রাজশাহী প্রতিনিধি

বাইরে সাইনবোর্ডে লেখা ‘হোটেল বনলতা আবাসিক’। ভেতরে ঢুকে কাউন্টারে দেখা গেল, হোটেলের নাম ‘মেঘনা আবাসিক’। হোটেলের নামটি আগে মেঘনাই ছিল। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ হোটেলটি বন্ধ করে দেয়। কিন্তু কিছুদিন পরই বাইরে সাইনবোর্ড পরিবর্তন করে আগের মতোই চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ।
রাজশাহী নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকায় জিপিও ভবনের বিপরীতের একটি ভবনে এই আবাসিক হোটেলটি। হোটেল ভবনের নিচতলায় বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আর দোতলা থেকে চতুর্থ তলায় আবাসিক হোটেলের আড়ালে চলছে দেহব্যবসা। এ নিয়ে বিরক্ত বিব্রত নিচতলার ব্যবসায়ীরা। হোটেলের এমন কার্যক্রম সম্পর্কে সবাই জানেন। এরপরও রহস্যজনক কারণে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।
আজ রোববার সকালে হোটেলের ভেতরে গিয়ে নারীদের চলাফেরা করতে দেখা গেল। দোতলায় কাউন্টারে ছিলেন মোনতাজ আলী ও মো. দর্পণ নামের দুজন। বাইরে থেকে কেউ এলে দরদাম মিটিয়ে হাতে একটি প্লাস্টিকের টোকেন ধরিয়ে তাকে তিনতলায় পাঠিয়ে দিচ্ছিলেন তাঁরা। দুজন জানালেন, হোটেল মালিক মাইনুল ইসলামই সবকিছু ‘ম্যানেজ’ করে হোটেল চালাচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাইনুল ইসলামের বাড়ি ফরিদপুরে। দীর্ঘ দিন ধরে রাজশাহীতে এ কারবার চালিয়ে যাচ্ছেন। করোনা মহামারির মধ্যে ৪০ লাখ টাকা অগ্রিম দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের পাশে ‘লাল বোর্ডিং’ নামের আরেকটি হোটেল ভাড়া নিয়েছেন তিনি। রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম আগে রাজপাড়া থানায় ছিলেন। তিনি ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ‘হোটেল মেঘনা’ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তিনি বদলি হয়ে গেলে সাইনবোর্ডে নাম পাল্টে আবার হোটেলটি চালু হয়েছে।
হোটেল ভবনের নিচতলার এক ব্যবসায়ী এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেন, ‘আমার এই সামনে দিয়েই হোটেলের সবাই চলাচল করে। খুব ঘৃণা লাগে। তাই মোটা কাচ লাগিয়েছি যেন দেখতে না পাই।’ এই ব্যবসায়ী ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘এসবের প্রতিবাদ করে লাভ নাই। প্রতিবাদ করলে আমরা ব্যবসায়ীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হব। সকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হোটেলে আসে, বিকেলে আবার যা ছিল তাই। এরা মাফিয়া না হলে এভাবে এসব চালাতে পারে?’
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের দাবি, রাজপাড়া থানার নতুন ওসি জাহাঙ্গীর আলম আসার পর হোটেলটি আবার চালু হয়েছে। ওসির বডিগার্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পুলিশ কনস্টেবল আবদুর রহমান। তিনি থানার ‘ক্যাশিয়ার’ নামে পরিচিত। ২০১২ সাল থেকে কনস্টেবল আবদুর রহমান রাজপাড়া থানায়। মাঝে একবার ঢাকায় বদলি হলেও কিছুদিনের মধ্যে আবার রাজপাড়ায় ফিরেছেন। গত জানুয়ারিতে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) সব থানায় গণবদলি হলেও রহমান থেকেছেন রাজপাড়াতেই। এই রহমান ওসির নামে হোটেলটি থেকে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা নেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া থানার সেকেন্ড অফিসার কাজল নন্দী প্রতি মাসে নেন আরও ১০ হাজার টাকা। নগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একজন উপপরিদর্শক (এসআই) আলাদাভাবে হোটেলটি থেকে আরও ৫০ হাজার টাকা নেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। হোটেল মালিক মাইনুল ইসলাম ও ম্যানেজার মহিবুল ইসলাম এই লেনদেন করে থাকেন।
হোটেলটি থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজপাড়া থানার সেকেন্ড অফিসার কাজল নন্দী বলেন, ‘এসব মিথ্যা কথা। কয়েক মাস আগে আমরাই তো হোটেলটি বন্ধ করে দিয়েছি। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুজ্জামান টুকুও জানেন। এখনো হোটেলটি বন্ধই আছে।’ তবে বাস্তবে আজ সকালেও হোটেলটি চালু দেখা গেছে।
হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপ চালানোর বিষয়ে জানতে চাইলে এর মালিক মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘কীভাবে চলছে সেটা তো এখন ফোনে বলব না। কাল দুপুরে একবার দেখা করেন। এক কাপ চা খাব। তখন বলব।’
হোটেলটি সম্পর্কে জানতে চাইলে রাজপাড়া থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপ চলে কি না তা আমার জানা নেই।’ তাঁর নামে কনস্টেবল আবদুর রহমানের টাকা নেন, এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘আমি দেখছি। খোঁজ নিচ্ছি।’

বাইরে সাইনবোর্ডে লেখা ‘হোটেল বনলতা আবাসিক’। ভেতরে ঢুকে কাউন্টারে দেখা গেল, হোটেলের নাম ‘মেঘনা আবাসিক’। হোটেলের নামটি আগে মেঘনাই ছিল। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ হোটেলটি বন্ধ করে দেয়। কিন্তু কিছুদিন পরই বাইরে সাইনবোর্ড পরিবর্তন করে আগের মতোই চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ।
রাজশাহী নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকায় জিপিও ভবনের বিপরীতের একটি ভবনে এই আবাসিক হোটেলটি। হোটেল ভবনের নিচতলায় বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আর দোতলা থেকে চতুর্থ তলায় আবাসিক হোটেলের আড়ালে চলছে দেহব্যবসা। এ নিয়ে বিরক্ত বিব্রত নিচতলার ব্যবসায়ীরা। হোটেলের এমন কার্যক্রম সম্পর্কে সবাই জানেন। এরপরও রহস্যজনক কারণে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।
আজ রোববার সকালে হোটেলের ভেতরে গিয়ে নারীদের চলাফেরা করতে দেখা গেল। দোতলায় কাউন্টারে ছিলেন মোনতাজ আলী ও মো. দর্পণ নামের দুজন। বাইরে থেকে কেউ এলে দরদাম মিটিয়ে হাতে একটি প্লাস্টিকের টোকেন ধরিয়ে তাকে তিনতলায় পাঠিয়ে দিচ্ছিলেন তাঁরা। দুজন জানালেন, হোটেল মালিক মাইনুল ইসলামই সবকিছু ‘ম্যানেজ’ করে হোটেল চালাচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাইনুল ইসলামের বাড়ি ফরিদপুরে। দীর্ঘ দিন ধরে রাজশাহীতে এ কারবার চালিয়ে যাচ্ছেন। করোনা মহামারির মধ্যে ৪০ লাখ টাকা অগ্রিম দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের পাশে ‘লাল বোর্ডিং’ নামের আরেকটি হোটেল ভাড়া নিয়েছেন তিনি। রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম আগে রাজপাড়া থানায় ছিলেন। তিনি ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ‘হোটেল মেঘনা’ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তিনি বদলি হয়ে গেলে সাইনবোর্ডে নাম পাল্টে আবার হোটেলটি চালু হয়েছে।
হোটেল ভবনের নিচতলার এক ব্যবসায়ী এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেন, ‘আমার এই সামনে দিয়েই হোটেলের সবাই চলাচল করে। খুব ঘৃণা লাগে। তাই মোটা কাচ লাগিয়েছি যেন দেখতে না পাই।’ এই ব্যবসায়ী ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘এসবের প্রতিবাদ করে লাভ নাই। প্রতিবাদ করলে আমরা ব্যবসায়ীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হব। সকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হোটেলে আসে, বিকেলে আবার যা ছিল তাই। এরা মাফিয়া না হলে এভাবে এসব চালাতে পারে?’
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের দাবি, রাজপাড়া থানার নতুন ওসি জাহাঙ্গীর আলম আসার পর হোটেলটি আবার চালু হয়েছে। ওসির বডিগার্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পুলিশ কনস্টেবল আবদুর রহমান। তিনি থানার ‘ক্যাশিয়ার’ নামে পরিচিত। ২০১২ সাল থেকে কনস্টেবল আবদুর রহমান রাজপাড়া থানায়। মাঝে একবার ঢাকায় বদলি হলেও কিছুদিনের মধ্যে আবার রাজপাড়ায় ফিরেছেন। গত জানুয়ারিতে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) সব থানায় গণবদলি হলেও রহমান থেকেছেন রাজপাড়াতেই। এই রহমান ওসির নামে হোটেলটি থেকে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা নেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া থানার সেকেন্ড অফিসার কাজল নন্দী প্রতি মাসে নেন আরও ১০ হাজার টাকা। নগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একজন উপপরিদর্শক (এসআই) আলাদাভাবে হোটেলটি থেকে আরও ৫০ হাজার টাকা নেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। হোটেল মালিক মাইনুল ইসলাম ও ম্যানেজার মহিবুল ইসলাম এই লেনদেন করে থাকেন।
হোটেলটি থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজপাড়া থানার সেকেন্ড অফিসার কাজল নন্দী বলেন, ‘এসব মিথ্যা কথা। কয়েক মাস আগে আমরাই তো হোটেলটি বন্ধ করে দিয়েছি। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুজ্জামান টুকুও জানেন। এখনো হোটেলটি বন্ধই আছে।’ তবে বাস্তবে আজ সকালেও হোটেলটি চালু দেখা গেছে।
হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপ চালানোর বিষয়ে জানতে চাইলে এর মালিক মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘কীভাবে চলছে সেটা তো এখন ফোনে বলব না। কাল দুপুরে একবার দেখা করেন। এক কাপ চা খাব। তখন বলব।’
হোটেলটি সম্পর্কে জানতে চাইলে রাজপাড়া থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপ চলে কি না তা আমার জানা নেই।’ তাঁর নামে কনস্টেবল আবদুর রহমানের টাকা নেন, এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘আমি দেখছি। খোঁজ নিচ্ছি।’
রাজশাহী প্রতিনিধি

বাইরে সাইনবোর্ডে লেখা ‘হোটেল বনলতা আবাসিক’। ভেতরে ঢুকে কাউন্টারে দেখা গেল, হোটেলের নাম ‘মেঘনা আবাসিক’। হোটেলের নামটি আগে মেঘনাই ছিল। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ হোটেলটি বন্ধ করে দেয়। কিন্তু কিছুদিন পরই বাইরে সাইনবোর্ড পরিবর্তন করে আগের মতোই চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ।
রাজশাহী নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকায় জিপিও ভবনের বিপরীতের একটি ভবনে এই আবাসিক হোটেলটি। হোটেল ভবনের নিচতলায় বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আর দোতলা থেকে চতুর্থ তলায় আবাসিক হোটেলের আড়ালে চলছে দেহব্যবসা। এ নিয়ে বিরক্ত বিব্রত নিচতলার ব্যবসায়ীরা। হোটেলের এমন কার্যক্রম সম্পর্কে সবাই জানেন। এরপরও রহস্যজনক কারণে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।
আজ রোববার সকালে হোটেলের ভেতরে গিয়ে নারীদের চলাফেরা করতে দেখা গেল। দোতলায় কাউন্টারে ছিলেন মোনতাজ আলী ও মো. দর্পণ নামের দুজন। বাইরে থেকে কেউ এলে দরদাম মিটিয়ে হাতে একটি প্লাস্টিকের টোকেন ধরিয়ে তাকে তিনতলায় পাঠিয়ে দিচ্ছিলেন তাঁরা। দুজন জানালেন, হোটেল মালিক মাইনুল ইসলামই সবকিছু ‘ম্যানেজ’ করে হোটেল চালাচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাইনুল ইসলামের বাড়ি ফরিদপুরে। দীর্ঘ দিন ধরে রাজশাহীতে এ কারবার চালিয়ে যাচ্ছেন। করোনা মহামারির মধ্যে ৪০ লাখ টাকা অগ্রিম দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের পাশে ‘লাল বোর্ডিং’ নামের আরেকটি হোটেল ভাড়া নিয়েছেন তিনি। রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম আগে রাজপাড়া থানায় ছিলেন। তিনি ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ‘হোটেল মেঘনা’ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তিনি বদলি হয়ে গেলে সাইনবোর্ডে নাম পাল্টে আবার হোটেলটি চালু হয়েছে।
হোটেল ভবনের নিচতলার এক ব্যবসায়ী এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেন, ‘আমার এই সামনে দিয়েই হোটেলের সবাই চলাচল করে। খুব ঘৃণা লাগে। তাই মোটা কাচ লাগিয়েছি যেন দেখতে না পাই।’ এই ব্যবসায়ী ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘এসবের প্রতিবাদ করে লাভ নাই। প্রতিবাদ করলে আমরা ব্যবসায়ীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হব। সকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হোটেলে আসে, বিকেলে আবার যা ছিল তাই। এরা মাফিয়া না হলে এভাবে এসব চালাতে পারে?’
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের দাবি, রাজপাড়া থানার নতুন ওসি জাহাঙ্গীর আলম আসার পর হোটেলটি আবার চালু হয়েছে। ওসির বডিগার্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পুলিশ কনস্টেবল আবদুর রহমান। তিনি থানার ‘ক্যাশিয়ার’ নামে পরিচিত। ২০১২ সাল থেকে কনস্টেবল আবদুর রহমান রাজপাড়া থানায়। মাঝে একবার ঢাকায় বদলি হলেও কিছুদিনের মধ্যে আবার রাজপাড়ায় ফিরেছেন। গত জানুয়ারিতে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) সব থানায় গণবদলি হলেও রহমান থেকেছেন রাজপাড়াতেই। এই রহমান ওসির নামে হোটেলটি থেকে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা নেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া থানার সেকেন্ড অফিসার কাজল নন্দী প্রতি মাসে নেন আরও ১০ হাজার টাকা। নগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একজন উপপরিদর্শক (এসআই) আলাদাভাবে হোটেলটি থেকে আরও ৫০ হাজার টাকা নেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। হোটেল মালিক মাইনুল ইসলাম ও ম্যানেজার মহিবুল ইসলাম এই লেনদেন করে থাকেন।
হোটেলটি থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজপাড়া থানার সেকেন্ড অফিসার কাজল নন্দী বলেন, ‘এসব মিথ্যা কথা। কয়েক মাস আগে আমরাই তো হোটেলটি বন্ধ করে দিয়েছি। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুজ্জামান টুকুও জানেন। এখনো হোটেলটি বন্ধই আছে।’ তবে বাস্তবে আজ সকালেও হোটেলটি চালু দেখা গেছে।
হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপ চালানোর বিষয়ে জানতে চাইলে এর মালিক মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘কীভাবে চলছে সেটা তো এখন ফোনে বলব না। কাল দুপুরে একবার দেখা করেন। এক কাপ চা খাব। তখন বলব।’
হোটেলটি সম্পর্কে জানতে চাইলে রাজপাড়া থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপ চলে কি না তা আমার জানা নেই।’ তাঁর নামে কনস্টেবল আবদুর রহমানের টাকা নেন, এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘আমি দেখছি। খোঁজ নিচ্ছি।’

বাইরে সাইনবোর্ডে লেখা ‘হোটেল বনলতা আবাসিক’। ভেতরে ঢুকে কাউন্টারে দেখা গেল, হোটেলের নাম ‘মেঘনা আবাসিক’। হোটেলের নামটি আগে মেঘনাই ছিল। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ হোটেলটি বন্ধ করে দেয়। কিন্তু কিছুদিন পরই বাইরে সাইনবোর্ড পরিবর্তন করে আগের মতোই চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ।
রাজশাহী নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকায় জিপিও ভবনের বিপরীতের একটি ভবনে এই আবাসিক হোটেলটি। হোটেল ভবনের নিচতলায় বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আর দোতলা থেকে চতুর্থ তলায় আবাসিক হোটেলের আড়ালে চলছে দেহব্যবসা। এ নিয়ে বিরক্ত বিব্রত নিচতলার ব্যবসায়ীরা। হোটেলের এমন কার্যক্রম সম্পর্কে সবাই জানেন। এরপরও রহস্যজনক কারণে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।
আজ রোববার সকালে হোটেলের ভেতরে গিয়ে নারীদের চলাফেরা করতে দেখা গেল। দোতলায় কাউন্টারে ছিলেন মোনতাজ আলী ও মো. দর্পণ নামের দুজন। বাইরে থেকে কেউ এলে দরদাম মিটিয়ে হাতে একটি প্লাস্টিকের টোকেন ধরিয়ে তাকে তিনতলায় পাঠিয়ে দিচ্ছিলেন তাঁরা। দুজন জানালেন, হোটেল মালিক মাইনুল ইসলামই সবকিছু ‘ম্যানেজ’ করে হোটেল চালাচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাইনুল ইসলামের বাড়ি ফরিদপুরে। দীর্ঘ দিন ধরে রাজশাহীতে এ কারবার চালিয়ে যাচ্ছেন। করোনা মহামারির মধ্যে ৪০ লাখ টাকা অগ্রিম দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের পাশে ‘লাল বোর্ডিং’ নামের আরেকটি হোটেল ভাড়া নিয়েছেন তিনি। রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম আগে রাজপাড়া থানায় ছিলেন। তিনি ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ‘হোটেল মেঘনা’ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তিনি বদলি হয়ে গেলে সাইনবোর্ডে নাম পাল্টে আবার হোটেলটি চালু হয়েছে।
হোটেল ভবনের নিচতলার এক ব্যবসায়ী এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেন, ‘আমার এই সামনে দিয়েই হোটেলের সবাই চলাচল করে। খুব ঘৃণা লাগে। তাই মোটা কাচ লাগিয়েছি যেন দেখতে না পাই।’ এই ব্যবসায়ী ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘এসবের প্রতিবাদ করে লাভ নাই। প্রতিবাদ করলে আমরা ব্যবসায়ীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হব। সকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হোটেলে আসে, বিকেলে আবার যা ছিল তাই। এরা মাফিয়া না হলে এভাবে এসব চালাতে পারে?’
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের দাবি, রাজপাড়া থানার নতুন ওসি জাহাঙ্গীর আলম আসার পর হোটেলটি আবার চালু হয়েছে। ওসির বডিগার্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পুলিশ কনস্টেবল আবদুর রহমান। তিনি থানার ‘ক্যাশিয়ার’ নামে পরিচিত। ২০১২ সাল থেকে কনস্টেবল আবদুর রহমান রাজপাড়া থানায়। মাঝে একবার ঢাকায় বদলি হলেও কিছুদিনের মধ্যে আবার রাজপাড়ায় ফিরেছেন। গত জানুয়ারিতে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) সব থানায় গণবদলি হলেও রহমান থেকেছেন রাজপাড়াতেই। এই রহমান ওসির নামে হোটেলটি থেকে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা নেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া থানার সেকেন্ড অফিসার কাজল নন্দী প্রতি মাসে নেন আরও ১০ হাজার টাকা। নগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একজন উপপরিদর্শক (এসআই) আলাদাভাবে হোটেলটি থেকে আরও ৫০ হাজার টাকা নেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। হোটেল মালিক মাইনুল ইসলাম ও ম্যানেজার মহিবুল ইসলাম এই লেনদেন করে থাকেন।
হোটেলটি থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজপাড়া থানার সেকেন্ড অফিসার কাজল নন্দী বলেন, ‘এসব মিথ্যা কথা। কয়েক মাস আগে আমরাই তো হোটেলটি বন্ধ করে দিয়েছি। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুজ্জামান টুকুও জানেন। এখনো হোটেলটি বন্ধই আছে।’ তবে বাস্তবে আজ সকালেও হোটেলটি চালু দেখা গেছে।
হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপ চালানোর বিষয়ে জানতে চাইলে এর মালিক মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘কীভাবে চলছে সেটা তো এখন ফোনে বলব না। কাল দুপুরে একবার দেখা করেন। এক কাপ চা খাব। তখন বলব।’
হোটেলটি সম্পর্কে জানতে চাইলে রাজপাড়া থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপ চলে কি না তা আমার জানা নেই।’ তাঁর নামে কনস্টেবল আবদুর রহমানের টাকা নেন, এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘আমি দেখছি। খোঁজ নিচ্ছি।’

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৪ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৪ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৭ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৭ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় সেলিম প্রধানকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক মামুন ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বারিধারার একটি রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬ দশমিক ৭ কেজি ওজনের সিসা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া সাতটি সিসা স্ট্যান্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। পরে সেলিম প্রধানকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় সেলিম প্রধানকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক মামুন ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বারিধারার একটি রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬ দশমিক ৭ কেজি ওজনের সিসা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া সাতটি সিসা স্ট্যান্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। পরে সেলিম প্রধানকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

মাইনুল ইসলামের বাড়ি ফরিদপুরে। দীর্ঘ দিন ধরে রাজশাহীতে এ কারবার চালিয়ে যাচ্ছেন। করোনা মহামারির মধ্যে ৪০ লাখ টাকা অগ্রিম দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের পাশে ‘লাল বোর্ডিং’ নামের আরেকটি হোটেল ভাড়া নিয়েছেন তিনি...
১৪ আগস্ট ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৪ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৭ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৭ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

মাইনুল ইসলামের বাড়ি ফরিদপুরে। দীর্ঘ দিন ধরে রাজশাহীতে এ কারবার চালিয়ে যাচ্ছেন। করোনা মহামারির মধ্যে ৪০ লাখ টাকা অগ্রিম দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের পাশে ‘লাল বোর্ডিং’ নামের আরেকটি হোটেল ভাড়া নিয়েছেন তিনি...
১৪ আগস্ট ২০২২
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৪ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৭ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৭ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

মাইনুল ইসলামের বাড়ি ফরিদপুরে। দীর্ঘ দিন ধরে রাজশাহীতে এ কারবার চালিয়ে যাচ্ছেন। করোনা মহামারির মধ্যে ৪০ লাখ টাকা অগ্রিম দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের পাশে ‘লাল বোর্ডিং’ নামের আরেকটি হোটেল ভাড়া নিয়েছেন তিনি...
১৪ আগস্ট ২০২২
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৪ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৪ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৭ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

মাইনুল ইসলামের বাড়ি ফরিদপুরে। দীর্ঘ দিন ধরে রাজশাহীতে এ কারবার চালিয়ে যাচ্ছেন। করোনা মহামারির মধ্যে ৪০ লাখ টাকা অগ্রিম দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের পাশে ‘লাল বোর্ডিং’ নামের আরেকটি হোটেল ভাড়া নিয়েছেন তিনি...
১৪ আগস্ট ২০২২
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৪ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৪ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৭ দিন আগে