পল্লব শাহরিয়ার
প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা অনেক ছোট্ট শিক্ষার্থীর কাছে প্রথম বড় অভিজ্ঞতা। তাই শেষ সময়ের সঠিক প্রস্তুতি খুব জরুরি। অনেকে ভয় পায় বা হুটহাট সব পড়তে গিয়ে বিভ্রান্ত হয়। কিন্তু একটু পরিকল্পনা আর ধৈর্য ধরে পড়লে পরীক্ষার দিন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে লিখতে পারবে। নিচে কিছু কার্যকর কৌশল দেওয়া হলো:
পড়াশোনার পরিকল্পনা
শেষ মুহূর্তে নতুন কোনো অধ্যায় পড়া নয়; বরং যা শিখেছ সেটাই ঝালিয়ে নাও।
■ অগ্রাধিকার ঠিক করো—কোন কোন বিষয় বেশি নম্বরের, কোনটায় তোমার দুর্বলতা আছে, আগে তা ঠিক করো।
■ ছোট নোট তৈরি করো—গণিতের সূত্র, ব্যাকরণের নিয়ম, ইংরেজির গুরুত্বপূর্ণ শব্দ—সব ছোট খাতায় লিখে রাখো। এতে দ্রুত
মনে পড়বে।
■ প্রতিদিনের লক্ষ্য নির্ধারণ করো—যেমন আজ গণিতের ভগ্নাংশ আর বাংলা রচনা দেখব, কাল ইংরেজি ব্যাকরণ আর সাধারণ জ্ঞান।
সময় ভাগ করে পড়া
দীর্ঘ সময় একটানা পড়লে মন ক্লান্ত হয়ে যায়।
■ প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ মিনিট করে কয়েক দফায় পড়লে বেশি মনে থাকে।
■ প্রতিটি পড়ার পর ৫ থেকে ১০ মিনিট
বিরতি নাও।
■ বিরতির সময় হালকা গান শোনো, ছবি আঁকো বা একটু হাঁটো—মাথা ফ্রেশ হবে।
মডেল টেস্ট অনুশীলন
মডেল টেস্ট হলো শেষ সময়ের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার।
■ আগের বছরের প্রশ্নপত্র সমাধান করো।
■ সময় বেঁধে সমাধান করলে বুঝবে আসল পরীক্ষায় কতটা লিখতে পারবে।
■ প্রতিটি ভুলের জায়গা দেখে আবার চর্চা করো।
কঠিন বিষয় সহজ করার কৌশল
প্রতিটি বিষয়ে আলাদা আলাদা গুরুত্ব দাও।
গণিত: প্রতিদিন অন্তত ১০ থেকে ১৫টি সমস্যা সমাধান করো। যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ—এসব হাতে-কলমে কষে নাও।
বাংলা: বানান ভুল কমাতে ছোট ছোট অনুচ্ছেদ লিখো। রচনা মুখস্থ না করে মূল পয়েন্টগুলো মনে রাখো।
ইংরেজি: প্রতিদিন নতুন ১০টি শব্দ শিখো। ব্যাকরণে Tense, Number, Gender—এসবে বেশি মনোযোগ দাও।
সাধারণ জ্ঞান: বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কয়েকবার পড়ো এবং মনে রাখার জন্য কার্ডে লিখে খেলাধুলার মতো অনুশীলন করো।
বিশ্রাম ও ঘুম
শেষ মুহূর্তে অতিরিক্ত চাপ নেওয়া যাবে না।
■ প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম জরুরি।
■ রাত জেগে পড়লে পরদিন মনোযোগ নষ্ট হয়ে যায়।
■ পরীক্ষার আগের রাতটা শান্তভাবে ঘুমাও—এটাই আত্মবিশ্বাস বাড়াবে।
খাবার ও স্বাস্থ্য
সুস্থ শরীরেই ভালো পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব।
■ অতিরিক্ত ভাজাপোড়া বা ফাস্টফুড খেও না, এগুলো অসুস্থ করতে পারে।
■ হালকা ভাত, শাকসবজি, ফল, দুধ খাও।
■ প্রতিদিন সকালে একটু ব্যায়াম বা হাঁটাহাঁটি করলে শরীর সক্রিয় থাকবে।
পরীক্ষার দিন করণীয়
■ আগের রাতে কলম, পেনসিল, রাবার, রুলার, অ্যাডমিট কার্ড সব গুছিয়ে রাখো।
■ পরীক্ষার হলে প্রথমে প্রশ্ন ভালোভাবে পড়ো।
■ সহজ প্রশ্নগুলো আগে সমাধান করো, পরে কঠিন প্রশ্নে যাও।
■ সময় দেখে লিখবে, যেন সব প্রশ্ন শেষ করতে পারো।
প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা হলো জীবনের একটি ধাপ, কোনো শেষ নয়। পরীক্ষার সময় শান্ত থাকা, সঠিকভাবে উত্তর লেখা আর আত্মবিশ্বাস রাখা—এই তিনটিই সাফল্যের চাবিকাঠি। মনে রাখো, ভয় নয়—আত্মবিশ্বাসই সঙ্গী হওয়া উচিত।
প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা অনেক ছোট্ট শিক্ষার্থীর কাছে প্রথম বড় অভিজ্ঞতা। তাই শেষ সময়ের সঠিক প্রস্তুতি খুব জরুরি। অনেকে ভয় পায় বা হুটহাট সব পড়তে গিয়ে বিভ্রান্ত হয়। কিন্তু একটু পরিকল্পনা আর ধৈর্য ধরে পড়লে পরীক্ষার দিন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে লিখতে পারবে। নিচে কিছু কার্যকর কৌশল দেওয়া হলো:
পড়াশোনার পরিকল্পনা
শেষ মুহূর্তে নতুন কোনো অধ্যায় পড়া নয়; বরং যা শিখেছ সেটাই ঝালিয়ে নাও।
■ অগ্রাধিকার ঠিক করো—কোন কোন বিষয় বেশি নম্বরের, কোনটায় তোমার দুর্বলতা আছে, আগে তা ঠিক করো।
■ ছোট নোট তৈরি করো—গণিতের সূত্র, ব্যাকরণের নিয়ম, ইংরেজির গুরুত্বপূর্ণ শব্দ—সব ছোট খাতায় লিখে রাখো। এতে দ্রুত
মনে পড়বে।
■ প্রতিদিনের লক্ষ্য নির্ধারণ করো—যেমন আজ গণিতের ভগ্নাংশ আর বাংলা রচনা দেখব, কাল ইংরেজি ব্যাকরণ আর সাধারণ জ্ঞান।
সময় ভাগ করে পড়া
দীর্ঘ সময় একটানা পড়লে মন ক্লান্ত হয়ে যায়।
■ প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ মিনিট করে কয়েক দফায় পড়লে বেশি মনে থাকে।
■ প্রতিটি পড়ার পর ৫ থেকে ১০ মিনিট
বিরতি নাও।
■ বিরতির সময় হালকা গান শোনো, ছবি আঁকো বা একটু হাঁটো—মাথা ফ্রেশ হবে।
মডেল টেস্ট অনুশীলন
মডেল টেস্ট হলো শেষ সময়ের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার।
■ আগের বছরের প্রশ্নপত্র সমাধান করো।
■ সময় বেঁধে সমাধান করলে বুঝবে আসল পরীক্ষায় কতটা লিখতে পারবে।
■ প্রতিটি ভুলের জায়গা দেখে আবার চর্চা করো।
কঠিন বিষয় সহজ করার কৌশল
প্রতিটি বিষয়ে আলাদা আলাদা গুরুত্ব দাও।
গণিত: প্রতিদিন অন্তত ১০ থেকে ১৫টি সমস্যা সমাধান করো। যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ—এসব হাতে-কলমে কষে নাও।
বাংলা: বানান ভুল কমাতে ছোট ছোট অনুচ্ছেদ লিখো। রচনা মুখস্থ না করে মূল পয়েন্টগুলো মনে রাখো।
ইংরেজি: প্রতিদিন নতুন ১০টি শব্দ শিখো। ব্যাকরণে Tense, Number, Gender—এসবে বেশি মনোযোগ দাও।
সাধারণ জ্ঞান: বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কয়েকবার পড়ো এবং মনে রাখার জন্য কার্ডে লিখে খেলাধুলার মতো অনুশীলন করো।
বিশ্রাম ও ঘুম
শেষ মুহূর্তে অতিরিক্ত চাপ নেওয়া যাবে না।
■ প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম জরুরি।
■ রাত জেগে পড়লে পরদিন মনোযোগ নষ্ট হয়ে যায়।
■ পরীক্ষার আগের রাতটা শান্তভাবে ঘুমাও—এটাই আত্মবিশ্বাস বাড়াবে।
খাবার ও স্বাস্থ্য
সুস্থ শরীরেই ভালো পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব।
■ অতিরিক্ত ভাজাপোড়া বা ফাস্টফুড খেও না, এগুলো অসুস্থ করতে পারে।
■ হালকা ভাত, শাকসবজি, ফল, দুধ খাও।
■ প্রতিদিন সকালে একটু ব্যায়াম বা হাঁটাহাঁটি করলে শরীর সক্রিয় থাকবে।
পরীক্ষার দিন করণীয়
■ আগের রাতে কলম, পেনসিল, রাবার, রুলার, অ্যাডমিট কার্ড সব গুছিয়ে রাখো।
■ পরীক্ষার হলে প্রথমে প্রশ্ন ভালোভাবে পড়ো।
■ সহজ প্রশ্নগুলো আগে সমাধান করো, পরে কঠিন প্রশ্নে যাও।
■ সময় দেখে লিখবে, যেন সব প্রশ্ন শেষ করতে পারো।
প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা হলো জীবনের একটি ধাপ, কোনো শেষ নয়। পরীক্ষার সময় শান্ত থাকা, সঠিকভাবে উত্তর লেখা আর আত্মবিশ্বাস রাখা—এই তিনটিই সাফল্যের চাবিকাঠি। মনে রাখো, ভয় নয়—আত্মবিশ্বাসই সঙ্গী হওয়া উচিত।
আন্তর্জাতিক পরীক্ষা বোর্ড অক্সফোর্ডএকিউএ প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে বিজ্ঞানবিষয়ক শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করেছে। রাজধানীর হোটেল সারিনায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ কর্মসূচিতে দেশের শীর্ষ ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলোর শতাধিক শিক্ষক অংশ নেন।
৭ ঘণ্টা আগেএমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ অথবা সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকা করেছে সরকার। এদিকে এই বাড়িয়ে দেওয়া ভাতা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকেরা।
১২ ঘণ্টা আগেএ বছর ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। ‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান, স্বপ্ন জয়ে অটল প্রাণ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে শিক্ষা ও গবেষণার নতুন দিগন্তে পা বাড়াচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। ১৮৫৮ সালে পুরান ঢাকায় ‘ব্রাহ্ম স্কুল’ হিসেবে যাত্রা শুরু করে। ১৮৭২ সালে নাম পরিবর্তনের পর হয় জগন্নাথ স্কুল।
১৩ ঘণ্টা আগেঘরের ভেতর সাজানো দৃষ্টিনন্দন নানা পুরস্কার। এর কোনোটিতে লেখা ইংরেজি, আবার কোনোটিতে হিন্দি। স্মারকের গায়ে ঝলমল করছে সোনালি অক্ষরে লেখা একটি নাম—নিশিতা নাজনীন নীলা। কৃষিতে সম্পৃক্ত থাকার অংশ হিসেবে নীলার হাতে উঠেছে এসব পুরস্কার।
১৩ ঘণ্টা আগে