মুবিন ইবনে মকবুল

তোমরা যারা ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছ, আজকের আলোচনা তাদের জন্য। আজ আমরা কথা বলব জীববিজ্ঞান নিয়ে। মূলত দুটি ভাগে বিভক্ত জীববিজ্ঞান বিষয়টি। যার একটি হচ্ছে উদ্ভিদবিজ্ঞান, অপরটি প্রাণিবিজ্ঞান।
বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় জীববিজ্ঞান থেকে আসবে ৩০ নম্বরের প্রশ্ন। এর মধ্যে উদ্ভিদবিজ্ঞান ও প্রাণিবিজ্ঞানের অংশ মিলিয়ে প্রশ্নগুলো হবে। কখনো কখনো দেখা যায়, শতকরা ৫০ ভাগ প্রশ্ন এসেছে উদ্ভিদবিজ্ঞান থেকে, বাকি ৫০ ভাগ প্রাণিবিজ্ঞান অংশ থেকে, মানে উদ্ভিদবিজ্ঞান থেকে ১৫ এবং প্রাণিবিজ্ঞান থেকে ১৫ নম্বরের প্রশ্ন। তবে কম-বেশিও হতে পারে। উদ্ভিদবিজ্ঞানের জন্য সবচেয়ে ভালো আবুল হাসান স্যারের লেখা বইটি এবং দ্বিতীয় লেখক হিসেবে পড়া যেতে পারে আজিবুর স্যারের লেখা বই। সেই সঙ্গে প্রাণিবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে আমাদের প্রধান পাঠ্যবই আজমল স্যারের লেখা ও দ্বিতীয় লেখক হিসেবে মাজেদা ম্যাডাম বা আবদুল আলিম স্যারের বই পড়তে পারি আমরা।
উদ্ভিদবিজ্ঞান
উদ্ভিদবিজ্ঞান বইয়ে অধ্যায় আছে ১২টি। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যথাক্রমে প্রথম, তৃতীয়, চতুর্থ ও নবম অধ্যায়। কোষ ও এর গঠন অধ্যায়ে অনেক সাল ও বিজ্ঞানীর নাম আছে, যার সবগুলো পড়ার দরকার নেই। একান্তই গুরুত্বপূর্ণ যে সব বিজ্ঞানী আছেন, সেগুলো পড়লেই হবে, তবে সব অঙ্গানুর কাজ মনে রাখতে হবে অবশ্যই। অনেক সময় অঙ্গানুর গঠন থেকেও প্রশ্ন আসে। কোষ বিভাজন অধ্যায়টি থেকে সাধারণত মাইটোসিস বা মিয়োসিসের বিভিন্ন ধাপের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলো থেকে প্রশ্ন আসতে দেখা যায়। কোষ রসায়ন অধ্যায়ে বিভিন্ন বায়োমলিকিউলস যেমন অ্যামাইনো অ্যাসিড, কার্বোহাইড্রেট, লিপিডের ব্যবহার থেকে অনেক প্রশ্ন এসেছে। এনজাইমের কার্যকারিতা থেকেও প্রশ্ন আসতে দেখা গেছে। অণুজীব অধ্যায়টি বেশ বড়, গুরুত্বপূর্ণও। এ অধ্যায় থেকে প্রতিবছরই এক বা একাধিক প্রশ্ন আসে। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদি সম্পর্কে বেশ ভালো ধারণা রাখতে হবে; প্রতিটির অর্থনৈতিক গুরুত্ব, জীবনচক্র, জননপ্রক্রিয়া, প্রকারভেদও পড়া জরুরি। এবার আসছে পঞ্চম অধ্যায় শৈবাল ও ছত্রাকের পালা। এ অধ্যায়ে আমরা প্রতিটি শৈবাল ও ছত্রাকের সঞ্চিত খাদ্য কী, এখান থেকে মেডিকেল-ডেন্টাল পরীক্ষায় একাধিক প্রশ্ন এসেছে। এ ছাড়া তাদের গঠন, প্রকারভেদ, জনন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ব্রায়োফাইটা ও টেরিডোফাইটা অধ্যায় থেকে আমাদের প্রধানত যেটা পড়তে হবে জনুক্রম এবং তার বৈশিষ্ট্য। নগ্নবীজী ও আবৃতবীজী অধ্যায় থেকে মূলত আবৃতবীজী উদ্ভিদের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের প্রকারভেদগুলোও জানতে হবে। টিস্যু ও টিস্যুতন্ত্র অধ্যায় থেকে ভাজক টিস্যুর প্রকারভেদ, কাজ এবং মূল ও কাণ্ডের প্রস্থচ্ছেদগুলো ভালোভাবে শেখা চাই। নবম অধ্যায় উদ্ভিদ শারীরতত্ত্ব যে খুব গুরুত্বপূর্ণ, সে কথা আগেই বলেছি। এ অধ্যায় থেকে শোষণ, সালোকসংশ্লেষণ, প্রস্বেদন, খনিজ লবণ সবকিছুই কমবেশি জরুরি এবং এখান থেকে ATP এর হিসাব, কোন আলোয় সালোকসংশ্লেষণ ভালো হয়, কত তাপমাত্রায় সালোকসংশ্লেষণ ভালো হয়, সালোকসংশ্লেষণের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক প্রবাহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উদ্ভিদের প্রজনন অধ্যায়ের উদাহরণগুলো মোটামুটি সবই গুরুত্বপূর্ণ। জীবপ্রযুক্তি অধ্যায় থেকে পড়তে হবে জীবপ্রযুক্তির প্রয়োগ, টিস্যু কালচার, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বর্তমানে কী কী কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে তার উদাহরণ। জীবের পরিবেশ, বিস্তার ও সংরক্ষণ অধ্যায়টি অনেকে ভয় পেলেও, আদতে ভয় পাওয়ার কিন্তু কোনো কারণ নেই; এখান থেকে জলজ উদ্ভিদ, মরুজ উদ্ভিদ, লবণাক্ত পরিবেশের উদ্ভিদ, এদের অভিযোজন, উদাহরণ, বায়োম, কোন বায়োমে কী কী প্রাণী থাকে তার উদাহরণ, ইন-সিটু, এক্স-সিটু কনজারভেশনের উপায়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলোও আসতে পারে।
প্রাণিবিজ্ঞান
প্রাণিবিজ্ঞানে আমাদের অধ্যায় আছে মোট ১২টি। এর মধ্যে প্রথম অধ্যায়ের নাম প্রাণীর বিভিন্নতা ও শ্রেণিবিন্যাস। এ অধ্যায় থেকে প্রশ্ন আসে মূলত বিভিন্ন পর্ব ও শ্রেণির বৈশিষ্ট্য নিয়ে, এখানকার সব উদাহরণ পড়ার দরকার নেই; গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণগুলো পড়লেই যথেষ্ট। দ্বিতীয় অধ্যায়ের নাম প্রাণীর পরিচিতি; যেখানে হাইড্রা, ঘাসফড়িং, রুই মাছ নিয়ে প্রশ্ন এসেছে। এ অধ্যায়টি যেহেতু বড়, দেখা গেছে এক বা একাধিক প্রশ্ন এসেছে এখান থেকে; সে ক্ষেত্রে এদের প্রত্যেকের জীবনচক্র, খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক বিভিন্ন তন্ত্র, যেমন রেচনতন্ত্র, পরিপাকতন্ত্র, শোষণতন্ত্র ইত্যাদি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তৃতীয় অধ্যায়টি হচ্ছে পরিপাক ও শোষণ। বলে রাখা ভালো, কেবলমাত্র এ অধ্যায়ই নয়; বরং মানবদেহের সব অধ্যায়ই খুব গুরুত্বপূর্ণ। যাহোক, তৃতীয় অধ্যায় থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সব এনজাইম, পরিপাকনালির দৈর্ঘ্য, পরিপাকগ্রন্থির কাজ। এ ছাড়া রক্ত ও সঞ্চালন অধ্যায়টিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবছর এখান থেকে অনেক প্রশ্ন আসে; বলা যেতে পারে, প্রাণিবিজ্ঞানের বেশির ভাগ প্রশ্নই আসে এ অধ্যায় থেকে আর এ অধ্যায়ের রক্তকণিকাগুলোর আকার, কাজ, আয়ুষ্কাল মনে রাখতে হবে বিশেষভাবে। হৃৎপিণ্ডের গঠন, কার্ডিয়াক চক্রের সময়কালসহ বর্তমান সময়ে চিকিৎসাবিজ্ঞানের যেসব নতুন উন্নতি ঘটেছে, সেগুলো সম্পর্কেও জানতে হবে; যেমন এনজিওপ্লাস্টি, বাইপাস সার্জারির মতো বিষয়গুলোর মধ্য থেকে প্রশ্ন আসার সম্ভাবনা রয়েছে। পঞ্চম অধ্যায় শ্বসন ও শ্বাসক্রিয়া থেকে মূলত পড়তে হয় শ্বসনতন্ত্রের গঠন, বিভিন্ন অঞ্চল ও এগুলোর শ্রেণিবিভাগ। এ ছাড়া মনে রাখতে হবে সাইনুসাইটিসের সময়কাল (অ্যাকিউট ও ক্রনিক) এবং ওটিটিস মিডিয়ার সময়কাল (অ্যাকিউট ও ক্রনিক)। পরের অধ্যায় হচ্ছে বর্জ্য ও নিষ্কাশন। এ অধ্যায় থেকে তুলনামূলকভাবে কম প্রশ্ন আসে, তবু মূত্র সৃষ্টি ও এর বিভিন্ন উপায়, রেচনতন্ত্রের কাজ আমাদের আয়ত্তে রাখা উচিত। সপ্তম অধ্যায় চলন ও অঙ্গচালনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ অধ্যায় থেকে অনেক প্রশ্নই আসতে দেখা গেছে। যার জন্য সব অস্থির নাম মুখস্থ রাখতে হবে। তরুণাস্থি ও এর প্রকারভেদ এবং কোন তরুণাস্থি কোথায় দেখা যায়, লিভারের শ্রেণিবিভাগ বিষয়েও প্রশ্ন আসতে পারে। সমন্বয় ও নিয়ন্ত্রণ বা অষ্টম অধ্যায়টি ভালোই বড়। এ অধ্যায়ের স্নায়ুতন্ত্র, চোখ, কান, হরমোনসহ বেশ কিছু বিষয় থেকেই এক বা একাধিক প্রশ্ন এসে থাকে এবং মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের কাজ কিংবা করোটিক স্নায়ু থেকে শুরু করে অষ্টম অধ্যায়ের প্রতিটি লাইনই বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলা যেতে পারে। মানবজীবনের ধারাবাহিকতা অধ্যায় থেকে সচরাচর পুরুষ প্রজননতন্ত্র ও স্ত্রী প্রজননতন্ত্রের বিভিন্ন অংশ ও তাদের কাজ নিয়ে প্রশ্ন আসতে দেখা যায়, IVF থেকেও প্রশ্ন আসতে পারে। দশম অধ্যায়ের নাম মানবদেহের প্রতিরক্ষা। এ অধ্যায় থেকে সবগুলো শ্বেত কণিকার কাজ জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, সেই সঙ্গে অ্যান্টিবডির গঠন ও এর কাজ এবং বিভিন্ন প্রতিরক্ষার স্তরগুলো জানাও আবশ্যক। জিনতত্ত্ব ও বিবর্তন হচ্ছে একাদশ অধ্যায়। এ অধ্যায়ের প্রতিটি অনুপাতই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবছরই অনুপাতগুলো থেকে প্রশ্ন আসতে দেখা যায়; কাজেই অনুপাতের পাশাপাশি কিছু গাণিতিক সমস্যা নিয়েও অনুশীলন করা যেতে পারে। বর্ণান্ধতা, হিমোফিলিয়ার মতো গাণিতিক প্রশ্ন আসার যে সম্ভাবনা রয়েছে, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। দ্বাদশ অধ্যায়ের নাম প্রাণীর আচরণ। এ অধ্যায় থেকে বিভিন্ন আচরণের প্রকারভেদ, ট্যাক্সেসের প্রকারভেদ, মৌমাছির জীবনচক্র বিষয়গুলো জেনে রাখতে হবে। ওপরের উল্লিখিত বিষয়গুলো আয়ত্তে থাকলে এবং শেষ সময়ে রিভিশন দিলে জীববিজ্ঞান বিষয়ে ডেন্টাল পরীক্ষায় ভালো একটি নম্বর পাওয়া সম্ভব বলে আমার বিশ্বাস।
লেখক: মেধাতালিকায় প্রথম, ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষা (২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ) এবং এমবিবিএস শিক্ষার্থী, ঢাকা মেডিকেল কলেজ।

তোমরা যারা ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছ, আজকের আলোচনা তাদের জন্য। আজ আমরা কথা বলব জীববিজ্ঞান নিয়ে। মূলত দুটি ভাগে বিভক্ত জীববিজ্ঞান বিষয়টি। যার একটি হচ্ছে উদ্ভিদবিজ্ঞান, অপরটি প্রাণিবিজ্ঞান।
বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় জীববিজ্ঞান থেকে আসবে ৩০ নম্বরের প্রশ্ন। এর মধ্যে উদ্ভিদবিজ্ঞান ও প্রাণিবিজ্ঞানের অংশ মিলিয়ে প্রশ্নগুলো হবে। কখনো কখনো দেখা যায়, শতকরা ৫০ ভাগ প্রশ্ন এসেছে উদ্ভিদবিজ্ঞান থেকে, বাকি ৫০ ভাগ প্রাণিবিজ্ঞান অংশ থেকে, মানে উদ্ভিদবিজ্ঞান থেকে ১৫ এবং প্রাণিবিজ্ঞান থেকে ১৫ নম্বরের প্রশ্ন। তবে কম-বেশিও হতে পারে। উদ্ভিদবিজ্ঞানের জন্য সবচেয়ে ভালো আবুল হাসান স্যারের লেখা বইটি এবং দ্বিতীয় লেখক হিসেবে পড়া যেতে পারে আজিবুর স্যারের লেখা বই। সেই সঙ্গে প্রাণিবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে আমাদের প্রধান পাঠ্যবই আজমল স্যারের লেখা ও দ্বিতীয় লেখক হিসেবে মাজেদা ম্যাডাম বা আবদুল আলিম স্যারের বই পড়তে পারি আমরা।
উদ্ভিদবিজ্ঞান
উদ্ভিদবিজ্ঞান বইয়ে অধ্যায় আছে ১২টি। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যথাক্রমে প্রথম, তৃতীয়, চতুর্থ ও নবম অধ্যায়। কোষ ও এর গঠন অধ্যায়ে অনেক সাল ও বিজ্ঞানীর নাম আছে, যার সবগুলো পড়ার দরকার নেই। একান্তই গুরুত্বপূর্ণ যে সব বিজ্ঞানী আছেন, সেগুলো পড়লেই হবে, তবে সব অঙ্গানুর কাজ মনে রাখতে হবে অবশ্যই। অনেক সময় অঙ্গানুর গঠন থেকেও প্রশ্ন আসে। কোষ বিভাজন অধ্যায়টি থেকে সাধারণত মাইটোসিস বা মিয়োসিসের বিভিন্ন ধাপের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলো থেকে প্রশ্ন আসতে দেখা যায়। কোষ রসায়ন অধ্যায়ে বিভিন্ন বায়োমলিকিউলস যেমন অ্যামাইনো অ্যাসিড, কার্বোহাইড্রেট, লিপিডের ব্যবহার থেকে অনেক প্রশ্ন এসেছে। এনজাইমের কার্যকারিতা থেকেও প্রশ্ন আসতে দেখা গেছে। অণুজীব অধ্যায়টি বেশ বড়, গুরুত্বপূর্ণও। এ অধ্যায় থেকে প্রতিবছরই এক বা একাধিক প্রশ্ন আসে। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদি সম্পর্কে বেশ ভালো ধারণা রাখতে হবে; প্রতিটির অর্থনৈতিক গুরুত্ব, জীবনচক্র, জননপ্রক্রিয়া, প্রকারভেদও পড়া জরুরি। এবার আসছে পঞ্চম অধ্যায় শৈবাল ও ছত্রাকের পালা। এ অধ্যায়ে আমরা প্রতিটি শৈবাল ও ছত্রাকের সঞ্চিত খাদ্য কী, এখান থেকে মেডিকেল-ডেন্টাল পরীক্ষায় একাধিক প্রশ্ন এসেছে। এ ছাড়া তাদের গঠন, প্রকারভেদ, জনন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ব্রায়োফাইটা ও টেরিডোফাইটা অধ্যায় থেকে আমাদের প্রধানত যেটা পড়তে হবে জনুক্রম এবং তার বৈশিষ্ট্য। নগ্নবীজী ও আবৃতবীজী অধ্যায় থেকে মূলত আবৃতবীজী উদ্ভিদের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের প্রকারভেদগুলোও জানতে হবে। টিস্যু ও টিস্যুতন্ত্র অধ্যায় থেকে ভাজক টিস্যুর প্রকারভেদ, কাজ এবং মূল ও কাণ্ডের প্রস্থচ্ছেদগুলো ভালোভাবে শেখা চাই। নবম অধ্যায় উদ্ভিদ শারীরতত্ত্ব যে খুব গুরুত্বপূর্ণ, সে কথা আগেই বলেছি। এ অধ্যায় থেকে শোষণ, সালোকসংশ্লেষণ, প্রস্বেদন, খনিজ লবণ সবকিছুই কমবেশি জরুরি এবং এখান থেকে ATP এর হিসাব, কোন আলোয় সালোকসংশ্লেষণ ভালো হয়, কত তাপমাত্রায় সালোকসংশ্লেষণ ভালো হয়, সালোকসংশ্লেষণের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক প্রবাহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উদ্ভিদের প্রজনন অধ্যায়ের উদাহরণগুলো মোটামুটি সবই গুরুত্বপূর্ণ। জীবপ্রযুক্তি অধ্যায় থেকে পড়তে হবে জীবপ্রযুক্তির প্রয়োগ, টিস্যু কালচার, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বর্তমানে কী কী কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে তার উদাহরণ। জীবের পরিবেশ, বিস্তার ও সংরক্ষণ অধ্যায়টি অনেকে ভয় পেলেও, আদতে ভয় পাওয়ার কিন্তু কোনো কারণ নেই; এখান থেকে জলজ উদ্ভিদ, মরুজ উদ্ভিদ, লবণাক্ত পরিবেশের উদ্ভিদ, এদের অভিযোজন, উদাহরণ, বায়োম, কোন বায়োমে কী কী প্রাণী থাকে তার উদাহরণ, ইন-সিটু, এক্স-সিটু কনজারভেশনের উপায়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলোও আসতে পারে।
প্রাণিবিজ্ঞান
প্রাণিবিজ্ঞানে আমাদের অধ্যায় আছে মোট ১২টি। এর মধ্যে প্রথম অধ্যায়ের নাম প্রাণীর বিভিন্নতা ও শ্রেণিবিন্যাস। এ অধ্যায় থেকে প্রশ্ন আসে মূলত বিভিন্ন পর্ব ও শ্রেণির বৈশিষ্ট্য নিয়ে, এখানকার সব উদাহরণ পড়ার দরকার নেই; গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণগুলো পড়লেই যথেষ্ট। দ্বিতীয় অধ্যায়ের নাম প্রাণীর পরিচিতি; যেখানে হাইড্রা, ঘাসফড়িং, রুই মাছ নিয়ে প্রশ্ন এসেছে। এ অধ্যায়টি যেহেতু বড়, দেখা গেছে এক বা একাধিক প্রশ্ন এসেছে এখান থেকে; সে ক্ষেত্রে এদের প্রত্যেকের জীবনচক্র, খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক বিভিন্ন তন্ত্র, যেমন রেচনতন্ত্র, পরিপাকতন্ত্র, শোষণতন্ত্র ইত্যাদি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তৃতীয় অধ্যায়টি হচ্ছে পরিপাক ও শোষণ। বলে রাখা ভালো, কেবলমাত্র এ অধ্যায়ই নয়; বরং মানবদেহের সব অধ্যায়ই খুব গুরুত্বপূর্ণ। যাহোক, তৃতীয় অধ্যায় থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সব এনজাইম, পরিপাকনালির দৈর্ঘ্য, পরিপাকগ্রন্থির কাজ। এ ছাড়া রক্ত ও সঞ্চালন অধ্যায়টিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবছর এখান থেকে অনেক প্রশ্ন আসে; বলা যেতে পারে, প্রাণিবিজ্ঞানের বেশির ভাগ প্রশ্নই আসে এ অধ্যায় থেকে আর এ অধ্যায়ের রক্তকণিকাগুলোর আকার, কাজ, আয়ুষ্কাল মনে রাখতে হবে বিশেষভাবে। হৃৎপিণ্ডের গঠন, কার্ডিয়াক চক্রের সময়কালসহ বর্তমান সময়ে চিকিৎসাবিজ্ঞানের যেসব নতুন উন্নতি ঘটেছে, সেগুলো সম্পর্কেও জানতে হবে; যেমন এনজিওপ্লাস্টি, বাইপাস সার্জারির মতো বিষয়গুলোর মধ্য থেকে প্রশ্ন আসার সম্ভাবনা রয়েছে। পঞ্চম অধ্যায় শ্বসন ও শ্বাসক্রিয়া থেকে মূলত পড়তে হয় শ্বসনতন্ত্রের গঠন, বিভিন্ন অঞ্চল ও এগুলোর শ্রেণিবিভাগ। এ ছাড়া মনে রাখতে হবে সাইনুসাইটিসের সময়কাল (অ্যাকিউট ও ক্রনিক) এবং ওটিটিস মিডিয়ার সময়কাল (অ্যাকিউট ও ক্রনিক)। পরের অধ্যায় হচ্ছে বর্জ্য ও নিষ্কাশন। এ অধ্যায় থেকে তুলনামূলকভাবে কম প্রশ্ন আসে, তবু মূত্র সৃষ্টি ও এর বিভিন্ন উপায়, রেচনতন্ত্রের কাজ আমাদের আয়ত্তে রাখা উচিত। সপ্তম অধ্যায় চলন ও অঙ্গচালনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ অধ্যায় থেকে অনেক প্রশ্নই আসতে দেখা গেছে। যার জন্য সব অস্থির নাম মুখস্থ রাখতে হবে। তরুণাস্থি ও এর প্রকারভেদ এবং কোন তরুণাস্থি কোথায় দেখা যায়, লিভারের শ্রেণিবিভাগ বিষয়েও প্রশ্ন আসতে পারে। সমন্বয় ও নিয়ন্ত্রণ বা অষ্টম অধ্যায়টি ভালোই বড়। এ অধ্যায়ের স্নায়ুতন্ত্র, চোখ, কান, হরমোনসহ বেশ কিছু বিষয় থেকেই এক বা একাধিক প্রশ্ন এসে থাকে এবং মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের কাজ কিংবা করোটিক স্নায়ু থেকে শুরু করে অষ্টম অধ্যায়ের প্রতিটি লাইনই বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলা যেতে পারে। মানবজীবনের ধারাবাহিকতা অধ্যায় থেকে সচরাচর পুরুষ প্রজননতন্ত্র ও স্ত্রী প্রজননতন্ত্রের বিভিন্ন অংশ ও তাদের কাজ নিয়ে প্রশ্ন আসতে দেখা যায়, IVF থেকেও প্রশ্ন আসতে পারে। দশম অধ্যায়ের নাম মানবদেহের প্রতিরক্ষা। এ অধ্যায় থেকে সবগুলো শ্বেত কণিকার কাজ জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, সেই সঙ্গে অ্যান্টিবডির গঠন ও এর কাজ এবং বিভিন্ন প্রতিরক্ষার স্তরগুলো জানাও আবশ্যক। জিনতত্ত্ব ও বিবর্তন হচ্ছে একাদশ অধ্যায়। এ অধ্যায়ের প্রতিটি অনুপাতই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবছরই অনুপাতগুলো থেকে প্রশ্ন আসতে দেখা যায়; কাজেই অনুপাতের পাশাপাশি কিছু গাণিতিক সমস্যা নিয়েও অনুশীলন করা যেতে পারে। বর্ণান্ধতা, হিমোফিলিয়ার মতো গাণিতিক প্রশ্ন আসার যে সম্ভাবনা রয়েছে, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। দ্বাদশ অধ্যায়ের নাম প্রাণীর আচরণ। এ অধ্যায় থেকে বিভিন্ন আচরণের প্রকারভেদ, ট্যাক্সেসের প্রকারভেদ, মৌমাছির জীবনচক্র বিষয়গুলো জেনে রাখতে হবে। ওপরের উল্লিখিত বিষয়গুলো আয়ত্তে থাকলে এবং শেষ সময়ে রিভিশন দিলে জীববিজ্ঞান বিষয়ে ডেন্টাল পরীক্ষায় ভালো একটি নম্বর পাওয়া সম্ভব বলে আমার বিশ্বাস।
লেখক: মেধাতালিকায় প্রথম, ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষা (২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ) এবং এমবিবিএস শিক্ষার্থী, ঢাকা মেডিকেল কলেজ।
মুবিন ইবনে মকবুল

তোমরা যারা ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছ, আজকের আলোচনা তাদের জন্য। আজ আমরা কথা বলব জীববিজ্ঞান নিয়ে। মূলত দুটি ভাগে বিভক্ত জীববিজ্ঞান বিষয়টি। যার একটি হচ্ছে উদ্ভিদবিজ্ঞান, অপরটি প্রাণিবিজ্ঞান।
বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় জীববিজ্ঞান থেকে আসবে ৩০ নম্বরের প্রশ্ন। এর মধ্যে উদ্ভিদবিজ্ঞান ও প্রাণিবিজ্ঞানের অংশ মিলিয়ে প্রশ্নগুলো হবে। কখনো কখনো দেখা যায়, শতকরা ৫০ ভাগ প্রশ্ন এসেছে উদ্ভিদবিজ্ঞান থেকে, বাকি ৫০ ভাগ প্রাণিবিজ্ঞান অংশ থেকে, মানে উদ্ভিদবিজ্ঞান থেকে ১৫ এবং প্রাণিবিজ্ঞান থেকে ১৫ নম্বরের প্রশ্ন। তবে কম-বেশিও হতে পারে। উদ্ভিদবিজ্ঞানের জন্য সবচেয়ে ভালো আবুল হাসান স্যারের লেখা বইটি এবং দ্বিতীয় লেখক হিসেবে পড়া যেতে পারে আজিবুর স্যারের লেখা বই। সেই সঙ্গে প্রাণিবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে আমাদের প্রধান পাঠ্যবই আজমল স্যারের লেখা ও দ্বিতীয় লেখক হিসেবে মাজেদা ম্যাডাম বা আবদুল আলিম স্যারের বই পড়তে পারি আমরা।
উদ্ভিদবিজ্ঞান
উদ্ভিদবিজ্ঞান বইয়ে অধ্যায় আছে ১২টি। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যথাক্রমে প্রথম, তৃতীয়, চতুর্থ ও নবম অধ্যায়। কোষ ও এর গঠন অধ্যায়ে অনেক সাল ও বিজ্ঞানীর নাম আছে, যার সবগুলো পড়ার দরকার নেই। একান্তই গুরুত্বপূর্ণ যে সব বিজ্ঞানী আছেন, সেগুলো পড়লেই হবে, তবে সব অঙ্গানুর কাজ মনে রাখতে হবে অবশ্যই। অনেক সময় অঙ্গানুর গঠন থেকেও প্রশ্ন আসে। কোষ বিভাজন অধ্যায়টি থেকে সাধারণত মাইটোসিস বা মিয়োসিসের বিভিন্ন ধাপের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলো থেকে প্রশ্ন আসতে দেখা যায়। কোষ রসায়ন অধ্যায়ে বিভিন্ন বায়োমলিকিউলস যেমন অ্যামাইনো অ্যাসিড, কার্বোহাইড্রেট, লিপিডের ব্যবহার থেকে অনেক প্রশ্ন এসেছে। এনজাইমের কার্যকারিতা থেকেও প্রশ্ন আসতে দেখা গেছে। অণুজীব অধ্যায়টি বেশ বড়, গুরুত্বপূর্ণও। এ অধ্যায় থেকে প্রতিবছরই এক বা একাধিক প্রশ্ন আসে। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদি সম্পর্কে বেশ ভালো ধারণা রাখতে হবে; প্রতিটির অর্থনৈতিক গুরুত্ব, জীবনচক্র, জননপ্রক্রিয়া, প্রকারভেদও পড়া জরুরি। এবার আসছে পঞ্চম অধ্যায় শৈবাল ও ছত্রাকের পালা। এ অধ্যায়ে আমরা প্রতিটি শৈবাল ও ছত্রাকের সঞ্চিত খাদ্য কী, এখান থেকে মেডিকেল-ডেন্টাল পরীক্ষায় একাধিক প্রশ্ন এসেছে। এ ছাড়া তাদের গঠন, প্রকারভেদ, জনন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ব্রায়োফাইটা ও টেরিডোফাইটা অধ্যায় থেকে আমাদের প্রধানত যেটা পড়তে হবে জনুক্রম এবং তার বৈশিষ্ট্য। নগ্নবীজী ও আবৃতবীজী অধ্যায় থেকে মূলত আবৃতবীজী উদ্ভিদের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের প্রকারভেদগুলোও জানতে হবে। টিস্যু ও টিস্যুতন্ত্র অধ্যায় থেকে ভাজক টিস্যুর প্রকারভেদ, কাজ এবং মূল ও কাণ্ডের প্রস্থচ্ছেদগুলো ভালোভাবে শেখা চাই। নবম অধ্যায় উদ্ভিদ শারীরতত্ত্ব যে খুব গুরুত্বপূর্ণ, সে কথা আগেই বলেছি। এ অধ্যায় থেকে শোষণ, সালোকসংশ্লেষণ, প্রস্বেদন, খনিজ লবণ সবকিছুই কমবেশি জরুরি এবং এখান থেকে ATP এর হিসাব, কোন আলোয় সালোকসংশ্লেষণ ভালো হয়, কত তাপমাত্রায় সালোকসংশ্লেষণ ভালো হয়, সালোকসংশ্লেষণের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক প্রবাহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উদ্ভিদের প্রজনন অধ্যায়ের উদাহরণগুলো মোটামুটি সবই গুরুত্বপূর্ণ। জীবপ্রযুক্তি অধ্যায় থেকে পড়তে হবে জীবপ্রযুক্তির প্রয়োগ, টিস্যু কালচার, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বর্তমানে কী কী কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে তার উদাহরণ। জীবের পরিবেশ, বিস্তার ও সংরক্ষণ অধ্যায়টি অনেকে ভয় পেলেও, আদতে ভয় পাওয়ার কিন্তু কোনো কারণ নেই; এখান থেকে জলজ উদ্ভিদ, মরুজ উদ্ভিদ, লবণাক্ত পরিবেশের উদ্ভিদ, এদের অভিযোজন, উদাহরণ, বায়োম, কোন বায়োমে কী কী প্রাণী থাকে তার উদাহরণ, ইন-সিটু, এক্স-সিটু কনজারভেশনের উপায়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলোও আসতে পারে।
প্রাণিবিজ্ঞান
প্রাণিবিজ্ঞানে আমাদের অধ্যায় আছে মোট ১২টি। এর মধ্যে প্রথম অধ্যায়ের নাম প্রাণীর বিভিন্নতা ও শ্রেণিবিন্যাস। এ অধ্যায় থেকে প্রশ্ন আসে মূলত বিভিন্ন পর্ব ও শ্রেণির বৈশিষ্ট্য নিয়ে, এখানকার সব উদাহরণ পড়ার দরকার নেই; গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণগুলো পড়লেই যথেষ্ট। দ্বিতীয় অধ্যায়ের নাম প্রাণীর পরিচিতি; যেখানে হাইড্রা, ঘাসফড়িং, রুই মাছ নিয়ে প্রশ্ন এসেছে। এ অধ্যায়টি যেহেতু বড়, দেখা গেছে এক বা একাধিক প্রশ্ন এসেছে এখান থেকে; সে ক্ষেত্রে এদের প্রত্যেকের জীবনচক্র, খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক বিভিন্ন তন্ত্র, যেমন রেচনতন্ত্র, পরিপাকতন্ত্র, শোষণতন্ত্র ইত্যাদি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তৃতীয় অধ্যায়টি হচ্ছে পরিপাক ও শোষণ। বলে রাখা ভালো, কেবলমাত্র এ অধ্যায়ই নয়; বরং মানবদেহের সব অধ্যায়ই খুব গুরুত্বপূর্ণ। যাহোক, তৃতীয় অধ্যায় থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সব এনজাইম, পরিপাকনালির দৈর্ঘ্য, পরিপাকগ্রন্থির কাজ। এ ছাড়া রক্ত ও সঞ্চালন অধ্যায়টিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবছর এখান থেকে অনেক প্রশ্ন আসে; বলা যেতে পারে, প্রাণিবিজ্ঞানের বেশির ভাগ প্রশ্নই আসে এ অধ্যায় থেকে আর এ অধ্যায়ের রক্তকণিকাগুলোর আকার, কাজ, আয়ুষ্কাল মনে রাখতে হবে বিশেষভাবে। হৃৎপিণ্ডের গঠন, কার্ডিয়াক চক্রের সময়কালসহ বর্তমান সময়ে চিকিৎসাবিজ্ঞানের যেসব নতুন উন্নতি ঘটেছে, সেগুলো সম্পর্কেও জানতে হবে; যেমন এনজিওপ্লাস্টি, বাইপাস সার্জারির মতো বিষয়গুলোর মধ্য থেকে প্রশ্ন আসার সম্ভাবনা রয়েছে। পঞ্চম অধ্যায় শ্বসন ও শ্বাসক্রিয়া থেকে মূলত পড়তে হয় শ্বসনতন্ত্রের গঠন, বিভিন্ন অঞ্চল ও এগুলোর শ্রেণিবিভাগ। এ ছাড়া মনে রাখতে হবে সাইনুসাইটিসের সময়কাল (অ্যাকিউট ও ক্রনিক) এবং ওটিটিস মিডিয়ার সময়কাল (অ্যাকিউট ও ক্রনিক)। পরের অধ্যায় হচ্ছে বর্জ্য ও নিষ্কাশন। এ অধ্যায় থেকে তুলনামূলকভাবে কম প্রশ্ন আসে, তবু মূত্র সৃষ্টি ও এর বিভিন্ন উপায়, রেচনতন্ত্রের কাজ আমাদের আয়ত্তে রাখা উচিত। সপ্তম অধ্যায় চলন ও অঙ্গচালনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ অধ্যায় থেকে অনেক প্রশ্নই আসতে দেখা গেছে। যার জন্য সব অস্থির নাম মুখস্থ রাখতে হবে। তরুণাস্থি ও এর প্রকারভেদ এবং কোন তরুণাস্থি কোথায় দেখা যায়, লিভারের শ্রেণিবিভাগ বিষয়েও প্রশ্ন আসতে পারে। সমন্বয় ও নিয়ন্ত্রণ বা অষ্টম অধ্যায়টি ভালোই বড়। এ অধ্যায়ের স্নায়ুতন্ত্র, চোখ, কান, হরমোনসহ বেশ কিছু বিষয় থেকেই এক বা একাধিক প্রশ্ন এসে থাকে এবং মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের কাজ কিংবা করোটিক স্নায়ু থেকে শুরু করে অষ্টম অধ্যায়ের প্রতিটি লাইনই বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলা যেতে পারে। মানবজীবনের ধারাবাহিকতা অধ্যায় থেকে সচরাচর পুরুষ প্রজননতন্ত্র ও স্ত্রী প্রজননতন্ত্রের বিভিন্ন অংশ ও তাদের কাজ নিয়ে প্রশ্ন আসতে দেখা যায়, IVF থেকেও প্রশ্ন আসতে পারে। দশম অধ্যায়ের নাম মানবদেহের প্রতিরক্ষা। এ অধ্যায় থেকে সবগুলো শ্বেত কণিকার কাজ জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, সেই সঙ্গে অ্যান্টিবডির গঠন ও এর কাজ এবং বিভিন্ন প্রতিরক্ষার স্তরগুলো জানাও আবশ্যক। জিনতত্ত্ব ও বিবর্তন হচ্ছে একাদশ অধ্যায়। এ অধ্যায়ের প্রতিটি অনুপাতই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবছরই অনুপাতগুলো থেকে প্রশ্ন আসতে দেখা যায়; কাজেই অনুপাতের পাশাপাশি কিছু গাণিতিক সমস্যা নিয়েও অনুশীলন করা যেতে পারে। বর্ণান্ধতা, হিমোফিলিয়ার মতো গাণিতিক প্রশ্ন আসার যে সম্ভাবনা রয়েছে, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। দ্বাদশ অধ্যায়ের নাম প্রাণীর আচরণ। এ অধ্যায় থেকে বিভিন্ন আচরণের প্রকারভেদ, ট্যাক্সেসের প্রকারভেদ, মৌমাছির জীবনচক্র বিষয়গুলো জেনে রাখতে হবে। ওপরের উল্লিখিত বিষয়গুলো আয়ত্তে থাকলে এবং শেষ সময়ে রিভিশন দিলে জীববিজ্ঞান বিষয়ে ডেন্টাল পরীক্ষায় ভালো একটি নম্বর পাওয়া সম্ভব বলে আমার বিশ্বাস।
লেখক: মেধাতালিকায় প্রথম, ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষা (২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ) এবং এমবিবিএস শিক্ষার্থী, ঢাকা মেডিকেল কলেজ।

তোমরা যারা ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছ, আজকের আলোচনা তাদের জন্য। আজ আমরা কথা বলব জীববিজ্ঞান নিয়ে। মূলত দুটি ভাগে বিভক্ত জীববিজ্ঞান বিষয়টি। যার একটি হচ্ছে উদ্ভিদবিজ্ঞান, অপরটি প্রাণিবিজ্ঞান।
বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় জীববিজ্ঞান থেকে আসবে ৩০ নম্বরের প্রশ্ন। এর মধ্যে উদ্ভিদবিজ্ঞান ও প্রাণিবিজ্ঞানের অংশ মিলিয়ে প্রশ্নগুলো হবে। কখনো কখনো দেখা যায়, শতকরা ৫০ ভাগ প্রশ্ন এসেছে উদ্ভিদবিজ্ঞান থেকে, বাকি ৫০ ভাগ প্রাণিবিজ্ঞান অংশ থেকে, মানে উদ্ভিদবিজ্ঞান থেকে ১৫ এবং প্রাণিবিজ্ঞান থেকে ১৫ নম্বরের প্রশ্ন। তবে কম-বেশিও হতে পারে। উদ্ভিদবিজ্ঞানের জন্য সবচেয়ে ভালো আবুল হাসান স্যারের লেখা বইটি এবং দ্বিতীয় লেখক হিসেবে পড়া যেতে পারে আজিবুর স্যারের লেখা বই। সেই সঙ্গে প্রাণিবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে আমাদের প্রধান পাঠ্যবই আজমল স্যারের লেখা ও দ্বিতীয় লেখক হিসেবে মাজেদা ম্যাডাম বা আবদুল আলিম স্যারের বই পড়তে পারি আমরা।
উদ্ভিদবিজ্ঞান
উদ্ভিদবিজ্ঞান বইয়ে অধ্যায় আছে ১২টি। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যথাক্রমে প্রথম, তৃতীয়, চতুর্থ ও নবম অধ্যায়। কোষ ও এর গঠন অধ্যায়ে অনেক সাল ও বিজ্ঞানীর নাম আছে, যার সবগুলো পড়ার দরকার নেই। একান্তই গুরুত্বপূর্ণ যে সব বিজ্ঞানী আছেন, সেগুলো পড়লেই হবে, তবে সব অঙ্গানুর কাজ মনে রাখতে হবে অবশ্যই। অনেক সময় অঙ্গানুর গঠন থেকেও প্রশ্ন আসে। কোষ বিভাজন অধ্যায়টি থেকে সাধারণত মাইটোসিস বা মিয়োসিসের বিভিন্ন ধাপের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলো থেকে প্রশ্ন আসতে দেখা যায়। কোষ রসায়ন অধ্যায়ে বিভিন্ন বায়োমলিকিউলস যেমন অ্যামাইনো অ্যাসিড, কার্বোহাইড্রেট, লিপিডের ব্যবহার থেকে অনেক প্রশ্ন এসেছে। এনজাইমের কার্যকারিতা থেকেও প্রশ্ন আসতে দেখা গেছে। অণুজীব অধ্যায়টি বেশ বড়, গুরুত্বপূর্ণও। এ অধ্যায় থেকে প্রতিবছরই এক বা একাধিক প্রশ্ন আসে। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদি সম্পর্কে বেশ ভালো ধারণা রাখতে হবে; প্রতিটির অর্থনৈতিক গুরুত্ব, জীবনচক্র, জননপ্রক্রিয়া, প্রকারভেদও পড়া জরুরি। এবার আসছে পঞ্চম অধ্যায় শৈবাল ও ছত্রাকের পালা। এ অধ্যায়ে আমরা প্রতিটি শৈবাল ও ছত্রাকের সঞ্চিত খাদ্য কী, এখান থেকে মেডিকেল-ডেন্টাল পরীক্ষায় একাধিক প্রশ্ন এসেছে। এ ছাড়া তাদের গঠন, প্রকারভেদ, জনন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ব্রায়োফাইটা ও টেরিডোফাইটা অধ্যায় থেকে আমাদের প্রধানত যেটা পড়তে হবে জনুক্রম এবং তার বৈশিষ্ট্য। নগ্নবীজী ও আবৃতবীজী অধ্যায় থেকে মূলত আবৃতবীজী উদ্ভিদের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের প্রকারভেদগুলোও জানতে হবে। টিস্যু ও টিস্যুতন্ত্র অধ্যায় থেকে ভাজক টিস্যুর প্রকারভেদ, কাজ এবং মূল ও কাণ্ডের প্রস্থচ্ছেদগুলো ভালোভাবে শেখা চাই। নবম অধ্যায় উদ্ভিদ শারীরতত্ত্ব যে খুব গুরুত্বপূর্ণ, সে কথা আগেই বলেছি। এ অধ্যায় থেকে শোষণ, সালোকসংশ্লেষণ, প্রস্বেদন, খনিজ লবণ সবকিছুই কমবেশি জরুরি এবং এখান থেকে ATP এর হিসাব, কোন আলোয় সালোকসংশ্লেষণ ভালো হয়, কত তাপমাত্রায় সালোকসংশ্লেষণ ভালো হয়, সালোকসংশ্লেষণের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক প্রবাহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উদ্ভিদের প্রজনন অধ্যায়ের উদাহরণগুলো মোটামুটি সবই গুরুত্বপূর্ণ। জীবপ্রযুক্তি অধ্যায় থেকে পড়তে হবে জীবপ্রযুক্তির প্রয়োগ, টিস্যু কালচার, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বর্তমানে কী কী কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে তার উদাহরণ। জীবের পরিবেশ, বিস্তার ও সংরক্ষণ অধ্যায়টি অনেকে ভয় পেলেও, আদতে ভয় পাওয়ার কিন্তু কোনো কারণ নেই; এখান থেকে জলজ উদ্ভিদ, মরুজ উদ্ভিদ, লবণাক্ত পরিবেশের উদ্ভিদ, এদের অভিযোজন, উদাহরণ, বায়োম, কোন বায়োমে কী কী প্রাণী থাকে তার উদাহরণ, ইন-সিটু, এক্স-সিটু কনজারভেশনের উপায়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলোও আসতে পারে।
প্রাণিবিজ্ঞান
প্রাণিবিজ্ঞানে আমাদের অধ্যায় আছে মোট ১২টি। এর মধ্যে প্রথম অধ্যায়ের নাম প্রাণীর বিভিন্নতা ও শ্রেণিবিন্যাস। এ অধ্যায় থেকে প্রশ্ন আসে মূলত বিভিন্ন পর্ব ও শ্রেণির বৈশিষ্ট্য নিয়ে, এখানকার সব উদাহরণ পড়ার দরকার নেই; গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণগুলো পড়লেই যথেষ্ট। দ্বিতীয় অধ্যায়ের নাম প্রাণীর পরিচিতি; যেখানে হাইড্রা, ঘাসফড়িং, রুই মাছ নিয়ে প্রশ্ন এসেছে। এ অধ্যায়টি যেহেতু বড়, দেখা গেছে এক বা একাধিক প্রশ্ন এসেছে এখান থেকে; সে ক্ষেত্রে এদের প্রত্যেকের জীবনচক্র, খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক বিভিন্ন তন্ত্র, যেমন রেচনতন্ত্র, পরিপাকতন্ত্র, শোষণতন্ত্র ইত্যাদি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তৃতীয় অধ্যায়টি হচ্ছে পরিপাক ও শোষণ। বলে রাখা ভালো, কেবলমাত্র এ অধ্যায়ই নয়; বরং মানবদেহের সব অধ্যায়ই খুব গুরুত্বপূর্ণ। যাহোক, তৃতীয় অধ্যায় থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সব এনজাইম, পরিপাকনালির দৈর্ঘ্য, পরিপাকগ্রন্থির কাজ। এ ছাড়া রক্ত ও সঞ্চালন অধ্যায়টিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবছর এখান থেকে অনেক প্রশ্ন আসে; বলা যেতে পারে, প্রাণিবিজ্ঞানের বেশির ভাগ প্রশ্নই আসে এ অধ্যায় থেকে আর এ অধ্যায়ের রক্তকণিকাগুলোর আকার, কাজ, আয়ুষ্কাল মনে রাখতে হবে বিশেষভাবে। হৃৎপিণ্ডের গঠন, কার্ডিয়াক চক্রের সময়কালসহ বর্তমান সময়ে চিকিৎসাবিজ্ঞানের যেসব নতুন উন্নতি ঘটেছে, সেগুলো সম্পর্কেও জানতে হবে; যেমন এনজিওপ্লাস্টি, বাইপাস সার্জারির মতো বিষয়গুলোর মধ্য থেকে প্রশ্ন আসার সম্ভাবনা রয়েছে। পঞ্চম অধ্যায় শ্বসন ও শ্বাসক্রিয়া থেকে মূলত পড়তে হয় শ্বসনতন্ত্রের গঠন, বিভিন্ন অঞ্চল ও এগুলোর শ্রেণিবিভাগ। এ ছাড়া মনে রাখতে হবে সাইনুসাইটিসের সময়কাল (অ্যাকিউট ও ক্রনিক) এবং ওটিটিস মিডিয়ার সময়কাল (অ্যাকিউট ও ক্রনিক)। পরের অধ্যায় হচ্ছে বর্জ্য ও নিষ্কাশন। এ অধ্যায় থেকে তুলনামূলকভাবে কম প্রশ্ন আসে, তবু মূত্র সৃষ্টি ও এর বিভিন্ন উপায়, রেচনতন্ত্রের কাজ আমাদের আয়ত্তে রাখা উচিত। সপ্তম অধ্যায় চলন ও অঙ্গচালনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ অধ্যায় থেকে অনেক প্রশ্নই আসতে দেখা গেছে। যার জন্য সব অস্থির নাম মুখস্থ রাখতে হবে। তরুণাস্থি ও এর প্রকারভেদ এবং কোন তরুণাস্থি কোথায় দেখা যায়, লিভারের শ্রেণিবিভাগ বিষয়েও প্রশ্ন আসতে পারে। সমন্বয় ও নিয়ন্ত্রণ বা অষ্টম অধ্যায়টি ভালোই বড়। এ অধ্যায়ের স্নায়ুতন্ত্র, চোখ, কান, হরমোনসহ বেশ কিছু বিষয় থেকেই এক বা একাধিক প্রশ্ন এসে থাকে এবং মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের কাজ কিংবা করোটিক স্নায়ু থেকে শুরু করে অষ্টম অধ্যায়ের প্রতিটি লাইনই বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলা যেতে পারে। মানবজীবনের ধারাবাহিকতা অধ্যায় থেকে সচরাচর পুরুষ প্রজননতন্ত্র ও স্ত্রী প্রজননতন্ত্রের বিভিন্ন অংশ ও তাদের কাজ নিয়ে প্রশ্ন আসতে দেখা যায়, IVF থেকেও প্রশ্ন আসতে পারে। দশম অধ্যায়ের নাম মানবদেহের প্রতিরক্ষা। এ অধ্যায় থেকে সবগুলো শ্বেত কণিকার কাজ জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, সেই সঙ্গে অ্যান্টিবডির গঠন ও এর কাজ এবং বিভিন্ন প্রতিরক্ষার স্তরগুলো জানাও আবশ্যক। জিনতত্ত্ব ও বিবর্তন হচ্ছে একাদশ অধ্যায়। এ অধ্যায়ের প্রতিটি অনুপাতই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবছরই অনুপাতগুলো থেকে প্রশ্ন আসতে দেখা যায়; কাজেই অনুপাতের পাশাপাশি কিছু গাণিতিক সমস্যা নিয়েও অনুশীলন করা যেতে পারে। বর্ণান্ধতা, হিমোফিলিয়ার মতো গাণিতিক প্রশ্ন আসার যে সম্ভাবনা রয়েছে, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। দ্বাদশ অধ্যায়ের নাম প্রাণীর আচরণ। এ অধ্যায় থেকে বিভিন্ন আচরণের প্রকারভেদ, ট্যাক্সেসের প্রকারভেদ, মৌমাছির জীবনচক্র বিষয়গুলো জেনে রাখতে হবে। ওপরের উল্লিখিত বিষয়গুলো আয়ত্তে থাকলে এবং শেষ সময়ে রিভিশন দিলে জীববিজ্ঞান বিষয়ে ডেন্টাল পরীক্ষায় ভালো একটি নম্বর পাওয়া সম্ভব বলে আমার বিশ্বাস।
লেখক: মেধাতালিকায় প্রথম, ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষা (২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ) এবং এমবিবিএস শিক্ষার্থী, ঢাকা মেডিকেল কলেজ।

আন্দোলনের মুখে শর্তসাপেক্ষে অনুদানভুক্ত ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের মাদ্রাসা অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক।
২ দিন আগে
কয়েকটি ইসলামি দলের আপত্তির পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন সৃষ্ট সংগীত শিক্ষক ও শরীরচর্চা শিক্ষকের পদ বাদ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। পাশাপাশি কিছু ‘শব্দগত পরিবর্তন’ এনে গত আগস্টে জারি করা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
২ দিন আগে
বাংলাদেশের ১২টি ক্যাডেট কলেজে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আবেদন ফরম বিতরণ শুরু হয়েছে ১ নভেম্বর ২০২৫ সকাল ৮টা থেকে, চলবে ১০ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, শনিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত।
২ দিন আগে
বিশ্বজুড়ে তরুণ প্রতিভাবানদের জন্য উন্মুক্ত হলো চীনের অ্যালায়েন্স অব ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স অর্গানাইজেশনস (এএনএসও) বৃত্তি। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তি প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আন্দোলনের মুখে শর্তসাপেক্ষে অনুদানভুক্ত ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের মাদ্রাসা অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক।
এস এম মাসুদুল হক বলেন, ‘আমরা আবেদন করা ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির অনুমোদনের জন্য ফাইল প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠিয়েছিলাম। শর্তসাপেক্ষে মাদ্রাসাগুলো এমপিওভুক্তির অনুমোদন দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়।’
মাসুদুল হক আরও বলেন, ১ হাজার ৮৯টি ইবতেদায়ি মাদ্রাসার মধ্যে যেগুলো চলতি বছর জারি করা এমপিও নীতিমালার শর্ত পূরণ করেছে, সেগুলোকে এমপিওভুক্ত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগকে। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মাদ্রাসাগুলো এমপিওভুক্ত করা হবে।
দেড় হাজারের বেশি অনুদানভুক্ত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির আবেদন গত ৮ থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত গ্রহণ করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ।
মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, দেশে অনুদানভুক্ত ১ হাজার ৫১৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা ও সহকারী শিক্ষকেরা তিন হাজার টাকা করে অনুদান পেয়ে থাকেন। এর বাইরে দেশে আরও ৫ হাজার ৯৩২টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা রয়েছে, যেগুলো সরকারি কোনো অনুদান পায় না।
শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে এ বছরের শুরুতে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলোকে প্রথমে এমপিওভুক্ত করে পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণের ঘোষণা দিয়েছিল কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ।
দীর্ঘদিন ধরে জাতীয়করণের দাবি জানিয়ে আসা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাশিক্ষকেরা জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলেন দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর। এর মধ্যে তাঁদের এক পদযাত্রায় পুলিশ লাঠিপেটা ও জলকামান ব্যবহার করে। বয়োজ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের পিটুনির সে ঘটনা আলোড়ন তোলে। এর একপর্যায়ে গত ২৮ জানুয়ারি ইবতেদায়ি মাদ্রাসাকে পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণের ঘোষণা দেন মাদ্রাসা অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক।
গত ২৫ জুন ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির নীতিমালা জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ নীতিমালা অনুসারে, মাদ্রাসাগুলোর মোট ছয়টি পদ এমপিওভুক্ত হবে। ইবতেদায়ির প্রধান বেতন পাবেন দশম গ্রেডে আর সাধারণ, বিজ্ঞান ও আরবি বিষয়ের সহকারী শিক্ষকের বেতন হবে ১৩তম গ্রেডে। আর ক্বারী বা নুরানি বিষয়ের সহকারী শিক্ষকেরা ১৬তম গ্রেডে বেতন পাবেন। আর প্রতিটি ইবতেদায়ি মাদ্রাসার অফিস সহায়ক পদ সৃষ্টি করা হয়েছে, যে পদে নিয়োগপ্রাপ্তরা ২০তম গ্রেডে বেতন পাবেন।
নীতিমালা অনুসারে, মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষক পদে এনটিআরসিএর সুপারিশের ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। আর নীতিমালায় মাদ্রাসাগুলোর ম্যানেজিং কমিটি গঠনের নির্দেশনা এসেছে। প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহায়ক পদে ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ হবে বলে নীতিমালায় জানানো হয়েছে।
এমপিওভুক্তির জন্য ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলোর গ্রেডিং পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়েছে। একাডেমিক স্বীকৃতি, প্রতিষ্ঠানের জমি, প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সংখ্যা, বার্ষিক পরীক্ষার গড় নম্বর, পরিবেশ ইত্যাদি সূচকে নম্বর নির্ধারণ করে মাদ্রাসাগুলোর গ্রেডিং করা হবে।
নীতিমালায় মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের এমপিও কমিটি গঠন করা হয়েছে। নীতিমালায় বলা হয়েছে, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর মাদ্রাসাগুলোর কাগজপত্র যাচাই করে এমপিও দেবে। প্রথমে মাদ্রাসাগুলোকে এমপিও কোড দেওয়া হবে। শিক্ষক-কর্মচারীরা এমপিওভুক্তির তারিখ থেকে বা এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে শূন্য পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হলে যোগদানের তারিখ থেকে এমপিও পাবেন।
বিক্ষোভ-মিছিল করেননি শিক্ষকেরা
সব ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণসহ পাঁচ দাবিতে আজ বিক্ষোভ-মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছিলেন আন্দোলনরত শিক্ষকেরা। তবে প্রধান উপদেষ্টা ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির অনুমোদন দেওয়ায় তাঁরা এ কর্মসূচি পালন করেননি। তবে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
জানতে চাইলে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাশিক্ষক ঐক্য জোট আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক শামসুল আলম আজ সন্ধ্যায় বলেন, ‘১ হাজার ৮৯টি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির জন্য প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় অনুমোদন দিয়েছেন বলে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তাঁরা আমাদের বিক্ষোভ-মিছিল না করার অনুরোধ করেছেন। তাই আমরা বিক্ষোভ-মিছিল করিনি। তবে আমরা লাগাতার অবস্থান চালিয়ে যাব। আপাতত আমরা কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করছি না।’

আন্দোলনের মুখে শর্তসাপেক্ষে অনুদানভুক্ত ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের মাদ্রাসা অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক।
এস এম মাসুদুল হক বলেন, ‘আমরা আবেদন করা ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির অনুমোদনের জন্য ফাইল প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠিয়েছিলাম। শর্তসাপেক্ষে মাদ্রাসাগুলো এমপিওভুক্তির অনুমোদন দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়।’
মাসুদুল হক আরও বলেন, ১ হাজার ৮৯টি ইবতেদায়ি মাদ্রাসার মধ্যে যেগুলো চলতি বছর জারি করা এমপিও নীতিমালার শর্ত পূরণ করেছে, সেগুলোকে এমপিওভুক্ত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগকে। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মাদ্রাসাগুলো এমপিওভুক্ত করা হবে।
দেড় হাজারের বেশি অনুদানভুক্ত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির আবেদন গত ৮ থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত গ্রহণ করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ।
মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, দেশে অনুদানভুক্ত ১ হাজার ৫১৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা ও সহকারী শিক্ষকেরা তিন হাজার টাকা করে অনুদান পেয়ে থাকেন। এর বাইরে দেশে আরও ৫ হাজার ৯৩২টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা রয়েছে, যেগুলো সরকারি কোনো অনুদান পায় না।
শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে এ বছরের শুরুতে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলোকে প্রথমে এমপিওভুক্ত করে পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণের ঘোষণা দিয়েছিল কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ।
দীর্ঘদিন ধরে জাতীয়করণের দাবি জানিয়ে আসা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাশিক্ষকেরা জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলেন দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর। এর মধ্যে তাঁদের এক পদযাত্রায় পুলিশ লাঠিপেটা ও জলকামান ব্যবহার করে। বয়োজ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের পিটুনির সে ঘটনা আলোড়ন তোলে। এর একপর্যায়ে গত ২৮ জানুয়ারি ইবতেদায়ি মাদ্রাসাকে পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণের ঘোষণা দেন মাদ্রাসা অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক।
গত ২৫ জুন ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির নীতিমালা জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ নীতিমালা অনুসারে, মাদ্রাসাগুলোর মোট ছয়টি পদ এমপিওভুক্ত হবে। ইবতেদায়ির প্রধান বেতন পাবেন দশম গ্রেডে আর সাধারণ, বিজ্ঞান ও আরবি বিষয়ের সহকারী শিক্ষকের বেতন হবে ১৩তম গ্রেডে। আর ক্বারী বা নুরানি বিষয়ের সহকারী শিক্ষকেরা ১৬তম গ্রেডে বেতন পাবেন। আর প্রতিটি ইবতেদায়ি মাদ্রাসার অফিস সহায়ক পদ সৃষ্টি করা হয়েছে, যে পদে নিয়োগপ্রাপ্তরা ২০তম গ্রেডে বেতন পাবেন।
নীতিমালা অনুসারে, মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষক পদে এনটিআরসিএর সুপারিশের ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। আর নীতিমালায় মাদ্রাসাগুলোর ম্যানেজিং কমিটি গঠনের নির্দেশনা এসেছে। প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহায়ক পদে ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ হবে বলে নীতিমালায় জানানো হয়েছে।
এমপিওভুক্তির জন্য ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলোর গ্রেডিং পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়েছে। একাডেমিক স্বীকৃতি, প্রতিষ্ঠানের জমি, প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সংখ্যা, বার্ষিক পরীক্ষার গড় নম্বর, পরিবেশ ইত্যাদি সূচকে নম্বর নির্ধারণ করে মাদ্রাসাগুলোর গ্রেডিং করা হবে।
নীতিমালায় মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের এমপিও কমিটি গঠন করা হয়েছে। নীতিমালায় বলা হয়েছে, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর মাদ্রাসাগুলোর কাগজপত্র যাচাই করে এমপিও দেবে। প্রথমে মাদ্রাসাগুলোকে এমপিও কোড দেওয়া হবে। শিক্ষক-কর্মচারীরা এমপিওভুক্তির তারিখ থেকে বা এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে শূন্য পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হলে যোগদানের তারিখ থেকে এমপিও পাবেন।
বিক্ষোভ-মিছিল করেননি শিক্ষকেরা
সব ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণসহ পাঁচ দাবিতে আজ বিক্ষোভ-মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছিলেন আন্দোলনরত শিক্ষকেরা। তবে প্রধান উপদেষ্টা ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির অনুমোদন দেওয়ায় তাঁরা এ কর্মসূচি পালন করেননি। তবে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
জানতে চাইলে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাশিক্ষক ঐক্য জোট আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক শামসুল আলম আজ সন্ধ্যায় বলেন, ‘১ হাজার ৮৯টি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির জন্য প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় অনুমোদন দিয়েছেন বলে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তাঁরা আমাদের বিক্ষোভ-মিছিল না করার অনুরোধ করেছেন। তাই আমরা বিক্ষোভ-মিছিল করিনি। তবে আমরা লাগাতার অবস্থান চালিয়ে যাব। আপাতত আমরা কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করছি না।’

তোমরা যারা ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছ, আজকের আলোচনা তাদের জন্য। আজ আমরা কথা বলব জীববিজ্ঞান নিয়ে। মূলত দুটি ভাগে বিভক্ত জীববিজ্ঞান বিষয়টি। যার একটি হচ্ছে উদ্ভিদবিজ্ঞান, অপরটি প্রাণিবিজ্ঞান।
০১ সেপ্টেম্বর ২০২১
কয়েকটি ইসলামি দলের আপত্তির পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন সৃষ্ট সংগীত শিক্ষক ও শরীরচর্চা শিক্ষকের পদ বাদ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। পাশাপাশি কিছু ‘শব্দগত পরিবর্তন’ এনে গত আগস্টে জারি করা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
২ দিন আগে
বাংলাদেশের ১২টি ক্যাডেট কলেজে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আবেদন ফরম বিতরণ শুরু হয়েছে ১ নভেম্বর ২০২৫ সকাল ৮টা থেকে, চলবে ১০ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, শনিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত।
২ দিন আগে
বিশ্বজুড়ে তরুণ প্রতিভাবানদের জন্য উন্মুক্ত হলো চীনের অ্যালায়েন্স অব ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স অর্গানাইজেশনস (এএনএসও) বৃত্তি। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তি প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কয়েকটি ইসলামি দলের আপত্তির পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন সৃষ্ট সংগীত শিক্ষক ও শরীরচর্চা শিক্ষকের পদ বাদ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। পাশাপাশি কিছু ‘শব্দগত পরিবর্তন’ এনে গত আগস্টে জারি করা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আজ সোমবার দুপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয়ের অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আকতার খান বলেন, গতকাল রোববার বিধিমালাটি সংশোধনের গেজেট জারি হয়েছে। গত আগস্টে জারি করা বিধিমালায় ৪ ক্যাটাগরির পদ থাকলেও সংশোধনে দুটি ক্যাটাগরি রাখা হয়েছে। সংগীত ও শরীরচর্চা বিষয়ের সহকারী শিক্ষকের পদটি নতুন বিধিমালায় নেই।
সমালোচনার মুখে পদগুলো বাতিল করা হলো কি না—জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে চাননি এ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘আপনারা এটি খতিয়ে দেখতে পারেন।’
এ ছাড়া বিধিমালায় একটি ‘শব্দগত পরিবর্তন’ আনা হয়েছে বলেও জানান অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আকতার খান।
মাসুদ আকতার বলেন, ‘আগের বিধিমালায় মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া পদগুলোর মধ্যে ২০ শতাংশ পদ বিজ্ঞান বিষয়ের স্নাতক ডিগ্রিধারীরা ও অন্য ৮০ শতাংশ পদ অন্যান্য বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীরা নিয়োগ পাবেন বলে উল্লেখ ছিল। এখানে একটি শব্দগত ভুল হয়েছিল আমাদের, মনে হচ্ছিল, ৮০ শতাংশ পদে বিজ্ঞান ছাড়া অন্যান্য বিষয়ের স্নাতক ডিগ্রিধারীরা নিয়োগ পাবেন। কিন্তু আসলে কোটা ছাড়া পদের ওই ৮০ শতাংশ ছিল কমন। অর্থাৎ বিজ্ঞান বা অন্যান্য বিষয়ের ডিগ্রিধারীরা নিয়োগ পাবেন।’
মাসুদ আকতার খান আরও বলেন, তাই বিধিমালার কোটার বাইরের ৮০ শতাংশ পদের ক্ষেত্রে ‘অন্যান্য বিষয়ে’ শব্দবন্ধকে ‘বিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিষয়ে অন্যূন’ শব্দবন্ধ দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
গত ২৮ আগস্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন নিয়োগ বিধিমালার প্রজ্ঞাপন জারি হয়। নতুন বিধিমালায় সংগীত ও শরীরচর্চা বিষয়ের সহকারী শিক্ষকের দুটি পদ নতুন করে সৃষ্টি করা হয়েছিল। কিন্তু এর পর থেকে ধর্মভিত্তিক সংগঠনগুলো সংগীত বিষয়ের সহকারী শিক্ষক পদটি সৃষ্টি নিয়ে সমালোচনা শুরু করে।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন নিয়োগ বিধিমালায় সংগীত বিষয়ের সহকারী শিক্ষকের পদ সৃষ্টির সমালোচনা করে প্রাথমিকে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
একই দিন এক সেমিনারে সংগীত শিক্ষক পদ সৃষ্টির কঠোর সমালোচনা করেন জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নেতারা।
এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক স্তরে সংগীত শিক্ষক নিয়োগের পদক্ষেপকে ‘ইসলামবিরোধী অ্যাজেন্ডা’ আখ্যা দিয়ে এ-সংক্রান্ত বিধিমালা বাতিলের দাবি জানিয়েছিল হেফাজতে ইসলাম।

কয়েকটি ইসলামি দলের আপত্তির পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন সৃষ্ট সংগীত শিক্ষক ও শরীরচর্চা শিক্ষকের পদ বাদ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। পাশাপাশি কিছু ‘শব্দগত পরিবর্তন’ এনে গত আগস্টে জারি করা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আজ সোমবার দুপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয়ের অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আকতার খান বলেন, গতকাল রোববার বিধিমালাটি সংশোধনের গেজেট জারি হয়েছে। গত আগস্টে জারি করা বিধিমালায় ৪ ক্যাটাগরির পদ থাকলেও সংশোধনে দুটি ক্যাটাগরি রাখা হয়েছে। সংগীত ও শরীরচর্চা বিষয়ের সহকারী শিক্ষকের পদটি নতুন বিধিমালায় নেই।
সমালোচনার মুখে পদগুলো বাতিল করা হলো কি না—জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে চাননি এ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘আপনারা এটি খতিয়ে দেখতে পারেন।’
এ ছাড়া বিধিমালায় একটি ‘শব্দগত পরিবর্তন’ আনা হয়েছে বলেও জানান অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আকতার খান।
মাসুদ আকতার বলেন, ‘আগের বিধিমালায় মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া পদগুলোর মধ্যে ২০ শতাংশ পদ বিজ্ঞান বিষয়ের স্নাতক ডিগ্রিধারীরা ও অন্য ৮০ শতাংশ পদ অন্যান্য বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীরা নিয়োগ পাবেন বলে উল্লেখ ছিল। এখানে একটি শব্দগত ভুল হয়েছিল আমাদের, মনে হচ্ছিল, ৮০ শতাংশ পদে বিজ্ঞান ছাড়া অন্যান্য বিষয়ের স্নাতক ডিগ্রিধারীরা নিয়োগ পাবেন। কিন্তু আসলে কোটা ছাড়া পদের ওই ৮০ শতাংশ ছিল কমন। অর্থাৎ বিজ্ঞান বা অন্যান্য বিষয়ের ডিগ্রিধারীরা নিয়োগ পাবেন।’
মাসুদ আকতার খান আরও বলেন, তাই বিধিমালার কোটার বাইরের ৮০ শতাংশ পদের ক্ষেত্রে ‘অন্যান্য বিষয়ে’ শব্দবন্ধকে ‘বিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিষয়ে অন্যূন’ শব্দবন্ধ দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
গত ২৮ আগস্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন নিয়োগ বিধিমালার প্রজ্ঞাপন জারি হয়। নতুন বিধিমালায় সংগীত ও শরীরচর্চা বিষয়ের সহকারী শিক্ষকের দুটি পদ নতুন করে সৃষ্টি করা হয়েছিল। কিন্তু এর পর থেকে ধর্মভিত্তিক সংগঠনগুলো সংগীত বিষয়ের সহকারী শিক্ষক পদটি সৃষ্টি নিয়ে সমালোচনা শুরু করে।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন নিয়োগ বিধিমালায় সংগীত বিষয়ের সহকারী শিক্ষকের পদ সৃষ্টির সমালোচনা করে প্রাথমিকে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
একই দিন এক সেমিনারে সংগীত শিক্ষক পদ সৃষ্টির কঠোর সমালোচনা করেন জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নেতারা।
এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক স্তরে সংগীত শিক্ষক নিয়োগের পদক্ষেপকে ‘ইসলামবিরোধী অ্যাজেন্ডা’ আখ্যা দিয়ে এ-সংক্রান্ত বিধিমালা বাতিলের দাবি জানিয়েছিল হেফাজতে ইসলাম।

তোমরা যারা ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছ, আজকের আলোচনা তাদের জন্য। আজ আমরা কথা বলব জীববিজ্ঞান নিয়ে। মূলত দুটি ভাগে বিভক্ত জীববিজ্ঞান বিষয়টি। যার একটি হচ্ছে উদ্ভিদবিজ্ঞান, অপরটি প্রাণিবিজ্ঞান।
০১ সেপ্টেম্বর ২০২১
আন্দোলনের মুখে শর্তসাপেক্ষে অনুদানভুক্ত ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের মাদ্রাসা অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক।
২ দিন আগে
বাংলাদেশের ১২টি ক্যাডেট কলেজে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আবেদন ফরম বিতরণ শুরু হয়েছে ১ নভেম্বর ২০২৫ সকাল ৮টা থেকে, চলবে ১০ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, শনিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত।
২ দিন আগে
বিশ্বজুড়ে তরুণ প্রতিভাবানদের জন্য উন্মুক্ত হলো চীনের অ্যালায়েন্স অব ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স অর্গানাইজেশনস (এএনএসও) বৃত্তি। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তি প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
২ দিন আগেমো. আশিকুর রহমান

বাংলাদেশের ১২টি ক্যাডেট কলেজে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আবেদন ফরম বিতরণ শুরু হয়েছে ১ নভেম্বর ২০২৫ সকাল ৮টা থেকে, চলবে ১০ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, শনিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত।
ক্যাডেট কলেজগুলো প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল শাখার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত আবাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখানে শিক্ষার্থীরা একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি শৃঙ্খলা, নেতৃত্ব, ক্রীড়া ও নৈতিকতা চর্চার মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠে।
বর্তমানে দেশে মোট ১২টি ক্যাডেট কলেজ রয়েছে। ছেলেদের জন্য ৯টি: ফৌজদারহাট (চট্টগ্রাম), ঝিনাইদহ, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল), রাজশাহী, সিলেট, রংপুর, বরিশাল, পাবনা ও কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ। মেয়েদের জন্য ৩টি: ময়মনসিংহ, ফেনী ও জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজ।
অনলাইনে আবেদন যেভাবে
অনলাইনে আবেদন করতে হবে নিচের যেকোনো ওয়েবসাইট থেকে
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
১. পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার সত্যায়িত সনদ (ইংরেজি মাধ্যমের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)।
২. জন্মসনদের সত্যায়িত ফটোকপি।
৩. বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের
৪. মা-বাবা বা অভিভাবকের মাসিক আয়ের প্রত্যয়নপত্র।
৫. মা ও বাবার জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি।
গুরুত্বপূর্ণ সময়সূচি ধাপ তারিখ ও সময়
আবেদন শুরু ১ নভেম্বর ২০২৫, সকাল ৮টা
আবেদন শেষ ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, বিকেল ৫টা
প্রবেশপত্র সংগ্রহ ১১ ডিসেম্বর থেকে পরীক্ষার আগের দিন পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষা ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, সকাল ১০টা–বেলা ১টা
ভর্তি পরীক্ষা হবে যেমন
ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ষষ্ঠ শ্রেণির সিলেবাসের আলোকে, মোট ৩০০ নম্বরের রচনামূলক পদ্ধতিতে।
বিষয় নম্বর
ইংরেজি ১০০
গণিত ১০০
বাংলা ৬০
সাধারণ জ্ঞান ৪০
পরীক্ষার বিষয়বস্তু সংক্ষেপে
আবেদনকারীর যোগ্যতা
যারা আবেদন করতে পারবে না
যেসব প্রার্থী আগে ক্যাডেট কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় লিখিত, মৌখিক বা স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অযোগ্য বিবেচিত হয়েছে, তারা পুনরায় আবেদন করতে পারবে না। এ ছাড়া নিম্নোক্ত অবস্থায় আবেদন অগ্রহণযোগ্য হবে—গ্রস নকনী, ফ্ল্যাট ফুট, কালার ব্লাইন্ড, অতিরিক্ত ওজন, অ্যাজমা, মৃগী, হৃদ্রোগ, বাত, যক্ষ্মা, হেপাটাইটিস, রাতকানা, ডায়াবেটিস, হেমোফিলিয়া, কিংবা বিছানায় প্রস্রাবের অভ্যাস থাকলে।
তথ্যসূত্র: ক্যাডেট কলেজ ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৬

বাংলাদেশের ১২টি ক্যাডেট কলেজে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আবেদন ফরম বিতরণ শুরু হয়েছে ১ নভেম্বর ২০২৫ সকাল ৮টা থেকে, চলবে ১০ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, শনিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত।
ক্যাডেট কলেজগুলো প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল শাখার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত আবাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখানে শিক্ষার্থীরা একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি শৃঙ্খলা, নেতৃত্ব, ক্রীড়া ও নৈতিকতা চর্চার মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠে।
বর্তমানে দেশে মোট ১২টি ক্যাডেট কলেজ রয়েছে। ছেলেদের জন্য ৯টি: ফৌজদারহাট (চট্টগ্রাম), ঝিনাইদহ, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল), রাজশাহী, সিলেট, রংপুর, বরিশাল, পাবনা ও কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ। মেয়েদের জন্য ৩টি: ময়মনসিংহ, ফেনী ও জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজ।
অনলাইনে আবেদন যেভাবে
অনলাইনে আবেদন করতে হবে নিচের যেকোনো ওয়েবসাইট থেকে
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
১. পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার সত্যায়িত সনদ (ইংরেজি মাধ্যমের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)।
২. জন্মসনদের সত্যায়িত ফটোকপি।
৩. বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের
৪. মা-বাবা বা অভিভাবকের মাসিক আয়ের প্রত্যয়নপত্র।
৫. মা ও বাবার জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি।
গুরুত্বপূর্ণ সময়সূচি ধাপ তারিখ ও সময়
আবেদন শুরু ১ নভেম্বর ২০২৫, সকাল ৮টা
আবেদন শেষ ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, বিকেল ৫টা
প্রবেশপত্র সংগ্রহ ১১ ডিসেম্বর থেকে পরীক্ষার আগের দিন পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষা ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, সকাল ১০টা–বেলা ১টা
ভর্তি পরীক্ষা হবে যেমন
ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ষষ্ঠ শ্রেণির সিলেবাসের আলোকে, মোট ৩০০ নম্বরের রচনামূলক পদ্ধতিতে।
বিষয় নম্বর
ইংরেজি ১০০
গণিত ১০০
বাংলা ৬০
সাধারণ জ্ঞান ৪০
পরীক্ষার বিষয়বস্তু সংক্ষেপে
আবেদনকারীর যোগ্যতা
যারা আবেদন করতে পারবে না
যেসব প্রার্থী আগে ক্যাডেট কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় লিখিত, মৌখিক বা স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অযোগ্য বিবেচিত হয়েছে, তারা পুনরায় আবেদন করতে পারবে না। এ ছাড়া নিম্নোক্ত অবস্থায় আবেদন অগ্রহণযোগ্য হবে—গ্রস নকনী, ফ্ল্যাট ফুট, কালার ব্লাইন্ড, অতিরিক্ত ওজন, অ্যাজমা, মৃগী, হৃদ্রোগ, বাত, যক্ষ্মা, হেপাটাইটিস, রাতকানা, ডায়াবেটিস, হেমোফিলিয়া, কিংবা বিছানায় প্রস্রাবের অভ্যাস থাকলে।
তথ্যসূত্র: ক্যাডেট কলেজ ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৬

তোমরা যারা ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছ, আজকের আলোচনা তাদের জন্য। আজ আমরা কথা বলব জীববিজ্ঞান নিয়ে। মূলত দুটি ভাগে বিভক্ত জীববিজ্ঞান বিষয়টি। যার একটি হচ্ছে উদ্ভিদবিজ্ঞান, অপরটি প্রাণিবিজ্ঞান।
০১ সেপ্টেম্বর ২০২১
আন্দোলনের মুখে শর্তসাপেক্ষে অনুদানভুক্ত ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের মাদ্রাসা অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক।
২ দিন আগে
কয়েকটি ইসলামি দলের আপত্তির পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন সৃষ্ট সংগীত শিক্ষক ও শরীরচর্চা শিক্ষকের পদ বাদ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। পাশাপাশি কিছু ‘শব্দগত পরিবর্তন’ এনে গত আগস্টে জারি করা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
২ দিন আগে
বিশ্বজুড়ে তরুণ প্রতিভাবানদের জন্য উন্মুক্ত হলো চীনের অ্যালায়েন্স অব ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স অর্গানাইজেশনস (এএনএসও) বৃত্তি। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তি প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
২ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক

বিশ্বজুড়ে তরুণ প্রতিভাবানদের জন্য উন্মুক্ত হলো চীনের অ্যালায়েন্স অব ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স অর্গানাইজেশনস (এএনএসও) বৃত্তি। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তি প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অব চায়না (ইউএসটিসি) এবং ইউনিভার্সিটি অব চায়নিজ একাডেমি অব সায়েন্সেস (ইউসিএএস) থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
সুযোগ-সুবিধা
চীনের বৃত্তিটি সম্পূর্ণ অর্থায়িত। বৃত্তিটির জন্য আবেদন করতে কোনো ফি লাগবে না। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের পুরো কোর্সেরও টিউশন নেই। শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে মাসিক ভাতার ব্যবস্থা। স্নাতকোত্তরের জন্য প্রতি মাসে থাকছে ৩ হাজার ইউয়ান আর পিএইচডির জন্য ৬ হাজার থেকে ৭ হাজার ইউয়ান। থাকছে বিমানভাড়া ও সম্পূর্ণ মেডিকেল ইনস্যুরেন্স সুবিধা। বৃত্তিটির আওতায় তরুণেরা বিশ্বমানের গবেষণা পরিবেশে নিজের দক্ষতা গড়ে তুলতে পারবেন। যাঁরা চীনে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখছেন, তাঁদের জন্য এএনএসও স্কলারশিপ হতে পারে এক অনন্য সুযোগ।
আবেদনের যোগ্যতা
এএনএসও স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে হলে প্রার্থীদের কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হবে। প্রথমত, আবেদনকারী অবশ্যই চীনের নাগরিক নন, এমন প্রার্থী হতে হবে। স্নাতকোত্তর ডিগ্রির ক্ষেত্রে প্রার্থীর জন্ম ১ জানুয়ারি ১৯৯৬ বা তার পরে হতে হবে। আর পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য আবেদনকারীর জন্ম হতে হবে ১ জানুয়ারি ১৯৯১ বা তার পরে। প্রার্থীদের ইংরেজি বা চীনা ভাষায় দক্ষতা থাকতে হবে।
বৃত্তির সংখ্যা
প্রতিবছর ২০০টি স্নাতকোত্তর ও ৩০০টি পিএইচডি বৃত্তি দেওয়া হয়।
আবেদনের প্রয়োজনীয় তথ্য
এএনএসও স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে প্রয়োজনীয় নথিপত্রও প্রস্তুত রাখতে হবে। এগুলো হলো পাসপোর্টের কপি, হালনাগাদ করা সিভি, গবেষণা অভিজ্ঞতার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি, দুটি সুপারিশপত্র, গবেষণা প্রস্তাবনা, ভাষা দক্ষতার প্রমাণপত্র ও শারীরিক সুস্থতার সনদ। স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য আবেদন করতে স্নাতকের সনদ ও পিএইচডি ডিগ্রির জন্য স্নাতকোত্তরের সনদ থাকতে হবে।
আবেদন পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ৩১ জানুয়ারি, ২০২৬।

বিশ্বজুড়ে তরুণ প্রতিভাবানদের জন্য উন্মুক্ত হলো চীনের অ্যালায়েন্স অব ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স অর্গানাইজেশনস (এএনএসও) বৃত্তি। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তি প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অব চায়না (ইউএসটিসি) এবং ইউনিভার্সিটি অব চায়নিজ একাডেমি অব সায়েন্সেস (ইউসিএএস) থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
সুযোগ-সুবিধা
চীনের বৃত্তিটি সম্পূর্ণ অর্থায়িত। বৃত্তিটির জন্য আবেদন করতে কোনো ফি লাগবে না। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের পুরো কোর্সেরও টিউশন নেই। শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে মাসিক ভাতার ব্যবস্থা। স্নাতকোত্তরের জন্য প্রতি মাসে থাকছে ৩ হাজার ইউয়ান আর পিএইচডির জন্য ৬ হাজার থেকে ৭ হাজার ইউয়ান। থাকছে বিমানভাড়া ও সম্পূর্ণ মেডিকেল ইনস্যুরেন্স সুবিধা। বৃত্তিটির আওতায় তরুণেরা বিশ্বমানের গবেষণা পরিবেশে নিজের দক্ষতা গড়ে তুলতে পারবেন। যাঁরা চীনে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখছেন, তাঁদের জন্য এএনএসও স্কলারশিপ হতে পারে এক অনন্য সুযোগ।
আবেদনের যোগ্যতা
এএনএসও স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে হলে প্রার্থীদের কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হবে। প্রথমত, আবেদনকারী অবশ্যই চীনের নাগরিক নন, এমন প্রার্থী হতে হবে। স্নাতকোত্তর ডিগ্রির ক্ষেত্রে প্রার্থীর জন্ম ১ জানুয়ারি ১৯৯৬ বা তার পরে হতে হবে। আর পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য আবেদনকারীর জন্ম হতে হবে ১ জানুয়ারি ১৯৯১ বা তার পরে। প্রার্থীদের ইংরেজি বা চীনা ভাষায় দক্ষতা থাকতে হবে।
বৃত্তির সংখ্যা
প্রতিবছর ২০০টি স্নাতকোত্তর ও ৩০০টি পিএইচডি বৃত্তি দেওয়া হয়।
আবেদনের প্রয়োজনীয় তথ্য
এএনএসও স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে প্রয়োজনীয় নথিপত্রও প্রস্তুত রাখতে হবে। এগুলো হলো পাসপোর্টের কপি, হালনাগাদ করা সিভি, গবেষণা অভিজ্ঞতার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি, দুটি সুপারিশপত্র, গবেষণা প্রস্তাবনা, ভাষা দক্ষতার প্রমাণপত্র ও শারীরিক সুস্থতার সনদ। স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য আবেদন করতে স্নাতকের সনদ ও পিএইচডি ডিগ্রির জন্য স্নাতকোত্তরের সনদ থাকতে হবে।
আবেদন পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ৩১ জানুয়ারি, ২০২৬।

তোমরা যারা ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছ, আজকের আলোচনা তাদের জন্য। আজ আমরা কথা বলব জীববিজ্ঞান নিয়ে। মূলত দুটি ভাগে বিভক্ত জীববিজ্ঞান বিষয়টি। যার একটি হচ্ছে উদ্ভিদবিজ্ঞান, অপরটি প্রাণিবিজ্ঞান।
০১ সেপ্টেম্বর ২০২১
আন্দোলনের মুখে শর্তসাপেক্ষে অনুদানভুক্ত ১ হাজার ৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের মাদ্রাসা অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক।
২ দিন আগে
কয়েকটি ইসলামি দলের আপত্তির পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন সৃষ্ট সংগীত শিক্ষক ও শরীরচর্চা শিক্ষকের পদ বাদ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। পাশাপাশি কিছু ‘শব্দগত পরিবর্তন’ এনে গত আগস্টে জারি করা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
২ দিন আগে
বাংলাদেশের ১২টি ক্যাডেট কলেজে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আবেদন ফরম বিতরণ শুরু হয়েছে ১ নভেম্বর ২০২৫ সকাল ৮টা থেকে, চলবে ১০ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, শনিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত।
২ দিন আগে