের হার ৬২ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাবিবুল্যাহ মাহামুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ বছর প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষ মিলিয়ে মোট ৩৮ হাজার ৩৪২ জন শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ৩১ হাজার ৪২১ জন শিক্ষার্থী। আর চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেন ১৬ হাজার ৭৮৩ জন, যার মধ্যে ১০ হাজার ৪৬৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫ হাজার ৬৪০ জন ছাত্র ও ৪ হাজার ৮২৩ জন ছাত্রী। পরীক্ষার ফল বাউবির ওয়েবসাইট (result.bou.ac.bd) থেকে জানা যাবে।

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) এইচএসসি পরীক্ষা-২০২৫-এর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর গড় পাসের হার ৬২ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাবিবুল্যাহ মাহামুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ বছর প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষ মিলিয়ে মোট ৩৮ হাজার ৩৪২ জন শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ৩১ হাজার ৪২১ জন শিক্ষার্থী। আর চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেন ১৬ হাজার ৭৮৩ জন, যার মধ্যে ১০ হাজার ৪৬৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫ হাজার ৬৪০ জন ছাত্র ও ৪ হাজার ৮২৩ জন ছাত্রী। পরীক্ষার ফল বাউবির ওয়েবসাইট (result.bou.ac.bd) থেকে জানা যাবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ, যা সংক্ষেপে ‘ডাকসু’ নামে পরিচিত, কেবল একটি ছাত্র সংগঠন নয়; এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি জীবন্ত অধ্যায়। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রাম পর্যন্ত প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে এটি শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব দিয়েছে এবং জাতীয় রাজনীতিতে
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) মিডিয়া অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন (এমএমসি) বিভাগ আয়োজিত ‘১০ম কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম এডুকেটরস নেটওয়ার্ক (সিজেন) কনফারেন্স ২০২৫’ ২৪ ও ২৫ অক্টোবর এআইইউবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিডব্লিউ একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দ
৩ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের নানা প্রান্তের তরুণেরা যখন পরিবর্তনের স্বপ্নে ভবিষ্যৎ গড়ছেন, তখন সেই স্বপ্নবাজদের সারিতে বাংলাদেশের তরুণ আমিমুল এহসান খান যোগ করেছেন এক অনন্য অধ্যায়। সম্প্রতি তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’ হিসেবে। বিশ্বের ৫০ জন তরুণের মধ্য থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি।
১৬ ঘণ্টা আগে
দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধের ঝুঁকি। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, অনলাইন প্রতারণা কিংবা ডিপফেক ভিডিও—সবকিছু মিলিয়ে এখন সাইবার অপরাধ এক বড় সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগেআব্দুর রাজ্জাক খান

বিশ্বের নানা প্রান্তের তরুণেরা যখন পরিবর্তনের স্বপ্নে ভবিষ্যৎ গড়ছেন, তখন সেই স্বপ্নবাজদের সারিতে বাংলাদেশের তরুণ আমিমুল এহসান খান যোগ করেছেন এক অনন্য অধ্যায়। সম্প্রতি তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’ হিসেবে। বিশ্বের ৫০ জন তরুণের মধ্য থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে ২০ থেকে ২৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত গ্লোবাল ইয়ুথ সামিট ২০২৫-এ অংশ নেন আমিমুল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৫০ তরুণ নেতাকে নিয়ে আয়োজিত এই সামিটে আলোচনা হয় নেতৃত্ব, টেকসই উন্নয়ন, সামাজিক পরিবর্তন ও বৈশ্বিক সহযোগিতা নিয়ে। এই সম্মেলন ছিল ফুল ফান্ডেড। সামিটে অংশগ্রহণ করা তরুণদের সব ব্যয় বহন করেছে আয়োজক সংস্থা।
টোকিও থেকে বিশ্বমঞ্চে
আমিমুলের উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন হয়েছে জাপানের টোকিও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পেয়েছেন ৮০ শতাংশ স্কলারশিপ, পাশাপাশি জাপান সরকারের এক বছরের বৃত্তিও পেয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি কাজ করছেন অ্যাওয়ারনেস ৩৬০ নামের একটি বৈশ্বিক তরুণ নেতৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠানে প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট লিড হিসেবে। পাশাপাশি জাপানের এশিয়ান বিজনেস নেটওয়ার্কে তিনি মার্কেটিং ম্যানেজার পদেও কর্মরত।
পরিবর্তনের পথে নেতৃত্ব
নিজের যাত্রা নিয়ে আমিমুল বলেন, ‘আমি এই সুযোগ পেয়েছি যুব ক্ষমতায়নমূলক কাজের জন্য, যা আমি অ্যাওয়ারনেস ৩৬০-এর সঙ্গে করে আসছি। আমি একা পৃথিবী বদলাতে পারব না জানি, তাই আমি অন্যদের অনুপ্রাণিত করছি, যাতে তারাও পরিবর্তনের পথে এগিয়ে আসে।’

তাঁর নেতৃত্বে প্রতিবছর আয়োজিত হয় অ্যাওয়ারনেস ৩৬০ ফেলোশিপ প্রোগ্রাম। যেখানে তরুণদের শেখানো হয় নেতৃত্ব, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ও সামাজিক প্রভাব তৈরির দক্ষতা। পাঁচ বছর ধরে প্রতিবছর এই উদ্যোগে যুক্ত হয়েছেন বিশ্বের ৭০টির বেশি দেশের প্রায় ৫০০ তরুণ।
পুরস্কার ও স্বীকৃতি
যুবসমাজের জন্য নিরলস পরিশ্রমের স্বীকৃতি হিসেবে ২০২২ সালে আমিমুল পেয়েছিলেন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ‘দ্য ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড’। এটি ছিল তরুণ নেতৃত্ব এবং সামাজিক প্রভাব তৈরির অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার।
অনুপ্রেরণার বার্তা
দক্ষিণ আফ্রিকার সামিটে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা তাঁকে আরও দৃঢ় করেছে। তিনি বলেন, ‘এই সম্মেলনে অংশ নিয়ে বুঝেছি, পৃথিবীর প্রত্যেক তরুণই পরিবর্তনের বাহক হতে পারে। আমাদের চিন্তা, কাজ আর সহযোগিতার মাধ্যমে গড়ে উঠতে পারে এক সুন্দর, টেকসই ভবিষ্যৎ।’

বিশ্বের নানা প্রান্তের তরুণেরা যখন পরিবর্তনের স্বপ্নে ভবিষ্যৎ গড়ছেন, তখন সেই স্বপ্নবাজদের সারিতে বাংলাদেশের তরুণ আমিমুল এহসান খান যোগ করেছেন এক অনন্য অধ্যায়। সম্প্রতি তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’ হিসেবে। বিশ্বের ৫০ জন তরুণের মধ্য থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে ২০ থেকে ২৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত গ্লোবাল ইয়ুথ সামিট ২০২৫-এ অংশ নেন আমিমুল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৫০ তরুণ নেতাকে নিয়ে আয়োজিত এই সামিটে আলোচনা হয় নেতৃত্ব, টেকসই উন্নয়ন, সামাজিক পরিবর্তন ও বৈশ্বিক সহযোগিতা নিয়ে। এই সম্মেলন ছিল ফুল ফান্ডেড। সামিটে অংশগ্রহণ করা তরুণদের সব ব্যয় বহন করেছে আয়োজক সংস্থা।
টোকিও থেকে বিশ্বমঞ্চে
আমিমুলের উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন হয়েছে জাপানের টোকিও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পেয়েছেন ৮০ শতাংশ স্কলারশিপ, পাশাপাশি জাপান সরকারের এক বছরের বৃত্তিও পেয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি কাজ করছেন অ্যাওয়ারনেস ৩৬০ নামের একটি বৈশ্বিক তরুণ নেতৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠানে প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট লিড হিসেবে। পাশাপাশি জাপানের এশিয়ান বিজনেস নেটওয়ার্কে তিনি মার্কেটিং ম্যানেজার পদেও কর্মরত।
পরিবর্তনের পথে নেতৃত্ব
নিজের যাত্রা নিয়ে আমিমুল বলেন, ‘আমি এই সুযোগ পেয়েছি যুব ক্ষমতায়নমূলক কাজের জন্য, যা আমি অ্যাওয়ারনেস ৩৬০-এর সঙ্গে করে আসছি। আমি একা পৃথিবী বদলাতে পারব না জানি, তাই আমি অন্যদের অনুপ্রাণিত করছি, যাতে তারাও পরিবর্তনের পথে এগিয়ে আসে।’

তাঁর নেতৃত্বে প্রতিবছর আয়োজিত হয় অ্যাওয়ারনেস ৩৬০ ফেলোশিপ প্রোগ্রাম। যেখানে তরুণদের শেখানো হয় নেতৃত্ব, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ও সামাজিক প্রভাব তৈরির দক্ষতা। পাঁচ বছর ধরে প্রতিবছর এই উদ্যোগে যুক্ত হয়েছেন বিশ্বের ৭০টির বেশি দেশের প্রায় ৫০০ তরুণ।
পুরস্কার ও স্বীকৃতি
যুবসমাজের জন্য নিরলস পরিশ্রমের স্বীকৃতি হিসেবে ২০২২ সালে আমিমুল পেয়েছিলেন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ‘দ্য ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড’। এটি ছিল তরুণ নেতৃত্ব এবং সামাজিক প্রভাব তৈরির অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার।
অনুপ্রেরণার বার্তা
দক্ষিণ আফ্রিকার সামিটে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা তাঁকে আরও দৃঢ় করেছে। তিনি বলেন, ‘এই সম্মেলনে অংশ নিয়ে বুঝেছি, পৃথিবীর প্রত্যেক তরুণই পরিবর্তনের বাহক হতে পারে। আমাদের চিন্তা, কাজ আর সহযোগিতার মাধ্যমে গড়ে উঠতে পারে এক সুন্দর, টেকসই ভবিষ্যৎ।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ, যা সংক্ষেপে ‘ডাকসু’ নামে পরিচিত, কেবল একটি ছাত্র সংগঠন নয়; এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি জীবন্ত অধ্যায়। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রাম পর্যন্ত প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে এটি শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব দিয়েছে এবং জাতীয় রাজনীতিতে
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) মিডিয়া অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন (এমএমসি) বিভাগ আয়োজিত ‘১০ম কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম এডুকেটরস নেটওয়ার্ক (সিজেন) কনফারেন্স ২০২৫’ ২৪ ও ২৫ অক্টোবর এআইইউবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিডব্লিউ একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দ
৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) এইচএসসি পরীক্ষা-২০২৫-এর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর গড় পাসের হার ৬২ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাবিবুল্যাহ মাহামুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধের ঝুঁকি। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, অনলাইন প্রতারণা কিংবা ডিপফেক ভিডিও—সবকিছু মিলিয়ে এখন সাইবার অপরাধ এক বড় সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগেনওসাদ আল সাইম

দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধের ঝুঁকি। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, অনলাইন প্রতারণা কিংবা ডিপফেক ভিডিও—সবকিছু মিলিয়ে এখন সাইবার অপরাধ এক বড় সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
সাইবার এইড বাংলাদেশের সাম্প্রতিক জরিপ অনুযায়ী, ডিপফেক ও এআইনির্ভর অপরাধের হার এখন ২৩ শতাংশের বেশি। সোশ্যাল মিডিয়া হ্যাকিং ২১ শতাংশ, ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে অপপ্রচার ১৫ শতাংশ, ই-কমার্স প্রতারণা ১৫ শতাংশ এবং অনলাইন হুমকি ১১ শতাংশ। ভুক্তভোগীদের প্রায় ৭৯ শতাংশের বয়স ১৮-৩০ বছরের মধ্যে, তাঁদের ৫৯ শতাংশই নারী।
অধিকাংশ ভুক্তভোগী জানেন না, কোথায় অভিযোগ করতে হবে। জরিপে দেখা গেছে, ৪২ শতাংশ অভিযোগ দাখিলের সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে অজ্ঞ এবং যাঁরা অভিযোগ করেন, তাঁদের মাত্র ১২ শতাংশ আইনি প্রতিকার পান। ফলে সচেতনতার অভাব ও আইনি কাঠামোর সীমাবদ্ধতায় সাইবার নিরাপত্তা এখন দেশের বড় এক চ্যালেঞ্জ।
এই বাস্তবতায় এগিয়ে এসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আরাফাত চৌধুরী। ২০২২ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘সাইবার এইড বাংলাদেশ’, যা সাইবার অপরাধের শিকার মানুষের আইনি সহায়তা এবং মানসিক সাপোর্ট দেয়। মাত্র তিন বছরের ব্যবধানে সংগঠনটি দেশে সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলছে।
আরাফাত বলেন, ‘সাইবার অপরাধ শুধু মানসিক যন্ত্রণা নয়, সামাজিক মর্যাদাহানির কারণও। কিন্তু বেশির ভাগ ভুক্তভোগী ভয় বা লজ্জায় মুখ খুলতে চান না।’ সংগঠনের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ১ হাজার ৭৬১ জন এবং অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রায়
৪ হাজার মানুষ সাইবার এইডের সহায়তা পেয়েছেন। সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে ৭৬ শতাংশই নারী। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ আসে ব্ল্যাকমেল ও ই-কমার্স প্রতারণা-সংক্রান্ত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান সুমনা বলেন, ‘একজন আমার ব্যক্তিগত ছবি ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেল করতে থাকে। কী করব বুঝতে পারছিলাম না। তখন সাইবার এইডে যোগাযোগ করি। শুধু আইনি সহায়তাই নয়; মানসিকভাবেও তারা পাশে দাঁড়ায়।’
অন্যদিকে জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘অনলাইনে একটি পেজ থেকে আইফোন কিনতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছিলাম। সাইবার এইডের সহায়তায় পুলিশে অভিযোগ করতে পারি। এখন অন্তত জানি, প্রতারণার শিকার হলে চুপ করে না থেকে লড়াই করা যায়।’
শুধু আইনি সহায়তা নয়, সচেতনতা সৃষ্টিতেও কাজ করছে সংগঠনটি। এ পর্যন্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইবার সচেতনতা ক্যাম্পেইন এবং বিভাগীয় শহর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ৫৬টির বেশি সেমিনার ও প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছে তারা। অনলাইনে ‘বেসিক সাইবার লিটারেসি’, ‘সাইবার স্পেস সিকিউরিটি’ ও ‘ডিজিটাল ফরেনসিক’ কোর্স চালু করেছে। ভবিষ্যতে চালু হবে একটি মোবাইল অ্যাপ, যেখানে থাকবে লাইভ চ্যাট সাপোর্ট, এআইনির্ভর নিরাপত্তা নির্দেশনা এবং দ্রুত অভিযোগ দাখিলের সুবিধা।
ভুক্তভোগীরা হটলাইন, ফেসবুক পেজ বা গ্রুপের মাধ্যমে অভিযোগ করলে সাইবার এইড বাংলাদেশ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন ও সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নিশ্চিত করে।
সাইবার অপরাধ বাড়ার পেছনে আরাফাত দুটি বড় কারণ দেখছেন। সেগুলো হলো সচেতনতার অভাব এবং আইনগত সীমাবদ্ধতা। তাঁর মতে, বেশির ভাগ সাইবার অপরাধ জামিনযোগ্য হওয়ায় অপরাধীদের ভয় কম। আবার ডিজিটাল প্রমাণ সংগ্রহে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দক্ষতায়ও ঘাটতি রয়েছে।
আরাফাতের বিশ্বাস, প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সাইবার ঝুঁকিও বাড়ছে। তাই প্রয়োজন আগাম প্রস্তুতি ও সচেতনতা। তাঁর ভাষায়, ‘আমরা চাই তরুণেরা শুধু প্রযুক্তির ব্যবহারকারী নয়, বরং প্রযুক্তির নিরাপত্তা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করুক।’
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট আল মামুন রাসেল বলেন, সাইবার এইড বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে সাইবার ক্রাইম ভিকটিমদের আইনি সহযোগিতা করে যাচ্ছে। পাশাপাশি সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। সাইবার ক্রাইম ভুক্তভোগীদের আইনি সহযোগিতা প্রদানে এটি অনন্য ও কার্যকরী উদ্যোগ।

দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধের ঝুঁকি। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, অনলাইন প্রতারণা কিংবা ডিপফেক ভিডিও—সবকিছু মিলিয়ে এখন সাইবার অপরাধ এক বড় সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
সাইবার এইড বাংলাদেশের সাম্প্রতিক জরিপ অনুযায়ী, ডিপফেক ও এআইনির্ভর অপরাধের হার এখন ২৩ শতাংশের বেশি। সোশ্যাল মিডিয়া হ্যাকিং ২১ শতাংশ, ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে অপপ্রচার ১৫ শতাংশ, ই-কমার্স প্রতারণা ১৫ শতাংশ এবং অনলাইন হুমকি ১১ শতাংশ। ভুক্তভোগীদের প্রায় ৭৯ শতাংশের বয়স ১৮-৩০ বছরের মধ্যে, তাঁদের ৫৯ শতাংশই নারী।
অধিকাংশ ভুক্তভোগী জানেন না, কোথায় অভিযোগ করতে হবে। জরিপে দেখা গেছে, ৪২ শতাংশ অভিযোগ দাখিলের সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে অজ্ঞ এবং যাঁরা অভিযোগ করেন, তাঁদের মাত্র ১২ শতাংশ আইনি প্রতিকার পান। ফলে সচেতনতার অভাব ও আইনি কাঠামোর সীমাবদ্ধতায় সাইবার নিরাপত্তা এখন দেশের বড় এক চ্যালেঞ্জ।
এই বাস্তবতায় এগিয়ে এসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আরাফাত চৌধুরী। ২০২২ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘সাইবার এইড বাংলাদেশ’, যা সাইবার অপরাধের শিকার মানুষের আইনি সহায়তা এবং মানসিক সাপোর্ট দেয়। মাত্র তিন বছরের ব্যবধানে সংগঠনটি দেশে সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলছে।
আরাফাত বলেন, ‘সাইবার অপরাধ শুধু মানসিক যন্ত্রণা নয়, সামাজিক মর্যাদাহানির কারণও। কিন্তু বেশির ভাগ ভুক্তভোগী ভয় বা লজ্জায় মুখ খুলতে চান না।’ সংগঠনের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ১ হাজার ৭৬১ জন এবং অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রায়
৪ হাজার মানুষ সাইবার এইডের সহায়তা পেয়েছেন। সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে ৭৬ শতাংশই নারী। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ আসে ব্ল্যাকমেল ও ই-কমার্স প্রতারণা-সংক্রান্ত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান সুমনা বলেন, ‘একজন আমার ব্যক্তিগত ছবি ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেল করতে থাকে। কী করব বুঝতে পারছিলাম না। তখন সাইবার এইডে যোগাযোগ করি। শুধু আইনি সহায়তাই নয়; মানসিকভাবেও তারা পাশে দাঁড়ায়।’
অন্যদিকে জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘অনলাইনে একটি পেজ থেকে আইফোন কিনতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছিলাম। সাইবার এইডের সহায়তায় পুলিশে অভিযোগ করতে পারি। এখন অন্তত জানি, প্রতারণার শিকার হলে চুপ করে না থেকে লড়াই করা যায়।’
শুধু আইনি সহায়তা নয়, সচেতনতা সৃষ্টিতেও কাজ করছে সংগঠনটি। এ পর্যন্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইবার সচেতনতা ক্যাম্পেইন এবং বিভাগীয় শহর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ৫৬টির বেশি সেমিনার ও প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছে তারা। অনলাইনে ‘বেসিক সাইবার লিটারেসি’, ‘সাইবার স্পেস সিকিউরিটি’ ও ‘ডিজিটাল ফরেনসিক’ কোর্স চালু করেছে। ভবিষ্যতে চালু হবে একটি মোবাইল অ্যাপ, যেখানে থাকবে লাইভ চ্যাট সাপোর্ট, এআইনির্ভর নিরাপত্তা নির্দেশনা এবং দ্রুত অভিযোগ দাখিলের সুবিধা।
ভুক্তভোগীরা হটলাইন, ফেসবুক পেজ বা গ্রুপের মাধ্যমে অভিযোগ করলে সাইবার এইড বাংলাদেশ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন ও সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নিশ্চিত করে।
সাইবার অপরাধ বাড়ার পেছনে আরাফাত দুটি বড় কারণ দেখছেন। সেগুলো হলো সচেতনতার অভাব এবং আইনগত সীমাবদ্ধতা। তাঁর মতে, বেশির ভাগ সাইবার অপরাধ জামিনযোগ্য হওয়ায় অপরাধীদের ভয় কম। আবার ডিজিটাল প্রমাণ সংগ্রহে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দক্ষতায়ও ঘাটতি রয়েছে।
আরাফাতের বিশ্বাস, প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সাইবার ঝুঁকিও বাড়ছে। তাই প্রয়োজন আগাম প্রস্তুতি ও সচেতনতা। তাঁর ভাষায়, ‘আমরা চাই তরুণেরা শুধু প্রযুক্তির ব্যবহারকারী নয়, বরং প্রযুক্তির নিরাপত্তা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করুক।’
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট আল মামুন রাসেল বলেন, সাইবার এইড বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে সাইবার ক্রাইম ভিকটিমদের আইনি সহযোগিতা করে যাচ্ছে। পাশাপাশি সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। সাইবার ক্রাইম ভুক্তভোগীদের আইনি সহযোগিতা প্রদানে এটি অনন্য ও কার্যকরী উদ্যোগ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ, যা সংক্ষেপে ‘ডাকসু’ নামে পরিচিত, কেবল একটি ছাত্র সংগঠন নয়; এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি জীবন্ত অধ্যায়। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রাম পর্যন্ত প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে এটি শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব দিয়েছে এবং জাতীয় রাজনীতিতে
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) মিডিয়া অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন (এমএমসি) বিভাগ আয়োজিত ‘১০ম কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম এডুকেটরস নেটওয়ার্ক (সিজেন) কনফারেন্স ২০২৫’ ২৪ ও ২৫ অক্টোবর এআইইউবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিডব্লিউ একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দ
৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) এইচএসসি পরীক্ষা-২০২৫-এর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর গড় পাসের হার ৬২ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাবিবুল্যাহ মাহামুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের নানা প্রান্তের তরুণেরা যখন পরিবর্তনের স্বপ্নে ভবিষ্যৎ গড়ছেন, তখন সেই স্বপ্নবাজদের সারিতে বাংলাদেশের তরুণ আমিমুল এহসান খান যোগ করেছেন এক অনন্য অধ্যায়। সম্প্রতি তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’ হিসেবে। বিশ্বের ৫০ জন তরুণের মধ্য থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি।
১৬ ঘণ্টা আগে