আনিসুল হক জুয়েল, দিনাজপুর
ছোট একটি গ্রাম কুশলপুর। দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলা শহর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে। সেই গ্রামের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়—সুব্রত খাজাঞ্চী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। অজপাড়াগাঁয়ের স্কুলটি এবার দেশের শ্রেষ্ঠ প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্বাচিত হয়েছে। ‘মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করি, বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ি’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে গত শনিবার ঢাকায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৫-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৪’ দেওয়া হয়।
জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে এবার ১৪টি শ্রেণিতে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষার্থীদের ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও বিষয়ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার ১৮ শ্রেণিতে (বালক ও বালিকা) প্রথম স্থান অধিকারীদের পুরস্কার দেওয়া হয়। সুব্রত খাজাঞ্চী বিদ্যালয় জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে পুরস্কার পায়।
বিদ্যালয়টির যাত্রা শুরু ২০১৪ সালে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘বিদ্যালয়বিহীন ১৫০০ বিদ্যালয় স্থাপন’ প্রকল্পের আওতায় এটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রতিষ্ঠাকাল থেকে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে রয়েছেন জগদীশ চন্দ্র রায়। শুরুতে মাত্র ৩৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে পাঠদান শুরু হয়। বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩২০ জন। সরকারি বেতনভুক্ত শিক্ষক রয়েছেন পাঁচজন। স্থানীয় বাসিন্দাদের আর্থিক সহায়তায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে আরও চারজন খণ্ডকালীন শিক্ষক। তাঁদের মধ্যে সংগীত ও চারুকলার শিক্ষকও রয়েছেন।
বিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায়, ৬৩ শতক জমিতে প্রাচীরঘেরা সুব্রত খাজাঞ্চী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ যেন একটুকরো গোছানো বাগান। বিদ্যালয়ের প্রাচীর, এমনকি ভবনের ছাদেও আঁকা হয়েছে বিভিন্ন ফুল, ফল ও প্রাণীর ছবি। প্রধান ফটক দিয়ে বিদ্যালয়ে প্রবেশের দুই পাশে বিভিন্ন ফুলের গাছে শোভা পাচ্ছে নানা রঙের ফুল। শিশুদের বিনোদনের জন্য বিদ্যালয় চত্বরে রয়েছে দোলনা, ঢেঁকিকলসহ নানা ধরনের খেলার সরঞ্জাম। ভবনের সামনে রয়েছে সততা স্টোর ও শহীদ মিনার।
শ্রেণিকক্ষের দেয়ালগুলোতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত বিষয়ের পাশাপাশি মানচিত্র, সৌরজগৎ, বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ছবি ও সংক্ষিপ্ত জীবনী তুলে ধরা হয়েছে। মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমে শিশুরা ছবির মাধ্যমে পাঠ শেখে। প্রতি বৃহস্পতিবার হয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা। গান, আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন, নাটক—সবই শিশুদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তাপস কুমার রায় বলেন, ‘আমি এই এলাকার ছেলে। এ স্কুলে শিক্ষকতা করার স্বপ্ন ছিল। এখন নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করছি।’
বিদ্যালয়ের এই অগ্রগতির পেছনে প্রধান শিক্ষক জগদীশ চন্দ্র রায়ের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। প্রতিদিনের নির্ধারিত সময়ের বাইরে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করেন তিনি। বিদ্যালয়ের উন্নয়নে অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন। নিজের উদ্যোগে তহবিল সংগ্রহ করে শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করেছেন। গত বছরও স্কুলটি বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি পেয়েছিল। এবার সেই সাফল্য পৌঁছেছে জাতীয় পর্যায়ে। প্রধান শিক্ষক জগদীশ চন্দ্র রায় বলেন, ‘এই অর্জনে আমরা গর্বিত। তবে এখানেই থামতে চাই না। বিদ্যালয়টিকে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’
শিক্ষকদের আন্তরিকতা, অভিভাবকদের সহযোগিতা, শিশুদের প্রাণচাঞ্চল্য আর গ্রামের মানুষের ভালোবাসা—সব মিলিয়ে গড়ে উঠেছে দেশের শ্রেষ্ঠ প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয় এখন শুধু একটি স্কুল নয়, এটি হয়ে উঠেছে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার নতুন আলোকবর্তিকা।
ছোট একটি গ্রাম কুশলপুর। দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলা শহর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে। সেই গ্রামের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়—সুব্রত খাজাঞ্চী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। অজপাড়াগাঁয়ের স্কুলটি এবার দেশের শ্রেষ্ঠ প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্বাচিত হয়েছে। ‘মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করি, বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ি’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে গত শনিবার ঢাকায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৫-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৪’ দেওয়া হয়।
জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে এবার ১৪টি শ্রেণিতে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষার্থীদের ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও বিষয়ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার ১৮ শ্রেণিতে (বালক ও বালিকা) প্রথম স্থান অধিকারীদের পুরস্কার দেওয়া হয়। সুব্রত খাজাঞ্চী বিদ্যালয় জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে পুরস্কার পায়।
বিদ্যালয়টির যাত্রা শুরু ২০১৪ সালে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘বিদ্যালয়বিহীন ১৫০০ বিদ্যালয় স্থাপন’ প্রকল্পের আওতায় এটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রতিষ্ঠাকাল থেকে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে রয়েছেন জগদীশ চন্দ্র রায়। শুরুতে মাত্র ৩৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে পাঠদান শুরু হয়। বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩২০ জন। সরকারি বেতনভুক্ত শিক্ষক রয়েছেন পাঁচজন। স্থানীয় বাসিন্দাদের আর্থিক সহায়তায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে আরও চারজন খণ্ডকালীন শিক্ষক। তাঁদের মধ্যে সংগীত ও চারুকলার শিক্ষকও রয়েছেন।
বিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায়, ৬৩ শতক জমিতে প্রাচীরঘেরা সুব্রত খাজাঞ্চী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ যেন একটুকরো গোছানো বাগান। বিদ্যালয়ের প্রাচীর, এমনকি ভবনের ছাদেও আঁকা হয়েছে বিভিন্ন ফুল, ফল ও প্রাণীর ছবি। প্রধান ফটক দিয়ে বিদ্যালয়ে প্রবেশের দুই পাশে বিভিন্ন ফুলের গাছে শোভা পাচ্ছে নানা রঙের ফুল। শিশুদের বিনোদনের জন্য বিদ্যালয় চত্বরে রয়েছে দোলনা, ঢেঁকিকলসহ নানা ধরনের খেলার সরঞ্জাম। ভবনের সামনে রয়েছে সততা স্টোর ও শহীদ মিনার।
শ্রেণিকক্ষের দেয়ালগুলোতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত বিষয়ের পাশাপাশি মানচিত্র, সৌরজগৎ, বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ছবি ও সংক্ষিপ্ত জীবনী তুলে ধরা হয়েছে। মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমে শিশুরা ছবির মাধ্যমে পাঠ শেখে। প্রতি বৃহস্পতিবার হয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা। গান, আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন, নাটক—সবই শিশুদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তাপস কুমার রায় বলেন, ‘আমি এই এলাকার ছেলে। এ স্কুলে শিক্ষকতা করার স্বপ্ন ছিল। এখন নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করছি।’
বিদ্যালয়ের এই অগ্রগতির পেছনে প্রধান শিক্ষক জগদীশ চন্দ্র রায়ের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। প্রতিদিনের নির্ধারিত সময়ের বাইরে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করেন তিনি। বিদ্যালয়ের উন্নয়নে অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন। নিজের উদ্যোগে তহবিল সংগ্রহ করে শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করেছেন। গত বছরও স্কুলটি বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি পেয়েছিল। এবার সেই সাফল্য পৌঁছেছে জাতীয় পর্যায়ে। প্রধান শিক্ষক জগদীশ চন্দ্র রায় বলেন, ‘এই অর্জনে আমরা গর্বিত। তবে এখানেই থামতে চাই না। বিদ্যালয়টিকে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’
শিক্ষকদের আন্তরিকতা, অভিভাবকদের সহযোগিতা, শিশুদের প্রাণচাঞ্চল্য আর গ্রামের মানুষের ভালোবাসা—সব মিলিয়ে গড়ে উঠেছে দেশের শ্রেষ্ঠ প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয় এখন শুধু একটি স্কুল নয়, এটি হয়ে উঠেছে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার নতুন আলোকবর্তিকা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ১২টি সম্পাদকীয় পদের মধ্যে ৯টিতে জয়লাভ করে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল। বাকি তিনটি পদে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্যানেলের প্রার্থীরা। ডাকসুর ২৮টি পদের মধ্যে সদস্যপদ রয়েছে ১৩ টি। এই পদেও শিবিরের প্রার্থীরা একচেটিয়
২ ঘণ্টা আগেডাকসু নির্বাচনে শিবির সমর্থিত প্যানেলের বিজয় নিয়ে দলটির কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমি এই বিজয়কে শুধুমাত্র শিবিরের বিজয় বলে মনে করছি না, বরং এই বিজয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থীর এবং দেশের আপামর মানুষের। যাঁরা কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনের রাজনীতি চান, এটা তাঁদের বিজয় হিসেবে দেখব...
৩ ঘণ্টা আগেডাকসুতে জিএস হিসেবে জয় ব্যক্তিগত অর্জন বা ঢাবিতে ছাত্রশিবিরের জয় নয় বরং এটা ঢাবির সব শিক্ষার্থীদের জয় বলে মন্তব্য করেছেন ডাকসুর নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক বা জিএস এস এম ফরহাদ। আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেজাতির সঙ্গে ছাত্র শিবিরের বেইমানি ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের স্বতন্ত্র ভিপিপ্রার্থী উমামা ফাতেমা। তিনি ডাকসু নির্বাচনের কারচুপির অভিযোগ এনে আজ বুধবার ভোর পৌনে ৬টায় এক ফেসবুক পোস্টে এ কথা লেখেন।
৪ ঘণ্টা আগে