মুসাররাত আবির
সম্প্রতি প্রকাশিত হলো মর্যাদাপূর্ণ টাইমস হায়ার এডুকেশনের ২০২৫ সালের র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বের প্রথম ৮০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা।দুঃখজনক হলো, এই ৮০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ২০ বছর ধরে প্রকাশিত হওয়া এই তালিকায় কেন বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় ওপরের সারিতে জায়গা করে নিতে পারছে না। আর কিসের ভিত্তিতেই-বা এই র্যাঙ্কিং করা হয়।
মূলত ৫টি সূচকের ওপর ভিত্তি করে এই র্যাঙ্কিং করা হয়। সেগুলো হলো শিক্ষা (শিক্ষা প্রদানে পরিবেশ), গবেষণা (গবেষণার সংখ্যা, মান, ধরন ও পরিবেশ), গবেষণার ফল সাইটেশন, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ও ইন্ডাস্ট্রি ইনকাম।
শিক্ষা
শিক্ষা খাতের মান কেমন, তা আবার কয়েকটি সূচকের মাধ্যমে নির্ণয় করা হয়; সেগুলো হলো—শিক্ষার মানের সুনাম, শিক্ষার্থী-কর্মকর্তার অনুপাত (কতজন শিক্ষার্থী আর কতজন শিক্ষক-কর্মচারী আছে), কটি পিএইচডি বনাম কটি স্নাতক ডিগ্রি দেওয়া হয়, একাডেমিক কর্মকর্তাদের মধ্যে কতজনের পিএইচডি ডিগ্রি রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আয় ও বাজেট কত। এর মধ্যে শিক্ষা খাতের মান কেমন, তা জরিপের মাধ্যমে বের করা হয়। কয়েক হাজার মানুষের ওপরে জরিপ করার মাধ্যমে তাঁদের মতে কোন বিশ্ববিদ্যালয় কেমন, তা জানা হয়। এখানে মোট ৩০ শতাংশ নম্বর থাকে।
গবেষণা
একটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা প্রদানে শ্রেষ্ঠ হতে পারে, কিন্তু সে বিশ্ববিদ্যালয় যে গবেষণায় ভালো হবে, তার কিন্তু কোনো নিশ্চয়তা নেই। তেমনি একজন ভালো শিক্ষকও সব সময় একজন ভালো গবেষক না-ও হতে পারেন। কিন্তু একটি ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ের মানদণ্ড হিসেবে গবেষণার খাত অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কারণ, আপনি যদি শীর্ষস্থানীয় গবেষকদের কাছ থেকে শেখার সুযোগ পান, তাহলে আপনি বুদ্ধিবৃত্তিক এবং ব্যবহারিক উভয় ক্ষেত্রেই লাভবান হবেন। গবেষণা ও গবেষণার ফলাফল সাইটেশন মিলিয়ে এই ক্যাটাগরিতে মোট ৬০ শতাংশ নম্বর বরাদ্দ রয়েছে।
কতবার আপনার লেখা অপর কোনো ব্যক্তি, গবেষক বা প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করল, সেসব গণনা করে ওই পেপারের মোট সাইটেশন সংখ্যা হিসাব করা হয়। আপনার সাইটেশন সংখ্যা বেশি হওয়া মানে আপনার রিসার্চ পেপার বেশ মানসম্মত। সাইটেশন অংশে দেখা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের গবেষণাপত্রগুলোকে অন্য গবেষকেরা কতবার উল্লেখ করেছেন তাঁদের গবেষণায়। স্কোপাস নামের একটি তালিকা থেকে ২৫ হাজারের বেশি জার্নাল ঘেঁটে এই হিসাব বের করা হয়।
আন্তর্জাতিক শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি
কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী বা শিক্ষকের সংখ্যা বেশি হওয়া মানে তাঁরা তাঁদের দেশের তুলনায় অন্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় বেশি ভালো সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। এখানে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের অনুপাত, বিদেশি শিক্ষকদের অনুপাত এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার হার কত, তা গণনায় আনা হয়। এই অংশে ৭.৫ শতাংশ নম্বর বরাদ্দ রয়েছে।
ইন্ডাস্ট্রি ইনকাম
এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার ইন্ডাস্ট্রিয়াল মূল্য বা আবেদন কেমন, তা গণনায় ধরা হয়। এমনকি এই গবেষণাগুলোর বাস্তব সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা কতটুকু, পেটেন্ট থেকে কেমন আয় হয়, এসব মিলিয়েই বাকি ২.৫ শতাংশ নম্বর দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিষয়ভিত্তিক র্যাঙ্কিং, যেমন মানবিক ও কলা, ক্লিনিক্যাল, প্রি-ক্লিনিক্যাল ও স্বাস্থ্য, ইঞ্জিনিয়ারিং, লাইফ সায়েন্স, ফিজিকেল সায়েন্স, সোশ্যাল সায়েন্স, আইন, সাইকোলজি, শিক্ষা, কম্পিউটার সায়েন্স এবং ব্যবসায় ও অর্থনীতিতে কোন বিশ্ববিদ্যালয় কত এগিয়ে, সেটাও দেখা হয়।
যেসব বিশ্ববিদ্যালয়কে গণনায় ধরা হয় না
যেসব বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজনীয় তথ্য টাইমস কর্তৃপক্ষকে দেয় না, যাদের গবেষণাপত্রের সংখ্যা অনেক কম বা সুনাম নেই, নতুন বিশ্ববিদ্যালয়, যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পড়ানো হয় না, যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাইরের কোনো শিক্ষক বা শিক্ষার্থীর সঙ্গে গবেষণা করেন না।
সেরা ১০-এ জায়গা পেল যেসব বিশ্ববিদ্যালয়
সেরা ১০-এর তালিকায় যথাক্রমে আছে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি, এমআইটি, হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি, প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি, কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি, স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি, ক্যালটেক, ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলে, ইম্পিরিয়াল কলেজ লন্ডন ও ইয়েল ইউনিভার্সিটি।
যে কারণে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রথম ৮০০-এর মধ্যে নেই
বাংলাদেশের বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষণার পরিমাণ ও মান আন্তর্জাতিক মহলে তেমন গ্রহণযোগ্যতা পায় না এবং উপযুক্তও নয়। এ ছাড়া আমাদের দেশের গবেষণাপত্রগুলোর সাইটেশনের হার ও নামীদামি জার্নালে গবেষণাপত্র প্রকাশনার উপস্থিতি তেমন একটা চোখে পড়ে না। তা ছাড়া আমাদের দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সুযোগ নেই, কিংবা সুযোগ থাকলেও সেই সংখ্যাটা বেশ কম। আমাদের আন্তর্জাতিক কর্মীও কম। ফলে আন্তর্জাতিক যোগাযোগ এবং বৈশ্বিক প্রভাবের অভাব আমাদের র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে রাখে। গবেষণা অর্থায়ন এবং উন্নত অবকাঠামোও এখানে একটি বড় ভূমিকা পালন করে। যারা বড় অর্থায়ন পায়, তারা উন্নত গবেষণা পরিচালনা এবং শীর্ষ প্রতিভা আকৃষ্ট করতে পারে। অনেক বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয় অর্থায়নের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতার সম্মুখীন হয়, যা তাদের গবেষণার ক্ষমতা এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে এবং এর ফলে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়ে।
আবার এই র্যাঙ্কিংয়ে অংশগ্রহণ করতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গবেষণা, প্রকাশনা, শিক্ষকদের যোগ্যতা এবং আয়ের উৎসের বিষয়ে বিশদ তথ্য জমা দিতে হয়। কিন্তু বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক সীমাবদ্ধতার কারণে পুরোপুরি তথ্য জমা দিতে পারে না বা দিলেও তা অসম্পূর্ণ থাকে। এর ফলে তারা নিচের র্যাঙ্কিংয়ে চলে যায় বা সম্পূর্ণরূপে বাদ পড়ে যায়।
এখন করণীয়
বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে টাইমস হায়ার এডুকেশনের র্যাঙ্কিংয়ে ভালো অবস্থানে আনার জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রথমত, গবেষণার মান এবং পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে। আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা নিশ্চিত করতে গবেষণার জন্য আরও অর্থায়ন ও উন্নত অবকাঠামো প্রয়োজন। দ্বিতীয়ত, আন্তর্জাতিক অংশীদারত্ব বাড়ানো উচিত; এতে বৈশ্বিক সহযোগিতামূলক প্রকল্পে অংশগ্রহণ এবং বিদেশি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের আকৃষ্ট করা যাবে। তৃতীয়ত, তথ্য সংগ্রহ এবং সঠিকভাবে উপস্থাপনের দিকে মনোযোগ দিতে হবে, যাতে র্যাঙ্কিংয়ে অংশগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় মানদণ্ড পূরণ করা যায়। এ ছাড়া বিশ্বব্যাপী একাডেমিক খ্যাতি বাড়ানোর জন্য গবেষণার গুণমান উন্নত করা এবং প্রকাশনার হার বাড়ানো জরুরি। এই পদক্ষেপগুলো গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশ্বমানের র্যাঙ্কিংয়ে ভালো স্থান অর্জন করতে সক্ষম হবে।
সূত্র: টাইমস হায়ার এডুকেশন
সম্প্রতি প্রকাশিত হলো মর্যাদাপূর্ণ টাইমস হায়ার এডুকেশনের ২০২৫ সালের র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বের প্রথম ৮০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা।দুঃখজনক হলো, এই ৮০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ২০ বছর ধরে প্রকাশিত হওয়া এই তালিকায় কেন বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় ওপরের সারিতে জায়গা করে নিতে পারছে না। আর কিসের ভিত্তিতেই-বা এই র্যাঙ্কিং করা হয়।
মূলত ৫টি সূচকের ওপর ভিত্তি করে এই র্যাঙ্কিং করা হয়। সেগুলো হলো শিক্ষা (শিক্ষা প্রদানে পরিবেশ), গবেষণা (গবেষণার সংখ্যা, মান, ধরন ও পরিবেশ), গবেষণার ফল সাইটেশন, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ও ইন্ডাস্ট্রি ইনকাম।
শিক্ষা
শিক্ষা খাতের মান কেমন, তা আবার কয়েকটি সূচকের মাধ্যমে নির্ণয় করা হয়; সেগুলো হলো—শিক্ষার মানের সুনাম, শিক্ষার্থী-কর্মকর্তার অনুপাত (কতজন শিক্ষার্থী আর কতজন শিক্ষক-কর্মচারী আছে), কটি পিএইচডি বনাম কটি স্নাতক ডিগ্রি দেওয়া হয়, একাডেমিক কর্মকর্তাদের মধ্যে কতজনের পিএইচডি ডিগ্রি রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আয় ও বাজেট কত। এর মধ্যে শিক্ষা খাতের মান কেমন, তা জরিপের মাধ্যমে বের করা হয়। কয়েক হাজার মানুষের ওপরে জরিপ করার মাধ্যমে তাঁদের মতে কোন বিশ্ববিদ্যালয় কেমন, তা জানা হয়। এখানে মোট ৩০ শতাংশ নম্বর থাকে।
গবেষণা
একটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা প্রদানে শ্রেষ্ঠ হতে পারে, কিন্তু সে বিশ্ববিদ্যালয় যে গবেষণায় ভালো হবে, তার কিন্তু কোনো নিশ্চয়তা নেই। তেমনি একজন ভালো শিক্ষকও সব সময় একজন ভালো গবেষক না-ও হতে পারেন। কিন্তু একটি ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ের মানদণ্ড হিসেবে গবেষণার খাত অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কারণ, আপনি যদি শীর্ষস্থানীয় গবেষকদের কাছ থেকে শেখার সুযোগ পান, তাহলে আপনি বুদ্ধিবৃত্তিক এবং ব্যবহারিক উভয় ক্ষেত্রেই লাভবান হবেন। গবেষণা ও গবেষণার ফলাফল সাইটেশন মিলিয়ে এই ক্যাটাগরিতে মোট ৬০ শতাংশ নম্বর বরাদ্দ রয়েছে।
কতবার আপনার লেখা অপর কোনো ব্যক্তি, গবেষক বা প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করল, সেসব গণনা করে ওই পেপারের মোট সাইটেশন সংখ্যা হিসাব করা হয়। আপনার সাইটেশন সংখ্যা বেশি হওয়া মানে আপনার রিসার্চ পেপার বেশ মানসম্মত। সাইটেশন অংশে দেখা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের গবেষণাপত্রগুলোকে অন্য গবেষকেরা কতবার উল্লেখ করেছেন তাঁদের গবেষণায়। স্কোপাস নামের একটি তালিকা থেকে ২৫ হাজারের বেশি জার্নাল ঘেঁটে এই হিসাব বের করা হয়।
আন্তর্জাতিক শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি
কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী বা শিক্ষকের সংখ্যা বেশি হওয়া মানে তাঁরা তাঁদের দেশের তুলনায় অন্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় বেশি ভালো সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। এখানে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের অনুপাত, বিদেশি শিক্ষকদের অনুপাত এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার হার কত, তা গণনায় আনা হয়। এই অংশে ৭.৫ শতাংশ নম্বর বরাদ্দ রয়েছে।
ইন্ডাস্ট্রি ইনকাম
এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার ইন্ডাস্ট্রিয়াল মূল্য বা আবেদন কেমন, তা গণনায় ধরা হয়। এমনকি এই গবেষণাগুলোর বাস্তব সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা কতটুকু, পেটেন্ট থেকে কেমন আয় হয়, এসব মিলিয়েই বাকি ২.৫ শতাংশ নম্বর দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিষয়ভিত্তিক র্যাঙ্কিং, যেমন মানবিক ও কলা, ক্লিনিক্যাল, প্রি-ক্লিনিক্যাল ও স্বাস্থ্য, ইঞ্জিনিয়ারিং, লাইফ সায়েন্স, ফিজিকেল সায়েন্স, সোশ্যাল সায়েন্স, আইন, সাইকোলজি, শিক্ষা, কম্পিউটার সায়েন্স এবং ব্যবসায় ও অর্থনীতিতে কোন বিশ্ববিদ্যালয় কত এগিয়ে, সেটাও দেখা হয়।
যেসব বিশ্ববিদ্যালয়কে গণনায় ধরা হয় না
যেসব বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজনীয় তথ্য টাইমস কর্তৃপক্ষকে দেয় না, যাদের গবেষণাপত্রের সংখ্যা অনেক কম বা সুনাম নেই, নতুন বিশ্ববিদ্যালয়, যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পড়ানো হয় না, যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাইরের কোনো শিক্ষক বা শিক্ষার্থীর সঙ্গে গবেষণা করেন না।
সেরা ১০-এ জায়গা পেল যেসব বিশ্ববিদ্যালয়
সেরা ১০-এর তালিকায় যথাক্রমে আছে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি, এমআইটি, হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি, প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি, কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি, স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি, ক্যালটেক, ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলে, ইম্পিরিয়াল কলেজ লন্ডন ও ইয়েল ইউনিভার্সিটি।
যে কারণে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রথম ৮০০-এর মধ্যে নেই
বাংলাদেশের বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষণার পরিমাণ ও মান আন্তর্জাতিক মহলে তেমন গ্রহণযোগ্যতা পায় না এবং উপযুক্তও নয়। এ ছাড়া আমাদের দেশের গবেষণাপত্রগুলোর সাইটেশনের হার ও নামীদামি জার্নালে গবেষণাপত্র প্রকাশনার উপস্থিতি তেমন একটা চোখে পড়ে না। তা ছাড়া আমাদের দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সুযোগ নেই, কিংবা সুযোগ থাকলেও সেই সংখ্যাটা বেশ কম। আমাদের আন্তর্জাতিক কর্মীও কম। ফলে আন্তর্জাতিক যোগাযোগ এবং বৈশ্বিক প্রভাবের অভাব আমাদের র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে রাখে। গবেষণা অর্থায়ন এবং উন্নত অবকাঠামোও এখানে একটি বড় ভূমিকা পালন করে। যারা বড় অর্থায়ন পায়, তারা উন্নত গবেষণা পরিচালনা এবং শীর্ষ প্রতিভা আকৃষ্ট করতে পারে। অনেক বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয় অর্থায়নের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতার সম্মুখীন হয়, যা তাদের গবেষণার ক্ষমতা এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে এবং এর ফলে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়ে।
আবার এই র্যাঙ্কিংয়ে অংশগ্রহণ করতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গবেষণা, প্রকাশনা, শিক্ষকদের যোগ্যতা এবং আয়ের উৎসের বিষয়ে বিশদ তথ্য জমা দিতে হয়। কিন্তু বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক সীমাবদ্ধতার কারণে পুরোপুরি তথ্য জমা দিতে পারে না বা দিলেও তা অসম্পূর্ণ থাকে। এর ফলে তারা নিচের র্যাঙ্কিংয়ে চলে যায় বা সম্পূর্ণরূপে বাদ পড়ে যায়।
এখন করণীয়
বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে টাইমস হায়ার এডুকেশনের র্যাঙ্কিংয়ে ভালো অবস্থানে আনার জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রথমত, গবেষণার মান এবং পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে। আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা নিশ্চিত করতে গবেষণার জন্য আরও অর্থায়ন ও উন্নত অবকাঠামো প্রয়োজন। দ্বিতীয়ত, আন্তর্জাতিক অংশীদারত্ব বাড়ানো উচিত; এতে বৈশ্বিক সহযোগিতামূলক প্রকল্পে অংশগ্রহণ এবং বিদেশি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের আকৃষ্ট করা যাবে। তৃতীয়ত, তথ্য সংগ্রহ এবং সঠিকভাবে উপস্থাপনের দিকে মনোযোগ দিতে হবে, যাতে র্যাঙ্কিংয়ে অংশগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় মানদণ্ড পূরণ করা যায়। এ ছাড়া বিশ্বব্যাপী একাডেমিক খ্যাতি বাড়ানোর জন্য গবেষণার গুণমান উন্নত করা এবং প্রকাশনার হার বাড়ানো জরুরি। এই পদক্ষেপগুলো গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশ্বমানের র্যাঙ্কিংয়ে ভালো স্থান অর্জন করতে সক্ষম হবে।
সূত্র: টাইমস হায়ার এডুকেশন
চলতি বছরের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু হবে ৩০ জুলাই থেকে। ভর্তিপ্রক্রিয়া চলবে আগামী ৭ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। আর ক্লাস শুরু হবে ১৫ সেপ্টেম্বর। বরাবরের মতো এবারও শিক্ষার্থীদের ফলের ভিত্তিতে অনলাইনে ভর্তির আবেদন করতে হবে। তিন পর্যায়ে আবেদন নেওয়া হবে।
১ দিন আগেবাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে আগামী রোববার থেকে স্বল্প পরিসরে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হবে। এ দিন শুধুমাত্র নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শ্রেণি কার্যক্রম চালু হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে অন্যান্য শ্রেণির কার্যক্রম শুরু হবে।
২ দিন আগেএইচএসসির স্থগিত পরীক্ষাগুলো আলাদা দিনে নেওয়ার জন্য নতুন সময়সূচি ঘোষণা করেছে আন্তশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটি। পরিবর্তিত সময়সূচি অনুযায়ী, স্থগিত হওয়া ২২ জুলাইয়ের পরীক্ষা হবে আগামী ১৭ আগস্ট এবং ২৪ জুলাইয়ের পরীক্ষা হবে ১৯ আগস্ট।
২ দিন আগেজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২৩ সালের ডিগ্রি (পাস) ও সার্টিফিকেট কোর্সের দ্বিতীয় বর্ষের স্থগিত পরীক্ষার সংশোধিত সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে।
২ দিন আগে