Ajker Patrika

মাসখানেকের মধ্যে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর হার সম্পর্কে জানা যাবে: মাউশি মহাপরিচালক

প্রতিনিধি, নরসিংদী
মাসখানেকের মধ্যে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর হার সম্পর্কে জানা যাবে: মাউশি মহাপরিচালক

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের (মাউশি) মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক জানিয়েছেন, করোনার কারণে ঝরে পড়া শিক্ষার্থী সম্পর্কে আমরা এখনো নিশ্চিত নই। আগে আমাদের দেখতে হবে কত সংখ্যক শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে। কিন্ডারগার্টেন বন্ধ হলেই যে শিক্ষার্থী ঝরে পড়বে তা কিন্তু নয়। এসব শিক্ষার্থী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছে। এ জন্য প্রতিদিন দেশের কোন স্কুলে কতজন শিক্ষার্থী উপস্থিত হচ্ছে সেটার তথ্য নেওয়া হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার ১৯ হাজার স্কুলের তথ্য নেওয়া হয়েছে। এর আগের দিন সোমবার তথ্য নেওয়া হয়েছে ১৮ হাজার স্কুলের। মাসখানেকের মধ্যে সব স্কুলের তথ্য পাওয়ার পরই বোঝা যাবে আসলে কত সংখ্যক শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে। তবে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেওয়ার হার থেকেই বোঝা যায়, ঝরে পড়ার হারটা খুব বেশি হবে না। ঝরে পড়া রোধে উপবৃত্তিসহ সরকারের পদক্ষেপ আগে থেকেই আছে।

আজ বুধবার দিনব্যাপী নরসিংদী জেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের সময় এনকেএম হাইস্কুলে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান মাউশি মহাপরিচালক।

এ সময় তিনি আরও জানান, দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে স্থায়ীভাবে স্বাস্থ্যসম্মত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কেবলমাত্র করোনার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা নয়, ডেঙ্গু মোকাবিলাসহ স্থায়ীভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার জন্য দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ করছেন সকল শিক্ষা কর্মকর্তারা। শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের যে ঘাটতি হয়েছে তা নিয়মিত পাঠদানের মাধ্যমেই পূরণ করা সম্ভব হবে।

ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক জানান, কিছুদিন আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক অনুমোদন করেছেন, সে অনুযায়ী আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। চলতি বছর টেক্সট বই প্রস্তুত করা হবে, সামনের বছর ২০২২ সালে ১০০টি স্কুলে পাইলটিং করা হবে এবং সেই ভিত্তিতে সামনের বছরের শেষের দিকে টেক্সট বই তৈরি করে ২০২৩ সালে কারিকুলাম শুরু হবে।

জেলার বিভিন্ন উপজেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শনকালে মাউশির মনিটরিং এন্ড ইভালুয়েশন উইং এর পরিচালক প্রফেসর আমির হোসেন, পরিচালক অর্থ ও ক্রয় প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম খান, ঢাকা অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর মনোয়ার হোসেন, নরসিংদীর মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গৌতম চন্দ্র মিত্রসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত