Ajker Patrika

ফিলিপাইনে ডিএইচএস ফেলোশিপ প্রোগ্রামের প্রথম কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ফিলিপাইনে ডিএইচএস ফেলোশিপ প্রোগ্রামের প্রথম কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ফিলিপাইনে ডিএইচএস ফেলোশিপ প্রোগ্রাম ২০২৪–এর প্রথম কর্মশালা গত ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ মার্চ পর্যন্ত ফিলিপাইনের একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আট দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক এই কর্মশালায় ‘জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপ’–এর বিভিন্ন বিষয়ের ওপর পাঁচটি দেশের ১০ জন শিক্ষাবিদ অংশ নেন। 

কর্মশালায় বাংলাদেশ থেকে দুই সদস্যের দলের নেতৃত্ব দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. জাহিদা গুলশান। বাংলাদেশ দলের অন্য সদস্য হলেন একই ইনস্টিটিউটের প্রভাষক প্রিয়ম সাহা। 

কর্মশালায় অংশ নেওয়া অন্য দেশগুলো হলো—ফিলিপাইন, কেনিয়া, তানজানিয়া এবং উগান্ডা। 

ডিএইচএস প্রোগ্রামটির ফেলোদের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হলো—নিজ নিজ দেশের মধ্যে ‘জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপ’ ডেটার বিশ্লেষণ ও ব্যবহারের জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। 

উল্লেখ্য, প্রতিবছর ডিএইচএস ফেলোশিপ প্রোগ্রামের পক্ষ থেকে ‘জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপ’ ডেটা ব্যবহার করে গবেষণা প্রকল্প আহ্বান করা হয় এবং নির্বাচিত প্রকল্পগুলোর বিপরীতে ফেলোশিপ দেওয়া হয়। 

২০২৪ সালে বিভিন্ন দেশ থেকে আবেদন করা ১০০ টিরও বেশি প্রকল্প থেকে ৫টি প্রকল্প ২০২৪ সালের ফেলোশিপের জন্য নির্বাচিত হয়। এই প্রোগ্রামের দ্বিতীয় কর্মশালা আগামী মে মাসে কেনিয়াতে অনুষ্ঠিত হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জোটের ভোটেও দলীয় প্রতীক: বিএনপির আপত্তি যে কারণে, এনসিপির উদ্বেগ

চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি ‘সুস্পষ্টভাবে’ বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে তুলে ধরব: ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন

বড়াইগ্রামের একটি গুদামে ১৩ টন গুলির খোসা নিয়ে চাঞ্চল্য

মায়ের সঙ্গে ঝগড়ার জেরে বাবার হাতে খুন হলো নিষ্পাপ দুই শিশু

আবারও পুরান ঢাকায় প্রেমিকার বাসার সিঁড়িতে প্রেমিকের লাশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

স্কিল ডেভেলপমেন্ট ক্লাব

জাককানইবি শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নের প্রাণকেন্দ্র

আশরাফুল আলম
জাককানইবি শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নের প্রাণকেন্দ্র

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) শিক্ষার্থীদের সার্বিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন। এর মধ্যে ২০১৮ সালের ১৩ মার্চ প্রতিষ্ঠিত স্কিল ডেভেলপমেন্ট ক্লাব (এসডিসি) অন্যতম। এটি শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়ন, আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি এবং ক্যারিয়ার গঠনের কার্যকর প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রশংসা অর্জন করেছে।

এসডিসির লক্ষ্য ও ভিশন হলো শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তর করা এবং একটি দক্ষতানির্ভর তরুণ প্রজন্ম গড়ে তোলা। এসব তরুণ জাতীয় এবং বৈশ্বিক অঙ্গনে নিজেদের যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখবে।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে এসডিসি শিক্ষার্থীদের জন্য নিয়মিত ওয়ার্কশপ, সেমিনার, প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতা আয়োজন করে আসছে। যোগাযোগ দক্ষতা, নেতৃত্ব, নেটওয়ার্ক তৈরি, ক্যারিয়ার পরিকল্পনা ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য।

সম্প্রতি এসডিসি আয়োজন করেছে জাতীয় পর্যায়ের বিজনেস কেস প্রতিযোগিতা ‘বিস কেইস ২০২৫’। তিন ধাপে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় ২৮৫টির বেশি দল, যার পুরস্কারমূল্য ছিল ১ লাখ টাকা। এতে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হয়। ইভেন্টের টাইটেল স্পনসর ছিল এসআর ড্রিম আইটি এবং সহ-স্পনসর ছিল ২৫টির বেশি প্রতিষ্ঠান।

ক্লাবটির অন্যতম সিগনেচার আয়োজন ‘ফ্রেশারস চয়েস’। এখানে নবীন শিক্ষার্থীরা মঞ্চে কথা বলার আত্মবিশ্বাস অর্জন এবং পাবলিক স্পিকিং দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগ পায়। এটি শুধু প্রতিযোগিতা নয়; বরং নবীনদের আত্মপ্রকাশের সাহস জোগানো এবং ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠে।

শিক্ষার্থীদের চাকরির প্রস্তুতিতে সহায়তার জন্য এসডিসি আয়োজন করে ‘জব ফেয়ার ২০২৫’। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী সিভি জমা দেন এবং অনেকে ইন্টারভিউ কল পান। এই আয়োজন ক্যারিয়ার প্রস্তুতির পাশাপাশি নেটওয়ার্কিং এবং আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতেও বড় ভূমিকা রাখে।

বর্তমানে ক্লাবটির ষষ্ঠ কার্যনির্বাহী কমিটি দায়িত্ব পালন করছে। সভাপতি মো. মোস্তাকিম, সাধারণ সম্পাদক বেলাল হাসান শাওন, মরিয়ম আক্তার তানিয়াসহ নির্বাহী সদস্যরা দলগতভাবে নানা সৃজনশীল উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছেন।

এসডিসি আগামী দিনে উদ্যোক্তা উন্নয়ন, প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ ও গবেষণামূলক কর্মসূচি গ্রহণের পরিকল্পনা করছে। পাশাপাশি জাতীয় পর্যায়ে আরও বিস্তৃত পরিসরে দক্ষতা উন্নয়নমূলক উদ্যোগ নিতে চান তাঁরা।

সভাপতি মো. মোস্তাকিম বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য শুধু প্রশিক্ষণ নয়, শিক্ষার্থীদের এমনভাবে গড়ে তোলা, যেন তারা প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে নিজেদের দক্ষতা ও যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারে।’

ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. আশরাফুল আলম বলেন, ‘এসডিসি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম কার্যকর সংগঠন। শিক্ষার্থীরা এখানে যোগ দিয়ে তাদের ইন্টারপারসোনাল স্কিল উন্নয়নের সুযোগ পাচ্ছে, যা ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারে অত্যন্ত সহায়ক।’

দক্ষতা ও শিক্ষার মেলবন্ধনে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কিল ডেভেলপমেন্ট ক্লাব হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাসী এবং দক্ষ ভবিষ্যতের সহযাত্রী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জোটের ভোটেও দলীয় প্রতীক: বিএনপির আপত্তি যে কারণে, এনসিপির উদ্বেগ

চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি ‘সুস্পষ্টভাবে’ বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে তুলে ধরব: ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন

বড়াইগ্রামের একটি গুদামে ১৩ টন গুলির খোসা নিয়ে চাঞ্চল্য

মায়ের সঙ্গে ঝগড়ার জেরে বাবার হাতে খুন হলো নিষ্পাপ দুই শিশু

আবারও পুরান ঢাকায় প্রেমিকার বাসার সিঁড়িতে প্রেমিকের লাশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

উপকূলে আলো ছড়াচ্ছে রাজাখালী উন্মুক্ত পাঠাগার

মুহাম্মদ শফিকুর রহমান 
উপকূলে আলো ছড়াচ্ছে রাজাখালী
উন্মুক্ত পাঠাগার

বই মানুষকে আলোকিত করে, চিন্তার জগতের প্রসার ঘটায়। কিন্তু গ্যাজেটের আসক্তিতে আজকের প্রজন্ম বই থেকে ক্রমেই দূরে সরে যাচ্ছে। এই বাস্তবতায় কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের কিছু তরুণ নেন ভিন্ন উদ্যোগ। তাঁরা স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সামাজিক বিপ্লব’-এর সহযোগিতায় ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি রাজাখালীর সবুজবাজারের দক্ষিণে কৃষ্ণচূড়া মোড়ে প্রতিষ্ঠা করেন ‘রাজাখালী উন্মুক্ত পাঠাগার’।

শুরু থেকে এটি শুধু বই পড়ার স্থান নয়, বরং তরুণদের আড্ডা, জ্ঞানচর্চা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। তাঁদের মতে ‘প্রযুক্তির বাইরে বইয়ের সঙ্গে নতুন প্রজন্মকে যুক্ত করাই আমাদের লক্ষ্য।’ পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিয়েছেন মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, লায়ন আরিফ চৌধুরী, আনোয়ারুল ইসলাম মামুন, মিসবাহ উদ্দিন, হুমায়ুন কবির খোকন, মোহাম্মদ আলমগীর, অ্যাডভোকেট কামরুল কবির আজাদ, হেফাজ উদ্দিন, মোস্তাক আহমেদ, মিশকাত উদ্দিন সিকো প্রমুখ।

বর্তমানে পাঠাগারে বইয়ের সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ২০০। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে ২০০টি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বই। এগুলোর মধ্যে আছে হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: দলিলপত্র’ গ্রন্থের ১৫ খণ্ড। প্রতিদিন একটি জাতীয় দৈনিক ও মাসিক কয়েকটি পত্রিকা-ম্যাগাজিনও রাখা হয়।

পাঠকেরা রেজিস্টারে স্বাক্ষর করে বই বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পান। এলাকার সব বয়সী মানুষের জন্য উন্মুক্ত হলেও স্থানীয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাই সবচেয়ে বেশি উপকৃত হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ২০ জন পাঠক নিয়মিত বই পড়তে আসেন। পাঠাগারের সার্বিক পরিচালনায় রয়েছেন গ্রন্থাগারিক সাইমনুল ইসলাম। ব্যয়ভার বহন করে উপদেষ্টা পরিষদ এবং ২১ সদস্যের কার্যনির্বাহী পরিষদ।

স্থানীয় এক শিক্ষার্থী মেহজাবিন মুনা বলেন, ‘আগে অবসর সময় মোবাইল চালাতাম, এখন বই পড়ি। চাইলে বই বাড়িতেও নিতে পারি।’ প্রতিদিন এখানে পত্রিকা পড়তে আসেন প্রবীণ মুনাফ মুন্সি। তাঁর ভাষায়, ‘এই পাঠাগার জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে।’

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী উন্মুক্ত পাঠাগারে বেশ কয়েকজন পাঠক। ছবি: সংগৃহীত
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী উন্মুক্ত পাঠাগারে বেশ কয়েকজন পাঠক। ছবি: সংগৃহীত

তবে শুরুটা সহজ ছিল না। পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক মিজাহাজুল ইসলাম বলেন, ‘রাজাখালীর মানুষ শিক্ষাদীক্ষায় কিছুটা পিছিয়ে। তাঁদের বইয়ের প্রতি আগ্রহ তৈরি করা ছিল বড় চ্যালেঞ্জ।’

একটি পাঠাগার কেবল বই পড়ার স্থানই নয়; এটি হতে পারে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জাগরণের কেন্দ্র। রাজাখালী উন্মুক্ত পাঠাগারটি সেই উদাহরণ স্থাপন করেছে। বই পাঠের পাশাপাশি এখানে নিয়মিত আয়োজন করা হয় সাহিত্য আড্ডা, পাঠচক্র, বুক রিভিউ, কুইজ, রচনা ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন, সুন্দর হাতের লেখা প্রতিযোগিতা, রবীন্দ্র-নজরুলজয়ন্তী, হিমু উৎসব, ক্যারিয়ার গাইডলাইন কর্মশালা ও ক্যারিয়ার অলিম্পিয়াড।

এ ছাড়া পাঠাগার নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ, সাইবার নিরাপত্তা, কৃষি প্রশিক্ষণ, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ এবং আইনি সহায়তা বিষয়েও নিয়মিত সচেতনতামূলক কর্মশালা আয়োজন করে।

রাজাখালীর তরুণেরা বইয়ের পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। পাঠাগারের উদ্যোগে ‘পরিবেশ রক্ষায় তারুণ্যের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালা আয়োজন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ১০ হাজার ৯৫০টি গাছের চারা বিতরণ ও রোপণ এবং ৭৬টি পারিবারিক পুষ্টিবাগান স্থাপন করা হয়েছে। দারিদ্র্য দূরীকরণে পাঠাগারটি নিয়েছে সামাজিক উদ্যোগও। এলজি ইলেকট্রনিকস বাংলাদেশের সহায়তায় ৪০টি পরিবারে ১২০টি ভেড়া এবং ১৫টি পরিবারে লবণ মাঠের সেচপাম্প বিতরণ করা হয়েছে।

রাজাখালী উন্মুক্ত পাঠাগার খুব কম সময়ে মধ্যে সুধী সমাজের দৃষ্টি কেড়েছে। পাঠাগারটি পরিদর্শন করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব সাব্বির ইকবাল সুমন; বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক, লেখক ও গবেষক অধ্যাপক ড. মীর আবু সালেহ শামসুদ্দীন শিশির; অধ্যাপক আবদুর রহিম; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক রেজাউল আজিম এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রাসেলুল কাদের।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জোটের ভোটেও দলীয় প্রতীক: বিএনপির আপত্তি যে কারণে, এনসিপির উদ্বেগ

চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি ‘সুস্পষ্টভাবে’ বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে তুলে ধরব: ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন

বড়াইগ্রামের একটি গুদামে ১৩ টন গুলির খোসা নিয়ে চাঞ্চল্য

মায়ের সঙ্গে ঝগড়ার জেরে বাবার হাতে খুন হলো নিষ্পাপ দুই শিশু

আবারও পুরান ঢাকায় প্রেমিকার বাসার সিঁড়িতে প্রেমিকের লাশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

টাঙ্গুয়ার হাওর থেকে তাহিরপুর

রাকিবুল ইসলাম
টাঙ্গুয়ার হাওর থেকে তাহিরপুর

প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য আর জল-জঙ্গলের মায়াবী টানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (জবিসাস) সদস্যরা ঘুরে এলেন সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর এবং মেঘালয়ের পাদদেশে ঘেরা তাহিরপুর। স্থানীয়দের কাছে ‘নয় কুড়ি কান্দার ছয় কুড়ি বিল’ নামে পরিচিত টাঙ্গুয়ার হাওর তার স্বচ্ছ জলরাশি, ভাসমান গাছপালা এবং দূরের পাহাড়ঘেরা দৃশ্যে এক জীবন্ত ছবির মতো মনে হয়েছে সবার কাছে।

নৌকায় হাওরের বিস্তীর্ণ জলরাশি পাড়ি দিয়ে জবিসাসের সদস্যরা ঘুরে দেখেন ওয়াচ টাওয়ারের আশপাশ, লাকমা বিলসহ বিভিন্ন এলাকা। ভাসমান গাছের সারি, সূর্যের ঝিকিমিকি আলো আর পাখির কলরব তাদের মুগ্ধ করে। হাওরের স্বচ্ছ জলে গোসল ছিল ভ্রমণের অন্যতম আকর্ষণ। কেউ জলে ভেসে গান গাইছিলেন, কেউবা ক্যামেরায় ধরে রাখছিলেন মুহূর্তগুলো। সহসভাপতি আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘হাওরের জলে নামার পর মনে হচ্ছিল, যেন প্রকৃতির সঙ্গে এক হয়ে গেছি।’

এরপর দলটি পৌঁছে যায় তাহিরপুরে, যেখানে মেঘালয়ের পাহাড়ের পাদদেশে প্রকৃতি উজাড় করে দিয়েছে তার রূপ। বড়হিলে দাঁড়িয়ে তাঁরা উপভোগ করেন পাহাড় আর জলের মেলবন্ধন। স্থানীয় বাজারে নানা পিঠা ও চায়ের স্বাদে তাঁদের ভ্রমণ আরও আনন্দময় হয়েওঠে। স্থানীয় মানুষের আন্তরিকতা আর সরল জীবনযাত্রা সবাইকে গভীরভাবে ছুঁয়ে যায়।

সভাপতি ইমরান হুসাইন বলেন, ‘এই ভ্রমণ আমাদের পারস্পরিক বন্ধন আরও দৃঢ় করেছে; প্রকৃতির এত কাছে এসে আমরা জীবনের আসল আনন্দ খুঁজে পেয়েছি।’

রাতে হাওরের ম্লান চাঁদের আলোয় ফিরে আসার পথে সবাই অনুভব করেন, প্রকৃতির সান্নিধ্যই মনের ক্লান্তি দূর করে, আর জীবনকে নতুন রঙে রাঙিয়ে দেয়। টাঙ্গুয়ার হাওর ও তাহিরপুরের এই যাত্রা তাই জবিসাসের সবার মনে থেকে যাবে এক অবিস্মরণীয় স্মৃতি হয়ে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জোটের ভোটেও দলীয় প্রতীক: বিএনপির আপত্তি যে কারণে, এনসিপির উদ্বেগ

চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি ‘সুস্পষ্টভাবে’ বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে তুলে ধরব: ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন

বড়াইগ্রামের একটি গুদামে ১৩ টন গুলির খোসা নিয়ে চাঞ্চল্য

মায়ের সঙ্গে ঝগড়ার জেরে বাবার হাতে খুন হলো নিষ্পাপ দুই শিশু

আবারও পুরান ঢাকায় প্রেমিকার বাসার সিঁড়িতে প্রেমিকের লাশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কেন পড়ব পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট স্টাডিজ

মো. আশিকুর রহমান
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে একটি অনন্য ও সময়োপযোগী বিভাগ হচ্ছে পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট স্টাডিজ বিভাগ। সমাজ, রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক পরিসরে শান্তি প্রতিষ্ঠা, মানবাধিকার রক্ষা এবং সংঘাত ব্যবস্থাপনায় জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে এই বিভাগ। সম্প্রতি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসেও (বিইউপি) একই নামে পাঠদান শুরু হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সাবের আহমেদ চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলে লিখেছেন মো. আশিকুর রহমান

যাত্রা ও বিকাশ

দেশে এর যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৯ সালের ৮ জুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। শুরুতে শুধু মাস্টার্স প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হতো। পরে স্নাতক পর্যায়ে পাঠদান শুরু হয় এবং সময়ের চাহিদা অনুযায়ী চালু করা হয় প্রফেশনাল স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম।

পাঠ্য বিষয়ের বৈচিত্র্য

বিভাগটির পাঠ্যক্রম সাজানো হয়েছে আধুনিক বিশ্বের মানবিক ও কূটনৈতিক বাস্তবতা অনুযায়ী। এখানে পড়ানো হয় শান্তি ও সংঘর্ষ তত্ত্ব, মানবাধিকার, আন্তর্জাতিক আইন, কনফ্লিক্ট রেজল্যুশন, সামাজিক আন্দোলন, পরিবেশ ও কূটনৈতিক সম্পর্কের নানা দিক। জাতিসংঘের কাঠামো, শরণার্থী সংকট, বৈশ্বিক সংঘাত এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার নীতিমালা নিয়ে হয় বিস্তৃত আলোচনা। পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা ফিল্ড রিসার্চ ও ইন্টার্নশিপের মাধ্যমে বাস্তব অভিজ্ঞতাও অর্জনের সুযোগ পান।

কর্মজীবনের সুযোগ

পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ পাচ্ছেন। জাতিসংঘ ও তার বিভিন্ন অঙ্গপ্রতিষ্ঠান—ইউনিসেফ, ইউএনডিপি, ইউএনএইচসিআরসহ আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং ব্র্যাক, কেয়ার বাংলাদেশ, অক্সফাম, অ্যাকশনএইড, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, অধিকার এবং বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের মতো মানবাধিকার ও উন্নয়নমূলক সংগঠনে তাঁরা দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছেন। পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি ও ব্যাংক খাতেও তাঁদের কর্মক্ষেত্র ক্রমেই সম্প্রসারিত হচ্ছে।

উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার সম্ভাবনা

এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা প্রতিবছর ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপসহ উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাচ্ছেন। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে পিস রিসার্চ একটি স্বতন্ত্র একাডেমিক ডিসিপ্লিন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়, নরওয়ের ইউনিভার্সিটি অব অসলো এবং স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট এই বিষয়ে বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জোটের ভোটেও দলীয় প্রতীক: বিএনপির আপত্তি যে কারণে, এনসিপির উদ্বেগ

চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি ‘সুস্পষ্টভাবে’ বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে তুলে ধরব: ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন

বড়াইগ্রামের একটি গুদামে ১৩ টন গুলির খোসা নিয়ে চাঞ্চল্য

মায়ের সঙ্গে ঝগড়ার জেরে বাবার হাতে খুন হলো নিষ্পাপ দুই শিশু

আবারও পুরান ঢাকায় প্রেমিকার বাসার সিঁড়িতে প্রেমিকের লাশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত