মো. আশিকুর রহমান

বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে রাজশাহী বিভাগের অবস্থান। সবুজ এই বিভাগে রয়েছে বরেন্দ্রভূমি। এ অঞ্চলের বুক চিরে বয়ে যাওয়া পদ্মা নদীর তীরে গড়ে উঠেছে পরিবেশবান্ধব ও বায়ুদূষণমুক্ত শহর রাজশাহী, যা শিক্ষানগরী নামে অধিক পরিচিত। রাজশাহী শহরের প্রাণকেন্দ্রে ২০১২ সালের ১৪ মার্চ প্রতিষ্ঠা করা হয় এ অঞ্চলের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। ক্লাস শুরু হয় ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১২ সালে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে ৫ হাজার ৮৮২ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত।
স্থায়ী ক্যাম্পাস
২০১৭ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়টির স্থায়ী ক্যাম্পাসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। রাজশাহী বাইপাসের সন্নিকটে খড়খড়িতে ইতিমধ্যে ৪৫ বিঘা জমিতে নির্মাণকাজ চলমান। তবে কাজ শেষে মোট জমির পরিমাণ হবে ৫৪ বিঘা। আগামী বছরের শুরু থেকেই এখানে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে। স্থায়ী ক্যাম্পাসে থাকবে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ক্লাসরুম, আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবরেটরি, সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, খেলার মাঠ, জিমনেসিয়ামসহ সব ধরনের আধুনিক সুবিধা।
ভর্তি হতে চাইলে
বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বছরে তিন সেমিস্টারে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে ভর্তির সুযোগ রয়েছে। স্প্রিং (জানুয়ারি-এপ্রিল, সামার (মে-আগস্ট) ও ফল (সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর)। তবে ফার্মেসি বিভাগে দুই সেমিস্টারে ভর্তি করানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিবছর ৩ হাজার ৮৬ জন শিক্ষার্থীকে ৪ কোটি টাকার বেশি অর্থের স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। বিস্তারিত জানতে চোখ রাখুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে।
অনুষদ ও বিভাগ
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রয়েছে ৭টি অনুষদের অধীনে মোট ১১টি বিভাগ। এগুলো হচ্ছে: মানবিক অনুষদ, ব্যবসায় অনুষদ, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদ, আইন অনুষদ, ফার্মেসি অনুষদ, জনস্বাস্থ্য অনুষদ ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ। বিভাগগুলো হচ্ছে—কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ফার্মেসি, পাবলিক হেলথ, ব্যবসায় প্রশাসন, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, ইংরেজি, আইন ও মানবাধিকার, জার্নালিজম, কমিউনিকেশন অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ এবং ইসলামিক ইতিহাস। মাস্টার্স প্রোগ্রামে এলএলএম, এমপিএইচ, এমবিএ ও ইএমবিএ, ইংরেজি, সমাজবিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও কম্পিউটারে ভর্তির সুযোগ রয়েছে। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, পুলিশ ক্রাইম ক্রিমিনোলজি বিভাগ থেকে শুরু করে ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ইত্যাদি যুগোপযোগী বিভাগ খোলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সুযোগ-সুবিধা
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে একটি কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ছাড়াও রয়েছে বিভাগভিত্তিক লাইব্রেরি। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইনভিত্তিক পাঠ্যপুস্তকের ব্যবস্থা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রয়েছে অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী দ্বারা পরিচালিত কম্পিউটার ল্যাব, ফার্মাসি ল্যাব, ইইই ল্যাব, জেসিএমএস ইনফোস্মিথস ল্যাবসহ ১৮টি আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবরেটরি। ক্যারিয়ার সেন্টারের বিভিন্ন শর্টকোর্সসহ নানাবিধ সহযোগিতা প্রদান করা হয়ে থাকে, যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা চাকরির বাজারের জন্য নিজেদের যোগ্য হিসেবে প্রস্তুতের সুযোগ পান। বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে ১৩৪ জন পূর্ণকালীন শিক্ষক। এ ছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৩৪ জন খণ্ডকালীন শিক্ষক বিভিন্ন বিভাগে পাঠদান করে থাকেন। এখানে সম্পূর্ণ শীতাতপনিয়ন্ত্রিত শ্রেণিকক্ষে প্রযুক্তিনির্ভর মাল্টিমিডিয়া পদ্ধতিতে পাঠদান করা হয়।
সংগঠন
প্রতিটি বিভাগের নিজস্ব ক্লাব বিশ্ববিদ্যালয়কে করেছে সমৃদ্ধ। ক্লাবগুলোতে শিক্ষার্থীরা বিষয়ভিত্তিক বিতর্ক, আলোচনা, সেমিনার ও গ্রুপ স্টাডিতে ব্যস্ত থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রয়েছে বরেন্দ্র ব্লাড লাইন, রোবটিক সোসাইটি, বিজনেস ক্লাব, সোশিওলজি ক্লাব, ছোট্ট স্বপ্ন, কালচারাল ক্লাব, ইকোনমিক অ্যাসোসিয়েশন, ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব, ফার্মা বি, বন্ধুসভা, মুট কোর্ট ও ডিবেটিং ক্লাব, ফটোগ্রাফিক ক্লাবসহ বিভিন্ন ক্রিয়াশীল সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও আত্মোন্নয়মূলক সংগঠন।
অর্জন ও উদ্যোগ
২০১৬ সালে স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত রোবট কমপিটিশনে প্রথম স্থান অধিকার করে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় রোবটিক সোসাইটি। ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও টিআইবির যৌথ আয়োজনে মুটকোর্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। ২০২২ সালে রুয়েট কর্তৃক আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল সিম্পোজিয়াম অন আইসিটি প্রতিযোগিতায় প্রজেক্ট কমপিটিশনে প্রথম স্থান অধিকার করে ইইই বিভাগের একটি টিম। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই টিম বুয়েট হ্যাকাথনে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে। সামাজিক-সাংস্কৃতিক নানা কর্মকাণ্ডেও রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ। এ ছাড়া প্রতিবছর বার্ষিক বনভোজন, শিক্ষাসফর, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভিজিটের মতো কার্যকরী উদ্যোগ। রাজশাহী বিভাগের আমেরিকান সেন্টারের অবস্থানও বিশ্ববিদ্যালয়টিতে, যা শিক্ষার্থীদের জ্ঞান বিকাশে সহায়ক।
বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. আশিক মোসাদ্দিক বলেন, ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবিলা যেন সহজভাবে আমরা করতে পারি এবং পঞ্চম শিল্পবিপ্লবের জন্য আমাদের প্রস্তুত হতে হবে, সে জন্য আমরা বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের প্রস্তুত করছি। দেশের শিক্ষা-গবেষণার অগ্রযাত্রায় শামিল হয়ে আমাদের অবদান রাখতে চাই।
এ জন্য আমরা গবেষণাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি। শিক্ষক-গবেষকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও যেন পর্যাপ্ত সুযোগ পায়, এ বিষয়ে আমরা বদ্ধপরিকর। শিক্ষার্থীদের পরিবহন সুবিধার জন্য উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় পরিবহন সেবাকে আমরা বিস্তৃত করব। বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের, ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি। ভারত, থাইল্যান্ড ও ইউএসএর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ইতিমধ্যে আমরা চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। বিদেশি শিক্ষার্থীর পাশাপাশি বিদেশি ফ্যাকাল্টিরও পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।’

বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে রাজশাহী বিভাগের অবস্থান। সবুজ এই বিভাগে রয়েছে বরেন্দ্রভূমি। এ অঞ্চলের বুক চিরে বয়ে যাওয়া পদ্মা নদীর তীরে গড়ে উঠেছে পরিবেশবান্ধব ও বায়ুদূষণমুক্ত শহর রাজশাহী, যা শিক্ষানগরী নামে অধিক পরিচিত। রাজশাহী শহরের প্রাণকেন্দ্রে ২০১২ সালের ১৪ মার্চ প্রতিষ্ঠা করা হয় এ অঞ্চলের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। ক্লাস শুরু হয় ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১২ সালে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে ৫ হাজার ৮৮২ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত।
স্থায়ী ক্যাম্পাস
২০১৭ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়টির স্থায়ী ক্যাম্পাসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। রাজশাহী বাইপাসের সন্নিকটে খড়খড়িতে ইতিমধ্যে ৪৫ বিঘা জমিতে নির্মাণকাজ চলমান। তবে কাজ শেষে মোট জমির পরিমাণ হবে ৫৪ বিঘা। আগামী বছরের শুরু থেকেই এখানে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে। স্থায়ী ক্যাম্পাসে থাকবে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ক্লাসরুম, আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবরেটরি, সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, খেলার মাঠ, জিমনেসিয়ামসহ সব ধরনের আধুনিক সুবিধা।
ভর্তি হতে চাইলে
বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বছরে তিন সেমিস্টারে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে ভর্তির সুযোগ রয়েছে। স্প্রিং (জানুয়ারি-এপ্রিল, সামার (মে-আগস্ট) ও ফল (সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর)। তবে ফার্মেসি বিভাগে দুই সেমিস্টারে ভর্তি করানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিবছর ৩ হাজার ৮৬ জন শিক্ষার্থীকে ৪ কোটি টাকার বেশি অর্থের স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। বিস্তারিত জানতে চোখ রাখুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে।
অনুষদ ও বিভাগ
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রয়েছে ৭টি অনুষদের অধীনে মোট ১১টি বিভাগ। এগুলো হচ্ছে: মানবিক অনুষদ, ব্যবসায় অনুষদ, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদ, আইন অনুষদ, ফার্মেসি অনুষদ, জনস্বাস্থ্য অনুষদ ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ। বিভাগগুলো হচ্ছে—কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ফার্মেসি, পাবলিক হেলথ, ব্যবসায় প্রশাসন, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, ইংরেজি, আইন ও মানবাধিকার, জার্নালিজম, কমিউনিকেশন অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ এবং ইসলামিক ইতিহাস। মাস্টার্স প্রোগ্রামে এলএলএম, এমপিএইচ, এমবিএ ও ইএমবিএ, ইংরেজি, সমাজবিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও কম্পিউটারে ভর্তির সুযোগ রয়েছে। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, পুলিশ ক্রাইম ক্রিমিনোলজি বিভাগ থেকে শুরু করে ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ইত্যাদি যুগোপযোগী বিভাগ খোলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সুযোগ-সুবিধা
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে একটি কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ছাড়াও রয়েছে বিভাগভিত্তিক লাইব্রেরি। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইনভিত্তিক পাঠ্যপুস্তকের ব্যবস্থা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রয়েছে অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী দ্বারা পরিচালিত কম্পিউটার ল্যাব, ফার্মাসি ল্যাব, ইইই ল্যাব, জেসিএমএস ইনফোস্মিথস ল্যাবসহ ১৮টি আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবরেটরি। ক্যারিয়ার সেন্টারের বিভিন্ন শর্টকোর্সসহ নানাবিধ সহযোগিতা প্রদান করা হয়ে থাকে, যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা চাকরির বাজারের জন্য নিজেদের যোগ্য হিসেবে প্রস্তুতের সুযোগ পান। বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে ১৩৪ জন পূর্ণকালীন শিক্ষক। এ ছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৩৪ জন খণ্ডকালীন শিক্ষক বিভিন্ন বিভাগে পাঠদান করে থাকেন। এখানে সম্পূর্ণ শীতাতপনিয়ন্ত্রিত শ্রেণিকক্ষে প্রযুক্তিনির্ভর মাল্টিমিডিয়া পদ্ধতিতে পাঠদান করা হয়।
সংগঠন
প্রতিটি বিভাগের নিজস্ব ক্লাব বিশ্ববিদ্যালয়কে করেছে সমৃদ্ধ। ক্লাবগুলোতে শিক্ষার্থীরা বিষয়ভিত্তিক বিতর্ক, আলোচনা, সেমিনার ও গ্রুপ স্টাডিতে ব্যস্ত থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রয়েছে বরেন্দ্র ব্লাড লাইন, রোবটিক সোসাইটি, বিজনেস ক্লাব, সোশিওলজি ক্লাব, ছোট্ট স্বপ্ন, কালচারাল ক্লাব, ইকোনমিক অ্যাসোসিয়েশন, ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব, ফার্মা বি, বন্ধুসভা, মুট কোর্ট ও ডিবেটিং ক্লাব, ফটোগ্রাফিক ক্লাবসহ বিভিন্ন ক্রিয়াশীল সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও আত্মোন্নয়মূলক সংগঠন।
অর্জন ও উদ্যোগ
২০১৬ সালে স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত রোবট কমপিটিশনে প্রথম স্থান অধিকার করে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় রোবটিক সোসাইটি। ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও টিআইবির যৌথ আয়োজনে মুটকোর্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। ২০২২ সালে রুয়েট কর্তৃক আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল সিম্পোজিয়াম অন আইসিটি প্রতিযোগিতায় প্রজেক্ট কমপিটিশনে প্রথম স্থান অধিকার করে ইইই বিভাগের একটি টিম। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই টিম বুয়েট হ্যাকাথনে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে। সামাজিক-সাংস্কৃতিক নানা কর্মকাণ্ডেও রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ। এ ছাড়া প্রতিবছর বার্ষিক বনভোজন, শিক্ষাসফর, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভিজিটের মতো কার্যকরী উদ্যোগ। রাজশাহী বিভাগের আমেরিকান সেন্টারের অবস্থানও বিশ্ববিদ্যালয়টিতে, যা শিক্ষার্থীদের জ্ঞান বিকাশে সহায়ক।
বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. আশিক মোসাদ্দিক বলেন, ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবিলা যেন সহজভাবে আমরা করতে পারি এবং পঞ্চম শিল্পবিপ্লবের জন্য আমাদের প্রস্তুত হতে হবে, সে জন্য আমরা বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের প্রস্তুত করছি। দেশের শিক্ষা-গবেষণার অগ্রযাত্রায় শামিল হয়ে আমাদের অবদান রাখতে চাই।
এ জন্য আমরা গবেষণাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি। শিক্ষক-গবেষকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও যেন পর্যাপ্ত সুযোগ পায়, এ বিষয়ে আমরা বদ্ধপরিকর। শিক্ষার্থীদের পরিবহন সুবিধার জন্য উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় পরিবহন সেবাকে আমরা বিস্তৃত করব। বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের, ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি। ভারত, থাইল্যান্ড ও ইউএসএর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ইতিমধ্যে আমরা চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। বিদেশি শিক্ষার্থীর পাশাপাশি বিদেশি ফ্যাকাল্টিরও পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।’
মো. আশিকুর রহমান

বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে রাজশাহী বিভাগের অবস্থান। সবুজ এই বিভাগে রয়েছে বরেন্দ্রভূমি। এ অঞ্চলের বুক চিরে বয়ে যাওয়া পদ্মা নদীর তীরে গড়ে উঠেছে পরিবেশবান্ধব ও বায়ুদূষণমুক্ত শহর রাজশাহী, যা শিক্ষানগরী নামে অধিক পরিচিত। রাজশাহী শহরের প্রাণকেন্দ্রে ২০১২ সালের ১৪ মার্চ প্রতিষ্ঠা করা হয় এ অঞ্চলের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। ক্লাস শুরু হয় ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১২ সালে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে ৫ হাজার ৮৮২ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত।
স্থায়ী ক্যাম্পাস
২০১৭ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়টির স্থায়ী ক্যাম্পাসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। রাজশাহী বাইপাসের সন্নিকটে খড়খড়িতে ইতিমধ্যে ৪৫ বিঘা জমিতে নির্মাণকাজ চলমান। তবে কাজ শেষে মোট জমির পরিমাণ হবে ৫৪ বিঘা। আগামী বছরের শুরু থেকেই এখানে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে। স্থায়ী ক্যাম্পাসে থাকবে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ক্লাসরুম, আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবরেটরি, সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, খেলার মাঠ, জিমনেসিয়ামসহ সব ধরনের আধুনিক সুবিধা।
ভর্তি হতে চাইলে
বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বছরে তিন সেমিস্টারে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে ভর্তির সুযোগ রয়েছে। স্প্রিং (জানুয়ারি-এপ্রিল, সামার (মে-আগস্ট) ও ফল (সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর)। তবে ফার্মেসি বিভাগে দুই সেমিস্টারে ভর্তি করানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিবছর ৩ হাজার ৮৬ জন শিক্ষার্থীকে ৪ কোটি টাকার বেশি অর্থের স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। বিস্তারিত জানতে চোখ রাখুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে।
অনুষদ ও বিভাগ
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রয়েছে ৭টি অনুষদের অধীনে মোট ১১টি বিভাগ। এগুলো হচ্ছে: মানবিক অনুষদ, ব্যবসায় অনুষদ, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদ, আইন অনুষদ, ফার্মেসি অনুষদ, জনস্বাস্থ্য অনুষদ ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ। বিভাগগুলো হচ্ছে—কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ফার্মেসি, পাবলিক হেলথ, ব্যবসায় প্রশাসন, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, ইংরেজি, আইন ও মানবাধিকার, জার্নালিজম, কমিউনিকেশন অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ এবং ইসলামিক ইতিহাস। মাস্টার্স প্রোগ্রামে এলএলএম, এমপিএইচ, এমবিএ ও ইএমবিএ, ইংরেজি, সমাজবিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও কম্পিউটারে ভর্তির সুযোগ রয়েছে। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, পুলিশ ক্রাইম ক্রিমিনোলজি বিভাগ থেকে শুরু করে ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ইত্যাদি যুগোপযোগী বিভাগ খোলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সুযোগ-সুবিধা
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে একটি কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ছাড়াও রয়েছে বিভাগভিত্তিক লাইব্রেরি। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইনভিত্তিক পাঠ্যপুস্তকের ব্যবস্থা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রয়েছে অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী দ্বারা পরিচালিত কম্পিউটার ল্যাব, ফার্মাসি ল্যাব, ইইই ল্যাব, জেসিএমএস ইনফোস্মিথস ল্যাবসহ ১৮টি আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবরেটরি। ক্যারিয়ার সেন্টারের বিভিন্ন শর্টকোর্সসহ নানাবিধ সহযোগিতা প্রদান করা হয়ে থাকে, যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা চাকরির বাজারের জন্য নিজেদের যোগ্য হিসেবে প্রস্তুতের সুযোগ পান। বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে ১৩৪ জন পূর্ণকালীন শিক্ষক। এ ছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৩৪ জন খণ্ডকালীন শিক্ষক বিভিন্ন বিভাগে পাঠদান করে থাকেন। এখানে সম্পূর্ণ শীতাতপনিয়ন্ত্রিত শ্রেণিকক্ষে প্রযুক্তিনির্ভর মাল্টিমিডিয়া পদ্ধতিতে পাঠদান করা হয়।
সংগঠন
প্রতিটি বিভাগের নিজস্ব ক্লাব বিশ্ববিদ্যালয়কে করেছে সমৃদ্ধ। ক্লাবগুলোতে শিক্ষার্থীরা বিষয়ভিত্তিক বিতর্ক, আলোচনা, সেমিনার ও গ্রুপ স্টাডিতে ব্যস্ত থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রয়েছে বরেন্দ্র ব্লাড লাইন, রোবটিক সোসাইটি, বিজনেস ক্লাব, সোশিওলজি ক্লাব, ছোট্ট স্বপ্ন, কালচারাল ক্লাব, ইকোনমিক অ্যাসোসিয়েশন, ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব, ফার্মা বি, বন্ধুসভা, মুট কোর্ট ও ডিবেটিং ক্লাব, ফটোগ্রাফিক ক্লাবসহ বিভিন্ন ক্রিয়াশীল সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও আত্মোন্নয়মূলক সংগঠন।
অর্জন ও উদ্যোগ
২০১৬ সালে স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত রোবট কমপিটিশনে প্রথম স্থান অধিকার করে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় রোবটিক সোসাইটি। ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও টিআইবির যৌথ আয়োজনে মুটকোর্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। ২০২২ সালে রুয়েট কর্তৃক আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল সিম্পোজিয়াম অন আইসিটি প্রতিযোগিতায় প্রজেক্ট কমপিটিশনে প্রথম স্থান অধিকার করে ইইই বিভাগের একটি টিম। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই টিম বুয়েট হ্যাকাথনে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে। সামাজিক-সাংস্কৃতিক নানা কর্মকাণ্ডেও রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ। এ ছাড়া প্রতিবছর বার্ষিক বনভোজন, শিক্ষাসফর, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভিজিটের মতো কার্যকরী উদ্যোগ। রাজশাহী বিভাগের আমেরিকান সেন্টারের অবস্থানও বিশ্ববিদ্যালয়টিতে, যা শিক্ষার্থীদের জ্ঞান বিকাশে সহায়ক।
বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. আশিক মোসাদ্দিক বলেন, ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবিলা যেন সহজভাবে আমরা করতে পারি এবং পঞ্চম শিল্পবিপ্লবের জন্য আমাদের প্রস্তুত হতে হবে, সে জন্য আমরা বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের প্রস্তুত করছি। দেশের শিক্ষা-গবেষণার অগ্রযাত্রায় শামিল হয়ে আমাদের অবদান রাখতে চাই।
এ জন্য আমরা গবেষণাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি। শিক্ষক-গবেষকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও যেন পর্যাপ্ত সুযোগ পায়, এ বিষয়ে আমরা বদ্ধপরিকর। শিক্ষার্থীদের পরিবহন সুবিধার জন্য উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় পরিবহন সেবাকে আমরা বিস্তৃত করব। বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের, ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি। ভারত, থাইল্যান্ড ও ইউএসএর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ইতিমধ্যে আমরা চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। বিদেশি শিক্ষার্থীর পাশাপাশি বিদেশি ফ্যাকাল্টিরও পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।’

বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে রাজশাহী বিভাগের অবস্থান। সবুজ এই বিভাগে রয়েছে বরেন্দ্রভূমি। এ অঞ্চলের বুক চিরে বয়ে যাওয়া পদ্মা নদীর তীরে গড়ে উঠেছে পরিবেশবান্ধব ও বায়ুদূষণমুক্ত শহর রাজশাহী, যা শিক্ষানগরী নামে অধিক পরিচিত। রাজশাহী শহরের প্রাণকেন্দ্রে ২০১২ সালের ১৪ মার্চ প্রতিষ্ঠা করা হয় এ অঞ্চলের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। ক্লাস শুরু হয় ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১২ সালে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে ৫ হাজার ৮৮২ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত।
স্থায়ী ক্যাম্পাস
২০১৭ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়টির স্থায়ী ক্যাম্পাসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। রাজশাহী বাইপাসের সন্নিকটে খড়খড়িতে ইতিমধ্যে ৪৫ বিঘা জমিতে নির্মাণকাজ চলমান। তবে কাজ শেষে মোট জমির পরিমাণ হবে ৫৪ বিঘা। আগামী বছরের শুরু থেকেই এখানে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে। স্থায়ী ক্যাম্পাসে থাকবে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ক্লাসরুম, আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবরেটরি, সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, খেলার মাঠ, জিমনেসিয়ামসহ সব ধরনের আধুনিক সুবিধা।
ভর্তি হতে চাইলে
বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বছরে তিন সেমিস্টারে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে ভর্তির সুযোগ রয়েছে। স্প্রিং (জানুয়ারি-এপ্রিল, সামার (মে-আগস্ট) ও ফল (সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর)। তবে ফার্মেসি বিভাগে দুই সেমিস্টারে ভর্তি করানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিবছর ৩ হাজার ৮৬ জন শিক্ষার্থীকে ৪ কোটি টাকার বেশি অর্থের স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। বিস্তারিত জানতে চোখ রাখুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে।
অনুষদ ও বিভাগ
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রয়েছে ৭টি অনুষদের অধীনে মোট ১১টি বিভাগ। এগুলো হচ্ছে: মানবিক অনুষদ, ব্যবসায় অনুষদ, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদ, আইন অনুষদ, ফার্মেসি অনুষদ, জনস্বাস্থ্য অনুষদ ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ। বিভাগগুলো হচ্ছে—কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ফার্মেসি, পাবলিক হেলথ, ব্যবসায় প্রশাসন, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, ইংরেজি, আইন ও মানবাধিকার, জার্নালিজম, কমিউনিকেশন অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ এবং ইসলামিক ইতিহাস। মাস্টার্স প্রোগ্রামে এলএলএম, এমপিএইচ, এমবিএ ও ইএমবিএ, ইংরেজি, সমাজবিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও কম্পিউটারে ভর্তির সুযোগ রয়েছে। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, পুলিশ ক্রাইম ক্রিমিনোলজি বিভাগ থেকে শুরু করে ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ইত্যাদি যুগোপযোগী বিভাগ খোলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সুযোগ-সুবিধা
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে একটি কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ছাড়াও রয়েছে বিভাগভিত্তিক লাইব্রেরি। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইনভিত্তিক পাঠ্যপুস্তকের ব্যবস্থা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রয়েছে অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী দ্বারা পরিচালিত কম্পিউটার ল্যাব, ফার্মাসি ল্যাব, ইইই ল্যাব, জেসিএমএস ইনফোস্মিথস ল্যাবসহ ১৮টি আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবরেটরি। ক্যারিয়ার সেন্টারের বিভিন্ন শর্টকোর্সসহ নানাবিধ সহযোগিতা প্রদান করা হয়ে থাকে, যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা চাকরির বাজারের জন্য নিজেদের যোগ্য হিসেবে প্রস্তুতের সুযোগ পান। বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে ১৩৪ জন পূর্ণকালীন শিক্ষক। এ ছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৩৪ জন খণ্ডকালীন শিক্ষক বিভিন্ন বিভাগে পাঠদান করে থাকেন। এখানে সম্পূর্ণ শীতাতপনিয়ন্ত্রিত শ্রেণিকক্ষে প্রযুক্তিনির্ভর মাল্টিমিডিয়া পদ্ধতিতে পাঠদান করা হয়।
সংগঠন
প্রতিটি বিভাগের নিজস্ব ক্লাব বিশ্ববিদ্যালয়কে করেছে সমৃদ্ধ। ক্লাবগুলোতে শিক্ষার্থীরা বিষয়ভিত্তিক বিতর্ক, আলোচনা, সেমিনার ও গ্রুপ স্টাডিতে ব্যস্ত থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রয়েছে বরেন্দ্র ব্লাড লাইন, রোবটিক সোসাইটি, বিজনেস ক্লাব, সোশিওলজি ক্লাব, ছোট্ট স্বপ্ন, কালচারাল ক্লাব, ইকোনমিক অ্যাসোসিয়েশন, ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব, ফার্মা বি, বন্ধুসভা, মুট কোর্ট ও ডিবেটিং ক্লাব, ফটোগ্রাফিক ক্লাবসহ বিভিন্ন ক্রিয়াশীল সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও আত্মোন্নয়মূলক সংগঠন।
অর্জন ও উদ্যোগ
২০১৬ সালে স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত রোবট কমপিটিশনে প্রথম স্থান অধিকার করে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় রোবটিক সোসাইটি। ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও টিআইবির যৌথ আয়োজনে মুটকোর্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। ২০২২ সালে রুয়েট কর্তৃক আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল সিম্পোজিয়াম অন আইসিটি প্রতিযোগিতায় প্রজেক্ট কমপিটিশনে প্রথম স্থান অধিকার করে ইইই বিভাগের একটি টিম। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই টিম বুয়েট হ্যাকাথনে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে। সামাজিক-সাংস্কৃতিক নানা কর্মকাণ্ডেও রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ। এ ছাড়া প্রতিবছর বার্ষিক বনভোজন, শিক্ষাসফর, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভিজিটের মতো কার্যকরী উদ্যোগ। রাজশাহী বিভাগের আমেরিকান সেন্টারের অবস্থানও বিশ্ববিদ্যালয়টিতে, যা শিক্ষার্থীদের জ্ঞান বিকাশে সহায়ক।
বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. আশিক মোসাদ্দিক বলেন, ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবিলা যেন সহজভাবে আমরা করতে পারি এবং পঞ্চম শিল্পবিপ্লবের জন্য আমাদের প্রস্তুত হতে হবে, সে জন্য আমরা বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের প্রস্তুত করছি। দেশের শিক্ষা-গবেষণার অগ্রযাত্রায় শামিল হয়ে আমাদের অবদান রাখতে চাই।
এ জন্য আমরা গবেষণাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি। শিক্ষক-গবেষকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও যেন পর্যাপ্ত সুযোগ পায়, এ বিষয়ে আমরা বদ্ধপরিকর। শিক্ষার্থীদের পরিবহন সুবিধার জন্য উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় পরিবহন সেবাকে আমরা বিস্তৃত করব। বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের, ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি। ভারত, থাইল্যান্ড ও ইউএসএর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ইতিমধ্যে আমরা চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। বিদেশি শিক্ষার্থীর পাশাপাশি বিদেশি ফ্যাকাল্টিরও পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।’

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) মিডিয়া অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন (এমএমসি) বিভাগ আয়োজিত ‘১০ম কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম এডুকেটরস নেটওয়ার্ক (সিজেন) কনফারেন্স ২০২৫’ ২৪ ও ২৫ অক্টোবর এআইইউবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিডব্লিউ একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দ
৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) এইচএসসি পরীক্ষা-২০২৫-এর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর গড় পাসের হার ৬২ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাবিবুল্যাহ মাহামুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের নানা প্রান্তের তরুণেরা যখন পরিবর্তনের স্বপ্নে ভবিষ্যৎ গড়ছেন, তখন সেই স্বপ্নবাজদের সারিতে বাংলাদেশের তরুণ আমিমুল এহসান খান যোগ করেছেন এক অনন্য অধ্যায়। সম্প্রতি তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’ হিসেবে। বিশ্বের ৫০ জন তরুণের মধ্য থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি।
১৬ ঘণ্টা আগে
দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধের ঝুঁকি। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, অনলাইন প্রতারণা কিংবা ডিপফেক ভিডিও—সবকিছু মিলিয়ে এখন সাইবার অপরাধ এক বড় সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) মিডিয়া অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন (এমএমসি) বিভাগ আয়োজিত ‘১০ম কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম এডুকেটরস নেটওয়ার্ক (সিজেন) কনফারেন্স ২০২৫’ ২৪ ও ২৫ অক্টোবর এআইইউবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিডব্লিউ একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া শিক্ষাবিদ, গণমাধ্যম পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
এবারের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘মিডিয়া ট্রান্সফর্মড: বাংলাদেশ অ্যাট এ ক্রসরোড’।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এআইইউবির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ড. হাসানুল এ. হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিডব্লিউ একাডেমির প্রজেক্ট ম্যানেজার মিস জিমি আমির। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এআইইউবি ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর ড. কারমেন জিটা লামাগনা, এআইইউবির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম, প্রো ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আব্দুর রহমান, ফ্যাকাল্টি অব আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের (এফএএসএস) ডিন প্রফেসর ড. তাজুল ইসলাম, এমএমসি বিভাগের উপদেষ্টা ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গণমাধ্যম পেশাজীবীরা।
অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য দেন এমএমসি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মিস রানি এলেন ভি রামোস। দুই দিনব্যাপী এই কনফারেন্সে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন, প্যানেল আলোচনা এবং একাডেমিক পেপার সেশন অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে ২৪ অক্টোবর কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) মিডিয়া অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন (এমএমসি) বিভাগ আয়োজিত ‘১০ম কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম এডুকেটরস নেটওয়ার্ক (সিজেন) কনফারেন্স ২০২৫’ ২৪ ও ২৫ অক্টোবর এআইইউবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিডব্লিউ একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া শিক্ষাবিদ, গণমাধ্যম পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
এবারের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘মিডিয়া ট্রান্সফর্মড: বাংলাদেশ অ্যাট এ ক্রসরোড’।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এআইইউবির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ড. হাসানুল এ. হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিডব্লিউ একাডেমির প্রজেক্ট ম্যানেজার মিস জিমি আমির। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এআইইউবি ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর ড. কারমেন জিটা লামাগনা, এআইইউবির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম, প্রো ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আব্দুর রহমান, ফ্যাকাল্টি অব আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের (এফএএসএস) ডিন প্রফেসর ড. তাজুল ইসলাম, এমএমসি বিভাগের উপদেষ্টা ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গণমাধ্যম পেশাজীবীরা।
অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য দেন এমএমসি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মিস রানি এলেন ভি রামোস। দুই দিনব্যাপী এই কনফারেন্সে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন, প্যানেল আলোচনা এবং একাডেমিক পেপার সেশন অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে ২৪ অক্টোবর কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।

বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে রাজশাহী বিভাগের অবস্থান। সবুজ এই বিভাগে রয়েছে বরেন্দ্রভূমি। এ অঞ্চলের বুক চিরে বয়ে যাওয়া পদ্মা নদীর তীরে গড়ে উঠেছে পরিবেশবান্ধব ও বায়ুদূষণমুক্ত শহর রাজশাহী, যা শিক্ষানগরী নামে অধিক পরিচিত। রাজশাহী শহরের প্রাণকেন্দ্রে...
১৪ আগস্ট ২০২২
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) এইচএসসি পরীক্ষা-২০২৫-এর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর গড় পাসের হার ৬২ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাবিবুল্যাহ মাহামুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের নানা প্রান্তের তরুণেরা যখন পরিবর্তনের স্বপ্নে ভবিষ্যৎ গড়ছেন, তখন সেই স্বপ্নবাজদের সারিতে বাংলাদেশের তরুণ আমিমুল এহসান খান যোগ করেছেন এক অনন্য অধ্যায়। সম্প্রতি তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’ হিসেবে। বিশ্বের ৫০ জন তরুণের মধ্য থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি।
১৬ ঘণ্টা আগে
দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধের ঝুঁকি। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, অনলাইন প্রতারণা কিংবা ডিপফেক ভিডিও—সবকিছু মিলিয়ে এখন সাইবার অপরাধ এক বড় সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) এইচএসসি পরীক্ষা-২০২৫-এর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর গড় পাসের হার ৬২ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাবিবুল্যাহ মাহামুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ বছর প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষ মিলিয়ে মোট ৩৮ হাজার ৩৪২ জন শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ৩১ হাজার ৪২১ জন শিক্ষার্থী। আর চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেন ১৬ হাজার ৭৮৩ জন, যার মধ্যে ১০ হাজার ৪৬৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫ হাজার ৬৪০ জন ছাত্র ও ৪ হাজার ৮২৩ জন ছাত্রী। পরীক্ষার ফল বাউবির ওয়েবসাইট (result.bou.ac.bd) থেকে জানা যাবে।

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) এইচএসসি পরীক্ষা-২০২৫-এর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর গড় পাসের হার ৬২ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাবিবুল্যাহ মাহামুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ বছর প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষ মিলিয়ে মোট ৩৮ হাজার ৩৪২ জন শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ৩১ হাজার ৪২১ জন শিক্ষার্থী। আর চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেন ১৬ হাজার ৭৮৩ জন, যার মধ্যে ১০ হাজার ৪৬৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫ হাজার ৬৪০ জন ছাত্র ও ৪ হাজার ৮২৩ জন ছাত্রী। পরীক্ষার ফল বাউবির ওয়েবসাইট (result.bou.ac.bd) থেকে জানা যাবে।

বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে রাজশাহী বিভাগের অবস্থান। সবুজ এই বিভাগে রয়েছে বরেন্দ্রভূমি। এ অঞ্চলের বুক চিরে বয়ে যাওয়া পদ্মা নদীর তীরে গড়ে উঠেছে পরিবেশবান্ধব ও বায়ুদূষণমুক্ত শহর রাজশাহী, যা শিক্ষানগরী নামে অধিক পরিচিত। রাজশাহী শহরের প্রাণকেন্দ্রে...
১৪ আগস্ট ২০২২
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) মিডিয়া অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন (এমএমসি) বিভাগ আয়োজিত ‘১০ম কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম এডুকেটরস নেটওয়ার্ক (সিজেন) কনফারেন্স ২০২৫’ ২৪ ও ২৫ অক্টোবর এআইইউবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিডব্লিউ একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দ
৩ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের নানা প্রান্তের তরুণেরা যখন পরিবর্তনের স্বপ্নে ভবিষ্যৎ গড়ছেন, তখন সেই স্বপ্নবাজদের সারিতে বাংলাদেশের তরুণ আমিমুল এহসান খান যোগ করেছেন এক অনন্য অধ্যায়। সম্প্রতি তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’ হিসেবে। বিশ্বের ৫০ জন তরুণের মধ্য থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি।
১৬ ঘণ্টা আগে
দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধের ঝুঁকি। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, অনলাইন প্রতারণা কিংবা ডিপফেক ভিডিও—সবকিছু মিলিয়ে এখন সাইবার অপরাধ এক বড় সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগেআব্দুর রাজ্জাক খান

বিশ্বের নানা প্রান্তের তরুণেরা যখন পরিবর্তনের স্বপ্নে ভবিষ্যৎ গড়ছেন, তখন সেই স্বপ্নবাজদের সারিতে বাংলাদেশের তরুণ আমিমুল এহসান খান যোগ করেছেন এক অনন্য অধ্যায়। সম্প্রতি তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’ হিসেবে। বিশ্বের ৫০ জন তরুণের মধ্য থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে ২০ থেকে ২৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত গ্লোবাল ইয়ুথ সামিট ২০২৫-এ অংশ নেন আমিমুল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৫০ তরুণ নেতাকে নিয়ে আয়োজিত এই সামিটে আলোচনা হয় নেতৃত্ব, টেকসই উন্নয়ন, সামাজিক পরিবর্তন ও বৈশ্বিক সহযোগিতা নিয়ে। এই সম্মেলন ছিল ফুল ফান্ডেড। সামিটে অংশগ্রহণ করা তরুণদের সব ব্যয় বহন করেছে আয়োজক সংস্থা।
টোকিও থেকে বিশ্বমঞ্চে
আমিমুলের উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন হয়েছে জাপানের টোকিও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পেয়েছেন ৮০ শতাংশ স্কলারশিপ, পাশাপাশি জাপান সরকারের এক বছরের বৃত্তিও পেয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি কাজ করছেন অ্যাওয়ারনেস ৩৬০ নামের একটি বৈশ্বিক তরুণ নেতৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠানে প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট লিড হিসেবে। পাশাপাশি জাপানের এশিয়ান বিজনেস নেটওয়ার্কে তিনি মার্কেটিং ম্যানেজার পদেও কর্মরত।
পরিবর্তনের পথে নেতৃত্ব
নিজের যাত্রা নিয়ে আমিমুল বলেন, ‘আমি এই সুযোগ পেয়েছি যুব ক্ষমতায়নমূলক কাজের জন্য, যা আমি অ্যাওয়ারনেস ৩৬০-এর সঙ্গে করে আসছি। আমি একা পৃথিবী বদলাতে পারব না জানি, তাই আমি অন্যদের অনুপ্রাণিত করছি, যাতে তারাও পরিবর্তনের পথে এগিয়ে আসে।’

তাঁর নেতৃত্বে প্রতিবছর আয়োজিত হয় অ্যাওয়ারনেস ৩৬০ ফেলোশিপ প্রোগ্রাম। যেখানে তরুণদের শেখানো হয় নেতৃত্ব, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ও সামাজিক প্রভাব তৈরির দক্ষতা। পাঁচ বছর ধরে প্রতিবছর এই উদ্যোগে যুক্ত হয়েছেন বিশ্বের ৭০টির বেশি দেশের প্রায় ৫০০ তরুণ।
পুরস্কার ও স্বীকৃতি
যুবসমাজের জন্য নিরলস পরিশ্রমের স্বীকৃতি হিসেবে ২০২২ সালে আমিমুল পেয়েছিলেন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ‘দ্য ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড’। এটি ছিল তরুণ নেতৃত্ব এবং সামাজিক প্রভাব তৈরির অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার।
অনুপ্রেরণার বার্তা
দক্ষিণ আফ্রিকার সামিটে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা তাঁকে আরও দৃঢ় করেছে। তিনি বলেন, ‘এই সম্মেলনে অংশ নিয়ে বুঝেছি, পৃথিবীর প্রত্যেক তরুণই পরিবর্তনের বাহক হতে পারে। আমাদের চিন্তা, কাজ আর সহযোগিতার মাধ্যমে গড়ে উঠতে পারে এক সুন্দর, টেকসই ভবিষ্যৎ।’

বিশ্বের নানা প্রান্তের তরুণেরা যখন পরিবর্তনের স্বপ্নে ভবিষ্যৎ গড়ছেন, তখন সেই স্বপ্নবাজদের সারিতে বাংলাদেশের তরুণ আমিমুল এহসান খান যোগ করেছেন এক অনন্য অধ্যায়। সম্প্রতি তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’ হিসেবে। বিশ্বের ৫০ জন তরুণের মধ্য থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে ২০ থেকে ২৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত গ্লোবাল ইয়ুথ সামিট ২০২৫-এ অংশ নেন আমিমুল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৫০ তরুণ নেতাকে নিয়ে আয়োজিত এই সামিটে আলোচনা হয় নেতৃত্ব, টেকসই উন্নয়ন, সামাজিক পরিবর্তন ও বৈশ্বিক সহযোগিতা নিয়ে। এই সম্মেলন ছিল ফুল ফান্ডেড। সামিটে অংশগ্রহণ করা তরুণদের সব ব্যয় বহন করেছে আয়োজক সংস্থা।
টোকিও থেকে বিশ্বমঞ্চে
আমিমুলের উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন হয়েছে জাপানের টোকিও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পেয়েছেন ৮০ শতাংশ স্কলারশিপ, পাশাপাশি জাপান সরকারের এক বছরের বৃত্তিও পেয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি কাজ করছেন অ্যাওয়ারনেস ৩৬০ নামের একটি বৈশ্বিক তরুণ নেতৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠানে প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট লিড হিসেবে। পাশাপাশি জাপানের এশিয়ান বিজনেস নেটওয়ার্কে তিনি মার্কেটিং ম্যানেজার পদেও কর্মরত।
পরিবর্তনের পথে নেতৃত্ব
নিজের যাত্রা নিয়ে আমিমুল বলেন, ‘আমি এই সুযোগ পেয়েছি যুব ক্ষমতায়নমূলক কাজের জন্য, যা আমি অ্যাওয়ারনেস ৩৬০-এর সঙ্গে করে আসছি। আমি একা পৃথিবী বদলাতে পারব না জানি, তাই আমি অন্যদের অনুপ্রাণিত করছি, যাতে তারাও পরিবর্তনের পথে এগিয়ে আসে।’

তাঁর নেতৃত্বে প্রতিবছর আয়োজিত হয় অ্যাওয়ারনেস ৩৬০ ফেলোশিপ প্রোগ্রাম। যেখানে তরুণদের শেখানো হয় নেতৃত্ব, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ও সামাজিক প্রভাব তৈরির দক্ষতা। পাঁচ বছর ধরে প্রতিবছর এই উদ্যোগে যুক্ত হয়েছেন বিশ্বের ৭০টির বেশি দেশের প্রায় ৫০০ তরুণ।
পুরস্কার ও স্বীকৃতি
যুবসমাজের জন্য নিরলস পরিশ্রমের স্বীকৃতি হিসেবে ২০২২ সালে আমিমুল পেয়েছিলেন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ‘দ্য ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড’। এটি ছিল তরুণ নেতৃত্ব এবং সামাজিক প্রভাব তৈরির অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার।
অনুপ্রেরণার বার্তা
দক্ষিণ আফ্রিকার সামিটে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা তাঁকে আরও দৃঢ় করেছে। তিনি বলেন, ‘এই সম্মেলনে অংশ নিয়ে বুঝেছি, পৃথিবীর প্রত্যেক তরুণই পরিবর্তনের বাহক হতে পারে। আমাদের চিন্তা, কাজ আর সহযোগিতার মাধ্যমে গড়ে উঠতে পারে এক সুন্দর, টেকসই ভবিষ্যৎ।’

বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে রাজশাহী বিভাগের অবস্থান। সবুজ এই বিভাগে রয়েছে বরেন্দ্রভূমি। এ অঞ্চলের বুক চিরে বয়ে যাওয়া পদ্মা নদীর তীরে গড়ে উঠেছে পরিবেশবান্ধব ও বায়ুদূষণমুক্ত শহর রাজশাহী, যা শিক্ষানগরী নামে অধিক পরিচিত। রাজশাহী শহরের প্রাণকেন্দ্রে...
১৪ আগস্ট ২০২২
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) মিডিয়া অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন (এমএমসি) বিভাগ আয়োজিত ‘১০ম কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম এডুকেটরস নেটওয়ার্ক (সিজেন) কনফারেন্স ২০২৫’ ২৪ ও ২৫ অক্টোবর এআইইউবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিডব্লিউ একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দ
৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) এইচএসসি পরীক্ষা-২০২৫-এর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর গড় পাসের হার ৬২ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাবিবুল্যাহ মাহামুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধের ঝুঁকি। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, অনলাইন প্রতারণা কিংবা ডিপফেক ভিডিও—সবকিছু মিলিয়ে এখন সাইবার অপরাধ এক বড় সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগেনওসাদ আল সাইম

দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধের ঝুঁকি। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, অনলাইন প্রতারণা কিংবা ডিপফেক ভিডিও—সবকিছু মিলিয়ে এখন সাইবার অপরাধ এক বড় সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
সাইবার এইড বাংলাদেশের সাম্প্রতিক জরিপ অনুযায়ী, ডিপফেক ও এআইনির্ভর অপরাধের হার এখন ২৩ শতাংশের বেশি। সোশ্যাল মিডিয়া হ্যাকিং ২১ শতাংশ, ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে অপপ্রচার ১৫ শতাংশ, ই-কমার্স প্রতারণা ১৫ শতাংশ এবং অনলাইন হুমকি ১১ শতাংশ। ভুক্তভোগীদের প্রায় ৭৯ শতাংশের বয়স ১৮-৩০ বছরের মধ্যে, তাঁদের ৫৯ শতাংশই নারী।
অধিকাংশ ভুক্তভোগী জানেন না, কোথায় অভিযোগ করতে হবে। জরিপে দেখা গেছে, ৪২ শতাংশ অভিযোগ দাখিলের সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে অজ্ঞ এবং যাঁরা অভিযোগ করেন, তাঁদের মাত্র ১২ শতাংশ আইনি প্রতিকার পান। ফলে সচেতনতার অভাব ও আইনি কাঠামোর সীমাবদ্ধতায় সাইবার নিরাপত্তা এখন দেশের বড় এক চ্যালেঞ্জ।
এই বাস্তবতায় এগিয়ে এসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আরাফাত চৌধুরী। ২০২২ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘সাইবার এইড বাংলাদেশ’, যা সাইবার অপরাধের শিকার মানুষের আইনি সহায়তা এবং মানসিক সাপোর্ট দেয়। মাত্র তিন বছরের ব্যবধানে সংগঠনটি দেশে সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলছে।
আরাফাত বলেন, ‘সাইবার অপরাধ শুধু মানসিক যন্ত্রণা নয়, সামাজিক মর্যাদাহানির কারণও। কিন্তু বেশির ভাগ ভুক্তভোগী ভয় বা লজ্জায় মুখ খুলতে চান না।’ সংগঠনের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ১ হাজার ৭৬১ জন এবং অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রায়
৪ হাজার মানুষ সাইবার এইডের সহায়তা পেয়েছেন। সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে ৭৬ শতাংশই নারী। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ আসে ব্ল্যাকমেল ও ই-কমার্স প্রতারণা-সংক্রান্ত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান সুমনা বলেন, ‘একজন আমার ব্যক্তিগত ছবি ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেল করতে থাকে। কী করব বুঝতে পারছিলাম না। তখন সাইবার এইডে যোগাযোগ করি। শুধু আইনি সহায়তাই নয়; মানসিকভাবেও তারা পাশে দাঁড়ায়।’
অন্যদিকে জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘অনলাইনে একটি পেজ থেকে আইফোন কিনতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছিলাম। সাইবার এইডের সহায়তায় পুলিশে অভিযোগ করতে পারি। এখন অন্তত জানি, প্রতারণার শিকার হলে চুপ করে না থেকে লড়াই করা যায়।’
শুধু আইনি সহায়তা নয়, সচেতনতা সৃষ্টিতেও কাজ করছে সংগঠনটি। এ পর্যন্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইবার সচেতনতা ক্যাম্পেইন এবং বিভাগীয় শহর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ৫৬টির বেশি সেমিনার ও প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছে তারা। অনলাইনে ‘বেসিক সাইবার লিটারেসি’, ‘সাইবার স্পেস সিকিউরিটি’ ও ‘ডিজিটাল ফরেনসিক’ কোর্স চালু করেছে। ভবিষ্যতে চালু হবে একটি মোবাইল অ্যাপ, যেখানে থাকবে লাইভ চ্যাট সাপোর্ট, এআইনির্ভর নিরাপত্তা নির্দেশনা এবং দ্রুত অভিযোগ দাখিলের সুবিধা।
ভুক্তভোগীরা হটলাইন, ফেসবুক পেজ বা গ্রুপের মাধ্যমে অভিযোগ করলে সাইবার এইড বাংলাদেশ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন ও সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নিশ্চিত করে।
সাইবার অপরাধ বাড়ার পেছনে আরাফাত দুটি বড় কারণ দেখছেন। সেগুলো হলো সচেতনতার অভাব এবং আইনগত সীমাবদ্ধতা। তাঁর মতে, বেশির ভাগ সাইবার অপরাধ জামিনযোগ্য হওয়ায় অপরাধীদের ভয় কম। আবার ডিজিটাল প্রমাণ সংগ্রহে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দক্ষতায়ও ঘাটতি রয়েছে।
আরাফাতের বিশ্বাস, প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সাইবার ঝুঁকিও বাড়ছে। তাই প্রয়োজন আগাম প্রস্তুতি ও সচেতনতা। তাঁর ভাষায়, ‘আমরা চাই তরুণেরা শুধু প্রযুক্তির ব্যবহারকারী নয়, বরং প্রযুক্তির নিরাপত্তা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করুক।’
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট আল মামুন রাসেল বলেন, সাইবার এইড বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে সাইবার ক্রাইম ভিকটিমদের আইনি সহযোগিতা করে যাচ্ছে। পাশাপাশি সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। সাইবার ক্রাইম ভুক্তভোগীদের আইনি সহযোগিতা প্রদানে এটি অনন্য ও কার্যকরী উদ্যোগ।

দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধের ঝুঁকি। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, অনলাইন প্রতারণা কিংবা ডিপফেক ভিডিও—সবকিছু মিলিয়ে এখন সাইবার অপরাধ এক বড় সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
সাইবার এইড বাংলাদেশের সাম্প্রতিক জরিপ অনুযায়ী, ডিপফেক ও এআইনির্ভর অপরাধের হার এখন ২৩ শতাংশের বেশি। সোশ্যাল মিডিয়া হ্যাকিং ২১ শতাংশ, ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে অপপ্রচার ১৫ শতাংশ, ই-কমার্স প্রতারণা ১৫ শতাংশ এবং অনলাইন হুমকি ১১ শতাংশ। ভুক্তভোগীদের প্রায় ৭৯ শতাংশের বয়স ১৮-৩০ বছরের মধ্যে, তাঁদের ৫৯ শতাংশই নারী।
অধিকাংশ ভুক্তভোগী জানেন না, কোথায় অভিযোগ করতে হবে। জরিপে দেখা গেছে, ৪২ শতাংশ অভিযোগ দাখিলের সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে অজ্ঞ এবং যাঁরা অভিযোগ করেন, তাঁদের মাত্র ১২ শতাংশ আইনি প্রতিকার পান। ফলে সচেতনতার অভাব ও আইনি কাঠামোর সীমাবদ্ধতায় সাইবার নিরাপত্তা এখন দেশের বড় এক চ্যালেঞ্জ।
এই বাস্তবতায় এগিয়ে এসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আরাফাত চৌধুরী। ২০২২ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘সাইবার এইড বাংলাদেশ’, যা সাইবার অপরাধের শিকার মানুষের আইনি সহায়তা এবং মানসিক সাপোর্ট দেয়। মাত্র তিন বছরের ব্যবধানে সংগঠনটি দেশে সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলছে।
আরাফাত বলেন, ‘সাইবার অপরাধ শুধু মানসিক যন্ত্রণা নয়, সামাজিক মর্যাদাহানির কারণও। কিন্তু বেশির ভাগ ভুক্তভোগী ভয় বা লজ্জায় মুখ খুলতে চান না।’ সংগঠনের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ১ হাজার ৭৬১ জন এবং অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রায়
৪ হাজার মানুষ সাইবার এইডের সহায়তা পেয়েছেন। সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে ৭৬ শতাংশই নারী। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ আসে ব্ল্যাকমেল ও ই-কমার্স প্রতারণা-সংক্রান্ত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান সুমনা বলেন, ‘একজন আমার ব্যক্তিগত ছবি ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেল করতে থাকে। কী করব বুঝতে পারছিলাম না। তখন সাইবার এইডে যোগাযোগ করি। শুধু আইনি সহায়তাই নয়; মানসিকভাবেও তারা পাশে দাঁড়ায়।’
অন্যদিকে জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘অনলাইনে একটি পেজ থেকে আইফোন কিনতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছিলাম। সাইবার এইডের সহায়তায় পুলিশে অভিযোগ করতে পারি। এখন অন্তত জানি, প্রতারণার শিকার হলে চুপ করে না থেকে লড়াই করা যায়।’
শুধু আইনি সহায়তা নয়, সচেতনতা সৃষ্টিতেও কাজ করছে সংগঠনটি। এ পর্যন্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইবার সচেতনতা ক্যাম্পেইন এবং বিভাগীয় শহর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ৫৬টির বেশি সেমিনার ও প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছে তারা। অনলাইনে ‘বেসিক সাইবার লিটারেসি’, ‘সাইবার স্পেস সিকিউরিটি’ ও ‘ডিজিটাল ফরেনসিক’ কোর্স চালু করেছে। ভবিষ্যতে চালু হবে একটি মোবাইল অ্যাপ, যেখানে থাকবে লাইভ চ্যাট সাপোর্ট, এআইনির্ভর নিরাপত্তা নির্দেশনা এবং দ্রুত অভিযোগ দাখিলের সুবিধা।
ভুক্তভোগীরা হটলাইন, ফেসবুক পেজ বা গ্রুপের মাধ্যমে অভিযোগ করলে সাইবার এইড বাংলাদেশ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন ও সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নিশ্চিত করে।
সাইবার অপরাধ বাড়ার পেছনে আরাফাত দুটি বড় কারণ দেখছেন। সেগুলো হলো সচেতনতার অভাব এবং আইনগত সীমাবদ্ধতা। তাঁর মতে, বেশির ভাগ সাইবার অপরাধ জামিনযোগ্য হওয়ায় অপরাধীদের ভয় কম। আবার ডিজিটাল প্রমাণ সংগ্রহে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দক্ষতায়ও ঘাটতি রয়েছে।
আরাফাতের বিশ্বাস, প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সাইবার ঝুঁকিও বাড়ছে। তাই প্রয়োজন আগাম প্রস্তুতি ও সচেতনতা। তাঁর ভাষায়, ‘আমরা চাই তরুণেরা শুধু প্রযুক্তির ব্যবহারকারী নয়, বরং প্রযুক্তির নিরাপত্তা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করুক।’
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট আল মামুন রাসেল বলেন, সাইবার এইড বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে সাইবার ক্রাইম ভিকটিমদের আইনি সহযোগিতা করে যাচ্ছে। পাশাপাশি সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। সাইবার ক্রাইম ভুক্তভোগীদের আইনি সহযোগিতা প্রদানে এটি অনন্য ও কার্যকরী উদ্যোগ।

বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে রাজশাহী বিভাগের অবস্থান। সবুজ এই বিভাগে রয়েছে বরেন্দ্রভূমি। এ অঞ্চলের বুক চিরে বয়ে যাওয়া পদ্মা নদীর তীরে গড়ে উঠেছে পরিবেশবান্ধব ও বায়ুদূষণমুক্ত শহর রাজশাহী, যা শিক্ষানগরী নামে অধিক পরিচিত। রাজশাহী শহরের প্রাণকেন্দ্রে...
১৪ আগস্ট ২০২২
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) মিডিয়া অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন (এমএমসি) বিভাগ আয়োজিত ‘১০ম কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম এডুকেটরস নেটওয়ার্ক (সিজেন) কনফারেন্স ২০২৫’ ২৪ ও ২৫ অক্টোবর এআইইউবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিডব্লিউ একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দ
৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) এইচএসসি পরীক্ষা-২০২৫-এর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর গড় পাসের হার ৬২ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাবিবুল্যাহ মাহামুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের নানা প্রান্তের তরুণেরা যখন পরিবর্তনের স্বপ্নে ভবিষ্যৎ গড়ছেন, তখন সেই স্বপ্নবাজদের সারিতে বাংলাদেশের তরুণ আমিমুল এহসান খান যোগ করেছেন এক অনন্য অধ্যায়। সম্প্রতি তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’ হিসেবে। বিশ্বের ৫০ জন তরুণের মধ্য থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি।
১৬ ঘণ্টা আগে