Ajker Patrika

ঢাবি আইবিএ ভর্তি পরীক্ষায় ১ম রাইয়ান সাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩: ৪৯
Thumbnail image
রাইয়ান সাদ। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) বিবিএ প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয়েছে। গতকাল বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিভাগের ওয়েবসাইটে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। এ পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন কক্সবাজারের রাইয়ান সাদ আল-হক।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, আইবিএ’র বিবিএ প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার প্রথম ধাপে এমসিকিউতে ইংরেজিতে ৩০ নম্বরের মধ্যে ২১, গণিতে ২৫ এর মধ্যে সাড়ে ১০, বিশ্লেষণাত্মক দক্ষতায় ১৫ এর মধ্যে ১৫ পেয়েছেন রাইয়ান সাদ আল হক। আর লিখিত পরীক্ষায় বর্ণনামূলকে ৩০ এর মধ্যে ১৫ নম্বর পেয়েছেন তিনি। এ ছাড়া দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষায় কমিউনিকেশন দক্ষতায় ২০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছেন সাড়ে ১৭। ভর্তি পরীক্ষায় মোট প্রাপ্ত নম্বর ১২০ এর মধ্যে রায়ান ৭৯ পেয়ে প্রথম হয়েছেন।

জানা যায়, রাজধানীর নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা পাস করেন রাইয়ান সাদ আল-হক। তার বাবা ড. যুবাইর মুহাম্মদ এহসানুল হক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আরবি বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান হিসেব কর্মরত রয়েছেন। তার গ্রামের বাড়ি কক্সবাজার সদরে।

নিজের সাফল্যের বিষয়ে রাইয়ান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাংলাদেশের সেরা বিজনেস স্কুলে চান্স পেয়েই নয় কেবল, ১১ হাজার যোগ্য প্রার্থীর মধ্যে প্রথম স্থান অর্জনের গৌরব অর্জন করতে পেরে আমি বেশ আনন্দিত। মহান আল্লাহ, আমার বাবা-মা, শিক্ষক ও বন্ধুবান্ধবসহ যাঁরাই আমাকে এই সাফল্য স্পর্শ করতে সহযোগিতা করেছেন, সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।’

সন্তানের এমন সাফল্যে উচ্ছসিত বাবা ড. যুবাইর মুহাম্মদ এহসানুল হক। ছেলের এই কৃতিত্বের পুরোটাই মায়ের অবদান বলে উল্লেখ করে ফেসবুক পোস্টে লিখেন, শৈশব থেকে আমি ব্যক্তিগতভাবে সন্তানদের পড়ালেখার ব্যাপারে যত্নশীল ছিলাম। কিন্তু বিভাগীয় চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণের পর ব্যস্ততা এত বেড়ে যায় যে, আমি ছেলেদের পড়ালেখার খবর নেওয়ার সময় পাইনি, অথচ এ সময়টা ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বড় ছেলেটা নটরডেমে এইচএসসিতে ভর্তি হয়েছিল তখন। এইচএসসির পর যখন কোচিং শুরু হলে রাইয়ানের আম্মু বিরাট এক দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নিলেন। তিনি প্রতিদিন রাইয়ানের সাথে কোচিং-এ যেতেন। সঙ্গে একটি কুরআন শরিফ নিয়ে যেতেন। যতক্ষণ কোচিং চলত, অভিভাবককক্ষে কোরআন তেলাওয়াত করতে থাকতেন। কে কি মনে করল, তা পরোয়া না করেই। বাসায়ও প্রায় সময় তাঁকে কোরআন তেলাওয়াত ও দুআ দরুদে ব্যস্ত থাকতে দেখেছি। সন্তানের সাফল্যের জন্য একনিষ্ঠভাবে লেগে থাকার দৃষ্টান্ত।

ড. যুবাইর ছেলে রাইয়ানকে নসিহত করে বলেন, জাগতিক সাফল্যই একজন মুসলমানের প্রকৃত সফলতা নয়; মুমিনের প্রলম্বিত জীবনে পরকালীন সাফল্যই মুখ্য। দুনিয়ার মোহে পার্থিব সাফল্যের তোড়ে পরকালীন সফলতার জন্য প্রচেষ্টা যেন গৌন না হয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত