মুসাররাত আবির
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার দুর্গম তারাছা ইউনিয়নের মংঞোপাড়া গ্রাম। শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরের এ গ্রামে নেই সুপেয় পানির স্থায়ী ব্যবস্থা। নেই কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয়। নেই বিদ্যুৎ। মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক খুঁজতে হয় উঁচু গাছে ওঠে। নেই ইন্টারনেট সংযোগ। সে গ্রামেই জন্ম ও বেড়ে ওঠেন তংসই খুমি। তিনি খুমি সম্প্রদায়ের প্রথম সদস্য হিসেবে পড়াশোনা করতে এসেছেন শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগে।
যেমন ছিল যাত্রা
এমন কঠিন পরিবেশে তংসইয়ের উচ্চশিক্ষার যাত্রাটা মোটেই সহজ ছিল না। দেশে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী রয়েছে, তাদের মধ্যে খুমি সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা কম। যোগাযোগব্যবস্থা আর আর্থসামাজিক অবস্থান—সবখানেই পিছিয়ে রয়েছে তারা। দুর্গম এলাকায় বসবাসের কারণে এ সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েরা বেশি দূর পড়ালেখার সুযোগ পায় না।
চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ার সময় তংসইয়ের বাবা মারা যান। সেই বিরুদ্ধ পরিবেশে তাঁর মা লিংসাই খুমি অন্য মানুষের কথা শুনে মেয়ের পড়াশোনা বন্ধ তো করেননি, বরং সঙ্গে দুই ছেলেকেও পড়াশোনা শিখিয়েছেন। তংসই জানান, তাঁর বাবা মারা যাওয়ায় পর মা ঘরে তাঁতের কাপড় বুনে বিক্রি করে তাঁদের লেখাপড়ার খরচ জোগাড় করেছেন। তার ফলেই তিনি পেয়েছেন উচ্চশিক্ষার সুযোগ।
পরিবারের অভাব-অনটনের মধ্যেই তংসই বান্দরবান সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে ২০১৮ সালে মানবিক বিভাগে এসএসসি পাস করেন। তারপর ভর্তি হন ঢাকার হলি ক্রস কলেজে। সেখান থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে ভর্তি হন শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগে।
হাল না ছাড়া
অর্থনৈতিক সংকট আর অচেনা পৃথিবী—এ দুইয়ের মধ্য থেকে মাঝেমধ্যেই তাঁর মনে হতো, আদৌ নিজের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন তো? তংসই বলেন, ‘প্রায়ই মনে হতো, আমি যদি পড়াশোনা না করতাম, তাহলে হয়তো আমার বড় দুই ভাই আরও ভালোভাবে পড়াশোনা করতে পারত। কিন্তু আমার মা কখনোই আমাকে এমন ভাবতে দেননি। যত কষ্টই হোক না কেন, তিনি আমাদের পড়াশোনার খরচটা চালিয়ে গিয়েছেন।’
তংসইয়ের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সংকট ছাড়াও আরেকটা বড় সংকট ছিল ভাষাগত দক্ষতা। খুমি সম্প্রদায়ের রয়েছে নিজস্ব ভাষা ও বর্ণমালা। বাংলা তাদের দ্বিতীয় ও ইংরেজি তৃতীয় ভাষা। তাই এই ভাষাগুলো নিজের আয়ত্তে আনতে তাঁকে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
তংসই লেখাপড়া শেষ করে ফিরে যেতে চান নিজের এলাকায়। নিজের সম্প্রদায়সহ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ করতে চান। বললেন, ‘বিশেষ করে নারী শিক্ষার উন্নয়ন, নারীদের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং তাদের কর্মসংস্থান নিয়ে কাজ করতে চাই।’
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার দুর্গম তারাছা ইউনিয়নের মংঞোপাড়া গ্রাম। শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরের এ গ্রামে নেই সুপেয় পানির স্থায়ী ব্যবস্থা। নেই কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয়। নেই বিদ্যুৎ। মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক খুঁজতে হয় উঁচু গাছে ওঠে। নেই ইন্টারনেট সংযোগ। সে গ্রামেই জন্ম ও বেড়ে ওঠেন তংসই খুমি। তিনি খুমি সম্প্রদায়ের প্রথম সদস্য হিসেবে পড়াশোনা করতে এসেছেন শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগে।
যেমন ছিল যাত্রা
এমন কঠিন পরিবেশে তংসইয়ের উচ্চশিক্ষার যাত্রাটা মোটেই সহজ ছিল না। দেশে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী রয়েছে, তাদের মধ্যে খুমি সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা কম। যোগাযোগব্যবস্থা আর আর্থসামাজিক অবস্থান—সবখানেই পিছিয়ে রয়েছে তারা। দুর্গম এলাকায় বসবাসের কারণে এ সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েরা বেশি দূর পড়ালেখার সুযোগ পায় না।
চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ার সময় তংসইয়ের বাবা মারা যান। সেই বিরুদ্ধ পরিবেশে তাঁর মা লিংসাই খুমি অন্য মানুষের কথা শুনে মেয়ের পড়াশোনা বন্ধ তো করেননি, বরং সঙ্গে দুই ছেলেকেও পড়াশোনা শিখিয়েছেন। তংসই জানান, তাঁর বাবা মারা যাওয়ায় পর মা ঘরে তাঁতের কাপড় বুনে বিক্রি করে তাঁদের লেখাপড়ার খরচ জোগাড় করেছেন। তার ফলেই তিনি পেয়েছেন উচ্চশিক্ষার সুযোগ।
পরিবারের অভাব-অনটনের মধ্যেই তংসই বান্দরবান সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে ২০১৮ সালে মানবিক বিভাগে এসএসসি পাস করেন। তারপর ভর্তি হন ঢাকার হলি ক্রস কলেজে। সেখান থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে ভর্তি হন শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগে।
হাল না ছাড়া
অর্থনৈতিক সংকট আর অচেনা পৃথিবী—এ দুইয়ের মধ্য থেকে মাঝেমধ্যেই তাঁর মনে হতো, আদৌ নিজের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন তো? তংসই বলেন, ‘প্রায়ই মনে হতো, আমি যদি পড়াশোনা না করতাম, তাহলে হয়তো আমার বড় দুই ভাই আরও ভালোভাবে পড়াশোনা করতে পারত। কিন্তু আমার মা কখনোই আমাকে এমন ভাবতে দেননি। যত কষ্টই হোক না কেন, তিনি আমাদের পড়াশোনার খরচটা চালিয়ে গিয়েছেন।’
তংসইয়ের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সংকট ছাড়াও আরেকটা বড় সংকট ছিল ভাষাগত দক্ষতা। খুমি সম্প্রদায়ের রয়েছে নিজস্ব ভাষা ও বর্ণমালা। বাংলা তাদের দ্বিতীয় ও ইংরেজি তৃতীয় ভাষা। তাই এই ভাষাগুলো নিজের আয়ত্তে আনতে তাঁকে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
তংসই লেখাপড়া শেষ করে ফিরে যেতে চান নিজের এলাকায়। নিজের সম্প্রদায়সহ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ করতে চান। বললেন, ‘বিশেষ করে নারী শিক্ষার উন্নয়ন, নারীদের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং তাদের কর্মসংস্থান নিয়ে কাজ করতে চাই।’
চীনের জিয়াংসু বিশ্ববিদ্যালয় বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য প্রেসিডেনশিয়াল স্কলারশিপ দিচ্ছে। ২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষের প্রেসিডেনশিয়াল স্কলারশিপের জন্য আবেদনপ্রক্রিয়া এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। এ বৃত্তির আওতায় আগ্রহী শিক্ষার্থীরা স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ। সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানী ঢাকা এবং এর আশপাশের এলাকায় বেশ কয়েকটি ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। গবেষকদের আশঙ্কা, যেকোনো সময় ৭ থেকে ৮ মাত্রার ভূমিকম্প দেশে আঘাত হানবে।
৬ ঘণ্টা আগেগত দুই দশকে উচ্চশিক্ষায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর পাশাপাশি বেড়েছে ট্রান্সন্যাশনাল এডুকেশন বা আন্তদেশীয় শিক্ষার চাহিদা। এই ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ দেশে থেকেই বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলামে পড়াশোনার সুযোগ পাচ্ছেন।
৬ ঘণ্টা আগেঢাকার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত তেজগাঁও কলেজের সমাজকর্ম বিভাগে গত শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হয়েছে বিভাগটির প্রথম অ্যালামনাই পুনর্মিলনী ২০২৫। সময়ের পরিক্রমায় যে বন্ধন কিছুটা শিথিল হয়ে পড়েছিল, সেই সম্পর্ককে আবার নতুন করে জোড়া লাগানোর এক অনবদ্য প্রয়াস দেখা গেল এই আয়োজনে।
৬ ঘণ্টা আগে