মুসাররাত আবির
বিশ্ববিদ্যালয়জীবন মানেই স্বাধীনতা, নতুন অভিজ্ঞতা আর নিজের পছন্দমতো চলার সুযোগ। তবে বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর জন্য এ সময়টাই প্রথমবারের মতো নিজে নিজে টাকাপয়সা সামলানোরও চ্যালেঞ্জ। সম্ভবত বিশ্ববিদ্যালয়জীবনেই বেশির ভাগ শিক্ষার্থী প্রথমবারের মতো স্বাধীনভাবে টাকাপয়সা সামলানোর মতো ব্যাপারও শুরু করেন।
ফলে অনেকেই কোন খাতের জন্য কত টাকা বরাদ্দ রাখতে হবে, তা বুঝতে না পেরে মাসের শুরুতেই দেদার খরচ করে ফেলেন। যে কারণে মাসের শেষের দিকে ধারদেনা করে চলতে হয়। এ সংকট থেকে বাঁচতে হলে শিখতে হবে স্মার্ট বাজেটিং। আপনি ঢাকার কোনো হোস্টেলে থাকুন কিংবা বাসা থেকে আসা-যাওয়া করুন—স্মার্ট বাজেটিং আপনার ছাত্রজীবনকে অনেক সহজ ও আনন্দময় করে তুলতে পারে।
বাজেটিং কেন জরুরি
বাংলাদেশে অধিকাংশ শিক্ষার্থী নির্দিষ্ট একটা মাসিক খরচের ওপর নির্ভর করেন, যা সাধারণত পরিবার থেকে আসে। অনেকে আবার টিউশন, খণ্ডকালীন চাকরি কিংবা ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমেও আয় করেন। মাসের মাঝামাঝি টাকা শেষ হয়ে গেলে পড়াশোনার পাশাপাশি মানসিক চাপও বাড়ে। কিন্তু বাজেটিংয়ের মাধ্যমে আপনি অর্থনৈতিক চাপ থেকে মুক্ত থাকার পাশাপাশি জরুরি সময়ের জন্য সঞ্চয় করতে শিখবেন।
বাজেটিংয়ের ধাপ
প্রথমেই নিজের মাসিক আয়ের হিসাব করুন। সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আয়ের উৎসগুলো হলো:
আপনার মাসিক খরচগুলো ভাগ করে নিন। যেমন বাসাভাড়া বা হোস্টেল ফি বাবদ কত টাকা খরচ হচ্ছে, মাসে খাবারের পেছনে কত টাকা যাচ্ছে, যাতায়াত খরচ কেমন, মোবাইল ও ইন্টারনেট বিল, স্টাডি ম্যাটেরিয়াল (বই, স্টেশনারি, ফটোকপি) থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত নানা খরচ, ছোটখাটো ঘোরাঘুরি, হঠাৎ কোনো দরকারে কী পরিমাণ টাকার দরকার হতে পারে—এসবের একটা তালিকা তৈরি করে ফেলুন।
এখন আপনার আয় অনুযায়ী প্রতিটি খরচের জন্য বাজেট ঠিক করুন। যেমন প্রতি মাসে খাওয়ার পেছনে আপনার কত টাকা বরাদ্দ থাকা উচিত, টুকটাক হাতখরচের জন্য কত টাকা জমা রাখবেন, জরুরি কোনো প্রয়োজনে কত টাকা আলাদা করে রাখা উচিত ইত্যাদি এ বাজেটের ভেতরে চলে আসবে।
বাজেটিং এক দিনের কাজ নয়, এটার জন্য অভ্যাস গড়ে তুলতে হয়। বাজেট ট্র্যাক করার জন্য ডায়েরি কিংবা মোবাইল অ্যাপ যেমন মানি লাভার, গুগল শিট, ওয়ালেট ইত্যাদি অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। সপ্তাহে একবার খরচের হিসাব ট্র্যাক করুন। কোথায় বেশি খরচ হচ্ছে? কোনো বিশেষ খরচ বাদ পড়ছে কি? কোনো খাতে বেশি বা কম খরচ হলে, পরের মাসে বাজেটে পরিবর্তন আনুন।
প্রতি মাসে ৫০০-১,০০০ টাকা সঞ্চয় করলেও, হঠাৎ কোনো বিপদে কাজে লাগবে। এই টাকা আলাদা মোবাইল ব্যাংক বা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রাখুন, যেন সহজে খরচ না হয়।
যদি খরচ সামলাতে কষ্ট হয় তাহলে টিউশনি, ফ্রিল্যান্সিং (লেখা, ডিজাইন, কোডিং), ইভেন্টে কাজ করতে পারেন। যদি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো বৃত্তি পেয়ে যান, সে ক্ষেত্রে পড়াশোনার খরচ কিছুটা বেঁচে যায়।
অপ্রয়োজনীয় লোন নেওয়া থেকে বিরত থাকবেন। খুব দরকার ছাড়া ধার করবেন না, করলে শর্ত ভালোভাবে বুঝে নিতে হবে। ক্রেডিট কার্ডও না নেওয়াই ভালো। নিলে মাস শেষে পুরো বিল পরিশোধ করুন।
প্রতি মাস শেষে বাজেট ও বাস্তব খরচ তুলনা করুন। কোথায় সাশ্রয় করতে পারলেন তা দেখুন, কোথায় সমস্যা হয়েছে, তার সমাধান ভাবুন। বাজেটিং এক দিনে শেখা যায় না, ধাপে ধাপে অভ্যাস গড়ে তুলতে হয়। এতে আপনি নিজের অর্থের ওপর নিয়ন্ত্রণ পাবেন, অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি সামলাতে পারবেন, আর পছন্দের জিনিসের জন্যও টাকা জমাতে পারবেন।
সূত্র: নার্ড ওয়ালেট
বিশ্ববিদ্যালয়জীবন মানেই স্বাধীনতা, নতুন অভিজ্ঞতা আর নিজের পছন্দমতো চলার সুযোগ। তবে বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর জন্য এ সময়টাই প্রথমবারের মতো নিজে নিজে টাকাপয়সা সামলানোরও চ্যালেঞ্জ। সম্ভবত বিশ্ববিদ্যালয়জীবনেই বেশির ভাগ শিক্ষার্থী প্রথমবারের মতো স্বাধীনভাবে টাকাপয়সা সামলানোর মতো ব্যাপারও শুরু করেন।
ফলে অনেকেই কোন খাতের জন্য কত টাকা বরাদ্দ রাখতে হবে, তা বুঝতে না পেরে মাসের শুরুতেই দেদার খরচ করে ফেলেন। যে কারণে মাসের শেষের দিকে ধারদেনা করে চলতে হয়। এ সংকট থেকে বাঁচতে হলে শিখতে হবে স্মার্ট বাজেটিং। আপনি ঢাকার কোনো হোস্টেলে থাকুন কিংবা বাসা থেকে আসা-যাওয়া করুন—স্মার্ট বাজেটিং আপনার ছাত্রজীবনকে অনেক সহজ ও আনন্দময় করে তুলতে পারে।
বাজেটিং কেন জরুরি
বাংলাদেশে অধিকাংশ শিক্ষার্থী নির্দিষ্ট একটা মাসিক খরচের ওপর নির্ভর করেন, যা সাধারণত পরিবার থেকে আসে। অনেকে আবার টিউশন, খণ্ডকালীন চাকরি কিংবা ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমেও আয় করেন। মাসের মাঝামাঝি টাকা শেষ হয়ে গেলে পড়াশোনার পাশাপাশি মানসিক চাপও বাড়ে। কিন্তু বাজেটিংয়ের মাধ্যমে আপনি অর্থনৈতিক চাপ থেকে মুক্ত থাকার পাশাপাশি জরুরি সময়ের জন্য সঞ্চয় করতে শিখবেন।
বাজেটিংয়ের ধাপ
প্রথমেই নিজের মাসিক আয়ের হিসাব করুন। সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আয়ের উৎসগুলো হলো:
আপনার মাসিক খরচগুলো ভাগ করে নিন। যেমন বাসাভাড়া বা হোস্টেল ফি বাবদ কত টাকা খরচ হচ্ছে, মাসে খাবারের পেছনে কত টাকা যাচ্ছে, যাতায়াত খরচ কেমন, মোবাইল ও ইন্টারনেট বিল, স্টাডি ম্যাটেরিয়াল (বই, স্টেশনারি, ফটোকপি) থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত নানা খরচ, ছোটখাটো ঘোরাঘুরি, হঠাৎ কোনো দরকারে কী পরিমাণ টাকার দরকার হতে পারে—এসবের একটা তালিকা তৈরি করে ফেলুন।
এখন আপনার আয় অনুযায়ী প্রতিটি খরচের জন্য বাজেট ঠিক করুন। যেমন প্রতি মাসে খাওয়ার পেছনে আপনার কত টাকা বরাদ্দ থাকা উচিত, টুকটাক হাতখরচের জন্য কত টাকা জমা রাখবেন, জরুরি কোনো প্রয়োজনে কত টাকা আলাদা করে রাখা উচিত ইত্যাদি এ বাজেটের ভেতরে চলে আসবে।
বাজেটিং এক দিনের কাজ নয়, এটার জন্য অভ্যাস গড়ে তুলতে হয়। বাজেট ট্র্যাক করার জন্য ডায়েরি কিংবা মোবাইল অ্যাপ যেমন মানি লাভার, গুগল শিট, ওয়ালেট ইত্যাদি অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। সপ্তাহে একবার খরচের হিসাব ট্র্যাক করুন। কোথায় বেশি খরচ হচ্ছে? কোনো বিশেষ খরচ বাদ পড়ছে কি? কোনো খাতে বেশি বা কম খরচ হলে, পরের মাসে বাজেটে পরিবর্তন আনুন।
প্রতি মাসে ৫০০-১,০০০ টাকা সঞ্চয় করলেও, হঠাৎ কোনো বিপদে কাজে লাগবে। এই টাকা আলাদা মোবাইল ব্যাংক বা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রাখুন, যেন সহজে খরচ না হয়।
যদি খরচ সামলাতে কষ্ট হয় তাহলে টিউশনি, ফ্রিল্যান্সিং (লেখা, ডিজাইন, কোডিং), ইভেন্টে কাজ করতে পারেন। যদি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো বৃত্তি পেয়ে যান, সে ক্ষেত্রে পড়াশোনার খরচ কিছুটা বেঁচে যায়।
অপ্রয়োজনীয় লোন নেওয়া থেকে বিরত থাকবেন। খুব দরকার ছাড়া ধার করবেন না, করলে শর্ত ভালোভাবে বুঝে নিতে হবে। ক্রেডিট কার্ডও না নেওয়াই ভালো। নিলে মাস শেষে পুরো বিল পরিশোধ করুন।
প্রতি মাস শেষে বাজেট ও বাস্তব খরচ তুলনা করুন। কোথায় সাশ্রয় করতে পারলেন তা দেখুন, কোথায় সমস্যা হয়েছে, তার সমাধান ভাবুন। বাজেটিং এক দিনে শেখা যায় না, ধাপে ধাপে অভ্যাস গড়ে তুলতে হয়। এতে আপনি নিজের অর্থের ওপর নিয়ন্ত্রণ পাবেন, অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি সামলাতে পারবেন, আর পছন্দের জিনিসের জন্যও টাকা জমাতে পারবেন।
সূত্র: নার্ড ওয়ালেট
‘বিশ্বকবির প্রেমে মশগুল/দ্রোহে-বিদ্রোহে তুমি—/রবীন্দ্র-নজরুল/তব সৃজন-বাণীর সুর-পল্লবে পূর্ণ বঙ্গভূমি...’—এই হৃদয়গ্রাহী বাণীকে সামনে রেখে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ নিবেদিত ও স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি ড্রামা সোসাইটির আয়োজনে উদ্যাপিত হয়েছে ‘রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী-১৪৩২’।
১৯ ঘণ্টা আগে২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে অষ্টম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বাংলা, ইংরেজি ও গণিতে দক্ষতা ব্যাপকভাবে কমেছে। এর মধ্যে অষ্টম শ্রেণিতে বিজ্ঞানে ৪৮ শতাংশ এবং গণিতে ৪৭ শতাংশ শিক্ষার্থীর দক্ষতার মান বেশ খারাপ।
২ দিন আগেএশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আন্তর্জাতিক সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটিজ অব দ্য এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক (এইউএপি) ২০২৫-এর ৯ম এইউএপি ফোরাম ও নেটওয়ার্কিং এবং ৩৭তম বার্ষিক সম্মেলন সম্প্রতি ফিলিপাইনের ম্যানিলা শহরের পাশিগ সিটির চারডনে বাই অ্যাস্টোরিয়া হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৩ দিন আগেস্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে দ্বাদশ আন্তঃবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতা–২০২৫ এর ফাইনাল পর্ব ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
৩ দিন আগে