মারুফ হোসেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
রক্তিমার যাত্রা শুরু ২০১৭ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গড়ে ওঠা রক্তিমা আজ একটি বিশাল পরিবার। আল-ফিকাহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সোহরাব উদ্দিন আহম্মেদ জানিয়েছেন, তাঁকে ক্যাম্পাস জীবনের বড় অভিজ্ঞতা দিয়েছে রক্তিমা। সংগঠনটির সঙ্গে যুক্ত হয়ে তিনি প্রথম রক্ত দান করেন।
‘নিরাপদ হোক রক্তদান, আমার রক্তে বাঁচুক প্রাণ’ স্লোগান সামনে রেখে এগিয়ে চলছে রক্তদাতাদের সংগঠন রক্তিমা। রক্তদানের পাশাপাশি এ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি, রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, সেমিনার, সভাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে সংগঠনটি। আবার শীতবস্ত্র হাতে শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতেও দেখা যায় এর সদস্যদের। ক্যাম্পাস পেরিয়ে রক্তিমার সদস্যরা রক্ত দিতে ছুটে যান দূরদূরান্তে। শুধু রক্তদানই নয়, বিভিন্ন মানুষের প্রয়োজনে রক্তদাতা খুঁজে দেন সংগঠনটির সদস্যরা। বর্তমানে তিনটি ক্যাটাগরিতে প্রায় ৭০০ জন নিবন্ধিত সদস্য রয়েছেন রক্তিমার। সেগুলো হলো স্বেচ্ছাসেবক, রক্তদাতা এবং স্বেচ্ছাসেবক রক্তদাতা।
দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, ‘রক্তিমা প্রধানত রক্ত নিয়ে কাজ করে। রক্তদানে আত্মতৃপ্তি পাওয়া যায়। রক্তদানের পর রক্তগ্রহীতার মুখের হাসি পৃথিবীর সুন্দর মুহূর্তের একটি।’
রক্তিমার সদস্যরা বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতামূলক কাজ করেন। এ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে তাঁরা শিক্ষার্থীদের রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, সেমিনার ও বিভিন্ন ধরনের সেশন করে থাকেন। রক্তিমার সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘দেখা যায়, ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার সময় শিক্ষার্থীদের অনেকে তাদের রক্তের গ্রুপ সম্পর্কে বিদ্যালয়ে তথ্য দিতে পারে না। তাই আমরা প্রথমত ষষ্ঠ শ্রেণিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের কাছে যাই, তাদের বোঝাই। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা নিজের রক্তের গ্রুপ সম্পর্কে অবগত নয়, তাদেরও রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করে দিই।’ কিশোরীদের জন্য থাকে আলাদা আয়োজন। সেখানে সংগঠনটির নারী সদস্যরা স্লাইড প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে সেশন করিয়ে থাকেন। চলে প্রশ্ন ও উত্তরপর্ব। চিকিৎসকের পরামর্শও শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেন রক্তিমার সদস্যরা। এ জন্য মেডিকেল শিক্ষার্থীদের পরামর্শও নিয়ে থাকেন তাঁরা। সংগঠনটির সহসভাপতি সিরাজুম মুনিরা জানিয়েছেন, ‘মূলত কিশোরীদের বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য সেশনগুলো করে থাকি। যাতে তারা সচেতন হয় এবং অন্যদেরও সচেতন করতে পারে।’
রক্তিমার সদস্যরা প্রত্যন্ত এলাকার নারীদের নিয়ে উঠান বৈঠকও করেন। সেখানে রক্তসম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সেফায়েত উল্লাহ বলেন, ‘রক্তিমার রক্তদান কার্যক্রমটি সরাসরি মানবসেবার সঙ্গে সম্পৃক্ত।’
ক্যাম্পাসের গণ্ডি পেরিয়ে রক্তিমার সদস্যরা নিয়মিত প্রায় ২৪টি জেলায় রক্তদান ও সংগ্রহের সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ত রেখেছেন। রক্তিমার সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘রক্তিমা রক্তদান, রক্ত সংগ্রহ করে দেওয়াসহ বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের পরিবারটি বেশ বড় পরিবার হয়ে উঠেছে। নতুন নতুন পরিকল্পনা হাতে নিচ্ছি। আমরা রক্ত দিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কাজটি করে যেতে চাই।’
রক্তিমার যাত্রা শুরু ২০১৭ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গড়ে ওঠা রক্তিমা আজ একটি বিশাল পরিবার। আল-ফিকাহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সোহরাব উদ্দিন আহম্মেদ জানিয়েছেন, তাঁকে ক্যাম্পাস জীবনের বড় অভিজ্ঞতা দিয়েছে রক্তিমা। সংগঠনটির সঙ্গে যুক্ত হয়ে তিনি প্রথম রক্ত দান করেন।
‘নিরাপদ হোক রক্তদান, আমার রক্তে বাঁচুক প্রাণ’ স্লোগান সামনে রেখে এগিয়ে চলছে রক্তদাতাদের সংগঠন রক্তিমা। রক্তদানের পাশাপাশি এ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি, রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, সেমিনার, সভাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে সংগঠনটি। আবার শীতবস্ত্র হাতে শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতেও দেখা যায় এর সদস্যদের। ক্যাম্পাস পেরিয়ে রক্তিমার সদস্যরা রক্ত দিতে ছুটে যান দূরদূরান্তে। শুধু রক্তদানই নয়, বিভিন্ন মানুষের প্রয়োজনে রক্তদাতা খুঁজে দেন সংগঠনটির সদস্যরা। বর্তমানে তিনটি ক্যাটাগরিতে প্রায় ৭০০ জন নিবন্ধিত সদস্য রয়েছেন রক্তিমার। সেগুলো হলো স্বেচ্ছাসেবক, রক্তদাতা এবং স্বেচ্ছাসেবক রক্তদাতা।
দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, ‘রক্তিমা প্রধানত রক্ত নিয়ে কাজ করে। রক্তদানে আত্মতৃপ্তি পাওয়া যায়। রক্তদানের পর রক্তগ্রহীতার মুখের হাসি পৃথিবীর সুন্দর মুহূর্তের একটি।’
রক্তিমার সদস্যরা বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতামূলক কাজ করেন। এ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে তাঁরা শিক্ষার্থীদের রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, সেমিনার ও বিভিন্ন ধরনের সেশন করে থাকেন। রক্তিমার সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘দেখা যায়, ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার সময় শিক্ষার্থীদের অনেকে তাদের রক্তের গ্রুপ সম্পর্কে বিদ্যালয়ে তথ্য দিতে পারে না। তাই আমরা প্রথমত ষষ্ঠ শ্রেণিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের কাছে যাই, তাদের বোঝাই। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা নিজের রক্তের গ্রুপ সম্পর্কে অবগত নয়, তাদেরও রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করে দিই।’ কিশোরীদের জন্য থাকে আলাদা আয়োজন। সেখানে সংগঠনটির নারী সদস্যরা স্লাইড প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে সেশন করিয়ে থাকেন। চলে প্রশ্ন ও উত্তরপর্ব। চিকিৎসকের পরামর্শও শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেন রক্তিমার সদস্যরা। এ জন্য মেডিকেল শিক্ষার্থীদের পরামর্শও নিয়ে থাকেন তাঁরা। সংগঠনটির সহসভাপতি সিরাজুম মুনিরা জানিয়েছেন, ‘মূলত কিশোরীদের বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য সেশনগুলো করে থাকি। যাতে তারা সচেতন হয় এবং অন্যদেরও সচেতন করতে পারে।’
রক্তিমার সদস্যরা প্রত্যন্ত এলাকার নারীদের নিয়ে উঠান বৈঠকও করেন। সেখানে রক্তসম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সেফায়েত উল্লাহ বলেন, ‘রক্তিমার রক্তদান কার্যক্রমটি সরাসরি মানবসেবার সঙ্গে সম্পৃক্ত।’
ক্যাম্পাসের গণ্ডি পেরিয়ে রক্তিমার সদস্যরা নিয়মিত প্রায় ২৪টি জেলায় রক্তদান ও সংগ্রহের সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ত রেখেছেন। রক্তিমার সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘রক্তিমা রক্তদান, রক্ত সংগ্রহ করে দেওয়াসহ বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের পরিবারটি বেশ বড় পরিবার হয়ে উঠেছে। নতুন নতুন পরিকল্পনা হাতে নিচ্ছি। আমরা রক্ত দিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কাজটি করে যেতে চাই।’
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ঈদুল আজহার নামাজের জামাত সকাল সাড়ে ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
১২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর সাতটি কলেজে শিক্ষার্থীদের সেবামূলক কাজ সহজীকরণের লক্ষ্যে ‘হেল্প ডেস্ক’ চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ উদ্যোগের ফলে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে স্থাপন করা ডেস্কে গিয়ে একাডেমিক ও প্রশাসনিক যেকোনো সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান পাবেন। ঈদুল আজহার ছুটির পর এ উদ্যোগ দৃশ্যমান হবে বলে জানিয়েছে কর্ত
১৪ ঘণ্টা আগেএকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়নের জন্য শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরারকে (সি আর আবরার) এক কোটি টাকা ঘুষের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি। আজ বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
১ দিন আগে২০২৭ সাল থেকে পরিমার্জিত কারিকুলাম পুরোপুরি চালু করতে কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার। নতুন এই কারিকুলামে দায়, দরদ ও ইনসাফ শব্দগুলো ব্যবহার করতে হলে জাতীয় ঐকমত্যের প্রয়োজন রয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।
১ দিন আগে