নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কোনো ছাত্রসংগঠনের একক আধিপত্য নেই, ক্ষমতাসীন দলের দাপটও নেই। জুলাই গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী এমন এক ভিন্ন পরিবেশে গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা দিনভর একে অপরের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুললেও ভোটে বড় কোনো অনিয়মের খবর পাওয়া যায়নি। উৎসব ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্য বলছে, এবারের ডাকসু নির্বাচনে ৭৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ ভোট পড়েছে।
১৯৭৩ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ অনুসারে, প্রতিবছর ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা। শতবর্ষী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এখন পর্যন্ত ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছে ৩৮ বার। এর মধ্যে ২৯ বারই হয়েছে ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলের ৫০ বছরে।
স্বাধীন দেশে ৫৫ বছরে নবমবারের মতো গতকাল ভোট দিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে প্রায় এক মাস ধরেই উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। গতকাল ছিল চূড়ান্ত উৎসবের দিন। এ দিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসের আটটি কেন্দ্রের ৮১০টি বুথে বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ করা হয়। প্রতিনিধি নির্বাচনে ছয় পৃষ্ঠার ওএমআর শিটের ব্যালট পেপারে রায় দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
ভোটকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। নির্বাচনের ভোট গণনায় স্বচ্ছতা নিশ্চিতে কেন্দ্রগুলোর সামনে লাগানো হয় এলইডি স্ক্রিন। এতে দেখানো হয় ভোট গণনা। বিকেল পৌনে ৫টার দিকে কেন্দ্রগুলোর বাইরে থাকা এলইডি স্ক্রিন একে একে চালু করা হয়। এতে শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। রাত সাড়ে ৮টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি।
ডাকসুতে এবার মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। এর মধ্যে পাঁচটি ছাত্রী হলে ১৮ হাজার ৯৫৯ জন আর ১৩টি ছাত্র হলে ভোটার রয়েছেন ২০ হাজার ৯১৫ জন। এবারের নির্বাচনে ডাকসুতে ২৮টি পদের বিপরীতে ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁদের মধ্যে বিভিন্ন পদে ছাত্রী রয়েছেন ৬২ জন। এ ছাড়া প্রতি হল সংসদে ১৩টি করে ১৮টি হলে মোট পদের সংখ্যা ২৩৪টি। এসব পদে ভোটে লড়ছেন ১ হাজার ৩৫ জন।
ভোট পড়েছে ৭৮.৩৩ শতাংশ
ডাকসু নির্বাচনে ৭৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। সবচেয়ে বেশি ভোট দিয়েছেন সূর্যসেন হলের শিক্ষার্থীরা। এ হলের ৮৮ শতাংশ ভোটারই নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এ ছাড়া আরও ১২টি হলের শিক্ষার্থীরা ৮০ শতাংশের ওপরে ভোট দিয়েছেন।
সন্ধ্যায় ডাকসুর চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের হলগুলোর মধ্যে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলে ৮০ দশমিক ২৪ শতাংশ, অমর একুশে হলে ৮৩ দশমিক ৩০ শতাংশ, ফজলুল হক মুসলিম হলে ৮১ দশমিক ৪৩ শতাংশ, জগন্নাথ হলে ৮২ দশমিক ৪৪ শতাংশ, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ৮৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ৮৩ শতাংশ, স্যার এ এফ রহমান হলে ৮২ দশমিক ৫০ শতাংশ ভোট পড়েছে।
এ ছাড়া হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে ৮৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ, বিজয় একাত্তর হলে ৮৫ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ, সূর্যসেন হলে ৮৮ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে ৭৫ শতাংশ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ৮৭ শতাংশ ও কবি জসীমউদ্দীন হলের ৮৬ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন।
ছাত্রীদের হলে তুলনামূলক কম ভোট পড়েছে। ছাত্রীদের বেগম রোকেয়া হলে ৬৫ দশমিক ৫০ শতাংশ, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে ৬৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব হলে ৬৭ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ, কবি সুফিয়া কামাল হলে ৬৪ শতাংশ ও শামসুন নাহার হলের ৬৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ শিক্ষার্থী ভোট দিয়েছেন।
কোনো ছাত্রসংগঠনের একক আধিপত্য নেই, ক্ষমতাসীন দলের দাপটও নেই। জুলাই গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী এমন এক ভিন্ন পরিবেশে গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা দিনভর একে অপরের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুললেও ভোটে বড় কোনো অনিয়মের খবর পাওয়া যায়নি। উৎসব ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্য বলছে, এবারের ডাকসু নির্বাচনে ৭৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ ভোট পড়েছে।
১৯৭৩ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ অনুসারে, প্রতিবছর ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা। শতবর্ষী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এখন পর্যন্ত ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছে ৩৮ বার। এর মধ্যে ২৯ বারই হয়েছে ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলের ৫০ বছরে।
স্বাধীন দেশে ৫৫ বছরে নবমবারের মতো গতকাল ভোট দিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে প্রায় এক মাস ধরেই উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। গতকাল ছিল চূড়ান্ত উৎসবের দিন। এ দিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসের আটটি কেন্দ্রের ৮১০টি বুথে বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ করা হয়। প্রতিনিধি নির্বাচনে ছয় পৃষ্ঠার ওএমআর শিটের ব্যালট পেপারে রায় দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
ভোটকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। নির্বাচনের ভোট গণনায় স্বচ্ছতা নিশ্চিতে কেন্দ্রগুলোর সামনে লাগানো হয় এলইডি স্ক্রিন। এতে দেখানো হয় ভোট গণনা। বিকেল পৌনে ৫টার দিকে কেন্দ্রগুলোর বাইরে থাকা এলইডি স্ক্রিন একে একে চালু করা হয়। এতে শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। রাত সাড়ে ৮টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি।
ডাকসুতে এবার মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। এর মধ্যে পাঁচটি ছাত্রী হলে ১৮ হাজার ৯৫৯ জন আর ১৩টি ছাত্র হলে ভোটার রয়েছেন ২০ হাজার ৯১৫ জন। এবারের নির্বাচনে ডাকসুতে ২৮টি পদের বিপরীতে ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁদের মধ্যে বিভিন্ন পদে ছাত্রী রয়েছেন ৬২ জন। এ ছাড়া প্রতি হল সংসদে ১৩টি করে ১৮টি হলে মোট পদের সংখ্যা ২৩৪টি। এসব পদে ভোটে লড়ছেন ১ হাজার ৩৫ জন।
ভোট পড়েছে ৭৮.৩৩ শতাংশ
ডাকসু নির্বাচনে ৭৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। সবচেয়ে বেশি ভোট দিয়েছেন সূর্যসেন হলের শিক্ষার্থীরা। এ হলের ৮৮ শতাংশ ভোটারই নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এ ছাড়া আরও ১২টি হলের শিক্ষার্থীরা ৮০ শতাংশের ওপরে ভোট দিয়েছেন।
সন্ধ্যায় ডাকসুর চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের হলগুলোর মধ্যে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলে ৮০ দশমিক ২৪ শতাংশ, অমর একুশে হলে ৮৩ দশমিক ৩০ শতাংশ, ফজলুল হক মুসলিম হলে ৮১ দশমিক ৪৩ শতাংশ, জগন্নাথ হলে ৮২ দশমিক ৪৪ শতাংশ, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ৮৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ৮৩ শতাংশ, স্যার এ এফ রহমান হলে ৮২ দশমিক ৫০ শতাংশ ভোট পড়েছে।
এ ছাড়া হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে ৮৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ, বিজয় একাত্তর হলে ৮৫ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ, সূর্যসেন হলে ৮৮ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে ৭৫ শতাংশ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ৮৭ শতাংশ ও কবি জসীমউদ্দীন হলের ৮৬ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন।
ছাত্রীদের হলে তুলনামূলক কম ভোট পড়েছে। ছাত্রীদের বেগম রোকেয়া হলে ৬৫ দশমিক ৫০ শতাংশ, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে ৬৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব হলে ৬৭ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ, কবি সুফিয়া কামাল হলে ৬৪ শতাংশ ও শামসুন নাহার হলের ৬৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ শিক্ষার্থী ভোট দিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বিজয় একাত্তর হলে ভিপি পদে সাদিক কায়েম ও জিএস পদে ফরহাদ বিপুল ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। ভিপি পদে সাদিক কায়েম ৯৯১, আবিদুল ইসলাম ২৭৮, কাদের ৯৫, উমামা ১০৪, শামীম ১৯১ ভোট পেয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে স্যার এফ রহমান হলে ভিপি ও জিএস পদে শিবিরের প্রার্থী সাদিক কায়েম ও ফরহাদ বিপুল ভোটে এগিয়ে আছেন। ভিপি পদে সাদিক কায়েম ৬০২, আবিদুল ইসলাম ১৮৬, কাদের ৯১, উমামা ৭৯ ভোট পেয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে মুহসীন হলে ভিপি ও জিএস পদে শিবিরের প্রার্থী সাদিক কায়েম ও ফরহাদ বিপুল ভোটে এগিয়ে আছেন। ভিপি পদে সাদিক কায়েম ৬৩৩, আবিদুল ইসলাম ২৩১, কাদের ৭০, উমামা ৫৬, শামীম ১২৩ ভোট পেয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর ভিসি ও প্রক্টরকে ‘অভিনন্দন’ জানিয়েছেন বাগছাস সমর্থিত ভিপি প্রার্থী আবদুল কাদের। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এই অভিনন্দন জানান।
২ ঘণ্টা আগে