বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি
রাজশাহীর বাঘায় একরাতে প্রায় ৪০০ আম গাছ কেটেছে দুর্বৃত্তরা। সকালে ঘুম থেকে মাঠে পড়ে থাকতে দেখেন প্রায় ১৫ জন চাষি। আম চাষ করে অনেক পরিবারই চলেন সারা বছর। আর সেই গাছ কাটা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা কিছুতেই মানতে পারছেন না চাষিরা। এ নিয়ে চাষিদের পরিবারের চলছে আহাজারি।
গতকাল রোববার (১১ ডিসেম্বর) গভীর রাতে বাঘা উপজেলা মনিগ্রাম ইউনিয়নের হাবাসপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আজ সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে আম গাছ কাটার দৃশ্য দেখে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চাষিরা। পরে এ ঘটনায় চাষি আবু সামা ও সাধন কুমার প্রামাণিক বাদী হয়ে বুধবার সকালে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবে এজাহারে তারা কারও নাম উল্লেখ করেননি।
চাষি আবু সামা (৪৫) জানান, তার ১৮ বছর বয়সী ২৮টি গাছ করাত দিয়ে কেটে ফেলা হয়েছে। উপজেলার হাবাসপুর গ্রামে এক রাতে তাঁর মতো ১৫ জন চাষির প্রায় ৪০০ আম গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। কাটা গাছ এনে বাড়ির সামনে ফেলা রাখছেন তাঁরা। এগুলো দেখে আহাজারি করছেন তাঁদের পরিবার। এ গ্রামে যেন শোকের গ্রামে পরিণত হয়েছে।
উপজেলার হাবাসপুর আমবাগান সমৃদ্ধ এলাকা। এই গ্রামের শতভাগ জমিতে আম গাছ রয়েছে। এমনকি বাড়ির আঙিনায় রয়েছে আমগাছ। যে গাছগুলো কাটা হয়েছে সেগুলো অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকায় লাগানো হয়েছে। আগে এই জমিতে শুধু ধান চাষ করা হয়েছে। সম্প্রতি সেখানেও আমগাছ লাগানো হয়েছে।
সোমবার দুপুরে হাবাসপুর গ্রামে সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তা দিয়ে ভ্যানে করে বাগানের মালিকেরা কাটা গাছের ডালপালা বাড়িতে নিয়ে আসছেন। বাড়ির সামনে গাছের ডাল ফেলার সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের লোকজন বের হয়ে আহাজারি শুরু করছেন। চাষি প্রবীর সরকারের প্রায় ১৮ বছর বয়সী ১৮টা আম গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। সেই গাছের ডালপালা বাড়ির সামনে এনে ফেলার সঙ্গে সঙ্গে তার স্ত্রী রীতা সরকার হায় হায় করে বুক চাপড়াচ্ছেন। অন্যদিকে আহাজারি করতে করতে চাষি প্রবীর সরকার বলছেন, ‘মাঠে যাই দেখি, মাঠ সাফ কইরি দিচে।’
মাঠ থেকে ভ্যানে গাছের ডালপালা তুলে দিয়ে পেছনে পেছনে বাইসাইকেল নিয়ে হেঁটে আসছিলেন আরেক চাষি নিপেন্দ্রনাথ প্রামাণিক (৬৭)। তিনি মোবাইলে তাঁর স্ত্রীকে গাছগুলো নামিয়ে নিতে বলছেন আর চোখ মুছছেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমার তিন ভাইয়ের ১৮টি গাছ কেটেছে। আমাদের কারও সঙ্গে কোনো শত্রুতা নেই। প্রায় ১৭ বয়সী গাছগুলোর কোনোটিতে চার মণ, কোনোটিতে পাঁচ মণ আম আসে। সকালে মাঠে গিয়ে দেখি বাগানের ১৮টি গাছ গম খেতের মধ্যে পড়ে আছে। খবর পেয়ে পুলিশ এসেছিল। সব লিখে নিয়ে গেল কিন্তু কিছুতেই নিজেকে সান্ত্বনা দিতে পারছি না।’
অন্যদিকে সাধন কুমার প্রামাণিক নামে আরেক চাষির বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তাঁর বৃদ্ধ বাবা গাছের ডালপালা নিয়ে বাড়ির সামনে বসে রয়েছেন। ছেলের চাষের কাটা আম গাছ দেখে বাকরুদ্ধ তিনি।
সাধন কুমার জানান, তাঁর নিজের ১৫টি আর ছোট ভাই রিপনের ১৫টি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। গাছগুলোর বয়স ১৭ বছর হয়েছে। প্রতিটি গাছে প্রায় পাঁচ মণ করে আম ধরে।
সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে মাঠে নিয়ে গেলেন চাষি আবু সামা। মাঠে নামার রাস্তার মুখেই দেখা গেল চাষি হাফিজুল তাঁর কাটা গাছ টেনে তুলছেন। মাঠের মধ্যে গিয়ে এক মর্মান্তিক দৃশ্য দেখা গেল। কোনো গাছের ডালপালা নেই। কোনো গাছের গোড়া কেটে দেওয়া হয়েছে। প্রায় ৩২ বিঘার মাঠ জুড়ে একই দৃশ্য। কোনোটার ডালপালা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। শুধু গাছের কাটা গোড়া দেখা যাচ্ছে। আর কোনোটা এখনো মাঠে পড়ে রয়েছে।
আবু সামা একটি গাছের গোড়া ধরে বসে বিলাপ করতে করতে বলছেন, ‘একেকটা গাছ আমার সন্তানের মতন। একটা ছেলে যেভাবে মানুষ করতে হয় একটা আমগাছই সেইরকম যত্ন করলেই বাঁচে।’
তিনি বলেন, ‘কয়েক বছর আগে এই মাঠেই এক রাতে তার ২০টা গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। তার বিচার আজও পাননি। সেই আসামিও ধরতে পারেনি। এবার আবার সেই ঘটনা ঘটল। কেউ বলতে পারছে যে কে এই কাজ করেছে।’
কাটা গাছ দেখে একজন ব্যাপারী এসেছেন গাছ কিনতে। আবু সামা বললেন, ‘আজ আমি কিছুতেই গাছে হাত দিতে পারব না। থাক আমার গাছ পড়ে থাক।’
আবু সামার বাগানের পাশে প্রতিবন্ধী চাষি সোলায়মান হোসেনের স্ত্রী রূপজামান বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী একজন প্রতিবন্ধী। তার ৮টি গাছ কেটে ফেলেছে। তিনি হায় হায় করে মাঠের এক মাথা থেকে আরেক মাথায় ছোটাছুটি করছেন তিনি।’
স্থানীয় মনিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘লোকমুখে শুনে আমি বাগানে গিয়েছিলাম। ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা হবে। সেই চেষ্টা করা হবে।’
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাজশাহীর বাঘায় একরাতে প্রায় ৪০০ আম গাছ কেটেছে দুর্বৃত্তরা। সকালে ঘুম থেকে মাঠে পড়ে থাকতে দেখেন প্রায় ১৫ জন চাষি। আম চাষ করে অনেক পরিবারই চলেন সারা বছর। আর সেই গাছ কাটা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা কিছুতেই মানতে পারছেন না চাষিরা। এ নিয়ে চাষিদের পরিবারের চলছে আহাজারি।
গতকাল রোববার (১১ ডিসেম্বর) গভীর রাতে বাঘা উপজেলা মনিগ্রাম ইউনিয়নের হাবাসপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আজ সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে আম গাছ কাটার দৃশ্য দেখে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চাষিরা। পরে এ ঘটনায় চাষি আবু সামা ও সাধন কুমার প্রামাণিক বাদী হয়ে বুধবার সকালে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবে এজাহারে তারা কারও নাম উল্লেখ করেননি।
চাষি আবু সামা (৪৫) জানান, তার ১৮ বছর বয়সী ২৮টি গাছ করাত দিয়ে কেটে ফেলা হয়েছে। উপজেলার হাবাসপুর গ্রামে এক রাতে তাঁর মতো ১৫ জন চাষির প্রায় ৪০০ আম গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। কাটা গাছ এনে বাড়ির সামনে ফেলা রাখছেন তাঁরা। এগুলো দেখে আহাজারি করছেন তাঁদের পরিবার। এ গ্রামে যেন শোকের গ্রামে পরিণত হয়েছে।
উপজেলার হাবাসপুর আমবাগান সমৃদ্ধ এলাকা। এই গ্রামের শতভাগ জমিতে আম গাছ রয়েছে। এমনকি বাড়ির আঙিনায় রয়েছে আমগাছ। যে গাছগুলো কাটা হয়েছে সেগুলো অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকায় লাগানো হয়েছে। আগে এই জমিতে শুধু ধান চাষ করা হয়েছে। সম্প্রতি সেখানেও আমগাছ লাগানো হয়েছে।
সোমবার দুপুরে হাবাসপুর গ্রামে সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তা দিয়ে ভ্যানে করে বাগানের মালিকেরা কাটা গাছের ডালপালা বাড়িতে নিয়ে আসছেন। বাড়ির সামনে গাছের ডাল ফেলার সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের লোকজন বের হয়ে আহাজারি শুরু করছেন। চাষি প্রবীর সরকারের প্রায় ১৮ বছর বয়সী ১৮টা আম গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। সেই গাছের ডালপালা বাড়ির সামনে এনে ফেলার সঙ্গে সঙ্গে তার স্ত্রী রীতা সরকার হায় হায় করে বুক চাপড়াচ্ছেন। অন্যদিকে আহাজারি করতে করতে চাষি প্রবীর সরকার বলছেন, ‘মাঠে যাই দেখি, মাঠ সাফ কইরি দিচে।’
মাঠ থেকে ভ্যানে গাছের ডালপালা তুলে দিয়ে পেছনে পেছনে বাইসাইকেল নিয়ে হেঁটে আসছিলেন আরেক চাষি নিপেন্দ্রনাথ প্রামাণিক (৬৭)। তিনি মোবাইলে তাঁর স্ত্রীকে গাছগুলো নামিয়ে নিতে বলছেন আর চোখ মুছছেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমার তিন ভাইয়ের ১৮টি গাছ কেটেছে। আমাদের কারও সঙ্গে কোনো শত্রুতা নেই। প্রায় ১৭ বয়সী গাছগুলোর কোনোটিতে চার মণ, কোনোটিতে পাঁচ মণ আম আসে। সকালে মাঠে গিয়ে দেখি বাগানের ১৮টি গাছ গম খেতের মধ্যে পড়ে আছে। খবর পেয়ে পুলিশ এসেছিল। সব লিখে নিয়ে গেল কিন্তু কিছুতেই নিজেকে সান্ত্বনা দিতে পারছি না।’
অন্যদিকে সাধন কুমার প্রামাণিক নামে আরেক চাষির বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তাঁর বৃদ্ধ বাবা গাছের ডালপালা নিয়ে বাড়ির সামনে বসে রয়েছেন। ছেলের চাষের কাটা আম গাছ দেখে বাকরুদ্ধ তিনি।
সাধন কুমার জানান, তাঁর নিজের ১৫টি আর ছোট ভাই রিপনের ১৫টি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। গাছগুলোর বয়স ১৭ বছর হয়েছে। প্রতিটি গাছে প্রায় পাঁচ মণ করে আম ধরে।
সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে মাঠে নিয়ে গেলেন চাষি আবু সামা। মাঠে নামার রাস্তার মুখেই দেখা গেল চাষি হাফিজুল তাঁর কাটা গাছ টেনে তুলছেন। মাঠের মধ্যে গিয়ে এক মর্মান্তিক দৃশ্য দেখা গেল। কোনো গাছের ডালপালা নেই। কোনো গাছের গোড়া কেটে দেওয়া হয়েছে। প্রায় ৩২ বিঘার মাঠ জুড়ে একই দৃশ্য। কোনোটার ডালপালা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। শুধু গাছের কাটা গোড়া দেখা যাচ্ছে। আর কোনোটা এখনো মাঠে পড়ে রয়েছে।
আবু সামা একটি গাছের গোড়া ধরে বসে বিলাপ করতে করতে বলছেন, ‘একেকটা গাছ আমার সন্তানের মতন। একটা ছেলে যেভাবে মানুষ করতে হয় একটা আমগাছই সেইরকম যত্ন করলেই বাঁচে।’
তিনি বলেন, ‘কয়েক বছর আগে এই মাঠেই এক রাতে তার ২০টা গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। তার বিচার আজও পাননি। সেই আসামিও ধরতে পারেনি। এবার আবার সেই ঘটনা ঘটল। কেউ বলতে পারছে যে কে এই কাজ করেছে।’
কাটা গাছ দেখে একজন ব্যাপারী এসেছেন গাছ কিনতে। আবু সামা বললেন, ‘আজ আমি কিছুতেই গাছে হাত দিতে পারব না। থাক আমার গাছ পড়ে থাক।’
আবু সামার বাগানের পাশে প্রতিবন্ধী চাষি সোলায়মান হোসেনের স্ত্রী রূপজামান বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী একজন প্রতিবন্ধী। তার ৮টি গাছ কেটে ফেলেছে। তিনি হায় হায় করে মাঠের এক মাথা থেকে আরেক মাথায় ছোটাছুটি করছেন তিনি।’
স্থানীয় মনিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘লোকমুখে শুনে আমি বাগানে গিয়েছিলাম। ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা হবে। সেই চেষ্টা করা হবে।’
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাজধানীর মিরপুরে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ইমরান খান সাকিব ওরফে শাকিল (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে মিরপুর মডেল থানা-পুলিশ। ডিএমপি জানায়, শাকিল পেশাদার ছিনতাইকারী। গতকাল শুক্রবার সকাল ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে গাজীপুরের পুবাইল থানার কুদাব পশ্চিমপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়...
২ দিন আগেরাজধানীর খিলগাঁওয়ের তালতলায় ‘আপন কফি হাউসে’ তরুণীকে মারধরের ঘটনায় কফি হাউসের ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) আল আমিন ও কর্মচারী শুভ সূত্রধরকে এক দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাকিবুল হাসান এ আদেশ দেন।
৫ দিন আগেক্যামেরার লেন্সে ধরা পড়ল অমানবিক দৃশ্য— মেয়েটিকে বেশ কিছুক্ষণ ধমকানো হলো। এরপর ঘাড় ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়। সে যেন মানুষ নয়, পথের ধুলো। এর মধ্যেই এক কর্মচারী হঠাৎ মোটা লাঠি নিয়ে আঘাত করে তাঁর ছোট্ট পায়ে। শিশুটি কাতরাতে কাতরাতে পাশের দুটি গাড়ির ফাঁকে আশ্রয় নেয়। কিন্তু নির্যাতন থামে না, সেই লাঠি আব
৫ দিন আগেটিআইবি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘ধর্ষণ’ শব্দ ব্যবহার না করার অনুরোধের মাধ্যমে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বাস্তবে ধর্ষকের পক্ষ নিচ্ছেন। তিনি এই বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, অপরাধকে লঘু করার কোনো...
১৬ মার্চ ২০২৫