Ajker Patrika

জাবির হলের নামকরণ নিয়ে নানা মত

বেলাল হোসেন (জাবি) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ অক্টোবর ২০২১, ১৯: ৪০
জাবির হলের নামকরণ নিয়ে নানা মত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে ৬টি ১০ তলাবিশিষ্ট আবাসিক হল। যার তিনটি ছাত্র ও তিনটি ছাত্রীদের জন্য। ছয়টি নির্মাণাধীন হলের একটিতে ফজিলাতুন্নেসা হলের ছাত্রীদের ওঠানো হবে এবং একই নাম দেওয়া হবে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নতুন পাঁচটি হলের নামকরণ করতে হচ্ছে। হলের নতুন নামকরণ নিয়ে দেখা দিয়েছে মধুর জটিলতা। এদিকে সবার অংশগ্রহণে নামকরণের দাবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের।

বর্তমানে মেয়েদের নির্মাণাধীন ভবনগুলো ১৭, ১৮, ১৯ এবং ছেলেদেরগুলো ২০, ২১, ২২ নম্বর নামে কাজ পরিচালিত হচ্ছে। যেসব কাজ আগামী বছরের জুনের মধ্যেই শেষ হবে।

এ বিষয়ে অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের নির্মাণাধীন ৬টি আবাসিক হলের কাজ প্রায় ৮৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি কাজ আগামী বছরের জুনের মধ্যেই শেষ হতে পারে। এর মধ্যেই ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী হলের উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনের প্রক্রিয়া চলছে।’

নামকরণের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ বলেন, ‘হলের নামকরণ চূড়ান্ত হবে সিন্ডিকেট সভায়। এর আগের স্থাপনাগুলোর নামকরণ সিন্ডিকেট সভায় গৃহীত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কমিউনিটির পছন্দের নামকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। তবে হলের নামকরণের সঙ্গে সিনেট সভার ভূমিকা নেই।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে রেজিস্ট্রার গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ অনুসারে বাজেট, আইন প্রণয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদিতে সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে সিনেট সভা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তাঁর সর্বোচ্চ নির্বাহী ক্ষমতার অনৈতিক ব্যবহার করছেন। যার ফলে বাজেট প্রণয়ন ছাড়াও অন্যান্য নীতিনির্ধারণী বিষয়ে সিনেটের পরোয়া করে না বর্তমান প্রশাসন।’

ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান আরও বলেন, ‘প্রশাসনকে স্মরণে রাখতে হবে এর আগে জাহাঙ্গীরনগরে বিভিন্ন স্থাপনার নামকরণ নিয়ে আন্দোলনের ইতিহাস রয়েছে।’

জাবি সংসদ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল রনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ অংশীদারদের মতামতের ভিত্তিতে হলের নামকরণ হওয়া উচিত। কারণ এর পূর্বে জাহাঙ্গীরনগরে বিভিন্ন স্থাপনার নাম নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন করতে হয়েছে। আমরা চাই এ ধরনের ইতিহাস যেন আবার ফিরে না আসে। আমরা চাই মেয়েদের একটি হলের নাম ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের নেত্রী ইলা মিত্রের নামে হোক।’ এ ছাড়া ছেলেদের হলগুলো উপাচার্য সৈয়দ আলী আহসান, হুমায়ুন ফরীদি, বাঘা যতীনের নামে করার দাবি জানান রাকিবুল রনি।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ এ মামুন বলেন, ‘স্থাপনাগুলোর নাম দেওয়ার ক্ষেত্রে সবার অংশগ্রহণে মতামত নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে শিক্ষক সমাজ একটি দারুণ ভূমিকা পালন করবে। শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে প্রত্যাশা থাকবে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্বকে সম্মান করার।’

উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ছয়টি হলের মধ্যে পাঁচটির নাম দেওয়া হবে। সে ক্ষেত্রে মেয়েদের দুটি ও ছেলেদের তিনটি হলের নামকরণ হবে। এটি নিঃসন্দেহে মধুর জটিলতা। কারণ এ দেশের মাটিতে কীর্তিমান নর-নারীর সংখ্যা অনেক। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলেদের দুটি আবাসিক হল ভাষাশহীদদের স্মরণে নির্মিত হয়েছে। এবার আমাদের ইচ্ছা মুক্তিযুদ্ধের বিখ্যাত চরিত্রের নামে হলের নামকরণ করা হবে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত