ড. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ
ছাত্রজীবনে মনোযোগ একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ গুণ। যা শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক সফলতার পাশাপাশি ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে বর্তমান প্রযুক্তিনির্ভর যুগে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রতি আসক্তি শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ভঙ্গ করার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ফলে একাডেমিক পরিবেশে মনোযোগ ধরে রাখা এবং শিক্ষার্থীদের শেখার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করা আজকের এক বড় চ্যালেঞ্জ। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ বৃদ্ধি করতে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং প্রশাসনের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। এ বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কৌশল নিচে তুলে ধরা হলো।
শ্রেণিকক্ষে সময়ের সঠিক ব্যবহার
শ্রেণিকক্ষ হলো শেখার প্রধান কেন্দ্র। এখানে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ধরে রাখতে শিক্ষকদের উচিত পাঠদানের সময় ইন্টারেকটিভ পদ্ধতি ব্যবহার করা। দলভিত্তিক কাজ, কেস স্টাডি, গবেষণাভিত্তিক প্রশ্নোত্তর পর্ব এবং মাল্টিমিডিয়া পদ্ধতির মাধ্যমে পাঠদান শিক্ষার্থীদের শেখার প্রতি আগ্রহ বাড়ায়। পাশাপাশি মোবাইল ফোন বা অন্যান্য ডিভাইস ব্যবহার সীমিত রাখার জন্য শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
পরিকল্পনা ও সময় ব্যবস্থাপনা
সময় ব্যবস্থাপনার অভাব অনেক শিক্ষার্থীকে মনোযোগ হারাতে বাধ্য করে। শিক্ষার্থীদের সময় পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা শেখানো উচিত। যেখানে পড়াশোনা, বিশ্রাম এবং বিনোদনের জন্য সুনির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ থাকবে। এই অভ্যাস তাদের একাডেমিক এবং ব্যক্তিগত লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে।
সাপোর্ট সেশন ও ওয়ার্কশপ
বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে মনোযোগ বৃদ্ধি, পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ তৈরিতে সাপোর্ট সেশন এবং ওয়ার্কশপ আয়োজন করা অত্যন্ত কার্যকর একটি পদ্ধতি। এসব কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের মনোযোগ কমে যাওয়ার কারণ চিহ্নিত করতে এবং তার সমাধান খুঁজতে সহায়তা করবে।
মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা
শিক্ষার্থীদের মনোযোগের অভাবের অন্যতম কারণ হলো মানসিক চাপ। মানসিক চাপ নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয়ে কাউন্সেলিং সেবা এবং মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। এতে শিক্ষার্থীরা তাদের মানসিক অবস্থা উন্নত করতে এবং মনোযোগ বৃদ্ধি করতে পারবে।
স্বাস্থ্যকর জীবনধারার প্রচারণা
সুস্থ দেহে সুস্থ মন বিরাজ করে। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যকর জীবনধারার প্রতি আগ্রহী করতে সঠিক খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম এবং খেলাধুলার সুযোগ সৃষ্টির ব্যবস্থা করতে হবে।
ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলা
ইতিবাচক মনোভাব শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ধরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ছোট ছোট সাফল্য উদ্যাপন এবং ব্যর্থতা থেকে শেখার জন্য উৎসাহ দেওয়া প্রয়োজন।
শিক্ষার্থীদের মনোযোগ বৃদ্ধি করা একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। যা তাদের ভবিষ্যৎ সফলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক ও মানসিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে আমরা একটি সুন্দর, স্থিতিশীল এবং সফল শিক্ষাজীবন নিশ্চিত করতে পারি।
ছাত্রজীবনে মনোযোগ একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ গুণ। যা শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক সফলতার পাশাপাশি ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে বর্তমান প্রযুক্তিনির্ভর যুগে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রতি আসক্তি শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ভঙ্গ করার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ফলে একাডেমিক পরিবেশে মনোযোগ ধরে রাখা এবং শিক্ষার্থীদের শেখার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করা আজকের এক বড় চ্যালেঞ্জ। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ বৃদ্ধি করতে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং প্রশাসনের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। এ বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কৌশল নিচে তুলে ধরা হলো।
শ্রেণিকক্ষে সময়ের সঠিক ব্যবহার
শ্রেণিকক্ষ হলো শেখার প্রধান কেন্দ্র। এখানে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ধরে রাখতে শিক্ষকদের উচিত পাঠদানের সময় ইন্টারেকটিভ পদ্ধতি ব্যবহার করা। দলভিত্তিক কাজ, কেস স্টাডি, গবেষণাভিত্তিক প্রশ্নোত্তর পর্ব এবং মাল্টিমিডিয়া পদ্ধতির মাধ্যমে পাঠদান শিক্ষার্থীদের শেখার প্রতি আগ্রহ বাড়ায়। পাশাপাশি মোবাইল ফোন বা অন্যান্য ডিভাইস ব্যবহার সীমিত রাখার জন্য শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
পরিকল্পনা ও সময় ব্যবস্থাপনা
সময় ব্যবস্থাপনার অভাব অনেক শিক্ষার্থীকে মনোযোগ হারাতে বাধ্য করে। শিক্ষার্থীদের সময় পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা শেখানো উচিত। যেখানে পড়াশোনা, বিশ্রাম এবং বিনোদনের জন্য সুনির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ থাকবে। এই অভ্যাস তাদের একাডেমিক এবং ব্যক্তিগত লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে।
সাপোর্ট সেশন ও ওয়ার্কশপ
বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে মনোযোগ বৃদ্ধি, পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ তৈরিতে সাপোর্ট সেশন এবং ওয়ার্কশপ আয়োজন করা অত্যন্ত কার্যকর একটি পদ্ধতি। এসব কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের মনোযোগ কমে যাওয়ার কারণ চিহ্নিত করতে এবং তার সমাধান খুঁজতে সহায়তা করবে।
মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা
শিক্ষার্থীদের মনোযোগের অভাবের অন্যতম কারণ হলো মানসিক চাপ। মানসিক চাপ নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয়ে কাউন্সেলিং সেবা এবং মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। এতে শিক্ষার্থীরা তাদের মানসিক অবস্থা উন্নত করতে এবং মনোযোগ বৃদ্ধি করতে পারবে।
স্বাস্থ্যকর জীবনধারার প্রচারণা
সুস্থ দেহে সুস্থ মন বিরাজ করে। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যকর জীবনধারার প্রতি আগ্রহী করতে সঠিক খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম এবং খেলাধুলার সুযোগ সৃষ্টির ব্যবস্থা করতে হবে।
ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলা
ইতিবাচক মনোভাব শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ধরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ছোট ছোট সাফল্য উদ্যাপন এবং ব্যর্থতা থেকে শেখার জন্য উৎসাহ দেওয়া প্রয়োজন।
শিক্ষার্থীদের মনোযোগ বৃদ্ধি করা একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। যা তাদের ভবিষ্যৎ সফলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক ও মানসিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে আমরা একটি সুন্দর, স্থিতিশীল এবং সফল শিক্ষাজীবন নিশ্চিত করতে পারি।
বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদ্যাপন করেছে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি)। দিনটি স্মরণীয় করে রাখার জন্য পয়লা বৈশাখের শুরু থেকে বিইউপির মনপুরা মাঠ এবং কনকোর্সে ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেপরিবার, সমাজ ও দেশের কল্যাণে শিক্ষার্থীদের কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। আজ বুধবার রাজধানীর আফতাবনগরে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪তম সমাবর্তনে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের যুগে ফিন্যান্স বিশ্ব অর্থনীতির মেরুদণ্ড। ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সরকারের আর্থিক লেনদেন পরিচালনায় ফিন্যান্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অর্থায়ন, বিনিয়োগ, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং আর্থিক নীতি ফিন্যান্সের মূল বিষয়। ভবিষ্যতে প্রযুক্তির অগ্রগতি ফিন্যান্স ব্যবস্থায় দ্রুত পরিবর্তন আনবে। ফিনটেক...
১৭ ঘণ্টা আগেএসএসসি ও সমমান পরীক্ষার দ্বিতীয় দিন আজ মঙ্গলবার ৮৩ জন পরীক্ষার্থী ও ১৮ জন পরিদর্শকসহ মোট ১০১ জন বহিষ্কৃত হয়েছে। এদিন অনুপস্থিত ছিল ২৮ হাজার ৯৪৩ জন পরীক্ষার্থী। এসএসসি ও সমমানের দ্বিতীয় দিনের পরীক্ষা শেষে আজ বিকেলে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।
১ দিন আগে