করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার ১৮ মাস পেরিয়ে গেছে। এ দীর্ঘ সময়ে লাখ লাখ শিশুর পড়াশোনা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে জানিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইউনিসেফ ও ইউনেসকো। আজ সোমবার জাতিসংঘের সংস্থা দুটির পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে এ আহ্বান জানানো হয়েছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে কয়েকবার ঘোষণা দেওয়া হলেও করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসার কারণে পিছু হটেছে সরকার। সর্বশেষ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার পরই খুলে দেওয়া হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
তবে টিকার সংকট থাকায় শিক্ষার্থীদের টিকাদান কবে নাগাদ নিশ্চিত করা যাবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে জানিয়েছেন, টিকা সংকট কেটে গেছে। শিগগিরই বাংলাদেশে টিকার উৎপাদন শুরু হবে। পাশাপাশি বিদেশ থেকেও পর্যাপ্ত পরিমাণে টিকা পাবে বাংলাদেশ।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর ও বিশ্ব ঐতিহ্য সংস্থা ইউনেসকোর মহাপরিচালক অড্রে অ্যাজুল এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, আজ পর্যন্ত বিশ্বের ১৯টি দেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। এর ফলে ১৫ কোটি ৬০ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এটা চলতে পারে না।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ রাখার প্রচেষ্টায় সরকারগুলো অনেক সময়ই স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে এবং অনেকে দীর্ঘকাল ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে। প্রায়ই এই ব্যবস্থাগুলো চূড়ান্ত পদক্ষেপ হিসেবে নেওয়ার কথা থাকলেও, অনেক সরকার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে স্কুলগুলো বন্ধ রাখা হলেও বার ও রেস্তোরাঁ ঠিকই খোলা ছিল এবং আছে।
ইউনিসেফ–ইউনেসকো বলছে, স্কুলে যেতে না পারার কারণে শিশু এবং তরুণ জনগোষ্ঠী যে ক্ষতির সম্মুখীন হবে তা হয়তো কখনোই পুষিয়ে নেওয়া যাবে না। শুধু শিক্ষার্থী নয়, বাবা-মা এবং শিক্ষকদেরও সমান ক্ষতির ভার বইতে হচ্ছে। করোনায় শিশুরা ঘরে থাকার কারণে বাধ্য হয়ে বাবা-মায়েরা চাকরি ছেড়ে দিচ্ছেন। বিশেষ করে সেসব দেশগুলোতে যেখানে পারিবারিক ছুটির নীতিমালা নেই।
টিকা দিয়ে স্কুল খুলে দেওয়ার বিষয়ে ইউনিসেফ–ইউনেসকোর বিবৃতিতে বলা হয়, স্কুলগুলো পুনরায় খোলার ক্ষেত্রে সব শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর টিকা দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করা যায় না। বৈশ্বিক টিকার ঘাটতি নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলেছে। স্কুলে প্রবেশের আগে টিকাদান বাধ্যতামূলক না করাসহ সব স্কুলের উচিত যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষার্থীরা যাতে কোনো ধরনের বাধা ছাড়াই শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে সে ব্যবস্থা করা। করোনার সংক্রমণ শূন্যের কোটায় নেমে আসার অপেক্ষায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়টি ঝুলে থাকতে পারে না। স্কুল খুলে দেওয়া বা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ঝুঁকি বিশ্লেষণের ভিত্তিতে এবং যে কমিউনিটিতে স্কুল অবস্থিত সেখানকার মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনা করে নেওয়া উচিত।
করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার ১৮ মাস পেরিয়ে গেছে। এ দীর্ঘ সময়ে লাখ লাখ শিশুর পড়াশোনা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে জানিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইউনিসেফ ও ইউনেসকো। আজ সোমবার জাতিসংঘের সংস্থা দুটির পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে এ আহ্বান জানানো হয়েছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে কয়েকবার ঘোষণা দেওয়া হলেও করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসার কারণে পিছু হটেছে সরকার। সর্বশেষ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার পরই খুলে দেওয়া হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
তবে টিকার সংকট থাকায় শিক্ষার্থীদের টিকাদান কবে নাগাদ নিশ্চিত করা যাবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে জানিয়েছেন, টিকা সংকট কেটে গেছে। শিগগিরই বাংলাদেশে টিকার উৎপাদন শুরু হবে। পাশাপাশি বিদেশ থেকেও পর্যাপ্ত পরিমাণে টিকা পাবে বাংলাদেশ।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর ও বিশ্ব ঐতিহ্য সংস্থা ইউনেসকোর মহাপরিচালক অড্রে অ্যাজুল এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, আজ পর্যন্ত বিশ্বের ১৯টি দেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। এর ফলে ১৫ কোটি ৬০ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এটা চলতে পারে না।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ রাখার প্রচেষ্টায় সরকারগুলো অনেক সময়ই স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে এবং অনেকে দীর্ঘকাল ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে। প্রায়ই এই ব্যবস্থাগুলো চূড়ান্ত পদক্ষেপ হিসেবে নেওয়ার কথা থাকলেও, অনেক সরকার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে স্কুলগুলো বন্ধ রাখা হলেও বার ও রেস্তোরাঁ ঠিকই খোলা ছিল এবং আছে।
ইউনিসেফ–ইউনেসকো বলছে, স্কুলে যেতে না পারার কারণে শিশু এবং তরুণ জনগোষ্ঠী যে ক্ষতির সম্মুখীন হবে তা হয়তো কখনোই পুষিয়ে নেওয়া যাবে না। শুধু শিক্ষার্থী নয়, বাবা-মা এবং শিক্ষকদেরও সমান ক্ষতির ভার বইতে হচ্ছে। করোনায় শিশুরা ঘরে থাকার কারণে বাধ্য হয়ে বাবা-মায়েরা চাকরি ছেড়ে দিচ্ছেন। বিশেষ করে সেসব দেশগুলোতে যেখানে পারিবারিক ছুটির নীতিমালা নেই।
টিকা দিয়ে স্কুল খুলে দেওয়ার বিষয়ে ইউনিসেফ–ইউনেসকোর বিবৃতিতে বলা হয়, স্কুলগুলো পুনরায় খোলার ক্ষেত্রে সব শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর টিকা দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করা যায় না। বৈশ্বিক টিকার ঘাটতি নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলেছে। স্কুলে প্রবেশের আগে টিকাদান বাধ্যতামূলক না করাসহ সব স্কুলের উচিত যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষার্থীরা যাতে কোনো ধরনের বাধা ছাড়াই শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে সে ব্যবস্থা করা। করোনার সংক্রমণ শূন্যের কোটায় নেমে আসার অপেক্ষায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়টি ঝুলে থাকতে পারে না। স্কুল খুলে দেওয়া বা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ঝুঁকি বিশ্লেষণের ভিত্তিতে এবং যে কমিউনিটিতে স্কুল অবস্থিত সেখানকার মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনা করে নেওয়া উচিত।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ঈদুল আজহার নামাজের জামাত সকাল সাড়ে ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
২ দিন আগেরাজধানীর সাতটি কলেজে শিক্ষার্থীদের সেবামূলক কাজ সহজীকরণের লক্ষ্যে ‘হেল্প ডেস্ক’ চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ উদ্যোগের ফলে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে স্থাপন করা ডেস্কে গিয়ে একাডেমিক ও প্রশাসনিক যেকোনো সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান পাবেন। ঈদুল আজহার ছুটির পর এ উদ্যোগ দৃশ্যমান হবে বলে জানিয়েছে কর্ত
৩ দিন আগেএকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়নের জন্য শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরারকে (সি আর আবরার) এক কোটি টাকা ঘুষের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি। আজ বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
৩ দিন আগে২০২৭ সাল থেকে পরিমার্জিত কারিকুলাম পুরোপুরি চালু করতে কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার। নতুন এই কারিকুলামে দায়, দরদ ও ইনসাফ শব্দগুলো ব্যবহার করতে হলে জাতীয় ঐকমত্যের প্রয়োজন রয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।
৩ দিন আগে