নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কোনো দলীয় সরকার নেই। নেই হলে হলে দখলদারত্ব। গণ-অভ্যুত্থানের পর অনেকটা মুক্ত পরিবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন আজ। ভোটের উৎসব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হলেও আলোচনা চলছে দেশজুড়ে। কারণ, এই ডাকসু এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাস। এ ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে প্রথম নির্বাচন হওয়ায় ডাকসুর এই ভোটকে ‘জাতীয় নির্বাচনের মহড়া’ হিসেবেও দেখছেন অনেকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেছেন, ‘যদিও এই নির্বাচন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক। তারপরও এর জাতীয় গুরুত্ব আছে। এই বিবেচনায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’
ছয় বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ৩৮তম ডাকসু নির্বাচনে প্রায় সব ছাত্রসংগঠন অংশ নিচ্ছে। শুধু নেই নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ। এই ভোটযুদ্ধে ১০টি প্যানেলের পাশাপাশি অনেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন। ডাকসুতে কেন্দ্রীয় ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৭১ জন। তাঁদের মধ্যে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ১৯ জন আর সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন লড়ছেন। হল সংসদে প্রার্থী হয়েছেন ১ হাজার ৩৫ জন।
এবার ডাকসুতে মোট ভোটার ৩৯ হাজার ৮৭৫ জন। তাঁদের মধ্যে ছাত্রী ১৮ হাজার ৯৫৯ এবং ছাত্র ২০ হাজার ৯১৫ জন। শিক্ষার্থীরা বলছেন, এবারের ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থীদের জয়-পরাজয়ের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর (প্রভাবক উপাদান) কাজ করবে। নারী ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের ভোট নির্বাচনে বড় নির্ধারকের ভূমিকা পালন করবে। এ ছাড়া কিছু ভোটার রয়েছেন, যাঁরা সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি এখনো, সুইং ভোটার হিসেবে পরিচিত এসব ভোটার শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নেন; পাশাপাশি প্রার্থীর ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি, প্রচারকৌশল, রাজনৈতিক শক্তি এবং আঞ্চলিকতাও ভূমিকা রাখবে ভোটে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ৩০ জন শিক্ষার্থীর সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, নারী ভোটাররা জয়-পরাজয় নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখবেন। তাঁদের ভাষ্য, মোট ভোটারদের প্রায় ৪৮ শতাংশ নারী। তাই নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণে তাঁরা হতে পারেন বড় ফ্যাক্টর। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি রয়েছেন ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ অনাবাসিক শিক্ষার্থী। তাঁরাও নির্বাচনে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারেন।
এ বিষয়ে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী তাহেরা আক্তার লিজা বলেন, ‘আবাসিক হলের বাইরেও আমরা বৃহৎ একটা সংখ্যা অনাবাসিক রয়েছি। তাই হলগুলোতে বেশি প্রাধান্য দিলে তারা জয়ী হবে, এমনটি নয়। ভোট আমরা তাকেই দেব, যার বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের কাছে মনে হয়।’
পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এবারের ডাকসুর নির্বাচনী প্রচারে তেমন হট্টগোল দেখা যায়নি। তবে নির্বাচনের আগের দিন গতকাল সোমবার সাইবার আক্রমণের শিকার হয়ে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিজঅ্যাবল হয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের বেশ কয়েকজন প্রার্থীর।
শিক্ষার্থীরা বলেছেন, ভোটের মাঠে শক্তিশালী দুটি প্যানেল জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল-সমর্থিত আবিদ-হামিম-মায়েদ প্যানেল এবং ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট। বড় দুই রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠন হওয়ায় তাদের মধ্যকার প্রতিদ্বন্দ্বিতার রাজনৈতিক প্রভাবও বেশ। তবে রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তির বাইরে গিয়ে ডাকসু নির্বাচনে অংশ নিয়ে বেশ সাড়া ফেলেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমার নেতৃত্বে গঠিত স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেল। নতুন ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) সমর্থিত কাদের-বাকের-আশরেফা প্যানেলও ভোটের লড়াইয়ে বেশ শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। এর বাইরে নির্বাচনী মাঠে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছে বাম-সমর্থিত প্রতিরোধ পর্ষদ, ছাত্র অধিকার পরিষদ-সমর্থিত ডাকসু ফর চেঞ্জ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন-সমর্থিত সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ, জামালউদ্দীন মুহাম্মদ খালিদের সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ, তিন বাম সংগঠন-সমর্থিত অপরাজেয় ৭১, অদম্য ২৪সহ অন্যান্য প্যানেল।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, প্রার্থীদের ব্যক্তিগত ইমেজ এবার বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে ভোটারদের কাছে। শিক্ষার্থীরা যোগ্য, সাহসী এবং গ্রহণযোগ্য নেতৃত্বকেই ভোট দিতে চান বলে জানান একাধিক শিক্ষার্থী। বিতর্কিত প্রার্থীরা এখানে পিছিয়ে পড়তে পারেন, এমন ধারণা সাধারণ শিক্ষার্থীদের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর বিভাগের শিক্ষার্থী ও ভোটার সুরাইয়া সুলতানা বলেন, ‘আমার কাছে মুখ্য বিষয় প্রার্থী; ব্যক্তি পছন্দ, কোনো প্যানেলকে নয়। ব্যক্তির পছন্দ অনুযায়ী আমরা ভোট দেব।’
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ডাকসু নির্বাচন স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্নভাবে আয়োজনে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে থাকবে তিন স্তরের নিরাপত্তা। উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, এই নির্বাচন সমগ্র জাতির জন্য একটি উদাহরণ সৃষ্টি করবে। একই সুরে কথা বলছেন ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন কমিশনের চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মো. জসীম উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচন ফ্রি ফেয়ার ও ক্রেডিবল হবে। আইনগতভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নির্ভয়ে ভোটাররা ভোট দিতে আসবে, সেই জায়গা আমরা তৈরি করেছি।’
অস্ত্র বহন নিষিদ্ধ
ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সব ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক বহন ও প্রদর্শন নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। গতকাল সোমবার রাত ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত তা বহাল থাকবে বলে জানান তিনি। এদিকে ডাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু রাখতে এবং ক্যাম্পাসের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দুই হাজারের বেশি সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। গতকাল বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ডিএমপির অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুমের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই তথ্য জানান।
কোন কেন্দ্রে কত ভোট
এবারের ডাকসু নির্বাচনে ভোট নেওয়া হবে আটটি কেন্দ্রে। এগুলোর মধ্যে কার্জন হল কেন্দ্র ৫ হাজার ৭৭টি ভোট, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র ৪ হাজার ৮৫৩টি, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) ৫ হাজার ৬৬৫টি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব কেন্দ্র ৪ হাজার ৭৫৫টি, সিনেট ভবন কেন্দ্র ৪ হাজার ৮৩০টি, উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ৬ হাজার ১৫৫টি, ভূতত্ত্ব বিভাগ কেন্দ্র ৪ হাজার ৪৪৩টি, ইউ ল্যাব স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ৪ হাজার ৯৬টি ভোট রয়েছে।

কোনো দলীয় সরকার নেই। নেই হলে হলে দখলদারত্ব। গণ-অভ্যুত্থানের পর অনেকটা মুক্ত পরিবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন আজ। ভোটের উৎসব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হলেও আলোচনা চলছে দেশজুড়ে। কারণ, এই ডাকসু এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাস। এ ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে প্রথম নির্বাচন হওয়ায় ডাকসুর এই ভোটকে ‘জাতীয় নির্বাচনের মহড়া’ হিসেবেও দেখছেন অনেকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেছেন, ‘যদিও এই নির্বাচন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক। তারপরও এর জাতীয় গুরুত্ব আছে। এই বিবেচনায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’
ছয় বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ৩৮তম ডাকসু নির্বাচনে প্রায় সব ছাত্রসংগঠন অংশ নিচ্ছে। শুধু নেই নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ। এই ভোটযুদ্ধে ১০টি প্যানেলের পাশাপাশি অনেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন। ডাকসুতে কেন্দ্রীয় ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৭১ জন। তাঁদের মধ্যে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ১৯ জন আর সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন লড়ছেন। হল সংসদে প্রার্থী হয়েছেন ১ হাজার ৩৫ জন।
এবার ডাকসুতে মোট ভোটার ৩৯ হাজার ৮৭৫ জন। তাঁদের মধ্যে ছাত্রী ১৮ হাজার ৯৫৯ এবং ছাত্র ২০ হাজার ৯১৫ জন। শিক্ষার্থীরা বলছেন, এবারের ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থীদের জয়-পরাজয়ের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর (প্রভাবক উপাদান) কাজ করবে। নারী ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের ভোট নির্বাচনে বড় নির্ধারকের ভূমিকা পালন করবে। এ ছাড়া কিছু ভোটার রয়েছেন, যাঁরা সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি এখনো, সুইং ভোটার হিসেবে পরিচিত এসব ভোটার শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নেন; পাশাপাশি প্রার্থীর ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি, প্রচারকৌশল, রাজনৈতিক শক্তি এবং আঞ্চলিকতাও ভূমিকা রাখবে ভোটে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ৩০ জন শিক্ষার্থীর সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, নারী ভোটাররা জয়-পরাজয় নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখবেন। তাঁদের ভাষ্য, মোট ভোটারদের প্রায় ৪৮ শতাংশ নারী। তাই নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণে তাঁরা হতে পারেন বড় ফ্যাক্টর। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি রয়েছেন ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ অনাবাসিক শিক্ষার্থী। তাঁরাও নির্বাচনে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারেন।
এ বিষয়ে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী তাহেরা আক্তার লিজা বলেন, ‘আবাসিক হলের বাইরেও আমরা বৃহৎ একটা সংখ্যা অনাবাসিক রয়েছি। তাই হলগুলোতে বেশি প্রাধান্য দিলে তারা জয়ী হবে, এমনটি নয়। ভোট আমরা তাকেই দেব, যার বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের কাছে মনে হয়।’
পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এবারের ডাকসুর নির্বাচনী প্রচারে তেমন হট্টগোল দেখা যায়নি। তবে নির্বাচনের আগের দিন গতকাল সোমবার সাইবার আক্রমণের শিকার হয়ে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিজঅ্যাবল হয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের বেশ কয়েকজন প্রার্থীর।
শিক্ষার্থীরা বলেছেন, ভোটের মাঠে শক্তিশালী দুটি প্যানেল জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল-সমর্থিত আবিদ-হামিম-মায়েদ প্যানেল এবং ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট। বড় দুই রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠন হওয়ায় তাদের মধ্যকার প্রতিদ্বন্দ্বিতার রাজনৈতিক প্রভাবও বেশ। তবে রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তির বাইরে গিয়ে ডাকসু নির্বাচনে অংশ নিয়ে বেশ সাড়া ফেলেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমার নেতৃত্বে গঠিত স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেল। নতুন ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) সমর্থিত কাদের-বাকের-আশরেফা প্যানেলও ভোটের লড়াইয়ে বেশ শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। এর বাইরে নির্বাচনী মাঠে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছে বাম-সমর্থিত প্রতিরোধ পর্ষদ, ছাত্র অধিকার পরিষদ-সমর্থিত ডাকসু ফর চেঞ্জ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন-সমর্থিত সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ, জামালউদ্দীন মুহাম্মদ খালিদের সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ, তিন বাম সংগঠন-সমর্থিত অপরাজেয় ৭১, অদম্য ২৪সহ অন্যান্য প্যানেল।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, প্রার্থীদের ব্যক্তিগত ইমেজ এবার বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে ভোটারদের কাছে। শিক্ষার্থীরা যোগ্য, সাহসী এবং গ্রহণযোগ্য নেতৃত্বকেই ভোট দিতে চান বলে জানান একাধিক শিক্ষার্থী। বিতর্কিত প্রার্থীরা এখানে পিছিয়ে পড়তে পারেন, এমন ধারণা সাধারণ শিক্ষার্থীদের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর বিভাগের শিক্ষার্থী ও ভোটার সুরাইয়া সুলতানা বলেন, ‘আমার কাছে মুখ্য বিষয় প্রার্থী; ব্যক্তি পছন্দ, কোনো প্যানেলকে নয়। ব্যক্তির পছন্দ অনুযায়ী আমরা ভোট দেব।’
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ডাকসু নির্বাচন স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্নভাবে আয়োজনে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে থাকবে তিন স্তরের নিরাপত্তা। উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, এই নির্বাচন সমগ্র জাতির জন্য একটি উদাহরণ সৃষ্টি করবে। একই সুরে কথা বলছেন ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন কমিশনের চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মো. জসীম উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচন ফ্রি ফেয়ার ও ক্রেডিবল হবে। আইনগতভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নির্ভয়ে ভোটাররা ভোট দিতে আসবে, সেই জায়গা আমরা তৈরি করেছি।’
অস্ত্র বহন নিষিদ্ধ
ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সব ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক বহন ও প্রদর্শন নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। গতকাল সোমবার রাত ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত তা বহাল থাকবে বলে জানান তিনি। এদিকে ডাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু রাখতে এবং ক্যাম্পাসের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দুই হাজারের বেশি সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। গতকাল বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ডিএমপির অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুমের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই তথ্য জানান।
কোন কেন্দ্রে কত ভোট
এবারের ডাকসু নির্বাচনে ভোট নেওয়া হবে আটটি কেন্দ্রে। এগুলোর মধ্যে কার্জন হল কেন্দ্র ৫ হাজার ৭৭টি ভোট, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র ৪ হাজার ৮৫৩টি, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) ৫ হাজার ৬৬৫টি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব কেন্দ্র ৪ হাজার ৭৫৫টি, সিনেট ভবন কেন্দ্র ৪ হাজার ৮৩০টি, উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ৬ হাজার ১৫৫টি, ভূতত্ত্ব বিভাগ কেন্দ্র ৪ হাজার ৪৪৩টি, ইউ ল্যাব স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ৪ হাজার ৯৬টি ভোট রয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কোনো দলীয় সরকার নেই। নেই হলে হলে দখলদারত্ব। গণ-অভ্যুত্থানের পর অনেকটা মুক্ত পরিবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন আজ। ভোটের উৎসব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হলেও আলোচনা চলছে দেশজুড়ে। কারণ, এই ডাকসু এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাস। এ ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে প্রথম নির্বাচন হওয়ায় ডাকসুর এই ভোটকে ‘জাতীয় নির্বাচনের মহড়া’ হিসেবেও দেখছেন অনেকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেছেন, ‘যদিও এই নির্বাচন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক। তারপরও এর জাতীয় গুরুত্ব আছে। এই বিবেচনায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’
ছয় বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ৩৮তম ডাকসু নির্বাচনে প্রায় সব ছাত্রসংগঠন অংশ নিচ্ছে। শুধু নেই নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ। এই ভোটযুদ্ধে ১০টি প্যানেলের পাশাপাশি অনেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন। ডাকসুতে কেন্দ্রীয় ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৭১ জন। তাঁদের মধ্যে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ১৯ জন আর সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন লড়ছেন। হল সংসদে প্রার্থী হয়েছেন ১ হাজার ৩৫ জন।
এবার ডাকসুতে মোট ভোটার ৩৯ হাজার ৮৭৫ জন। তাঁদের মধ্যে ছাত্রী ১৮ হাজার ৯৫৯ এবং ছাত্র ২০ হাজার ৯১৫ জন। শিক্ষার্থীরা বলছেন, এবারের ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থীদের জয়-পরাজয়ের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর (প্রভাবক উপাদান) কাজ করবে। নারী ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের ভোট নির্বাচনে বড় নির্ধারকের ভূমিকা পালন করবে। এ ছাড়া কিছু ভোটার রয়েছেন, যাঁরা সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি এখনো, সুইং ভোটার হিসেবে পরিচিত এসব ভোটার শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নেন; পাশাপাশি প্রার্থীর ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি, প্রচারকৌশল, রাজনৈতিক শক্তি এবং আঞ্চলিকতাও ভূমিকা রাখবে ভোটে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ৩০ জন শিক্ষার্থীর সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, নারী ভোটাররা জয়-পরাজয় নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখবেন। তাঁদের ভাষ্য, মোট ভোটারদের প্রায় ৪৮ শতাংশ নারী। তাই নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণে তাঁরা হতে পারেন বড় ফ্যাক্টর। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি রয়েছেন ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ অনাবাসিক শিক্ষার্থী। তাঁরাও নির্বাচনে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারেন।
এ বিষয়ে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী তাহেরা আক্তার লিজা বলেন, ‘আবাসিক হলের বাইরেও আমরা বৃহৎ একটা সংখ্যা অনাবাসিক রয়েছি। তাই হলগুলোতে বেশি প্রাধান্য দিলে তারা জয়ী হবে, এমনটি নয়। ভোট আমরা তাকেই দেব, যার বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের কাছে মনে হয়।’
পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এবারের ডাকসুর নির্বাচনী প্রচারে তেমন হট্টগোল দেখা যায়নি। তবে নির্বাচনের আগের দিন গতকাল সোমবার সাইবার আক্রমণের শিকার হয়ে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিজঅ্যাবল হয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের বেশ কয়েকজন প্রার্থীর।
শিক্ষার্থীরা বলেছেন, ভোটের মাঠে শক্তিশালী দুটি প্যানেল জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল-সমর্থিত আবিদ-হামিম-মায়েদ প্যানেল এবং ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট। বড় দুই রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠন হওয়ায় তাদের মধ্যকার প্রতিদ্বন্দ্বিতার রাজনৈতিক প্রভাবও বেশ। তবে রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তির বাইরে গিয়ে ডাকসু নির্বাচনে অংশ নিয়ে বেশ সাড়া ফেলেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমার নেতৃত্বে গঠিত স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেল। নতুন ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) সমর্থিত কাদের-বাকের-আশরেফা প্যানেলও ভোটের লড়াইয়ে বেশ শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। এর বাইরে নির্বাচনী মাঠে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছে বাম-সমর্থিত প্রতিরোধ পর্ষদ, ছাত্র অধিকার পরিষদ-সমর্থিত ডাকসু ফর চেঞ্জ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন-সমর্থিত সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ, জামালউদ্দীন মুহাম্মদ খালিদের সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ, তিন বাম সংগঠন-সমর্থিত অপরাজেয় ৭১, অদম্য ২৪সহ অন্যান্য প্যানেল।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, প্রার্থীদের ব্যক্তিগত ইমেজ এবার বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে ভোটারদের কাছে। শিক্ষার্থীরা যোগ্য, সাহসী এবং গ্রহণযোগ্য নেতৃত্বকেই ভোট দিতে চান বলে জানান একাধিক শিক্ষার্থী। বিতর্কিত প্রার্থীরা এখানে পিছিয়ে পড়তে পারেন, এমন ধারণা সাধারণ শিক্ষার্থীদের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর বিভাগের শিক্ষার্থী ও ভোটার সুরাইয়া সুলতানা বলেন, ‘আমার কাছে মুখ্য বিষয় প্রার্থী; ব্যক্তি পছন্দ, কোনো প্যানেলকে নয়। ব্যক্তির পছন্দ অনুযায়ী আমরা ভোট দেব।’
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ডাকসু নির্বাচন স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্নভাবে আয়োজনে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে থাকবে তিন স্তরের নিরাপত্তা। উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, এই নির্বাচন সমগ্র জাতির জন্য একটি উদাহরণ সৃষ্টি করবে। একই সুরে কথা বলছেন ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন কমিশনের চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মো. জসীম উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচন ফ্রি ফেয়ার ও ক্রেডিবল হবে। আইনগতভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নির্ভয়ে ভোটাররা ভোট দিতে আসবে, সেই জায়গা আমরা তৈরি করেছি।’
অস্ত্র বহন নিষিদ্ধ
ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সব ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক বহন ও প্রদর্শন নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। গতকাল সোমবার রাত ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত তা বহাল থাকবে বলে জানান তিনি। এদিকে ডাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু রাখতে এবং ক্যাম্পাসের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দুই হাজারের বেশি সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। গতকাল বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ডিএমপির অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুমের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই তথ্য জানান।
কোন কেন্দ্রে কত ভোট
এবারের ডাকসু নির্বাচনে ভোট নেওয়া হবে আটটি কেন্দ্রে। এগুলোর মধ্যে কার্জন হল কেন্দ্র ৫ হাজার ৭৭টি ভোট, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র ৪ হাজার ৮৫৩টি, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) ৫ হাজার ৬৬৫টি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব কেন্দ্র ৪ হাজার ৭৫৫টি, সিনেট ভবন কেন্দ্র ৪ হাজার ৮৩০টি, উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ৬ হাজার ১৫৫টি, ভূতত্ত্ব বিভাগ কেন্দ্র ৪ হাজার ৪৪৩টি, ইউ ল্যাব স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ৪ হাজার ৯৬টি ভোট রয়েছে।

কোনো দলীয় সরকার নেই। নেই হলে হলে দখলদারত্ব। গণ-অভ্যুত্থানের পর অনেকটা মুক্ত পরিবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন আজ। ভোটের উৎসব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হলেও আলোচনা চলছে দেশজুড়ে। কারণ, এই ডাকসু এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাস। এ ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে প্রথম নির্বাচন হওয়ায় ডাকসুর এই ভোটকে ‘জাতীয় নির্বাচনের মহড়া’ হিসেবেও দেখছেন অনেকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেছেন, ‘যদিও এই নির্বাচন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক। তারপরও এর জাতীয় গুরুত্ব আছে। এই বিবেচনায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’
ছয় বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ৩৮তম ডাকসু নির্বাচনে প্রায় সব ছাত্রসংগঠন অংশ নিচ্ছে। শুধু নেই নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ। এই ভোটযুদ্ধে ১০টি প্যানেলের পাশাপাশি অনেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন। ডাকসুতে কেন্দ্রীয় ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৭১ জন। তাঁদের মধ্যে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ১৯ জন আর সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন লড়ছেন। হল সংসদে প্রার্থী হয়েছেন ১ হাজার ৩৫ জন।
এবার ডাকসুতে মোট ভোটার ৩৯ হাজার ৮৭৫ জন। তাঁদের মধ্যে ছাত্রী ১৮ হাজার ৯৫৯ এবং ছাত্র ২০ হাজার ৯১৫ জন। শিক্ষার্থীরা বলছেন, এবারের ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থীদের জয়-পরাজয়ের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর (প্রভাবক উপাদান) কাজ করবে। নারী ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের ভোট নির্বাচনে বড় নির্ধারকের ভূমিকা পালন করবে। এ ছাড়া কিছু ভোটার রয়েছেন, যাঁরা সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি এখনো, সুইং ভোটার হিসেবে পরিচিত এসব ভোটার শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নেন; পাশাপাশি প্রার্থীর ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি, প্রচারকৌশল, রাজনৈতিক শক্তি এবং আঞ্চলিকতাও ভূমিকা রাখবে ভোটে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ৩০ জন শিক্ষার্থীর সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, নারী ভোটাররা জয়-পরাজয় নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখবেন। তাঁদের ভাষ্য, মোট ভোটারদের প্রায় ৪৮ শতাংশ নারী। তাই নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণে তাঁরা হতে পারেন বড় ফ্যাক্টর। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি রয়েছেন ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ অনাবাসিক শিক্ষার্থী। তাঁরাও নির্বাচনে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারেন।
এ বিষয়ে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী তাহেরা আক্তার লিজা বলেন, ‘আবাসিক হলের বাইরেও আমরা বৃহৎ একটা সংখ্যা অনাবাসিক রয়েছি। তাই হলগুলোতে বেশি প্রাধান্য দিলে তারা জয়ী হবে, এমনটি নয়। ভোট আমরা তাকেই দেব, যার বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের কাছে মনে হয়।’
পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এবারের ডাকসুর নির্বাচনী প্রচারে তেমন হট্টগোল দেখা যায়নি। তবে নির্বাচনের আগের দিন গতকাল সোমবার সাইবার আক্রমণের শিকার হয়ে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিজঅ্যাবল হয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের বেশ কয়েকজন প্রার্থীর।
শিক্ষার্থীরা বলেছেন, ভোটের মাঠে শক্তিশালী দুটি প্যানেল জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল-সমর্থিত আবিদ-হামিম-মায়েদ প্যানেল এবং ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট। বড় দুই রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠন হওয়ায় তাদের মধ্যকার প্রতিদ্বন্দ্বিতার রাজনৈতিক প্রভাবও বেশ। তবে রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তির বাইরে গিয়ে ডাকসু নির্বাচনে অংশ নিয়ে বেশ সাড়া ফেলেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমার নেতৃত্বে গঠিত স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেল। নতুন ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) সমর্থিত কাদের-বাকের-আশরেফা প্যানেলও ভোটের লড়াইয়ে বেশ শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। এর বাইরে নির্বাচনী মাঠে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছে বাম-সমর্থিত প্রতিরোধ পর্ষদ, ছাত্র অধিকার পরিষদ-সমর্থিত ডাকসু ফর চেঞ্জ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন-সমর্থিত সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ, জামালউদ্দীন মুহাম্মদ খালিদের সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ, তিন বাম সংগঠন-সমর্থিত অপরাজেয় ৭১, অদম্য ২৪সহ অন্যান্য প্যানেল।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, প্রার্থীদের ব্যক্তিগত ইমেজ এবার বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে ভোটারদের কাছে। শিক্ষার্থীরা যোগ্য, সাহসী এবং গ্রহণযোগ্য নেতৃত্বকেই ভোট দিতে চান বলে জানান একাধিক শিক্ষার্থী। বিতর্কিত প্রার্থীরা এখানে পিছিয়ে পড়তে পারেন, এমন ধারণা সাধারণ শিক্ষার্থীদের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর বিভাগের শিক্ষার্থী ও ভোটার সুরাইয়া সুলতানা বলেন, ‘আমার কাছে মুখ্য বিষয় প্রার্থী; ব্যক্তি পছন্দ, কোনো প্যানেলকে নয়। ব্যক্তির পছন্দ অনুযায়ী আমরা ভোট দেব।’
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ডাকসু নির্বাচন স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্নভাবে আয়োজনে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে থাকবে তিন স্তরের নিরাপত্তা। উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, এই নির্বাচন সমগ্র জাতির জন্য একটি উদাহরণ সৃষ্টি করবে। একই সুরে কথা বলছেন ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন কমিশনের চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মো. জসীম উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচন ফ্রি ফেয়ার ও ক্রেডিবল হবে। আইনগতভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নির্ভয়ে ভোটাররা ভোট দিতে আসবে, সেই জায়গা আমরা তৈরি করেছি।’
অস্ত্র বহন নিষিদ্ধ
ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সব ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক বহন ও প্রদর্শন নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। গতকাল সোমবার রাত ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত তা বহাল থাকবে বলে জানান তিনি। এদিকে ডাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু রাখতে এবং ক্যাম্পাসের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দুই হাজারের বেশি সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। গতকাল বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ডিএমপির অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুমের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই তথ্য জানান।
কোন কেন্দ্রে কত ভোট
এবারের ডাকসু নির্বাচনে ভোট নেওয়া হবে আটটি কেন্দ্রে। এগুলোর মধ্যে কার্জন হল কেন্দ্র ৫ হাজার ৭৭টি ভোট, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র ৪ হাজার ৮৫৩টি, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) ৫ হাজার ৬৬৫টি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব কেন্দ্র ৪ হাজার ৭৫৫টি, সিনেট ভবন কেন্দ্র ৪ হাজার ৮৩০টি, উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ৬ হাজার ১৫৫টি, ভূতত্ত্ব বিভাগ কেন্দ্র ৪ হাজার ৪৪৩টি, ইউ ল্যাব স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ৪ হাজার ৯৬টি ভোট রয়েছে।

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) মিডিয়া অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন (এমএমসি) বিভাগ আয়োজিত ‘১০ম কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম এডুকেটরস নেটওয়ার্ক (সিজেন) কনফারেন্স ২০২৫’ ২৪ ও ২৫ অক্টোবর এআইইউবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিডব্লিউ একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দ
৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) এইচএসসি পরীক্ষা-২০২৫-এর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর গড় পাসের হার ৬২ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাবিবুল্যাহ মাহামুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের নানা প্রান্তের তরুণেরা যখন পরিবর্তনের স্বপ্নে ভবিষ্যৎ গড়ছেন, তখন সেই স্বপ্নবাজদের সারিতে বাংলাদেশের তরুণ আমিমুল এহসান খান যোগ করেছেন এক অনন্য অধ্যায়। সম্প্রতি তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’ হিসেবে। বিশ্বের ৫০ জন তরুণের মধ্য থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি।
১৬ ঘণ্টা আগে
দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধের ঝুঁকি। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, অনলাইন প্রতারণা কিংবা ডিপফেক ভিডিও—সবকিছু মিলিয়ে এখন সাইবার অপরাধ এক বড় সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) মিডিয়া অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন (এমএমসি) বিভাগ আয়োজিত ‘১০ম কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম এডুকেটরস নেটওয়ার্ক (সিজেন) কনফারেন্স ২০২৫’ ২৪ ও ২৫ অক্টোবর এআইইউবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিডব্লিউ একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া শিক্ষাবিদ, গণমাধ্যম পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
এবারের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘মিডিয়া ট্রান্সফর্মড: বাংলাদেশ অ্যাট এ ক্রসরোড’।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এআইইউবির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ড. হাসানুল এ. হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিডব্লিউ একাডেমির প্রজেক্ট ম্যানেজার মিস জিমি আমির। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এআইইউবি ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর ড. কারমেন জিটা লামাগনা, এআইইউবির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম, প্রো ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আব্দুর রহমান, ফ্যাকাল্টি অব আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের (এফএএসএস) ডিন প্রফেসর ড. তাজুল ইসলাম, এমএমসি বিভাগের উপদেষ্টা ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গণমাধ্যম পেশাজীবীরা।
অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য দেন এমএমসি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মিস রানি এলেন ভি রামোস। দুই দিনব্যাপী এই কনফারেন্সে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন, প্যানেল আলোচনা এবং একাডেমিক পেপার সেশন অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে ২৪ অক্টোবর কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) মিডিয়া অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন (এমএমসি) বিভাগ আয়োজিত ‘১০ম কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম এডুকেটরস নেটওয়ার্ক (সিজেন) কনফারেন্স ২০২৫’ ২৪ ও ২৫ অক্টোবর এআইইউবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিডব্লিউ একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া শিক্ষাবিদ, গণমাধ্যম পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
এবারের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘মিডিয়া ট্রান্সফর্মড: বাংলাদেশ অ্যাট এ ক্রসরোড’।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এআইইউবির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ড. হাসানুল এ. হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিডব্লিউ একাডেমির প্রজেক্ট ম্যানেজার মিস জিমি আমির। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এআইইউবি ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর ড. কারমেন জিটা লামাগনা, এআইইউবির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম, প্রো ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আব্দুর রহমান, ফ্যাকাল্টি অব আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের (এফএএসএস) ডিন প্রফেসর ড. তাজুল ইসলাম, এমএমসি বিভাগের উপদেষ্টা ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গণমাধ্যম পেশাজীবীরা।
অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য দেন এমএমসি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মিস রানি এলেন ভি রামোস। দুই দিনব্যাপী এই কনফারেন্সে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন, প্যানেল আলোচনা এবং একাডেমিক পেপার সেশন অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে ২৪ অক্টোবর কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।

কোনো দলীয় সরকার নেই। নেই হলে হলে দখলদারত্ব। গণ-অভ্যুত্থানের পর অনেকটা মুক্ত পরিবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন আজ। ভোটের উৎসব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হলেও আলোচনা চলছে দেশজুড়ে। কারণ, এই ডাকসু এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাস। এ ছাড়া...
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) এইচএসসি পরীক্ষা-২০২৫-এর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর গড় পাসের হার ৬২ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাবিবুল্যাহ মাহামুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের নানা প্রান্তের তরুণেরা যখন পরিবর্তনের স্বপ্নে ভবিষ্যৎ গড়ছেন, তখন সেই স্বপ্নবাজদের সারিতে বাংলাদেশের তরুণ আমিমুল এহসান খান যোগ করেছেন এক অনন্য অধ্যায়। সম্প্রতি তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’ হিসেবে। বিশ্বের ৫০ জন তরুণের মধ্য থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি।
১৬ ঘণ্টা আগে
দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধের ঝুঁকি। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, অনলাইন প্রতারণা কিংবা ডিপফেক ভিডিও—সবকিছু মিলিয়ে এখন সাইবার অপরাধ এক বড় সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) এইচএসসি পরীক্ষা-২০২৫-এর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর গড় পাসের হার ৬২ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাবিবুল্যাহ মাহামুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ বছর প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষ মিলিয়ে মোট ৩৮ হাজার ৩৪২ জন শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ৩১ হাজার ৪২১ জন শিক্ষার্থী। আর চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেন ১৬ হাজার ৭৮৩ জন, যার মধ্যে ১০ হাজার ৪৬৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫ হাজার ৬৪০ জন ছাত্র ও ৪ হাজার ৮২৩ জন ছাত্রী। পরীক্ষার ফল বাউবির ওয়েবসাইট (result.bou.ac.bd) থেকে জানা যাবে।

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) এইচএসসি পরীক্ষা-২০২৫-এর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর গড় পাসের হার ৬২ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাবিবুল্যাহ মাহামুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ বছর প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষ মিলিয়ে মোট ৩৮ হাজার ৩৪২ জন শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ৩১ হাজার ৪২১ জন শিক্ষার্থী। আর চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেন ১৬ হাজার ৭৮৩ জন, যার মধ্যে ১০ হাজার ৪৬৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫ হাজার ৬৪০ জন ছাত্র ও ৪ হাজার ৮২৩ জন ছাত্রী। পরীক্ষার ফল বাউবির ওয়েবসাইট (result.bou.ac.bd) থেকে জানা যাবে।

কোনো দলীয় সরকার নেই। নেই হলে হলে দখলদারত্ব। গণ-অভ্যুত্থানের পর অনেকটা মুক্ত পরিবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন আজ। ভোটের উৎসব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হলেও আলোচনা চলছে দেশজুড়ে। কারণ, এই ডাকসু এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাস। এ ছাড়া...
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) মিডিয়া অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন (এমএমসি) বিভাগ আয়োজিত ‘১০ম কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম এডুকেটরস নেটওয়ার্ক (সিজেন) কনফারেন্স ২০২৫’ ২৪ ও ২৫ অক্টোবর এআইইউবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিডব্লিউ একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দ
৩ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের নানা প্রান্তের তরুণেরা যখন পরিবর্তনের স্বপ্নে ভবিষ্যৎ গড়ছেন, তখন সেই স্বপ্নবাজদের সারিতে বাংলাদেশের তরুণ আমিমুল এহসান খান যোগ করেছেন এক অনন্য অধ্যায়। সম্প্রতি তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’ হিসেবে। বিশ্বের ৫০ জন তরুণের মধ্য থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি।
১৬ ঘণ্টা আগে
দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধের ঝুঁকি। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, অনলাইন প্রতারণা কিংবা ডিপফেক ভিডিও—সবকিছু মিলিয়ে এখন সাইবার অপরাধ এক বড় সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগেআব্দুর রাজ্জাক খান

বিশ্বের নানা প্রান্তের তরুণেরা যখন পরিবর্তনের স্বপ্নে ভবিষ্যৎ গড়ছেন, তখন সেই স্বপ্নবাজদের সারিতে বাংলাদেশের তরুণ আমিমুল এহসান খান যোগ করেছেন এক অনন্য অধ্যায়। সম্প্রতি তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’ হিসেবে। বিশ্বের ৫০ জন তরুণের মধ্য থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে ২০ থেকে ২৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত গ্লোবাল ইয়ুথ সামিট ২০২৫-এ অংশ নেন আমিমুল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৫০ তরুণ নেতাকে নিয়ে আয়োজিত এই সামিটে আলোচনা হয় নেতৃত্ব, টেকসই উন্নয়ন, সামাজিক পরিবর্তন ও বৈশ্বিক সহযোগিতা নিয়ে। এই সম্মেলন ছিল ফুল ফান্ডেড। সামিটে অংশগ্রহণ করা তরুণদের সব ব্যয় বহন করেছে আয়োজক সংস্থা।
টোকিও থেকে বিশ্বমঞ্চে
আমিমুলের উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন হয়েছে জাপানের টোকিও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পেয়েছেন ৮০ শতাংশ স্কলারশিপ, পাশাপাশি জাপান সরকারের এক বছরের বৃত্তিও পেয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি কাজ করছেন অ্যাওয়ারনেস ৩৬০ নামের একটি বৈশ্বিক তরুণ নেতৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠানে প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট লিড হিসেবে। পাশাপাশি জাপানের এশিয়ান বিজনেস নেটওয়ার্কে তিনি মার্কেটিং ম্যানেজার পদেও কর্মরত।
পরিবর্তনের পথে নেতৃত্ব
নিজের যাত্রা নিয়ে আমিমুল বলেন, ‘আমি এই সুযোগ পেয়েছি যুব ক্ষমতায়নমূলক কাজের জন্য, যা আমি অ্যাওয়ারনেস ৩৬০-এর সঙ্গে করে আসছি। আমি একা পৃথিবী বদলাতে পারব না জানি, তাই আমি অন্যদের অনুপ্রাণিত করছি, যাতে তারাও পরিবর্তনের পথে এগিয়ে আসে।’

তাঁর নেতৃত্বে প্রতিবছর আয়োজিত হয় অ্যাওয়ারনেস ৩৬০ ফেলোশিপ প্রোগ্রাম। যেখানে তরুণদের শেখানো হয় নেতৃত্ব, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ও সামাজিক প্রভাব তৈরির দক্ষতা। পাঁচ বছর ধরে প্রতিবছর এই উদ্যোগে যুক্ত হয়েছেন বিশ্বের ৭০টির বেশি দেশের প্রায় ৫০০ তরুণ।
পুরস্কার ও স্বীকৃতি
যুবসমাজের জন্য নিরলস পরিশ্রমের স্বীকৃতি হিসেবে ২০২২ সালে আমিমুল পেয়েছিলেন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ‘দ্য ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড’। এটি ছিল তরুণ নেতৃত্ব এবং সামাজিক প্রভাব তৈরির অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার।
অনুপ্রেরণার বার্তা
দক্ষিণ আফ্রিকার সামিটে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা তাঁকে আরও দৃঢ় করেছে। তিনি বলেন, ‘এই সম্মেলনে অংশ নিয়ে বুঝেছি, পৃথিবীর প্রত্যেক তরুণই পরিবর্তনের বাহক হতে পারে। আমাদের চিন্তা, কাজ আর সহযোগিতার মাধ্যমে গড়ে উঠতে পারে এক সুন্দর, টেকসই ভবিষ্যৎ।’

বিশ্বের নানা প্রান্তের তরুণেরা যখন পরিবর্তনের স্বপ্নে ভবিষ্যৎ গড়ছেন, তখন সেই স্বপ্নবাজদের সারিতে বাংলাদেশের তরুণ আমিমুল এহসান খান যোগ করেছেন এক অনন্য অধ্যায়। সম্প্রতি তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’ হিসেবে। বিশ্বের ৫০ জন তরুণের মধ্য থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে ২০ থেকে ২৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত গ্লোবাল ইয়ুথ সামিট ২০২৫-এ অংশ নেন আমিমুল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৫০ তরুণ নেতাকে নিয়ে আয়োজিত এই সামিটে আলোচনা হয় নেতৃত্ব, টেকসই উন্নয়ন, সামাজিক পরিবর্তন ও বৈশ্বিক সহযোগিতা নিয়ে। এই সম্মেলন ছিল ফুল ফান্ডেড। সামিটে অংশগ্রহণ করা তরুণদের সব ব্যয় বহন করেছে আয়োজক সংস্থা।
টোকিও থেকে বিশ্বমঞ্চে
আমিমুলের উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন হয়েছে জাপানের টোকিও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পেয়েছেন ৮০ শতাংশ স্কলারশিপ, পাশাপাশি জাপান সরকারের এক বছরের বৃত্তিও পেয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি কাজ করছেন অ্যাওয়ারনেস ৩৬০ নামের একটি বৈশ্বিক তরুণ নেতৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠানে প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট লিড হিসেবে। পাশাপাশি জাপানের এশিয়ান বিজনেস নেটওয়ার্কে তিনি মার্কেটিং ম্যানেজার পদেও কর্মরত।
পরিবর্তনের পথে নেতৃত্ব
নিজের যাত্রা নিয়ে আমিমুল বলেন, ‘আমি এই সুযোগ পেয়েছি যুব ক্ষমতায়নমূলক কাজের জন্য, যা আমি অ্যাওয়ারনেস ৩৬০-এর সঙ্গে করে আসছি। আমি একা পৃথিবী বদলাতে পারব না জানি, তাই আমি অন্যদের অনুপ্রাণিত করছি, যাতে তারাও পরিবর্তনের পথে এগিয়ে আসে।’

তাঁর নেতৃত্বে প্রতিবছর আয়োজিত হয় অ্যাওয়ারনেস ৩৬০ ফেলোশিপ প্রোগ্রাম। যেখানে তরুণদের শেখানো হয় নেতৃত্ব, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ও সামাজিক প্রভাব তৈরির দক্ষতা। পাঁচ বছর ধরে প্রতিবছর এই উদ্যোগে যুক্ত হয়েছেন বিশ্বের ৭০টির বেশি দেশের প্রায় ৫০০ তরুণ।
পুরস্কার ও স্বীকৃতি
যুবসমাজের জন্য নিরলস পরিশ্রমের স্বীকৃতি হিসেবে ২০২২ সালে আমিমুল পেয়েছিলেন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ‘দ্য ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড’। এটি ছিল তরুণ নেতৃত্ব এবং সামাজিক প্রভাব তৈরির অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার।
অনুপ্রেরণার বার্তা
দক্ষিণ আফ্রিকার সামিটে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা তাঁকে আরও দৃঢ় করেছে। তিনি বলেন, ‘এই সম্মেলনে অংশ নিয়ে বুঝেছি, পৃথিবীর প্রত্যেক তরুণই পরিবর্তনের বাহক হতে পারে। আমাদের চিন্তা, কাজ আর সহযোগিতার মাধ্যমে গড়ে উঠতে পারে এক সুন্দর, টেকসই ভবিষ্যৎ।’

কোনো দলীয় সরকার নেই। নেই হলে হলে দখলদারত্ব। গণ-অভ্যুত্থানের পর অনেকটা মুক্ত পরিবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন আজ। ভোটের উৎসব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হলেও আলোচনা চলছে দেশজুড়ে। কারণ, এই ডাকসু এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাস। এ ছাড়া...
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) মিডিয়া অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন (এমএমসি) বিভাগ আয়োজিত ‘১০ম কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম এডুকেটরস নেটওয়ার্ক (সিজেন) কনফারেন্স ২০২৫’ ২৪ ও ২৫ অক্টোবর এআইইউবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিডব্লিউ একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দ
৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) এইচএসসি পরীক্ষা-২০২৫-এর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর গড় পাসের হার ৬২ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাবিবুল্যাহ মাহামুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধের ঝুঁকি। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, অনলাইন প্রতারণা কিংবা ডিপফেক ভিডিও—সবকিছু মিলিয়ে এখন সাইবার অপরাধ এক বড় সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগেনওসাদ আল সাইম

দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধের ঝুঁকি। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, অনলাইন প্রতারণা কিংবা ডিপফেক ভিডিও—সবকিছু মিলিয়ে এখন সাইবার অপরাধ এক বড় সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
সাইবার এইড বাংলাদেশের সাম্প্রতিক জরিপ অনুযায়ী, ডিপফেক ও এআইনির্ভর অপরাধের হার এখন ২৩ শতাংশের বেশি। সোশ্যাল মিডিয়া হ্যাকিং ২১ শতাংশ, ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে অপপ্রচার ১৫ শতাংশ, ই-কমার্স প্রতারণা ১৫ শতাংশ এবং অনলাইন হুমকি ১১ শতাংশ। ভুক্তভোগীদের প্রায় ৭৯ শতাংশের বয়স ১৮-৩০ বছরের মধ্যে, তাঁদের ৫৯ শতাংশই নারী।
অধিকাংশ ভুক্তভোগী জানেন না, কোথায় অভিযোগ করতে হবে। জরিপে দেখা গেছে, ৪২ শতাংশ অভিযোগ দাখিলের সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে অজ্ঞ এবং যাঁরা অভিযোগ করেন, তাঁদের মাত্র ১২ শতাংশ আইনি প্রতিকার পান। ফলে সচেতনতার অভাব ও আইনি কাঠামোর সীমাবদ্ধতায় সাইবার নিরাপত্তা এখন দেশের বড় এক চ্যালেঞ্জ।
এই বাস্তবতায় এগিয়ে এসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আরাফাত চৌধুরী। ২০২২ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘সাইবার এইড বাংলাদেশ’, যা সাইবার অপরাধের শিকার মানুষের আইনি সহায়তা এবং মানসিক সাপোর্ট দেয়। মাত্র তিন বছরের ব্যবধানে সংগঠনটি দেশে সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলছে।
আরাফাত বলেন, ‘সাইবার অপরাধ শুধু মানসিক যন্ত্রণা নয়, সামাজিক মর্যাদাহানির কারণও। কিন্তু বেশির ভাগ ভুক্তভোগী ভয় বা লজ্জায় মুখ খুলতে চান না।’ সংগঠনের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ১ হাজার ৭৬১ জন এবং অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রায়
৪ হাজার মানুষ সাইবার এইডের সহায়তা পেয়েছেন। সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে ৭৬ শতাংশই নারী। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ আসে ব্ল্যাকমেল ও ই-কমার্স প্রতারণা-সংক্রান্ত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান সুমনা বলেন, ‘একজন আমার ব্যক্তিগত ছবি ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেল করতে থাকে। কী করব বুঝতে পারছিলাম না। তখন সাইবার এইডে যোগাযোগ করি। শুধু আইনি সহায়তাই নয়; মানসিকভাবেও তারা পাশে দাঁড়ায়।’
অন্যদিকে জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘অনলাইনে একটি পেজ থেকে আইফোন কিনতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছিলাম। সাইবার এইডের সহায়তায় পুলিশে অভিযোগ করতে পারি। এখন অন্তত জানি, প্রতারণার শিকার হলে চুপ করে না থেকে লড়াই করা যায়।’
শুধু আইনি সহায়তা নয়, সচেতনতা সৃষ্টিতেও কাজ করছে সংগঠনটি। এ পর্যন্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইবার সচেতনতা ক্যাম্পেইন এবং বিভাগীয় শহর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ৫৬টির বেশি সেমিনার ও প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছে তারা। অনলাইনে ‘বেসিক সাইবার লিটারেসি’, ‘সাইবার স্পেস সিকিউরিটি’ ও ‘ডিজিটাল ফরেনসিক’ কোর্স চালু করেছে। ভবিষ্যতে চালু হবে একটি মোবাইল অ্যাপ, যেখানে থাকবে লাইভ চ্যাট সাপোর্ট, এআইনির্ভর নিরাপত্তা নির্দেশনা এবং দ্রুত অভিযোগ দাখিলের সুবিধা।
ভুক্তভোগীরা হটলাইন, ফেসবুক পেজ বা গ্রুপের মাধ্যমে অভিযোগ করলে সাইবার এইড বাংলাদেশ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন ও সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নিশ্চিত করে।
সাইবার অপরাধ বাড়ার পেছনে আরাফাত দুটি বড় কারণ দেখছেন। সেগুলো হলো সচেতনতার অভাব এবং আইনগত সীমাবদ্ধতা। তাঁর মতে, বেশির ভাগ সাইবার অপরাধ জামিনযোগ্য হওয়ায় অপরাধীদের ভয় কম। আবার ডিজিটাল প্রমাণ সংগ্রহে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দক্ষতায়ও ঘাটতি রয়েছে।
আরাফাতের বিশ্বাস, প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সাইবার ঝুঁকিও বাড়ছে। তাই প্রয়োজন আগাম প্রস্তুতি ও সচেতনতা। তাঁর ভাষায়, ‘আমরা চাই তরুণেরা শুধু প্রযুক্তির ব্যবহারকারী নয়, বরং প্রযুক্তির নিরাপত্তা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করুক।’
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট আল মামুন রাসেল বলেন, সাইবার এইড বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে সাইবার ক্রাইম ভিকটিমদের আইনি সহযোগিতা করে যাচ্ছে। পাশাপাশি সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। সাইবার ক্রাইম ভুক্তভোগীদের আইনি সহযোগিতা প্রদানে এটি অনন্য ও কার্যকরী উদ্যোগ।

দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধের ঝুঁকি। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, অনলাইন প্রতারণা কিংবা ডিপফেক ভিডিও—সবকিছু মিলিয়ে এখন সাইবার অপরাধ এক বড় সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
সাইবার এইড বাংলাদেশের সাম্প্রতিক জরিপ অনুযায়ী, ডিপফেক ও এআইনির্ভর অপরাধের হার এখন ২৩ শতাংশের বেশি। সোশ্যাল মিডিয়া হ্যাকিং ২১ শতাংশ, ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে অপপ্রচার ১৫ শতাংশ, ই-কমার্স প্রতারণা ১৫ শতাংশ এবং অনলাইন হুমকি ১১ শতাংশ। ভুক্তভোগীদের প্রায় ৭৯ শতাংশের বয়স ১৮-৩০ বছরের মধ্যে, তাঁদের ৫৯ শতাংশই নারী।
অধিকাংশ ভুক্তভোগী জানেন না, কোথায় অভিযোগ করতে হবে। জরিপে দেখা গেছে, ৪২ শতাংশ অভিযোগ দাখিলের সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে অজ্ঞ এবং যাঁরা অভিযোগ করেন, তাঁদের মাত্র ১২ শতাংশ আইনি প্রতিকার পান। ফলে সচেতনতার অভাব ও আইনি কাঠামোর সীমাবদ্ধতায় সাইবার নিরাপত্তা এখন দেশের বড় এক চ্যালেঞ্জ।
এই বাস্তবতায় এগিয়ে এসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আরাফাত চৌধুরী। ২০২২ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘সাইবার এইড বাংলাদেশ’, যা সাইবার অপরাধের শিকার মানুষের আইনি সহায়তা এবং মানসিক সাপোর্ট দেয়। মাত্র তিন বছরের ব্যবধানে সংগঠনটি দেশে সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলছে।
আরাফাত বলেন, ‘সাইবার অপরাধ শুধু মানসিক যন্ত্রণা নয়, সামাজিক মর্যাদাহানির কারণও। কিন্তু বেশির ভাগ ভুক্তভোগী ভয় বা লজ্জায় মুখ খুলতে চান না।’ সংগঠনের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ১ হাজার ৭৬১ জন এবং অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রায়
৪ হাজার মানুষ সাইবার এইডের সহায়তা পেয়েছেন। সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে ৭৬ শতাংশই নারী। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ আসে ব্ল্যাকমেল ও ই-কমার্স প্রতারণা-সংক্রান্ত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান সুমনা বলেন, ‘একজন আমার ব্যক্তিগত ছবি ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেল করতে থাকে। কী করব বুঝতে পারছিলাম না। তখন সাইবার এইডে যোগাযোগ করি। শুধু আইনি সহায়তাই নয়; মানসিকভাবেও তারা পাশে দাঁড়ায়।’
অন্যদিকে জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘অনলাইনে একটি পেজ থেকে আইফোন কিনতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছিলাম। সাইবার এইডের সহায়তায় পুলিশে অভিযোগ করতে পারি। এখন অন্তত জানি, প্রতারণার শিকার হলে চুপ করে না থেকে লড়াই করা যায়।’
শুধু আইনি সহায়তা নয়, সচেতনতা সৃষ্টিতেও কাজ করছে সংগঠনটি। এ পর্যন্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইবার সচেতনতা ক্যাম্পেইন এবং বিভাগীয় শহর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ৫৬টির বেশি সেমিনার ও প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছে তারা। অনলাইনে ‘বেসিক সাইবার লিটারেসি’, ‘সাইবার স্পেস সিকিউরিটি’ ও ‘ডিজিটাল ফরেনসিক’ কোর্স চালু করেছে। ভবিষ্যতে চালু হবে একটি মোবাইল অ্যাপ, যেখানে থাকবে লাইভ চ্যাট সাপোর্ট, এআইনির্ভর নিরাপত্তা নির্দেশনা এবং দ্রুত অভিযোগ দাখিলের সুবিধা।
ভুক্তভোগীরা হটলাইন, ফেসবুক পেজ বা গ্রুপের মাধ্যমে অভিযোগ করলে সাইবার এইড বাংলাদেশ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন ও সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নিশ্চিত করে।
সাইবার অপরাধ বাড়ার পেছনে আরাফাত দুটি বড় কারণ দেখছেন। সেগুলো হলো সচেতনতার অভাব এবং আইনগত সীমাবদ্ধতা। তাঁর মতে, বেশির ভাগ সাইবার অপরাধ জামিনযোগ্য হওয়ায় অপরাধীদের ভয় কম। আবার ডিজিটাল প্রমাণ সংগ্রহে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দক্ষতায়ও ঘাটতি রয়েছে।
আরাফাতের বিশ্বাস, প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সাইবার ঝুঁকিও বাড়ছে। তাই প্রয়োজন আগাম প্রস্তুতি ও সচেতনতা। তাঁর ভাষায়, ‘আমরা চাই তরুণেরা শুধু প্রযুক্তির ব্যবহারকারী নয়, বরং প্রযুক্তির নিরাপত্তা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করুক।’
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট আল মামুন রাসেল বলেন, সাইবার এইড বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে সাইবার ক্রাইম ভিকটিমদের আইনি সহযোগিতা করে যাচ্ছে। পাশাপাশি সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। সাইবার ক্রাইম ভুক্তভোগীদের আইনি সহযোগিতা প্রদানে এটি অনন্য ও কার্যকরী উদ্যোগ।

কোনো দলীয় সরকার নেই। নেই হলে হলে দখলদারত্ব। গণ-অভ্যুত্থানের পর অনেকটা মুক্ত পরিবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন আজ। ভোটের উৎসব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হলেও আলোচনা চলছে দেশজুড়ে। কারণ, এই ডাকসু এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাস। এ ছাড়া...
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) মিডিয়া অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন (এমএমসি) বিভাগ আয়োজিত ‘১০ম কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম এডুকেটরস নেটওয়ার্ক (সিজেন) কনফারেন্স ২০২৫’ ২৪ ও ২৫ অক্টোবর এআইইউবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিডব্লিউ একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দ
৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) এইচএসসি পরীক্ষা-২০২৫-এর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর গড় পাসের হার ৬২ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাবিবুল্যাহ মাহামুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের নানা প্রান্তের তরুণেরা যখন পরিবর্তনের স্বপ্নে ভবিষ্যৎ গড়ছেন, তখন সেই স্বপ্নবাজদের সারিতে বাংলাদেশের তরুণ আমিমুল এহসান খান যোগ করেছেন এক অনন্য অধ্যায়। সম্প্রতি তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’ হিসেবে। বিশ্বের ৫০ জন তরুণের মধ্য থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি।
১৬ ঘণ্টা আগে