নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশের খসড়ার স্কুলিং পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের কার্যালয় শিক্ষা ভবন চত্বরে গণজমায়েত কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন কলেজগুলোর বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত শিক্ষকেরা।
তাঁরা প্রস্তাবিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয় কাঠামোর প্রশাসনিক, শিক্ষক পদসহ সর্বস্তরে স্থায়ীভাবে শুধু বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করে অধ্যাদেশ জারির দাবি জানিয়েছেন।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর তোপখানা রোডে শিক্ষাবিদ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন সাত কলেজ স্বাতন্ত্র্য রক্ষা পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক মাহফিল আরা বেগম। কর্মসূচি তুলে ধরে তিনি বলেন, ৩ ডিসেম্বর সারা দেশের সব সরকারি কলেজে মানববন্ধন ও ব্রিফিং, ৪ ডিসেম্বর পাবলিক পরীক্ষা বন্ধসহ সাত কলেজে সর্বাত্মক কর্মবিরতি, ৬ ডিসেম্বর বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের সারা দেশের সব সদস্যের অংশগ্রহণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মহাসমাবেশ করা হবে। যদি ঢাকার ৭ কলেজের অন্যতম প্রধান অংশীদার বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের মতামত ও দাবি উপেক্ষা করে চূড়ান্ত অধ্যাদেশ জারি করা হয়, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে দেশের সব সরকারি কলেজ ও দপ্তরে অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বাত্মক কর্মবিরতি (টোটাল শাটডাউন) শুরু হয়ে যাবে।
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কার্যক্রম নির্বিঘ্নে পরিচালনার স্বার্থে প্রস্তাবিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয় কাঠামোর সর্বস্তরে স্থায়ীভাবে শুধু বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করে অধ্যাদেশ জারির দাবি তুলে তিনি এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতি অনুরোধ জানান।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে অন্তর্বর্তী সরকার রাজধানীর বড় সাতটি কলেজকে নিয়ে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি গঠনের প্রক্রিয়া গুছিয়ে এনেছে। তবে এ নিয়ে কলেজগুলোর স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থী, উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। খসড়ায় সাতটি কলেজকে চারটি স্কুলে বিভক্ত করে ‘ইন্টারডিসিপ্লিনারি’ কাঠামোতে বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবনা অনুযায়ী কলেজগুলোর উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠদানও চালু থাকবে।
প্রস্তাবিত মডেলের ‘সংকট’ তুলে ধরে অধ্যাপক মাহফিল আরা বেগম বলেন, প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় মডেল সরকারি কলেজগুলোর সক্ষমতা সংকোচনের ঝুঁকি তৈরি করেছে, যা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ, সামগ্রিক শিক্ষাব্যবস্থা ও সামাজিক সমতার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। সরকারি কলেজে আসনসংখ্যা কমে গেলে শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে উচ্চ ফি-নির্ভর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে, বেসরকারি কলেজে ভর্তি হতে বাধ্য হবেন; ফলে শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ ত্বরান্বিত হবে। অথচ জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ উচ্চশিক্ষার প্রসারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
অংশীজনদের মতামত গ্রহণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার আগেই শ্রেণি কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা উদ্বেগজনক দাবি করে তিনি বলেন, অধ্যাদেশের ৬-এর ২(ক) ধারায় বলা আছে, ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠিত হইবার পূর্বে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের কলেজসমূহের বিরাজমান পরিচয়, বৈশিষ্ট্য, অবকাঠামো ও অন্যান্য বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা অক্ষুণ্ণ থাকিবে; শুধু তা-ই নয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ব্যবহৃত “উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা” বাক্যাংশটি উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাকাঠামো বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি করেছে, যা সাত কলেজ ইস্যুকে আরও জটিল করবে।’

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশের খসড়ার স্কুলিং পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের কার্যালয় শিক্ষা ভবন চত্বরে গণজমায়েত কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন কলেজগুলোর বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত শিক্ষকেরা।
তাঁরা প্রস্তাবিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয় কাঠামোর প্রশাসনিক, শিক্ষক পদসহ সর্বস্তরে স্থায়ীভাবে শুধু বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করে অধ্যাদেশ জারির দাবি জানিয়েছেন।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর তোপখানা রোডে শিক্ষাবিদ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন সাত কলেজ স্বাতন্ত্র্য রক্ষা পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক মাহফিল আরা বেগম। কর্মসূচি তুলে ধরে তিনি বলেন, ৩ ডিসেম্বর সারা দেশের সব সরকারি কলেজে মানববন্ধন ও ব্রিফিং, ৪ ডিসেম্বর পাবলিক পরীক্ষা বন্ধসহ সাত কলেজে সর্বাত্মক কর্মবিরতি, ৬ ডিসেম্বর বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের সারা দেশের সব সদস্যের অংশগ্রহণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মহাসমাবেশ করা হবে। যদি ঢাকার ৭ কলেজের অন্যতম প্রধান অংশীদার বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের মতামত ও দাবি উপেক্ষা করে চূড়ান্ত অধ্যাদেশ জারি করা হয়, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে দেশের সব সরকারি কলেজ ও দপ্তরে অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বাত্মক কর্মবিরতি (টোটাল শাটডাউন) শুরু হয়ে যাবে।
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কার্যক্রম নির্বিঘ্নে পরিচালনার স্বার্থে প্রস্তাবিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয় কাঠামোর সর্বস্তরে স্থায়ীভাবে শুধু বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করে অধ্যাদেশ জারির দাবি তুলে তিনি এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতি অনুরোধ জানান।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে অন্তর্বর্তী সরকার রাজধানীর বড় সাতটি কলেজকে নিয়ে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি গঠনের প্রক্রিয়া গুছিয়ে এনেছে। তবে এ নিয়ে কলেজগুলোর স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থী, উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। খসড়ায় সাতটি কলেজকে চারটি স্কুলে বিভক্ত করে ‘ইন্টারডিসিপ্লিনারি’ কাঠামোতে বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবনা অনুযায়ী কলেজগুলোর উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠদানও চালু থাকবে।
প্রস্তাবিত মডেলের ‘সংকট’ তুলে ধরে অধ্যাপক মাহফিল আরা বেগম বলেন, প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় মডেল সরকারি কলেজগুলোর সক্ষমতা সংকোচনের ঝুঁকি তৈরি করেছে, যা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ, সামগ্রিক শিক্ষাব্যবস্থা ও সামাজিক সমতার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। সরকারি কলেজে আসনসংখ্যা কমে গেলে শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে উচ্চ ফি-নির্ভর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে, বেসরকারি কলেজে ভর্তি হতে বাধ্য হবেন; ফলে শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ ত্বরান্বিত হবে। অথচ জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ উচ্চশিক্ষার প্রসারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
অংশীজনদের মতামত গ্রহণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার আগেই শ্রেণি কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা উদ্বেগজনক দাবি করে তিনি বলেন, অধ্যাদেশের ৬-এর ২(ক) ধারায় বলা আছে, ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠিত হইবার পূর্বে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের কলেজসমূহের বিরাজমান পরিচয়, বৈশিষ্ট্য, অবকাঠামো ও অন্যান্য বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা অক্ষুণ্ণ থাকিবে; শুধু তা-ই নয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ব্যবহৃত “উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা” বাক্যাংশটি উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাকাঠামো বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি করেছে, যা সাত কলেজ ইস্যুকে আরও জটিল করবে।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশের খসড়ার স্কুলিং পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের কার্যালয় শিক্ষা ভবন চত্বরে গণজমায়েত কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন কলেজগুলোর বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত শিক্ষকেরা।
তাঁরা প্রস্তাবিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয় কাঠামোর প্রশাসনিক, শিক্ষক পদসহ সর্বস্তরে স্থায়ীভাবে শুধু বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করে অধ্যাদেশ জারির দাবি জানিয়েছেন।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর তোপখানা রোডে শিক্ষাবিদ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন সাত কলেজ স্বাতন্ত্র্য রক্ষা পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক মাহফিল আরা বেগম। কর্মসূচি তুলে ধরে তিনি বলেন, ৩ ডিসেম্বর সারা দেশের সব সরকারি কলেজে মানববন্ধন ও ব্রিফিং, ৪ ডিসেম্বর পাবলিক পরীক্ষা বন্ধসহ সাত কলেজে সর্বাত্মক কর্মবিরতি, ৬ ডিসেম্বর বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের সারা দেশের সব সদস্যের অংশগ্রহণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মহাসমাবেশ করা হবে। যদি ঢাকার ৭ কলেজের অন্যতম প্রধান অংশীদার বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের মতামত ও দাবি উপেক্ষা করে চূড়ান্ত অধ্যাদেশ জারি করা হয়, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে দেশের সব সরকারি কলেজ ও দপ্তরে অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বাত্মক কর্মবিরতি (টোটাল শাটডাউন) শুরু হয়ে যাবে।
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কার্যক্রম নির্বিঘ্নে পরিচালনার স্বার্থে প্রস্তাবিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয় কাঠামোর সর্বস্তরে স্থায়ীভাবে শুধু বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করে অধ্যাদেশ জারির দাবি তুলে তিনি এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতি অনুরোধ জানান।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে অন্তর্বর্তী সরকার রাজধানীর বড় সাতটি কলেজকে নিয়ে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি গঠনের প্রক্রিয়া গুছিয়ে এনেছে। তবে এ নিয়ে কলেজগুলোর স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থী, উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। খসড়ায় সাতটি কলেজকে চারটি স্কুলে বিভক্ত করে ‘ইন্টারডিসিপ্লিনারি’ কাঠামোতে বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবনা অনুযায়ী কলেজগুলোর উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠদানও চালু থাকবে।
প্রস্তাবিত মডেলের ‘সংকট’ তুলে ধরে অধ্যাপক মাহফিল আরা বেগম বলেন, প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় মডেল সরকারি কলেজগুলোর সক্ষমতা সংকোচনের ঝুঁকি তৈরি করেছে, যা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ, সামগ্রিক শিক্ষাব্যবস্থা ও সামাজিক সমতার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। সরকারি কলেজে আসনসংখ্যা কমে গেলে শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে উচ্চ ফি-নির্ভর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে, বেসরকারি কলেজে ভর্তি হতে বাধ্য হবেন; ফলে শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ ত্বরান্বিত হবে। অথচ জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ উচ্চশিক্ষার প্রসারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
অংশীজনদের মতামত গ্রহণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার আগেই শ্রেণি কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা উদ্বেগজনক দাবি করে তিনি বলেন, অধ্যাদেশের ৬-এর ২(ক) ধারায় বলা আছে, ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠিত হইবার পূর্বে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের কলেজসমূহের বিরাজমান পরিচয়, বৈশিষ্ট্য, অবকাঠামো ও অন্যান্য বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা অক্ষুণ্ণ থাকিবে; শুধু তা-ই নয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ব্যবহৃত “উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা” বাক্যাংশটি উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাকাঠামো বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি করেছে, যা সাত কলেজ ইস্যুকে আরও জটিল করবে।’

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশের খসড়ার স্কুলিং পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের কার্যালয় শিক্ষা ভবন চত্বরে গণজমায়েত কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন কলেজগুলোর বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত শিক্ষকেরা।
তাঁরা প্রস্তাবিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয় কাঠামোর প্রশাসনিক, শিক্ষক পদসহ সর্বস্তরে স্থায়ীভাবে শুধু বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করে অধ্যাদেশ জারির দাবি জানিয়েছেন।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর তোপখানা রোডে শিক্ষাবিদ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন সাত কলেজ স্বাতন্ত্র্য রক্ষা পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক মাহফিল আরা বেগম। কর্মসূচি তুলে ধরে তিনি বলেন, ৩ ডিসেম্বর সারা দেশের সব সরকারি কলেজে মানববন্ধন ও ব্রিফিং, ৪ ডিসেম্বর পাবলিক পরীক্ষা বন্ধসহ সাত কলেজে সর্বাত্মক কর্মবিরতি, ৬ ডিসেম্বর বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের সারা দেশের সব সদস্যের অংশগ্রহণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মহাসমাবেশ করা হবে। যদি ঢাকার ৭ কলেজের অন্যতম প্রধান অংশীদার বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের মতামত ও দাবি উপেক্ষা করে চূড়ান্ত অধ্যাদেশ জারি করা হয়, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে দেশের সব সরকারি কলেজ ও দপ্তরে অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বাত্মক কর্মবিরতি (টোটাল শাটডাউন) শুরু হয়ে যাবে।
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কার্যক্রম নির্বিঘ্নে পরিচালনার স্বার্থে প্রস্তাবিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয় কাঠামোর সর্বস্তরে স্থায়ীভাবে শুধু বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করে অধ্যাদেশ জারির দাবি তুলে তিনি এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতি অনুরোধ জানান।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে অন্তর্বর্তী সরকার রাজধানীর বড় সাতটি কলেজকে নিয়ে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি গঠনের প্রক্রিয়া গুছিয়ে এনেছে। তবে এ নিয়ে কলেজগুলোর স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থী, উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। খসড়ায় সাতটি কলেজকে চারটি স্কুলে বিভক্ত করে ‘ইন্টারডিসিপ্লিনারি’ কাঠামোতে বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবনা অনুযায়ী কলেজগুলোর উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠদানও চালু থাকবে।
প্রস্তাবিত মডেলের ‘সংকট’ তুলে ধরে অধ্যাপক মাহফিল আরা বেগম বলেন, প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় মডেল সরকারি কলেজগুলোর সক্ষমতা সংকোচনের ঝুঁকি তৈরি করেছে, যা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ, সামগ্রিক শিক্ষাব্যবস্থা ও সামাজিক সমতার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। সরকারি কলেজে আসনসংখ্যা কমে গেলে শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে উচ্চ ফি-নির্ভর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে, বেসরকারি কলেজে ভর্তি হতে বাধ্য হবেন; ফলে শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ ত্বরান্বিত হবে। অথচ জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ উচ্চশিক্ষার প্রসারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
অংশীজনদের মতামত গ্রহণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার আগেই শ্রেণি কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা উদ্বেগজনক দাবি করে তিনি বলেন, অধ্যাদেশের ৬-এর ২(ক) ধারায় বলা আছে, ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠিত হইবার পূর্বে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের কলেজসমূহের বিরাজমান পরিচয়, বৈশিষ্ট্য, অবকাঠামো ও অন্যান্য বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা অক্ষুণ্ণ থাকিবে; শুধু তা-ই নয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ব্যবহৃত “উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা” বাক্যাংশটি উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাকাঠামো বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি করেছে, যা সাত কলেজ ইস্যুকে আরও জটিল করবে।’

সোমবার থেকে শুরু হওয়ার কথা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা। কিন্তু প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের একাংশ বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন করে কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করছেন। আর আজ থেকে পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন ৭২১টি সরকারি মাধ্যমিকের শিক্ষকেরা।
২১ ঘণ্টা আগে
সরকারি নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক এবং স্কুল ও কলেজের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলমান বার্ষিক ও নির্বাচনী পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের উপস্থিতি সম্পর্কে তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা এক অফিস আদেশে বিষয়টি...
১ দিন আগে
দেশব্যাপী সরকারি ও বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক এবং স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বার্ষিক, নির্বাচনী ও জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
১ দিন আগে
জাপানের রিটসুমেইকান বিশ্ববিদ্যালয়ের এমইএক্সটি বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জাপানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে, এমন যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা বৃত্তির আওতায় স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিভিন্ন দাবি আদায়ে সরকারি মাধ্যমিক ও প্রাথমিকের অধিকাংশ শিক্ষকেরা কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করছেন। এতে দেশের অনেক প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা হচ্ছে না।
আজ সোমবার থেকে শুরু হওয়ার কথা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা। কিন্তু প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের একাংশ বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন করে কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করছেন। আর আজ থেকে পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন ৭২১টি সরকারি মাধ্যমিকের শিক্ষকেরা।
সরকারি মাধ্যমিকে বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত
সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা চলছে। তবে ৭২১টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা চার দফা দাবিতে আজ থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছেন। ফলে অনেক স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার ও রোববার রাজধানীর আব্দুল গণি রোডের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের কার্যালয় চত্বরে ‘বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (বাসমাশিস) ’ ব্যানারে চার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালনের পর শিক্ষকেরা এই কর্মবিরতির কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চার দাবি হলো—সহকারী শিক্ষক পদ নবম গ্রেডে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত ও দ্রুত সময়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর গঠন করে গেজেট প্রকাশ, বিভিন্ন শূন্যপদে নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়ন, বকেয়া টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের মঞ্জুরি আদেশ তিন কর্মদিবসের মধ্যে দেওয়া এবং ২০১৫ সালের পূর্বের মতো সহকারী শিক্ষকদের ২-৩টি ইনক্রিমেন্টসহ অগ্রিম বর্ধিত বেতন সুবিধা বহাল।

এদিকে সারা দেশে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অনেক সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
শেরপুর সরকারি ভিক্টোরিয়া একাডেমিতে বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত আছে বলে জানিয়েছেন স্কুলটির সহকারী শিক্ষক আনিস রহমান। তিনি বলেন, ‘আমাদের স্কুল কর্তৃপক্ষ গত রাতেই পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করে নোটিশ জারি করেছে।’
চট্টগ্রামের পটিয়ার আবদুর রহমান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্কুলটি সহকারী শিক্ষক মুহাম্মদ মাহফুজুল আলম।
আর রাজধানীর সবুজবাগ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত আছে বলে জানিয়েছেন স্কুলটির সিনিয়র শিক্ষক ও বাসমাশিসের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুস সালাম।
তিনি বলেন, ‘আমরা কর্মবিরতি শুরু করেছি। স্কুলগুলোতে বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত আছে।’
এ ছাড়া ময়মনসিংহের বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কুষ্টিয়া জিলা স্কুল, রাজধানীর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, আজিমপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, চট্টগ্রামের হাজী মুহাম্মদ মহসিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলসহ বেশ কিছু সরকারি স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষার স্থগিত রেখে শিক্ষকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে দেশব্যাপী সরকারি ও বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক এবং স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বার্ষিক, নির্বাচনী ও জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা-২০২৫ নির্ধারিত সময়ে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
আজ অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক শাখা) অধ্যাপক খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বার্ষিক পরীক্ষা ২০ নভেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বর, এবং নির্বাচনী পরীক্ষা ২৭ নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। একই সঙ্গে মাউশির পূর্ববর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা ২৮ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশব্যাপী সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে।
আদেশে আরও বলা হয়, পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা শিক্ষক বা কর্মকর্তার যেকোনো ধরনের শৈথিল্য বা অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে বিধান অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কর্মবিরতিতে প্রাথমিকের শিক্ষকদের একাংশ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের একাংশ আজ থেকে শুরু হতে যাওয়া বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত রেখে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন।
‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ ব্যানারে কয়েক দিন আগে দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দাবিতে তারা আন্দোলন করে আসছেন। পরে ১১ তম গ্রেডে বেতনের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করেন।
নোয়াখালী সদর উপজেলার ত্রিপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মবিরতি পালনের তথ্য দিয়েছেন ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ আহ্বায়ক ও স্কুলটির শিক্ষক মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ।
তিনি বলেন, ‘অর্থ মন্ত্রণালয়ের আশ্বাস অনুযায়ী তিন দফা দাবির মধ্যে ১১ তম গ্রেডের প্রজ্ঞাপন জারি ও অন্যান্য দাবি বাস্তবায়নে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি না হওয়ায় আমরা পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করছি। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত পূর্ণদিবস কর্মবিরতি কর্মসূচি চলবে।’
ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চাঁনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরাও কর্মবিরতি পালন করেছেন বলে জানিয়েছেন স্কুলটির শিক্ষক ও পরিষদের আরেক আহ্বায়ক মো. আবুল কাসেম।
এ ছাড়া সুনামগঞ্জে জামালগঞ্জ উপজেলার ২০ নং শরীফপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বরগুনার আমতলী উপজেলার পূর্ব চওড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পটুয়াখালী সদর উপজেলার বাজারঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার পূর্ব কুলকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকেরা পরীক্ষা বর্জন করে কর্মবিরতি পালন করছেন বলে জানা গেছে।
তবে গ্রেড ও পদোন্নতি নিয়ে জটিলতা নিরসনের তিন দাবি পূরণে ২৫ নভেম্বর মঙ্গলবার থেকে ‘তিন দিনের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি’ পালন করে রোববার থেকে ক্লাসে ফিরেছেন প্রাথমিকের শিক্ষকদের বারোটি সংগঠনের মোর্চা ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’ অনুসারীরা; তাঁরা বার্ষিক পরীক্ষা নিয়েছেন।
এ মোর্চাভুক্ত সংগঠন ‘বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের’ সভাপতি শাহীনুর আল আমিন বলেন, ‘আমরা তিন দিন লাগাতার কর্মবিরতি পালন শেষে রোববার থেকে ক্লাসে ফিরেছি। সোমবার থেকে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু, আমরা বাচ্চাদের জিম্মি করে কোনো কর্মসূচি নেব না।’
ঢাকার কেরানীগঞ্জের বাঘাসুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা বার্ষিক পরীক্ষা নিয়েছেন বলেছেন স্কুলটির এই সহকারী শিক্ষক।
এদিকে ঠিকমতো বার্ষিক পরীক্ষা না নিলে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে অফিস আদেশ জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
আদেশে বলা হয়েছে, এই পরীক্ষা গ্রহণে কোনো প্রকার ‘শৈথিল্য বা অনিয়ম’ পরিলক্ষিত হলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পরীক্ষা কার্যক্রম বিনা ব্যর্থতায় নির্ধারিত সময়ে সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করতে করতে হবে।

বিভিন্ন দাবি আদায়ে সরকারি মাধ্যমিক ও প্রাথমিকের অধিকাংশ শিক্ষকেরা কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করছেন। এতে দেশের অনেক প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা হচ্ছে না।
আজ সোমবার থেকে শুরু হওয়ার কথা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা। কিন্তু প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের একাংশ বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন করে কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করছেন। আর আজ থেকে পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন ৭২১টি সরকারি মাধ্যমিকের শিক্ষকেরা।
সরকারি মাধ্যমিকে বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত
সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা চলছে। তবে ৭২১টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা চার দফা দাবিতে আজ থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছেন। ফলে অনেক স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার ও রোববার রাজধানীর আব্দুল গণি রোডের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের কার্যালয় চত্বরে ‘বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (বাসমাশিস) ’ ব্যানারে চার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালনের পর শিক্ষকেরা এই কর্মবিরতির কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চার দাবি হলো—সহকারী শিক্ষক পদ নবম গ্রেডে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত ও দ্রুত সময়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর গঠন করে গেজেট প্রকাশ, বিভিন্ন শূন্যপদে নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়ন, বকেয়া টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের মঞ্জুরি আদেশ তিন কর্মদিবসের মধ্যে দেওয়া এবং ২০১৫ সালের পূর্বের মতো সহকারী শিক্ষকদের ২-৩টি ইনক্রিমেন্টসহ অগ্রিম বর্ধিত বেতন সুবিধা বহাল।

এদিকে সারা দেশে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অনেক সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
শেরপুর সরকারি ভিক্টোরিয়া একাডেমিতে বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত আছে বলে জানিয়েছেন স্কুলটির সহকারী শিক্ষক আনিস রহমান। তিনি বলেন, ‘আমাদের স্কুল কর্তৃপক্ষ গত রাতেই পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করে নোটিশ জারি করেছে।’
চট্টগ্রামের পটিয়ার আবদুর রহমান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্কুলটি সহকারী শিক্ষক মুহাম্মদ মাহফুজুল আলম।
আর রাজধানীর সবুজবাগ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত আছে বলে জানিয়েছেন স্কুলটির সিনিয়র শিক্ষক ও বাসমাশিসের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুস সালাম।
তিনি বলেন, ‘আমরা কর্মবিরতি শুরু করেছি। স্কুলগুলোতে বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত আছে।’
এ ছাড়া ময়মনসিংহের বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কুষ্টিয়া জিলা স্কুল, রাজধানীর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, আজিমপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, চট্টগ্রামের হাজী মুহাম্মদ মহসিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলসহ বেশ কিছু সরকারি স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষার স্থগিত রেখে শিক্ষকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে দেশব্যাপী সরকারি ও বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক এবং স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বার্ষিক, নির্বাচনী ও জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা-২০২৫ নির্ধারিত সময়ে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
আজ অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক শাখা) অধ্যাপক খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বার্ষিক পরীক্ষা ২০ নভেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বর, এবং নির্বাচনী পরীক্ষা ২৭ নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। একই সঙ্গে মাউশির পূর্ববর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা ২৮ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশব্যাপী সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে।
আদেশে আরও বলা হয়, পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা শিক্ষক বা কর্মকর্তার যেকোনো ধরনের শৈথিল্য বা অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে বিধান অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কর্মবিরতিতে প্রাথমিকের শিক্ষকদের একাংশ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের একাংশ আজ থেকে শুরু হতে যাওয়া বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত রেখে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন।
‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ ব্যানারে কয়েক দিন আগে দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দাবিতে তারা আন্দোলন করে আসছেন। পরে ১১ তম গ্রেডে বেতনের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করেন।
নোয়াখালী সদর উপজেলার ত্রিপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মবিরতি পালনের তথ্য দিয়েছেন ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ আহ্বায়ক ও স্কুলটির শিক্ষক মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ।
তিনি বলেন, ‘অর্থ মন্ত্রণালয়ের আশ্বাস অনুযায়ী তিন দফা দাবির মধ্যে ১১ তম গ্রেডের প্রজ্ঞাপন জারি ও অন্যান্য দাবি বাস্তবায়নে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি না হওয়ায় আমরা পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করছি। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত পূর্ণদিবস কর্মবিরতি কর্মসূচি চলবে।’
ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চাঁনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরাও কর্মবিরতি পালন করেছেন বলে জানিয়েছেন স্কুলটির শিক্ষক ও পরিষদের আরেক আহ্বায়ক মো. আবুল কাসেম।
এ ছাড়া সুনামগঞ্জে জামালগঞ্জ উপজেলার ২০ নং শরীফপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বরগুনার আমতলী উপজেলার পূর্ব চওড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পটুয়াখালী সদর উপজেলার বাজারঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার পূর্ব কুলকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকেরা পরীক্ষা বর্জন করে কর্মবিরতি পালন করছেন বলে জানা গেছে।
তবে গ্রেড ও পদোন্নতি নিয়ে জটিলতা নিরসনের তিন দাবি পূরণে ২৫ নভেম্বর মঙ্গলবার থেকে ‘তিন দিনের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি’ পালন করে রোববার থেকে ক্লাসে ফিরেছেন প্রাথমিকের শিক্ষকদের বারোটি সংগঠনের মোর্চা ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’ অনুসারীরা; তাঁরা বার্ষিক পরীক্ষা নিয়েছেন।
এ মোর্চাভুক্ত সংগঠন ‘বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের’ সভাপতি শাহীনুর আল আমিন বলেন, ‘আমরা তিন দিন লাগাতার কর্মবিরতি পালন শেষে রোববার থেকে ক্লাসে ফিরেছি। সোমবার থেকে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু, আমরা বাচ্চাদের জিম্মি করে কোনো কর্মসূচি নেব না।’
ঢাকার কেরানীগঞ্জের বাঘাসুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা বার্ষিক পরীক্ষা নিয়েছেন বলেছেন স্কুলটির এই সহকারী শিক্ষক।
এদিকে ঠিকমতো বার্ষিক পরীক্ষা না নিলে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে অফিস আদেশ জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
আদেশে বলা হয়েছে, এই পরীক্ষা গ্রহণে কোনো প্রকার ‘শৈথিল্য বা অনিয়ম’ পরিলক্ষিত হলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পরীক্ষা কার্যক্রম বিনা ব্যর্থতায় নির্ধারিত সময়ে সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করতে করতে হবে।

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশের খসড়ার স্কুলিং পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের কার্যালয় শিক্ষা ভবন চত্বরে গণজমায়েত কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন কলেজগুলোর বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত শিক্ষকেরা।
১২ ঘণ্টা আগে
সরকারি নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক এবং স্কুল ও কলেজের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলমান বার্ষিক ও নির্বাচনী পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের উপস্থিতি সম্পর্কে তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা এক অফিস আদেশে বিষয়টি...
১ দিন আগে
দেশব্যাপী সরকারি ও বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক এবং স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বার্ষিক, নির্বাচনী ও জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
১ দিন আগে
জাপানের রিটসুমেইকান বিশ্ববিদ্যালয়ের এমইএক্সটি বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জাপানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে, এমন যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা বৃত্তির আওতায় স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারি নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক এবং স্কুল ও কলেজের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলমান বার্ষিক ও নির্বাচনী পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের উপস্থিতি সম্পর্কে তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আজ সোমবার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা এক অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়। এতে স্বাক্ষর করেন সিনিয়র সহকারী সচিব সিফাত উদ্দিন।
অফিস আদেশে বলা হয়, সোমবার দেশের সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলমান বার্ষিক/নির্বাচনী পরীক্ষা–২০২৫ গ্রহণ–সংক্রান্ত এবং পরীক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মকর্তাদের উপস্থিতির তথ্য বেলা ১২টার মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে পাঠাতে হবে।
এ ছাড়া তথ্য চাওয়ার বিষয়টিকে জরুরি বলেও আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের একাংশ আজ থেকে চার দফা দাবিতে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। বিভিন্ন বিদ্যালয় গত বৃহস্পতিবারই নোটিশ দিয়ে আজকের পরীক্ষা স্থগিত করার কথা জানিয়েছে।

সরকারি নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক এবং স্কুল ও কলেজের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলমান বার্ষিক ও নির্বাচনী পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের উপস্থিতি সম্পর্কে তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আজ সোমবার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা এক অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়। এতে স্বাক্ষর করেন সিনিয়র সহকারী সচিব সিফাত উদ্দিন।
অফিস আদেশে বলা হয়, সোমবার দেশের সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলমান বার্ষিক/নির্বাচনী পরীক্ষা–২০২৫ গ্রহণ–সংক্রান্ত এবং পরীক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মকর্তাদের উপস্থিতির তথ্য বেলা ১২টার মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে পাঠাতে হবে।
এ ছাড়া তথ্য চাওয়ার বিষয়টিকে জরুরি বলেও আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের একাংশ আজ থেকে চার দফা দাবিতে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। বিভিন্ন বিদ্যালয় গত বৃহস্পতিবারই নোটিশ দিয়ে আজকের পরীক্ষা স্থগিত করার কথা জানিয়েছে।

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশের খসড়ার স্কুলিং পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের কার্যালয় শিক্ষা ভবন চত্বরে গণজমায়েত কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন কলেজগুলোর বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত শিক্ষকেরা।
১২ ঘণ্টা আগে
সোমবার থেকে শুরু হওয়ার কথা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা। কিন্তু প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের একাংশ বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন করে কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করছেন। আর আজ থেকে পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন ৭২১টি সরকারি মাধ্যমিকের শিক্ষকেরা।
২১ ঘণ্টা আগে
দেশব্যাপী সরকারি ও বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক এবং স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বার্ষিক, নির্বাচনী ও জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
১ দিন আগে
জাপানের রিটসুমেইকান বিশ্ববিদ্যালয়ের এমইএক্সটি বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জাপানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে, এমন যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা বৃত্তির আওতায় স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশব্যাপী সরকারি ও বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক এবং স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বার্ষিক, নির্বাচনী ও জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
আজ সোমবার অধিদপ্তরের সরকারি মাধ্যমিক শাখা থেকে জারি করা অফিস আদেশ জারি থেকে এ তথ্য জানা যায়। এতে স্বাক্ষর করেন অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল।
অফিস আদেশে জানানো হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের গত ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বার্ষিক পরীক্ষা ২০ নভেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বর, এবং নির্বাচনী পরীক্ষা ২৭ নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। একই সঙ্গে মাউশির পূর্ববর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা ২৮ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত দেশব্যাপী সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে।
এতে পরীক্ষাগুলো যথাসময়ে ও নির্বিঘ্নে আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক উপপরিচালক, জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এবং সব বিদ্যালয়ের প্রধানদের প্রতি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আদেশে আরও বলা হয়, পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা শিক্ষক বা কর্মকর্তার যেকোনো ধরনের শৈথিল্য বা অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে বিধান অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চিঠিটি সব জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), শিক্ষা মন্ত্রণালয়েও পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ৪ দফা দাবিতে আজ থেকে সারা দেশের সরকারি মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে একযোগে কর্মবিরতি ও বার্ষিক পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকেরা। এর বিপরীতে এবার সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো হলো।

দেশব্যাপী সরকারি ও বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক এবং স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বার্ষিক, নির্বাচনী ও জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
আজ সোমবার অধিদপ্তরের সরকারি মাধ্যমিক শাখা থেকে জারি করা অফিস আদেশ জারি থেকে এ তথ্য জানা যায়। এতে স্বাক্ষর করেন অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল।
অফিস আদেশে জানানো হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের গত ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বার্ষিক পরীক্ষা ২০ নভেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বর, এবং নির্বাচনী পরীক্ষা ২৭ নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। একই সঙ্গে মাউশির পূর্ববর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা ২৮ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত দেশব্যাপী সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে।
এতে পরীক্ষাগুলো যথাসময়ে ও নির্বিঘ্নে আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক উপপরিচালক, জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এবং সব বিদ্যালয়ের প্রধানদের প্রতি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আদেশে আরও বলা হয়, পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা শিক্ষক বা কর্মকর্তার যেকোনো ধরনের শৈথিল্য বা অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে বিধান অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চিঠিটি সব জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), শিক্ষা মন্ত্রণালয়েও পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ৪ দফা দাবিতে আজ থেকে সারা দেশের সরকারি মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে একযোগে কর্মবিরতি ও বার্ষিক পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকেরা। এর বিপরীতে এবার সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো হলো।

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশের খসড়ার স্কুলিং পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের কার্যালয় শিক্ষা ভবন চত্বরে গণজমায়েত কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন কলেজগুলোর বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত শিক্ষকেরা।
১২ ঘণ্টা আগে
সোমবার থেকে শুরু হওয়ার কথা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা। কিন্তু প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের একাংশ বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন করে কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করছেন। আর আজ থেকে পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন ৭২১টি সরকারি মাধ্যমিকের শিক্ষকেরা।
২১ ঘণ্টা আগে
সরকারি নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক এবং স্কুল ও কলেজের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলমান বার্ষিক ও নির্বাচনী পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের উপস্থিতি সম্পর্কে তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা এক অফিস আদেশে বিষয়টি...
১ দিন আগে
জাপানের রিটসুমেইকান বিশ্ববিদ্যালয়ের এমইএক্সটি বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জাপানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে, এমন যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা বৃত্তির আওতায় স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক

জাপানের রিটসুমেইকান বিশ্ববিদ্যালয়ের এমইএক্সটি বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জাপানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে, এমন যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা বৃত্তির আওতায় স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। যেসব শিক্ষার্থী জাপানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী, তাঁদের আবেদন করতে উৎসাহিত করা হয়েছে। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য বৃত্তিটি প্রযোজ্য।
রিটসুমেইকান বিশ্ববিদ্যালয় জাপানের অন্যতম প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, যা একাডেমিক উৎকর্ষ, উন্নত গবেষণা এবং উদ্ভাবনের জন্য ব্যাপকভাবে পরিচিত। কিয়োটো, ওসাকা ও শিগা—এই তিনটি অঞ্চলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস অবস্থিত। রিটসুমেইকান তার সমৃদ্ধ গবেষণা অবকাঠামো, অভিজ্ঞ শিক্ষক ও বৈচিত্র্যময় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী কমিউনিটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্য গড়ে তুলেছে একটি গ্লোবাল লার্নিং এনভায়রনমেন্ট।
সুযোগ-সুবিধা
রিটসুমেইকান বিশ্ববিদ্যালয়ের এমইএক্সটি বৃত্তি নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের রয়েছে সম্পূর্ণ ফান্ডেড উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ। এই বৃত্তির আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের শতভাগ টিউশন মওকুফ করা হবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রতি মাসে থাকছে ১ লাখ ৪৩ হাজার থেকে ১ লাখ ৪৫ হাজার জাপানিজ ইয়েন। শুধু তা-ই নয়, প্রোগ্রামের শুরুতে ও শেষে জাপানে আসা-যাওয়ার জন্য ইকোনমি ক্লাস বিমানভাড়াও বহন করা হবে।
এমইএক্সটি বৃত্তির পরিচিতি
জাপানের শিক্ষা, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কে সংক্ষেপে এমইএক্সটি বলা হয়। এই এমইএক্সটি বিশ্বজুড়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য মর্যাদাপূর্ণ বৃত্তি কর্মসূচি পরিচালনা করে থাকে। এই বৃত্তির আওতায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা দেশটির শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পেয়ে থাকেন।
আবেদনের যোগ্যতা
এমইএক্সটি বৃত্তির জন্য আবেদন করতে হলে প্রার্থীদের কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতার শর্ত পূরণ করতে হবে। প্রথমত, প্রার্থীর জাপানের নাগরিকত্ব থাকা যাবে না। প্রার্থীর দেশের সঙ্গে জাপানের কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকতে হবে। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ হতে হবে। প্রার্থীর জন্মসাল ১৯৯১ সালের ২ এপ্রিলের পর হতে হবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যভাগে জাপানে পৌঁছাতে সক্ষম হতে হবে। বিগত শিক্ষাজীবনে সিজিপিএ-৩ স্কেলে অন্তত ২.৩০ থাকতে হবে।
ভাষাগত যোগ্যতা
বৃত্তির জন্য আবেদনকারীদের নির্দিষ্ট ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা প্রদর্শন করতে হবে। প্রার্থীদের টোয়েফল আইবিটি স্কোর ৭২ বা তার বেশি হতে হবে। অথবা আইইএলটিএসে স্কোর ৫.৫ বা তার বেশি হতে হবে। তবে যেসব শিক্ষার্থীর পূর্ববর্তী ডিগ্রির পাঠদান পদ্ধতি ইংরেজি মাধ্যমের ছিল, তাঁরা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত ইংরেজি দক্ষতা সনদ জমা দিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে আলাদা ভাষা পরীক্ষা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না।
আবেদনের পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫।

জাপানের রিটসুমেইকান বিশ্ববিদ্যালয়ের এমইএক্সটি বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জাপানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে, এমন যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা বৃত্তির আওতায় স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। যেসব শিক্ষার্থী জাপানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী, তাঁদের আবেদন করতে উৎসাহিত করা হয়েছে। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য বৃত্তিটি প্রযোজ্য।
রিটসুমেইকান বিশ্ববিদ্যালয় জাপানের অন্যতম প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, যা একাডেমিক উৎকর্ষ, উন্নত গবেষণা এবং উদ্ভাবনের জন্য ব্যাপকভাবে পরিচিত। কিয়োটো, ওসাকা ও শিগা—এই তিনটি অঞ্চলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস অবস্থিত। রিটসুমেইকান তার সমৃদ্ধ গবেষণা অবকাঠামো, অভিজ্ঞ শিক্ষক ও বৈচিত্র্যময় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী কমিউনিটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্য গড়ে তুলেছে একটি গ্লোবাল লার্নিং এনভায়রনমেন্ট।
সুযোগ-সুবিধা
রিটসুমেইকান বিশ্ববিদ্যালয়ের এমইএক্সটি বৃত্তি নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের রয়েছে সম্পূর্ণ ফান্ডেড উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ। এই বৃত্তির আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের শতভাগ টিউশন মওকুফ করা হবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রতি মাসে থাকছে ১ লাখ ৪৩ হাজার থেকে ১ লাখ ৪৫ হাজার জাপানিজ ইয়েন। শুধু তা-ই নয়, প্রোগ্রামের শুরুতে ও শেষে জাপানে আসা-যাওয়ার জন্য ইকোনমি ক্লাস বিমানভাড়াও বহন করা হবে।
এমইএক্সটি বৃত্তির পরিচিতি
জাপানের শিক্ষা, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কে সংক্ষেপে এমইএক্সটি বলা হয়। এই এমইএক্সটি বিশ্বজুড়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য মর্যাদাপূর্ণ বৃত্তি কর্মসূচি পরিচালনা করে থাকে। এই বৃত্তির আওতায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা দেশটির শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পেয়ে থাকেন।
আবেদনের যোগ্যতা
এমইএক্সটি বৃত্তির জন্য আবেদন করতে হলে প্রার্থীদের কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতার শর্ত পূরণ করতে হবে। প্রথমত, প্রার্থীর জাপানের নাগরিকত্ব থাকা যাবে না। প্রার্থীর দেশের সঙ্গে জাপানের কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকতে হবে। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ হতে হবে। প্রার্থীর জন্মসাল ১৯৯১ সালের ২ এপ্রিলের পর হতে হবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যভাগে জাপানে পৌঁছাতে সক্ষম হতে হবে। বিগত শিক্ষাজীবনে সিজিপিএ-৩ স্কেলে অন্তত ২.৩০ থাকতে হবে।
ভাষাগত যোগ্যতা
বৃত্তির জন্য আবেদনকারীদের নির্দিষ্ট ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা প্রদর্শন করতে হবে। প্রার্থীদের টোয়েফল আইবিটি স্কোর ৭২ বা তার বেশি হতে হবে। অথবা আইইএলটিএসে স্কোর ৫.৫ বা তার বেশি হতে হবে। তবে যেসব শিক্ষার্থীর পূর্ববর্তী ডিগ্রির পাঠদান পদ্ধতি ইংরেজি মাধ্যমের ছিল, তাঁরা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত ইংরেজি দক্ষতা সনদ জমা দিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে আলাদা ভাষা পরীক্ষা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না।
আবেদনের পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫।

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশের খসড়ার স্কুলিং পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের কার্যালয় শিক্ষা ভবন চত্বরে গণজমায়েত কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন কলেজগুলোর বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত শিক্ষকেরা।
১২ ঘণ্টা আগে
সোমবার থেকে শুরু হওয়ার কথা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা। কিন্তু প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের একাংশ বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন করে কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করছেন। আর আজ থেকে পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন ৭২১টি সরকারি মাধ্যমিকের শিক্ষকেরা।
২১ ঘণ্টা আগে
সরকারি নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক এবং স্কুল ও কলেজের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলমান বার্ষিক ও নির্বাচনী পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের উপস্থিতি সম্পর্কে তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা এক অফিস আদেশে বিষয়টি...
১ দিন আগে
দেশব্যাপী সরকারি ও বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক এবং স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বার্ষিক, নির্বাচনী ও জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
১ দিন আগে