জয় নন্দীর মুদ্রা সংগ্রহ
শেখ সৈকত
২০০৩-০৪ সালের কথা। তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ছয় বা সাত। একদিন মামাবাড়িতে একটি বাক্সে রাখা তিনটি ভারতীয় ২ পয়সা ও ৫ পয়সার কয়েন দেখে জয় নন্দী। মুদ্রার আকৃতি, ডিজাইন ও ঐতিহ্য তাঁকে মুগ্ধ করে। সেদিনই সে ঠিক করে, মুদ্রা সংগ্রহ করবে।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জয় বিদেশি মুদ্রার প্রতি বেশি আকৃষ্ট হন। তাঁর মতে, প্রতিটি মুদ্রা কেবল অর্থের প্রতিনিধিত্ব করে না; বরং সেই দেশের সংস্কৃতি, ইতিহাস এবং মানুষের জীবনযাত্রার একটি চমৎকার প্রতিচ্ছবি। জয় উপলব্ধি করেন, যে দেশের মুদ্রা তিনি সংগ্রহ করছেন, সেই দেশের সঙ্গে তাঁর এক অদৃশ্য বন্ধন গড়ে উঠছে। এই অনুভূতিই তাঁকে প্রতিনিয়ত অনুপ্রাণিত করে।
বিশাল সংগ্রহের অঙ্গীকার
জয় নন্দী সম্প্রতি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। তাঁর সংগ্রহে বর্তমানে রয়েছে ২৬৭টি দেশের মুদ্রা, যেগুলোর মধ্যে বিদেশি নোট ও কয়েন মিলিয়ে মোট সংখ্যা ১ হাজার ৫০টির বেশি। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো তাঁর সংগ্রহে থাকা মৌর্য সাম্রাজ্যের পাঞ্চমার্ক রৌপ্যমুদ্রা, যা দুই হাজার বছরের বেশি পুরোনো।
তাঁর সংগ্রহে রয়েছে বিভিন্ন বিলুপ্ত দেশ ও সাম্রাজ্যের মুদ্রা, শতবর্ষী ব্যাংক নোট, ঔপনিবেশিক অঞ্চলের মুদ্রা, ব্রিটিশ আর্মড ফোর্সের ক্যানটিনে ব্যবহৃত নোট ইত্যাদি। ব্রিটিশরাজ শাসিত ১৯টি উপনিবেশের মুদ্রা, রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ছবিযুক্ত নোট, অদ্ভুত মূল্যমানের নোট, অ্যানিমেল থিমযুক্ত নোট—সবই তাঁর সংগ্রহে স্থান পেয়েছে।
বাংলাদেশের মুদ্রা তাঁর সংগ্রহের গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যেখানে রয়েছে বিভিন্ন গভর্নরের স্বাক্ষরিত ব্যাংক নোট ও পলিমার (প্লাস্টিক) নোট। এমনকি বিশ্বের এমন অনেক দেশের মুদ্রাও রয়েছে, যেগুলোর নাম খুব কম শোনা যায়—সাও টোমে ও প্রিন্সিপে, মাল্টা, বিয়াফ্রা, জার্সি, গুয়ের্নসি, তাতারস্তান, কাতাঙ্গা, স্ট্রেইট সেটেলমেন্ট, মালয়, ব্রিটিশ বোর্নিও, আইল অব ম্যান, আরুবা, নিউ ক্যালেডোনিয়া ইত্যাদি।
সংগ্রহের পথে প্রতিবন্ধকতা
সংগ্রহের পথে জয় বহু প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েছেন। শৈশবে পরিবারের কাছ থেকে তেমন সহায়তা না পাওয়ায় কিছুটা হতাশ হয়েছিলেন। তবে সময়ের সঙ্গে তাঁর মা, বাবা ও বড় বোন বিশেষভাবে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন। বন্ধুবান্ধব ও ক্যাম্পাসের সিনিয়ররা তাঁকে অনেক অনুপ্রাণিত করেছেন।
জয় বলেন, ‘প্রতিবন্ধকতা আগেও ছিল, এখনো আছে। শিক্ষার্থী অবস্থায় অনেক কিছু চাইলেও সংগ্রহ করা যায় না; কারণ, অনেক কিছুই ব্যয়বহুল।’ তবে তিনি আশা করেন, ভবিষ্যতে যখন তাঁর সামর্থ্য বাড়বে, তখন আরও মূল্যবান মুদ্রা সংগ্রহ করতে পারবেন।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
জয়ের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হলো, একটি ব্যক্তিগত মুদ্রা সংগ্রহশালা তৈরি করা, যা অবশ্যই সময়ের ওপর নির্ভর করবে। তিনি বলেন, ‘আমি শুধু পরিকল্পনার ওপর কাজ করব।’ তিনি চান, এই সংগ্রহশালা নতুন প্রজন্মের জন্য শিক্ষা ও অনুপ্রেরণার কেন্দ্র হয়ে উঠুক। তাঁর মতে, মুদ্রা সংগ্রহ একটি সুস্থ অভ্যাস, যা তরুণদের নেতিবাচক প্রবণতার বিরুদ্ধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে।
‘যদিও আমি বেঁচে থাকব না, কিন্তু আমার সংগ্রহশালা থাকবে। এখানে আসা নতুন প্রজন্ম মুদ্রা সংগ্রহে আগ্রহী হবে। তখনই আমার সংগ্রহের সার্থকতা প্রকাশ পাবে।’
জয় নন্দীর সংগ্রহ শুধু একটি শখ নয়, অনুপ্রেরণার গল্পও —যেখানে ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং মানুষের ঐতিহ্য একটি স্থায়ী চিহ্ন রেখে যায়।
২০০৩-০৪ সালের কথা। তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ছয় বা সাত। একদিন মামাবাড়িতে একটি বাক্সে রাখা তিনটি ভারতীয় ২ পয়সা ও ৫ পয়সার কয়েন দেখে জয় নন্দী। মুদ্রার আকৃতি, ডিজাইন ও ঐতিহ্য তাঁকে মুগ্ধ করে। সেদিনই সে ঠিক করে, মুদ্রা সংগ্রহ করবে।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জয় বিদেশি মুদ্রার প্রতি বেশি আকৃষ্ট হন। তাঁর মতে, প্রতিটি মুদ্রা কেবল অর্থের প্রতিনিধিত্ব করে না; বরং সেই দেশের সংস্কৃতি, ইতিহাস এবং মানুষের জীবনযাত্রার একটি চমৎকার প্রতিচ্ছবি। জয় উপলব্ধি করেন, যে দেশের মুদ্রা তিনি সংগ্রহ করছেন, সেই দেশের সঙ্গে তাঁর এক অদৃশ্য বন্ধন গড়ে উঠছে। এই অনুভূতিই তাঁকে প্রতিনিয়ত অনুপ্রাণিত করে।
বিশাল সংগ্রহের অঙ্গীকার
জয় নন্দী সম্প্রতি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। তাঁর সংগ্রহে বর্তমানে রয়েছে ২৬৭টি দেশের মুদ্রা, যেগুলোর মধ্যে বিদেশি নোট ও কয়েন মিলিয়ে মোট সংখ্যা ১ হাজার ৫০টির বেশি। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো তাঁর সংগ্রহে থাকা মৌর্য সাম্রাজ্যের পাঞ্চমার্ক রৌপ্যমুদ্রা, যা দুই হাজার বছরের বেশি পুরোনো।
তাঁর সংগ্রহে রয়েছে বিভিন্ন বিলুপ্ত দেশ ও সাম্রাজ্যের মুদ্রা, শতবর্ষী ব্যাংক নোট, ঔপনিবেশিক অঞ্চলের মুদ্রা, ব্রিটিশ আর্মড ফোর্সের ক্যানটিনে ব্যবহৃত নোট ইত্যাদি। ব্রিটিশরাজ শাসিত ১৯টি উপনিবেশের মুদ্রা, রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ছবিযুক্ত নোট, অদ্ভুত মূল্যমানের নোট, অ্যানিমেল থিমযুক্ত নোট—সবই তাঁর সংগ্রহে স্থান পেয়েছে।
বাংলাদেশের মুদ্রা তাঁর সংগ্রহের গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যেখানে রয়েছে বিভিন্ন গভর্নরের স্বাক্ষরিত ব্যাংক নোট ও পলিমার (প্লাস্টিক) নোট। এমনকি বিশ্বের এমন অনেক দেশের মুদ্রাও রয়েছে, যেগুলোর নাম খুব কম শোনা যায়—সাও টোমে ও প্রিন্সিপে, মাল্টা, বিয়াফ্রা, জার্সি, গুয়ের্নসি, তাতারস্তান, কাতাঙ্গা, স্ট্রেইট সেটেলমেন্ট, মালয়, ব্রিটিশ বোর্নিও, আইল অব ম্যান, আরুবা, নিউ ক্যালেডোনিয়া ইত্যাদি।
সংগ্রহের পথে প্রতিবন্ধকতা
সংগ্রহের পথে জয় বহু প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েছেন। শৈশবে পরিবারের কাছ থেকে তেমন সহায়তা না পাওয়ায় কিছুটা হতাশ হয়েছিলেন। তবে সময়ের সঙ্গে তাঁর মা, বাবা ও বড় বোন বিশেষভাবে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন। বন্ধুবান্ধব ও ক্যাম্পাসের সিনিয়ররা তাঁকে অনেক অনুপ্রাণিত করেছেন।
জয় বলেন, ‘প্রতিবন্ধকতা আগেও ছিল, এখনো আছে। শিক্ষার্থী অবস্থায় অনেক কিছু চাইলেও সংগ্রহ করা যায় না; কারণ, অনেক কিছুই ব্যয়বহুল।’ তবে তিনি আশা করেন, ভবিষ্যতে যখন তাঁর সামর্থ্য বাড়বে, তখন আরও মূল্যবান মুদ্রা সংগ্রহ করতে পারবেন।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
জয়ের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হলো, একটি ব্যক্তিগত মুদ্রা সংগ্রহশালা তৈরি করা, যা অবশ্যই সময়ের ওপর নির্ভর করবে। তিনি বলেন, ‘আমি শুধু পরিকল্পনার ওপর কাজ করব।’ তিনি চান, এই সংগ্রহশালা নতুন প্রজন্মের জন্য শিক্ষা ও অনুপ্রেরণার কেন্দ্র হয়ে উঠুক। তাঁর মতে, মুদ্রা সংগ্রহ একটি সুস্থ অভ্যাস, যা তরুণদের নেতিবাচক প্রবণতার বিরুদ্ধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে।
‘যদিও আমি বেঁচে থাকব না, কিন্তু আমার সংগ্রহশালা থাকবে। এখানে আসা নতুন প্রজন্ম মুদ্রা সংগ্রহে আগ্রহী হবে। তখনই আমার সংগ্রহের সার্থকতা প্রকাশ পাবে।’
জয় নন্দীর সংগ্রহ শুধু একটি শখ নয়, অনুপ্রেরণার গল্পও —যেখানে ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং মানুষের ঐতিহ্য একটি স্থায়ী চিহ্ন রেখে যায়।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২৩ সালের ডিগ্রি (পাস) ও সার্টিফিকেট কোর্সের দ্বিতীয় বর্ষের স্থগিত পরীক্ষার সংশোধিত সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ২০২৪ সালের অনার্স প্রথম বর্ষ পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় বাড়ানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. এনামুল করিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৪ ঘণ্টা আগেস্কুল শুধুই পাঠ্যবই আর ক্লাসরুম নয়। এটি শিশু-কিশোরদের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয়, শেখার জায়গা। কিন্তু যদি সেই স্কুলেই হঠাৎ নেমে আসে বড় কোনো বিপদ! তখন কী করবে শিক্ষার্থীরা? থাকছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা...
৮ ঘণ্টা আগেসুইজারল্যান্ডে ইউনিভার্সিটি অব বার্ন বৃত্তি ২০২৫-এর আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দেশটির সম্পূর্ণ অর্থায়িত বৃত্তির জন্য বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির আওতায় স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। বৃত্তিটি ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের...
৮ ঘণ্টা আগে