নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে স্নাতক (সম্মান) কোর্সে ভর্তি হয়ে বিপাকে পড়েছেন ১৫০ শিক্ষার্থী। কোর্স বন্ধের নির্দেশের পর এবার এসব শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে ভর্তি করানোর নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আজ বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. পারভেজ হাসান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়—বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে ইতিমধ্যে বিভিন্ন সেশনে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত না হওয়ার লক্ষ্যে, তাদের পছন্দ ও প্রাপ্যতা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী কোনো বিশ্ববিদ্যালয়/কলেজে ভর্তি করানো ও সেই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো। এতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন রয়েছে।
এ বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মশিউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা মাত্রই মন্ত্রণালয়ের চিঠি পেয়েছি। সে জন্য এখনই বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে চাচ্ছি না। তবে আমরা চিঠির জবাব দেব।’
এর আগে ২৬ মে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে (গাজীপুর) স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রাম চালু করাসহ সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন লঙ্ঘন করে, মূল ক্যাম্পাসে স্নাতক কোর্স চালু করেছিল। এ ক্ষেত্রে তারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দেখভালের দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নির্দেশকেও পাত্তা দেয়নি। মূলত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ‘একগুঁয়েমির’ কারণে ১৫০ শিক্ষার্থী এসব কোর্সে ভর্তি হয়ে বিপাকে পড়েছেন।
গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে (গাজীপুর) এলএলবি, বিবিএ, টুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট এবং নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড সায়েন্স বিষয়ে শিক্ষার্থী ভর্তিসহ সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল ইউজিসি। কিন্তু সে নির্দেশনাকে আমলে না নিয়ে, শিক্ষার্থী ভর্তি করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এ চার বিষয়ে আসনসংখ্যা ছিল ১৬০টি, এর মধ্যে ভর্তি হয় ১৫০ জন। এরপর বিপরীত অবস্থানে থাকা দুই পক্ষই নিজেদের আইনি ব্যাখ্যায় নিজ নিজ অবস্থানকে সঠিক দাবি করে।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি ফের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য ফের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। যদিও পরে এ শিক্ষাবর্ষের আবেদন নিলেও মেধা তালিকা প্রকাশ করেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে (মূল ক্যাম্পাসে) এলএলবি-তে ভর্তি হওয়া একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করানোর নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এত দিন পর এমন সিদ্ধান্তে আমাদের শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ভুলের দায়ভার কে নেবে?’
এ বিষয়ে ইউজিসি সচিব ফেরদৌস জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মূল ক্যাম্পাসে স্নাতক কোর্স চালু না করতে আমরা বারবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দিয়েছি। চিঠিতে আইনের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। এরপর রাষ্ট্রপতি সবকিছু বিবেচনা করে দেখেছেন, আসলেই তারা আইন অমান্য করেছে। সে জন্য তিনি মূল ক্যাম্পাসে কোর্স বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছেন।’
১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় মূলত কলেজগুলোর উচ্চশিক্ষা দেখভাল করে। এর কার্যক্রম অনেকটা শিক্ষাবোর্ডের মতো। মূল কাজ হলো অধিভুক্ত কলেজগুলোর পরীক্ষা নেওয়া। এর অধিভুক্ত কলেজগুলোতে শিক্ষার্থী রয়েছেন ২৯ লাখের বেশি। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক (পাস), স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ডিগ্রি দেওয়া হয়। আছে পেশাগত কোর্সও।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে স্নাতক (সম্মান) কোর্সে ভর্তি হয়ে বিপাকে পড়েছেন ১৫০ শিক্ষার্থী। কোর্স বন্ধের নির্দেশের পর এবার এসব শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে ভর্তি করানোর নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আজ বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. পারভেজ হাসান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়—বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে ইতিমধ্যে বিভিন্ন সেশনে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত না হওয়ার লক্ষ্যে, তাদের পছন্দ ও প্রাপ্যতা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী কোনো বিশ্ববিদ্যালয়/কলেজে ভর্তি করানো ও সেই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো। এতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন রয়েছে।
এ বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মশিউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা মাত্রই মন্ত্রণালয়ের চিঠি পেয়েছি। সে জন্য এখনই বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে চাচ্ছি না। তবে আমরা চিঠির জবাব দেব।’
এর আগে ২৬ মে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে (গাজীপুর) স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রাম চালু করাসহ সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন লঙ্ঘন করে, মূল ক্যাম্পাসে স্নাতক কোর্স চালু করেছিল। এ ক্ষেত্রে তারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দেখভালের দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নির্দেশকেও পাত্তা দেয়নি। মূলত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ‘একগুঁয়েমির’ কারণে ১৫০ শিক্ষার্থী এসব কোর্সে ভর্তি হয়ে বিপাকে পড়েছেন।
গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে (গাজীপুর) এলএলবি, বিবিএ, টুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট এবং নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড সায়েন্স বিষয়ে শিক্ষার্থী ভর্তিসহ সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল ইউজিসি। কিন্তু সে নির্দেশনাকে আমলে না নিয়ে, শিক্ষার্থী ভর্তি করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এ চার বিষয়ে আসনসংখ্যা ছিল ১৬০টি, এর মধ্যে ভর্তি হয় ১৫০ জন। এরপর বিপরীত অবস্থানে থাকা দুই পক্ষই নিজেদের আইনি ব্যাখ্যায় নিজ নিজ অবস্থানকে সঠিক দাবি করে।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি ফের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য ফের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। যদিও পরে এ শিক্ষাবর্ষের আবেদন নিলেও মেধা তালিকা প্রকাশ করেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে (মূল ক্যাম্পাসে) এলএলবি-তে ভর্তি হওয়া একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করানোর নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এত দিন পর এমন সিদ্ধান্তে আমাদের শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ভুলের দায়ভার কে নেবে?’
এ বিষয়ে ইউজিসি সচিব ফেরদৌস জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মূল ক্যাম্পাসে স্নাতক কোর্স চালু না করতে আমরা বারবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দিয়েছি। চিঠিতে আইনের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। এরপর রাষ্ট্রপতি সবকিছু বিবেচনা করে দেখেছেন, আসলেই তারা আইন অমান্য করেছে। সে জন্য তিনি মূল ক্যাম্পাসে কোর্স বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছেন।’
১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় মূলত কলেজগুলোর উচ্চশিক্ষা দেখভাল করে। এর কার্যক্রম অনেকটা শিক্ষাবোর্ডের মতো। মূল কাজ হলো অধিভুক্ত কলেজগুলোর পরীক্ষা নেওয়া। এর অধিভুক্ত কলেজগুলোতে শিক্ষার্থী রয়েছেন ২৯ লাখের বেশি। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক (পাস), স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ডিগ্রি দেওয়া হয়। আছে পেশাগত কোর্সও।
স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে সামার ২০২৫ সেশনে ভর্তি শুরু হয়েছে। এই ইউনিভার্সিটি ৫টি অনুষদের অধীনে ১৪টি বিভাগে ২৯টি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তি নিচ্ছে।
৩ ঘণ্টা আগেবিজ্ঞানের প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে দিনব্যাপী ‘নেক্সট জেন বাংলাদেশ: ইঞ্জিনিয়ারিং টুমরো’ শীর্ষক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগ এবং অ্যাডমিশন অফিসের যৌথ উদ্যোগে এই আয়োজন অনুষ্ঠ
৭ ঘণ্টা আগেবিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই সময়ে শিক্ষার্থীরা কেবল পাঠ্যবইয়ের জ্ঞানার্জন করেন না, বরং গবেষণা, বিশ্লেষণ ও নানা স্কিল গঠনের সুযোগ পান। এই দক্ষতাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি। অ্যাসাইনমেন্ট শুধু পরীক্ষার বিকল্প কিংবা নম্বর তোলার মাধ্যম নয়, বরং এটি একজন শিক্ষার্থী
১৮ ঘণ্টা আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বোস্টন ইউনিভার্সিটি প্রেসিডেনশিয়াল বৃত্তি ২০২৫-এর আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। বিভিন্ন ধরনের তহবিলযুক্ত এই বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। প্রতি বছর শিক্ষার্থীদের এই বৃত্তি দেওয়া হয়।
১৮ ঘণ্টা আগে