ড. মুহাম্মদ সাহাদাত হোসেন সিদ্দিকী
যেখানে পড়ানো হয়
১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে দেশে যাত্রা শুরু হয় অর্থনীতি বিষয়ের। বর্তমানে বাংলাদেশের ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বাদে প্রায় সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে অর্থনীতি পড়ানো হয়। এমনকি ডিগ্রি কলেজগুলোতেও অর্থনীতি বেশ পরিচিত বিষয়।
পঠন-পাঠন
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনে সাধারণত চার বছর ও স্নাতকোত্তরের জন্য আরও এক বছর সময় প্রয়োজন হয়। অর্থনীতিতে বিভাগে গণিত, পরিসংখ্যান, ইকোনোমেট্রিকস, হেলথ ইকোনোমিকস, পাবলিক ইকোনোমিকস, ফিন্যান্স, একাউন্টিং, মনোবিজ্ঞান, দর্শন, কম্পিউটার ও সফটওয়্যার এনালাইসিস, ডেভেলপমেন্ট ইকোনোমিকস, রিসার্চ মেথডোলজি, এনভায়রনমেন্টাল ইকোনোমিকস, বাংলাদেশের অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, মাইক্রো ও ম্যাক্রো ইকোনোমিকস, ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড, বাংলাদেশের অর্থনীতি, সেক্টোরাল স্টাডিজ, ইকোনোমিক মডেলিং, প্যানেল ডেটা অ্যান্ড নন লিনিয়ার ইকোনোমেট্রিকস ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনোমিকসসহ বিভিন্ন বিষয় কোর্স হিসেবে পড়ানো হয়। অর্থনীতি মূলত তত্ত্বীয় বিষয়। তবে এর অধীনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে গণিত, পরিসংখ্যান, ডেটা সায়েন্সের মতো বিষয় শেখানো হয় যেন তা পরে অর্থনীতিবিদরা বিভিন্ন বাস্তব ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে পারেন।
অর্থনীতি বিষয়ে পড়তে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু প্রয়োজনীয় দক্ষতা: এ বিষয়ে ভালো করার জন্য গাণিতিক, পরিসংখ্যানগত, কম্পিউটার, বিশ্লেষণাত্মক চিন্তাভাবনার ক্ষমতা, সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা ও যোগাযোগসহ বেশ কিছু বিষয়ে দক্ষতা থাকতে বা অর্জন করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের জন্য পরামর্শ
অর্থনীতি জনপ্রিয় ও বহুমুখী বিষয় হওয়ায়, বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাকরির সুযোগ তৈরি করে। পাশাপাশি এ বিষয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের জ্ঞান, দক্ষতা এবং বিশ্লেষণাত্মক চিন্তাভাবনার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, যা তাঁদের বিভিন্ন পেশায় সফল হতে সাহায্য করে। বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে অর্থনীতি বিষয়ে দক্ষ কর্মীর চাহিদা ব্যাপক। অর্থাৎ, এ বিষয়ে পড়ে ভালো চাকরি পাওয়া সম্ভব। তবে এর জন্য শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হবে।
উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা
অর্থনীতিতে দেশের পাশাপাশি বিদেশেও উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার জন্য বেশ ভালো সুযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে স্নাতকোত্তর ও ডক্টরেট করার পর শিক্ষকতা, গবেষণা ও আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজের সুযোগ বৃদ্ধি পায়। তা ছাড়া অন্য বিষয়ের তুলনায় অর্থনীতিতে আন্তর্জাতিক বৃত্তির সুযোগও বেশি।
চাকরি ও ক্যারিয়ার
অর্থনীতি পড়ে চাকরি ক্ষেত্রে কাজ করার সুযোগ বহুমুখী। অর্থনীতি গবেষণাভিত্তিক বিষয় হওয়ায়, স্বাভাবিক ভাবেই সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা রয়েছে গবেষণা সংস্থাগুলোতে। এ ক্ষেত্রে প্রতি বছর সিপিডি, বিআইডিএস, সানেমসহ স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে তরুণ মেধাবী অর্থনীতিবিদরা ক্যারিয়ার শুরু করার সুযোগ পান। পাশাপাশি ছাড়া সরকারি–বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংকেও চাকরির সুযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালকের চাকরিটি বেশ চাহিদাসম্পন্ন। সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, পরিকল্পনা কমিশন, অর্থ মন্ত্রণালয়, রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে অর্থনীতিবিদের চাহিদা রয়েছে। বেসরকারি খাতে বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি, পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান, এনজিওর চাকরিতেও অর্থনীতি বিষয়ের শিক্ষার্থীদের কাজের সুযোগ থাকে।
বিশ্বব্যাংক, এডিবি, আইডিবি, আইএমএফের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানেও চাকরির জন্য ভালো সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার সুযোগ তো রয়েছেই। অলিখিত নিয়ম হলেও, বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যায়ে নর্থ আমেরিকান ডিগ্রি থাকলে শুরুতেই প্রভাষকের বদলে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করা যায়।
যেখানে পড়ানো হয়
১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে দেশে যাত্রা শুরু হয় অর্থনীতি বিষয়ের। বর্তমানে বাংলাদেশের ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বাদে প্রায় সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে অর্থনীতি পড়ানো হয়। এমনকি ডিগ্রি কলেজগুলোতেও অর্থনীতি বেশ পরিচিত বিষয়।
পঠন-পাঠন
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনে সাধারণত চার বছর ও স্নাতকোত্তরের জন্য আরও এক বছর সময় প্রয়োজন হয়। অর্থনীতিতে বিভাগে গণিত, পরিসংখ্যান, ইকোনোমেট্রিকস, হেলথ ইকোনোমিকস, পাবলিক ইকোনোমিকস, ফিন্যান্স, একাউন্টিং, মনোবিজ্ঞান, দর্শন, কম্পিউটার ও সফটওয়্যার এনালাইসিস, ডেভেলপমেন্ট ইকোনোমিকস, রিসার্চ মেথডোলজি, এনভায়রনমেন্টাল ইকোনোমিকস, বাংলাদেশের অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, মাইক্রো ও ম্যাক্রো ইকোনোমিকস, ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড, বাংলাদেশের অর্থনীতি, সেক্টোরাল স্টাডিজ, ইকোনোমিক মডেলিং, প্যানেল ডেটা অ্যান্ড নন লিনিয়ার ইকোনোমেট্রিকস ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনোমিকসসহ বিভিন্ন বিষয় কোর্স হিসেবে পড়ানো হয়। অর্থনীতি মূলত তত্ত্বীয় বিষয়। তবে এর অধীনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে গণিত, পরিসংখ্যান, ডেটা সায়েন্সের মতো বিষয় শেখানো হয় যেন তা পরে অর্থনীতিবিদরা বিভিন্ন বাস্তব ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে পারেন।
অর্থনীতি বিষয়ে পড়তে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু প্রয়োজনীয় দক্ষতা: এ বিষয়ে ভালো করার জন্য গাণিতিক, পরিসংখ্যানগত, কম্পিউটার, বিশ্লেষণাত্মক চিন্তাভাবনার ক্ষমতা, সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা ও যোগাযোগসহ বেশ কিছু বিষয়ে দক্ষতা থাকতে বা অর্জন করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের জন্য পরামর্শ
অর্থনীতি জনপ্রিয় ও বহুমুখী বিষয় হওয়ায়, বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাকরির সুযোগ তৈরি করে। পাশাপাশি এ বিষয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের জ্ঞান, দক্ষতা এবং বিশ্লেষণাত্মক চিন্তাভাবনার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, যা তাঁদের বিভিন্ন পেশায় সফল হতে সাহায্য করে। বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে অর্থনীতি বিষয়ে দক্ষ কর্মীর চাহিদা ব্যাপক। অর্থাৎ, এ বিষয়ে পড়ে ভালো চাকরি পাওয়া সম্ভব। তবে এর জন্য শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হবে।
উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা
অর্থনীতিতে দেশের পাশাপাশি বিদেশেও উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার জন্য বেশ ভালো সুযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে স্নাতকোত্তর ও ডক্টরেট করার পর শিক্ষকতা, গবেষণা ও আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজের সুযোগ বৃদ্ধি পায়। তা ছাড়া অন্য বিষয়ের তুলনায় অর্থনীতিতে আন্তর্জাতিক বৃত্তির সুযোগও বেশি।
চাকরি ও ক্যারিয়ার
অর্থনীতি পড়ে চাকরি ক্ষেত্রে কাজ করার সুযোগ বহুমুখী। অর্থনীতি গবেষণাভিত্তিক বিষয় হওয়ায়, স্বাভাবিক ভাবেই সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা রয়েছে গবেষণা সংস্থাগুলোতে। এ ক্ষেত্রে প্রতি বছর সিপিডি, বিআইডিএস, সানেমসহ স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে তরুণ মেধাবী অর্থনীতিবিদরা ক্যারিয়ার শুরু করার সুযোগ পান। পাশাপাশি ছাড়া সরকারি–বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংকেও চাকরির সুযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালকের চাকরিটি বেশ চাহিদাসম্পন্ন। সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, পরিকল্পনা কমিশন, অর্থ মন্ত্রণালয়, রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে অর্থনীতিবিদের চাহিদা রয়েছে। বেসরকারি খাতে বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি, পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান, এনজিওর চাকরিতেও অর্থনীতি বিষয়ের শিক্ষার্থীদের কাজের সুযোগ থাকে।
বিশ্বব্যাংক, এডিবি, আইডিবি, আইএমএফের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানেও চাকরির জন্য ভালো সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার সুযোগ তো রয়েছেই। অলিখিত নিয়ম হলেও, বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যায়ে নর্থ আমেরিকান ডিগ্রি থাকলে শুরুতেই প্রভাষকের বদলে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করা যায়।
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) স্নাতক সম্মান প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এ পরীক্ষা।
৭ ঘণ্টা আগে২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হবে।
৭ ঘণ্টা আগেযুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও আয়ারল্যান্ডের বিভিন্ন খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা অর্জনের সরাসরি সুযোগ তৈরির লক্ষ্যে ‘ইউসিবিডি ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ইয়ার (ইউআইএফওয়াই)’ শীর্ষক একটি প্রোগ্রাম...
১ দিন আগেমাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স (সিপিএস) বিভাগের ৫ শিক্ষক একসঙ্গে অধ্যাপক হয়েছেন।
১ দিন আগে