রাবি প্রতিনিধি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), সিনেট ছাত্রপ্রতিনিধি ও হল সংসদ নির্বাচনে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গণনাসহ ১২ দফা দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেল এবং ছাত্র অধিকার পরিষদ ও ছাত্র ফেডারেশন সমন্বয়ে গঠিত প্যানেল ‘রাকসু ফর র্যাডিক্যাল চেঞ্জ’।
শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেট চত্বরে আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরেন ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি ও রাকসু কেন্দ্রীয় সংসদের ভিপি প্রার্থী মেহেদী হাসান মারুফ।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের ব্যবস্থা করা, ভোট গ্রহণের শুরুতে সাংবাদিক ও প্রার্থীর এজেন্টদের সামনে ব্যালট বাক্স উন্মুক্ত করা, ভোটারদের আঙুলে উচ্চমানসম্পন্ন অমোচনীয় কালির ব্যবস্থা করা, এক দিনের মধ্যে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রকাশ করা, ভোট গণনার স্বচ্ছতার জন্য ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গণনা করা, প্রার্থীদের নির্বাচনী খরচ নির্দিষ্ট করা এবং সব প্যানেল বা প্রার্থীর পোস্টারের সংখ্যা সীমিত করা।
এ ছাড়া নির্বাচনী ব্যালট ছাপানো, বাঁধানো ও নাম্বারিং পর্যন্ত এজেন্টের উপস্থিতি নিশ্চিত করা, পর্যাপ্ত বুথের ব্যবস্থা করা, ডিজিটাল বোর্ডে ভোটার নম্বরসহ প্রকাশনা চলমান রাখা, সাইবার বুলিং সেল কার্যকর করা এবং ভোটের দিন ভোটারদের হাতে ব্যালট লিস্ট না ধরানোর দাবি জানান তাঁরা।
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী শেখ নূর উদ্দিন আবীর। তিনি বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচন কমিশনের দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে। এই দুর্বলতা আমাদের অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’
শেখ নূর উদ্দিন আরও বলেন, ‘ছাত্রশিবির কোনো রকম আচরণবিধির তোয়াক্কা করছে না। হলে হলে আতর বিলি, পানির ট্যাংক বসানো, খিচুড়ি পার্টি, মুড়ি পার্টি দিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রভাবিত করছে। ফলে টাকা যার ভোট তার—নীতির প্রবর্তন হচ্ছে। এটি সুস্পষ্ট আচরণবিধির লঙ্ঘন। আমরা বারবার অভিযোগ করলেও কমিশন ব্যবস্থা নেয়নি।’ তিনি বলেন, ‘এভাবে চলতে থাকলে রাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজন সম্ভব নয়। এমনকি ব্যালট নম্বর প্রদানের ক্ষেত্রে শিবিরকে বাড়তি সুবিধা দেওয়া হয়েছে, যা সম্পূর্ণ পক্ষপাতমূলক।’
এদিকে, ‘ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গণনার দাবি অযৌক্তিক’ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম। শনিবার বিকেলে রাকসু নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে রাকসুর কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘রাকসু নির্বাচন কমিশন ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভোট গণনা করবে। এটা আগে থেকেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গণনা করতে গিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁরা বিপদের মধ্যে পড়ে গেছে। তাদের ভোটার মাত্র ১১ হাজার। কিন্তু আমাদের এখানে প্রায় ৩ গুণ বেশি। সুতরাং এটি একটি অযৌক্তিক দাবি। তারপরও তারা আমাদের কাছে কেউ আবেদন করেনি। আপনাদের মাধ্যমেই জানতে পারলাম।’
অবশ্য শনিবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন কেন্দ্রীয় ২৩টি পদে ১১ এবং সিনেট ছাত্রপ্রতিনিধি নির্বাচনে ৩ জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। তবে আবাসিক হলের তথ্য সন্ধ্যা পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম বলেন, ২৩টি পদে ১১ এবং সিনেট ছাত্রপ্রতিনিধি নির্বাচনে ৩ জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। আবাসিক হলের তথ্য পেতে কিছুটা সময় লাগবে।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারকারীদের মধ্যে সহসভাপতি (ভিপি) পদে দুজন প্রার্থী রয়েছেন। তাঁদের একজন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মিঠু এবং অন্যজন আবুল হায়াৎ। তাঁরা উভয়ই স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন।
এ ছাড়া সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১, পরিবেশ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সহকারী সম্পাদক পদে ২, নারীবিষয়ক সম্পাদক পদে ১, বিতর্ক ও সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক পদে ১, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১, মিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ১, সংস্কৃতি সম্পাদক পদে ১ এবং কার্যনির্বাহী সদস্যপদে ১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। অন্যদিকে সিনেট ছাত্রপ্রতিনিধি নির্বাচনে ৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), সিনেট ছাত্রপ্রতিনিধি ও হল সংসদ নির্বাচনে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গণনাসহ ১২ দফা দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেল এবং ছাত্র অধিকার পরিষদ ও ছাত্র ফেডারেশন সমন্বয়ে গঠিত প্যানেল ‘রাকসু ফর র্যাডিক্যাল চেঞ্জ’।
শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেট চত্বরে আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরেন ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি ও রাকসু কেন্দ্রীয় সংসদের ভিপি প্রার্থী মেহেদী হাসান মারুফ।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের ব্যবস্থা করা, ভোট গ্রহণের শুরুতে সাংবাদিক ও প্রার্থীর এজেন্টদের সামনে ব্যালট বাক্স উন্মুক্ত করা, ভোটারদের আঙুলে উচ্চমানসম্পন্ন অমোচনীয় কালির ব্যবস্থা করা, এক দিনের মধ্যে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রকাশ করা, ভোট গণনার স্বচ্ছতার জন্য ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গণনা করা, প্রার্থীদের নির্বাচনী খরচ নির্দিষ্ট করা এবং সব প্যানেল বা প্রার্থীর পোস্টারের সংখ্যা সীমিত করা।
এ ছাড়া নির্বাচনী ব্যালট ছাপানো, বাঁধানো ও নাম্বারিং পর্যন্ত এজেন্টের উপস্থিতি নিশ্চিত করা, পর্যাপ্ত বুথের ব্যবস্থা করা, ডিজিটাল বোর্ডে ভোটার নম্বরসহ প্রকাশনা চলমান রাখা, সাইবার বুলিং সেল কার্যকর করা এবং ভোটের দিন ভোটারদের হাতে ব্যালট লিস্ট না ধরানোর দাবি জানান তাঁরা।
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী শেখ নূর উদ্দিন আবীর। তিনি বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচন কমিশনের দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে। এই দুর্বলতা আমাদের অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’
শেখ নূর উদ্দিন আরও বলেন, ‘ছাত্রশিবির কোনো রকম আচরণবিধির তোয়াক্কা করছে না। হলে হলে আতর বিলি, পানির ট্যাংক বসানো, খিচুড়ি পার্টি, মুড়ি পার্টি দিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রভাবিত করছে। ফলে টাকা যার ভোট তার—নীতির প্রবর্তন হচ্ছে। এটি সুস্পষ্ট আচরণবিধির লঙ্ঘন। আমরা বারবার অভিযোগ করলেও কমিশন ব্যবস্থা নেয়নি।’ তিনি বলেন, ‘এভাবে চলতে থাকলে রাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজন সম্ভব নয়। এমনকি ব্যালট নম্বর প্রদানের ক্ষেত্রে শিবিরকে বাড়তি সুবিধা দেওয়া হয়েছে, যা সম্পূর্ণ পক্ষপাতমূলক।’
এদিকে, ‘ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গণনার দাবি অযৌক্তিক’ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম। শনিবার বিকেলে রাকসু নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে রাকসুর কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘রাকসু নির্বাচন কমিশন ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভোট গণনা করবে। এটা আগে থেকেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গণনা করতে গিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁরা বিপদের মধ্যে পড়ে গেছে। তাদের ভোটার মাত্র ১১ হাজার। কিন্তু আমাদের এখানে প্রায় ৩ গুণ বেশি। সুতরাং এটি একটি অযৌক্তিক দাবি। তারপরও তারা আমাদের কাছে কেউ আবেদন করেনি। আপনাদের মাধ্যমেই জানতে পারলাম।’
অবশ্য শনিবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন কেন্দ্রীয় ২৩টি পদে ১১ এবং সিনেট ছাত্রপ্রতিনিধি নির্বাচনে ৩ জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। তবে আবাসিক হলের তথ্য সন্ধ্যা পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম বলেন, ২৩টি পদে ১১ এবং সিনেট ছাত্রপ্রতিনিধি নির্বাচনে ৩ জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। আবাসিক হলের তথ্য পেতে কিছুটা সময় লাগবে।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারকারীদের মধ্যে সহসভাপতি (ভিপি) পদে দুজন প্রার্থী রয়েছেন। তাঁদের একজন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মিঠু এবং অন্যজন আবুল হায়াৎ। তাঁরা উভয়ই স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন।
এ ছাড়া সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১, পরিবেশ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সহকারী সম্পাদক পদে ২, নারীবিষয়ক সম্পাদক পদে ১, বিতর্ক ও সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক পদে ১, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১, মিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ১, সংস্কৃতি সম্পাদক পদে ১ এবং কার্যনির্বাহী সদস্যপদে ১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। অন্যদিকে সিনেট ছাত্রপ্রতিনিধি নির্বাচনে ৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।
আন্তর্জাতিক পরীক্ষা বোর্ড অক্সফোর্ডএকিউএ প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে বিজ্ঞানবিষয়ক শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করেছে। রাজধানীর হোটেল সারিনায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ কর্মসূচিতে দেশের শীর্ষ ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলোর শতাধিক শিক্ষক অংশ নেন।
৬ ঘণ্টা আগেএমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ অথবা সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকা করেছে সরকার। এদিকে এই বাড়িয়ে দেওয়া ভাতা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকেরা।
১২ ঘণ্টা আগেএ বছর ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। ‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান, স্বপ্ন জয়ে অটল প্রাণ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে শিক্ষা ও গবেষণার নতুন দিগন্তে পা বাড়াচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। ১৮৫৮ সালে পুরান ঢাকায় ‘ব্রাহ্ম স্কুল’ হিসেবে যাত্রা শুরু করে। ১৮৭২ সালে নাম পরিবর্তনের পর হয় জগন্নাথ স্কুল।
১৩ ঘণ্টা আগেঘরের ভেতর সাজানো দৃষ্টিনন্দন নানা পুরস্কার। এর কোনোটিতে লেখা ইংরেজি, আবার কোনোটিতে হিন্দি। স্মারকের গায়ে ঝলমল করছে সোনালি অক্ষরে লেখা একটি নাম—নিশিতা নাজনীন নীলা। কৃষিতে সম্পৃক্ত থাকার অংশ হিসেবে নীলার হাতে উঠেছে এসব পুরস্কার।
১৩ ঘণ্টা আগে