ফারুক ছিদ্দিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

"নাটকটির নাম 'শুকতারা'। সবার পছন্দের একটি নাটক। তখন রাত ৮টা। নাটকটি দেখার জন্য শিক্ষার্থী, কর্মচারী, ক্যানটিনবয়সহ সবাই জড়ো হন টিভি রুমে। ১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে টিভি রুমে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। ভবনটির ছাদ ধসে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত সেটিকে বলা হতো 'পরিষদ ভবন' বা 'অ্যাসেম্বলি হল'।
`টিভির দিকে চেয়ে এ কথাগুলো শুনতে শুনতে মনে হলো ওপর থেকে কিছু একটা পড়ে গেছে তখনো টিভি চলছে। আমি খোলা আকাশ দেখছি। স্তব্ধ হয়ে গেলাম। কী হলো! এদিক-ওদিক ছোড়াছুড়ি করতে লাগলাম। বর্তমান নিরামিষ মেসের ওপর শিক্ষকেরা থাকতেন তাদের ডেকে আনলাম। সেন্স ছিল না তখন। বলছিলাম, তুরা নিচে নেমে আয়। আমার সামনে সারি সারি লাশ। অনেককে বাঁচানোর চেষ্টা করেও বাঁচাতে পারলাম না। হলের অন্যান্য ভবন থেকে ছাত্ররা এল। তারাও বাঁচানোর চেষ্টা করল। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস সেদিন ২৫ জন ছাত্র ও কর্মচারী এবং অতিথি মারা গেল ১৫ জন। কয়েক শ লোক হয়েছে আহত।'
চাপাকান্নার স্বরে কথাগুলো বলছিলেন ১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে ঘটে যাওয়া এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সাক্ষী, জগন্নাথ হল কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সাবেক সভাপতি স্বপন কুমার দে। সেই সময়ের কিশোর স্বপন বর্তমানে ৫২ বছর বয়সী।
তাঁর বাবা জগন্নাথ হলের বাগানের মালি হিসেবে কর্মরত ছিলেন, সেই সূত্রে হল এলাকার ভেতরেই বাস করত তাঁর পরিবার।
১০০ বছরেরও বেশি পুরোনো অডিটরিয়ামটি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রদেশের পরিষদ ভবন বা সংসদ ভবন ছিল। তাই এটি অ্যাসেম্বলি হল বা পরিষদ ভবন হিসেবে পরিচিত ছিল। পরে নতুন পরিষদ ভবন তৈরি হলে ওই ভবনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর ১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবরের মর্মান্তিক ঘটনার আগ পর্যন্ত এটি জগন্নাথ হলের টেলিভিশন কক্ষ হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
ওই সময়ের সংবাদপত্র থেকে জানা যায় যে ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে ৩৪ জন মারা যান। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ৬ জনের মৃত্যু হয়। নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে জগন্নাথ হলে রয়েছে 'অক্টোবর স্মৃতি ভবন'।
অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিতে গিয়ে বারবার বাষ্পরুদ্ধ হয়ে আসে স্বপন কুমার দে'র কণ্ঠ।
`একটু ধাতস্থ হওয়ার পর আশপাশ থেকে শুধু বাবারে, মাগো, বাঁচাও এসব আর্তনাদ শুনছিলাম। তখনো মাথায় ছিল না দুর্ঘটনায় মানুষ মারা গিয়েছিল কি না। অনেকটা পাগলের মত ছুটে বের হয়ে যাই ওখান থেকে। বাইরে গিয়ে সবাইকে একটা কথাই বলতে থাকি, 'ছাদ ধসে পড়েছে।'
আশপাশের মানুষকে খবর জানিয়ে ঘটনাস্থলে ফিরে যাওয়ার পরও অনেকক্ষণ অপ্রকৃতিস্থ ছিলেন বলে জানান স্বপন কুমার দে। তিনি বলেন, `তখন আমার বয়স কম ছিল। রক্ত, মৃত্যু, আর্তনাদের মধ্যে কিছুতেই মাথা ঠিক রাখতে পারছিলাম না।'
স্বপন আরও বলেন, `বাংলাদেশে এ রকম আর কোনো ঘটনা আছে কি না, জানি না, যেদিন হিন্দু-মুসলিম এক হয়ে সকল ভেদাভেদ ভুলে লাশ বহন করছিল। আর কোনো দিন কোথাও এ ধরনের দুর্ঘটনা যেন না ঘটে তার জন্য আমাদের সব সময় সতর্ক থাকা জরুরি।'
জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা বলেন, 'আমি সে সময় ছাত্র ছিলাম। বর্তমানে প্রাধ্যক্ষ হিসেবে আছি। সে সময় আমার পরীক্ষা থাকার কারণে আমি টিভি রুমে ছিলাম না হয়তো আমিও নিহতদের অন্তর্ভুক্ত হতাম। আজ ৪০ জন না হয়ে ৪১ জন হতে পারত। ভগবান আমাকে রক্ষা করেছেন।'
এ ধরনের দুর্ঘটনা যেন না ঘটে, তার জন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান মিহির লাল।
আজ শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শোক দিবস পালিত হচ্ছে। দিবসটি পালন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত পরিসরে এবার দিবসটি পালিত হচ্ছে। ১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে সংঘটিত মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় যেসব ছাত্র, কর্মচারী ও অতিথি নিহত হয়েছেন, তাঁদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য প্রতিবছর এই দিবসটি পালন করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় জগন্নাথ হল স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও নীরবতা পালন করেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ ছাত্রলীগসহ আরও বেশ কয়েকটি সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।

"নাটকটির নাম 'শুকতারা'। সবার পছন্দের একটি নাটক। তখন রাত ৮টা। নাটকটি দেখার জন্য শিক্ষার্থী, কর্মচারী, ক্যানটিনবয়সহ সবাই জড়ো হন টিভি রুমে। ১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে টিভি রুমে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। ভবনটির ছাদ ধসে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত সেটিকে বলা হতো 'পরিষদ ভবন' বা 'অ্যাসেম্বলি হল'।
`টিভির দিকে চেয়ে এ কথাগুলো শুনতে শুনতে মনে হলো ওপর থেকে কিছু একটা পড়ে গেছে তখনো টিভি চলছে। আমি খোলা আকাশ দেখছি। স্তব্ধ হয়ে গেলাম। কী হলো! এদিক-ওদিক ছোড়াছুড়ি করতে লাগলাম। বর্তমান নিরামিষ মেসের ওপর শিক্ষকেরা থাকতেন তাদের ডেকে আনলাম। সেন্স ছিল না তখন। বলছিলাম, তুরা নিচে নেমে আয়। আমার সামনে সারি সারি লাশ। অনেককে বাঁচানোর চেষ্টা করেও বাঁচাতে পারলাম না। হলের অন্যান্য ভবন থেকে ছাত্ররা এল। তারাও বাঁচানোর চেষ্টা করল। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস সেদিন ২৫ জন ছাত্র ও কর্মচারী এবং অতিথি মারা গেল ১৫ জন। কয়েক শ লোক হয়েছে আহত।'
চাপাকান্নার স্বরে কথাগুলো বলছিলেন ১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে ঘটে যাওয়া এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সাক্ষী, জগন্নাথ হল কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সাবেক সভাপতি স্বপন কুমার দে। সেই সময়ের কিশোর স্বপন বর্তমানে ৫২ বছর বয়সী।
তাঁর বাবা জগন্নাথ হলের বাগানের মালি হিসেবে কর্মরত ছিলেন, সেই সূত্রে হল এলাকার ভেতরেই বাস করত তাঁর পরিবার।
১০০ বছরেরও বেশি পুরোনো অডিটরিয়ামটি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রদেশের পরিষদ ভবন বা সংসদ ভবন ছিল। তাই এটি অ্যাসেম্বলি হল বা পরিষদ ভবন হিসেবে পরিচিত ছিল। পরে নতুন পরিষদ ভবন তৈরি হলে ওই ভবনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর ১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবরের মর্মান্তিক ঘটনার আগ পর্যন্ত এটি জগন্নাথ হলের টেলিভিশন কক্ষ হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
ওই সময়ের সংবাদপত্র থেকে জানা যায় যে ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে ৩৪ জন মারা যান। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ৬ জনের মৃত্যু হয়। নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে জগন্নাথ হলে রয়েছে 'অক্টোবর স্মৃতি ভবন'।
অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিতে গিয়ে বারবার বাষ্পরুদ্ধ হয়ে আসে স্বপন কুমার দে'র কণ্ঠ।
`একটু ধাতস্থ হওয়ার পর আশপাশ থেকে শুধু বাবারে, মাগো, বাঁচাও এসব আর্তনাদ শুনছিলাম। তখনো মাথায় ছিল না দুর্ঘটনায় মানুষ মারা গিয়েছিল কি না। অনেকটা পাগলের মত ছুটে বের হয়ে যাই ওখান থেকে। বাইরে গিয়ে সবাইকে একটা কথাই বলতে থাকি, 'ছাদ ধসে পড়েছে।'
আশপাশের মানুষকে খবর জানিয়ে ঘটনাস্থলে ফিরে যাওয়ার পরও অনেকক্ষণ অপ্রকৃতিস্থ ছিলেন বলে জানান স্বপন কুমার দে। তিনি বলেন, `তখন আমার বয়স কম ছিল। রক্ত, মৃত্যু, আর্তনাদের মধ্যে কিছুতেই মাথা ঠিক রাখতে পারছিলাম না।'
স্বপন আরও বলেন, `বাংলাদেশে এ রকম আর কোনো ঘটনা আছে কি না, জানি না, যেদিন হিন্দু-মুসলিম এক হয়ে সকল ভেদাভেদ ভুলে লাশ বহন করছিল। আর কোনো দিন কোথাও এ ধরনের দুর্ঘটনা যেন না ঘটে তার জন্য আমাদের সব সময় সতর্ক থাকা জরুরি।'
জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা বলেন, 'আমি সে সময় ছাত্র ছিলাম। বর্তমানে প্রাধ্যক্ষ হিসেবে আছি। সে সময় আমার পরীক্ষা থাকার কারণে আমি টিভি রুমে ছিলাম না হয়তো আমিও নিহতদের অন্তর্ভুক্ত হতাম। আজ ৪০ জন না হয়ে ৪১ জন হতে পারত। ভগবান আমাকে রক্ষা করেছেন।'
এ ধরনের দুর্ঘটনা যেন না ঘটে, তার জন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান মিহির লাল।
আজ শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শোক দিবস পালিত হচ্ছে। দিবসটি পালন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত পরিসরে এবার দিবসটি পালিত হচ্ছে। ১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে সংঘটিত মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় যেসব ছাত্র, কর্মচারী ও অতিথি নিহত হয়েছেন, তাঁদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য প্রতিবছর এই দিবসটি পালন করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় জগন্নাথ হল স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও নীরবতা পালন করেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ ছাত্রলীগসহ আরও বেশ কয়েকটি সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
ফারুক ছিদ্দিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

"নাটকটির নাম 'শুকতারা'। সবার পছন্দের একটি নাটক। তখন রাত ৮টা। নাটকটি দেখার জন্য শিক্ষার্থী, কর্মচারী, ক্যানটিনবয়সহ সবাই জড়ো হন টিভি রুমে। ১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে টিভি রুমে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। ভবনটির ছাদ ধসে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত সেটিকে বলা হতো 'পরিষদ ভবন' বা 'অ্যাসেম্বলি হল'।
`টিভির দিকে চেয়ে এ কথাগুলো শুনতে শুনতে মনে হলো ওপর থেকে কিছু একটা পড়ে গেছে তখনো টিভি চলছে। আমি খোলা আকাশ দেখছি। স্তব্ধ হয়ে গেলাম। কী হলো! এদিক-ওদিক ছোড়াছুড়ি করতে লাগলাম। বর্তমান নিরামিষ মেসের ওপর শিক্ষকেরা থাকতেন তাদের ডেকে আনলাম। সেন্স ছিল না তখন। বলছিলাম, তুরা নিচে নেমে আয়। আমার সামনে সারি সারি লাশ। অনেককে বাঁচানোর চেষ্টা করেও বাঁচাতে পারলাম না। হলের অন্যান্য ভবন থেকে ছাত্ররা এল। তারাও বাঁচানোর চেষ্টা করল। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস সেদিন ২৫ জন ছাত্র ও কর্মচারী এবং অতিথি মারা গেল ১৫ জন। কয়েক শ লোক হয়েছে আহত।'
চাপাকান্নার স্বরে কথাগুলো বলছিলেন ১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে ঘটে যাওয়া এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সাক্ষী, জগন্নাথ হল কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সাবেক সভাপতি স্বপন কুমার দে। সেই সময়ের কিশোর স্বপন বর্তমানে ৫২ বছর বয়সী।
তাঁর বাবা জগন্নাথ হলের বাগানের মালি হিসেবে কর্মরত ছিলেন, সেই সূত্রে হল এলাকার ভেতরেই বাস করত তাঁর পরিবার।
১০০ বছরেরও বেশি পুরোনো অডিটরিয়ামটি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রদেশের পরিষদ ভবন বা সংসদ ভবন ছিল। তাই এটি অ্যাসেম্বলি হল বা পরিষদ ভবন হিসেবে পরিচিত ছিল। পরে নতুন পরিষদ ভবন তৈরি হলে ওই ভবনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর ১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবরের মর্মান্তিক ঘটনার আগ পর্যন্ত এটি জগন্নাথ হলের টেলিভিশন কক্ষ হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
ওই সময়ের সংবাদপত্র থেকে জানা যায় যে ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে ৩৪ জন মারা যান। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ৬ জনের মৃত্যু হয়। নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে জগন্নাথ হলে রয়েছে 'অক্টোবর স্মৃতি ভবন'।
অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিতে গিয়ে বারবার বাষ্পরুদ্ধ হয়ে আসে স্বপন কুমার দে'র কণ্ঠ।
`একটু ধাতস্থ হওয়ার পর আশপাশ থেকে শুধু বাবারে, মাগো, বাঁচাও এসব আর্তনাদ শুনছিলাম। তখনো মাথায় ছিল না দুর্ঘটনায় মানুষ মারা গিয়েছিল কি না। অনেকটা পাগলের মত ছুটে বের হয়ে যাই ওখান থেকে। বাইরে গিয়ে সবাইকে একটা কথাই বলতে থাকি, 'ছাদ ধসে পড়েছে।'
আশপাশের মানুষকে খবর জানিয়ে ঘটনাস্থলে ফিরে যাওয়ার পরও অনেকক্ষণ অপ্রকৃতিস্থ ছিলেন বলে জানান স্বপন কুমার দে। তিনি বলেন, `তখন আমার বয়স কম ছিল। রক্ত, মৃত্যু, আর্তনাদের মধ্যে কিছুতেই মাথা ঠিক রাখতে পারছিলাম না।'
স্বপন আরও বলেন, `বাংলাদেশে এ রকম আর কোনো ঘটনা আছে কি না, জানি না, যেদিন হিন্দু-মুসলিম এক হয়ে সকল ভেদাভেদ ভুলে লাশ বহন করছিল। আর কোনো দিন কোথাও এ ধরনের দুর্ঘটনা যেন না ঘটে তার জন্য আমাদের সব সময় সতর্ক থাকা জরুরি।'
জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা বলেন, 'আমি সে সময় ছাত্র ছিলাম। বর্তমানে প্রাধ্যক্ষ হিসেবে আছি। সে সময় আমার পরীক্ষা থাকার কারণে আমি টিভি রুমে ছিলাম না হয়তো আমিও নিহতদের অন্তর্ভুক্ত হতাম। আজ ৪০ জন না হয়ে ৪১ জন হতে পারত। ভগবান আমাকে রক্ষা করেছেন।'
এ ধরনের দুর্ঘটনা যেন না ঘটে, তার জন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান মিহির লাল।
আজ শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শোক দিবস পালিত হচ্ছে। দিবসটি পালন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত পরিসরে এবার দিবসটি পালিত হচ্ছে। ১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে সংঘটিত মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় যেসব ছাত্র, কর্মচারী ও অতিথি নিহত হয়েছেন, তাঁদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য প্রতিবছর এই দিবসটি পালন করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় জগন্নাথ হল স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও নীরবতা পালন করেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ ছাত্রলীগসহ আরও বেশ কয়েকটি সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।

"নাটকটির নাম 'শুকতারা'। সবার পছন্দের একটি নাটক। তখন রাত ৮টা। নাটকটি দেখার জন্য শিক্ষার্থী, কর্মচারী, ক্যানটিনবয়সহ সবাই জড়ো হন টিভি রুমে। ১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে টিভি রুমে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। ভবনটির ছাদ ধসে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত সেটিকে বলা হতো 'পরিষদ ভবন' বা 'অ্যাসেম্বলি হল'।
`টিভির দিকে চেয়ে এ কথাগুলো শুনতে শুনতে মনে হলো ওপর থেকে কিছু একটা পড়ে গেছে তখনো টিভি চলছে। আমি খোলা আকাশ দেখছি। স্তব্ধ হয়ে গেলাম। কী হলো! এদিক-ওদিক ছোড়াছুড়ি করতে লাগলাম। বর্তমান নিরামিষ মেসের ওপর শিক্ষকেরা থাকতেন তাদের ডেকে আনলাম। সেন্স ছিল না তখন। বলছিলাম, তুরা নিচে নেমে আয়। আমার সামনে সারি সারি লাশ। অনেককে বাঁচানোর চেষ্টা করেও বাঁচাতে পারলাম না। হলের অন্যান্য ভবন থেকে ছাত্ররা এল। তারাও বাঁচানোর চেষ্টা করল। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস সেদিন ২৫ জন ছাত্র ও কর্মচারী এবং অতিথি মারা গেল ১৫ জন। কয়েক শ লোক হয়েছে আহত।'
চাপাকান্নার স্বরে কথাগুলো বলছিলেন ১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে ঘটে যাওয়া এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সাক্ষী, জগন্নাথ হল কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সাবেক সভাপতি স্বপন কুমার দে। সেই সময়ের কিশোর স্বপন বর্তমানে ৫২ বছর বয়সী।
তাঁর বাবা জগন্নাথ হলের বাগানের মালি হিসেবে কর্মরত ছিলেন, সেই সূত্রে হল এলাকার ভেতরেই বাস করত তাঁর পরিবার।
১০০ বছরেরও বেশি পুরোনো অডিটরিয়ামটি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রদেশের পরিষদ ভবন বা সংসদ ভবন ছিল। তাই এটি অ্যাসেম্বলি হল বা পরিষদ ভবন হিসেবে পরিচিত ছিল। পরে নতুন পরিষদ ভবন তৈরি হলে ওই ভবনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর ১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবরের মর্মান্তিক ঘটনার আগ পর্যন্ত এটি জগন্নাথ হলের টেলিভিশন কক্ষ হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
ওই সময়ের সংবাদপত্র থেকে জানা যায় যে ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে ৩৪ জন মারা যান। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ৬ জনের মৃত্যু হয়। নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে জগন্নাথ হলে রয়েছে 'অক্টোবর স্মৃতি ভবন'।
অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিতে গিয়ে বারবার বাষ্পরুদ্ধ হয়ে আসে স্বপন কুমার দে'র কণ্ঠ।
`একটু ধাতস্থ হওয়ার পর আশপাশ থেকে শুধু বাবারে, মাগো, বাঁচাও এসব আর্তনাদ শুনছিলাম। তখনো মাথায় ছিল না দুর্ঘটনায় মানুষ মারা গিয়েছিল কি না। অনেকটা পাগলের মত ছুটে বের হয়ে যাই ওখান থেকে। বাইরে গিয়ে সবাইকে একটা কথাই বলতে থাকি, 'ছাদ ধসে পড়েছে।'
আশপাশের মানুষকে খবর জানিয়ে ঘটনাস্থলে ফিরে যাওয়ার পরও অনেকক্ষণ অপ্রকৃতিস্থ ছিলেন বলে জানান স্বপন কুমার দে। তিনি বলেন, `তখন আমার বয়স কম ছিল। রক্ত, মৃত্যু, আর্তনাদের মধ্যে কিছুতেই মাথা ঠিক রাখতে পারছিলাম না।'
স্বপন আরও বলেন, `বাংলাদেশে এ রকম আর কোনো ঘটনা আছে কি না, জানি না, যেদিন হিন্দু-মুসলিম এক হয়ে সকল ভেদাভেদ ভুলে লাশ বহন করছিল। আর কোনো দিন কোথাও এ ধরনের দুর্ঘটনা যেন না ঘটে তার জন্য আমাদের সব সময় সতর্ক থাকা জরুরি।'
জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা বলেন, 'আমি সে সময় ছাত্র ছিলাম। বর্তমানে প্রাধ্যক্ষ হিসেবে আছি। সে সময় আমার পরীক্ষা থাকার কারণে আমি টিভি রুমে ছিলাম না হয়তো আমিও নিহতদের অন্তর্ভুক্ত হতাম। আজ ৪০ জন না হয়ে ৪১ জন হতে পারত। ভগবান আমাকে রক্ষা করেছেন।'
এ ধরনের দুর্ঘটনা যেন না ঘটে, তার জন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান মিহির লাল।
আজ শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শোক দিবস পালিত হচ্ছে। দিবসটি পালন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত পরিসরে এবার দিবসটি পালিত হচ্ছে। ১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে সংঘটিত মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় যেসব ছাত্র, কর্মচারী ও অতিথি নিহত হয়েছেন, তাঁদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য প্রতিবছর এই দিবসটি পালন করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় জগন্নাথ হল স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও নীরবতা পালন করেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ ছাত্রলীগসহ আরও বেশ কয়েকটি সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) মিডিয়া অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন (এমএমসি) বিভাগ আয়োজিত ‘১০ম কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম এডুকেটরস নেটওয়ার্ক (সিজেন) কনফারেন্স ২০২৫’ ২৪ ও ২৫ অক্টোবর এআইইউবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিডব্লিউ একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দ
৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) এইচএসসি পরীক্ষা-২০২৫-এর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর গড় পাসের হার ৬২ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাবিবুল্যাহ মাহামুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের নানা প্রান্তের তরুণেরা যখন পরিবর্তনের স্বপ্নে ভবিষ্যৎ গড়ছেন, তখন সেই স্বপ্নবাজদের সারিতে বাংলাদেশের তরুণ আমিমুল এহসান খান যোগ করেছেন এক অনন্য অধ্যায়। সম্প্রতি তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’ হিসেবে। বিশ্বের ৫০ জন তরুণের মধ্য থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি।
১৬ ঘণ্টা আগে
দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধের ঝুঁকি। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, অনলাইন প্রতারণা কিংবা ডিপফেক ভিডিও—সবকিছু মিলিয়ে এখন সাইবার অপরাধ এক বড় সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) মিডিয়া অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন (এমএমসি) বিভাগ আয়োজিত ‘১০ম কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম এডুকেটরস নেটওয়ার্ক (সিজেন) কনফারেন্স ২০২৫’ ২৪ ও ২৫ অক্টোবর এআইইউবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিডব্লিউ একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া শিক্ষাবিদ, গণমাধ্যম পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
এবারের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘মিডিয়া ট্রান্সফর্মড: বাংলাদেশ অ্যাট এ ক্রসরোড’।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এআইইউবির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ড. হাসানুল এ. হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিডব্লিউ একাডেমির প্রজেক্ট ম্যানেজার মিস জিমি আমির। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এআইইউবি ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর ড. কারমেন জিটা লামাগনা, এআইইউবির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম, প্রো ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আব্দুর রহমান, ফ্যাকাল্টি অব আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের (এফএএসএস) ডিন প্রফেসর ড. তাজুল ইসলাম, এমএমসি বিভাগের উপদেষ্টা ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গণমাধ্যম পেশাজীবীরা।
অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য দেন এমএমসি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মিস রানি এলেন ভি রামোস। দুই দিনব্যাপী এই কনফারেন্সে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন, প্যানেল আলোচনা এবং একাডেমিক পেপার সেশন অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে ২৪ অক্টোবর কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) মিডিয়া অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন (এমএমসি) বিভাগ আয়োজিত ‘১০ম কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম এডুকেটরস নেটওয়ার্ক (সিজেন) কনফারেন্স ২০২৫’ ২৪ ও ২৫ অক্টোবর এআইইউবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিডব্লিউ একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া শিক্ষাবিদ, গণমাধ্যম পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
এবারের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘মিডিয়া ট্রান্সফর্মড: বাংলাদেশ অ্যাট এ ক্রসরোড’।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এআইইউবির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ড. হাসানুল এ. হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিডব্লিউ একাডেমির প্রজেক্ট ম্যানেজার মিস জিমি আমির। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এআইইউবি ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর ড. কারমেন জিটা লামাগনা, এআইইউবির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম, প্রো ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আব্দুর রহমান, ফ্যাকাল্টি অব আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের (এফএএসএস) ডিন প্রফেসর ড. তাজুল ইসলাম, এমএমসি বিভাগের উপদেষ্টা ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গণমাধ্যম পেশাজীবীরা।
অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য দেন এমএমসি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মিস রানি এলেন ভি রামোস। দুই দিনব্যাপী এই কনফারেন্সে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন, প্যানেল আলোচনা এবং একাডেমিক পেপার সেশন অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে ২৪ অক্টোবর কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।

"নাটকটির নাম 'শুকতারা'। সবার পছন্দের একটি নাটক। তখন রাত ৮টা বাজে। নাটকটি দেখার জন্য শিক্ষার্থী, কর্মচারী ও ক্যান্টিনবয়সহ সকলে জড়ো হলো টিভি রুমে। ১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে টিভি রুমে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। ভবনটির ছাদ ধসে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত সেটিকে বলা হতো
১৫ অক্টোবর ২০২১
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) এইচএসসি পরীক্ষা-২০২৫-এর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর গড় পাসের হার ৬২ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাবিবুল্যাহ মাহামুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের নানা প্রান্তের তরুণেরা যখন পরিবর্তনের স্বপ্নে ভবিষ্যৎ গড়ছেন, তখন সেই স্বপ্নবাজদের সারিতে বাংলাদেশের তরুণ আমিমুল এহসান খান যোগ করেছেন এক অনন্য অধ্যায়। সম্প্রতি তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’ হিসেবে। বিশ্বের ৫০ জন তরুণের মধ্য থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি।
১৬ ঘণ্টা আগে
দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধের ঝুঁকি। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, অনলাইন প্রতারণা কিংবা ডিপফেক ভিডিও—সবকিছু মিলিয়ে এখন সাইবার অপরাধ এক বড় সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) এইচএসসি পরীক্ষা-২০২৫-এর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর গড় পাসের হার ৬২ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাবিবুল্যাহ মাহামুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ বছর প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষ মিলিয়ে মোট ৩৮ হাজার ৩৪২ জন শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ৩১ হাজার ৪২১ জন শিক্ষার্থী। আর চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেন ১৬ হাজার ৭৮৩ জন, যার মধ্যে ১০ হাজার ৪৬৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫ হাজার ৬৪০ জন ছাত্র ও ৪ হাজার ৮২৩ জন ছাত্রী। পরীক্ষার ফল বাউবির ওয়েবসাইট (result.bou.ac.bd) থেকে জানা যাবে।

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) এইচএসসি পরীক্ষা-২০২৫-এর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর গড় পাসের হার ৬২ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাবিবুল্যাহ মাহামুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ বছর প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষ মিলিয়ে মোট ৩৮ হাজার ৩৪২ জন শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ৩১ হাজার ৪২১ জন শিক্ষার্থী। আর চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেন ১৬ হাজার ৭৮৩ জন, যার মধ্যে ১০ হাজার ৪৬৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫ হাজার ৬৪০ জন ছাত্র ও ৪ হাজার ৮২৩ জন ছাত্রী। পরীক্ষার ফল বাউবির ওয়েবসাইট (result.bou.ac.bd) থেকে জানা যাবে।

"নাটকটির নাম 'শুকতারা'। সবার পছন্দের একটি নাটক। তখন রাত ৮টা বাজে। নাটকটি দেখার জন্য শিক্ষার্থী, কর্মচারী ও ক্যান্টিনবয়সহ সকলে জড়ো হলো টিভি রুমে। ১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে টিভি রুমে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। ভবনটির ছাদ ধসে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত সেটিকে বলা হতো
১৫ অক্টোবর ২০২১
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) মিডিয়া অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন (এমএমসি) বিভাগ আয়োজিত ‘১০ম কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম এডুকেটরস নেটওয়ার্ক (সিজেন) কনফারেন্স ২০২৫’ ২৪ ও ২৫ অক্টোবর এআইইউবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিডব্লিউ একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দ
৩ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের নানা প্রান্তের তরুণেরা যখন পরিবর্তনের স্বপ্নে ভবিষ্যৎ গড়ছেন, তখন সেই স্বপ্নবাজদের সারিতে বাংলাদেশের তরুণ আমিমুল এহসান খান যোগ করেছেন এক অনন্য অধ্যায়। সম্প্রতি তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’ হিসেবে। বিশ্বের ৫০ জন তরুণের মধ্য থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি।
১৬ ঘণ্টা আগে
দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধের ঝুঁকি। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, অনলাইন প্রতারণা কিংবা ডিপফেক ভিডিও—সবকিছু মিলিয়ে এখন সাইবার অপরাধ এক বড় সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগেআব্দুর রাজ্জাক খান

বিশ্বের নানা প্রান্তের তরুণেরা যখন পরিবর্তনের স্বপ্নে ভবিষ্যৎ গড়ছেন, তখন সেই স্বপ্নবাজদের সারিতে বাংলাদেশের তরুণ আমিমুল এহসান খান যোগ করেছেন এক অনন্য অধ্যায়। সম্প্রতি তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’ হিসেবে। বিশ্বের ৫০ জন তরুণের মধ্য থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে ২০ থেকে ২৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত গ্লোবাল ইয়ুথ সামিট ২০২৫-এ অংশ নেন আমিমুল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৫০ তরুণ নেতাকে নিয়ে আয়োজিত এই সামিটে আলোচনা হয় নেতৃত্ব, টেকসই উন্নয়ন, সামাজিক পরিবর্তন ও বৈশ্বিক সহযোগিতা নিয়ে। এই সম্মেলন ছিল ফুল ফান্ডেড। সামিটে অংশগ্রহণ করা তরুণদের সব ব্যয় বহন করেছে আয়োজক সংস্থা।
টোকিও থেকে বিশ্বমঞ্চে
আমিমুলের উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন হয়েছে জাপানের টোকিও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পেয়েছেন ৮০ শতাংশ স্কলারশিপ, পাশাপাশি জাপান সরকারের এক বছরের বৃত্তিও পেয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি কাজ করছেন অ্যাওয়ারনেস ৩৬০ নামের একটি বৈশ্বিক তরুণ নেতৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠানে প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট লিড হিসেবে। পাশাপাশি জাপানের এশিয়ান বিজনেস নেটওয়ার্কে তিনি মার্কেটিং ম্যানেজার পদেও কর্মরত।
পরিবর্তনের পথে নেতৃত্ব
নিজের যাত্রা নিয়ে আমিমুল বলেন, ‘আমি এই সুযোগ পেয়েছি যুব ক্ষমতায়নমূলক কাজের জন্য, যা আমি অ্যাওয়ারনেস ৩৬০-এর সঙ্গে করে আসছি। আমি একা পৃথিবী বদলাতে পারব না জানি, তাই আমি অন্যদের অনুপ্রাণিত করছি, যাতে তারাও পরিবর্তনের পথে এগিয়ে আসে।’

তাঁর নেতৃত্বে প্রতিবছর আয়োজিত হয় অ্যাওয়ারনেস ৩৬০ ফেলোশিপ প্রোগ্রাম। যেখানে তরুণদের শেখানো হয় নেতৃত্ব, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ও সামাজিক প্রভাব তৈরির দক্ষতা। পাঁচ বছর ধরে প্রতিবছর এই উদ্যোগে যুক্ত হয়েছেন বিশ্বের ৭০টির বেশি দেশের প্রায় ৫০০ তরুণ।
পুরস্কার ও স্বীকৃতি
যুবসমাজের জন্য নিরলস পরিশ্রমের স্বীকৃতি হিসেবে ২০২২ সালে আমিমুল পেয়েছিলেন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ‘দ্য ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড’। এটি ছিল তরুণ নেতৃত্ব এবং সামাজিক প্রভাব তৈরির অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার।
অনুপ্রেরণার বার্তা
দক্ষিণ আফ্রিকার সামিটে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা তাঁকে আরও দৃঢ় করেছে। তিনি বলেন, ‘এই সম্মেলনে অংশ নিয়ে বুঝেছি, পৃথিবীর প্রত্যেক তরুণই পরিবর্তনের বাহক হতে পারে। আমাদের চিন্তা, কাজ আর সহযোগিতার মাধ্যমে গড়ে উঠতে পারে এক সুন্দর, টেকসই ভবিষ্যৎ।’

বিশ্বের নানা প্রান্তের তরুণেরা যখন পরিবর্তনের স্বপ্নে ভবিষ্যৎ গড়ছেন, তখন সেই স্বপ্নবাজদের সারিতে বাংলাদেশের তরুণ আমিমুল এহসান খান যোগ করেছেন এক অনন্য অধ্যায়। সম্প্রতি তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’ হিসেবে। বিশ্বের ৫০ জন তরুণের মধ্য থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে ২০ থেকে ২৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত গ্লোবাল ইয়ুথ সামিট ২০২৫-এ অংশ নেন আমিমুল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৫০ তরুণ নেতাকে নিয়ে আয়োজিত এই সামিটে আলোচনা হয় নেতৃত্ব, টেকসই উন্নয়ন, সামাজিক পরিবর্তন ও বৈশ্বিক সহযোগিতা নিয়ে। এই সম্মেলন ছিল ফুল ফান্ডেড। সামিটে অংশগ্রহণ করা তরুণদের সব ব্যয় বহন করেছে আয়োজক সংস্থা।
টোকিও থেকে বিশ্বমঞ্চে
আমিমুলের উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন হয়েছে জাপানের টোকিও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পেয়েছেন ৮০ শতাংশ স্কলারশিপ, পাশাপাশি জাপান সরকারের এক বছরের বৃত্তিও পেয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি কাজ করছেন অ্যাওয়ারনেস ৩৬০ নামের একটি বৈশ্বিক তরুণ নেতৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠানে প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট লিড হিসেবে। পাশাপাশি জাপানের এশিয়ান বিজনেস নেটওয়ার্কে তিনি মার্কেটিং ম্যানেজার পদেও কর্মরত।
পরিবর্তনের পথে নেতৃত্ব
নিজের যাত্রা নিয়ে আমিমুল বলেন, ‘আমি এই সুযোগ পেয়েছি যুব ক্ষমতায়নমূলক কাজের জন্য, যা আমি অ্যাওয়ারনেস ৩৬০-এর সঙ্গে করে আসছি। আমি একা পৃথিবী বদলাতে পারব না জানি, তাই আমি অন্যদের অনুপ্রাণিত করছি, যাতে তারাও পরিবর্তনের পথে এগিয়ে আসে।’

তাঁর নেতৃত্বে প্রতিবছর আয়োজিত হয় অ্যাওয়ারনেস ৩৬০ ফেলোশিপ প্রোগ্রাম। যেখানে তরুণদের শেখানো হয় নেতৃত্ব, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ও সামাজিক প্রভাব তৈরির দক্ষতা। পাঁচ বছর ধরে প্রতিবছর এই উদ্যোগে যুক্ত হয়েছেন বিশ্বের ৭০টির বেশি দেশের প্রায় ৫০০ তরুণ।
পুরস্কার ও স্বীকৃতি
যুবসমাজের জন্য নিরলস পরিশ্রমের স্বীকৃতি হিসেবে ২০২২ সালে আমিমুল পেয়েছিলেন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ‘দ্য ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড’। এটি ছিল তরুণ নেতৃত্ব এবং সামাজিক প্রভাব তৈরির অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার।
অনুপ্রেরণার বার্তা
দক্ষিণ আফ্রিকার সামিটে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা তাঁকে আরও দৃঢ় করেছে। তিনি বলেন, ‘এই সম্মেলনে অংশ নিয়ে বুঝেছি, পৃথিবীর প্রত্যেক তরুণই পরিবর্তনের বাহক হতে পারে। আমাদের চিন্তা, কাজ আর সহযোগিতার মাধ্যমে গড়ে উঠতে পারে এক সুন্দর, টেকসই ভবিষ্যৎ।’

"নাটকটির নাম 'শুকতারা'। সবার পছন্দের একটি নাটক। তখন রাত ৮টা বাজে। নাটকটি দেখার জন্য শিক্ষার্থী, কর্মচারী ও ক্যান্টিনবয়সহ সকলে জড়ো হলো টিভি রুমে। ১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে টিভি রুমে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। ভবনটির ছাদ ধসে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত সেটিকে বলা হতো
১৫ অক্টোবর ২০২১
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) মিডিয়া অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন (এমএমসি) বিভাগ আয়োজিত ‘১০ম কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম এডুকেটরস নেটওয়ার্ক (সিজেন) কনফারেন্স ২০২৫’ ২৪ ও ২৫ অক্টোবর এআইইউবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিডব্লিউ একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দ
৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) এইচএসসি পরীক্ষা-২০২৫-এর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর গড় পাসের হার ৬২ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাবিবুল্যাহ মাহামুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধের ঝুঁকি। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, অনলাইন প্রতারণা কিংবা ডিপফেক ভিডিও—সবকিছু মিলিয়ে এখন সাইবার অপরাধ এক বড় সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগেনওসাদ আল সাইম

দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধের ঝুঁকি। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, অনলাইন প্রতারণা কিংবা ডিপফেক ভিডিও—সবকিছু মিলিয়ে এখন সাইবার অপরাধ এক বড় সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
সাইবার এইড বাংলাদেশের সাম্প্রতিক জরিপ অনুযায়ী, ডিপফেক ও এআইনির্ভর অপরাধের হার এখন ২৩ শতাংশের বেশি। সোশ্যাল মিডিয়া হ্যাকিং ২১ শতাংশ, ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে অপপ্রচার ১৫ শতাংশ, ই-কমার্স প্রতারণা ১৫ শতাংশ এবং অনলাইন হুমকি ১১ শতাংশ। ভুক্তভোগীদের প্রায় ৭৯ শতাংশের বয়স ১৮-৩০ বছরের মধ্যে, তাঁদের ৫৯ শতাংশই নারী।
অধিকাংশ ভুক্তভোগী জানেন না, কোথায় অভিযোগ করতে হবে। জরিপে দেখা গেছে, ৪২ শতাংশ অভিযোগ দাখিলের সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে অজ্ঞ এবং যাঁরা অভিযোগ করেন, তাঁদের মাত্র ১২ শতাংশ আইনি প্রতিকার পান। ফলে সচেতনতার অভাব ও আইনি কাঠামোর সীমাবদ্ধতায় সাইবার নিরাপত্তা এখন দেশের বড় এক চ্যালেঞ্জ।
এই বাস্তবতায় এগিয়ে এসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আরাফাত চৌধুরী। ২০২২ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘সাইবার এইড বাংলাদেশ’, যা সাইবার অপরাধের শিকার মানুষের আইনি সহায়তা এবং মানসিক সাপোর্ট দেয়। মাত্র তিন বছরের ব্যবধানে সংগঠনটি দেশে সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলছে।
আরাফাত বলেন, ‘সাইবার অপরাধ শুধু মানসিক যন্ত্রণা নয়, সামাজিক মর্যাদাহানির কারণও। কিন্তু বেশির ভাগ ভুক্তভোগী ভয় বা লজ্জায় মুখ খুলতে চান না।’ সংগঠনের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ১ হাজার ৭৬১ জন এবং অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রায়
৪ হাজার মানুষ সাইবার এইডের সহায়তা পেয়েছেন। সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে ৭৬ শতাংশই নারী। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ আসে ব্ল্যাকমেল ও ই-কমার্স প্রতারণা-সংক্রান্ত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান সুমনা বলেন, ‘একজন আমার ব্যক্তিগত ছবি ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেল করতে থাকে। কী করব বুঝতে পারছিলাম না। তখন সাইবার এইডে যোগাযোগ করি। শুধু আইনি সহায়তাই নয়; মানসিকভাবেও তারা পাশে দাঁড়ায়।’
অন্যদিকে জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘অনলাইনে একটি পেজ থেকে আইফোন কিনতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছিলাম। সাইবার এইডের সহায়তায় পুলিশে অভিযোগ করতে পারি। এখন অন্তত জানি, প্রতারণার শিকার হলে চুপ করে না থেকে লড়াই করা যায়।’
শুধু আইনি সহায়তা নয়, সচেতনতা সৃষ্টিতেও কাজ করছে সংগঠনটি। এ পর্যন্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইবার সচেতনতা ক্যাম্পেইন এবং বিভাগীয় শহর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ৫৬টির বেশি সেমিনার ও প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছে তারা। অনলাইনে ‘বেসিক সাইবার লিটারেসি’, ‘সাইবার স্পেস সিকিউরিটি’ ও ‘ডিজিটাল ফরেনসিক’ কোর্স চালু করেছে। ভবিষ্যতে চালু হবে একটি মোবাইল অ্যাপ, যেখানে থাকবে লাইভ চ্যাট সাপোর্ট, এআইনির্ভর নিরাপত্তা নির্দেশনা এবং দ্রুত অভিযোগ দাখিলের সুবিধা।
ভুক্তভোগীরা হটলাইন, ফেসবুক পেজ বা গ্রুপের মাধ্যমে অভিযোগ করলে সাইবার এইড বাংলাদেশ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন ও সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নিশ্চিত করে।
সাইবার অপরাধ বাড়ার পেছনে আরাফাত দুটি বড় কারণ দেখছেন। সেগুলো হলো সচেতনতার অভাব এবং আইনগত সীমাবদ্ধতা। তাঁর মতে, বেশির ভাগ সাইবার অপরাধ জামিনযোগ্য হওয়ায় অপরাধীদের ভয় কম। আবার ডিজিটাল প্রমাণ সংগ্রহে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দক্ষতায়ও ঘাটতি রয়েছে।
আরাফাতের বিশ্বাস, প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সাইবার ঝুঁকিও বাড়ছে। তাই প্রয়োজন আগাম প্রস্তুতি ও সচেতনতা। তাঁর ভাষায়, ‘আমরা চাই তরুণেরা শুধু প্রযুক্তির ব্যবহারকারী নয়, বরং প্রযুক্তির নিরাপত্তা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করুক।’
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট আল মামুন রাসেল বলেন, সাইবার এইড বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে সাইবার ক্রাইম ভিকটিমদের আইনি সহযোগিতা করে যাচ্ছে। পাশাপাশি সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। সাইবার ক্রাইম ভুক্তভোগীদের আইনি সহযোগিতা প্রদানে এটি অনন্য ও কার্যকরী উদ্যোগ।

দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধের ঝুঁকি। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, অনলাইন প্রতারণা কিংবা ডিপফেক ভিডিও—সবকিছু মিলিয়ে এখন সাইবার অপরাধ এক বড় সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
সাইবার এইড বাংলাদেশের সাম্প্রতিক জরিপ অনুযায়ী, ডিপফেক ও এআইনির্ভর অপরাধের হার এখন ২৩ শতাংশের বেশি। সোশ্যাল মিডিয়া হ্যাকিং ২১ শতাংশ, ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে অপপ্রচার ১৫ শতাংশ, ই-কমার্স প্রতারণা ১৫ শতাংশ এবং অনলাইন হুমকি ১১ শতাংশ। ভুক্তভোগীদের প্রায় ৭৯ শতাংশের বয়স ১৮-৩০ বছরের মধ্যে, তাঁদের ৫৯ শতাংশই নারী।
অধিকাংশ ভুক্তভোগী জানেন না, কোথায় অভিযোগ করতে হবে। জরিপে দেখা গেছে, ৪২ শতাংশ অভিযোগ দাখিলের সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে অজ্ঞ এবং যাঁরা অভিযোগ করেন, তাঁদের মাত্র ১২ শতাংশ আইনি প্রতিকার পান। ফলে সচেতনতার অভাব ও আইনি কাঠামোর সীমাবদ্ধতায় সাইবার নিরাপত্তা এখন দেশের বড় এক চ্যালেঞ্জ।
এই বাস্তবতায় এগিয়ে এসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আরাফাত চৌধুরী। ২০২২ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘সাইবার এইড বাংলাদেশ’, যা সাইবার অপরাধের শিকার মানুষের আইনি সহায়তা এবং মানসিক সাপোর্ট দেয়। মাত্র তিন বছরের ব্যবধানে সংগঠনটি দেশে সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলছে।
আরাফাত বলেন, ‘সাইবার অপরাধ শুধু মানসিক যন্ত্রণা নয়, সামাজিক মর্যাদাহানির কারণও। কিন্তু বেশির ভাগ ভুক্তভোগী ভয় বা লজ্জায় মুখ খুলতে চান না।’ সংগঠনের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ১ হাজার ৭৬১ জন এবং অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রায়
৪ হাজার মানুষ সাইবার এইডের সহায়তা পেয়েছেন। সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে ৭৬ শতাংশই নারী। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ আসে ব্ল্যাকমেল ও ই-কমার্স প্রতারণা-সংক্রান্ত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান সুমনা বলেন, ‘একজন আমার ব্যক্তিগত ছবি ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেল করতে থাকে। কী করব বুঝতে পারছিলাম না। তখন সাইবার এইডে যোগাযোগ করি। শুধু আইনি সহায়তাই নয়; মানসিকভাবেও তারা পাশে দাঁড়ায়।’
অন্যদিকে জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘অনলাইনে একটি পেজ থেকে আইফোন কিনতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছিলাম। সাইবার এইডের সহায়তায় পুলিশে অভিযোগ করতে পারি। এখন অন্তত জানি, প্রতারণার শিকার হলে চুপ করে না থেকে লড়াই করা যায়।’
শুধু আইনি সহায়তা নয়, সচেতনতা সৃষ্টিতেও কাজ করছে সংগঠনটি। এ পর্যন্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইবার সচেতনতা ক্যাম্পেইন এবং বিভাগীয় শহর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ৫৬টির বেশি সেমিনার ও প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছে তারা। অনলাইনে ‘বেসিক সাইবার লিটারেসি’, ‘সাইবার স্পেস সিকিউরিটি’ ও ‘ডিজিটাল ফরেনসিক’ কোর্স চালু করেছে। ভবিষ্যতে চালু হবে একটি মোবাইল অ্যাপ, যেখানে থাকবে লাইভ চ্যাট সাপোর্ট, এআইনির্ভর নিরাপত্তা নির্দেশনা এবং দ্রুত অভিযোগ দাখিলের সুবিধা।
ভুক্তভোগীরা হটলাইন, ফেসবুক পেজ বা গ্রুপের মাধ্যমে অভিযোগ করলে সাইবার এইড বাংলাদেশ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন ও সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নিশ্চিত করে।
সাইবার অপরাধ বাড়ার পেছনে আরাফাত দুটি বড় কারণ দেখছেন। সেগুলো হলো সচেতনতার অভাব এবং আইনগত সীমাবদ্ধতা। তাঁর মতে, বেশির ভাগ সাইবার অপরাধ জামিনযোগ্য হওয়ায় অপরাধীদের ভয় কম। আবার ডিজিটাল প্রমাণ সংগ্রহে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দক্ষতায়ও ঘাটতি রয়েছে।
আরাফাতের বিশ্বাস, প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সাইবার ঝুঁকিও বাড়ছে। তাই প্রয়োজন আগাম প্রস্তুতি ও সচেতনতা। তাঁর ভাষায়, ‘আমরা চাই তরুণেরা শুধু প্রযুক্তির ব্যবহারকারী নয়, বরং প্রযুক্তির নিরাপত্তা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করুক।’
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট আল মামুন রাসেল বলেন, সাইবার এইড বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে সাইবার ক্রাইম ভিকটিমদের আইনি সহযোগিতা করে যাচ্ছে। পাশাপাশি সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। সাইবার ক্রাইম ভুক্তভোগীদের আইনি সহযোগিতা প্রদানে এটি অনন্য ও কার্যকরী উদ্যোগ।

"নাটকটির নাম 'শুকতারা'। সবার পছন্দের একটি নাটক। তখন রাত ৮টা বাজে। নাটকটি দেখার জন্য শিক্ষার্থী, কর্মচারী ও ক্যান্টিনবয়সহ সকলে জড়ো হলো টিভি রুমে। ১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে টিভি রুমে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। ভবনটির ছাদ ধসে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত সেটিকে বলা হতো
১৫ অক্টোবর ২০২১
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) মিডিয়া অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন (এমএমসি) বিভাগ আয়োজিত ‘১০ম কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম এডুকেটরস নেটওয়ার্ক (সিজেন) কনফারেন্স ২০২৫’ ২৪ ও ২৫ অক্টোবর এআইইউবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিডব্লিউ একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দ
৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) এইচএসসি পরীক্ষা-২০২৫-এর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর গড় পাসের হার ৬২ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাবিবুল্যাহ মাহামুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের নানা প্রান্তের তরুণেরা যখন পরিবর্তনের স্বপ্নে ভবিষ্যৎ গড়ছেন, তখন সেই স্বপ্নবাজদের সারিতে বাংলাদেশের তরুণ আমিমুল এহসান খান যোগ করেছেন এক অনন্য অধ্যায়। সম্প্রতি তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’ হিসেবে। বিশ্বের ৫০ জন তরুণের মধ্য থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি।
১৬ ঘণ্টা আগে