নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১২ জুলাই পিএইচডি ডিগ্রির আবেদনসংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি দেয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক (সম্মান) এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি ডিগ্রির জন্য সরাসরি ভর্তি হতে পারবেন না। পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির আগে তাঁদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে নেট দুনিয়ায় তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য একে ‘নিজস্ব নিয়ম’-এর কথা বলে সমর্থন করলেও অন্য শিক্ষাবিদেরা ‘অন্যায়’ বলে অভিহিত করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডিতে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি বিষয়ে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী রহমান চৌধুরী গতকাল তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত জন হপকিন্স, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর–এসব ছোটখাটো বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল ছাড়া পিএইচডিতে ভর্তি হতে পারেন।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী গবেষক রউফুল আলম লিখেছেন, ‘কোনো স্টুডেন্ট যোগ্য কি যোগ্য না, সেটা বিবেচনা না করে, ঢালাওভাবে নিয়ম করে দেওয়া হলো। এটা হলো রাষ্ট্রীয় রেসিজম। ভাবতে লজ্জা লাগে, দেশের সবচেয়ে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় সেটা করতে পারে।’ এই ধরনের সমালোচনায় যোগ দিয়েছেন আরও অনেকে।
তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় তার নিজস্ব নিয়মে এ সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এ সিদ্ধান্ত নতুন কোনো বিষয় নয়। একাডেমিক কাউন্সিল মিটিংয়ের মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলমান রয়েছে।
যদিও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ রকম সিদ্ধান্তকে আমি অন্যায় মনে করি। এ সিদ্ধান্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি লিখিতভাবে বিমাতাসুলভ আচরণ। এ রকম বর্ণবাদী আচরণ কি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মানায়? অনেক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করতে যাচ্ছেন।’
অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন আরও বলেন, ‘বিদ্যমান নিয়মেই আছে যে শিক্ষক পিএইচডি করাবেন সে শিক্ষক, যেই বিভাগে পিএইচডি করবে সে বিভাগের একাডেমিক কমিটি এবং সেই অনুষদের পিএইচডি কমিটি মূল্যায়ন করবে। তার জন্য পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির আগে তাঁদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হবে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল ডিগ্রিধারীদের আবেদনপত্র সংগ্রহের আগে অর্জিত ডিগ্রির সমতা নিরূপণের জন্য সংশ্লিষ্ট কমিটির কাছে দরখাস্ত করতে হবে। এই দুটি নিয়ম কি দরকার ছিল? অযথা সমস্যা ডেকে আনি কেন? বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তো এখন বেশ ভালো করছেন। আগ্রহীরা তো বাংলাদেশেরই। তাঁরা অনার্সের ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পাননি বলে তার মাশুল দেওয়া কি শেষ হবে না?
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জাকারিয়া মিয়া বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনের অধিকারের ভিত্তিতে এটা করতে পারলেও নৈতিকতার বিচারে এসব শিক্ষার্থী কি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে অন্যায় বা অপরাধ করেছেন যে তাঁদের শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হবে। কোনো কোনো সময় দেখা যায়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বিভাগের চেয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনেক বিভাগের পড়াশোনার মান অনেক ভালো। পিএইচডি করতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এভাবে বাদ দেওয়াটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের আইনগত অধিকার থাকলেও এটা নৈতিক অধিকার নয়।
স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাসনের অধীনে আপনাকে অনেকগুলো ক্ষমতা দেওয়া থাকতে পারে কিন্তু আপনি তো সব ক্ষমতা প্রয়োগ করে বিমাতাসুলভ আচরণ করতে পারেন না।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১২ জুলাই পিএইচডি ডিগ্রির আবেদনসংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি দেয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক (সম্মান) এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি ডিগ্রির জন্য সরাসরি ভর্তি হতে পারবেন না। পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির আগে তাঁদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে নেট দুনিয়ায় তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য একে ‘নিজস্ব নিয়ম’-এর কথা বলে সমর্থন করলেও অন্য শিক্ষাবিদেরা ‘অন্যায়’ বলে অভিহিত করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডিতে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি বিষয়ে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী রহমান চৌধুরী গতকাল তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত জন হপকিন্স, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর–এসব ছোটখাটো বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল ছাড়া পিএইচডিতে ভর্তি হতে পারেন।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী গবেষক রউফুল আলম লিখেছেন, ‘কোনো স্টুডেন্ট যোগ্য কি যোগ্য না, সেটা বিবেচনা না করে, ঢালাওভাবে নিয়ম করে দেওয়া হলো। এটা হলো রাষ্ট্রীয় রেসিজম। ভাবতে লজ্জা লাগে, দেশের সবচেয়ে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় সেটা করতে পারে।’ এই ধরনের সমালোচনায় যোগ দিয়েছেন আরও অনেকে।
তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় তার নিজস্ব নিয়মে এ সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এ সিদ্ধান্ত নতুন কোনো বিষয় নয়। একাডেমিক কাউন্সিল মিটিংয়ের মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলমান রয়েছে।
যদিও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ রকম সিদ্ধান্তকে আমি অন্যায় মনে করি। এ সিদ্ধান্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি লিখিতভাবে বিমাতাসুলভ আচরণ। এ রকম বর্ণবাদী আচরণ কি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মানায়? অনেক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করতে যাচ্ছেন।’
অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন আরও বলেন, ‘বিদ্যমান নিয়মেই আছে যে শিক্ষক পিএইচডি করাবেন সে শিক্ষক, যেই বিভাগে পিএইচডি করবে সে বিভাগের একাডেমিক কমিটি এবং সেই অনুষদের পিএইচডি কমিটি মূল্যায়ন করবে। তার জন্য পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির আগে তাঁদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হবে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল ডিগ্রিধারীদের আবেদনপত্র সংগ্রহের আগে অর্জিত ডিগ্রির সমতা নিরূপণের জন্য সংশ্লিষ্ট কমিটির কাছে দরখাস্ত করতে হবে। এই দুটি নিয়ম কি দরকার ছিল? অযথা সমস্যা ডেকে আনি কেন? বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তো এখন বেশ ভালো করছেন। আগ্রহীরা তো বাংলাদেশেরই। তাঁরা অনার্সের ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পাননি বলে তার মাশুল দেওয়া কি শেষ হবে না?
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জাকারিয়া মিয়া বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনের অধিকারের ভিত্তিতে এটা করতে পারলেও নৈতিকতার বিচারে এসব শিক্ষার্থী কি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে অন্যায় বা অপরাধ করেছেন যে তাঁদের শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হবে। কোনো কোনো সময় দেখা যায়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বিভাগের চেয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনেক বিভাগের পড়াশোনার মান অনেক ভালো। পিএইচডি করতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এভাবে বাদ দেওয়াটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের আইনগত অধিকার থাকলেও এটা নৈতিক অধিকার নয়।
স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাসনের অধীনে আপনাকে অনেকগুলো ক্ষমতা দেওয়া থাকতে পারে কিন্তু আপনি তো সব ক্ষমতা প্রয়োগ করে বিমাতাসুলভ আচরণ করতে পারেন না।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১২ জুলাই পিএইচডি ডিগ্রির আবেদনসংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি দেয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক (সম্মান) এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি ডিগ্রির জন্য সরাসরি ভর্তি হতে পারবেন না। পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির আগে তাঁদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে নেট দুনিয়ায় তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য একে ‘নিজস্ব নিয়ম’-এর কথা বলে সমর্থন করলেও অন্য শিক্ষাবিদেরা ‘অন্যায়’ বলে অভিহিত করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডিতে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি বিষয়ে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী রহমান চৌধুরী গতকাল তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত জন হপকিন্স, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর–এসব ছোটখাটো বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল ছাড়া পিএইচডিতে ভর্তি হতে পারেন।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী গবেষক রউফুল আলম লিখেছেন, ‘কোনো স্টুডেন্ট যোগ্য কি যোগ্য না, সেটা বিবেচনা না করে, ঢালাওভাবে নিয়ম করে দেওয়া হলো। এটা হলো রাষ্ট্রীয় রেসিজম। ভাবতে লজ্জা লাগে, দেশের সবচেয়ে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় সেটা করতে পারে।’ এই ধরনের সমালোচনায় যোগ দিয়েছেন আরও অনেকে।
তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় তার নিজস্ব নিয়মে এ সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এ সিদ্ধান্ত নতুন কোনো বিষয় নয়। একাডেমিক কাউন্সিল মিটিংয়ের মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলমান রয়েছে।
যদিও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ রকম সিদ্ধান্তকে আমি অন্যায় মনে করি। এ সিদ্ধান্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি লিখিতভাবে বিমাতাসুলভ আচরণ। এ রকম বর্ণবাদী আচরণ কি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মানায়? অনেক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করতে যাচ্ছেন।’
অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন আরও বলেন, ‘বিদ্যমান নিয়মেই আছে যে শিক্ষক পিএইচডি করাবেন সে শিক্ষক, যেই বিভাগে পিএইচডি করবে সে বিভাগের একাডেমিক কমিটি এবং সেই অনুষদের পিএইচডি কমিটি মূল্যায়ন করবে। তার জন্য পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির আগে তাঁদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হবে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল ডিগ্রিধারীদের আবেদনপত্র সংগ্রহের আগে অর্জিত ডিগ্রির সমতা নিরূপণের জন্য সংশ্লিষ্ট কমিটির কাছে দরখাস্ত করতে হবে। এই দুটি নিয়ম কি দরকার ছিল? অযথা সমস্যা ডেকে আনি কেন? বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তো এখন বেশ ভালো করছেন। আগ্রহীরা তো বাংলাদেশেরই। তাঁরা অনার্সের ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পাননি বলে তার মাশুল দেওয়া কি শেষ হবে না?
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জাকারিয়া মিয়া বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনের অধিকারের ভিত্তিতে এটা করতে পারলেও নৈতিকতার বিচারে এসব শিক্ষার্থী কি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে অন্যায় বা অপরাধ করেছেন যে তাঁদের শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হবে। কোনো কোনো সময় দেখা যায়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বিভাগের চেয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনেক বিভাগের পড়াশোনার মান অনেক ভালো। পিএইচডি করতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এভাবে বাদ দেওয়াটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের আইনগত অধিকার থাকলেও এটা নৈতিক অধিকার নয়।
স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাসনের অধীনে আপনাকে অনেকগুলো ক্ষমতা দেওয়া থাকতে পারে কিন্তু আপনি তো সব ক্ষমতা প্রয়োগ করে বিমাতাসুলভ আচরণ করতে পারেন না।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১২ জুলাই পিএইচডি ডিগ্রির আবেদনসংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি দেয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক (সম্মান) এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি ডিগ্রির জন্য সরাসরি ভর্তি হতে পারবেন না। পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির আগে তাঁদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে নেট দুনিয়ায় তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য একে ‘নিজস্ব নিয়ম’-এর কথা বলে সমর্থন করলেও অন্য শিক্ষাবিদেরা ‘অন্যায়’ বলে অভিহিত করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডিতে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি বিষয়ে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী রহমান চৌধুরী গতকাল তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত জন হপকিন্স, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর–এসব ছোটখাটো বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল ছাড়া পিএইচডিতে ভর্তি হতে পারেন।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী গবেষক রউফুল আলম লিখেছেন, ‘কোনো স্টুডেন্ট যোগ্য কি যোগ্য না, সেটা বিবেচনা না করে, ঢালাওভাবে নিয়ম করে দেওয়া হলো। এটা হলো রাষ্ট্রীয় রেসিজম। ভাবতে লজ্জা লাগে, দেশের সবচেয়ে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় সেটা করতে পারে।’ এই ধরনের সমালোচনায় যোগ দিয়েছেন আরও অনেকে।
তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় তার নিজস্ব নিয়মে এ সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এ সিদ্ধান্ত নতুন কোনো বিষয় নয়। একাডেমিক কাউন্সিল মিটিংয়ের মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলমান রয়েছে।
যদিও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ রকম সিদ্ধান্তকে আমি অন্যায় মনে করি। এ সিদ্ধান্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি লিখিতভাবে বিমাতাসুলভ আচরণ। এ রকম বর্ণবাদী আচরণ কি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মানায়? অনেক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করতে যাচ্ছেন।’
অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন আরও বলেন, ‘বিদ্যমান নিয়মেই আছে যে শিক্ষক পিএইচডি করাবেন সে শিক্ষক, যেই বিভাগে পিএইচডি করবে সে বিভাগের একাডেমিক কমিটি এবং সেই অনুষদের পিএইচডি কমিটি মূল্যায়ন করবে। তার জন্য পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির আগে তাঁদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হবে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল ডিগ্রিধারীদের আবেদনপত্র সংগ্রহের আগে অর্জিত ডিগ্রির সমতা নিরূপণের জন্য সংশ্লিষ্ট কমিটির কাছে দরখাস্ত করতে হবে। এই দুটি নিয়ম কি দরকার ছিল? অযথা সমস্যা ডেকে আনি কেন? বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তো এখন বেশ ভালো করছেন। আগ্রহীরা তো বাংলাদেশেরই। তাঁরা অনার্সের ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পাননি বলে তার মাশুল দেওয়া কি শেষ হবে না?
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জাকারিয়া মিয়া বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনের অধিকারের ভিত্তিতে এটা করতে পারলেও নৈতিকতার বিচারে এসব শিক্ষার্থী কি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে অন্যায় বা অপরাধ করেছেন যে তাঁদের শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হবে। কোনো কোনো সময় দেখা যায়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বিভাগের চেয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনেক বিভাগের পড়াশোনার মান অনেক ভালো। পিএইচডি করতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এভাবে বাদ দেওয়াটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের আইনগত অধিকার থাকলেও এটা নৈতিক অধিকার নয়।
স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাসনের অধীনে আপনাকে অনেকগুলো ক্ষমতা দেওয়া থাকতে পারে কিন্তু আপনি তো সব ক্ষমতা প্রয়োগ করে বিমাতাসুলভ আচরণ করতে পারেন না।’
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন মুহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে‘পরিবেশ’ শব্দটি এখন কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য আলোচ্য বিষয়। কিন্তু এই বোধ সঞ্চার করতে সময় লেগেছে অনেক, আর সেই বিলম্বই আজ পৃথিবীকে করেছে অসুস্থ। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে পরামর্শ...
৯ ঘণ্টা আগেস্বরবর্ণ হলো ভাষার সুর, কিন্তু সুরে গড়ন না থাকলে গান টেকে না। ব্যঞ্জনবর্ণ বা Consonants হলো সেই গড়ন। এটি ভাষাকে কাঠামো দেয়, শব্দকে শক্তপোক্ত করে তোলে।
৯ ঘণ্টা আগেজোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু পদযাত্রা শুরু করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করলেও শিক্ষা..
১ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন মুহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি ভর্তি পরীক্ষার জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আবেদনের সময়সীমা ও এ-সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ও পত্রিকায় জানিয়ে দেওয়া হবে।
যেসব বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হবে, সেগুলো হলো বিএসসি (অনার্স) ইন ওশানোগ্রাফি, বিএসসি ইন নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড অফশোর ইঞ্জিনিয়ারিং, বিবিএ ইন পোর্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড লজিসটিকস, এলএলবি (অনার্স) ইন মেরিটাইম ল ও বিএসসি (অনার্স) ইন মেরিন ফিশারিজ।
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন মুহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি ভর্তি পরীক্ষার জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আবেদনের সময়সীমা ও এ-সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ও পত্রিকায় জানিয়ে দেওয়া হবে।
যেসব বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হবে, সেগুলো হলো বিএসসি (অনার্স) ইন ওশানোগ্রাফি, বিএসসি ইন নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড অফশোর ইঞ্জিনিয়ারিং, বিবিএ ইন পোর্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড লজিসটিকস, এলএলবি (অনার্স) ইন মেরিটাইম ল ও বিএসসি (অনার্স) ইন মেরিন ফিশারিজ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১২ জুলাই পিএইচডি ডিগ্রির আবেদনসংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি দেয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক (সম্মান) এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি ডিগ্রির জন্য সরাসরি ভর্তি হতে পারবেন না।
১৭ জুলাই ২০২১‘পরিবেশ’ শব্দটি এখন কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য আলোচ্য বিষয়। কিন্তু এই বোধ সঞ্চার করতে সময় লেগেছে অনেক, আর সেই বিলম্বই আজ পৃথিবীকে করেছে অসুস্থ। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে পরামর্শ...
৯ ঘণ্টা আগেস্বরবর্ণ হলো ভাষার সুর, কিন্তু সুরে গড়ন না থাকলে গান টেকে না। ব্যঞ্জনবর্ণ বা Consonants হলো সেই গড়ন। এটি ভাষাকে কাঠামো দেয়, শব্দকে শক্তপোক্ত করে তোলে।
৯ ঘণ্টা আগেজোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু পদযাত্রা শুরু করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করলেও শিক্ষা..
১ দিন আগেমো. আশিকুর রহমান
‘পরিবেশ’ শব্দটি এখন কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য আলোচ্য বিষয়। কিন্তু এই বোধ সঞ্চার করতে সময় লেগেছে অনেক, আর সেই বিলম্বই আজ পৃথিবীকে করেছে অসুস্থ। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস বিপুলেন্দু বসাক। লিখেছেন মো. আশিকুর রহমান
মানুষ এখন ধীরে ধীরে বুঝতে শিখছে। মানুষ একা ভালো থাকতে পারে না; চারপাশ ভালো না থাকলে নিজের মঙ্গলও অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এই সামগ্রিক ভালো থাকার মূল চাবিকাঠি হলো পরিবেশ। উন্নত বিশ্ব যেখানে বিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে পরিবেশবিজ্ঞানের গুরুত্ব উপলব্ধি করেছিল, সেখানে আমাদের দেশে বিষয়টি গুরুত্ব পেতে আরও প্রায় অর্ধশতাব্দী লেগে গেছে। এই দীর্ঘ অপেক্ষা আমাদের পরিবেশ ও উন্নয়নের সূচকে মারাত্মক ক্ষতি ডেকে এনেছে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে
এ দেশের পরিবেশবিজ্ঞান খুব পুরোনো কোনো বিষয় নয়। গত শতকের শেষ দিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে দেশে বিষয়টির একাডেমিক যাত্রা শুরু হয়। এরপর ধীরে ধীরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিভাগ চালু এবং ব্যক্তি পর্যায়ের চিন্তা থেকে পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা ও কর্মসূচি একটি সামগ্রিক রূপ নিতে শুরু করে।
২০১৬ সালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের প্রথম এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। এটি এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। পরবর্তী সময়ে ২০১৮ সালে বুটেক্সেও একই নামে একটি বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। মূলত টেক্সটাইল শিল্পের দূষণ ও এর প্রতিকার নিয়ে বিশেষভাবে কাজ করছে।
একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি বিষয়
এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোনো একক শাখার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি প্রকৃত অর্থে একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি প্রফেশনাল অ্যাপ্রোচ। এই বিষয়ে পড়াশোনা ও গবেষণার জন্য দরকার পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত, জীববিজ্ঞান, ভূতত্ত্ব, ভূগোল, অণুজীববিজ্ঞান, হাইড্রোলজি, পাবলিক হেলথ অ্যান্ড সেফটির মতো নানা ক্ষেত্রের জ্ঞান।
ভূমির গভীর কোর থেকে শুরু করে মহাশূন্যের এক্সট্রা-টেরেস্ট্রিয়াল অবজেক্ট পর্যন্ত। প্রকৃতির প্রতিটি স্তর এই বিষয়ের গবেষণার পরিসরে আসে। এককথায়, পৃথিবীকে জানাই এই বিষয়ের মূল লক্ষ্য।
কর্মপরিধি ও সম্ভাবনা
পরিবেশবিজ্ঞান ও প্রকৌশল পেশার সুযোগ অত্যন্ত বিস্তৃত। পরিবেশবিজ্ঞানী বা ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজের পাশাপাশি বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে গবেষক হিসেবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা দপ্তর, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও পানিসম্পদ বিভাগ, নদী ও উপকূল গবেষণা কেন্দ্র, মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা, স্প্যারো), বিশ্বব্যাংক, ইউএনডিপি, ইউনিসেফ, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রকল্প ও এনজিওতেও কাজের সুযোগ রয়েছে।
উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা
বর্তমান বিশ্বে একজন এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্টিস্ট বা ইঞ্জিনিয়ারের চাহিদা ও বেতন দুটোই বিশ্বে প্রথম সারির পেশাগুলোর মধ্যে অন্যতম। উচ্চশিক্ষা ও যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই পেশায় খুব সহজেই নিজের ক্যারিয়ারের উন্নতি করা যায়। আর উন্নত বিশ্বে এই বিভাগের উচ্চ চাহিদার কথা মাথায় রেখেই উচ্চশিক্ষার জন্য রয়েছে বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ, ফেলোশিপ ও ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা। যেগুলোতে কোয়ালিফাই করতে হলে ছাত্রজীবনে একটু অধ্যয়ন ও গবেষণায় মনোযোগী হওয়ার সদিচ্ছাই যথেষ্ট।
‘পরিবেশ’ শব্দটি এখন কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য আলোচ্য বিষয়। কিন্তু এই বোধ সঞ্চার করতে সময় লেগেছে অনেক, আর সেই বিলম্বই আজ পৃথিবীকে করেছে অসুস্থ। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস বিপুলেন্দু বসাক। লিখেছেন মো. আশিকুর রহমান
মানুষ এখন ধীরে ধীরে বুঝতে শিখছে। মানুষ একা ভালো থাকতে পারে না; চারপাশ ভালো না থাকলে নিজের মঙ্গলও অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এই সামগ্রিক ভালো থাকার মূল চাবিকাঠি হলো পরিবেশ। উন্নত বিশ্ব যেখানে বিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে পরিবেশবিজ্ঞানের গুরুত্ব উপলব্ধি করেছিল, সেখানে আমাদের দেশে বিষয়টি গুরুত্ব পেতে আরও প্রায় অর্ধশতাব্দী লেগে গেছে। এই দীর্ঘ অপেক্ষা আমাদের পরিবেশ ও উন্নয়নের সূচকে মারাত্মক ক্ষতি ডেকে এনেছে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে
এ দেশের পরিবেশবিজ্ঞান খুব পুরোনো কোনো বিষয় নয়। গত শতকের শেষ দিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে দেশে বিষয়টির একাডেমিক যাত্রা শুরু হয়। এরপর ধীরে ধীরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিভাগ চালু এবং ব্যক্তি পর্যায়ের চিন্তা থেকে পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা ও কর্মসূচি একটি সামগ্রিক রূপ নিতে শুরু করে।
২০১৬ সালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের প্রথম এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। এটি এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। পরবর্তী সময়ে ২০১৮ সালে বুটেক্সেও একই নামে একটি বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। মূলত টেক্সটাইল শিল্পের দূষণ ও এর প্রতিকার নিয়ে বিশেষভাবে কাজ করছে।
একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি বিষয়
এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোনো একক শাখার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি প্রকৃত অর্থে একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি প্রফেশনাল অ্যাপ্রোচ। এই বিষয়ে পড়াশোনা ও গবেষণার জন্য দরকার পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত, জীববিজ্ঞান, ভূতত্ত্ব, ভূগোল, অণুজীববিজ্ঞান, হাইড্রোলজি, পাবলিক হেলথ অ্যান্ড সেফটির মতো নানা ক্ষেত্রের জ্ঞান।
ভূমির গভীর কোর থেকে শুরু করে মহাশূন্যের এক্সট্রা-টেরেস্ট্রিয়াল অবজেক্ট পর্যন্ত। প্রকৃতির প্রতিটি স্তর এই বিষয়ের গবেষণার পরিসরে আসে। এককথায়, পৃথিবীকে জানাই এই বিষয়ের মূল লক্ষ্য।
কর্মপরিধি ও সম্ভাবনা
পরিবেশবিজ্ঞান ও প্রকৌশল পেশার সুযোগ অত্যন্ত বিস্তৃত। পরিবেশবিজ্ঞানী বা ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজের পাশাপাশি বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে গবেষক হিসেবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা দপ্তর, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও পানিসম্পদ বিভাগ, নদী ও উপকূল গবেষণা কেন্দ্র, মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা, স্প্যারো), বিশ্বব্যাংক, ইউএনডিপি, ইউনিসেফ, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রকল্প ও এনজিওতেও কাজের সুযোগ রয়েছে।
উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা
বর্তমান বিশ্বে একজন এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্টিস্ট বা ইঞ্জিনিয়ারের চাহিদা ও বেতন দুটোই বিশ্বে প্রথম সারির পেশাগুলোর মধ্যে অন্যতম। উচ্চশিক্ষা ও যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই পেশায় খুব সহজেই নিজের ক্যারিয়ারের উন্নতি করা যায়। আর উন্নত বিশ্বে এই বিভাগের উচ্চ চাহিদার কথা মাথায় রেখেই উচ্চশিক্ষার জন্য রয়েছে বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ, ফেলোশিপ ও ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা। যেগুলোতে কোয়ালিফাই করতে হলে ছাত্রজীবনে একটু অধ্যয়ন ও গবেষণায় মনোযোগী হওয়ার সদিচ্ছাই যথেষ্ট।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১২ জুলাই পিএইচডি ডিগ্রির আবেদনসংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি দেয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক (সম্মান) এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি ডিগ্রির জন্য সরাসরি ভর্তি হতে পারবেন না।
১৭ জুলাই ২০২১২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন মুহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেস্বরবর্ণ হলো ভাষার সুর, কিন্তু সুরে গড়ন না থাকলে গান টেকে না। ব্যঞ্জনবর্ণ বা Consonants হলো সেই গড়ন। এটি ভাষাকে কাঠামো দেয়, শব্দকে শক্তপোক্ত করে তোলে।
৯ ঘণ্টা আগেজোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু পদযাত্রা শুরু করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করলেও শিক্ষা..
১ দিন আগেফোনেটিকস
মমতাজ জাহান মম
স্বরবর্ণ হলো ভাষার সুর, কিন্তু সুরে গড়ন না থাকলে গান টেকে না। ব্যঞ্জনবর্ণ বা Consonants হলো সেই গড়ন। এটি ভাষাকে কাঠামো দেয়, শব্দকে শক্তপোক্ত করে তোলে।
ব্যঞ্জনবর্ণ কী?
যখন তুমি কোনো শব্দ উচ্চারণ করো আর মুখের ভেতর বাতাস কোথাও গিয়ে আটকে যায় বা ধাক্কা খায়, তখন তৈরি হয় ব্যঞ্জনবর্ণ। এ বাধা শব্দকে আলাদা আলাদা করে শোনায়।
উদাহরণ
‘b’ বললে ঠোঁট একসঙ্গে বন্ধ হয়।
‘t’ বললে জিব দাঁতের কাছে ঠেকে যায়।
‘s’ বললে বাতাস দাঁতের ফাঁক দিয়ে বের হয়।
ইংরেজিতে ব্যঞ্জনবর্ণের সংখ্যা
প্রায় ২৪টি ব্যঞ্জন ধ্বনি আছে। এগুলোকে উচ্চারণের ধরন ও জায়গা অনুযায়ী ভাগ করা হয়।
ব্যঞ্জনবর্ণের দুই বড় দিক
১. উচ্চারণের ধরন
Plosive (বিস্ফোরণধ্বনি)
Fricative (ঘর্ষণধ্বনি) f, v, s, z, sh, zh
Nasal (নাসিক্যধ্বনি) m, n, ng
Lateral l
Approximant— r, w, y
২. উচ্চারণের স্থান
Bilabial (দুই ঠোঁট) b, p, m
Dental (দাঁতের কাছে)— th (think, this)
Alveolar (দাঁতের মাড়ির কাছে) t, d, s, z, n, l
Velar (জিভের পেছনে) k, g, ng
মজার তুলনা
ভাবো, তোমার মুখটা এক মিউজিক ব্যান্ড। ঠোঁট = ড্রাম; দাঁত = গিটার
জিভ = পিয়ানো।
প্রতিটি ব্যঞ্জনবর্ণ একেকটা বাদ্যযন্ত্রের মতো বাজে, আর মিলেমিশে বানায় সুন্দর গান, মানে কথা।
ছোট্ট অনুশীলন
একবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বলো: p, t, k। দেখো ঠোঁট, জিব আর গলার কোন অংশ নড়ে।
তারপর বলো: f, s, sh এবার লক্ষ করো বাতাস কীভাবে বের হচ্ছে।
আগামী পর্বে (পর্ব-৭)
স্বরবর্ণ হলো ভাষার সুর, কিন্তু সুরে গড়ন না থাকলে গান টেকে না। ব্যঞ্জনবর্ণ বা Consonants হলো সেই গড়ন। এটি ভাষাকে কাঠামো দেয়, শব্দকে শক্তপোক্ত করে তোলে।
ব্যঞ্জনবর্ণ কী?
যখন তুমি কোনো শব্দ উচ্চারণ করো আর মুখের ভেতর বাতাস কোথাও গিয়ে আটকে যায় বা ধাক্কা খায়, তখন তৈরি হয় ব্যঞ্জনবর্ণ। এ বাধা শব্দকে আলাদা আলাদা করে শোনায়।
উদাহরণ
‘b’ বললে ঠোঁট একসঙ্গে বন্ধ হয়।
‘t’ বললে জিব দাঁতের কাছে ঠেকে যায়।
‘s’ বললে বাতাস দাঁতের ফাঁক দিয়ে বের হয়।
ইংরেজিতে ব্যঞ্জনবর্ণের সংখ্যা
প্রায় ২৪টি ব্যঞ্জন ধ্বনি আছে। এগুলোকে উচ্চারণের ধরন ও জায়গা অনুযায়ী ভাগ করা হয়।
ব্যঞ্জনবর্ণের দুই বড় দিক
১. উচ্চারণের ধরন
Plosive (বিস্ফোরণধ্বনি)
Fricative (ঘর্ষণধ্বনি) f, v, s, z, sh, zh
Nasal (নাসিক্যধ্বনি) m, n, ng
Lateral l
Approximant— r, w, y
২. উচ্চারণের স্থান
Bilabial (দুই ঠোঁট) b, p, m
Dental (দাঁতের কাছে)— th (think, this)
Alveolar (দাঁতের মাড়ির কাছে) t, d, s, z, n, l
Velar (জিভের পেছনে) k, g, ng
মজার তুলনা
ভাবো, তোমার মুখটা এক মিউজিক ব্যান্ড। ঠোঁট = ড্রাম; দাঁত = গিটার
জিভ = পিয়ানো।
প্রতিটি ব্যঞ্জনবর্ণ একেকটা বাদ্যযন্ত্রের মতো বাজে, আর মিলেমিশে বানায় সুন্দর গান, মানে কথা।
ছোট্ট অনুশীলন
একবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বলো: p, t, k। দেখো ঠোঁট, জিব আর গলার কোন অংশ নড়ে।
তারপর বলো: f, s, sh এবার লক্ষ করো বাতাস কীভাবে বের হচ্ছে।
আগামী পর্বে (পর্ব-৭)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১২ জুলাই পিএইচডি ডিগ্রির আবেদনসংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি দেয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক (সম্মান) এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি ডিগ্রির জন্য সরাসরি ভর্তি হতে পারবেন না।
১৭ জুলাই ২০২১২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন মুহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে‘পরিবেশ’ শব্দটি এখন কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য আলোচ্য বিষয়। কিন্তু এই বোধ সঞ্চার করতে সময় লেগেছে অনেক, আর সেই বিলম্বই আজ পৃথিবীকে করেছে অসুস্থ। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে পরামর্শ...
৯ ঘণ্টা আগেজোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু পদযাত্রা শুরু করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করলেও শিক্ষা..
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সব ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা করেননি শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেছেন ইবতেদায়ি শিক্ষকেরা। একই সঙ্গে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ-মিছিলের ডাক দিয়েছেন তাঁরা।
আজ বুধবার বিকেলে সচিবালয় থেকে বের হয়ে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সংগঠন ‘স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোট’ এ দাবি জানায়।
জোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু পদযাত্রা শুরু করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করলেও শিক্ষা উপদেষ্টা আমাদের সঙ্গে দেখা করেননি।’
মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষা উপদেষ্টা দেখা না করে শিক্ষকদের সঙ্গে অপমানজনক আচরণ করেছেন। এটি শুধু শিক্ষকদের নয়, গোটা শিক্ষকসমাজের প্রতি অবমাননা। শিক্ষকদের সঙ্গে এমন আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষকসমাজকে অসম্মান করেছেন। তাই আমরা তাঁর পদত্যাগ দাবি করছি।’
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে দুপুরে পদযাত্রা শুরু করেন ইবতেদায়ি শিক্ষকেরা। পদযাত্রা কিছুটা এগোলে কদম ফোয়ারা ও প্রেসক্লাবের গেটের মাঝামাঝি সড়কে পুলিশ তা আটকে দেয়। এরপর দাবিদাওয়া নিয়ে কথা বলতে সচিবালয়ে যায় ১৫ জন শিক্ষকের প্রতিনিধিদল।
ইবতেদায়ি শিক্ষকদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতীয়করণের ঘোষণার দ্রুত বাস্তবায়ন, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো ১ হাজার ৮৯টি প্রতিষ্ঠানের ফাইল দ্রুত অনুমোদন, এমপিও আবেদনের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো প্রাক-প্রাথমিক পদ সৃষ্টি এবং আলাদা অধিদপ্তর স্থাপন।
সব ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা করেননি শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেছেন ইবতেদায়ি শিক্ষকেরা। একই সঙ্গে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ-মিছিলের ডাক দিয়েছেন তাঁরা।
আজ বুধবার বিকেলে সচিবালয় থেকে বের হয়ে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সংগঠন ‘স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোট’ এ দাবি জানায়।
জোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু পদযাত্রা শুরু করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করলেও শিক্ষা উপদেষ্টা আমাদের সঙ্গে দেখা করেননি।’
মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষা উপদেষ্টা দেখা না করে শিক্ষকদের সঙ্গে অপমানজনক আচরণ করেছেন। এটি শুধু শিক্ষকদের নয়, গোটা শিক্ষকসমাজের প্রতি অবমাননা। শিক্ষকদের সঙ্গে এমন আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষকসমাজকে অসম্মান করেছেন। তাই আমরা তাঁর পদত্যাগ দাবি করছি।’
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে দুপুরে পদযাত্রা শুরু করেন ইবতেদায়ি শিক্ষকেরা। পদযাত্রা কিছুটা এগোলে কদম ফোয়ারা ও প্রেসক্লাবের গেটের মাঝামাঝি সড়কে পুলিশ তা আটকে দেয়। এরপর দাবিদাওয়া নিয়ে কথা বলতে সচিবালয়ে যায় ১৫ জন শিক্ষকের প্রতিনিধিদল।
ইবতেদায়ি শিক্ষকদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতীয়করণের ঘোষণার দ্রুত বাস্তবায়ন, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো ১ হাজার ৮৯টি প্রতিষ্ঠানের ফাইল দ্রুত অনুমোদন, এমপিও আবেদনের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো প্রাক-প্রাথমিক পদ সৃষ্টি এবং আলাদা অধিদপ্তর স্থাপন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১২ জুলাই পিএইচডি ডিগ্রির আবেদনসংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি দেয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক (সম্মান) এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি ডিগ্রির জন্য সরাসরি ভর্তি হতে পারবেন না।
১৭ জুলাই ২০২১২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন মুহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে‘পরিবেশ’ শব্দটি এখন কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য আলোচ্য বিষয়। কিন্তু এই বোধ সঞ্চার করতে সময় লেগেছে অনেক, আর সেই বিলম্বই আজ পৃথিবীকে করেছে অসুস্থ। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে পরামর্শ...
৯ ঘণ্টা আগেস্বরবর্ণ হলো ভাষার সুর, কিন্তু সুরে গড়ন না থাকলে গান টেকে না। ব্যঞ্জনবর্ণ বা Consonants হলো সেই গড়ন। এটি ভাষাকে কাঠামো দেয়, শব্দকে শক্তপোক্ত করে তোলে।
৯ ঘণ্টা আগে