
জার্মানিতে বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে ইউনি-অ্যাসিস্ট। এই ওয়েবসাইটে বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনের জন্য বিভিন্ন ফি নির্ধারণ করা হয়। এ ছাড়া প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কো-অর্ডিনেটরকে ই-মেইল করলে তারা জানিয়ে দেয়। তবে ইউনি-অ্যাসিস্ট হচ্ছে সবচেয়ে ভালো মাধ্যম। এ ছাড়া ডাড স্কলারশিপের মধ্যে দেওয়া থাকে কীভাবে আবেদন করতে হয়। অনেক সময় ই-মেইলে ভর্তি হওয়া যায়। ডাড স্কলারশিপে বিশ্ববিদ্যালয় সিলেক্ট করে ভর্তি হওয়া যায়। জার্মানিতে বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে ডাড আর ইউনি-অ্যাসিস্ট সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম।
জার্মানিতে স্কলারশিপ
জার্মানিতে ডাড হচ্ছে সবচেয়ে বড় স্কলারশিপ প্ল্যাটফর্ম। এতে বেসিক সায়েন্স, যেমন ফিজিকস, ম্যাথ, কেমিস্ট্রি, বায়োকেমিস্ট্রি, বায়োটেকনোলজি এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ের ওপর স্কলারশিপ বেশি দেওয়া হয়। মেডিকেল বিষয়ে মোটামুটি কম। এ ছাড়া ইরাসমাস-মুন্ডাস স্কলারশিপ, আইনস্টাইন ইন্টারন্যাশনাল ফেলোশিপ, হামবোল্ট রিসার্চ ফেলোশিপ, হেনরিখ বোল স্কলারশিপ ইত্যাদি স্কলারশিপে পড়া যায়। স্কলারশিপে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি ফ্রি থাকে। এ ছাড়া ইউনিভার্সিটি বেজড স্কলারশিপ রয়েছে। সেগুলো জার্মান সম্পর্কে জানা এবং জার্মান ল্যাঙ্গুয়েজ লেভেল কতটুকু, তার ওপর নির্ভর করে। তবে ডাডই সবচেয়ে বড় স্কলারশিপ।
আবেদনের যোগ্যতা
জার্মানিতে আবেদনের জন্য পাসপোর্ট, এনআইডি, জন্মসনদ, নাগরিক সনদ লাগবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও ভিসার জন্যও কাগজপত্র লাগবে। আবেদনের ক্ষেত্রে অনার্সে আবেদন না করাই ভালো। কারণ, এতে তেমন স্কলারশিপ পাওয়া যায় না। পাশাপাশি খরচও অনেক বেশি। স্নাতকোত্তরে আবেদনের জন্য স্নাতকের ট্রান্সস্ক্রিপ্ট, কাজের অভিজ্ঞতা, মোটিভেশনাল লেটার, ইউরোপাস ফরম্যাটের সিভি, রিকমেন্ডেশন লেটার, আইইএলটিএস স্কোর ন্যূনতম ৬ হতে হবে। কোনো ব্যান্ডে ৬-এর নিচে থাকা যাবে না। নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় অনুযায়ী যোগ্যতা পূরণ করতে হবে। এতে আইইএলটিএস স্কোর ন্যূনতম ৬ এবং স্নাতকের ফল সিজিপিএ ৩ পয়েন্ট হলে ভালো হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয় অনুযায়ী এর থেকে কম স্কোর ও পয়েন্টে হওয়া যায়।
কোন সময় আবেদন
জার্মানিতে উইন্টার সেশন অক্টোবরে এবং স্প্রিং সেশন শুরু হয় ফেব্রুয়ারিতে। জার্মানি উইন্টারে সবচেয়ে বেশি কোর্স অফার করে। ইউনি-অ্যাসিস্টে সব ডেডলাইন দেওয়া থাকে। তা ছাড়া তারা এ নিয়মই ফলো করে। বছরের দুই সেমিস্টারে আবেদন করা যায়। এতে ভিসা জটিলতা হলে অন্য সেমিস্টারে যাওয়ার সুযোগ থাকে। ইয়ার রাউন্ডে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় সুযোগ দেয়। এতে আবেদনের জন্য সেমিস্টার শুরু হওয়ার দুই-তিন মাস আগে সার্কুলার জারি করা হয়। সেখানে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবেদন করতে বলা হয়।
যেভাবে আবেদন
আবেদনের ক্ষেত্রে প্রথমেই ইউনি-অ্যাসিস্টে একটা অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড সংরক্ষিত রাখতে হবে। ওয়েবসাইটে সাবজেক্ট চয়েস বারে ক্লিক করলে ইউনিভার্সিটি, স্কলারশিপে আবেদন—সব তথ্যই চলে আসবে। আবেদনের ক্ষেত্রে প্রথমবারের জন্য কোনো টাকা দিতে হবে না। তবে বেশি আবেদন করলে ইউনিভার্সিটি অনুযায়ী ৩০০-৭০০ ইউরো খরচ গুনতে হবে। উচ্চমানের ইউনিভার্সিটিতে আবেদনে খরচটা একটু বেশি আসে। শহরের বাইরের ক্যাম্পাসগুলোতে আবেদনের খরচ কম। ওয়েবসাইট অনুযায়ী আবেদন করতে হবে। এতে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টারকার্ড বা ভিসা কার্ড লাগবে। টাকা ইউরোতে কনভার্ট করে আবেদন করা যাবে। প্রধানত অনলাইন বেজড আবেদন করতে হয়।
জার্মান ভাষা শিখব
জার্মান ভাষা শেখা ভালো। তাই বলে জার্মান ভাষা শেখা নেই এবং যাওয়ার আগে জার্মান ভাষা শিখতে হবে, এমন নয়। জার্মানিতে থাকতে জার্মান ভাষা শেখার অনেক সুযোগ রয়েছে। জার্মানিতে ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীদের ভাষার কোর্স করানো হয় এবং ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব রয়েছে। তা ছাড়া প্রাইভেটভাবে জার্মান ভাষা শেখা যায়। স্টুডেন্টদের জন্য মাস্টার্স প্রোগ্রাম ইংরেজি বেজড হয়ে থাকে। যাঁরা জার্মানিতে যাবেন অনার্সের শেষ দিকে এসে জার্মান ভাষা শিখতে পারেন। ঢাকায় গ্যোটে ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাঙ্গুয়েজ ইনস্টিটিউটে জার্মান ভাষা শেখানো হয়। এ ছাড়া অনলাইনে জার্মান ভাষা শেখার জন্য ইউটিউবে ভিডিও আছে। জার্মান ভাষা শিখে গেলে ছাত্র অবস্থায় চাকরি পাওয়া, ডাক্তার দেখানো, শপিং করা—এ ধরনের জায়গায় সুবিধা পাওয়া যাবে। ভাষা শিখে গেলে অন্যদের তুলনায় এগিয়ে থাকা যাবে। তবে ভাষা না শিখলেও তেমন সমস্যা নেই।
পড়ালেখার পাশাপাশি কাজ
জার্মানিতে লেখাপড়ার পাশাপাশি সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা কাজ করার সুযোগ থাকবে। বড় শহরগুলোতে কাজের সুযোগ বেশি। আর ছোট শহরে কাজের সুযোগ কম। গ্রীষ্মকালে তিন মাস বন্ধ থাকে, তখন চাইলে ফুলটাইম কাজ করা যাবে। অনেক সময় ইউনিভার্সিটিগুলোতে কাজের সুযোগ থাকে। প্রথমদিকে ক্যাফেটেরিয়া, ক্লিনিং, ওয়েটার এসব ছোটখাটো কাজ করতে হয়। এ ছাড়া হোটেল, রেস্তোরাঁ, বারে কাজসহ ফুড ডেলিভারি হিসেবে কাজ করা যায়। তবে লেখাপড়ার ক্ষতি করে কাজ করা ঠিক নয়। দুই বছরের মাস্টার্স কোর্স পাঁচ বছরের মধ্যে করতে না পারলে জার্মানি ছাড়তে হবে। স্টুডেন্টরা পড়াশোনা করছেন কি না, ভিসা ঠিক আছে কি না; তারা এসব তদারকি করে। বিদেশে নিজের সম্মান রাখার পাশাপাশি দেশের সম্মানও রাখবে। ইউনিভার্সিটির কাছাকাছি কাজ পাওয়াটা ভাগ্যের ব্যাপার। আমি নিজেও রেস্টুরেন্টে কাজ করেছি। আবার পড়াশোনার ক্ষতি হলে কাজ বাদ দিয়েছি।
জার্মানিতে চাকরির সুযোগ
যে সাবজেক্টে উচ্চশিক্ষা নেবে জার্মানিতে সেই সাবজেক্টে চাকরি খুঁজতে হবে। সে জন্য পড়াশোনার পর প্রায় ১৮ মাস জার্মান সরকার সময় দিয়ে থাকে। এর মধ্যে জার্মান ভাষা বি-১ লেভেলে নিয়ে গেলে সেটা প্রমাণ করতে হবে। চাকরির সুবাদে জার্মানিতে সেটেল্ড হওয়া যায়। লেখাপড়ার পাশাপাশি অনেক বাংলাদেশি সেখানে চাকরি করছেন। তবে চাকরি খুঁজে না পেলে নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। অনেক সাবজেক্টে পড়াশোনার পাশাপাশি ইন্টার্নশিপ করতে হয়। গ্র্যাজুয়েশনের পর সেসব প্রতিষ্ঠানে এমনিতে চাকরি হয়ে যায়। প্রতিষ্ঠানগুলো তখন ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর ক্ষেত্রে সহযোগিতা করে থাকে। এ ছাড়া অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে। ভাষা সমস্যা ও শারীরিক অক্ষমতা না থাকলে ১৮ মাসের মধ্যে জার্মানিতে চাকরি পাওয়া কঠিন বিষয় নয়।
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম

জার্মানিতে বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে ইউনি-অ্যাসিস্ট। এই ওয়েবসাইটে বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনের জন্য বিভিন্ন ফি নির্ধারণ করা হয়। এ ছাড়া প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কো-অর্ডিনেটরকে ই-মেইল করলে তারা জানিয়ে দেয়। তবে ইউনি-অ্যাসিস্ট হচ্ছে সবচেয়ে ভালো মাধ্যম। এ ছাড়া ডাড স্কলারশিপের মধ্যে দেওয়া থাকে কীভাবে আবেদন করতে হয়। অনেক সময় ই-মেইলে ভর্তি হওয়া যায়। ডাড স্কলারশিপে বিশ্ববিদ্যালয় সিলেক্ট করে ভর্তি হওয়া যায়। জার্মানিতে বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে ডাড আর ইউনি-অ্যাসিস্ট সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম।
জার্মানিতে স্কলারশিপ
জার্মানিতে ডাড হচ্ছে সবচেয়ে বড় স্কলারশিপ প্ল্যাটফর্ম। এতে বেসিক সায়েন্স, যেমন ফিজিকস, ম্যাথ, কেমিস্ট্রি, বায়োকেমিস্ট্রি, বায়োটেকনোলজি এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ের ওপর স্কলারশিপ বেশি দেওয়া হয়। মেডিকেল বিষয়ে মোটামুটি কম। এ ছাড়া ইরাসমাস-মুন্ডাস স্কলারশিপ, আইনস্টাইন ইন্টারন্যাশনাল ফেলোশিপ, হামবোল্ট রিসার্চ ফেলোশিপ, হেনরিখ বোল স্কলারশিপ ইত্যাদি স্কলারশিপে পড়া যায়। স্কলারশিপে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি ফ্রি থাকে। এ ছাড়া ইউনিভার্সিটি বেজড স্কলারশিপ রয়েছে। সেগুলো জার্মান সম্পর্কে জানা এবং জার্মান ল্যাঙ্গুয়েজ লেভেল কতটুকু, তার ওপর নির্ভর করে। তবে ডাডই সবচেয়ে বড় স্কলারশিপ।
আবেদনের যোগ্যতা
জার্মানিতে আবেদনের জন্য পাসপোর্ট, এনআইডি, জন্মসনদ, নাগরিক সনদ লাগবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও ভিসার জন্যও কাগজপত্র লাগবে। আবেদনের ক্ষেত্রে অনার্সে আবেদন না করাই ভালো। কারণ, এতে তেমন স্কলারশিপ পাওয়া যায় না। পাশাপাশি খরচও অনেক বেশি। স্নাতকোত্তরে আবেদনের জন্য স্নাতকের ট্রান্সস্ক্রিপ্ট, কাজের অভিজ্ঞতা, মোটিভেশনাল লেটার, ইউরোপাস ফরম্যাটের সিভি, রিকমেন্ডেশন লেটার, আইইএলটিএস স্কোর ন্যূনতম ৬ হতে হবে। কোনো ব্যান্ডে ৬-এর নিচে থাকা যাবে না। নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় অনুযায়ী যোগ্যতা পূরণ করতে হবে। এতে আইইএলটিএস স্কোর ন্যূনতম ৬ এবং স্নাতকের ফল সিজিপিএ ৩ পয়েন্ট হলে ভালো হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয় অনুযায়ী এর থেকে কম স্কোর ও পয়েন্টে হওয়া যায়।
কোন সময় আবেদন
জার্মানিতে উইন্টার সেশন অক্টোবরে এবং স্প্রিং সেশন শুরু হয় ফেব্রুয়ারিতে। জার্মানি উইন্টারে সবচেয়ে বেশি কোর্স অফার করে। ইউনি-অ্যাসিস্টে সব ডেডলাইন দেওয়া থাকে। তা ছাড়া তারা এ নিয়মই ফলো করে। বছরের দুই সেমিস্টারে আবেদন করা যায়। এতে ভিসা জটিলতা হলে অন্য সেমিস্টারে যাওয়ার সুযোগ থাকে। ইয়ার রাউন্ডে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় সুযোগ দেয়। এতে আবেদনের জন্য সেমিস্টার শুরু হওয়ার দুই-তিন মাস আগে সার্কুলার জারি করা হয়। সেখানে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবেদন করতে বলা হয়।
যেভাবে আবেদন
আবেদনের ক্ষেত্রে প্রথমেই ইউনি-অ্যাসিস্টে একটা অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড সংরক্ষিত রাখতে হবে। ওয়েবসাইটে সাবজেক্ট চয়েস বারে ক্লিক করলে ইউনিভার্সিটি, স্কলারশিপে আবেদন—সব তথ্যই চলে আসবে। আবেদনের ক্ষেত্রে প্রথমবারের জন্য কোনো টাকা দিতে হবে না। তবে বেশি আবেদন করলে ইউনিভার্সিটি অনুযায়ী ৩০০-৭০০ ইউরো খরচ গুনতে হবে। উচ্চমানের ইউনিভার্সিটিতে আবেদনে খরচটা একটু বেশি আসে। শহরের বাইরের ক্যাম্পাসগুলোতে আবেদনের খরচ কম। ওয়েবসাইট অনুযায়ী আবেদন করতে হবে। এতে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টারকার্ড বা ভিসা কার্ড লাগবে। টাকা ইউরোতে কনভার্ট করে আবেদন করা যাবে। প্রধানত অনলাইন বেজড আবেদন করতে হয়।
জার্মান ভাষা শিখব
জার্মান ভাষা শেখা ভালো। তাই বলে জার্মান ভাষা শেখা নেই এবং যাওয়ার আগে জার্মান ভাষা শিখতে হবে, এমন নয়। জার্মানিতে থাকতে জার্মান ভাষা শেখার অনেক সুযোগ রয়েছে। জার্মানিতে ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীদের ভাষার কোর্স করানো হয় এবং ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব রয়েছে। তা ছাড়া প্রাইভেটভাবে জার্মান ভাষা শেখা যায়। স্টুডেন্টদের জন্য মাস্টার্স প্রোগ্রাম ইংরেজি বেজড হয়ে থাকে। যাঁরা জার্মানিতে যাবেন অনার্সের শেষ দিকে এসে জার্মান ভাষা শিখতে পারেন। ঢাকায় গ্যোটে ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাঙ্গুয়েজ ইনস্টিটিউটে জার্মান ভাষা শেখানো হয়। এ ছাড়া অনলাইনে জার্মান ভাষা শেখার জন্য ইউটিউবে ভিডিও আছে। জার্মান ভাষা শিখে গেলে ছাত্র অবস্থায় চাকরি পাওয়া, ডাক্তার দেখানো, শপিং করা—এ ধরনের জায়গায় সুবিধা পাওয়া যাবে। ভাষা শিখে গেলে অন্যদের তুলনায় এগিয়ে থাকা যাবে। তবে ভাষা না শিখলেও তেমন সমস্যা নেই।
পড়ালেখার পাশাপাশি কাজ
জার্মানিতে লেখাপড়ার পাশাপাশি সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা কাজ করার সুযোগ থাকবে। বড় শহরগুলোতে কাজের সুযোগ বেশি। আর ছোট শহরে কাজের সুযোগ কম। গ্রীষ্মকালে তিন মাস বন্ধ থাকে, তখন চাইলে ফুলটাইম কাজ করা যাবে। অনেক সময় ইউনিভার্সিটিগুলোতে কাজের সুযোগ থাকে। প্রথমদিকে ক্যাফেটেরিয়া, ক্লিনিং, ওয়েটার এসব ছোটখাটো কাজ করতে হয়। এ ছাড়া হোটেল, রেস্তোরাঁ, বারে কাজসহ ফুড ডেলিভারি হিসেবে কাজ করা যায়। তবে লেখাপড়ার ক্ষতি করে কাজ করা ঠিক নয়। দুই বছরের মাস্টার্স কোর্স পাঁচ বছরের মধ্যে করতে না পারলে জার্মানি ছাড়তে হবে। স্টুডেন্টরা পড়াশোনা করছেন কি না, ভিসা ঠিক আছে কি না; তারা এসব তদারকি করে। বিদেশে নিজের সম্মান রাখার পাশাপাশি দেশের সম্মানও রাখবে। ইউনিভার্সিটির কাছাকাছি কাজ পাওয়াটা ভাগ্যের ব্যাপার। আমি নিজেও রেস্টুরেন্টে কাজ করেছি। আবার পড়াশোনার ক্ষতি হলে কাজ বাদ দিয়েছি।
জার্মানিতে চাকরির সুযোগ
যে সাবজেক্টে উচ্চশিক্ষা নেবে জার্মানিতে সেই সাবজেক্টে চাকরি খুঁজতে হবে। সে জন্য পড়াশোনার পর প্রায় ১৮ মাস জার্মান সরকার সময় দিয়ে থাকে। এর মধ্যে জার্মান ভাষা বি-১ লেভেলে নিয়ে গেলে সেটা প্রমাণ করতে হবে। চাকরির সুবাদে জার্মানিতে সেটেল্ড হওয়া যায়। লেখাপড়ার পাশাপাশি অনেক বাংলাদেশি সেখানে চাকরি করছেন। তবে চাকরি খুঁজে না পেলে নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। অনেক সাবজেক্টে পড়াশোনার পাশাপাশি ইন্টার্নশিপ করতে হয়। গ্র্যাজুয়েশনের পর সেসব প্রতিষ্ঠানে এমনিতে চাকরি হয়ে যায়। প্রতিষ্ঠানগুলো তখন ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর ক্ষেত্রে সহযোগিতা করে থাকে। এ ছাড়া অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে। ভাষা সমস্যা ও শারীরিক অক্ষমতা না থাকলে ১৮ মাসের মধ্যে জার্মানিতে চাকরি পাওয়া কঠিন বিষয় নয়।
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম

জার্মানিতে বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে ইউনি-অ্যাসিস্ট। এই ওয়েবসাইটে বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনের জন্য বিভিন্ন ফি নির্ধারণ করা হয়। এ ছাড়া প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কো-অর্ডিনেটরকে ই-মেইল করলে তারা জানিয়ে দেয়। তবে ইউনি-অ্যাসিস্ট হচ্ছে সবচেয়ে ভালো মাধ্যম। এ ছাড়া ডাড স্কলারশিপের মধ্যে দেওয়া থাকে কীভাবে আবেদন করতে হয়। অনেক সময় ই-মেইলে ভর্তি হওয়া যায়। ডাড স্কলারশিপে বিশ্ববিদ্যালয় সিলেক্ট করে ভর্তি হওয়া যায়। জার্মানিতে বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে ডাড আর ইউনি-অ্যাসিস্ট সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম।
জার্মানিতে স্কলারশিপ
জার্মানিতে ডাড হচ্ছে সবচেয়ে বড় স্কলারশিপ প্ল্যাটফর্ম। এতে বেসিক সায়েন্স, যেমন ফিজিকস, ম্যাথ, কেমিস্ট্রি, বায়োকেমিস্ট্রি, বায়োটেকনোলজি এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ের ওপর স্কলারশিপ বেশি দেওয়া হয়। মেডিকেল বিষয়ে মোটামুটি কম। এ ছাড়া ইরাসমাস-মুন্ডাস স্কলারশিপ, আইনস্টাইন ইন্টারন্যাশনাল ফেলোশিপ, হামবোল্ট রিসার্চ ফেলোশিপ, হেনরিখ বোল স্কলারশিপ ইত্যাদি স্কলারশিপে পড়া যায়। স্কলারশিপে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি ফ্রি থাকে। এ ছাড়া ইউনিভার্সিটি বেজড স্কলারশিপ রয়েছে। সেগুলো জার্মান সম্পর্কে জানা এবং জার্মান ল্যাঙ্গুয়েজ লেভেল কতটুকু, তার ওপর নির্ভর করে। তবে ডাডই সবচেয়ে বড় স্কলারশিপ।
আবেদনের যোগ্যতা
জার্মানিতে আবেদনের জন্য পাসপোর্ট, এনআইডি, জন্মসনদ, নাগরিক সনদ লাগবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও ভিসার জন্যও কাগজপত্র লাগবে। আবেদনের ক্ষেত্রে অনার্সে আবেদন না করাই ভালো। কারণ, এতে তেমন স্কলারশিপ পাওয়া যায় না। পাশাপাশি খরচও অনেক বেশি। স্নাতকোত্তরে আবেদনের জন্য স্নাতকের ট্রান্সস্ক্রিপ্ট, কাজের অভিজ্ঞতা, মোটিভেশনাল লেটার, ইউরোপাস ফরম্যাটের সিভি, রিকমেন্ডেশন লেটার, আইইএলটিএস স্কোর ন্যূনতম ৬ হতে হবে। কোনো ব্যান্ডে ৬-এর নিচে থাকা যাবে না। নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় অনুযায়ী যোগ্যতা পূরণ করতে হবে। এতে আইইএলটিএস স্কোর ন্যূনতম ৬ এবং স্নাতকের ফল সিজিপিএ ৩ পয়েন্ট হলে ভালো হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয় অনুযায়ী এর থেকে কম স্কোর ও পয়েন্টে হওয়া যায়।
কোন সময় আবেদন
জার্মানিতে উইন্টার সেশন অক্টোবরে এবং স্প্রিং সেশন শুরু হয় ফেব্রুয়ারিতে। জার্মানি উইন্টারে সবচেয়ে বেশি কোর্স অফার করে। ইউনি-অ্যাসিস্টে সব ডেডলাইন দেওয়া থাকে। তা ছাড়া তারা এ নিয়মই ফলো করে। বছরের দুই সেমিস্টারে আবেদন করা যায়। এতে ভিসা জটিলতা হলে অন্য সেমিস্টারে যাওয়ার সুযোগ থাকে। ইয়ার রাউন্ডে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় সুযোগ দেয়। এতে আবেদনের জন্য সেমিস্টার শুরু হওয়ার দুই-তিন মাস আগে সার্কুলার জারি করা হয়। সেখানে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবেদন করতে বলা হয়।
যেভাবে আবেদন
আবেদনের ক্ষেত্রে প্রথমেই ইউনি-অ্যাসিস্টে একটা অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড সংরক্ষিত রাখতে হবে। ওয়েবসাইটে সাবজেক্ট চয়েস বারে ক্লিক করলে ইউনিভার্সিটি, স্কলারশিপে আবেদন—সব তথ্যই চলে আসবে। আবেদনের ক্ষেত্রে প্রথমবারের জন্য কোনো টাকা দিতে হবে না। তবে বেশি আবেদন করলে ইউনিভার্সিটি অনুযায়ী ৩০০-৭০০ ইউরো খরচ গুনতে হবে। উচ্চমানের ইউনিভার্সিটিতে আবেদনে খরচটা একটু বেশি আসে। শহরের বাইরের ক্যাম্পাসগুলোতে আবেদনের খরচ কম। ওয়েবসাইট অনুযায়ী আবেদন করতে হবে। এতে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টারকার্ড বা ভিসা কার্ড লাগবে। টাকা ইউরোতে কনভার্ট করে আবেদন করা যাবে। প্রধানত অনলাইন বেজড আবেদন করতে হয়।
জার্মান ভাষা শিখব
জার্মান ভাষা শেখা ভালো। তাই বলে জার্মান ভাষা শেখা নেই এবং যাওয়ার আগে জার্মান ভাষা শিখতে হবে, এমন নয়। জার্মানিতে থাকতে জার্মান ভাষা শেখার অনেক সুযোগ রয়েছে। জার্মানিতে ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীদের ভাষার কোর্স করানো হয় এবং ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব রয়েছে। তা ছাড়া প্রাইভেটভাবে জার্মান ভাষা শেখা যায়। স্টুডেন্টদের জন্য মাস্টার্স প্রোগ্রাম ইংরেজি বেজড হয়ে থাকে। যাঁরা জার্মানিতে যাবেন অনার্সের শেষ দিকে এসে জার্মান ভাষা শিখতে পারেন। ঢাকায় গ্যোটে ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাঙ্গুয়েজ ইনস্টিটিউটে জার্মান ভাষা শেখানো হয়। এ ছাড়া অনলাইনে জার্মান ভাষা শেখার জন্য ইউটিউবে ভিডিও আছে। জার্মান ভাষা শিখে গেলে ছাত্র অবস্থায় চাকরি পাওয়া, ডাক্তার দেখানো, শপিং করা—এ ধরনের জায়গায় সুবিধা পাওয়া যাবে। ভাষা শিখে গেলে অন্যদের তুলনায় এগিয়ে থাকা যাবে। তবে ভাষা না শিখলেও তেমন সমস্যা নেই।
পড়ালেখার পাশাপাশি কাজ
জার্মানিতে লেখাপড়ার পাশাপাশি সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা কাজ করার সুযোগ থাকবে। বড় শহরগুলোতে কাজের সুযোগ বেশি। আর ছোট শহরে কাজের সুযোগ কম। গ্রীষ্মকালে তিন মাস বন্ধ থাকে, তখন চাইলে ফুলটাইম কাজ করা যাবে। অনেক সময় ইউনিভার্সিটিগুলোতে কাজের সুযোগ থাকে। প্রথমদিকে ক্যাফেটেরিয়া, ক্লিনিং, ওয়েটার এসব ছোটখাটো কাজ করতে হয়। এ ছাড়া হোটেল, রেস্তোরাঁ, বারে কাজসহ ফুড ডেলিভারি হিসেবে কাজ করা যায়। তবে লেখাপড়ার ক্ষতি করে কাজ করা ঠিক নয়। দুই বছরের মাস্টার্স কোর্স পাঁচ বছরের মধ্যে করতে না পারলে জার্মানি ছাড়তে হবে। স্টুডেন্টরা পড়াশোনা করছেন কি না, ভিসা ঠিক আছে কি না; তারা এসব তদারকি করে। বিদেশে নিজের সম্মান রাখার পাশাপাশি দেশের সম্মানও রাখবে। ইউনিভার্সিটির কাছাকাছি কাজ পাওয়াটা ভাগ্যের ব্যাপার। আমি নিজেও রেস্টুরেন্টে কাজ করেছি। আবার পড়াশোনার ক্ষতি হলে কাজ বাদ দিয়েছি।
জার্মানিতে চাকরির সুযোগ
যে সাবজেক্টে উচ্চশিক্ষা নেবে জার্মানিতে সেই সাবজেক্টে চাকরি খুঁজতে হবে। সে জন্য পড়াশোনার পর প্রায় ১৮ মাস জার্মান সরকার সময় দিয়ে থাকে। এর মধ্যে জার্মান ভাষা বি-১ লেভেলে নিয়ে গেলে সেটা প্রমাণ করতে হবে। চাকরির সুবাদে জার্মানিতে সেটেল্ড হওয়া যায়। লেখাপড়ার পাশাপাশি অনেক বাংলাদেশি সেখানে চাকরি করছেন। তবে চাকরি খুঁজে না পেলে নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। অনেক সাবজেক্টে পড়াশোনার পাশাপাশি ইন্টার্নশিপ করতে হয়। গ্র্যাজুয়েশনের পর সেসব প্রতিষ্ঠানে এমনিতে চাকরি হয়ে যায়। প্রতিষ্ঠানগুলো তখন ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর ক্ষেত্রে সহযোগিতা করে থাকে। এ ছাড়া অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে। ভাষা সমস্যা ও শারীরিক অক্ষমতা না থাকলে ১৮ মাসের মধ্যে জার্মানিতে চাকরি পাওয়া কঠিন বিষয় নয়।
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম

জার্মানিতে বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে ইউনি-অ্যাসিস্ট। এই ওয়েবসাইটে বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনের জন্য বিভিন্ন ফি নির্ধারণ করা হয়। এ ছাড়া প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কো-অর্ডিনেটরকে ই-মেইল করলে তারা জানিয়ে দেয়। তবে ইউনি-অ্যাসিস্ট হচ্ছে সবচেয়ে ভালো মাধ্যম। এ ছাড়া ডাড স্কলারশিপের মধ্যে দেওয়া থাকে কীভাবে আবেদন করতে হয়। অনেক সময় ই-মেইলে ভর্তি হওয়া যায়। ডাড স্কলারশিপে বিশ্ববিদ্যালয় সিলেক্ট করে ভর্তি হওয়া যায়। জার্মানিতে বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে ডাড আর ইউনি-অ্যাসিস্ট সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম।
জার্মানিতে স্কলারশিপ
জার্মানিতে ডাড হচ্ছে সবচেয়ে বড় স্কলারশিপ প্ল্যাটফর্ম। এতে বেসিক সায়েন্স, যেমন ফিজিকস, ম্যাথ, কেমিস্ট্রি, বায়োকেমিস্ট্রি, বায়োটেকনোলজি এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ের ওপর স্কলারশিপ বেশি দেওয়া হয়। মেডিকেল বিষয়ে মোটামুটি কম। এ ছাড়া ইরাসমাস-মুন্ডাস স্কলারশিপ, আইনস্টাইন ইন্টারন্যাশনাল ফেলোশিপ, হামবোল্ট রিসার্চ ফেলোশিপ, হেনরিখ বোল স্কলারশিপ ইত্যাদি স্কলারশিপে পড়া যায়। স্কলারশিপে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি ফ্রি থাকে। এ ছাড়া ইউনিভার্সিটি বেজড স্কলারশিপ রয়েছে। সেগুলো জার্মান সম্পর্কে জানা এবং জার্মান ল্যাঙ্গুয়েজ লেভেল কতটুকু, তার ওপর নির্ভর করে। তবে ডাডই সবচেয়ে বড় স্কলারশিপ।
আবেদনের যোগ্যতা
জার্মানিতে আবেদনের জন্য পাসপোর্ট, এনআইডি, জন্মসনদ, নাগরিক সনদ লাগবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও ভিসার জন্যও কাগজপত্র লাগবে। আবেদনের ক্ষেত্রে অনার্সে আবেদন না করাই ভালো। কারণ, এতে তেমন স্কলারশিপ পাওয়া যায় না। পাশাপাশি খরচও অনেক বেশি। স্নাতকোত্তরে আবেদনের জন্য স্নাতকের ট্রান্সস্ক্রিপ্ট, কাজের অভিজ্ঞতা, মোটিভেশনাল লেটার, ইউরোপাস ফরম্যাটের সিভি, রিকমেন্ডেশন লেটার, আইইএলটিএস স্কোর ন্যূনতম ৬ হতে হবে। কোনো ব্যান্ডে ৬-এর নিচে থাকা যাবে না। নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় অনুযায়ী যোগ্যতা পূরণ করতে হবে। এতে আইইএলটিএস স্কোর ন্যূনতম ৬ এবং স্নাতকের ফল সিজিপিএ ৩ পয়েন্ট হলে ভালো হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয় অনুযায়ী এর থেকে কম স্কোর ও পয়েন্টে হওয়া যায়।
কোন সময় আবেদন
জার্মানিতে উইন্টার সেশন অক্টোবরে এবং স্প্রিং সেশন শুরু হয় ফেব্রুয়ারিতে। জার্মানি উইন্টারে সবচেয়ে বেশি কোর্স অফার করে। ইউনি-অ্যাসিস্টে সব ডেডলাইন দেওয়া থাকে। তা ছাড়া তারা এ নিয়মই ফলো করে। বছরের দুই সেমিস্টারে আবেদন করা যায়। এতে ভিসা জটিলতা হলে অন্য সেমিস্টারে যাওয়ার সুযোগ থাকে। ইয়ার রাউন্ডে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় সুযোগ দেয়। এতে আবেদনের জন্য সেমিস্টার শুরু হওয়ার দুই-তিন মাস আগে সার্কুলার জারি করা হয়। সেখানে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবেদন করতে বলা হয়।
যেভাবে আবেদন
আবেদনের ক্ষেত্রে প্রথমেই ইউনি-অ্যাসিস্টে একটা অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড সংরক্ষিত রাখতে হবে। ওয়েবসাইটে সাবজেক্ট চয়েস বারে ক্লিক করলে ইউনিভার্সিটি, স্কলারশিপে আবেদন—সব তথ্যই চলে আসবে। আবেদনের ক্ষেত্রে প্রথমবারের জন্য কোনো টাকা দিতে হবে না। তবে বেশি আবেদন করলে ইউনিভার্সিটি অনুযায়ী ৩০০-৭০০ ইউরো খরচ গুনতে হবে। উচ্চমানের ইউনিভার্সিটিতে আবেদনে খরচটা একটু বেশি আসে। শহরের বাইরের ক্যাম্পাসগুলোতে আবেদনের খরচ কম। ওয়েবসাইট অনুযায়ী আবেদন করতে হবে। এতে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টারকার্ড বা ভিসা কার্ড লাগবে। টাকা ইউরোতে কনভার্ট করে আবেদন করা যাবে। প্রধানত অনলাইন বেজড আবেদন করতে হয়।
জার্মান ভাষা শিখব
জার্মান ভাষা শেখা ভালো। তাই বলে জার্মান ভাষা শেখা নেই এবং যাওয়ার আগে জার্মান ভাষা শিখতে হবে, এমন নয়। জার্মানিতে থাকতে জার্মান ভাষা শেখার অনেক সুযোগ রয়েছে। জার্মানিতে ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীদের ভাষার কোর্স করানো হয় এবং ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব রয়েছে। তা ছাড়া প্রাইভেটভাবে জার্মান ভাষা শেখা যায়। স্টুডেন্টদের জন্য মাস্টার্স প্রোগ্রাম ইংরেজি বেজড হয়ে থাকে। যাঁরা জার্মানিতে যাবেন অনার্সের শেষ দিকে এসে জার্মান ভাষা শিখতে পারেন। ঢাকায় গ্যোটে ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাঙ্গুয়েজ ইনস্টিটিউটে জার্মান ভাষা শেখানো হয়। এ ছাড়া অনলাইনে জার্মান ভাষা শেখার জন্য ইউটিউবে ভিডিও আছে। জার্মান ভাষা শিখে গেলে ছাত্র অবস্থায় চাকরি পাওয়া, ডাক্তার দেখানো, শপিং করা—এ ধরনের জায়গায় সুবিধা পাওয়া যাবে। ভাষা শিখে গেলে অন্যদের তুলনায় এগিয়ে থাকা যাবে। তবে ভাষা না শিখলেও তেমন সমস্যা নেই।
পড়ালেখার পাশাপাশি কাজ
জার্মানিতে লেখাপড়ার পাশাপাশি সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা কাজ করার সুযোগ থাকবে। বড় শহরগুলোতে কাজের সুযোগ বেশি। আর ছোট শহরে কাজের সুযোগ কম। গ্রীষ্মকালে তিন মাস বন্ধ থাকে, তখন চাইলে ফুলটাইম কাজ করা যাবে। অনেক সময় ইউনিভার্সিটিগুলোতে কাজের সুযোগ থাকে। প্রথমদিকে ক্যাফেটেরিয়া, ক্লিনিং, ওয়েটার এসব ছোটখাটো কাজ করতে হয়। এ ছাড়া হোটেল, রেস্তোরাঁ, বারে কাজসহ ফুড ডেলিভারি হিসেবে কাজ করা যায়। তবে লেখাপড়ার ক্ষতি করে কাজ করা ঠিক নয়। দুই বছরের মাস্টার্স কোর্স পাঁচ বছরের মধ্যে করতে না পারলে জার্মানি ছাড়তে হবে। স্টুডেন্টরা পড়াশোনা করছেন কি না, ভিসা ঠিক আছে কি না; তারা এসব তদারকি করে। বিদেশে নিজের সম্মান রাখার পাশাপাশি দেশের সম্মানও রাখবে। ইউনিভার্সিটির কাছাকাছি কাজ পাওয়াটা ভাগ্যের ব্যাপার। আমি নিজেও রেস্টুরেন্টে কাজ করেছি। আবার পড়াশোনার ক্ষতি হলে কাজ বাদ দিয়েছি।
জার্মানিতে চাকরির সুযোগ
যে সাবজেক্টে উচ্চশিক্ষা নেবে জার্মানিতে সেই সাবজেক্টে চাকরি খুঁজতে হবে। সে জন্য পড়াশোনার পর প্রায় ১৮ মাস জার্মান সরকার সময় দিয়ে থাকে। এর মধ্যে জার্মান ভাষা বি-১ লেভেলে নিয়ে গেলে সেটা প্রমাণ করতে হবে। চাকরির সুবাদে জার্মানিতে সেটেল্ড হওয়া যায়। লেখাপড়ার পাশাপাশি অনেক বাংলাদেশি সেখানে চাকরি করছেন। তবে চাকরি খুঁজে না পেলে নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। অনেক সাবজেক্টে পড়াশোনার পাশাপাশি ইন্টার্নশিপ করতে হয়। গ্র্যাজুয়েশনের পর সেসব প্রতিষ্ঠানে এমনিতে চাকরি হয়ে যায়। প্রতিষ্ঠানগুলো তখন ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর ক্ষেত্রে সহযোগিতা করে থাকে। এ ছাড়া অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে। ভাষা সমস্যা ও শারীরিক অক্ষমতা না থাকলে ১৮ মাসের মধ্যে জার্মানিতে চাকরি পাওয়া কঠিন বিষয় নয়।
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) মিডিয়া অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন (এমএমসি) বিভাগ আয়োজিত ‘১০ম কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম এডুকেটরস নেটওয়ার্ক (সিজেন) কনফারেন্স ২০২৫’ ২৪ ও ২৫ অক্টোবর এআইইউবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিডব্লিউ একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দ
৮ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) এইচএসসি পরীক্ষা-২০২৫-এর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর গড় পাসের হার ৬২ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাবিবুল্যাহ মাহামুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১১ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের নানা প্রান্তের তরুণেরা যখন পরিবর্তনের স্বপ্নে ভবিষ্যৎ গড়ছেন, তখন সেই স্বপ্নবাজদের সারিতে বাংলাদেশের তরুণ আমিমুল এহসান খান যোগ করেছেন এক অনন্য অধ্যায়। সম্প্রতি তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’ হিসেবে। বিশ্বের ৫০ জন তরুণের মধ্য থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি।
২১ ঘণ্টা আগে
দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধের ঝুঁকি। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, অনলাইন প্রতারণা কিংবা ডিপফেক ভিডিও—সবকিছু মিলিয়ে এখন সাইবার অপরাধ এক বড় সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) মিডিয়া অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন (এমএমসি) বিভাগ আয়োজিত ‘১০ম কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম এডুকেটরস নেটওয়ার্ক (সিজেন) কনফারেন্স ২০২৫’ ২৪ ও ২৫ অক্টোবর এআইইউবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিডব্লিউ একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া শিক্ষাবিদ, গণমাধ্যম পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
এবারের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘মিডিয়া ট্রান্সফর্মড: বাংলাদেশ অ্যাট এ ক্রসরোড’।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এআইইউবির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ড. হাসানুল এ. হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিডব্লিউ একাডেমির প্রজেক্ট ম্যানেজার মিস জিমি আমির। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এআইইউবি ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর ড. কারমেন জিটা লামাগনা, এআইইউবির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম, প্রো ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আব্দুর রহমান, ফ্যাকাল্টি অব আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের (এফএএসএস) ডিন প্রফেসর ড. তাজুল ইসলাম, এমএমসি বিভাগের উপদেষ্টা ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গণমাধ্যম পেশাজীবীরা।
অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য দেন এমএমসি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মিস রানি এলেন ভি রামোস। দুই দিনব্যাপী এই কনফারেন্সে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন, প্যানেল আলোচনা এবং একাডেমিক পেপার সেশন অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে ২৪ অক্টোবর কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) মিডিয়া অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন (এমএমসি) বিভাগ আয়োজিত ‘১০ম কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম এডুকেটরস নেটওয়ার্ক (সিজেন) কনফারেন্স ২০২৫’ ২৪ ও ২৫ অক্টোবর এআইইউবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিডব্লিউ একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া শিক্ষাবিদ, গণমাধ্যম পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
এবারের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘মিডিয়া ট্রান্সফর্মড: বাংলাদেশ অ্যাট এ ক্রসরোড’।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এআইইউবির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ড. হাসানুল এ. হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিডব্লিউ একাডেমির প্রজেক্ট ম্যানেজার মিস জিমি আমির। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এআইইউবি ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর ড. কারমেন জিটা লামাগনা, এআইইউবির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম, প্রো ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আব্দুর রহমান, ফ্যাকাল্টি অব আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের (এফএএসএস) ডিন প্রফেসর ড. তাজুল ইসলাম, এমএমসি বিভাগের উপদেষ্টা ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গণমাধ্যম পেশাজীবীরা।
অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য দেন এমএমসি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মিস রানি এলেন ভি রামোস। দুই দিনব্যাপী এই কনফারেন্সে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন, প্যানেল আলোচনা এবং একাডেমিক পেপার সেশন অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে ২৪ অক্টোবর কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।

উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে জার্মানি অন্যতম। প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে যেসব শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি জমান, তাঁদের অনেকেরই পছন্দের দেশ জার্মানি। পড়ালেখা শেষে গবেষণা ও পূর্ণকালীন কাজ করার সুযোগ, জীবনযাত্রার উচ্চমানই মূলত আকৃষ্ট করে তাঁদের।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) এইচএসসি পরীক্ষা-২০২৫-এর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর গড় পাসের হার ৬২ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাবিবুল্যাহ মাহামুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১১ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের নানা প্রান্তের তরুণেরা যখন পরিবর্তনের স্বপ্নে ভবিষ্যৎ গড়ছেন, তখন সেই স্বপ্নবাজদের সারিতে বাংলাদেশের তরুণ আমিমুল এহসান খান যোগ করেছেন এক অনন্য অধ্যায়। সম্প্রতি তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’ হিসেবে। বিশ্বের ৫০ জন তরুণের মধ্য থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি।
২১ ঘণ্টা আগে
দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধের ঝুঁকি। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, অনলাইন প্রতারণা কিংবা ডিপফেক ভিডিও—সবকিছু মিলিয়ে এখন সাইবার অপরাধ এক বড় সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) এইচএসসি পরীক্ষা-২০২৫-এর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর গড় পাসের হার ৬২ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাবিবুল্যাহ মাহামুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ বছর প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষ মিলিয়ে মোট ৩৮ হাজার ৩৪২ জন শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ৩১ হাজার ৪২১ জন শিক্ষার্থী। আর চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেন ১৬ হাজার ৭৮৩ জন, যার মধ্যে ১০ হাজার ৪৬৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫ হাজার ৬৪০ জন ছাত্র ও ৪ হাজার ৮২৩ জন ছাত্রী। পরীক্ষার ফল বাউবির ওয়েবসাইট (result.bou.ac.bd) থেকে জানা যাবে।

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) এইচএসসি পরীক্ষা-২০২৫-এর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর গড় পাসের হার ৬২ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাবিবুল্যাহ মাহামুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ বছর প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষ মিলিয়ে মোট ৩৮ হাজার ৩৪২ জন শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ৩১ হাজার ৪২১ জন শিক্ষার্থী। আর চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেন ১৬ হাজার ৭৮৩ জন, যার মধ্যে ১০ হাজার ৪৬৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫ হাজার ৬৪০ জন ছাত্র ও ৪ হাজার ৮২৩ জন ছাত্রী। পরীক্ষার ফল বাউবির ওয়েবসাইট (result.bou.ac.bd) থেকে জানা যাবে।

উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে জার্মানি অন্যতম। প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে যেসব শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি জমান, তাঁদের অনেকেরই পছন্দের দেশ জার্মানি। পড়ালেখা শেষে গবেষণা ও পূর্ণকালীন কাজ করার সুযোগ, জীবনযাত্রার উচ্চমানই মূলত আকৃষ্ট করে তাঁদের।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) মিডিয়া অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন (এমএমসি) বিভাগ আয়োজিত ‘১০ম কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম এডুকেটরস নেটওয়ার্ক (সিজেন) কনফারেন্স ২০২৫’ ২৪ ও ২৫ অক্টোবর এআইইউবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিডব্লিউ একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দ
৮ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের নানা প্রান্তের তরুণেরা যখন পরিবর্তনের স্বপ্নে ভবিষ্যৎ গড়ছেন, তখন সেই স্বপ্নবাজদের সারিতে বাংলাদেশের তরুণ আমিমুল এহসান খান যোগ করেছেন এক অনন্য অধ্যায়। সম্প্রতি তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’ হিসেবে। বিশ্বের ৫০ জন তরুণের মধ্য থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি।
২১ ঘণ্টা আগে
দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধের ঝুঁকি। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, অনলাইন প্রতারণা কিংবা ডিপফেক ভিডিও—সবকিছু মিলিয়ে এখন সাইবার অপরাধ এক বড় সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
১ দিন আগেআব্দুর রাজ্জাক খান

বিশ্বের নানা প্রান্তের তরুণেরা যখন পরিবর্তনের স্বপ্নে ভবিষ্যৎ গড়ছেন, তখন সেই স্বপ্নবাজদের সারিতে বাংলাদেশের তরুণ আমিমুল এহসান খান যোগ করেছেন এক অনন্য অধ্যায়। সম্প্রতি তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’ হিসেবে। বিশ্বের ৫০ জন তরুণের মধ্য থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে ২০ থেকে ২৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত গ্লোবাল ইয়ুথ সামিট ২০২৫-এ অংশ নেন আমিমুল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৫০ তরুণ নেতাকে নিয়ে আয়োজিত এই সামিটে আলোচনা হয় নেতৃত্ব, টেকসই উন্নয়ন, সামাজিক পরিবর্তন ও বৈশ্বিক সহযোগিতা নিয়ে। এই সম্মেলন ছিল ফুল ফান্ডেড। সামিটে অংশগ্রহণ করা তরুণদের সব ব্যয় বহন করেছে আয়োজক সংস্থা।
টোকিও থেকে বিশ্বমঞ্চে
আমিমুলের উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন হয়েছে জাপানের টোকিও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পেয়েছেন ৮০ শতাংশ স্কলারশিপ, পাশাপাশি জাপান সরকারের এক বছরের বৃত্তিও পেয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি কাজ করছেন অ্যাওয়ারনেস ৩৬০ নামের একটি বৈশ্বিক তরুণ নেতৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠানে প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট লিড হিসেবে। পাশাপাশি জাপানের এশিয়ান বিজনেস নেটওয়ার্কে তিনি মার্কেটিং ম্যানেজার পদেও কর্মরত।
পরিবর্তনের পথে নেতৃত্ব
নিজের যাত্রা নিয়ে আমিমুল বলেন, ‘আমি এই সুযোগ পেয়েছি যুব ক্ষমতায়নমূলক কাজের জন্য, যা আমি অ্যাওয়ারনেস ৩৬০-এর সঙ্গে করে আসছি। আমি একা পৃথিবী বদলাতে পারব না জানি, তাই আমি অন্যদের অনুপ্রাণিত করছি, যাতে তারাও পরিবর্তনের পথে এগিয়ে আসে।’

তাঁর নেতৃত্বে প্রতিবছর আয়োজিত হয় অ্যাওয়ারনেস ৩৬০ ফেলোশিপ প্রোগ্রাম। যেখানে তরুণদের শেখানো হয় নেতৃত্ব, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ও সামাজিক প্রভাব তৈরির দক্ষতা। পাঁচ বছর ধরে প্রতিবছর এই উদ্যোগে যুক্ত হয়েছেন বিশ্বের ৭০টির বেশি দেশের প্রায় ৫০০ তরুণ।
পুরস্কার ও স্বীকৃতি
যুবসমাজের জন্য নিরলস পরিশ্রমের স্বীকৃতি হিসেবে ২০২২ সালে আমিমুল পেয়েছিলেন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ‘দ্য ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড’। এটি ছিল তরুণ নেতৃত্ব এবং সামাজিক প্রভাব তৈরির অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার।
অনুপ্রেরণার বার্তা
দক্ষিণ আফ্রিকার সামিটে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা তাঁকে আরও দৃঢ় করেছে। তিনি বলেন, ‘এই সম্মেলনে অংশ নিয়ে বুঝেছি, পৃথিবীর প্রত্যেক তরুণই পরিবর্তনের বাহক হতে পারে। আমাদের চিন্তা, কাজ আর সহযোগিতার মাধ্যমে গড়ে উঠতে পারে এক সুন্দর, টেকসই ভবিষ্যৎ।’

বিশ্বের নানা প্রান্তের তরুণেরা যখন পরিবর্তনের স্বপ্নে ভবিষ্যৎ গড়ছেন, তখন সেই স্বপ্নবাজদের সারিতে বাংলাদেশের তরুণ আমিমুল এহসান খান যোগ করেছেন এক অনন্য অধ্যায়। সম্প্রতি তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’ হিসেবে। বিশ্বের ৫০ জন তরুণের মধ্য থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে ২০ থেকে ২৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত গ্লোবাল ইয়ুথ সামিট ২০২৫-এ অংশ নেন আমিমুল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৫০ তরুণ নেতাকে নিয়ে আয়োজিত এই সামিটে আলোচনা হয় নেতৃত্ব, টেকসই উন্নয়ন, সামাজিক পরিবর্তন ও বৈশ্বিক সহযোগিতা নিয়ে। এই সম্মেলন ছিল ফুল ফান্ডেড। সামিটে অংশগ্রহণ করা তরুণদের সব ব্যয় বহন করেছে আয়োজক সংস্থা।
টোকিও থেকে বিশ্বমঞ্চে
আমিমুলের উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন হয়েছে জাপানের টোকিও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পেয়েছেন ৮০ শতাংশ স্কলারশিপ, পাশাপাশি জাপান সরকারের এক বছরের বৃত্তিও পেয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি কাজ করছেন অ্যাওয়ারনেস ৩৬০ নামের একটি বৈশ্বিক তরুণ নেতৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠানে প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট লিড হিসেবে। পাশাপাশি জাপানের এশিয়ান বিজনেস নেটওয়ার্কে তিনি মার্কেটিং ম্যানেজার পদেও কর্মরত।
পরিবর্তনের পথে নেতৃত্ব
নিজের যাত্রা নিয়ে আমিমুল বলেন, ‘আমি এই সুযোগ পেয়েছি যুব ক্ষমতায়নমূলক কাজের জন্য, যা আমি অ্যাওয়ারনেস ৩৬০-এর সঙ্গে করে আসছি। আমি একা পৃথিবী বদলাতে পারব না জানি, তাই আমি অন্যদের অনুপ্রাণিত করছি, যাতে তারাও পরিবর্তনের পথে এগিয়ে আসে।’

তাঁর নেতৃত্বে প্রতিবছর আয়োজিত হয় অ্যাওয়ারনেস ৩৬০ ফেলোশিপ প্রোগ্রাম। যেখানে তরুণদের শেখানো হয় নেতৃত্ব, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ও সামাজিক প্রভাব তৈরির দক্ষতা। পাঁচ বছর ধরে প্রতিবছর এই উদ্যোগে যুক্ত হয়েছেন বিশ্বের ৭০টির বেশি দেশের প্রায় ৫০০ তরুণ।
পুরস্কার ও স্বীকৃতি
যুবসমাজের জন্য নিরলস পরিশ্রমের স্বীকৃতি হিসেবে ২০২২ সালে আমিমুল পেয়েছিলেন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ‘দ্য ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড’। এটি ছিল তরুণ নেতৃত্ব এবং সামাজিক প্রভাব তৈরির অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার।
অনুপ্রেরণার বার্তা
দক্ষিণ আফ্রিকার সামিটে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা তাঁকে আরও দৃঢ় করেছে। তিনি বলেন, ‘এই সম্মেলনে অংশ নিয়ে বুঝেছি, পৃথিবীর প্রত্যেক তরুণই পরিবর্তনের বাহক হতে পারে। আমাদের চিন্তা, কাজ আর সহযোগিতার মাধ্যমে গড়ে উঠতে পারে এক সুন্দর, টেকসই ভবিষ্যৎ।’

উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে জার্মানি অন্যতম। প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে যেসব শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি জমান, তাঁদের অনেকেরই পছন্দের দেশ জার্মানি। পড়ালেখা শেষে গবেষণা ও পূর্ণকালীন কাজ করার সুযোগ, জীবনযাত্রার উচ্চমানই মূলত আকৃষ্ট করে তাঁদের।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) মিডিয়া অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন (এমএমসি) বিভাগ আয়োজিত ‘১০ম কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম এডুকেটরস নেটওয়ার্ক (সিজেন) কনফারেন্স ২০২৫’ ২৪ ও ২৫ অক্টোবর এআইইউবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিডব্লিউ একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দ
৮ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) এইচএসসি পরীক্ষা-২০২৫-এর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর গড় পাসের হার ৬২ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাবিবুল্যাহ মাহামুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১১ ঘণ্টা আগে
দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধের ঝুঁকি। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, অনলাইন প্রতারণা কিংবা ডিপফেক ভিডিও—সবকিছু মিলিয়ে এখন সাইবার অপরাধ এক বড় সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
১ দিন আগেনওসাদ আল সাইম

দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধের ঝুঁকি। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, অনলাইন প্রতারণা কিংবা ডিপফেক ভিডিও—সবকিছু মিলিয়ে এখন সাইবার অপরাধ এক বড় সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
সাইবার এইড বাংলাদেশের সাম্প্রতিক জরিপ অনুযায়ী, ডিপফেক ও এআইনির্ভর অপরাধের হার এখন ২৩ শতাংশের বেশি। সোশ্যাল মিডিয়া হ্যাকিং ২১ শতাংশ, ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে অপপ্রচার ১৫ শতাংশ, ই-কমার্স প্রতারণা ১৫ শতাংশ এবং অনলাইন হুমকি ১১ শতাংশ। ভুক্তভোগীদের প্রায় ৭৯ শতাংশের বয়স ১৮-৩০ বছরের মধ্যে, তাঁদের ৫৯ শতাংশই নারী।
অধিকাংশ ভুক্তভোগী জানেন না, কোথায় অভিযোগ করতে হবে। জরিপে দেখা গেছে, ৪২ শতাংশ অভিযোগ দাখিলের সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে অজ্ঞ এবং যাঁরা অভিযোগ করেন, তাঁদের মাত্র ১২ শতাংশ আইনি প্রতিকার পান। ফলে সচেতনতার অভাব ও আইনি কাঠামোর সীমাবদ্ধতায় সাইবার নিরাপত্তা এখন দেশের বড় এক চ্যালেঞ্জ।
এই বাস্তবতায় এগিয়ে এসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আরাফাত চৌধুরী। ২০২২ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘সাইবার এইড বাংলাদেশ’, যা সাইবার অপরাধের শিকার মানুষের আইনি সহায়তা এবং মানসিক সাপোর্ট দেয়। মাত্র তিন বছরের ব্যবধানে সংগঠনটি দেশে সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলছে।
আরাফাত বলেন, ‘সাইবার অপরাধ শুধু মানসিক যন্ত্রণা নয়, সামাজিক মর্যাদাহানির কারণও। কিন্তু বেশির ভাগ ভুক্তভোগী ভয় বা লজ্জায় মুখ খুলতে চান না।’ সংগঠনের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ১ হাজার ৭৬১ জন এবং অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রায়
৪ হাজার মানুষ সাইবার এইডের সহায়তা পেয়েছেন। সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে ৭৬ শতাংশই নারী। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ আসে ব্ল্যাকমেল ও ই-কমার্স প্রতারণা-সংক্রান্ত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান সুমনা বলেন, ‘একজন আমার ব্যক্তিগত ছবি ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেল করতে থাকে। কী করব বুঝতে পারছিলাম না। তখন সাইবার এইডে যোগাযোগ করি। শুধু আইনি সহায়তাই নয়; মানসিকভাবেও তারা পাশে দাঁড়ায়।’
অন্যদিকে জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘অনলাইনে একটি পেজ থেকে আইফোন কিনতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছিলাম। সাইবার এইডের সহায়তায় পুলিশে অভিযোগ করতে পারি। এখন অন্তত জানি, প্রতারণার শিকার হলে চুপ করে না থেকে লড়াই করা যায়।’
শুধু আইনি সহায়তা নয়, সচেতনতা সৃষ্টিতেও কাজ করছে সংগঠনটি। এ পর্যন্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইবার সচেতনতা ক্যাম্পেইন এবং বিভাগীয় শহর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ৫৬টির বেশি সেমিনার ও প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছে তারা। অনলাইনে ‘বেসিক সাইবার লিটারেসি’, ‘সাইবার স্পেস সিকিউরিটি’ ও ‘ডিজিটাল ফরেনসিক’ কোর্স চালু করেছে। ভবিষ্যতে চালু হবে একটি মোবাইল অ্যাপ, যেখানে থাকবে লাইভ চ্যাট সাপোর্ট, এআইনির্ভর নিরাপত্তা নির্দেশনা এবং দ্রুত অভিযোগ দাখিলের সুবিধা।
ভুক্তভোগীরা হটলাইন, ফেসবুক পেজ বা গ্রুপের মাধ্যমে অভিযোগ করলে সাইবার এইড বাংলাদেশ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন ও সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নিশ্চিত করে।
সাইবার অপরাধ বাড়ার পেছনে আরাফাত দুটি বড় কারণ দেখছেন। সেগুলো হলো সচেতনতার অভাব এবং আইনগত সীমাবদ্ধতা। তাঁর মতে, বেশির ভাগ সাইবার অপরাধ জামিনযোগ্য হওয়ায় অপরাধীদের ভয় কম। আবার ডিজিটাল প্রমাণ সংগ্রহে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দক্ষতায়ও ঘাটতি রয়েছে।
আরাফাতের বিশ্বাস, প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সাইবার ঝুঁকিও বাড়ছে। তাই প্রয়োজন আগাম প্রস্তুতি ও সচেতনতা। তাঁর ভাষায়, ‘আমরা চাই তরুণেরা শুধু প্রযুক্তির ব্যবহারকারী নয়, বরং প্রযুক্তির নিরাপত্তা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করুক।’
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট আল মামুন রাসেল বলেন, সাইবার এইড বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে সাইবার ক্রাইম ভিকটিমদের আইনি সহযোগিতা করে যাচ্ছে। পাশাপাশি সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। সাইবার ক্রাইম ভুক্তভোগীদের আইনি সহযোগিতা প্রদানে এটি অনন্য ও কার্যকরী উদ্যোগ।

দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধের ঝুঁকি। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, অনলাইন প্রতারণা কিংবা ডিপফেক ভিডিও—সবকিছু মিলিয়ে এখন সাইবার অপরাধ এক বড় সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
সাইবার এইড বাংলাদেশের সাম্প্রতিক জরিপ অনুযায়ী, ডিপফেক ও এআইনির্ভর অপরাধের হার এখন ২৩ শতাংশের বেশি। সোশ্যাল মিডিয়া হ্যাকিং ২১ শতাংশ, ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে অপপ্রচার ১৫ শতাংশ, ই-কমার্স প্রতারণা ১৫ শতাংশ এবং অনলাইন হুমকি ১১ শতাংশ। ভুক্তভোগীদের প্রায় ৭৯ শতাংশের বয়স ১৮-৩০ বছরের মধ্যে, তাঁদের ৫৯ শতাংশই নারী।
অধিকাংশ ভুক্তভোগী জানেন না, কোথায় অভিযোগ করতে হবে। জরিপে দেখা গেছে, ৪২ শতাংশ অভিযোগ দাখিলের সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে অজ্ঞ এবং যাঁরা অভিযোগ করেন, তাঁদের মাত্র ১২ শতাংশ আইনি প্রতিকার পান। ফলে সচেতনতার অভাব ও আইনি কাঠামোর সীমাবদ্ধতায় সাইবার নিরাপত্তা এখন দেশের বড় এক চ্যালেঞ্জ।
এই বাস্তবতায় এগিয়ে এসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আরাফাত চৌধুরী। ২০২২ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘সাইবার এইড বাংলাদেশ’, যা সাইবার অপরাধের শিকার মানুষের আইনি সহায়তা এবং মানসিক সাপোর্ট দেয়। মাত্র তিন বছরের ব্যবধানে সংগঠনটি দেশে সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলছে।
আরাফাত বলেন, ‘সাইবার অপরাধ শুধু মানসিক যন্ত্রণা নয়, সামাজিক মর্যাদাহানির কারণও। কিন্তু বেশির ভাগ ভুক্তভোগী ভয় বা লজ্জায় মুখ খুলতে চান না।’ সংগঠনের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ১ হাজার ৭৬১ জন এবং অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রায়
৪ হাজার মানুষ সাইবার এইডের সহায়তা পেয়েছেন। সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে ৭৬ শতাংশই নারী। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ আসে ব্ল্যাকমেল ও ই-কমার্স প্রতারণা-সংক্রান্ত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান সুমনা বলেন, ‘একজন আমার ব্যক্তিগত ছবি ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেল করতে থাকে। কী করব বুঝতে পারছিলাম না। তখন সাইবার এইডে যোগাযোগ করি। শুধু আইনি সহায়তাই নয়; মানসিকভাবেও তারা পাশে দাঁড়ায়।’
অন্যদিকে জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘অনলাইনে একটি পেজ থেকে আইফোন কিনতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছিলাম। সাইবার এইডের সহায়তায় পুলিশে অভিযোগ করতে পারি। এখন অন্তত জানি, প্রতারণার শিকার হলে চুপ করে না থেকে লড়াই করা যায়।’
শুধু আইনি সহায়তা নয়, সচেতনতা সৃষ্টিতেও কাজ করছে সংগঠনটি। এ পর্যন্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইবার সচেতনতা ক্যাম্পেইন এবং বিভাগীয় শহর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ৫৬টির বেশি সেমিনার ও প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছে তারা। অনলাইনে ‘বেসিক সাইবার লিটারেসি’, ‘সাইবার স্পেস সিকিউরিটি’ ও ‘ডিজিটাল ফরেনসিক’ কোর্স চালু করেছে। ভবিষ্যতে চালু হবে একটি মোবাইল অ্যাপ, যেখানে থাকবে লাইভ চ্যাট সাপোর্ট, এআইনির্ভর নিরাপত্তা নির্দেশনা এবং দ্রুত অভিযোগ দাখিলের সুবিধা।
ভুক্তভোগীরা হটলাইন, ফেসবুক পেজ বা গ্রুপের মাধ্যমে অভিযোগ করলে সাইবার এইড বাংলাদেশ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন ও সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নিশ্চিত করে।
সাইবার অপরাধ বাড়ার পেছনে আরাফাত দুটি বড় কারণ দেখছেন। সেগুলো হলো সচেতনতার অভাব এবং আইনগত সীমাবদ্ধতা। তাঁর মতে, বেশির ভাগ সাইবার অপরাধ জামিনযোগ্য হওয়ায় অপরাধীদের ভয় কম। আবার ডিজিটাল প্রমাণ সংগ্রহে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দক্ষতায়ও ঘাটতি রয়েছে।
আরাফাতের বিশ্বাস, প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সাইবার ঝুঁকিও বাড়ছে। তাই প্রয়োজন আগাম প্রস্তুতি ও সচেতনতা। তাঁর ভাষায়, ‘আমরা চাই তরুণেরা শুধু প্রযুক্তির ব্যবহারকারী নয়, বরং প্রযুক্তির নিরাপত্তা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করুক।’
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট আল মামুন রাসেল বলেন, সাইবার এইড বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে সাইবার ক্রাইম ভিকটিমদের আইনি সহযোগিতা করে যাচ্ছে। পাশাপাশি সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। সাইবার ক্রাইম ভুক্তভোগীদের আইনি সহযোগিতা প্রদানে এটি অনন্য ও কার্যকরী উদ্যোগ।

উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে জার্মানি অন্যতম। প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে যেসব শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি জমান, তাঁদের অনেকেরই পছন্দের দেশ জার্মানি। পড়ালেখা শেষে গবেষণা ও পূর্ণকালীন কাজ করার সুযোগ, জীবনযাত্রার উচ্চমানই মূলত আকৃষ্ট করে তাঁদের।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) মিডিয়া অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন (এমএমসি) বিভাগ আয়োজিত ‘১০ম কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম এডুকেটরস নেটওয়ার্ক (সিজেন) কনফারেন্স ২০২৫’ ২৪ ও ২৫ অক্টোবর এআইইউবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিডব্লিউ একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দ
৮ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) এইচএসসি পরীক্ষা-২০২৫-এর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর গড় পাসের হার ৬২ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাবিবুল্যাহ মাহামুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১১ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের নানা প্রান্তের তরুণেরা যখন পরিবর্তনের স্বপ্নে ভবিষ্যৎ গড়ছেন, তখন সেই স্বপ্নবাজদের সারিতে বাংলাদেশের তরুণ আমিমুল এহসান খান যোগ করেছেন এক অনন্য অধ্যায়। সম্প্রতি তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’ হিসেবে। বিশ্বের ৫০ জন তরুণের মধ্য থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি।
২১ ঘণ্টা আগে