নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা ১৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। মোট ২ হাজার ৯৩৪টি আসনের বিপরীতে এ বছর ১ লাখ ৭ হাজার ৭০১ জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকার বাইরে সাতটি বিভাগীয় শহরের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ৬৬টি কেন্দ্রে এবং ক্যাম্পাসের বাইরে ৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরের কেন্দ্রগুলো হলো—উদয়ন উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, নীলক্ষেত হাইস্কুল, সরকারি বাঙলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ (মতিঝিল), তেজগাঁও কলেজ, ঢাকা কলেজ এবং আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
ঢাকার বাইরে বিভাগীয় শহরের কেন্দ্রগুলো হচ্ছে—রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা ১৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। মোট ২ হাজার ৯৩৪টি আসনের বিপরীতে এ বছর ১ লাখ ৭ হাজার ৭০১ জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকার বাইরে সাতটি বিভাগীয় শহরের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ৬৬টি কেন্দ্রে এবং ক্যাম্পাসের বাইরে ৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরের কেন্দ্রগুলো হলো—উদয়ন উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, নীলক্ষেত হাইস্কুল, সরকারি বাঙলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ (মতিঝিল), তেজগাঁও কলেজ, ঢাকা কলেজ এবং আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
ঢাকার বাইরে বিভাগীয় শহরের কেন্দ্রগুলো হচ্ছে—রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা ১৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। মোট ২ হাজার ৯৩৪টি আসনের বিপরীতে এ বছর ১ লাখ ৭ হাজার ৭০১ জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকার বাইরে সাতটি বিভাগীয় শহরের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ৬৬টি কেন্দ্রে এবং ক্যাম্পাসের বাইরে ৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরের কেন্দ্রগুলো হলো—উদয়ন উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, নীলক্ষেত হাইস্কুল, সরকারি বাঙলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ (মতিঝিল), তেজগাঁও কলেজ, ঢাকা কলেজ এবং আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
ঢাকার বাইরে বিভাগীয় শহরের কেন্দ্রগুলো হচ্ছে—রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা ১৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। মোট ২ হাজার ৯৩৪টি আসনের বিপরীতে এ বছর ১ লাখ ৭ হাজার ৭০১ জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকার বাইরে সাতটি বিভাগীয় শহরের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ৬৬টি কেন্দ্রে এবং ক্যাম্পাসের বাইরে ৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরের কেন্দ্রগুলো হলো—উদয়ন উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, নীলক্ষেত হাইস্কুল, সরকারি বাঙলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ (মতিঝিল), তেজগাঁও কলেজ, ঢাকা কলেজ এবং আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
ঢাকার বাইরে বিভাগীয় শহরের কেন্দ্রগুলো হচ্ছে—রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়।

সব মালপত্র (আসবাব) সরবরাহ না পেয়েও ঠিকাদারকে পুরো বিল দিতে কার্পণ্য করা হয়নি। আবার দুটি ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ না দিয়ে অনেক বেশি দরে দেওয়া হয়েছে তৃতীয় ও চতুর্থ দরদাতাকে। খরচে এমন হাতখোলা মনোভাব দেখা গেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন ‘সরকারি কলেজসমূহে...
৬ ঘণ্টা আগে
সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হলেও পরীক্ষা বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালনে অটল আছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাংশের শিক্ষকেরা। বরং আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া চার শিক্ষক নেতাকে শোকজ করার পর আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা। আগামীকাল বুধবার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় ‘তালাবদ্ধ’ রাখা
৯ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির সব পদে (একাডেমিক ও প্রশাসনিক) বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের সদস্যদের স্থায়ীভাবে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন কলেজগুলোর শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত শিক্ষকেরা। একই সঙ্গে তাঁরা স্কুলভিত্তিক অনুষদ পদ্ধতিও বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।
১৪ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশের খসড়ার স্কুলিং পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের কার্যালয় শিক্ষা ভবন চত্বরে গণজমায়েত কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন কলেজগুলোর বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত শিক্ষকেরা।
১ দিন আগেরাহুল শর্মা, ঢাকা

সব মালপত্র (আসবাব) সরবরাহ না পেয়েও ঠিকাদারকে পুরো বিল দিতে কার্পণ্য করা হয়নি। আবার দুটি ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ না দিয়ে অনেক বেশি দরে দেওয়া হয়েছে তৃতীয় ও চতুর্থ দরদাতাকে। খরচে এমন হাতখোলা মনোভাব দেখা গেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন ‘সরকারি কলেজসমূহে বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ (ফোসেপ) প্রকল্পে (১ম সংশোধিত)।’
তবে এতে সরকারের ৩০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে। শিক্ষা অডিট অধিদপ্তর বাংলাদেশ মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের (সিএজি) অধীন। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, প্রকল্পের মূল কাজ ভবন নির্মাণ ও পদ সৃজনের পরিবর্তে কেনা-কাটায় বেশি মনোযোগ দেখা গেছে। এই কেনাকাটায় অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় একাধিক তদন্ত কমিটিও হয়েছে। দুই দফায় প্রকল্প পরিচালক বদল করা হয়েছে। তবে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ থেকে মুক্ত হতে পারেনি প্রকল্পটি।
শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উল্লেখ থাকা অনিয়মের বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) মো. মজিবর রহমান বলেন, বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মাউশির বাস্তবায়নাধীন এই প্রকল্প নেওয়া হয় ২০১৮ সালের জুলাইয়ে। শুরুতে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ২ হাজার ৫১১ কোটি ৫১ লাখ ৩২ হাজার টাকা এবং প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয় ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। পরে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) সংশোধন করে ব্যয় ২ হাজার ৫৫০ কোটি ১৮ লাখ ৬২ হাজার টাকা করা হয় এবং দুই দফায় দুই বছর করে মেয়াদ বাড়ানো হয় ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত। সম্প্রতি প্রকল্পের মেয়াদ আবার বাড়াতে পরিকল্পনা কমিশনে চিঠি দেওয়া হলেও তা নাকচ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে বিভিন্ন কলেজে ১৭৬টি ছয়তলা একাডেমিক ভবন ও ৩৫টি হোস্টেল নির্মাণ এবং কয়েকটি ভবন সংস্কার করা হচ্ছে। এ ছাড়া ২০০টি কলেজে অফিস সরঞ্জাম, কম্পিউটার সামগ্রী, বিজ্ঞানের যন্ত্রপাতি ও আসবাব সরবরাহ এবং ১ হাজার ৯১৪টি মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপনের কথা। বাজারের চাহিদার আলোকে ১০টি নতুন বিষয় চালু, ৮ হাজার ৬২৫টি বিজ্ঞান শিক্ষকের ও হোস্টেলের কর্মচারীর ৪৫৫টি পদ সৃজনও এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত।
শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চারটি কলেজ ও একটি হোস্টেলের জন্য ২ কোটি ৩৫ লাখ ২ হাজার ৪০২ টাকার আসবাব কিনতে দরপত্র আহ্বান করা হয় ২০২৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর। দরপত্রের শর্তে ৬৫৬টি সিঙ্গেল খাট সরবরাহের কথা থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দেয় ৪১৭টি। বাকি ২৩৯টি খাট না দিলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে এসব খাটের মূল্য হিসেবে অতিরিক্ত ৫৬ লাখ ৬৩ হাজার ৬২০ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। একইভাবে আরেকটি দরপত্রে মালপত্র সরবরাহ না করলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ৪৮ লাখ ৫১ হাজার ৭০০ টাকার বিল পরিশোধ করা হয়েছে।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পিপিআর, ২০০৮ অনুযায়ী সর্বনিম্ন দরদাতার সঙ্গে চুক্তি না করায় সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে একটি দরপত্রে ৮৬ লাখ ৬৩ হাজার ৯৯২ টাকা এবং অন্যটিতে ৩৭ লাখ ৪৬ হাজার ৯০০ টাকা। আসবাব কেনাকাটার একটি কাজকে একাধিক প্যাকেজে ভাগ করে দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ১৯ কোটি ১৭ লাখ ৭৪ হাজার ৩৩০ টাকা। আর অর্থবছরের শেষ সময়ে কেনাকাটা করায় সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৯ কোটি ১৪ লাখ ১৩ হাজার ২২৭ টাকা।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডিপিপির নির্দেশনা অনুযায়ী আইসিটি, কম্পিউটার ও ল্যাপটপ সামগ্রী উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে কেনার কথা। কিন্তু কেনা হয়েছে কোটেশন পদ্ধতিতে। এতে ৯ লাখ ৭১ হাজার ৯৬৫ হাজার টাকা অনিয়মিতভাবে পরিশোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া ক্রয় কাজে সাধারণ বীমা করপোরেশন থেকে বিমা কভারেজ না খোলায় ৪ লাখ ৩ হাজার ৩৩ টাকা, প্রাপ্যতা না থাকা সত্ত্বেও সম্মানী দেওয়ায় দেড় লাখ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
এসব অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে গত রোববার ফোসেপ প্রকল্পের কার্যালয়ে গেলে প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘আপনি জানেন আমি কে? আপনি যা পারেন লিখে দেন। আমি কোনো বক্তব্য দেব না।’
অভিযোগ তদন্তে কমিটি, তদন্তে দুদকও
প্রকল্পের নথিপত্র ঘেঁটে জানা যায়, এই প্রকল্পে শুরু থেকে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বেশি অভিযোগ কেনাকাটায় অনিয়ম নিয়ে। অভিযোগ তদন্তে একাধিক কমিটিও হয়েছে। তবে কোনো কমিটিই প্রতিবেদন দেয়নি। তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া একাধিক কর্মকর্তাকে পরে ক্রয় কমিটিতে যুক্ত করা হয়েছে। প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় ইতিপূর্বে দুই প্রকল্প পরিচালক যথাক্রমে অধ্যাপক নুরুল হুদা এবং ড. খন্দকার মুজাহিদুল ইসলামকে সরিয়ে দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনও (দুদক) তদন্ত করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রকল্পসংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, ২০২৪ সালের ৩ অক্টোবর ড. খন্দকার মুজাহিদুল হককে সরিয়ে প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয় অধ্যাপক ড. মো. মাহমুদ হোসেনকে। তবে অভিযোগে লাগাম পড়েনি।
প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করেন, অনিয়মের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদের বিরাগভাজন হলেই প্রকল্পের অর্থ ও ক্রয় শাখার কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়। গত ৬ বছরে ছয়জন গবেষণা কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।
এই প্রকল্পের কেনাকাটাসহ সব নথি সংরক্ষণ করেন হিসাবরক্ষক মো. শাহ আলম শিকদার। প্রকল্পের কেনাকাটার বেশ কিছু নথি গায়েব হয়ে যাওয়ার ঘটনায় গত বছরের ২৪ অক্টোবর রমনা মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তিনি।
প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, দুর্নীতি ও অনিয়ম ঢাকতেই এসব নথি গায়েব করা হয়েছে। দুর্নীতি ও অনিয়মে বাধা হওয়ায় সম্প্রতি উপ-প্রকল্প পরিচালক রওশন আরা বেগমকে অন্যত্র বদলি করানো হয়েছে।
নথি গায়েবের বিষয়ে বক্তব্য জানতে গত সোমবার শাহ আলম শিকদারকে একাধিকবার মোবাইলে ফোন ও এসএমএস করে সাড়া পাওয়া যায়নি।
প্রকল্পের পূর্ত অংশে মনিটরিংয়ের নামে কোটি কোটি টাকার ভুয়া বিল-ভাউচার বানানোর অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী প্রকল্প পরিচালক শরফুদ্দীন মোহাম্মদ আবু ইউসুফ মন্তব্য করতে অপারগতা জানান।
কেনাকাটায় হঠাৎ তাড়াহুড়ো
প্রকল্পের সর্বশেষ অগ্রগতি পর্যালোচনা সভার তথ্য বলছে, প্রকল্পের ১৭৬টি ছয়তলা একাডেমিক ভবনের মধ্যে ৮৬টি ভবন হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকিগুলোর মধ্যে ৮৬টি ভবনের কাজ চলছে। বাকি ৪টি জায়গা না পাওয়াসহ নানান জটিলতায় স্থগিত রয়েছে। ১৩টি ছাত্রাবাসের মধ্যে ৯টি শেষ হয়েছে, বাকিগুলোর কাজ চলছে। ২২টি ছাত্রীনিবাসের মধ্যে ১৪টি সম্পূর্ণ হয়েছে, বাকিগুলোর কাজ চলছে। ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ হয়েছে ৬টির, মেরামত হয়েছে ৫টি ভবনের।
তবে প্রকল্পের কেনাকাটায় অগ্রগতি বেশি। প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যে ২০০টি ফটোকপিয়ার, ৬০০টি মাইক্রোওভেন-ফ্লাক্স ও ফ্রিজ, ২০০ ক্যামেরা, ১৮২টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি), ১ লাখ ৬ হাজার ৯২৬টি আসবাব, ১০ হাজার ৫২০টি কম্পিউটার ও আনুষঙ্গিক, ১ হাজার ২০০ সেট ল্যাবরেটরি সরঞ্জামাদি, হোস্টেলের জন্য ১৫ হাজার ৯৩০টি আসবাব, ৪৬টি টেলিভিশন ও ডিপ ফ্রিজ, হোস্টেলের জন্য ৮ হাজার ৫৫০টি আনুষঙ্গিক সরঞ্জামাদি সরবরাহ করা হয়েছে। এ ছাড়া ২৬টি এসি, ৯৯ হাজার ৯৯৫টি আসবাব, ১৩ হাজার ২৮৬টি কম্পিউটার ও আনুষঙ্গিক, হোস্টেলের জন্য ৪ হাজার ২০টি আসবাব, হোস্টেলের জন্য ২৪টি টেলিভিশন ও ডিপ ফ্রিজ, হোস্টেলের জন্য ৪ হাজার ৪৬১টি আনুষঙ্গিক সরঞ্জামাদি সরবরাহের অপেক্ষায় রয়েছে। লিফট ও জেনারেটর কেনাও প্রায় অর্ধেক শেষ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাউশির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, শুরু থেকে এই প্রকল্পের মূল কাজ অর্থাৎ বিজ্ঞান শিক্ষকের পদ সৃজন, নতুন ১০ বিষয় চালু, ভবন নির্মাণে জোর দেওয়া হয়নি। প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের বেশি মনোযোগ কেনাকাটায়। এসব কেনাকাটায় ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে। বর্তমান প্রকল্প পরিচালকের চাকরির মেয়াদ আছে মাত্র ১ মাস।
প্রকল্প নিয়ে নিরীক্ষা প্রতিবেদনের ওপর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, প্রকল্পে যারা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িত, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড না হয়।

সব মালপত্র (আসবাব) সরবরাহ না পেয়েও ঠিকাদারকে পুরো বিল দিতে কার্পণ্য করা হয়নি। আবার দুটি ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ না দিয়ে অনেক বেশি দরে দেওয়া হয়েছে তৃতীয় ও চতুর্থ দরদাতাকে। খরচে এমন হাতখোলা মনোভাব দেখা গেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন ‘সরকারি কলেজসমূহে বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ (ফোসেপ) প্রকল্পে (১ম সংশোধিত)।’
তবে এতে সরকারের ৩০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে। শিক্ষা অডিট অধিদপ্তর বাংলাদেশ মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের (সিএজি) অধীন। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, প্রকল্পের মূল কাজ ভবন নির্মাণ ও পদ সৃজনের পরিবর্তে কেনা-কাটায় বেশি মনোযোগ দেখা গেছে। এই কেনাকাটায় অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় একাধিক তদন্ত কমিটিও হয়েছে। দুই দফায় প্রকল্প পরিচালক বদল করা হয়েছে। তবে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ থেকে মুক্ত হতে পারেনি প্রকল্পটি।
শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উল্লেখ থাকা অনিয়মের বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) মো. মজিবর রহমান বলেন, বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মাউশির বাস্তবায়নাধীন এই প্রকল্প নেওয়া হয় ২০১৮ সালের জুলাইয়ে। শুরুতে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ২ হাজার ৫১১ কোটি ৫১ লাখ ৩২ হাজার টাকা এবং প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয় ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। পরে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) সংশোধন করে ব্যয় ২ হাজার ৫৫০ কোটি ১৮ লাখ ৬২ হাজার টাকা করা হয় এবং দুই দফায় দুই বছর করে মেয়াদ বাড়ানো হয় ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত। সম্প্রতি প্রকল্পের মেয়াদ আবার বাড়াতে পরিকল্পনা কমিশনে চিঠি দেওয়া হলেও তা নাকচ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে বিভিন্ন কলেজে ১৭৬টি ছয়তলা একাডেমিক ভবন ও ৩৫টি হোস্টেল নির্মাণ এবং কয়েকটি ভবন সংস্কার করা হচ্ছে। এ ছাড়া ২০০টি কলেজে অফিস সরঞ্জাম, কম্পিউটার সামগ্রী, বিজ্ঞানের যন্ত্রপাতি ও আসবাব সরবরাহ এবং ১ হাজার ৯১৪টি মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপনের কথা। বাজারের চাহিদার আলোকে ১০টি নতুন বিষয় চালু, ৮ হাজার ৬২৫টি বিজ্ঞান শিক্ষকের ও হোস্টেলের কর্মচারীর ৪৫৫টি পদ সৃজনও এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত।
শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চারটি কলেজ ও একটি হোস্টেলের জন্য ২ কোটি ৩৫ লাখ ২ হাজার ৪০২ টাকার আসবাব কিনতে দরপত্র আহ্বান করা হয় ২০২৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর। দরপত্রের শর্তে ৬৫৬টি সিঙ্গেল খাট সরবরাহের কথা থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দেয় ৪১৭টি। বাকি ২৩৯টি খাট না দিলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে এসব খাটের মূল্য হিসেবে অতিরিক্ত ৫৬ লাখ ৬৩ হাজার ৬২০ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। একইভাবে আরেকটি দরপত্রে মালপত্র সরবরাহ না করলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ৪৮ লাখ ৫১ হাজার ৭০০ টাকার বিল পরিশোধ করা হয়েছে।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পিপিআর, ২০০৮ অনুযায়ী সর্বনিম্ন দরদাতার সঙ্গে চুক্তি না করায় সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে একটি দরপত্রে ৮৬ লাখ ৬৩ হাজার ৯৯২ টাকা এবং অন্যটিতে ৩৭ লাখ ৪৬ হাজার ৯০০ টাকা। আসবাব কেনাকাটার একটি কাজকে একাধিক প্যাকেজে ভাগ করে দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ১৯ কোটি ১৭ লাখ ৭৪ হাজার ৩৩০ টাকা। আর অর্থবছরের শেষ সময়ে কেনাকাটা করায় সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৯ কোটি ১৪ লাখ ১৩ হাজার ২২৭ টাকা।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডিপিপির নির্দেশনা অনুযায়ী আইসিটি, কম্পিউটার ও ল্যাপটপ সামগ্রী উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে কেনার কথা। কিন্তু কেনা হয়েছে কোটেশন পদ্ধতিতে। এতে ৯ লাখ ৭১ হাজার ৯৬৫ হাজার টাকা অনিয়মিতভাবে পরিশোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া ক্রয় কাজে সাধারণ বীমা করপোরেশন থেকে বিমা কভারেজ না খোলায় ৪ লাখ ৩ হাজার ৩৩ টাকা, প্রাপ্যতা না থাকা সত্ত্বেও সম্মানী দেওয়ায় দেড় লাখ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
এসব অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে গত রোববার ফোসেপ প্রকল্পের কার্যালয়ে গেলে প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘আপনি জানেন আমি কে? আপনি যা পারেন লিখে দেন। আমি কোনো বক্তব্য দেব না।’
অভিযোগ তদন্তে কমিটি, তদন্তে দুদকও
প্রকল্পের নথিপত্র ঘেঁটে জানা যায়, এই প্রকল্পে শুরু থেকে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বেশি অভিযোগ কেনাকাটায় অনিয়ম নিয়ে। অভিযোগ তদন্তে একাধিক কমিটিও হয়েছে। তবে কোনো কমিটিই প্রতিবেদন দেয়নি। তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া একাধিক কর্মকর্তাকে পরে ক্রয় কমিটিতে যুক্ত করা হয়েছে। প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় ইতিপূর্বে দুই প্রকল্প পরিচালক যথাক্রমে অধ্যাপক নুরুল হুদা এবং ড. খন্দকার মুজাহিদুল ইসলামকে সরিয়ে দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনও (দুদক) তদন্ত করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রকল্পসংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, ২০২৪ সালের ৩ অক্টোবর ড. খন্দকার মুজাহিদুল হককে সরিয়ে প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয় অধ্যাপক ড. মো. মাহমুদ হোসেনকে। তবে অভিযোগে লাগাম পড়েনি।
প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করেন, অনিয়মের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদের বিরাগভাজন হলেই প্রকল্পের অর্থ ও ক্রয় শাখার কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়। গত ৬ বছরে ছয়জন গবেষণা কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।
এই প্রকল্পের কেনাকাটাসহ সব নথি সংরক্ষণ করেন হিসাবরক্ষক মো. শাহ আলম শিকদার। প্রকল্পের কেনাকাটার বেশ কিছু নথি গায়েব হয়ে যাওয়ার ঘটনায় গত বছরের ২৪ অক্টোবর রমনা মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তিনি।
প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, দুর্নীতি ও অনিয়ম ঢাকতেই এসব নথি গায়েব করা হয়েছে। দুর্নীতি ও অনিয়মে বাধা হওয়ায় সম্প্রতি উপ-প্রকল্প পরিচালক রওশন আরা বেগমকে অন্যত্র বদলি করানো হয়েছে।
নথি গায়েবের বিষয়ে বক্তব্য জানতে গত সোমবার শাহ আলম শিকদারকে একাধিকবার মোবাইলে ফোন ও এসএমএস করে সাড়া পাওয়া যায়নি।
প্রকল্পের পূর্ত অংশে মনিটরিংয়ের নামে কোটি কোটি টাকার ভুয়া বিল-ভাউচার বানানোর অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী প্রকল্প পরিচালক শরফুদ্দীন মোহাম্মদ আবু ইউসুফ মন্তব্য করতে অপারগতা জানান।
কেনাকাটায় হঠাৎ তাড়াহুড়ো
প্রকল্পের সর্বশেষ অগ্রগতি পর্যালোচনা সভার তথ্য বলছে, প্রকল্পের ১৭৬টি ছয়তলা একাডেমিক ভবনের মধ্যে ৮৬টি ভবন হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকিগুলোর মধ্যে ৮৬টি ভবনের কাজ চলছে। বাকি ৪টি জায়গা না পাওয়াসহ নানান জটিলতায় স্থগিত রয়েছে। ১৩টি ছাত্রাবাসের মধ্যে ৯টি শেষ হয়েছে, বাকিগুলোর কাজ চলছে। ২২টি ছাত্রীনিবাসের মধ্যে ১৪টি সম্পূর্ণ হয়েছে, বাকিগুলোর কাজ চলছে। ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ হয়েছে ৬টির, মেরামত হয়েছে ৫টি ভবনের।
তবে প্রকল্পের কেনাকাটায় অগ্রগতি বেশি। প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যে ২০০টি ফটোকপিয়ার, ৬০০টি মাইক্রোওভেন-ফ্লাক্স ও ফ্রিজ, ২০০ ক্যামেরা, ১৮২টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি), ১ লাখ ৬ হাজার ৯২৬টি আসবাব, ১০ হাজার ৫২০টি কম্পিউটার ও আনুষঙ্গিক, ১ হাজার ২০০ সেট ল্যাবরেটরি সরঞ্জামাদি, হোস্টেলের জন্য ১৫ হাজার ৯৩০টি আসবাব, ৪৬টি টেলিভিশন ও ডিপ ফ্রিজ, হোস্টেলের জন্য ৮ হাজার ৫৫০টি আনুষঙ্গিক সরঞ্জামাদি সরবরাহ করা হয়েছে। এ ছাড়া ২৬টি এসি, ৯৯ হাজার ৯৯৫টি আসবাব, ১৩ হাজার ২৮৬টি কম্পিউটার ও আনুষঙ্গিক, হোস্টেলের জন্য ৪ হাজার ২০টি আসবাব, হোস্টেলের জন্য ২৪টি টেলিভিশন ও ডিপ ফ্রিজ, হোস্টেলের জন্য ৪ হাজার ৪৬১টি আনুষঙ্গিক সরঞ্জামাদি সরবরাহের অপেক্ষায় রয়েছে। লিফট ও জেনারেটর কেনাও প্রায় অর্ধেক শেষ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাউশির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, শুরু থেকে এই প্রকল্পের মূল কাজ অর্থাৎ বিজ্ঞান শিক্ষকের পদ সৃজন, নতুন ১০ বিষয় চালু, ভবন নির্মাণে জোর দেওয়া হয়নি। প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের বেশি মনোযোগ কেনাকাটায়। এসব কেনাকাটায় ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে। বর্তমান প্রকল্প পরিচালকের চাকরির মেয়াদ আছে মাত্র ১ মাস।
প্রকল্প নিয়ে নিরীক্ষা প্রতিবেদনের ওপর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, প্রকল্পে যারা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িত, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড না হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা ১৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১৪ ঘণ্টা আগে
সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হলেও পরীক্ষা বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালনে অটল আছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাংশের শিক্ষকেরা। বরং আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া চার শিক্ষক নেতাকে শোকজ করার পর আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা। আগামীকাল বুধবার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় ‘তালাবদ্ধ’ রাখা
৯ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির সব পদে (একাডেমিক ও প্রশাসনিক) বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের সদস্যদের স্থায়ীভাবে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন কলেজগুলোর শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত শিক্ষকেরা। একই সঙ্গে তাঁরা স্কুলভিত্তিক অনুষদ পদ্ধতিও বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।
১৪ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশের খসড়ার স্কুলিং পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের কার্যালয় শিক্ষা ভবন চত্বরে গণজমায়েত কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন কলেজগুলোর বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত শিক্ষকেরা।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হলেও পরীক্ষা বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালনে অটল আছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাংশের শিক্ষকেরা। বরং আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া চার শিক্ষক নেতাকে শোকজ করার পর আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা। আগামীকাল বুধবার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় ‘তালাবদ্ধ’ রাখার পাশাপাশি উপজেলা শিক্ষা অফিসের সামনে বিক্ষোভ করবেন তাঁরা।
তবে দুই দিন কর্মবিরতি পালনের পর শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরারের সঙ্গে বৈঠকের পর আন্দোলন স্থগিত করেছেন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। আগামীকাল থেকে রুটিন অনুযায়ী পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
এদিকে পরীক্ষা বন্ধ রেখে আন্দোলন করায় দেশের বিভিন্ন স্থানে একাধিক বিদ্যালয়ে ক্ষুব্ধ অভিভাবকদের সঙ্গে শিক্ষকদের বাগ্বিতণ্ডায় জড়ানোর খবর পাওয়া গেছে। তবে কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক ও সহায়ক কর্মচারীরা মিলে পরীক্ষা নিয়েছেন বলেও জানা গেছে।
চার দফা দাবিতে সারা দেশের ৭২১টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা গতকাল সোমবার থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন। আর প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের একাংশ দাবি বাস্তবায়নে পরীক্ষা বর্জন করে কর্মবিরতি পালন করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিক্ষকদের কর্মবিরতির কারণে দেশের বেশির ভাগ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। যশোর জিলা স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক গাজী আনিছুর রহমান জানান, শিক্ষকদের কর্মবিরতির কারণে বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। রাজধানীর সবুজবাগ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আব্দুস সালাম জানান, কর্মবিরতির কারণে বিদ্যালয়গুলোতে বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত রয়েছে।
তবে দাবিদাওয়া নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিকেলে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরারের সঙ্গে বৈঠকে বসেন সরকারি মাধ্যমিকের শিক্ষক নেতারা। বৈঠক থেকে বের হয়ে আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে বলে জানান সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির এক শীর্ষ নেতা।
তবে শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর অনেক বিদ্যালয় বিচ্ছিন্নভাবে আজ পরীক্ষা হবে বলে জানিয়েছে। রাজধানীর টিকাটুলীর কামরুন্নেছা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওবায়দুল হক জানান, আজ বুধবার সূচি অনুযায়ী যথারীতি পরীক্ষা হবে। গত দুই দিনের পরীক্ষার সূচি পরবর্তী সময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।

কামরুন্নেছার পাশাপাশি রাজধানীর নারিন্দা সরকারি বালক বিদ্যালয়ের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজেও আজ বুধবার থেকে যথারীতি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে সহকারী শিক্ষকদের আন্দোলনের ফলে দেশের অধিকাংশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আজও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চরকৈলাশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরেজমিনে দেখা যায়, সহকারী শিক্ষকেরা অফিস কক্ষে অবস্থান করছেন। আর পুরো পরীক্ষার দায়িত্ব একাই পালন করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক। এতে পরীক্ষায় চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে।
জানতে চাইলে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক আনিসুর রহমান আজ বলেন, সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি বাস্তবায়নের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে বৃহস্পতিবার থেকে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘তালাবদ্ধ’ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।
চার শিক্ষক নেতাকে শোকজ
পরীক্ষায় বাধা দেওয়ার অভিযোগে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের চার নেতাকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছে ঢাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। তাঁরা হলেন সহকারী শিক্ষক খায়রুন নাহার লিপি, মো. শামছুদ্দীন মাসুদ, মো. আবুল কাশেম এবং শিক্ষক মো. মাহবুবার রহমান।
জানতে চাইলে শিক্ষক নেতা মো. শামছুদ্দীন মাসুদ জানান, ‘তিন দফা দাবিতে আজ মঙ্গলবার আমরা বিদ্যালয়ে “তালাবদ্ধ” কর্মসূচি বাস্তবায়ন করব। একই সঙ্গে শিক্ষক নেতাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার প্রতিবাদে উপজেলা বা থানা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিইও) অফিসের সামনে অবস্থান নেবেন শিক্ষকেরা।’

সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হলেও পরীক্ষা বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালনে অটল আছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাংশের শিক্ষকেরা। বরং আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া চার শিক্ষক নেতাকে শোকজ করার পর আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা। আগামীকাল বুধবার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় ‘তালাবদ্ধ’ রাখার পাশাপাশি উপজেলা শিক্ষা অফিসের সামনে বিক্ষোভ করবেন তাঁরা।
তবে দুই দিন কর্মবিরতি পালনের পর শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরারের সঙ্গে বৈঠকের পর আন্দোলন স্থগিত করেছেন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। আগামীকাল থেকে রুটিন অনুযায়ী পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
এদিকে পরীক্ষা বন্ধ রেখে আন্দোলন করায় দেশের বিভিন্ন স্থানে একাধিক বিদ্যালয়ে ক্ষুব্ধ অভিভাবকদের সঙ্গে শিক্ষকদের বাগ্বিতণ্ডায় জড়ানোর খবর পাওয়া গেছে। তবে কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক ও সহায়ক কর্মচারীরা মিলে পরীক্ষা নিয়েছেন বলেও জানা গেছে।
চার দফা দাবিতে সারা দেশের ৭২১টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা গতকাল সোমবার থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন। আর প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের একাংশ দাবি বাস্তবায়নে পরীক্ষা বর্জন করে কর্মবিরতি পালন করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিক্ষকদের কর্মবিরতির কারণে দেশের বেশির ভাগ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। যশোর জিলা স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক গাজী আনিছুর রহমান জানান, শিক্ষকদের কর্মবিরতির কারণে বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। রাজধানীর সবুজবাগ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আব্দুস সালাম জানান, কর্মবিরতির কারণে বিদ্যালয়গুলোতে বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত রয়েছে।
তবে দাবিদাওয়া নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিকেলে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরারের সঙ্গে বৈঠকে বসেন সরকারি মাধ্যমিকের শিক্ষক নেতারা। বৈঠক থেকে বের হয়ে আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে বলে জানান সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির এক শীর্ষ নেতা।
তবে শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর অনেক বিদ্যালয় বিচ্ছিন্নভাবে আজ পরীক্ষা হবে বলে জানিয়েছে। রাজধানীর টিকাটুলীর কামরুন্নেছা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওবায়দুল হক জানান, আজ বুধবার সূচি অনুযায়ী যথারীতি পরীক্ষা হবে। গত দুই দিনের পরীক্ষার সূচি পরবর্তী সময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।

কামরুন্নেছার পাশাপাশি রাজধানীর নারিন্দা সরকারি বালক বিদ্যালয়ের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজেও আজ বুধবার থেকে যথারীতি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে সহকারী শিক্ষকদের আন্দোলনের ফলে দেশের অধিকাংশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আজও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চরকৈলাশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরেজমিনে দেখা যায়, সহকারী শিক্ষকেরা অফিস কক্ষে অবস্থান করছেন। আর পুরো পরীক্ষার দায়িত্ব একাই পালন করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক। এতে পরীক্ষায় চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে।
জানতে চাইলে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক আনিসুর রহমান আজ বলেন, সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি বাস্তবায়নের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে বৃহস্পতিবার থেকে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘তালাবদ্ধ’ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।
চার শিক্ষক নেতাকে শোকজ
পরীক্ষায় বাধা দেওয়ার অভিযোগে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের চার নেতাকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছে ঢাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। তাঁরা হলেন সহকারী শিক্ষক খায়রুন নাহার লিপি, মো. শামছুদ্দীন মাসুদ, মো. আবুল কাশেম এবং শিক্ষক মো. মাহবুবার রহমান।
জানতে চাইলে শিক্ষক নেতা মো. শামছুদ্দীন মাসুদ জানান, ‘তিন দফা দাবিতে আজ মঙ্গলবার আমরা বিদ্যালয়ে “তালাবদ্ধ” কর্মসূচি বাস্তবায়ন করব। একই সঙ্গে শিক্ষক নেতাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার প্রতিবাদে উপজেলা বা থানা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিইও) অফিসের সামনে অবস্থান নেবেন শিক্ষকেরা।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা ১৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১৪ ঘণ্টা আগে
সব মালপত্র (আসবাব) সরবরাহ না পেয়েও ঠিকাদারকে পুরো বিল দিতে কার্পণ্য করা হয়নি। আবার দুটি ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ না দিয়ে অনেক বেশি দরে দেওয়া হয়েছে তৃতীয় ও চতুর্থ দরদাতাকে। খরচে এমন হাতখোলা মনোভাব দেখা গেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন ‘সরকারি কলেজসমূহে...
৬ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির সব পদে (একাডেমিক ও প্রশাসনিক) বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের সদস্যদের স্থায়ীভাবে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন কলেজগুলোর শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত শিক্ষকেরা। একই সঙ্গে তাঁরা স্কুলভিত্তিক অনুষদ পদ্ধতিও বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।
১৪ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশের খসড়ার স্কুলিং পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের কার্যালয় শিক্ষা ভবন চত্বরে গণজমায়েত কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন কলেজগুলোর বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত শিক্ষকেরা।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির সব পদে (একাডেমিক ও প্রশাসনিক) বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের সদস্যদের স্থায়ীভাবে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন কলেজগুলোর শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত শিক্ষকেরা। একই সঙ্গে তাঁরা স্কুলভিত্তিক অনুষদ পদ্ধতিও বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) কার্যালয় চত্বরে আয়োজিত সমাবেশে কলেজগুলোর শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত শিক্ষকেরা এসব দাবি জানান। ‘সাত কলেজ স্বাতন্ত্র্য রক্ষা পরিষদ’ নামে কলেজগুলোর শিক্ষকদের সংগঠনের ব্যানারে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জানতে চাইলে ঢাকা কলেজের শিক্ষক জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘খসড়া অধ্যাদেশে যে স্কুলিং পদ্ধতির কথা বলা হচ্ছে, তা বাতিল চাই। একই সঙ্গে কলেজগুলোর স্বতন্ত্র কাঠামো বজায় রেখে প্রস্তাবিত ইউনিভার্সিটির একাডেমিক ও প্রশাসনিক পদে বিসিএসে সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করে অধ্যাদেশ জারির দাবি জানাচ্ছি।’
সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের সহকারী অধ্যাপক তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক পদগুলোতেও শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হোক। আর প্রশাসনিক পদগুলোতে (উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ বা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক) শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি।’
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে অন্তর্বর্তী সরকার রাজধানীর সরকারি সাত কলেজকে নিয়ে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তবে এ নিয়ে কলেজগুলোর স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থী, উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন। প্রস্তাবিত কাঠামোতে সাতটি কলেজসহ সারা দেশের সরকারি কলেজগুলোতে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা বঞ্চিত হবে বলে শঙ্কায় আছেন। আর কলেজগুলোর বর্তমান শিক্ষার্থীরা নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ দ্রুত জারির দাবি জানিয়েছেন।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। খসড়ায় সাতটি কলেজকে চারটি স্কুলে বিভক্ত করে ‘ইন্টারডিসিপ্লিনারি’ কাঠামোতে বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের প্রস্তাব করা হয়।
প্রস্তাবনা অনুযায়ী কলেজগুলোর উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠদানও চালু থাকবে। তবে এ কাঠামোর বিরোধিতা করছে সাত কলেজে কর্মরত শিক্ষকদের সংগঠন ‘সাত কলেজ স্বাতন্ত্র্য রক্ষা পরিষদ’।
গতকাল সোমবার রাতে তোপখানা রোডে শিক্ষাবিদ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের করে পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক মাহফিল আরা বেগম খসড়া অধ্যাদেশে বাতিলের দাবিতে কর্মসূচি তুলে ধরেন।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, আগামীকাল বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সারা দেশের সব সরকারি কলেজে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন, ৪ ডিসেম্বর পাবলিক পরীক্ষা বন্ধসহ সাত কলেজে সর্বাত্মক কর্মবিরতি, ৬ ডিসেম্বর বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের সদস্যের অংশগ্রহণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মহাসমাবেশ। এরপরও যদি ইউনিভার্সিটির চূড়ান্ত অধ্যাদেশ জারি করা হয়, তাহলে দেশের সব সরকারি কলেজ ও দপ্তরে অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বাত্মক কর্মবিরতি।
এদিকে রাজধানীর ইডেন কলেজকে শুধু নারীদের জন্য সংরক্ষিত করার দাবি জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি দুই দিনের মধ্যে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়ে আলটিমেটাম দিয়েছেন তাঁরা।
আজ মঙ্গলবার কলেজ ক্যাম্পাসে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান তাঁরা।

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির সব পদে (একাডেমিক ও প্রশাসনিক) বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের সদস্যদের স্থায়ীভাবে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন কলেজগুলোর শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত শিক্ষকেরা। একই সঙ্গে তাঁরা স্কুলভিত্তিক অনুষদ পদ্ধতিও বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) কার্যালয় চত্বরে আয়োজিত সমাবেশে কলেজগুলোর শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত শিক্ষকেরা এসব দাবি জানান। ‘সাত কলেজ স্বাতন্ত্র্য রক্ষা পরিষদ’ নামে কলেজগুলোর শিক্ষকদের সংগঠনের ব্যানারে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জানতে চাইলে ঢাকা কলেজের শিক্ষক জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘খসড়া অধ্যাদেশে যে স্কুলিং পদ্ধতির কথা বলা হচ্ছে, তা বাতিল চাই। একই সঙ্গে কলেজগুলোর স্বতন্ত্র কাঠামো বজায় রেখে প্রস্তাবিত ইউনিভার্সিটির একাডেমিক ও প্রশাসনিক পদে বিসিএসে সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করে অধ্যাদেশ জারির দাবি জানাচ্ছি।’
সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের সহকারী অধ্যাপক তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক পদগুলোতেও শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হোক। আর প্রশাসনিক পদগুলোতে (উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ বা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক) শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি।’
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে অন্তর্বর্তী সরকার রাজধানীর সরকারি সাত কলেজকে নিয়ে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তবে এ নিয়ে কলেজগুলোর স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থী, উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন। প্রস্তাবিত কাঠামোতে সাতটি কলেজসহ সারা দেশের সরকারি কলেজগুলোতে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা বঞ্চিত হবে বলে শঙ্কায় আছেন। আর কলেজগুলোর বর্তমান শিক্ষার্থীরা নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ দ্রুত জারির দাবি জানিয়েছেন।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। খসড়ায় সাতটি কলেজকে চারটি স্কুলে বিভক্ত করে ‘ইন্টারডিসিপ্লিনারি’ কাঠামোতে বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের প্রস্তাব করা হয়।
প্রস্তাবনা অনুযায়ী কলেজগুলোর উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠদানও চালু থাকবে। তবে এ কাঠামোর বিরোধিতা করছে সাত কলেজে কর্মরত শিক্ষকদের সংগঠন ‘সাত কলেজ স্বাতন্ত্র্য রক্ষা পরিষদ’।
গতকাল সোমবার রাতে তোপখানা রোডে শিক্ষাবিদ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের করে পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক মাহফিল আরা বেগম খসড়া অধ্যাদেশে বাতিলের দাবিতে কর্মসূচি তুলে ধরেন।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, আগামীকাল বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সারা দেশের সব সরকারি কলেজে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন, ৪ ডিসেম্বর পাবলিক পরীক্ষা বন্ধসহ সাত কলেজে সর্বাত্মক কর্মবিরতি, ৬ ডিসেম্বর বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের সদস্যের অংশগ্রহণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মহাসমাবেশ। এরপরও যদি ইউনিভার্সিটির চূড়ান্ত অধ্যাদেশ জারি করা হয়, তাহলে দেশের সব সরকারি কলেজ ও দপ্তরে অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বাত্মক কর্মবিরতি।
এদিকে রাজধানীর ইডেন কলেজকে শুধু নারীদের জন্য সংরক্ষিত করার দাবি জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি দুই দিনের মধ্যে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়ে আলটিমেটাম দিয়েছেন তাঁরা।
আজ মঙ্গলবার কলেজ ক্যাম্পাসে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান তাঁরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা ১৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১৪ ঘণ্টা আগে
সব মালপত্র (আসবাব) সরবরাহ না পেয়েও ঠিকাদারকে পুরো বিল দিতে কার্পণ্য করা হয়নি। আবার দুটি ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ না দিয়ে অনেক বেশি দরে দেওয়া হয়েছে তৃতীয় ও চতুর্থ দরদাতাকে। খরচে এমন হাতখোলা মনোভাব দেখা গেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন ‘সরকারি কলেজসমূহে...
৬ ঘণ্টা আগে
সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হলেও পরীক্ষা বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালনে অটল আছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাংশের শিক্ষকেরা। বরং আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া চার শিক্ষক নেতাকে শোকজ করার পর আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা। আগামীকাল বুধবার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় ‘তালাবদ্ধ’ রাখা
৯ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশের খসড়ার স্কুলিং পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের কার্যালয় শিক্ষা ভবন চত্বরে গণজমায়েত কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন কলেজগুলোর বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত শিক্ষকেরা।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশের খসড়ার স্কুলিং পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের কার্যালয় শিক্ষা ভবন চত্বরে গণজমায়েত কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন কলেজগুলোর বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত শিক্ষকেরা।
তাঁরা প্রস্তাবিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয় কাঠামোর প্রশাসনিক, শিক্ষক পদসহ সর্বস্তরে স্থায়ীভাবে শুধু বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করে অধ্যাদেশ জারির দাবি জানিয়েছেন।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর তোপখানা রোডে শিক্ষাবিদ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন সাত কলেজ স্বাতন্ত্র্য রক্ষা পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক মাহফিল আরা বেগম। কর্মসূচি তুলে ধরে তিনি বলেন, ৩ ডিসেম্বর সারা দেশের সব সরকারি কলেজে মানববন্ধন ও ব্রিফিং, ৪ ডিসেম্বর পাবলিক পরীক্ষা বন্ধসহ সাত কলেজে সর্বাত্মক কর্মবিরতি, ৬ ডিসেম্বর বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের সারা দেশের সব সদস্যের অংশগ্রহণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মহাসমাবেশ করা হবে। যদি ঢাকার ৭ কলেজের অন্যতম প্রধান অংশীদার বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের মতামত ও দাবি উপেক্ষা করে চূড়ান্ত অধ্যাদেশ জারি করা হয়, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে দেশের সব সরকারি কলেজ ও দপ্তরে অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বাত্মক কর্মবিরতি (টোটাল শাটডাউন) শুরু হয়ে যাবে।
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কার্যক্রম নির্বিঘ্নে পরিচালনার স্বার্থে প্রস্তাবিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয় কাঠামোর সর্বস্তরে স্থায়ীভাবে শুধু বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করে অধ্যাদেশ জারির দাবি তুলে তিনি এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতি অনুরোধ জানান।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে অন্তর্বর্তী সরকার রাজধানীর বড় সাতটি কলেজকে নিয়ে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি গঠনের প্রক্রিয়া গুছিয়ে এনেছে। তবে এ নিয়ে কলেজগুলোর স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থী, উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। খসড়ায় সাতটি কলেজকে চারটি স্কুলে বিভক্ত করে ‘ইন্টারডিসিপ্লিনারি’ কাঠামোতে বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবনা অনুযায়ী কলেজগুলোর উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠদানও চালু থাকবে।
প্রস্তাবিত মডেলের ‘সংকট’ তুলে ধরে অধ্যাপক মাহফিল আরা বেগম বলেন, প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় মডেল সরকারি কলেজগুলোর সক্ষমতা সংকোচনের ঝুঁকি তৈরি করেছে, যা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ, সামগ্রিক শিক্ষাব্যবস্থা ও সামাজিক সমতার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। সরকারি কলেজে আসনসংখ্যা কমে গেলে শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে উচ্চ ফি-নির্ভর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে, বেসরকারি কলেজে ভর্তি হতে বাধ্য হবেন; ফলে শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ ত্বরান্বিত হবে। অথচ জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ উচ্চশিক্ষার প্রসারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
অংশীজনদের মতামত গ্রহণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার আগেই শ্রেণি কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা উদ্বেগজনক দাবি করে তিনি বলেন, অধ্যাদেশের ৬-এর ২(ক) ধারায় বলা আছে, ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠিত হইবার পূর্বে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের কলেজসমূহের বিরাজমান পরিচয়, বৈশিষ্ট্য, অবকাঠামো ও অন্যান্য বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা অক্ষুণ্ণ থাকিবে; শুধু তা-ই নয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ব্যবহৃত “উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা” বাক্যাংশটি উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাকাঠামো বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি করেছে, যা সাত কলেজ ইস্যুকে আরও জটিল করবে।’

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশের খসড়ার স্কুলিং পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের কার্যালয় শিক্ষা ভবন চত্বরে গণজমায়েত কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন কলেজগুলোর বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত শিক্ষকেরা।
তাঁরা প্রস্তাবিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয় কাঠামোর প্রশাসনিক, শিক্ষক পদসহ সর্বস্তরে স্থায়ীভাবে শুধু বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করে অধ্যাদেশ জারির দাবি জানিয়েছেন।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর তোপখানা রোডে শিক্ষাবিদ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন সাত কলেজ স্বাতন্ত্র্য রক্ষা পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক মাহফিল আরা বেগম। কর্মসূচি তুলে ধরে তিনি বলেন, ৩ ডিসেম্বর সারা দেশের সব সরকারি কলেজে মানববন্ধন ও ব্রিফিং, ৪ ডিসেম্বর পাবলিক পরীক্ষা বন্ধসহ সাত কলেজে সর্বাত্মক কর্মবিরতি, ৬ ডিসেম্বর বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের সারা দেশের সব সদস্যের অংশগ্রহণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মহাসমাবেশ করা হবে। যদি ঢাকার ৭ কলেজের অন্যতম প্রধান অংশীদার বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের মতামত ও দাবি উপেক্ষা করে চূড়ান্ত অধ্যাদেশ জারি করা হয়, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে দেশের সব সরকারি কলেজ ও দপ্তরে অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বাত্মক কর্মবিরতি (টোটাল শাটডাউন) শুরু হয়ে যাবে।
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কার্যক্রম নির্বিঘ্নে পরিচালনার স্বার্থে প্রস্তাবিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয় কাঠামোর সর্বস্তরে স্থায়ীভাবে শুধু বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করে অধ্যাদেশ জারির দাবি তুলে তিনি এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতি অনুরোধ জানান।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে অন্তর্বর্তী সরকার রাজধানীর বড় সাতটি কলেজকে নিয়ে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি গঠনের প্রক্রিয়া গুছিয়ে এনেছে। তবে এ নিয়ে কলেজগুলোর স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থী, উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। খসড়ায় সাতটি কলেজকে চারটি স্কুলে বিভক্ত করে ‘ইন্টারডিসিপ্লিনারি’ কাঠামোতে বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবনা অনুযায়ী কলেজগুলোর উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠদানও চালু থাকবে।
প্রস্তাবিত মডেলের ‘সংকট’ তুলে ধরে অধ্যাপক মাহফিল আরা বেগম বলেন, প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় মডেল সরকারি কলেজগুলোর সক্ষমতা সংকোচনের ঝুঁকি তৈরি করেছে, যা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ, সামগ্রিক শিক্ষাব্যবস্থা ও সামাজিক সমতার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। সরকারি কলেজে আসনসংখ্যা কমে গেলে শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে উচ্চ ফি-নির্ভর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে, বেসরকারি কলেজে ভর্তি হতে বাধ্য হবেন; ফলে শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ ত্বরান্বিত হবে। অথচ জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ উচ্চশিক্ষার প্রসারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
অংশীজনদের মতামত গ্রহণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার আগেই শ্রেণি কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা উদ্বেগজনক দাবি করে তিনি বলেন, অধ্যাদেশের ৬-এর ২(ক) ধারায় বলা আছে, ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠিত হইবার পূর্বে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের কলেজসমূহের বিরাজমান পরিচয়, বৈশিষ্ট্য, অবকাঠামো ও অন্যান্য বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা অক্ষুণ্ণ থাকিবে; শুধু তা-ই নয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ব্যবহৃত “উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা” বাক্যাংশটি উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাকাঠামো বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি করেছে, যা সাত কলেজ ইস্যুকে আরও জটিল করবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা ১৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১৪ ঘণ্টা আগে
সব মালপত্র (আসবাব) সরবরাহ না পেয়েও ঠিকাদারকে পুরো বিল দিতে কার্পণ্য করা হয়নি। আবার দুটি ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ না দিয়ে অনেক বেশি দরে দেওয়া হয়েছে তৃতীয় ও চতুর্থ দরদাতাকে। খরচে এমন হাতখোলা মনোভাব দেখা গেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন ‘সরকারি কলেজসমূহে...
৬ ঘণ্টা আগে
সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হলেও পরীক্ষা বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালনে অটল আছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাংশের শিক্ষকেরা। বরং আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া চার শিক্ষক নেতাকে শোকজ করার পর আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা। আগামীকাল বুধবার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় ‘তালাবদ্ধ’ রাখা
৯ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির সব পদে (একাডেমিক ও প্রশাসনিক) বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের সদস্যদের স্থায়ীভাবে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন কলেজগুলোর শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত শিক্ষকেরা। একই সঙ্গে তাঁরা স্কুলভিত্তিক অনুষদ পদ্ধতিও বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।
১৪ ঘণ্টা আগে