Ajker Patrika

ইংরেজি শেখান তাঁরা

আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭: ০২
ইংরেজি শেখান তাঁরা

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী নূরে জান্নাত মীম ও লিমন হাসান। করোনাকালে ‘ওয়ান মিনিট ইংলিশ উইদ মীম’ নামে একটি ফেসবুকে পেজ খুলে ইংরেজি ভাষা শিক্ষার ওপর ভিডিও প্রকাশ করে পরিচিতি পান মীম। লিমন হাসানও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইংরেজি শেখাতেন। একসময় কাজের প্রয়োজনে যোগাযোগ হয় দুজনের। হয় মনের মিল। পরে দুজন বিয়ে করে

একসঙ্গে ইংরেজি শেখানোর কাজ শুরু করেন। দুজনের আলাদা ইংরেজি শেখানোর প্ল্যাটফর্ম এক করে নাম দেন ‘লিংগুয়াল একাডেমি’। তাঁদের একসঙ্গে পড়াশোনা, প্রেম, বিয়ে ও কাজের গল্প শুনেছেন সিফাত রব্বানী।

শুরুটা ছিল বেশ রোমাঞ্চকর। দুজনেই আলাদাভাবে অনলাইনে ইংরেজি শেখান। হঠাৎ একসঙ্গে ইংরেজি শেখানোর ভিডিও বানানোর প্রস্তাব দিয়ে লিমন খুদে বার্তা পাঠান মীমের কাছে। তখন অনলাইনে তাঁর বেশ পরিচিতি। আর লিমনকে অনুসরণ করে মাত্র ১ হাজার মানুষ। খুদে বার্তা পাঠিয়ে অপেক্ষা করতে করতে তিন দিনের মাথায় সেই বার্তার জবাব পেলেন লিমন। শুরু হলো তাঁদের একসঙ্গে কাজের কথাবার্তা।

কাজের মিলের সঙ্গে মনের মিল
কাজের সুবাদে প্রায়ই তাঁদের কথা হতো। সে সময় কনটেন্ট, কনটেন্টের বাইরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলত। কিছুদিন পর লিমনের মনে হয়, হয়তো মীমকে তাঁর ভালো লাগে। বিষয়টি সরাসরি না বলে বিভিন্নভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেন তিনি। মীমও বুঝতে পেরে প্রত্যাখ্যান করেন। কিন্তু লিমন চেষ্টা অব্যাহত রাখেন। মাস তিনেক পরে মীমের কাছ থেকে হ্যাঁ সূচক জবাব আসে। লিমন তখন রংপুরে থাকতেন। সেখান থেকে ঢাকায় আসতেন মীমের সঙ্গে দেখা করতে।

এক বছর পর হঠাৎ মীমের বাবা বিষয়টি জানতে পেরে তাঁর পছন্দের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেন। মীমও সব স্বীকার করেন। মীমের বাবা লিমনের সঙ্গে দেখা করতে চান এবং প্রথম দেখাতেই পছন্দ করেন। এরপর তাঁদের বিয়ে হয় পারিবারিকভাবে।

বিয়ের দুই বছর না কাটতেই লিমন ও মীমের পৃথক দুটি প্ল্যাটফর্ম লিংগুয়াল একাডেমি নামে একীভূত হয়ে যায়। বর্তমানে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ এই ইংরেজি শিখছে।

একসঙ্গে পথচলা
মীম ও লিমন—দুজনই শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয়। ঘরসংসার সামলে তাঁরা ইংরেজি শেখানোর নতুন নতুন ভিডিও তৈরি করেন। রান্না, বিড়ালের দেখাশোনা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস— এই তিন কাজ করেন মীম। তাঁকে সাহায্য করার পাশাপাশি নিজের পড়াশোনা করছেন লিমনও। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, আগে যখন আলাদা কনটেন্ট বানাতেন, তখন নিজেদের কাজ একই রকম হতো। কিন্তু একসঙ্গে হওয়ায় কাজে বৈচিত্র্য এসেছে, ভিন্নতা এসেছে, বেড়েছে কাজের গতি। 

স্মরণীয় মুহূর্ত
এক সন্ধ্যায় লিমন ও মীম ঢাকার মিরপুর ১০ নম্বরের আশপাশে ঘুরছিলেন। এ সময় ফুচকার দোকানে ফুচকা চাইতেই দোকানি তাঁদের সঙ্গে ইংরেজিতে কথা বলতে শুরু করেন। তখন তাঁরা দোকানির কাছে জানতে চান, কোথায় ইংরেজি শিখেছেন তিনি। দোকানি উত্তর দেন, তাঁদের ভিডিও দেখে নোট টুকে ইংরেজিতে কথা বলা শিখেছেন।

উদ্দেশ্য ও পরিকল্পনা 
দেশের অনেক শিক্ষার্থীর ইংরেজিতে কথা বলতে জড়তা কাজ করে। এই ভীতি দূর করতে চান মীম ও লিমন। ইংরেজি না জানার কারণে অনেকে কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হন। ইংরেজি না জানা মানুষগুলোর জন্য এ ভাষা সহজভাবে শেখানোই তাঁদের মূল উদ্দেশ্য।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পদোন্নতি দিয়ে ৬৫ হাজার সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা: ডিজি

দিনাজপুরে হিন্দু নেতাকে অপহরণ করে হত্যা: ভারত সরকার ও বিরোধী দল কংগ্রেসের উদ্বেগ

সমালোচনার মুখে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের নিয়োগ বাতিল

আজ থেকে ৫০০ টাকায় মিলবে ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট

মির্জা ফখরুলের কাছে অভিযোগ, ১৬ দিনের মাথায় ঠাকুরগাঁও থানার ওসি বদলি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত